পরিচ্ছেদঃ ৬. মৃতের নিকট কাঁদা
২০১৯-(১০/৯২২) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ, ইবনু নুমায়র ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... উম্মু সালামাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আবূ সালামাহ (রাযিঃ) ইনতিকাল করলেন আমি (আক্ষেপ করলাম) বললাম, আহ! নির্বাসিত ব্যক্তি! আহ! বিদেশ ভূমিতে মারা গেল! আমি তার জন্য এমনভাবে (বুক ফাটিয়ে) কান্নাকাটি করব যা মানুষের মাঝে চর্চা হতে থাকবে। আমি কান্নার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, এমন সময় একজন মহিলা আমাকে সঙ্গ দেয়ার মনোভাব নিয়ে মদীনায় উঁচু এলাকা থেকে আসলেন এমন সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সামনে এগিয়ে এসে বললেনঃ আরে! তুমি কি শাইতানকে ঐ ঘরে ঢুকাতে চাচ্ছ যেখান থেকে মহান আল্লাহ তাকে দু’বার তাড়িয়ে দিয়েছেন? (উম্মু সালামাহ বলেন) এ কথা শুনামাত্র আমি কান্না বন্ধ করলাম এবং আর কাঁদলাম না। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ২০০৩, ইসলামীক সেন্টার ২০১০)
باب الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ، عُيَيْنَةَ - قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، - عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، قَالَ قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ لَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ قُلْتُ غَرِيبٌ وَفِي أَرْضِ غُرْبَةٍ لأَبْكِيَنَّهُ بُكَاءً يُتَحَدَّثُ عَنْهُ . فَكُنْتُ قَدْ تَهَيَّأْتُ لِلْبُكَاءِ عَلَيْهِ إِذْ أَقْبَلَتِ امْرَأَةٌ مِنَ الصَّعِيدِ تُرِيدُ أَنْ تُسْعِدَنِي فَاسْتَقْبَلَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ " أَتُرِيدِينَ أَنْ تُدْخِلِي الشَّيْطَانَ بَيْتًا أَخْرَجَهُ اللَّهُ مِنْهُ " . مَرَّتَيْنِ فَكَفَفْتُ عَنِ الْبُكَاءِ فَلَمْ أَبْكِ .
Umm Salama reported:
When Abu Salama died I said: I am a stranger in a strange land; I shall weep for him in a manner that would be talked of. I made preparation for weeping for him when a woman from the upper side of the city came there who intended to help me (in weeping). She happened to come across the Messenger of Allah (ﷺ) and he said: Do you intend to bring the devil into a house from which Allah has twice driven him out? I (Umm Salama), therefore, refrained from weeping and I did not weep.
পরিচ্ছেদঃ ৬. মৃতের নিকট কাঁদা
২০২০-(১১/৯২৩) আবূ কামিল আল জাহদারী (রহঃ) ..... উসামাহ ইবনু যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে ছিলাম। এমন সময় তার এক কন্যা তার কাছে সংবাদ পাঠালেন যে, তার একটা শিশু অথবা ছেলে মুমূর্ষ অবস্থায় আছে, তিনি যেন এখানে আসেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ বাহককে বললেন, তুমি গিয়ে তাকে বল, আল্লাহ যা নিয়ে গেছেন তা তারই আর যা দান করেছেন তাও তারই। আর প্রত্যেক বস্তুর জন্য তার কাছে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে। তাকে বলে দাও যেন সে সবর করে এবং আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশা করে। সংবাদদাতা ফিরে এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! তিনি আল্লাহর কসম দিয়ে বলেছেন, যাতে আপনি একটু আসেন।
উসামাহ (রাযিঃ) বলেন, এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে রওয়ানা হলেন। সা’দ ইবনু উবাদাহ (রাযিঃ) ও মুআয ইবনু জাবাল (রাযিঃ) তার সাথে গেলেন আমিও তাদের সাথে গেলাম। সেখানে পৌছলে শিশুটিকে তার কাছে উঠিয়ে আনা হ’ল। বাচ্চাটির রূহ এমনভাবে ধড়ফড় করছে যেন পুরাতন মশকের মধ্যে ঝনঝন শব্দ হচ্ছে। এ করুণ অবস্থা দেখে তার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। সা’দ (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন, একি হে আল্লাহর রসূল? তিনি উত্তরে বললেন, এ হচ্ছে দয়া, যা আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদের অন্তঃকরণে সৃষ্টি করে রেখেছেন। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ তার বান্দাদের মধ্যে দয়ালু ও স্নেহপরায়ণদের প্রতি দয়া করেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ২০০৪, ইসলামীক সেন্টার ২০১১)
باب الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ - عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ إِحْدَى بَنَاتِهِ تَدْعُوهُ وَتُخْبِرُهُ أَنَّ صَبِيًّا لَهَا - أَوِ ابْنًا لَهَا - فِي الْمَوْتِ فَقَالَ لِلرَّسُولِ " ارْجِعْ إِلَيْهَا فَأَخْبِرْهَا إِنَّ لِلَّهِ مَا أَخَذَ وَلَهُ مَا أَعْطَى وَكُلُّ شَىْءٍ عِنْدَهُ بِأَجَلٍ مُسَمًّى فَمُرْهَا فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ " فَعَادَ الرَّسُولُ فَقَالَ إِنَّهَا قَدْ أَقْسَمَتْ لَتَأْتِيَنَّهَا . قَالَ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَقَامَ مَعَهُ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ وَمُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ وَانْطَلَقْتُ مَعَهُمْ فَرُفِعَ إِلَيْهِ الصَّبِيُّ وَنَفْسُهُ تَقَعْقَعُ كَأَنَّهَا فِي شَنَّةٍ فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ فَقَالَ لَهُ سَعْدٌ مَا هَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " هَذِهِ رَحْمَةٌ جَعَلَهَا اللَّهُ فِي قُلُوبِ عِبَادِهِ وَإِنَّمَا يَرْحَمُ اللَّهُ مِنْ عِبَادِهِ الرُّحَمَاءَ " .
Usama b. Zaid reported:
While we were with the Messenger of Allah (ﷺ), one of his daughters sent to him (the Messenger) to call him and inform him that her child or her son was dying. The Messenger of Allah (ﷺ) told the messenger to go back and tell her that what Allah had taken belonged to Him, and to him belonged what He granted; and He has an appointed time for everything. So you (the messenger) order her to show endurance and seek reward from Allah. The messenger came back and said: She adjures him to come to her. He got up to go accompanied by Sa'd b. 'Ubada, Mu'adh b. Jabal, and I also went along with them. The child was lifted to him and his soul was feeling as restless as if it was in an old (waterskin). His (Prophet's) eyes welled up with tears. Sa'd said: What is this, Messenger of Allah? He replied: This is compassion which Allah has placed in the hearts of His servants, and God shows compassion only to those of His servants who are compassionate.
পরিচ্ছেদঃ ৬. মৃতের নিকট কাঁদা
২০২১-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... সকলেই ’আসিম আল আহওয়াল (রহঃ) থেকে একই সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে হাম্মাদের বর্ণিত হাদীসটি অপেক্ষাকৃত পূর্ণাঙ্গ ও লম্বা। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ২০০৫, ইসলামীক সেন্টার ২০১২)
باب الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي، شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، جَمِيعًا عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . غَيْرَ أَنَّ حَدِيثَ حَمَّادٍ أَتَمُّ وَأَطْوَلُ .
This hadith has been narrated by another chain of transmitters on the authority of 'Asim al-Ahwal.
পরিচ্ছেদঃ ৬. মৃতের নিকট কাঁদা
২০২২-(১২/৯২৪) ইউনুস ইবনু আবদুল আ’লা আস্ সদাফী ও আমর ইবনু সুওওয়াদ আল আমিরী (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবনু উবাদাহ (রাযিঃ) কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রহমান ইবনু আওফ, সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস ও আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) কে সঙ্গে নিয়ে তাকে দেখতে গেলেন। তিনি সেখানে পৌছে তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, অবস্থা কি শেষ? লোকেরা বলল, না হে আল্লাহর রসূল! অবস্থা দেখে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাঁদতে লাগলেন। উপস্থিত লোকেরা তার কান্না দেখে কাঁদতে শুরু করল। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কি শোননি যে, আল্লাহ তা’আলা চোখের অশ্রুর কারণে ও হৃদয়ের অস্থিরতার জন্যে বান্দাকে শাস্তি দিবেন না? বরং তিনি এ কারণে আযাব করবেন বা করুণা প্রদর্শন করবেন, তিনি জিহবার দিকে ইঙ্গিত করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ২০০৬, ইসলামীক সেন্টার ২০১৩)
باب الْبُكَاءِ عَلَى الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّدَفِيُّ، وَعَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ الْعَامِرِيُّ، قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْحَارِثِ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ اشْتَكَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ شَكْوَى لَهُ فَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُهُ مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ وَجَدَهُ فِي غَشِيَّةٍ فَقَالَ " أَقَدْ قَضَى " . قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَبَكَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَأَى الْقَوْمُ بُكَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَكَوْا فَقَالَ " أَلاَ تَسْمَعُونَ إِنَّ اللَّهَ لاَ يُعَذِّبُ بِدَمْعِ الْعَيْنِ وَلاَ بِحُزْنِ الْقَلْبِ وَلَكِنْ يُعَذِّبُ بِهَذَا - وَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ - أَوْ يَرْحَمُ " .
'Abdullah b. 'Umar said that Sa'd b. Ubada complained of illness. The Messenger of Allah (ﷺ) came to visit him accompanied by 'Abd al-Rahman b. 'Auf, Sa'd b. Abi Waqqas and 'Abdullah b. Mas'ud. As he entered (his room) he found him in a swoon. Upon this he said:
Has he died? They said: Messenger of Allah, it is not so. The Messenger of Allah (ﷺ) wept. When the people saw Allah's Messenger (ﷺ) weeping, they also began to weep. He said. Listen, Allah does not punish for the tears that the eye sheds or the grief the heart feels, but He punishes for this (pointing to his tongue), or He may show mercy.