পরিচ্ছেদঃ ৪১. দুনিয়ার যে চাকচিক্য প্রকাশ পাবে তাথেকে বেঁচে থাকা প্রসঙ্গে

২৩১১-(১২১/১০৫২) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন, অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেনঃ হে লোক সকল! না, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোন কিছুর আশঙ্কা নেই। তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন, এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা রয়েছে। এক ব্যক্তি বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কী বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, "হে আল্লাহর রসূল! কল্যাণের সাথে কি অকল্যাণ আসবে?”

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উৎপন্ন হয় এটা কোন পশুকে ডায়রিয়ার প্রকোপে ফেলে মারে না বা মৃত্যুর কাছাকাছিও নিয়ে যায় না। কিন্তু চারণভূমিতে বিচরণকারী পশুর এগুলো খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে। অতঃপর সূর্যের দিকে তাকিয়ে পেশাব-পায়খানা করতে থাকে, অতঃপর জাবর কাটতে থাকে। এগুলো পুনরায় চারণভূমিতে যায় এবং এভাবে অত্যধিক খেতে খেতে একদিন মৃত্যুর শিকার হয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তাকে এর মধ্যে বারাকাত দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অসৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে- সে অনেক খাচ্ছে কিন্তু পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ২২৮৯, ইসলামীক সেন্টার ২২৯০)

باب تَخَوُّفِ مَا يَخْرُجُ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا ‏

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالَ حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ عِيَاضِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَطَبَ النَّاسَ فَقَالَ ‏"‏ لاَ وَاللَّهِ مَا أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ إِلاَّ مَا يُخْرِجُ اللَّهُ لَكُمْ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ فَصَمَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَاعَةً ثُمَّ قَالَ ‏"‏ كَيْفَ قُلْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ الْخَيْرَ لاَ يَأْتِي إِلاَّ بِخَيْرٍ أَوَ خَيْرٌ هُوَ إِنَّ كُلَّ مَا يُنْبِتُ الرَّبِيعُ يَقْتُلُ حَبَطًا أَوْ يُلِمُّ إِلاَّ آكِلَةَ الْخَضِرِ أَكَلَتْ حَتَّى إِذَا امْتَلأَتْ خَاصِرَتَاهَا اسْتَقْبَلَتِ الشَّمْسَ ثَلَطَتْ أَوْ بَالَتْ ثُمَّ اجْتَرَّتْ فَعَادَتْ فَأَكَلَتْ فَمَنْ يَأْخُذْ مَالاً بِحَقِّهِ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ وَمَنْ يَأْخُذْ مَالاً بِغَيْرِ حَقِّهِ فَمَثَلُهُ كَمَثَلِ الَّذِي يَأْكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا يحيى بن يحيى، اخبرنا الليث بن سعد، ح وحدثنا قتيبة بن سعيد، - وتقاربا في اللفظ - قال حدثنا ليث، عن سعيد بن ابي سعيد المقبري، عن عياض بن، عبد الله بن سعد انه سمع ابا سعيد الخدري، يقول قام رسول الله صلى الله عليه وسلم فخطب الناس فقال ‏"‏ لا والله ما اخشى عليكم ايها الناس الا ما يخرج الله لكم من زهرة الدنيا ‏"‏ ‏.‏ فقال رجل يا رسول الله اياتي الخير بالشر فصمت رسول الله صلى الله عليه وسلم ساعة ثم قال ‏"‏ كيف قلت ‏"‏ ‏.‏ قال قلت يا رسول الله اياتي الخير بالشر فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ان الخير لا ياتي الا بخير او خير هو ان كل ما ينبت الربيع يقتل حبطا او يلم الا اكلة الخضر اكلت حتى اذا امتلات خاصرتاها استقبلت الشمس ثلطت او بالت ثم اجترت فعادت فاكلت فمن ياخذ مالا بحقه يبارك له فيه ومن ياخذ مالا بغير حقه فمثله كمثل الذي ياكل ولا يشبع ‏"‏ ‏.‏


Abu Sa'id al-Khudri reported that the Messenger of Allah (ﷺ) stood up and addressed the people thus:
O people, by Allah, I do not entertain fear about you in regard to anything else than that which Allah would bring forth for you in the form of adornment of the world. A person said: Messenger of Allah, does good produce evil? The Messenger of Allah (ﷺ) remained silent for a while and he then said: What did you say? He replied: Messenger of Allah, I said: Does good produce evil? The Messenger of Allah (ﷺ) said to him: The good does not produce but good. but among the plants the spring rain produces There some which kill with a tremour or nearly kill all but the animal which feeds on vegetation. It eats and when its flanks are distended, it faces the can. then when it has donged or urinated and chewed it returns and eats. He who accepts wealth rightly, Allah confers blessing on it for him. and he who takes wealth without any right, he is like one who eats and is not satisfied.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৩। যাকাত (كتاب الزكاة) 13. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৪১. দুনিয়ার যে চাকচিক্য প্রকাশ পাবে তাথেকে বেঁচে থাকা প্রসঙ্গে

২৩১২-(১২২/...) আবূ তহির (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি তোমাদের ব্যাপারে যে সব জিনিসের আশঙ্কা করছি এর মধ্যে অনন্য হলো পার্থিব চাকচিক্য ও শোভা সৌন্দর্য যা আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য উন্মুক্ত করবেন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! পার্থিব চাকচিক্য ও শোভা বলতে কী বুঝায়? তিনি বললেন, পার্থিব চাকচিক্য ও শোভা হলো দুনিয়ায় সম্পদের প্রাচুর্য। তারা পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! “কল্যাণ কি অকল্যাণ বয়ে আনবে। তিনি বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না, কল্যাণ তো কল্যাণই বয়ে আনে, তবে কথা হলো বসন্তকালে যে সব গাছপালা, তরুলতা ও সবুজ ঘাস জন্মায় কোন পশু সেগুলো অতিরিক্ত খেলে কলেরা হয়ে মারা যায় বা মরার নিকটবর্তী হয়। এসব তৃণভোজী পশু অতিরিক্ত খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে। অতঃপর রোদে দাঁড়িয়ে জাবর কাটে ও পেশাব করে মলমূত্র ত্যাগ করে। এরপর আবার চারণভূমিতে গিয়ে অতিরিক্ত খেতে থাকে। (এ অতি ভোজের কারণে কোন সময় পেট খারাপ হয়ে মারা যায়) এ দুনিয়ার ধন-সম্পদ তিক্ত ও সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি তা সৎ পস্থায় উপার্জন করল, সে সে পথেই থাকল। সে কতই না সাহায্য সহযোগিতার সুযোগ লাভ করে। আর যে ব্যক্তি তা অসৎ পস্থায় উপার্জন করল তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে- এক ব্যক্তি খাচ্ছে অথচ পরিতৃপ্ত হতে পারছে না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২২৯০, ইসলামীক সেন্টার ২২৯১)

باب تَخَوُّفِ مَا يَخْرُجُ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا ‏

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَخْوَفُ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ مَا يُخْرِجُ اللَّهُ لَكُمْ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا وَمَا زَهْرَةُ الدُّنْيَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ بَرَكَاتُ الأَرْضِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَهَلْ يَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ قَالَ ‏"‏ لاَ يَأْتِي الْخَيْرُ إِلاَّ بِالْخَيْرِ لاَ يَأْتِي الْخَيْرُ إِلاَّ بِالْخَيْرِ لاَ يَأْتِي الْخَيْرُ إِلاَّ بِالْخَيْرِ إِنَّ كُلَّ مَا أَنْبَتَ الرَّبِيعُ يَقْتُلُ أَوْ يُلِمُّ إِلاَّ آكِلَةَ الْخَضِرِ فَإِنَّهَا تَأْكُلُ حَتَّى إِذَا امْتَدَّتْ خَاصِرَتَاهَا اسْتَقْبَلَتِ الشَّمْسَ ثُمَّ اجْتَرَّتْ وَبَالَتْ وَثَلَطَتْ ثُمَّ عَادَتْ فَأَكَلَتْ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ فَمَنْ أَخَذَهُ بِحَقِّهِ وَوَضَعَهُ فِي حَقِّهِ فَنِعْمَ الْمَعُونَةُ هُوَ وَمَنْ أَخَذَهُ بِغَيْرِ حَقِّهِ كَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ ‏"‏ ‏.‏

حدثني ابو الطاهر، اخبرنا عبد الله بن وهب، قال اخبرني مالك بن انس، عن زيد بن اسلم، عن عطاء بن يسار، عن ابي سعيد الخدري، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اخوف ما اخاف عليكم ما يخرج الله لكم من زهرة الدنيا ‏"‏ ‏.‏ قالوا وما زهرة الدنيا يا رسول الله قال ‏"‏ بركات الارض ‏"‏ ‏.‏ قالوا يا رسول الله وهل ياتي الخير بالشر قال ‏"‏ لا ياتي الخير الا بالخير لا ياتي الخير الا بالخير لا ياتي الخير الا بالخير ان كل ما انبت الربيع يقتل او يلم الا اكلة الخضر فانها تاكل حتى اذا امتدت خاصرتاها استقبلت الشمس ثم اجترت وبالت وثلطت ثم عادت فاكلت ان هذا المال خضرة حلوة فمن اخذه بحقه ووضعه في حقه فنعم المعونة هو ومن اخذه بغير حقه كان كالذي ياكل ولا يشبع ‏"‏ ‏.‏


Abu Sa'id al-Khudri reported that the Messenger of Allah (ﷺ) had said:
The most dreadful thing I fear in your case is what Allah brings forth for you in the form of the adornment of the world. They (the Prophet's Companions) said: Messenger of Allah, what is the adornment of the world? He said: Blessings (the natural resources) of the earth. They (again) said: Messenger of Allah, does good produce evil? He said: No, only good comes out of good. No, only good comes out of good. No. only good comes out of good. All that which the spring rain helps to grow kills or is about to kill but (the animal) which feeds on vegetation. It eats and when its flanks are distended, it faces the sun, it chews the cud, it has dunged and urinated. it returns and eats. This wealth is green and sweet, and he who accepts it and applies it rightly, finds it a good help, but he who takes it wrongfully is like one who eats without being satisfied.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৩। যাকাত (كتاب الزكاة) 13. Zakat

পরিচ্ছেদঃ ৪১. দুনিয়ার যে চাকচিক্য প্রকাশ পাবে তাথেকে বেঁচে থাকা প্রসঙ্গে

২৩১৩-(১২৩/...) ’আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারের উপরে বসলেন এবং আমরা তার চারদিকে বসে পড়লাম। অতঃপর তিনি (আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে) বললেনঃ “আমার পরে তোমাদের ব্যাপারে আমি যে সব জিনিসের আশঙ্কা করছি তার মধ্যে অন্যতম হলো- পার্থিব চাকচিক্য ও শোভা সৌন্দর্য যা আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য বের করবেন। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল! কল্যাণ কি অকল্যাণ নিয়ে আসবে? বর্ণনাকারী বলেন, (লোকটির প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকলেন। এতে (উপস্থিত লোকদের মধ্যে) কেউ কেউ তাকে বলল, কী দুর্ভাগা তুমি! তুমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে কথা বলছ অথচ তিনি তোমার সাথে কথা বলছেন না। রাবী আরো বলেন, আমাদের মনে হলো, তার উপর ওয়াহী অবতীর্ণ হচ্ছে।

অতঃপর তিনি তার (মুখমণ্ডল থেকে) ঘাম মুছে জিজ্ঞেস করলেন, প্রশ্নকারী কোথায়? তিনি মনে হলো তার প্রশংসাই করলেন। তিনি বললেন, কল্যাণ মূলতঃ অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যে সব সবুজ লতাপাতা ও তৃণরাজির আবির্ভাব ঘটে এগুলো অতি ভোজনে মৃত্যু ঘটায় বা মৃত্যুর নিকটবর্তী করে দেয়। কতিপয় তৃণভোজী পশু তা খেয়ে পেট ফুলিয়ে ফেলে, অতঃপর রোদের দিকে তাকিয়ে মলমূত্র ত্যাগ করে ও পেশাব করে এবং জাবর কাটতে থাকে। অতঃপর তা চারণভূমিতে ছুটে চলে এবং বেশী করে খায় (এভাবে অতিভোজের কারণে বদহজম হয়ে মারা যায়)।

এ দুনিয়ায় ধন সম্পদ সবুজ এবং সুমিষ্ট। এ ধন কোন মুসলিমের কতই উত্তম বন্ধু যা থেকে সে নিঃস্ব, অনাথ, ইয়াতীম ও অসহায় এবং প্রবাসী পথিককে দান করে। কিন্তু যে ব্যক্তি না- হাক (হক)ভাবে এ ধন সম্পদ উপার্জন করে তার দৃষ্টাত্ত হচ্ছে কোন ব্যক্তি আহার করে অথচ তৃপ্ত হয় না। আর ঐ সম্পদ কিয়ামতের দিন তার বিরুদ্ধে সাক্ষী হয়ে দাঁড়াবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২২৯১, ইসলামীক সেন্টার ২২৯২)

باب تَخَوُّفِ مَا يَخْرُجُ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا ‏

حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هِشَامٍ، صَاحِبِ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ أَبِي مَيْمُونَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ جَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ وَجَلَسْنَا حَوْلَهُ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ مِمَّا أَخَافُ عَلَيْكُمْ بَعْدِي مَا يُفْتَحُ عَلَيْكُمْ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا وَزِينَتِهَا ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ أَوَيَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ فَسَكَتَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقِيلَ لَهُ مَا شَأْنُكَ تُكَلِّمُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ يُكَلِّمُكَ قَالَ وَرُئِينَا أَنَّهُ يُنْزَلُ عَلَيْهِ فَأَفَاقَ يَمْسَحُ عَنْهُ الرُّحَضَاءَ وَقَالَ ‏"‏ إِنَّ هَذَا السَّائِلَ - وَكَأَنَّهُ حَمِدَهُ فَقَالَ - إِنَّهُ لاَ يَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ وَإِنَّ مِمَّا يُنْبِتُ الرَّبِيعُ يَقْتُلُ أَوْ يُلِمُّ إِلاَّ آكِلَةَ الْخَضِرِ فَإِنَّهَا أَكَلَتْ حَتَّى إِذَا امْتَلأَتْ خَاصِرَتَاهَا اسْتَقْبَلَتْ عَيْنَ الشَّمْسِ فَثَلَطَتْ وَبَالَتْ ثُمَّ رَتَعَتْ وَإِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ وَنِعْمَ صَاحِبُ الْمُسْلِمِ هُوَ لِمَنْ أَعْطَى مِنْهُ الْمِسْكِينَ وَالْيَتِيمَ وَابْنَ السَّبِيلِ أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِنَّهُ مَنْ يَأْخُذُهُ بِغَيْرِ حَقِّهِ كَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ وَيَكُونُ عَلَيْهِ شَهِيدًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏

حدثني علي بن حجر، اخبرنا اسماعيل بن ابراهيم، عن هشام، صاحب الدستواىي عن يحيى بن ابي كثير، عن هلال بن ابي ميمونة، عن عطاء بن يسار، عن ابي سعيد الخدري، قال جلس رسول الله صلى الله عليه وسلم على المنبر وجلسنا حوله فقال ‏"‏ ان مما اخاف عليكم بعدي ما يفتح عليكم من زهرة الدنيا وزينتها ‏"‏ ‏.‏ فقال رجل اوياتي الخير بالشر يا رسول الله قال فسكت عنه رسول الله صلى الله عليه وسلم فقيل له ما شانك تكلم رسول الله صلى الله عليه وسلم ولا يكلمك قال ورىينا انه ينزل عليه فافاق يمسح عنه الرحضاء وقال ‏"‏ ان هذا الساىل - وكانه حمده فقال - انه لا ياتي الخير بالشر وان مما ينبت الربيع يقتل او يلم الا اكلة الخضر فانها اكلت حتى اذا امتلات خاصرتاها استقبلت عين الشمس فثلطت وبالت ثم رتعت وان هذا المال خضر حلو ونعم صاحب المسلم هو لمن اعطى منه المسكين واليتيم وابن السبيل او كما قال رسول الله صلى الله عليه وسلم وانه من ياخذه بغير حقه كان كالذي ياكل ولا يشبع ويكون عليه شهيدا يوم القيامة ‏"‏ ‏.‏


Abu Said al-Khudri reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) was sitting on the pulpit and we were sitting around him, and he said: What I am afraid of in regard to you after my death is that there would be opened for you the adornments of the world and its beauties. A person said: Messenger of Allah, does good produce evil? The Messenger of Allah (ﷺ) remained silent. And it was said to him (the man who had asked the question from the Holy Prophet): What Is the matter with you, that you speak with the Messenger of Allah (ﷺ) but he does not speak with you? We thought as if revelation was descending upon him. He regained himself and wiped the sweat from him and said: He was the inquirer (and his style of expression showed as if he praised him and then added): Verily good does not produce evil. Whatever the spring rainfall causes to grow kills or is about to kill, but that (animal) which feeds on vegetation. It eats till its flanks are filled; it faces the sun and dungs and urinates. and then returns to eat. And this Wealth is a sweet vegetation, and it is a good companion for a Muslim who gives out of it to the needy, to the orphan. to the wayfarer, or something like that as the Messenger of Allah (ﷺ) said: He who takes it without his right is like one who eats but does not feel satisfied, and it would stand witness against him on the Day of judgment.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১৩। যাকাত (كتاب الزكاة) 13. Zakat
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে