পরিচ্ছেদঃ ৩৫. কবরে প্রবেশের সময় কি বলবে এবং কবরবাসীর জন্য দুআ প্রসঙ্গে

২১৪৫-(১০২/৯৭৪) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামিমী, ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব ও কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) .... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অভ্যাস ছিল, যেদিন তার কাছে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাত্রি যাপনের পালা আসত, তিনি শেষ রাত্রে উঠে (বাকী কবরস্থানে) চলে যেতেন এবং এভাবে দু’আ করতেনঃ

"আসসালা-মু আলায়কুম দা-রা কাওমিন মু’মিনীনা ওয়া আতা-কুম মা ত’আদূনা গদান মুআজজালুনা ওয়া ইন্না- ইনশা-আল্ল-হু বিকুম লা-হিকূন আল্ল-হুমমাগফিরলি আহলি বাকীউল গরকাদ”

(অর্থাৎ- তোমাদের ওপর সালাম ও শান্তি বর্ষিত হোক, ওহে ঈমানদার কবরবাসীগণ! তোমাদের কাছে পরকালে নির্ধারিত যেসব বিষয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল তা তোমাদের নিকট এসে গেছে। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব। হে আল্লাহ! বাকী গারকদি কবরবাসীদেরকে ক্ষমা করে দাও।)।

কিন্তু কুতায়বাহ-এর বর্ণনায় "তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে" কথাটি নেই। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ২১২৪, ইসলামীক সেন্টার ২১২৭)

باب مَا يُقَالُ عِنْدَ دُخُولِ الْقُبُورِ وَالدُّعَاءِ لأَهْلِهَا ‏‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شَرِيكٍ، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي نَمِرٍ - عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - كُلَّمَا كَانَ لَيْلَتُهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - يَخْرُجُ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ إِلَى الْبَقِيعِ فَيَقُولُ ‏"‏ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَأَتَاكُمْ مَا تُوعَدُونَ غَدًا مُؤَجَّلُونَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لأَهْلِ بَقِيعِ الْغَرْقَدِ ‏"‏ ‏.‏ وَلَمْ يُقِمْ قُتَيْبَةُ قَوْلَهُ ‏"‏ وَأَتَاكُمْ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا يحيى بن يحيى التميمي، ويحيى بن ايوب، وقتيبة بن سعيد، قال يحيى بن يحيى اخبرنا وقال الاخران، حدثنا اسماعيل بن جعفر، عن شريك، - وهو ابن ابي نمر - عن عطاء بن يسار، عن عاىشة، انها قالت كان رسول الله صلى الله عليه وسلم - كلما كان ليلتها من رسول الله صلى الله عليه وسلم - يخرج من اخر الليل الى البقيع فيقول ‏"‏ السلام عليكم دار قوم مومنين واتاكم ما توعدون غدا موجلون وانا ان شاء الله بكم لاحقون اللهم اغفر لاهل بقيع الغرقد ‏"‏ ‏.‏ ولم يقم قتيبة قوله ‏"‏ واتاكم ‏"‏ ‏.‏


'A'isha reported (that whenever it was her turn for Allah's Messenger [may peace be upon him] to spend the night with her) he would go out towards the end of the night to al-Baqi' and say:
Peace be upon you, abode of a people who are believers. What you were promised would come to you tomorrow, you receiving it after some delay; and God willing we shall join you. O Allah, grant forgiveness to the inhabitants of Baqi' al-Gharqad. Qutaiba did not mention his words:" would come to you".


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১২। জানাযাহ সম্পর্কিত (كتاب الجنائز) 12. The Book of Prayer - Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. কবরে প্রবেশের সময় কি বলবে এবং কবরবাসীর জন্য দুআ প্রসঙ্গে

২১৪৬-(১০৩/...) হারূন ইবনু সাঈদ আল আয়লী (রহঃ) ..... মুহাম্মাদ ইবনু কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি- তিনি বলেন, আমি কি তোমাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ও আমার তরফ থেকে হাদীস বর্ণনা করে শোনাব না? আমরা বললাম, অবশ্যই! ইমাম মুসলিম (রহঃ) হাজ্জাজ আল আ’ওয়ার (রহঃ) থেকে শুনেছেন ..... জনৈক কুরায়শী আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে মুহাম্মাদ ইবনু কায়স ইবনু মাখরামাহ ইবনুল মুত্ত্বালিব (রহঃ) একদিন আমাকে বলেন, আমি কি তোমাদেরকে আমার পক্ষ থেকে ও আমার আমার আম্মাজান থেকে হাদীস বর্ণনা করে শুনাব? রাবী আবদুল্লাহ বলেন, আমরা ধারণা করলাম তিনি তার জননী মাকে বুঝাচ্ছেন। এরপর তিনি বললেন, "আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেছেন, আমি কি তোমাদের আমার পক্ষ থেকে ও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীস বর্ণনা করে শুনাব? আমরা বললাম, হ্যাঁ অবশ্যই। তিনি বলেন, যখন ঐ রাত আসত যে রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে থাকতেন। তিনি এসে তার চাদর রেখে দিতেন, জুতা খুলে পায়ের কাছে রাখতেন। পরে নিজ তহবন্দের (লুঙ্গি) একদিক বিছানায় বিছিয়ে কাত হয়ে শুয়ে পড়তেন।

অতঃপর মাত্র কিছু সময় যতক্ষণে তিনি ধারণা করতেন যে, আমি ঘুমিয়ে পড়েছি, বিশ্রাম গ্রহণ করতেন। অতঃপর উঠে ধীরে ধীরে নিজ চাদর নিতেন এবং জুতা পরিধান করতেন। পরে আস্তে আস্তে দরজা খুলে বেরিয়ে পড়তেন। অতঃপর কিছু সময় নিজেকে আত্মগোপন করে রাখতেন। একদিন আমি আমার জামা মাথার উপর স্থাপন করে তা দিয়ে মাথাটা ঢেকে লুঙ্গি পরিধান করে, অতঃপর তার পেছনে রওয়ানা হলাম। যেতে যেতে তিনি বাকী’তে" (কবরস্থানে) পৌছলেন। তথায় তিনি দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন। অতঃপর তিনি তিনবার হাত উঠিয়ে দু’আ করলেন। এবার গৃহের দিকে ফিরে রওয়ানা করলে আমিও রওয়ানা হলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দ্রুত রওয়ানা করলে আমিও দ্রুত চলতে লাগলাম। তাকে আরও দ্রুত পদক্ষেপে এগিয়ে আসতে দেখে আমি আরও দ্রুত চলতে লাগলাম। এরপর আমরা দৌড়াতে আরম্ভ করলে আমি দৌড়ে তার আগেই ঘরে ঢুকে পড়লাম এবং বিলম্ব না করে শুয়ে পড়লাম।

একটু পরে তিনি গৃহে প্রবেশ করে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে আয়িশাহ! তোমার কি হল? কেন হাপিয়ে পড়েছ? আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি জবাব দিলাম না, তেমন কিছু না। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হয় তুমি নিজে আমাকে ব্যাপারটা খুলে বলবে নতুবা মহান আল্লাহ আমাকে তা জানিয়ে দিবেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনার ওপর আমার মাতা-পিতা কুরবান হোক। এরপর তাকে ব্যাপারটা জানিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, তুমিই সে কালো ছায়াটি যা আমি আমার সামনে দেখছিলাম। আমি বললামঃ জী হ্যাঁ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার বুকে একটা থাপ্পড় মারলেন যাতে আমি ব্যথা পেলাম। অতঃপর বললেন, তুমি কি ধারণা করেছ আল্লাহ ও তার রসূল তোমার ওপর অবিচার করবেন? আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, যখনই মানুষ কোন কিছু গোপন করে, আল্লাহ তা অবশ্যই জানেন। হ্যাঁ অবশ্যই জানেন।

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যখন তুমি আমাকে দেখেছ এ সময় আমার কাছে জিবরীল (আঃ) এসেছিলেন এবং আমাকে ডাকছিলেন। অবশ্য তা তোমার কাছে গোপন রাখা হয়েছে। আর আমিও তা গোপন রাখা বাঞ্ছনীয় মনে করে তোমার নিকট গোপন রেখেছি। যেহেতু তুমি তোমার কাপড় রেখে দিয়েছ, তাই তিনি তোমার কাছে আসেননি। আমি ভেবেছিলাম তুমি ঘুমিয়ে পড়েছ তাই তোমাকে জাগানো সমীচীন মনে করিনি। আর আমি আশঙ্কা করছিলাম যে, তুমি ভীত বিহ্বল হয়ে পড়বে।

