পরিচ্ছেদঃ ৫১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বংশধরকে সদাকাহ্ উসুলকারী নিযুক্ত না করা প্রসঙ্গে

২৩৭১-(১৬৭/১০৭২) ’আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আসমা আয যুবাঈ (রহঃ) ..... আবদুল মুত্ত্বালিব ইবনু রবী’আহ ইবনু হারিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রবী’আহ ইবনু হারিস ও আব্বাস ইবনু ’আবদুল মুত্ত্বালিব (রাযিঃ) সম্মিলিতভাবে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা এ ছেলে দু’টিকে অর্থাৎ আমি ও ফাযল ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যদি পাঠিয়ে দিতাম এবং তারা উভয়ে তার কাছে গিয়ে তাদেরকে যাকাত আদায়কারী হিসেবে নিয়োগের জন্য আবেদন করত। অতঃপর তারা অন্যান্য আদায়কারীদের ন্যায় যাকাত আদায় করে এনে দিতে এবং অন্যান্যরা যেভাবে পারিশ্রমিক পায় তারাও সেভাবে পারিশ্রমিক পেত। রাবী বলেন, তারা এ ব্যাপার নিয়ে আলাপ করছিলেন, এমন সময় আলী ইবনু আবূ তলিব (রাযিঃ) এসে তাদের মাঝে দাঁড়ালেন। তারা এ প্রস্তাবটি তার কাছে উত্থাপন করলেন।

আলী (রাযিঃ) বললেন, তোমরা এ কাজ করো না। আল্লাহর শপথ তিনি এটা করবেন না (কারণ আমাদের জন্য যাকাত হারাম)। তখন রবী’আহ ইবনু হারিস (রাযিঃ) তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ “তুমি শুধু বিদ্বেষের বশীভূত হয়েই আমাদের সাথে এরূপ করছো। অথচ তুমি যে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জামাতা হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছো এজন্যে তো তোমার প্রতি আমরা কোন প্রকার বিদ্বেষ পোষণ করছি না। তখন আলী (রাযিঃ) বললেন, এদের দু’জনকে পাঠিয়ে দাও। অতঃপর তারা উভয়ে চলে গেল এবং ’আলী (রাযিঃ) বিছানায় শুয়ে থাকলেন।

আবদুল মুত্ত্বলিব ইবনু রাবী’আহ বলেন,রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত আদায় করলেন। আমরা তাড়াতাড়ি করে তাঁর প্রত্যাবর্তন করার পূর্বেই তাঁর কামরার কাছে গিয়ে তার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকলাম। তিনি এসে আমাদের দু’জনের কান ধরে (স্নেহসিক্ত কণ্ঠে) বললেন, “কোন মতলবে এসেছে, আসল কথাটা সাহস করে বলে ফেলো।” তারপর তিনি ও আমরা হুজরার মধ্যে প্রবেশ করলাম। এ সময় তিনি যায়নাব বিনতু জাহশ (রাযিঃ) এর ঘরে অবস্থান করছিলেন।

রাবী বলেন, এবার আমরা পরস্পরকে কথাটি তোলার জন্য বলছিলাম। অবশেষে আমাদের একজনে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! "আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ অনুগ্রহকারী এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী। আমাদের এখন বিয়ের বয়স হয়েছে, অথচ আমরা বেকার। তাই আপনার শরণাপন্ন হয়েছি, অন্যান্য যাকাত আদায়কারীদের মত আপনি আমাদেরকেও যাকাত আদায়কারী হিসেবে নিয়োগ করুন; অন্যান্যরা যেভাবে যাকাত আদায় করে এনে দেয় আমরা তাই করব এবং তাতে আমরাও কিছু পারিশ্রমিক পাব।” এ কথার পর তিনি দীর্ঘ সময় ধরে চুপ করে থাকলেন। এমনকি আমরা পুনর্বার আমাদের কথা বলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। পর্দার আড়াল থেকে যায়নাব (রাযিঃ) কথা না বলার জন্য আমাদেরকে ইঙ্গিত করলেন।

অতঃপর তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবার-পরিজন তথা বংশধরদের জন্য ’যাকাত’ গ্রহণ করা সমীচীন নয়। কেননা যাকাত হলো মানুষের (সম্পদের) ময়লা। বরং তোমরা গিয়ে খুমুসের কোষাধ্যক্ষ মাহমিয়্যাহ এবং নাওফাল ইবনু হারিস ইবনু আবদুল মুত্ত্বালিবকে আমার কাছে ডেকে আনো। রাবী বলেন, তারা দু’জনে উপস্থিত হলে প্রথমে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাহমিয়াকে বললেনঃ "তুমি তোমার কন্যাকে এ ছেলে অর্থাৎ ফাযল ইবনু আব্বাসের সাথে বিয়ে দাও। তিনি তাই করলেন। অতঃপর তিনি নাওফাল ইবনু হারিসকে বললেনঃ তুমি এ ছেলের (অর্থাৎ আমার) সাথে তোমার কন্যার বিয়ে দাও। তিনি আমাকে বিয়ে করিয়ে দিলেন। অতঃপর তিনি মাহমিয়্যাকে বললেন, এ দু’জনের পক্ষ থেকে এত এত পরিমাণ মহরানা খুমুসের তহবিল থেকে আদায় করে দাও।

যুহরী বলেন, আমার শায়খ আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ আমার কাছে মহরের নির্দিষ্ট কোন পরিমাণ উল্লেখ করেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৩৪৯, ইসলামীক সেন্টার ২৩৪৯)

باب تَرْكِ اسْتِعْمَالِ آلِ النَّبِيِّ عَلَى الصَّدَقَةِ ‏

حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ حَدَّثَهُ قَالَ اجْتَمَعَ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالاَ وَاللَّهِ لَوْ بَعَثْنَا هَذَيْنِ الْغُلاَمَيْنِ - قَالاَ لِي وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ - إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمَاهُ فَأَمَّرَهُمَا عَلَى هَذِهِ الصَّدَقَاتِ فَأَدَّيَا مَا يُؤَدِّي النَّاسُ وَأَصَابَا مِمَّا يُصِيبُ النَّاسُ - قَالَ - فَبَيْنَمَا هُمَا فِي ذَلِكَ جَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَوَقَفَ عَلَيْهِمَا فَذَكَرَا لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ لاَ تَفْعَلاَ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ بِفَاعِلٍ ‏.‏ فَانْتَحَاهُ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا تَصْنَعُ هَذَا إِلاَّ نَفَاسَةً مِنْكَ عَلَيْنَا فَوَاللَّهِ لَقَدْ نِلْتَ صِهْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا نَفِسْنَاهُ عَلَيْكَ ‏.‏ قَالَ عَلِيٌّ أَرْسِلُوهُمَا ‏.‏ فَانْطَلَقَا وَاضْطَجَعَ عَلِيٌّ - قَالَ - فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ سَبَقْنَاهُ إِلَى الْحُجْرَةِ فَقُمْنَا عِنْدَهَا حَتَّى جَاءَ فَأَخَذَ بِآذَانِنَا ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَخْرِجَا مَا تُصَرِّرَانِ ‏"‏ ثُمَّ دَخَلَ وَدَخَلْنَا عَلَيْهِ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ - قَالَ - فَتَوَاكَلْنَا الْكَلاَمَ ثُمَّ تَكَلَّمَ أَحَدُنَا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْتَ أَبَرُّ النَّاسِ وَأَوْصَلُ النَّاسِ وَقَدْ بَلَغْنَا النِّكَاحَ فَجِئْنَا لِتُؤَمِّرَنَا عَلَى بَعْضِ هَذِهِ الصَّدَقَاتِ فَنُؤَدِّيَ إِلَيْكَ كَمَا يُؤَدِّي النَّاسُ وَنُصِيبَ كَمَا يُصِيبُونَ - قَالَ - فَسَكَتَ طَوِيلاً حَتَّى أَرَدْنَا أَنْ نُكَلِّمَهُ - قَالَ - وَجَعَلَتْ زَيْنَبُ تُلْمِعُ عَلَيْنَا مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ أَنْ لاَ تُكَلِّمَاهُ - قَالَ - ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ الصَّدَقَةَ لاَ تَنْبَغِي لآلِ مُحَمَّدٍ ‏.‏ إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ ادْعُوَا لِي مَحْمِيَةَ - وَكَانَ عَلَى الْخُمُسِ - وَنَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَجَاءَاهُ فَقَالَ لِمَحْمِيَةَ ‏"‏ أَنْكِحْ هَذَا الْغُلاَمَ ابْنَتَكَ ‏"‏ ‏.‏ لِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ فَأَنْكَحَهُ وَقَالَ لِنَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ ‏"‏ أَنْكِحْ هَذَا الْغُلاَمَ ابْنَتَكَ ‏"‏ ‏.‏ لِي فَأَنْكَحَنِي وَقَالَ لِمَحْمِيَةَ ‏"‏ أَصْدِقْ عَنْهُمَا مِنَ الْخُمُسِ كَذَا وَكَذَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَلَمْ يُسَمِّهِ لِي ‏.‏

حدثني عبد الله بن محمد بن اسماء الضبعي، حدثنا جويرية، عن مالك، عن الزهري، ان عبد الله بن عبد الله بن نوفل بن الحارث بن عبد المطلب، حدثه ان عبد المطلب بن ربيعة بن الحارث حدثه قال اجتمع ربيعة بن الحارث والعباس بن عبد المطلب فقالا والله لو بعثنا هذين الغلامين - قالا لي وللفضل بن عباس - الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فكلماه فامرهما على هذه الصدقات فاديا ما يودي الناس واصابا مما يصيب الناس - قال - فبينما هما في ذلك جاء علي بن ابي طالب فوقف عليهما فذكرا له ذلك فقال علي بن ابي طالب لا تفعلا فوالله ما هو بفاعل ‏.‏ فانتحاه ربيعة بن الحارث فقال والله ما تصنع هذا الا نفاسة منك علينا فوالله لقد نلت صهر رسول الله صلى الله عليه وسلم فما نفسناه عليك ‏.‏ قال علي ارسلوهما ‏.‏ فانطلقا واضطجع علي - قال - فلما صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم الظهر سبقناه الى الحجرة فقمنا عندها حتى جاء فاخذ باذاننا ‏.‏ ثم قال ‏"‏ اخرجا ما تصرران ‏"‏ ثم دخل ودخلنا عليه وهو يومىذ عند زينب بنت جحش - قال - فتواكلنا الكلام ثم تكلم احدنا فقال يا رسول الله انت ابر الناس واوصل الناس وقد بلغنا النكاح فجىنا لتومرنا على بعض هذه الصدقات فنودي اليك كما يودي الناس ونصيب كما يصيبون - قال - فسكت طويلا حتى اردنا ان نكلمه - قال - وجعلت زينب تلمع علينا من وراء الحجاب ان لا تكلماه - قال - ثم قال ‏"‏ ان الصدقة لا تنبغي لال محمد ‏.‏ انما هي اوساخ الناس ادعوا لي محمية - وكان على الخمس - ونوفل بن الحارث بن عبد المطلب ‏"‏ ‏.‏ قال فجاءاه فقال لمحمية ‏"‏ انكح هذا الغلام ابنتك ‏"‏ ‏.‏ للفضل بن عباس فانكحه وقال لنوفل بن الحارث ‏"‏ انكح هذا الغلام ابنتك ‏"‏ ‏.‏ لي فانكحني وقال لمحمية ‏"‏ اصدق عنهما من الخمس كذا وكذا ‏"‏ ‏.‏ قال الزهري ولم يسمه لي ‏.‏


'Abd al-Muttalib b. Rabi'a b. al-Harith reported that Rabi'a b. al-Harith and Abbas b. Abd al-Muttalib gathered together and said:
By Allah, if we had sent these two young boys (i. e. I and Fadl b. 'Abbas) to the Messenger of Allah (ﷺ) and they had spoken to him, he would have appointed them (as the collectors) of these sadaqat; and they would (collect them) and pay (to the Holy Prophet) as other people (collectors) paid and would get a share as other people got it. As they were talking about it there came 'Ali b. Abu Talib and stood before them, and they made a mention of it to him. 'Ali b. Abu Talib said: Don't do that; by Allah he (the Holy Prophet) would not do that (would not accept your request). Rabi'a b. Harith turned to him and said: By Allah, you are not doing so but out of jealousy that you nurse against us By Allah, you became the son-in-law of the Messenger of Allah (ﷺ) but we felt no jealousy against you (for this great privilege of yours). 'Ali then said: Send them (if you like). They set out and 'Ali lay on the bed. When the Messenger of Allah (ﷺ) offered the noon prayer. we went ahead of him to his apartment and stood near it till he came out. He took hold of our ears (out of love and affection) and then said: Give out what you have kept in your hearts. He then entered (the apartment) and we also went in and he (the Holy Prophet) was on that day (in the house of) Zainab b. jahsh. We urged each (of us) to speak. Then one of us thus spoke: Messenger of Allah, you are the best of humanity and the best to cement the ties of blood-relations. We have reached the-marriageable age. We have come (to you) so that you may appoint us (as collectors) of these sadaqat. and we would pay you just as thin people (other collectors) pay you, and get our share as others get it. He (the Holy Prophet) kept silence for a long time till we wished that we should speak with him (again), and Zainab pointied to us from behind the curtain not to talk (any more). He (the Holy Prophet) said; It does not become the family of Muhammad (to accept) sadaqat for they are the impurities of people. You call to me Mahmiya (and he was in charge of khums, i. e, of the one-fifth part that goes to the treasury out of the spoils of war), and Naufal b. Harith b. 'Abd al-Muttalib. They both came to him, and he (the Holy Prophet) said to Mahmiya: Marry your daughter to this young man (i. e. Fadl b. 'Abbas), and he married her to him And he said to Naufal b. Harith: Marry your daughter to this young man (i e. 'Abd al-Muttalib b. Rabi'a, the narrator of this hadith) and he married her to me, and he said to Mahmiya: Pay so much mahr on behalf of both of them from this khums Zuhri, however. said: He did not determine (the amount of mahr).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৩। যাকাত (كتاب الزكاة) 13. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৫১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বংশধরকে সদাকাহ্ উসুলকারী নিযুক্ত না করা প্রসঙ্গে

২৩৭২-(১৬৮/...) হারূন ইবনু মা’রূফ (রহঃ) ..... আবদুল মুত্ত্বালিব ইবনু রবীআহ্ ইবনু হারিস ইবনু ’আবদুল মুত্ত্বলিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল মুত্ত্বলিব ইবনু রাবী’আহ ইবনু হারিস ও আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্ত্বলিব উভয়ে নিজ নিজ পুত্র আবদুল মুত্ত্বলিব ইবনু রবীআহ ও ফাযল ইবনু আব্বাসকে বললেন, তোমরা দু’জন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যাও। হাদীসের বাকী অংশ মালিক কর্তৃক বর্ণিত উপরের হাদীসের অনুরূপ। এ বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে- তারপর ’আলী (রাযিঃ) নিজের চাঁদর বিছিয়ে শুয়ে পড়লেন এবং বললেন, “আমি হাসানের পিতা এবং সাইয়্যিদ। আল্লাহর শপথ! তোমরা যে কথা বলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তোমার ছেলেদের পাঠিয়েছো তারা তার জবাব নিয়ে না আসা পর্যন্ত আমি এখান থেকে নড়ব না।

এ হাদীসে আরো আছে, তিনি আমাদের উদ্দেশে বললেনঃ “যাকাতের এ অর্থ হলো মানুষের (সম্পদের) আবর্জনা। তাই এ অর্থ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার বংশধরদের জন্য হালাল নয়।" অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মাহমিয়্যাহ ইবনু জায-কে আমার কাছে ডেকে আনো। তিনি বানী আসাদ গোত্রের লোক ছিলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে খুমুসের (গনীমাতের মালের) কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ করেছিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৩৫০, ইসলামীক সেন্টার ২৩৫০)

باب تَرْكِ اسْتِعْمَالِ آلِ النَّبِيِّ عَلَى الصَّدَقَةِ ‏

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ الْهَاشِمِيِّ، أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ، بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ رَبِيعَةَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَالْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالاَ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ ائْتِيَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ مَالِكٍ وَقَالَ فِيهِ فَأَلْقَى عَلِيٌّ رِدَاءَهُ ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَيْهِ وَقَالَ أَنَا أَبُو حَسَنٍ الْقَرْمُ وَاللَّهِ لاَ أَرِيمُ مَكَانِي حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْكُمَا ابْنَاكُمَا بِحَوْرِ مَا بَعَثْتُمَا بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ ثُمَّ قَالَ لَنَا ‏"‏ إِنَّ هَذِهِ الصَّدَقَاتِ إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ وَإِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ وَلاَ لآلِ مُحَمَّدٍ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ أَيْضًا ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ادْعُوَا لِي مَحْمِيَةَ بْنَ جَزْءٍ ‏"‏ ‏.‏ وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أَسَدٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَعْمَلَهُ عَلَى الأَخْمَاسِ ‏.‏

حدثنا هارون بن معروف، حدثنا ابن وهب، اخبرني يونس بن يزيد، عن ابن، شهاب عن عبد الله بن الحارث بن نوفل الهاشمي، ان عبد المطلب بن ربيعة بن الحارث، بن عبد المطلب اخبره ان اباه ربيعة بن الحارث بن عبد المطلب والعباس بن عبد المطلب قالا لعبد المطلب بن ربيعة وللفضل بن عباس اىتيا رسول الله صلى الله عليه وسلم وساق الحديث بنحو حديث مالك وقال فيه فالقى علي رداءه ثم اضطجع عليه وقال انا ابو حسن القرم والله لا اريم مكاني حتى يرجع اليكما ابناكما بحور ما بعثتما به الى رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وقال في الحديث ثم قال لنا ‏"‏ ان هذه الصدقات انما هي اوساخ الناس وانها لا تحل لمحمد ولا لال محمد ‏"‏ ‏.‏ وقال ايضا ثم قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ادعوا لي محمية بن جزء ‏"‏ ‏.‏ وهو رجل من بني اسد كان رسول الله صلى الله عليه وسلم استعمله على الاخماس ‏.‏


Rabi'a b. Harith b. 'Abd al-Muttalib and Abbas b. 'Abd al-Muttalib said to Abd al-Muttalib b. Rabi'a and Fadl b. Ibn Abbas:
Go to the Messenger of Allah (ﷺ), and the rest of the hadith is the same (but with this addition):" 'Ali spread his cloak and then lay down on it and said: I am the father of Hasan, and I am the chief. By Allah, I would not move from my place till your sons come back to you with the reply to that for which you sent them to the Messenger of Allah (ﷺ). And he then also said: Verily these sadaqat are the impurities of people, and they are not permissible for Muhammad (may peaace be upon him), and for the family of Muhammad. And he also said: The Messenger of Allah (ﷺ) also said to me: Call Mahmiya b. Jaz', and he was person from Banu Asad. and the Messenger of Allah (ﷺ) had appointed him as a collector of khums.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৩। যাকাত (كتاب الزكاة) 13. Zakat
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে