পরিচ্ছেদঃ ৬. যাকাত আদায় করতে বাধাদানকারীর অপরাধ
২১৮০-(২৪/৯৮৭) সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সোনা-রূপার অধিকারী যেসব লোক এ হাক (হক) (যাকাত) আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তার ঐ সোনা-রূপা দিয়ে তার জন্য আগুনের অনেক পাত তৈরি করা হবে, অতঃপর তা জাহান্নামের আগুনে গরম করা হবে। অতঃপর তা দিয়ে কপালদেশ ও পার্শ্বদেশ ও পিঠে দাগ দেয়া হবে। যখনই ঠাণ্ডা হয়ে আসবে পুনরায় তা উত্তপ্ত করা হবে। এরূপ করা হবে এমন একদিন যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। আর তার এরূপ শাস্তি লোকদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে। অতঃপর তাদের কেউ পথ ধরবে জান্নাতের আর জাহান্নামের দিকে।
জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! উটের (মালিকের) কী অবস্থা হবে? তিনি বললেন, যে উটের মালিক তার উটের হাক (হক) আদায় করবে না তার উটের হকগুলোর মধ্যে পানি পানের তারিখে তার দুধ দোহন করে অন্যদেরকে দান করাও একটি হাক (হক), যখন কিয়ামতের দিন আসবে তাকে এক সমতল ময়দানে উপুড় করে ফেলা হবে। অতঃপর তার উটগুলো মোটাতাজা হয়ে আসবে। এর বাচ্চাগুলোও এদের অনুসরণ করবে। এগুলো আপন আপন খুর দ্বারা তাকে পায়ে মাড়াতে থাকবে এবং মুখ দ্বারা কামড়াতে থাকবে। এভাবে যখন একটি পশু তাকে অতিক্রম করবে অপরটি অগ্রসর হবে। সারাদিন তাকে এরূপ শাস্তি দেয়া হবে। এ দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। অতঃপর বান্দাদের বিচার শেষ হবে। তাদের কেউ জান্নাতের দিকে আর কেউ জাহান্নামের দিকে পথ ধরবে।
অতঃপর জিজ্ঞেস করা হলো- হে আল্লাহর রসূল! গরু-ছাগলের (মালিকদের) কী অবস্থা হবে? উত্তরে তিনি বললেন, যেসব গরু ছাগলের মালিক এর হাক (হক) আদায় করবে না কিয়ামতের দিন তাকে এক সমতল ভূমিতে উপুড় করে ফেলে রাখা হবে। আর তার সে সব গরু ছাগল তাকে শিং দিয়ে আঘাত করতে থাকবে এবং খুর দিয়ে মাড়াতে থাকবে। সেদিন তার একটি গরু বা ছাগলের শিং বাকা বা শিং ভাঙ্গা থাকবে না এবং তাকে মাড়ানোর ব্যাপারে একটিও অনুপস্থিত দেখতে পাবে না। যখন এদের প্রথমটি অতিক্রম করবে দ্বিতীয়টা এর পিছে পিছে এসে যাবে। সারাদিন তাকে এভাবে পিষা হবে। এ দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। অতঃপর বান্দাদের বিচার শেষ হবে এবং তাদের কেউ জান্নাতের দিকে আর কেউ জাহান্নামের দিকে পথ ধরবে।
অতঃপর জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! ঘোড়ার (মালিকের) কী অবস্থা হবে? তিনি (উত্তরে) বললেন, ঘোড়া তিন প্রকারের- (ক) যে ঘোড়া তার মালিকের জন্য গুনাহের কারণ হয়, (খ) যে ঘোড়া তার মালিকের পক্ষে আবরণ স্বরূপ এবং (গ) যে ঘোড়া মালিকের জন্য সাওয়াবের কারণ স্বরূপ। বস্তুতঃ সে ঘোড়াই তার মালিকের জন্য বোঝা বা গুনাহের কারণ হবে, যা সে লোক দেখানোর জন্য অহংকার প্রকাশের জন্য এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে শত্রুতা করার উদ্দেশে পোষে। আর যে ব্যক্তি তার ঘোড়াকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের জন্য পোষে এবং এর পিঠে সওয়ার হওয়া এবং খাবার ও ঘাস দেয়ার ব্যাপারে আল্লাহর হাক (হক) ভুলে না, এ ঘোড়া তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখার জন্য আবরণ হবে।
আর যে ব্যক্তি মুসলিমদের সাহায্যের জন্য আল্লাহর রাস্তায় ঘোড়া পোষে এবং কোন চারণভূমি বা ঘাসের বাগানে লালন পালন করতে দেয় তার এ ঘোড়া তার জন্য সাওয়াবের কারণ হবে। তার ঘোড়া চারণভূমি অথবা বাগানে যা কিছু খাবে তার সমপরিমাণ তার জন্য সাওয়াব লেখা হবে। এমনকি এর গোবর ও প্রস্রাবে সাওয়াব লেখা হবে। আর যদি তা রশি ছিড়ে একটি বা দুটি মাঠেও বিচরণ করে তাহলে তার পদচিহ্ন ও গোবরের সমপরিমাণ নেকী তার জন্য লেখা হবে। এছাড়া মালিক যদি কোন নদীর তীরে নিয়ে যায়- আর সে নদী থেকে পানি পান করে অথচ তাকে পানি পান করানোর ইচ্ছা মালিকের ছিল না তথাপি পানির পরিমাণ তার ’আমলনামায় সাওয়াব লেখা হবে।
অতঃপর জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! গাধা সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, গাধা সম্পর্কে কোন আয়াত আমার কাছে অবতীর্ণ হয়নি। তবে ব্যাপক অর্থবোধক এ আয়াতটি আমার উপর অবতীর্ণ হয়েছে, যে ব্যক্তি অণু পরিমাণ একটি ভাল কাজ করবে সে তার শুভ প্রতিফল পাবে আর যে এক অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে সে তার মন্দ ফল ভোগ করবে (অর্থাৎ আলোচ্য আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, গাধার যাকাত দিলে তারও সাওয়াব পাওয়া যাবে।) (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২১৫৯, ইসলামীক সেন্টার ২১৬১)
باب إِثْمِ مَانِعِ الزَّكَاةِ
وَحَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، - يَعْنِي ابْنَ مَيْسَرَةَ الصَّنْعَانِيَّ - عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، أَنَّ أَبَا صَالِحٍ، ذَكْوَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ صَاحِبِ ذَهَبٍ وَلاَ فِضَّةٍ لاَ يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ صُفِّحَتْ لَهُ صَفَائِحَ مِنْ نَارٍ فَأُحْمِيَ عَلَيْهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَيُكْوَى بِهَا جَنْبُهُ وَجَبِينُهُ وَظَهْرُهُ كُلَّمَا بَرَدَتْ أُعِيدَتْ لَهُ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالإِبِلُ قَالَ " وَلاَ صَاحِبُ إِبِلٍ لاَ يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا وَمِنْ حَقِّهَا حَلَبُهَا يَوْمَ وِرْدِهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ بُطِحَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ أَوْفَرَ مَا كَانَتْ لاَ يَفْقِدُ مِنَهَا فَصِيلاً وَاحِدًا تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا وَتَعَضُّهُ بِأَفْوَاهِهَا كُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ أُولاَهَا رُدَّ عَلَيْهِ أُخْرَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْبَقَرُ وَالْغَنَمُ قَالَ " وَلاَ صَاحِبُ بَقَرٍ وَلاَ غَنَمٍ لاَ يُؤَدِّي مِنْهَا حَقَّهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ بُطِحَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ لاَ يَفْقِدُ مِنْهَا شَيْئًا لَيْسَ فِيهَا عَقْصَاءُ وَلاَ جَلْحَاءُ وَلاَ عَضْبَاءُ تَنْطِحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِأَظْلاَفِهَا كُلَّمَا مَرَّ عَلَيْهِ أُولاَهَا رُدَّ عَلَيْهِ أُخْرَاهَا فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيُرَى سَبِيلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْخَيْلُ قَالَ " الْخَيْلُ ثَلاَثَةٌ هِيَ لِرَجُلٍ وِزْرٌ وَهِيَ لِرَجُلٍ سِتْرٌ وَهِيَ لِرَجُلٍ أَجْرٌ فَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ وِزْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا رِيَاءً وَفَخْرًا وَنِوَاءً عَلَى أَهْلِ الإِسْلاَمِ فَهِيَ لَهُ وِزْرٌ وَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ سِتْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ لَمْ يَنْسَ حَقَّ اللَّهِ فِي ظُهُورِهَا وَلاَ رِقَابِهَا فَهِيَ لَهُ سِتْرٌ وَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ لأَهْلِ الإِسْلاَمِ فِي مَرْجٍ وَرَوْضَةٍ فَمَا أَكَلَتْ مِنْ ذَلِكَ الْمَرْجِ أَوِ الرَّوْضَةِ مِنْ شَىْءٍ إِلاَّ كُتِبَ لَهُ عَدَدَ مَا أَكَلَتْ حَسَنَاتٌ وَكُتِبَ لَهُ عَدَدَ أَرْوَاثِهَا وَأَبْوَالِهَا حَسَنَاتٌ وَلاَ تَقْطَعُ طِوَلَهَا فَاسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ عَدَدَ آثَارِهَا وَأَرْوَاثِهَا حَسَنَاتٍ وَلاَ مَرَّ بِهَا صَاحِبُهَا عَلَى نَهْرٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ وَلاَ يُرِيدُ أَنْ يَسْقِيَهَا إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ عَدَدَ مَا شَرِبَتْ حَسَنَاتٍ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَالْحُمُرُ قَالَ " مَا أُنْزِلَ عَلَىَّ فِي الْحُمُرِ شَىْءٌ إِلاَّ هَذِهِ الآيَةُ الْفَاذَّةُ الْجَامِعَةُ ( فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ * وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ) " .
Abu Huraira reported Allah's Messenger (way peace be upon him) as saying:
If any owner of gold or silver does not pay what is due on him, when the Day of Resurrection would come, plates of fire would be beaten out for him; these would then be heated in the fire of Hell and his sides, his forehead and his back would be cauterized with them. Whenever these cool down, (the process is) repeated during a day the extent of which would be fifty thousand years, until judgment is pronounced among servants, and he sees whether his path is to take him to Paradise or to Hell. It was said: Messenger of Allah, what about the camel? He (the Holy Prophet) said: If any owner of the camel does not pay what is due on him, and of his due in that (camel) is (also) to milk it on the day when it comes down to water. When the Day of Resurrection comes a soft sandy plain would be set for him, as extensive as possible, (he will find) that not a single young one is missing, and they will trample him with their hoofs and bite him with their mouths. As often as the first of them passes him, the last of them would be made to return during a day the extent of which would be fifty thousand years, until judgment is pronounced among servants and he sees whether his path is to take him to Paradise or to Hell. It was (again) said: Messenger of Allah, what about cows (cattle) and sheep? He said: It any owner of the cattle and sheep does not pay what is due on them, when the Day of Resurrection comes a soft sandy plain would be spread for them, he will find none of them missing, with twisted horns, without horns or with a broken horn, and they will gore him with their horns and trample him with their hoofs. As often as the first of them passes him the last of them would be made to return to him during a day the extent of which would be fifty thousand years, until judgment would be pronounced among the servants. And he would be shown his path-path leading him to Paradise or to Hell. It was said: Messenger of Allah, what about the horse? Upon this he said: The horses are of three types. To one than (these are) a burden, and to another man (these are) a covering, and still to another man (these are) a source of reward. The one for whom these are a burden is the person who rears them in order to show off, for vainglory and for opposing the Muslims; so they are a burden for him. The one for whom these are a covering is the person who rears them for the sake of Allah but does not forget the right of Allah concerning their backs and their necks, and so they are a covering for him. As for those which bring reward (these refer to) the person who rears them for the sake of Allah to be used for Muslims and he puts them in meadow and field. And whatever thing do these eat from that meadow and field would be recorded on his behalf as good deeds, as would also the amount of their dung and urine. And these would not break their halter and prance a course or two without having got recorded the amount of their hoof marks and their dung as a good deed on his behalf (on behalf of their owner). And their master does not bring them past a river from which they drink, though he did not intend to quench their thirst, but Allah would record for him the amount of what they drink on his behalf as deeds. It was said: Messenger of Allah, what about the asses?, Upon this he said: Nothing has been revealed to me in regard to the asses (in particular) except this one verse of a comprehensive nature:" He who does an atom's weight of good will see it, and he who does an atom's weight of evil will see it" (xcix. 7)
পরিচ্ছেদঃ ৬. যাকাত আদায় করতে বাধাদানকারীর অপরাধ
২১৮১-(২৫/...) ইউনুস ইবনু আবদুল আ’লা আস্ সদাফী (রহঃ) ..... যায়দ ইবনু আসলাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি এ সূত্রে হাফস্ ইবনু মায়সারাহ কর্তৃক বর্ণিত (উপরের) হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। মায়সারার হাদীসের সর্বশেষ মর্মানু্যায়ী তিনি বলেছেন, مَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ لاَ يُؤَدِّي حَقَّهَا কিন্তু তিনি مِنْهَا حَقَّهَا বলেননি এবং এ হাদীসে لاَ يَفْقِدُ مِنْهَا فَصِيلاً وَاحِدًا উল্লেখ করেছেন এবং يُكْوَى بِهَا جَنْبَاهُ وَجَبْهَتُهُ وَظَهْرُهُ বলেছেন। এতে আরো উল্লেখ আছে “উটের একটি দুধের বাচ্চাও যাকাতের হিসাব থেকে বাদ যাবে না।" এ সূত্রে আরো আছে, সঞ্চিত সোনা-রূপা গরম করে তা দিয়ে তার উভয় পার্শ্বদেশ, কপাল ও পিঠে দাগ দেয়া হবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২১৬০, ইসলামীক সেন্টার ২১৬২)
باب إِثْمِ مَانِعِ الزَّكَاةِ
وَحَدَّثَنِي يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّدَفِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي هِشَامُ، بْنُ سَعْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمَعْنَى حَدِيثِ حَفْصِ بْنِ مَيْسَرَةَ إِلَى آخِرِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ " مَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ لاَ يُؤَدِّي حَقَّهَا " . وَلَمْ يَقُلْ " مِنْهَا حَقَّهَا " . وَذَكَرَ فِيهِ " لاَ يَفْقِدُ مِنْهَا فَصِيلاً وَاحِدًا " . وَقَالَ " يُكْوَى بِهَا جَنْبَاهُ وَجَبْهَتُهُ وَظَهْرُهُ " .
This hadith has been narrated by Zaid b. Aslam with the same chain of transmitters except that he said:
" None among the owners of camels who does not pay their due," but did not say" their due (Zakat) out of them." and he make a mention:" He did not miss a single young one out of them." and he said:" Their sides. their foreheads and their backs would be cauterised."
পরিচ্ছেদঃ ৬. যাকাত আদায় করতে বাধাদানকারীর অপরাধ
২১৮২-(২৬/...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল মালিক আল উমাবী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে সব ধনাঢ্য ব্যক্তি নিজেদের ধন-সম্পদের যাকাত আদায় করে না, কিয়ামতের দিন তাদের এ সম্পদ জাহান্নামের আগুনে গরম করে পাত তৈরি করা হবে এবং তা দিয়ে তাদের দেহের উভয় পার্শ্ব ও ললাটে দাগ দেয়া হবে। তার শাস্তি বান্দাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে। এ সময়কার একটি দিনের পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। অতঃপর কেউ তার পথ ধরবে জান্নাতের দিকে আর কেউ জাহান্নামের দিকে।
আর যে সব উটের মালিকেরা যাকাত আদায় করবে না তাদেরকে একটি মাঠে উপুড় করে শুইয়ে রাখা হবে এবং ঐ সব উট স্থূলদেহ নিয়ে আসবে যেমনটি তারা পৃথিবীতে ছিল এবং এগুলো তাদের পা দিয়ে মাড়াতে মাড়াতে অগ্রসর হবে। এভাবে যখনই সে দলটি অতিক্রম করবে পুনরায় এর প্রথম দল এসে পৌছবে। এগুলো এভাবে তাদেরকে মাড়াতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদের বিচার শেষ না করবেন। আর এ কাজ এমন একদিন করা হবে, যা পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান হবে। অতঃপর কেউ তার পথ ধরবে- হয় জান্নাতের দিকে না হয় জাহান্নামের দিকে।
আর যে সব ছাগলের মালিকরা তার যাকাত আদায় করবে না, তাদেরকে একটি সমতল মাঠে উপুড় করে ফেলে রাখা হবে এবং তার সে ছাগলগুলো যেমনটি পৃথিবীতে ছিল তার চেয়ে মোটা তাজা অবস্থায় এসে তাদের খুর দিয়ে দলিত করতে এবং শিং দিয়ে আঘাত করতে করতে অগ্রসর হবে। অথচ সেদিন কোন একটি শিং বাকা, শিংহীন বা শিং ভাঙ্গা হবে না। যখন এদের শেষ দল অতিক্রম করবে পুনরায় প্রথম দল এসে পৌছবে। আর এভাবে আযাব চলতে থাকবে যতক্ষণ না আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদের বিচার সমাপ্ত করেন। এ শাস্তি এমন দিনে হবে যার পরিমাণ হবে তোমাদের হিসাবানুসারে পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। অতঃপর কেউ তার পথ ধরবে জান্নাতের দিকে আর কেউ জাহান্নামের দিকে।
বর্ণনাকারী সুহায়ল বলেন, তিনি গরুর কথা বলেছেন কিনা তা আমি জানি না। এবার সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! ঘোড়া সম্পর্কে কী হবে? উত্তরে তিনি বললেন, الْخَيْلُ فِي نَوَاصِيهَا ঘোড়ার ললাটে কল্যাণ রয়েছে; অথবা বললেন,الْخَيْلُ مَعْقُودٌ فِي نَوَاصِيهَا করা হয়েছে। বর্ণনাকারী সুহায়ল বলেন, আমার সন্দেহ হচ্ছে তিনি হয়ত বলেছেনঃالْخَيْرُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ঘোড়ার মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত কল্যাণ থাকবে। অতঃপর তিনি বলেন, ঘোড়া তিন প্রকার। ঘোড়া কারো জন্য গুনাহের কারণ, কারো জন্য আবরণ, আবার কারো জন্য সাওয়াবের বিষয়।
ঘোড়া সাওয়াবের কারণ হবে সে ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহর পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে পোষে এবং এজন্য প্রস্তুত রাখে। এ ঘোড়া যা কিছু খাবে বা পান করবে তার মালিকের জন্য সাওয়াবের কারণ হবে। যদি সে এটাকে কোন মাঠে চরায় তাহলে এ ঘোড়া যা খাবে তা তার আমলনামায় সাওয়াব হিসেবে লেখা হবে। আর যদি কোন জলাশয়ে এ ঘোড়া পানি পান করে তবে এর প্রতি ফোটা পানির বিনিময়ে তার জন্য সাওয়াব লেখা হবে। এমনকি এর প্রস্রাব ও পায়খানার পরিবর্তেও মালিক সাওয়াব পাবে বলে উল্লেখ করেছেন। আর যদি এটি দু’ একটি টিলা অতিক্রম করে তাহলে প্রত্যেক কদম অতিক্রমের বিনিময়েও সাওয়াব লেখা হবে। আর সেই ঘোড়া মালিকের জন্য আবরণ স্বরূপ যা সে অপরের উপকার করার জন্য এবং নিজের সৌন্দর্যের জন্য লালন পালন করেছে এবং সে সকল সময়ই এর পেট ও পিঠের হক আদায় করেছে (অর্থাৎ ঘোড়ার পানাহারের প্রতি যত্নবান ছিল এবং বন্ধু ও গরীবদেরকে মাঝে মাঝে চড়তে ও ব্যবহার করতে দিয়েছে)। আর যে ঘোড়া তার মালিকের জন্য গুনাহের কারণ হবে তা হলো- যে একে লোক দেখানো, গর্ব এবং অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থের জন্য লালন পালন করেছে।
অতঃপর সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! গাধা সম্পর্কে কী হবে? উত্তরে তিনি বললেন, গাধা সম্পর্কে আমার কাছে কোন আয়াত নাযিল হয়নি। তবে এ অতুলনীয় ও ব্যাপক অর্থবোধক আয়াতটি নাযিল হয়েছে, "যে ব্যক্তি অণু পরিমাণ ভাল কাজ করবে সে তার প্রতিদান পাবে, আর যে ব্যক্তি এক অণু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে সেও তার প্রতিফল ভোগ করবে"— (সূরা যিলযাল ৯৯ঃ ৭-৮)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২১৬১, ইসলামীক সেন্টার ২১৬৩)
باب إِثْمِ مَانِعِ الزَّكَاةِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ، بْنُ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ صَاحِبِ كَنْزٍ لاَ يُؤَدِّي زَكَاتَهُ إِلاَّ أُحْمِيَ عَلَيْهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَيُجْعَلُ صَفَائِحَ فَيُكْوَى بِهَا جَنْبَاهُ وَجَبِينُهُ حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَ عِبَادِهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ ثُمَّ يُرَى سَبِيلَهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ وَمَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ لاَ يُؤَدِّي زَكَاتَهَا إِلاَّ بُطِحَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ كَأَوْفَرِ مَا كَانَتْ تَسْتَنُّ عَلَيْهِ كُلَّمَا مَضَى عَلَيْهِ أُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ أُولاَهَا حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَ عِبَادِهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ ثُمَّ يُرَى سَبِيلَهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ وَمَا مِنْ صَاحِبِ غَنَمٍ لاَ يُؤَدِّي زَكَاتَهَا إِلاَّ بُطِحَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ كَأَوْفَرِ مَا كَانَتْ فَتَطَؤُهُ بِأَظْلاَفِهَا وَتَنْطِحُهُ بِقُرُونِهَا لَيْسَ فِيهَا عَقْصَاءُ وَلاَ جَلْحَاءُ كُلَّمَا مَضَى عَلَيْهِ أُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ أُولاَهَا حَتَّى يَحْكُمَ اللَّهُ بَيْنَ عِبَادِهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ ثُمَّ يُرَى سَبِيلَهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ " . قَالَ سُهَيْلٌ فَلاَ أَدْرِي أَذَكَرَ الْبَقَرَ أَمْ لاَ . قَالُوا فَالْخَيْلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " الْخَيْلُ فِي نَوَاصِيهَا - أَوْ قَالَ - الْخَيْلُ مَعْقُودٌ فِي نَوَاصِيهَا - قَالَ سُهَيْلٌ أَنَا أَشُكُّ - الْخَيْرُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ الْخَيْلُ ثَلاَثَةٌ فَهْىَ لِرَجُلٍ أَجْرٌ وَلِرَجُلٍ سِتْرٌ وَلِرَجُلٍ وِزْرٌ فَأَمَّا الَّتِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ فَالرَّجُلُ يَتَّخِذُهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَيُعِدُّهَا لَهُ فَلاَ تُغَيِّبُ شَيْئًا فِي بُطُونِهَا إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ أَجْرًا وَلَوْ رَعَاهَا فِي مَرْجٍ مَا أَكَلَتْ مِنْ شَىْءٍ إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِهَا أَجْرًا وَلَوْ سَقَاهَا مِنْ نَهْرٍ كَانَ لَهُ بِكُلِّ قَطْرَةٍ تُغَيِّبُهَا فِي بُطُونِهَا أَجْرٌ - حَتَّى ذَكَرَ الأَجْرَ فِي أَبْوَالِهَا وَأَرْوَاثِهَا - وَلَوِ اسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ كُتِبَ لَهُ بِكُلِّ خَطْوَةٍ تَخْطُوهَا أَجْرٌ وَأَمَّا الَّذِي هِيَ لَهُ سِتْرٌ فَالرَّجُلُ يَتَّخِذُهَا تَكَرُّمًا وَتَجَمُّلاً وَلاَ يَنْسَى حَقَّ ظُهُورِهَا وَبُطُونِهَا فِي عُسْرِهَا وَيُسْرِهَا وَأَمَّا الَّذِي عَلَيْهِ وِزْرٌ فَالَّذِي يَتَّخِذُهَا أَشَرًا وَبَطَرًا وَبَذَخًا وَرِيَاءَ النَّاسِ فَذَاكَ الَّذِي هِيَ عَلَيْهِ وِزْرٌ " . قَالُوا فَالْحُمُرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " مَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَىَّ فِيهَا شَيْئًا إِلاَّ هَذِهِ الآيَةَ الْجَامِعَةَ الْفَاذَّةَ ( فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ * وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ) " .
Abu Huraira reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
No owner of the treasure who does not pay Zakat (would be spared) but (his hoards) would be heated in the Fire of Hell and these would be made into plates and with these his sides, his forehead would be cauterised till Allah would pronounce judgment among His servants during a day, the extent of which would be fifty thousand years. He would then see his path, leading either to Paradise or to Hell. And no owner of the camels who does not pay Zakat (would be spared) but a soft sandy plain would be set for him and they (the camels) would be made to pass over him till the last of them would be made to return till Allah would pronounce judgment among His servants during a day the extent of which would be fifty thousand years. He would then see his path leading him to Paradise or leading him to Hell. And no owner of the (cattle and) goats who does not pay Zakat (would be spared) but a soft sandy plain would be set for him, he would find none of them missing, with twisted horns, without horns, or with broken horns, and they will gore him with their horns and trample him with their hoofs and they would be made to pass over him till the last of them would be made to return till Allah would pronounce judgment among His servants, during a day the extent of which would be fifty thousand years, and he would see the paths leading to Paradise or to Hell. Suhail said: I do not know whether he made mention of the cows. They said: Messenger of Allah (ﷺ), what about the horses? He said: The horses have goodness in their foreheads (or he said) or goodness is ingrained in the foreheads of the horses (Suhail said: I am in doubt as to what was actually said) up till the Day of judgement. The horses are of three kinds. They are a source of reward to a person, they are a covering to a person, and they are a burden to a person. As for those which bring reward is that a person would get reward who rears them for the sake of Allah and trains them for Him, and nothing disappears in their stomachs but Allah would record for him a good deed. And if they were to graze in the meadow, they would eat nothing but Allah would record for him a reward. And if they were to drink water from the canal, with every drop that, would disappear in their stomachs there would be reward (for the owner). He went on describing till a reward was mentioned for their urine and dung. And if they pranced a course or two, there would be recorded a reward for every pace that they covered. As for one for whom they are a covering, he is the man who rears them for honour and dignity but does not forget the right of their backs and their stomachs, in plenty and adversity, As regards one for whom they are a burden, he is that who rears them for vainglory and showing off to the people; for him they are, the burden. They said: Messenger of Allah, what about asses? He said: Allah has not revealed to me anything in regards to it except this one comprehensive verse:" He who does an atom's weight of good will see it, and he who does an atom's weight of evil will see it" (xcix. 7).
পরিচ্ছেদঃ ৬. যাকাত আদায় করতে বাধাদানকারীর অপরাধ
২১৮৩-(.../...) কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... সুহায়ল (রাযিঃ) থেকে এ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২১৬২, ইসলামীক সেন্টার ২১৬৪)
باب إِثْمِ مَانِعِ الزَّكَاةِ
وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي الدَّرَاوَرْدِيَّ - عَنْ سُهَيْلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ
(see previous Hadith)
পরিচ্ছেদঃ ৬. যাকাত আদায় করতে বাধাদানকারীর অপরাধ
২১৮৪-(.../...) মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু বাযী (রহঃ) ...... সুহায়ল ইবনু আবূ সালিহ (রহঃ) থেকে এ সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। তবে তিনি عَقْصَاءُ এর স্থলে عَضْبَاءُ বলেছেন এবং ললাটে দাগ দেয়ার কথা উল্লেখ করা ছাড়া কেবল “পার্শ্ব এবং পার্শ্ব দাগ দেয়া হবে” কথাটি উল্লেখ করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২১৬৩, ইসলামীক সেন্টার ২১৬৫)
باب إِثْمِ مَانِعِ الزَّكَاةِ
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُهَيْلُ بْنُ أَبِي صَالِحٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ بَدَلَ عَقْصَاءُ عَضْبَاءُ وَقَالَ " فَيُكْوَى بِهَا جَنْبُهُ وَظَهْرُهُ " . وَلَمْ يَذْكُرْ جَبِينُهُ
This hadith has been narrated by Suhail b. Abu Salih with the same chain of transmitters, and he said he substituted the word aqsa' with 'adba' and said:
" his side and his back," but he made no mention of his forehead.
পরিচ্ছেদঃ ৬. যাকাত আদায় করতে বাধাদানকারীর অপরাধ
২১৮৫-(.../...) হারূন ইবনু সাঈদ আল আয়লী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "যখন কোন ব্যক্তি তার আল্লাহর হাক (হক) অথবা তার উটের সাদাকা (যাকাত) আদায় করবেন না ..." অবশিষ্ট বর্ণনা সুহায়ল থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ২১৬৪, ইসলামীক সেন্টার ২১৬৬)
باب إِثْمِ مَانِعِ الزَّكَاةِ
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ بُكَيْرًا، حَدَّثَهُ عَنْ ذَكْوَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " إِذَا لَمْ يُؤَدِّ الْمَرْءُ حَقَّ اللَّهِ أَوِ الصَّدَقَةَ فِي إِبِلِهِ " . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ .
This hadith has been narrated by Abu Huraira through another chain of transmitters:
The Messenger of Allah (ﷺ) said:" When a person does not pay what is due to Allah or Sadaqa of his camels...." The rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ ৬. যাকাত আদায় করতে বাধাদানকারীর অপরাধ
২১৮৬-(২৭/৯৮৮) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাযিঃ) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ উটের যে কোন মালিক তার হক (যাকাত) আদায় করবে না, কিয়ামতের দিন সে উপস্থিত হবে এবং উটগুলোও কয়েকগুণ বড় হয়ে আসবে। অতঃপর তাকে এক সমতল মাঠে উপুড় করে ফেলা হবে। এসব পশু নিজ নিজ পা ও খুর দিয়ে তাকে পদদলিত করতে থাকবে। আর যে সব গরুর মালিক এর হক (যাকাত) আদায় করবে না, কিয়ামতের দিন ঐ গরুগুলো অনেক মোটা তাজা হয়ে আসবে। তাকে এক সমতল মাঠে ফেলে এগুলো তাকে শিং দিয়ে আঘাত করবে এবং পা দিয়ে মাড়াবে। আর যে সব ছাগলের মালিক এর হাক (হক) আদায় করবে না কিয়ামতের দিন এগুলো অনেক অনেকগুণ বড় দেহ নিয়ে এসে তাকে এক সমতল ময়দানে ফেলে শিং মারতে থাকবে এবং পা দিয়ে মারতে থাকবে আর এগুলোর কোন একটিও শিংহীন বা শিং ভাঙ্গা হবে না। যে সব ধনাগারের মালিক এর হক আদায় করবে না কিয়ামতের দিন তার গচ্ছিত সম্পদ একটি টাক মাথার বিষধর অজগর সাপ হয়ে মুখ হা করে তার পিছু ধাওয়া করবে।
মালিক পালাবার জন্য দৌড়াতে থাকবে আর পিছন থেকে ঐ সাপ তাকে ডেকে ডেকে বলতে থাকবে তোমার গচ্ছিত সম্পদ নিয়ে যাও। কারণ এগুলো আমার প্রয়োজন নেই। অতঃপর যখন সে (মালিক) দেখবে এ সাপ তাকে ছাড়ছে না, তখন সে এর মুখে নিজের হাত ঢুকিয়ে দিবে। সাপ তার হাত উটের মত চিবাতে থাকবে। যুবায়র (রাযিঃ) বলেন, আমি উবায়দুল্লাহ ইবনু উমায়রকেও এই একই কথা বলতে শুনেছি। অতঃপর আমরা জাবির ইবনু আবদুল্লাহকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনিও উবায়দ বিন উমায়রের অনুরূপ কথা বললেন। আবূ যুবায়র বলেন, আমি উবায়দ ইবনু উমায়রকে বলতে শুনেছি- এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ’হে আল্লাহর রসূল! উটের হাক (হক) কী? তিনি বললেনঃ পানির কাছে বসে দুধ দোহন করা, তার পানির বালতি ধার দেয়া, আর প্রয়োজনের জন্য উট চাইলে তাও ধার দেয়া, এর বীর্য (বীজ) দেয়া এবং আল্লাহর পথে এর পিঠে অপর লোকদেরকে (জিহাদের জন্য) আরোহণ করতে দেয়া। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২১৬৫, ইসলামীক সেন্টার ২১৬৭)
باب إِثْمِ مَانِعِ الزَّكَاةِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ، عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيَّ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ لاَ يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلاَّ جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرَ مَا كَانَتْ قَطُّ وَقَعَدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَسْتَنُّ عَلَيْهِ بِقَوَائِمِهَا وَأَخْفَافِهَا وَلاَ صَاحِبِ بَقَرٍ لاَ يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلاَّ جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرَ مَا كَانَتْ وَقَعَدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَنْطِحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِقَوَائِمِهَا وَلاَ صَاحِبِ غَنَمٍ لاَ يَفْعَلُ فِيهَا حَقَّهَا إِلاَّ جَاءَتْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَكْثَرَ مَا كَانَتْ وَقَعَدَ لَهَا بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَنْطِحُهُ بِقُرُونِهَا وَتَطَؤُهُ بِأَظْلاَفِهَا لَيْسَ فِيهَا جَمَّاءُ وَلاَ مُنْكَسِرٌ قَرْنُهَا وَلاَ صَاحِبِ كَنْزٍ لاَ يَفْعَلُ فِيهِ حَقَّهُ إِلاَّ جَاءَ كَنْزُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ يَتْبَعُهُ فَاتِحًا فَاهُ فَإِذَا أَتَاهُ فَرَّ مِنْهُ فَيُنَادِيهِ خُذْ كَنْزَكَ الَّذِي خَبَأْتَهُ فَأَنَا عَنْهُ غَنِيٌّ فَإِذَا رَأَى أَنْ لاَ بُدَّ مِنْهُ سَلَكَ يَدَهُ فِي فِيهِ فَيَقْضَمُهَا قَضْمَ الْفَحْلِ " . قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ هَذَا الْقَوْلَ ثُمَّ سَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ مِثْلَ قَوْلِ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ . وَقَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا حَقُّ الإِبِلِ قَالَ " حَلَبُهَا عَلَى الْمَاءِ وَإِعَارَةُ دَلْوِهَا وَإِعَارَةُ فَحْلِهَا وَمَنِيحَتُهَا وَحَمْلٌ عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ " .
Jabir b. 'Abdullah al-Ansari reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
The owner of a camel who does not pay what is due on it (would be punished in this way) that on the Day of Resurrection many more (along with his camel) would come and the owner would be made to sit on a soft sandy ground and they would trample him with their feet and hooves. And no owner of the cattle who does not pay what is due on them (would be spared the punishment) but on the Day of Resurrection, many more would come and he (the owner) would be made to sit on the soft sandy ground and would be gored by their horns and trampled under their feet. And no owner of the goats and sheep who does not pay what is due on them (would be spared of punishment) but many more would come on the Day of Resurrection and he (the owner) would be made to sit on a soft sandy ground and they would gore him with their horns and trample him under their hooves. And there would be more (among this flock of sheep and goat) without horns or with broken horns. And no owner of the treasure who does not pay its due but his treasure would come on the Day of Resurrection like a bald snake and would pursue him with its mouth open, and when it would come near he would run away from it, and he would be called thus:" Take your treasure which you concealed, for I do not need it." When he would find no way out he would put his hand in its mouth and it would gnaw it like a he-camel. Abu Zubair said: We heard Ubaid b. Umair saying this. We then asked Jabir b. 'Abdullah about this. And he also said like Ubaid b. Umair, Abu Zubair said: I heard 'Ubaid b. 'Umair saying: A man said: Messenger of Allah, what is due on camels? He said: Milking them near water, and lending of bucket (used for drawing water from it), or lending its male for mating with a she-camel and providing it as a ride for the sake of Allah.
পরিচ্ছেদঃ ৬. যাকাত আদায় করতে বাধাদানকারীর অপরাধ
২১৮৭-(২৮/...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ যে সব উট, গরু ও ছাগলের মালিক এর হক (হক) আদায় করবে না কিয়ামতের দিন তাকে এক সমতল মাঠে উপুড় করে ফেলে রাখা হবে; অতঃপর খুর বিশিষ্ট জন্তু তাকে খুর দিয়ে দলিত মথিত করবে এবং শিং বিশিষ্ট জন্তু তাকে শিং দিয়ে আঘাত করবে। আর সে দিন এর কোন একটি জন্তুই শিং বিহীন বা শিং ভাঙ্গা হবে না। আমরা (সাহাবীগণ) বললাম, হে আল্লাহর রসূল! এদের হাক (হক) কী? তিনি বললেন এদের নরগুলো (মাদীগুলোর জন্য) বীর্য গ্রহণের জন্য দেয়া, পানি পানের জন্য বালতি চাইলে দেয়া, দুধ পান করতে চাইলে পান করানো, পানি পান করার সময় দুধ দোহন করা এবং গরীব মিসকীনকে দেয়া, আর আল্লাহর পথে পিঠে অপরকে আরোহণ করানো এবং যোদ্ধা বহনের জন্য চাইলে দেয়া।
আর যে সব সম্পদের মালিক তার মালের যাকাত আদায় করবে না, কিয়ামতের দিন তার এ মাল সম্পদকে একটি টাক পড়া বিষধর অজগর সাপে রূপান্তরিত করা হবে এবং সে তার মালিকের পিছু ধাওয়া করবে। মালিক পালানোর উদ্দেশে যেখানে যাবে এটাও সেখানে গিয়ে উপস্থিত হবে। তাকে বলা হবে, এ হলো তোমার সে সম্পদ যাতে তুমি কৃপণতার আশ্রয় নিয়েছিলে এবং যাকাত দেয়া থেকে বিরত ছিলে। অতঃপর যখন সে দেখবে যে সাপের কবল থেকে আর পালানোর কোন উপায় নেই তখন সে তার (সাপের) মুখে হাত ঢুকিয়ে দিবে এবং সাপ তার হাত উটের মত চিবাতে থাকবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২১৬৬, ইসলামীক সেন্টার ২১৬৮)
باب إِثْمِ مَانِعِ الزَّكَاةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا مِنْ صَاحِبِ إِبِلٍ وَلاَ بَقَرٍ وَلاَ غَنَمٍ لاَ يُؤَدِّي حَقَّهَا إِلاَّ أُقْعِدَ لَهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقَاعٍ قَرْقَرٍ تَطَؤُهُ ذَاتُ الظِّلْفِ بِظِلْفِهَا وَتَنْطِحُهُ ذَاتُ الْقَرْنِ بِقَرْنِهَا لَيْسَ فِيهَا يَوْمَئِذٍ جَمَّاءُ وَلاَ مَكْسُورَةُ الْقَرْنِ " . قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا حَقُّهَا قَالَ " إِطْرَاقُ فَحْلِهَا وَإِعَارَةُ دَلْوِهَا وَمَنِيحَتُهَا وَحَلَبُهَا عَلَى الْمَاءِ وَحَمْلٌ عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلاَ مِنْ صَاحِبِ مَالٍ لاَ يُؤَدِّي زَكَاتَهُ إِلاَّ تَحَوَّلَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُجَاعًا أَقْرَعَ يَتْبَعُ صَاحِبَهُ حَيْثُمَا ذَهَبَ وَهُوَ يَفِرُّ مِنْهُ وَيُقَالُ هَذَا مَالُكَ الَّذِي كُنْتَ تَبْخَلُ بِهِ فَإِذَا رَأَى أَنَّهُ لاَ بُدَّ مِنْهُ أَدْخَلَ يَدَهُ فِي فِيهِ فَجَعَلَ يَقْضَمُهَا كَمَا يَقْضَمُ الْفَحْلُ " .
Jabir b. Abdullah reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
No owner of camels or cattle or flock of sheep or goats who does not pay his due (would be spared punishment) but would be made to sit on the Day of Resurrection on a soft sandy ground and the hoofed animals would trample him with their hoofs and gore him with their horns. And none of them on that day would be without horns, or with broken horns. We said: Messenger of Allah, but what is due on them? He said: Lending of the male (for use) and lending of the bucket (used for drawing water for them) and for mating and milking them near water and providing them as a ride for the sake of Allah. And no owner of the property who does not pay Zakat (would be spared punishment) but it (his property) would turn into a bald snake and would follow its owner wherever he would go, and he would run away from it, and it would be said to him: That is your property about which you were stingy. And when he would find no other way out he would thrust his hand in its mouth and it would gnaw it like a male camel.