পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৪৯৪-(৮৮/১১১৩) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, মুহাম্মাদ ইবনু রুমূহ ও কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, (মক্কা) বিজয়ের বছর রমযান মাসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওমরত অবস্থায় সফরে বের হলেন। অতঃপর কাদীদ নামক স্থানে পৌঁছাবার পর তিনি সওম ভেঙ্গে ফেললেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যখনই কোন নতুন বিষয় প্রকাশ পেত, তার সাহাবীগণ তা অনুসরণ করতেন।” (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৭১, ইসলামীক সেন্টার ২৪৭০)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَمُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ، سَعِيدٍ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَامَ الْفَتْحِ فِي رَمَضَانَ فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ الْكَدِيدَ ثُمَّ أَفْطَرَ وَكَانَ صَحَابَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَتَّبِعُونَ الأَحْدَثَ فَالأَحْدَثَ مِنْ أَمْرِهِ .
Ibn Abbas (Allah be pleased with him) reported that the Messenger of Allah (ﷺ) went out during the month of Ramadan in the year of Victory (when Mecca was conquered) and was fasting till he reached Kadid (a canal situated at a distance of forty-two miles from Mecca) and he then broke the fast. And it was the habit of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) to follow him in every new thing (or act). So they followed him also (in this matter).
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৪৯৫-(.../...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ, আমর আন নাকিদ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... যুহরী থেকে এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। ইয়াহইয়া বলেন, সুফইয়ান (রহঃ) বলেছেন যে, আমি জানি না এ কার কথা অর্থাৎ তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শেষোক্ত কথাটি গ্রহণ করতেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৭২, ইসলামীক সেন্টার ২৪৭১)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . مِثْلَهُ . قَالَ يَحْيَى قَالَ سُفْيَانُ لاَ أَدْرِي مِنْ قَوْلِ مَنْ هُوَ يَعْنِي وَكَانَ يُؤْخَذُ بِالآخِرِ مِنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
This hadith is narrated on the authority of Zuhri with the same chain of transmitters. Yahya (one of the narrators) said that Sufyan (the narrator) had stated:
I do not know whose statement it is:" It is the last word of the Messenger of Allah (ﷺ) which is accepted as (final as it abrogates the previous ones)."
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৪৯৬-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) ..... যুহরী (রহঃ) থেকে এ সানাদের সাথে বর্ণনা করেছেন। যুহরী (রহঃ) বলেন, সওম পালন না করা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সর্বশেষ কাজ। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শেষোক্ত কাজকেই গ্রহণ করা হতো। তিনি বলেন, রমযানের তের দিন অতিবাহিত হবার পর ভোরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কাহ (মক্কা) প্রবেশ করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৭৩, ইসলামীক সেন্টার ২৪৭২)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَكَانَ الْفِطْرُ آخِرَ الأَمْرَيْنِ وَإِنَّمَا يُؤْخَذُ مِنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالآخِرِ فَالآخِرِ . قَالَ الزُّهْرِيُّ فَصَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ لِثَلاَثَ عَشْرَةَ لَيْلَةً خَلَتْ مِنْ رَمَضَانَ .
It has been narrated on the authority of Zuhri with the same chain of transmitters that breaking of fast (in a journey) is the final of the two commands (whether one may fast or one may break it), and it is the last command of the Messenger of Allah (ﷺ) which is to be accepted as final. Zuhri said:
The Messenger of Allah (ﷺ) marched on Mecca on the morning of 14th of Ramadan (lit. when thirteen nights had passed).
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৪৯৭-(.../...) হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে এ সানাদে লায়স এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, সাহাবীগণ প্রত্যেক নতুন বিষয়ের অনুসরণ করতেন। যে বিষয়টি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে পেতেন সাহাবীগণ একে রহিতকারী ও অধিকতর বলিষ্ঠ মনে করতেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৭৪, ইসলামীক সেন্টার ২৪৭৩)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَ حَدِيثِ اللَّيْثِ . قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَكَانُوا يَتَّبِعُونَ الأَحْدَثَ فَالأَحْدَثَ مِنْ أَمْرِهِ وَيَرَوْنَهُ النَّاسِخَ الْمُحْكَمَ .
A hadlth like this has been transmitted on the authority of Ibn Shibab who said that they (the Compnions of the Holy Prophet) followed the latest of his commands and looked upon it as one abrogating (the previous ones) and the most firm.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৪৯৮-(.../...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সময় রমযান মাসে সওমরত অবস্থায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরে বের হলেন। যখন তিনি উসফান নামক স্থানে পৌছলেন তখন তিনি পানি ভর্তি পাত্র আনার জন্য বললেন এবং লোকদেরকে দেখাবার জন্য দিনেই তা পান করে সওম ভেঙ্গে ফেললেন এবং এ অবস্থায় তিনি মক্কাহ (মক্কা) প্রবেশ করলেন। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, যেহেতু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সফরে কখনো) সওম পালন করেছেন আবার কখনো ইফতার করেছেন, তাই কেউ ইচ্ছা করলে সওম পালন করতে পারে আবার কেউ ইচ্ছা করলে সওম পালন ছেড়ে দিতে পারে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৭৫, ইসলামীক সেন্টার ২৪৭৪)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، - رضى الله عنهما - قَالَ سَافَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ عُسْفَانَ ثُمَّ دَعَا بِإِنَاءٍ فِيهِ شَرَابٌ فَشَرِبَهُ نَهَارًا لِيَرَاهُ النَّاسُ ثُمَّ أَفْطَرَ حَتَّى دَخَلَ مَكَّةَ . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ - رضى الله عنهما - فَصَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَفْطَرَ فَمَنْ شَاءَ صَامَ وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ .
Ibn 'Abbas (Allah be pleased with him) reported that the Messenger of Allah (ﷺ) journeyed during the month of Ramadan in a state of fasting till he reached 'Usfan. He then ordered a cup containing drinking water and he drank that openly so that the people might see it, and broke the fast (and did not resume it) till he reached Mecca. Ibn 'Abbas (Allah be pleased with him) said:
Allah's Messenger (ﷺ) fasted and broke the fast, so he who wished fasted and he who wished to break it broke it.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৪৯৯-(৮৯/...) আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সওম পালন করে তার প্রতি দোষারোপ করো না এবং তার প্রতিও না যে সওম ছেড়ে দেয়। কেননা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরের অবস্থায় (কখনো) সিয়াম (রোজা/রোযা) পালন করেছেন (আবার কখনও) সওম ছেড়ে দিয়েছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ২৪৭৬, ইসলামীক সেন্টার ২৪৭৫)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ، عَبَّاسٍ - رضى الله عنهما - قَالَ لاَ تَعِبْ عَلَى مَنْ صَامَ وَلاَ عَلَى مَنْ أَفْطَرَ قَدْ صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي السَّفَرِ وَأَفْطَرَ .
Ibn Abbas (Allah be pleased with him) reported:
Do not condemn one who observes fast, or one who does not observe (in a journey). for the Messenger of Allah (ﷺ) observed fast in a journey or he did not observe it (too).
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৫০০-(৯০/১১১৪) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। মক্কাহ (মক্কা) বিজয়ের বছর রমযান মাসে সওমরত অবস্থায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার (মক্কা) উদ্দেশে বের হলেন। এরপর যখন তিনি “কুরা’উল গামীম” নামক স্থান পৌছলেন, তখন লোকেরাও সওমরত ছিল। এরপর তিনি একটি পানির পাত্র চাইলেন। এমনকি লোকেরা তার দিকে তাকাতে লাগল। এরপর তিনি পানি পান করলেন। তখন তাকে বলা হল, কতিপয় লোক সওমরত রয়েছে। তিনি বললেন, তারা অবাধ্য, তারা অবাধ্য। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৭৭, ইসলামীক সেন্টার ২৪৭৬)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْمَجِيدِ - حَدَّثَنَا جَعْفَرٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، - رضى الله عنهما - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ عَامَ الْفَتْحِ إِلَى مَكَّةَ فِي رَمَضَانَ فَصَامَ حَتَّى بَلَغَ كُرَاعَ الْغَمِيمِ فَصَامَ النَّاسُ ثُمَّ دَعَا بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ فَرَفَعَهُ حَتَّى نَظَرَ النَّاسُ إِلَيْهِ ثُمَّ شَرِبَ فَقِيلَ لَهُ بَعْدَ ذَلِكَ إِنَّ بَعْضَ النَّاسِ قَدْ صَامَ فَقَالَ " أُولَئِكَ الْعُصَاةُ أُولَئِكَ الْعُصَاةُ " .
Jabir b. 'Abdullah (Allah be pleased with both of them) reported that Allah's Messenger (ﷺ) went out to Mecca in Ramadan in the year of Victory, and he and the people fasted till he came to Kura' al-Ghamim and the people also fasted. He then called for a cup of water which he raised till the people saw it, and then he drank. He was told afterwards that some people had continued to fast, and he said:
These people are the disobedient ones; these are the disobedient ones.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৫০১-(৯১/...) কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... জাফার (রহঃ) থেকে এ সানাদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, অতঃপর তাকে বলা হল, মানুষের জন্য সওম পালন করা কষ্টাতীত হয়ে পড়েছে। আপনি কী করেন, তারা সেদিকে তাকিয়ে আছে। এ কথা শুনে তিনি ’আসরের পর এক পাত্র পানি চাইলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৭৮, ইসলামীক সেন্টার ২৪৭৭)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - عَنْ جَعْفَرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ شَقَّ عَلَيْهِمُ الصِّيَامُ وَإِنَّمَا يَنْظُرُونَ فِيمَا فَعَلْتَ . فَدَعَا بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ بَعْدَ الْعَصْرِ .
This hadith has been narrated by Ja'far with the same chain of transmitters and he added:
It was said to him (to the Holy Prophet): There are people to whom fasting has become unbearable and they are waiting how you do. He (the Holy Prophet) then called for a cup of water when it was afternoon. The rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৫০২-(৯২/১১১৫) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সফরে ছিলেন। এ সময় তিনি এক ব্যক্তিকে দেখতে পেলেন, লোকেরা তার কাছে জটলা করে আছে এবং তাকে ছায়া করে আছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তার কী হয়েছে? তারা বললেন, লোকটি সিয়াম (রোজা/রোযা) পালনকারী। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সফরে তোমাদের সওম পালন করা কোন নেকীর কাজ নয়। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৭৯, ইসলামীক সেন্টার ২৪৭৮)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ جَمِيعًا عَنْ مُحَمَّدِ، بْنِ جَعْفَرٍ - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، - عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، - رضى الله عنهما - قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَرَأَى رَجُلاً قَدِ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلَيْهِ وَقَدْ ظُلِّلَ عَلَيْهِ فَقَالَ " مَا لَهُ " . قَالُوا رَجُلٌ صَائِمٌ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ مِنَ الْبِرِّ أَنْ تَصُومُوا فِي السَّفَرِ " .
Jabir b. 'Abdullah (Allah be pleased with both of them) reported that in the course of a journey Allah's Messenger (ﷺ) saw a man, people crowding around him and providing him a shade. Upon this he (the Holy Prophet) said:
What is the matter with him? They said: He is a person observing fast. Whereupon the Messenger of Allah (ﷺ) said: It is no righteousness that you fast on journey.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৫০৩-(.../...) উবায়দুল্লাহ ইবনু মুআয (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে দেখলেন। এরপর তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৮০, ইসলামীক সেন্টার ২৪৭৯)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ، يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، - رضى الله عنهما - يَقُولُ رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً بِمِثْلِهِ .
'Amr b. al-Hasan is reported to have said that he heard Jabir b. 'Abdullah (Allah be pleased with both of them) as saying that the Messenger of Allah (ﷺ) saw a man. The rest of the hadith is the same as mentioned above.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৫০৪-(.../...) আহমাদ ইবনু উসমান আন্ নাওফালী (রহঃ) ..... শু’বাহ্ (রহঃ) থেকে এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। শু’বাহ বলেন, এ সানাদে ইয়াহইয়া ইবনু আবূ কাসীরের মাধ্যমে অতিরিক্ত এ কথাও আমার নিকট পৌছেছে যে, তিনি বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে যে সুবিধা দিয়েছেন তা গ্রহণ করা তোমাদের জন্য অপরিহার্য। আমি যখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তখন সে মুখস্থ বলতে পারেনি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৮১, ইসলামীক সেন্টার ২৪৮০)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنَاهُ أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَهُ وَزَادَ قَالَ شُعْبَةُ وَكَانَ يَبْلُغُنِي عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ أَنَّهُ كَانَ يَزِيدُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ وَفِي هَذَا الإِسْنَادِ أَنَّهُ قَالَ " عَلَيْكُمْ بِرُخْصَةِ اللَّهِ الَّذِي رَخَّصَ لَكُمْ " . قَالَ فَلَمَّا سَأَلْتُهُ لَمْ يَحْفَظْهُ .
This hadith has been narrated on the authority of Shu'ba with the same chain of transmitters but with this addition that he (the Holy Prophet) said:
" Take advantage of the concession of Allah Who Wanted it to you." When he (one of the narrators) asked him (the other one, Yabya b. Abi Kathar) he did not retain it in his mind.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৫০৫-(৯৩/১১১৬) হাদ্দাব ইবনু খালিদ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমযানের ষোল দিন অতিবাহিত হবার পর আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ সময় আমাদের কেউ সিয়াম (রোজা/রোযা) পালন করছিলেন, আবার কেউ তা ছেড়ে দিচ্ছিলেন। কিন্তু এতে সওম পালনকারী সওম ভঙ্গকারীকে কোন দোষারোপ করেনি এবং সওম ভঙ্গকারীও সওম পালনকারীকে কোন প্রকার দোষারোপ করেনি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৮২, ইসলামীক সেন্টার ২৪৮১)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، - رضى الله عنه - قَالَ غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِسِتَّ عَشْرَةَ مَضَتْ مِنْ رَمَضَانَ فَمِنَّا مَنْ صَامَ وَمِنَّا مَنْ أَفْطَرَ فَلَمْ يَعِبِ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ .
Abu Sa'id al-Khudri (Allah be pleased with him) reported:
We went out on an expedition with Allah's Messenger (ﷺ) on the 16th of Ramadan. Some of us fasted and some of us broke the fast. But neither the observer of the fast found fault with one who broke it, nor the breaker of the fast found fault with one who observed it.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৫০৬-(৯৪/...) মুহাম্মাদ ইবনু আবূ বকর আল মুকুদ্দামী, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহঃ) ... কাতাদাহ্ (রহঃ) থেকে এ সানাদে হাম্মামের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে আত তায়মী, উমার ইবনু আমির ও হিশামের বর্ণনায় রমযানের আঠার দিন অতিবাহিত হয়েছে কথাটি বর্ণিত আছে। সাঈদের বর্ণনায় বারোই রমযান এবং শু’বার বর্ণনায় সতের অথবা উনিশ রমাযানের কথা উল্লেখ রয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৮৩, ইসলামীক সেন্টার ২৪৮২)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْمُقَدَّمِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ التَّيْمِيِّ، ح وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، وَقَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ، حَدَّثَنَا عُمَرُ يَعْنِي ابْنَ عَامِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، كُلُّهُمْ عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَ حَدِيثِ هَمَّامٍ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ التَّيْمِيِّ وَعُمَرَ بْنِ عَامِرٍ وَهِشَامٍ لِثَمَانَ عَشْرَةَ خَلَتْ وَفِي حَدِيثِ سَعِيدٍ فِي ثِنْتَىْ عَشْرَةَ . وَشُعْبَةَ لِسَبْعَ عَشْرَةَ أَوْ تِسْعَ عَشْرَةَ .
A hadith like this has been narrated on the authority of Qatada with the same chain of transmitters by different narrators (except this difference) that in the hadith transmitted by Taimi and Umar b. Amir and Hisham (the date of setting out is) 18th, and in the hadith transmitted by Sa'id it is the 12th, and in the one transmitted by Shu'ba it is the 17th or 19th.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৫০৭-(৯৫/...) নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রমযান মাসে সফর করতাম কিন্তু সওম পালনকারীকে তার সওমের কারণে দোষারোপ করা হতো না এবং সওম ভঙ্গকারীকেও তার সওম ভঙ্গের কারণে দোষারোপ করা হতো না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৮৪, ইসলামীক সেন্টার ২৪৮৩)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ، - يَعْنِي ابْنَ مُفَضَّلٍ - عَنْ أَبِي مَسْلَمَةَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، - رضى الله عنه - قَالَ كُنَّا نُسَافِرُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَمَا يُعَابُ عَلَى الصَّائِمِ صَوْمُهُ وَلاَ عَلَى الْمُفْطِرِ إِفْطَارُهُ .
Abu Sa'id al-Khudri (Allah be pleased with him) reported:
We went out on an expedition with the Messenger of Allah (ﷺ) during Ramadan and neither the observer of the fast was found fault with for his fasting, nor the breaker of the fast for breaking it.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৫০৮-(৯৬/...) আমর আন নাকিদ (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমাযান মাসে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতাম। এ সময় আমাদের কেউ সওম পালন করেছেন, আবার কেউ সওম ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু সওম পালনকারী সওম ভঙ্গকারীকে খারাপ মনে করতেন না এবং সওম ভঙ্গকারীও সওম পালনকারীকে খারাপ মনে করতেন না। তারা মনে করতেন, যার সামথ্য আছে সে-ই সওম পালন করছে, এটাই তার জন্য উত্তম। আর যে দুর্বল সে সওম ছেড়ে দিয়েছে, এটাও তার জন্য উত্তম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৮৫, ইসলামীক সেন্টার ২৪৮৪)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، - رضى الله عنه - قَالَ كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَمِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ فَلاَ يَجِدُ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ يَرَوْنَ أَنَّ مَنْ وَجَدَ قُوَّةً فَصَامَ فَإِنَّ ذَلِكَ حَسَنٌ وَيَرَوْنَ أَنَّ مَنْ وَجَدَ ضَعْفًا فَأَفْطَرَ فَإِنَّ ذَلِكَ حَسَنٌ .
Abu Sa'id al-Khudri (Allah be pleased with him) reported:
We went out on an expedition with the Messenger of Allah (ﷺ) during Ramadan. Some of us observed the fast and some of us broke it. Neither the observer of the fast had any grudge against one who broke it, nor the breaker of the fast had any grudge against one who had fasted They knew that he who had strength enough (to bear its rigour) fasted and that was good, and they also found that he who felt weakness (and could not bear the burden) broke it, and that was also good.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৫০৯-(৯৭/১১১৭) সাঈদ ইবনু আমর আশ’আসী, সাহল ইবনু উসমান, সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ ও হুসায়ন ইবনু হুরায়স (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) ও জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তারা উভয়ই বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফর করেছি। এমতাবস্থায় সওম পালনকারী সওম পালন করেছেন এবং সওম যারা ছাড়তে চেয়েছেন, তারা ছেড়ে দিয়েছেন কিন্তু এতে কেউ একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৮৬, ইসলামীক সেন্টার ২৪৮৫)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَسَهْلُ بْنُ عُثْمَانَ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، وَحُسَيْنُ، بْنُ حُرَيْثٍ كُلُّهُمْ عَنْ مَرْوَانَ، - قَالَ سَعِيدٌ أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، - عَنْ عَاصِمٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا نَضْرَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، - رضى الله عنهم - قَالاَ سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَيَصُومُ الصَّائِمُ وَيُفْطِرُ الْمُفْطِرُ فَلاَ يَعِيبُ بَعْضُهُمْ عَلَى بَعْضٍ .
Abu Nadra reported Abu Sa'id al. Khudri and Jabir b. Abdullah as saying:
We travelled with the Messenger of Allah (ﷺ). The observer of the fast observed it, and the breaker of the fast broke it, but none of them found fault with each other.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৫১০-(৯৮/১১১৮) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমাযান মাসে সফরকালে সওমের বিধান কী? এ সম্বন্ধে আনাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করার পর তিনি বললেন, রমযান মাসে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সফর করেছি। এ সময় সওম পালনকারী ব্যক্তি সওম ভঙ্গকারী ব্যক্তির কোন নিন্দা করেনি এবং সওম ভঙ্গকারী ব্যক্তিও সওম পালনকারীর কোন নিন্দা করেনি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৮৭, ইসলামীক সেন্টার ২৪৮৬)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় যে, রমাজান মাসে সফরে রোজা পালন করা এবং রোজা ভঙ্গ করা বৈধ।
২। এই হাদীসটির দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃত ইসলাম উদারপন্থা ও নমনীয়তার ধর্ম। তাই রমাজান মাসে সফরের অবস্থায় রোজা পালন করার বিষয়ে কাঠিন্য বা কঠোরতা অবলম্বন করা হয় নি। সুতরাং যে ব্যক্তি রমাজান মাসে সফরের অবস্থায় থাকবে, সে ব্যক্তি ইচ্ছা করলে রোজা পালন করবে, ইচ্ছা করলে রোজা ভঙ্গ করে অন্য সময় রোজা পালন করে নিবে।
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ سُئِلَ أَنَسٌ - رضى الله عنه - عَنْ صَوْمِ رَمَضَانَ فِي السَّفَرِ فَقَالَ سَافَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي رَمَضَانَ فَلَمْ يَعِبِ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ .
Humaid reported that Anas (Allah be pleased with him) was asked about fasting during Ramadan while travelling. He said:
We travelled with the Messenger of Allah (ﷺ) during the month of Ramadan, but neither the observer of the fast found fault with the breaker of the fast, nor the breaker of the fast found fault with the observer of the fast.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. অবৈধ নয় এমন কাজে রমাযান মাসে সফরকারী ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা এবং ইফতার করা উভয়ই জায়িয যদি দু' বা ততোধিক মঞ্জিলের উদ্দেশে সফর করা হয়, অবশ্য ক্ষমতাবান ব্যক্তির জন্য সওম পালন করা উত্তম এবং অক্ষম ব্যক্তির জন্য সওম ভঙ্গ করা উত্তম
২৫১১-(৯৯/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহঃ) ..... হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সফরের উদ্দেশে বের হলাম এবং সিয়াম (রোজা/রোযা) পালন করলাম। লোকেরা আমাকে বলল, তুমি পুনরায় সওম পালন কর। তখন আমি বললাম, আনাস (রাযিঃ) আমাকে বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ সফরকালে সওম পালনকারী সওম ভঙ্গকারীকে কোন দোষারোপ করেনি। অনুরূপভাবে সওম ভঙ্গকারীও সওম পালনকারীকে কোন প্রকার দোষারোপ করেনি। অতঃপর আমি ইবনু আবূ মুলায়কাহ্ (রহঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম। তিনি আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে আমাকে অনুরূপ হাদীস শুনালেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৪৮৮, ইসলামীক সেন্টার ২৪৮৭)
باب جواز الصوم والفطر في شهر رمضان للمسافر في غير معصية إذا كان سفره مرحلتين فأكثر وأن الأفضل لمن أطاقه بلا ضرر أن يصوم ولمن يشق عليه أن يفطر
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ خَرَجْتُ فَصُمْتُ فَقَالُوا لِي أَعِدْ . قَالَ فَقُلْتُ إِنَّ أَنَسًا أَخْبَرَنِي أَنَّ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانُوا يُسَافِرُونَ فَلاَ يَعِيبُ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ وَلاَ الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ . فَلَقِيتُ ابْنَ أَبِي مُلَيْكَةَ فَأَخْبَرَنِي عَنْ عَائِشَةَ - رضى الله عنها - بِمِثْلِهِ .
Abu Khalid al-Ahmar narrated from Humaid who said:
I went out and was fasting; they said to me: Break (lit. go back, repeat). He said that Anas reported that the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) used to set out on a journey and neither the observer of the fast found fault with the breaker of the fast, nor the breaker of the fast found fault with the observer of the fast. (One of the narrators Humaid said): I met Ibn Abi Mulaika who informed me the same thing on the authority of 'A'isha.