এরপর জিবরীল (আঃ) বললেন, আপনার প্রভু আপনার প্রতি আদেশ করছেন, বাকী’র কবরবাসীদের নিকট গিয়ে তাদের জন্য দু’আ ইসতিগফার করতে। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি তাদের জন্য কীভাবে দু’আ করব? তিনি বললেনঃ তুমি বল, "এ বাসস্থানের অধিবাসী ঈমানদার মুসলিমদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক। আমাদের মধ্য থেকে যারা আগে বিদায় গ্রহণ করেছে আর যারা পিছনে বিদায় নিয়েছে সবার প্রতি আল্লাহ দয়া করুন। আল্লাহ চাহে তো আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব*। (ইসলামী ফাউন্ডেশন, ২১২৫, ইসলামীক সেন্টার ২১২৮)

باب مَا يُقَالُ عِنْدَ دُخُولِ الْقُبُورِ وَالدُّعَاءِ لأَهْلِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَثِيرِ بْنِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّهُ سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ قَيْسٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تُحَدِّثُ فَقَالَتْ أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَنِّي ‏.‏ قُلْنَا بَلَى ح. وَحَدَّثَنِي مَنْ، سَمِعَ حَجَّاجًا الأَعْوَرَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ، - رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ، بْنِ الْمُطَّلِبِ أَنَّهُ قَالَ يَوْمًا أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ عَنِّي وَعَنْ أُمِّي قَالَ فَظَنَنَّا أَنَّهُ يُرِيدُ أُمَّهُ الَّتِي وَلَدَتْهُ ‏.‏ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ عَنِّي وَعَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قُلْنَا بَلَى ‏.‏ قَالَ قَالَتْ لَمَّا كَانَتْ لَيْلَتِيَ الَّتِي كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيهَا عِنْدِي انْقَلَبَ فَوَضَعَ رِدَاءَهُ وَخَلَعَ نَعْلَيْهِ فَوَضَعَهُمَا عِنْدَ رِجْلَيْهِ وَبَسَطَ طَرَفَ إِزَارِهِ عَلَى فِرَاشِهِ فَاضْطَجَعَ فَلَمْ يَلْبَثْ إِلاَّ رَيْثَمَا ظَنَّ أَنْ قَدْ رَقَدْتُ فَأَخَذَ رِدَاءَهُ رُوَيْدًا وَانْتَعَلَ رُوَيْدًا وَفَتَحَ الْبَابَ فَخَرَجَ ثُمَّ أَجَافَهُ رُوَيْدًا فَجَعَلْتُ دِرْعِي فِي رَأْسِي وَاخْتَمَرْتُ وَتَقَنَّعْتُ إِزَارِي ثُمَّ انْطَلَقْتُ عَلَى إِثْرِهِ حَتَّى جَاءَ الْبَقِيعَ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ انْحَرَفَ فَانْحَرَفْتُ فَأَسْرَعَ فَأَسْرَعْتُ فَهَرْوَلَ فَهَرْوَلْتُ فَأَحْضَرَ فَأَحْضَرْتُ فَسَبَقْتُهُ فَدَخَلْتُ فَلَيْسَ إِلاَّ أَنِ اضْطَجَعْتُ فَدَخَلَ فَقَالَ ‏"‏ مَا لَكِ يَا عَائِشُ حَشْيَا رَابِيَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ لاَ شَىْءَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ لَتُخْبِرِينِي أَوْ لَيُخْبِرَنِّي اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي ‏.‏ فَأَخْبَرْتُهُ قَالَ ‏"‏ فَأَنْتِ السَّوَادُ الَّذِي رَأَيْتُ أَمَامِي ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ فَلَهَدَنِي فِي صَدْرِي لَهْدَةً أَوْجَعَتْنِي ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَظَنَنْتِ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ مَهْمَا يَكْتُمِ النَّاسُ يَعْلَمْهُ اللَّهُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ جِبْرِيلَ أَتَانِي حِينَ رَأَيْتِ فَنَادَانِي فَأَخْفَاهُ مِنْكِ فَأَجَبْتُهُ فَأَخْفَيْتُهُ مِنْكِ وَلَمْ يَكُنْ يَدْخُلُ عَلَيْكِ وَقَدْ وَضَعْتِ ثِيَابَكِ وَظَنَنْتُ أَنْ قَدْ رَقَدْتِ فَكَرِهْتُ أَنْ أُوقِظَكِ وَخَشِيتُ أَنْ تَسْتَوْحِشِي فَقَالَ إِنَّ رَبَّكَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَأْتِيَ أَهْلَ الْبَقِيعِ فَتَسْتَغْفِرَ لَهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ كَيْفَ أَقُولُ لَهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ قُولِي السَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَيَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقْدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لَلاَحِقُونَ ‏"‏ ‏.‏

وحدثني هارون بن سعيد الايلي، حدثنا عبد الله بن وهب، اخبرنا ابن جريج، عن عبد الله بن كثير بن المطلب، انه سمع محمد بن قيس، يقول سمعت عاىشة، تحدث فقالت الا احدثكم عن النبي صلى الله عليه وسلم وعني ‏.‏ قلنا بلى ح. وحدثني من، سمع حجاجا الاعور، - واللفظ له - قال حدثنا حجاج بن محمد، حدثنا ابن جريج، اخبرني عبد الله، - رجل من قريش - عن محمد بن قيس بن مخرمة، بن المطلب انه قال يوما الا احدثكم عني وعن امي قال فظننا انه يريد امه التي ولدته ‏.‏ قال قالت عاىشة الا احدثكم عني وعن رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قلنا بلى ‏.‏ قال قالت لما كانت ليلتي التي كان النبي صلى الله عليه وسلم فيها عندي انقلب فوضع رداءه وخلع نعليه فوضعهما عند رجليه وبسط طرف ازاره على فراشه فاضطجع فلم يلبث الا ريثما ظن ان قد رقدت فاخذ رداءه رويدا وانتعل رويدا وفتح الباب فخرج ثم اجافه رويدا فجعلت درعي في راسي واختمرت وتقنعت ازاري ثم انطلقت على اثره حتى جاء البقيع فقام فاطال القيام ثم رفع يديه ثلاث مرات ثم انحرف فانحرفت فاسرع فاسرعت فهرول فهرولت فاحضر فاحضرت فسبقته فدخلت فليس الا ان اضطجعت فدخل فقال ‏"‏ ما لك يا عاىش حشيا رابية ‏"‏ ‏.‏ قالت قلت لا شىء ‏.‏ قال ‏"‏ لتخبريني او ليخبرني اللطيف الخبير ‏"‏ ‏.‏ قالت قلت يا رسول الله بابي انت وامي ‏.‏ فاخبرته قال ‏"‏ فانت السواد الذي رايت امامي ‏"‏ ‏.‏ قلت نعم ‏.‏ فلهدني في صدري لهدة اوجعتني ثم قال ‏"‏ اظننت ان يحيف الله عليك ورسوله ‏"‏ ‏.‏ قالت مهما يكتم الناس يعلمه الله نعم ‏.‏ قال ‏"‏ فان جبريل اتاني حين رايت فناداني فاخفاه منك فاجبته فاخفيته منك ولم يكن يدخل عليك وقد وضعت ثيابك وظننت ان قد رقدت فكرهت ان اوقظك وخشيت ان تستوحشي فقال ان ربك يامرك ان تاتي اهل البقيع فتستغفر لهم ‏"‏ ‏.‏ قالت قلت كيف اقول لهم يا رسول الله قال ‏"‏ قولي السلام على اهل الديار من المومنين والمسلمين ويرحم الله المستقدمين منا والمستاخرين وانا ان شاء الله بكم للاحقون ‏"‏ ‏.‏


Muhammad b. Qais said (to the people):
Should I not narrate to you (a hadith of the Holy Prophet) on my authority and on the authority of my mother? We thought that he meant the mother who had given him birth. He (Muhammad b. Qais) then reported that it was 'A'isha who had narrated this: Should I not narrate to you about myself and about the Messenger of Allah (ﷺ)? We said: Yes. She said: When it was my turn for Allah's Messenger (ﷺ) to spend the night with me, he turned his side, put on his mantle and took off his shoes and placed them near his feet, and spread the corner of his shawl on his bed and then lay down till he thought that I had gone to sleep. He took hold of his mantle slowly and put on the shoes slowly, and opened the door and went out and then closed it lightly. I covered my head, put on my veil and tightened my waist wrapper, and then went out following his steps till he reached Baqi'. He stood there and he stood for a long time. He then lifted his hands three times, and then returned and I also returned. He hastened his steps and I also hastened my steps. He ran and I too ran. He came (to the house) and I also came (to the house). I, however, preceded him and I entered (the house), and as I lay down in the bed, he (the Holy Prophet) entered the (house), and said: Why is it, O 'A'isha, that you are out of breath? I said: There is nothing. He said: Tell me or the Subtle and the Aware would inform me. I said: Messenger of Allah, may my father and mother be ransom for you, and then I told him (the whole story). He said: Was it the darkness (of your shadow) that I saw in front of me? I said: Yes. He gave me a nudge on the chest which I felt, and then said: Did you think that Allah and His Apostle would deal unjustly with you? She said: Whatsoever the people conceal, Allah will know it. He said: Gabriel came to me when you saw me. He called me and he concealed it from you. I responded to his call, but I too concealed it from you (for he did not come to you), as you were not fully dressed. I thought that you had gone to sleep, and I did not like to awaken you, fearing that you may be frightened. He (Gabriel) said: Your Lord has commanded you to go to the inhabitants of Baqi' (to those lying in the graves) and beg pardon for them. I said: Messenger of Allah, how should I pray for them (How should I beg forgiveness for them)? He said: Say, Peace be upon the inhabitants of this city (graveyard) from among the Believers and the Muslims, and may Allah have mercy on those who have gone ahead of us, and those who come later on, and we shall, God willing, join you.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১২। জানাযাহ সম্পর্কিত (كتاب الجنائز) 12. The Book of Prayer - Funerals

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. কবরে প্রবেশের সময় কি বলবে এবং কবরবাসীর জন্য দুআ প্রসঙ্গে

২১৪৭-(১০৪/৯৭৫) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও যুবায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... সুলায়মান ইবনু বুরায়দাহ (রহঃ) তার পিতা [বুরায়দাহ ইবনু হুসায়ব ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ)] থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তারা যখন কবরস্থানে যেতেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দু’আ শিখিয়ে দিতেন। অতঃপর তাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি আবূ বকর এর বর্ণনানুযায়ী বলত "আসসালা-মু আলা- আহলিদ দিয়া-র” (অর্থাৎ- কবরবাসীদের প্রতি আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক।)। আর যুহায়র-এর বর্ণনায় আছেঃ "আসসালা-মু আলায়কুম আহলাদ দিয়া-র মিনাল মুমিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা ওয়া ইন্না- ইনশা-আল্ল-হু লালা-হিকূনা আসআলুল্ল-হা লানা- ওয়ালাকুমুল আ-ফিয়াহু" (অর্থাৎ- হে কবরবাসী ঈমানদার মুসলিমগণ! তোমাদের প্রতি সালাম। আল্লাহ চাহে তো আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব। আমি আমাদের ও তোমাদের জন্য আল্লাহর নিকট নিরাপত্তার আবেদন জানাচ্ছি।)। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ২১২৬, ইসলামীক সেন্টার ২১২৯)

باب مَا يُقَالُ عِنْدَ دُخُولِ الْقُبُورِ وَالدُّعَاءِ لأَهْلِهَا ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، الأَسَدِيُّ عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُهُمْ إِذَا خَرَجُوا إِلَى الْمَقَابِرِ فَكَانَ قَائِلُهُمْ يَقُولُ - فِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ - السَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ - وَفِي رِوَايَةِ زُهَيْرٍ - السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ لَلَاحِقُونَ أَسْأَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمْ الْعَافِيَةَ.

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، وزهير بن حرب، قالا حدثنا محمد بن عبد الله، الاسدي عن سفيان، عن علقمة بن مرثد، عن سليمان بن بريدة، عن ابيه، قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعلمهم اذا خرجوا الى المقابر فكان قاىلهم يقول - في رواية ابي بكر - السلام على اهل الديار - وفي رواية زهير - السلام عليكم اهل الديار من المومنين والمسلمين وانا ان شاء الله للاحقون اسال الله لنا ولكم العافية.


Sulaiman b. Buraida narrated on the authority of his father that the Messenger of Allah (ﷺ) used to teach them when they went out to the graveyard. One of the narrators used to say this in the narration transmitted on the authority of Abu Bakr:
" Peace be upon the inhabitants of the city (i. e. graveyard)." In the hadith transmitted by Zuhair (the words are):" Peace be upon you, the inhabitants of the city, among the believers, and Muslims, and God willing we shall join you. I beg of Allah peace for us and for you."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
১২। জানাযাহ সম্পর্কিত (كتاب الجنائز) 12. The Book of Prayer - Funerals
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে