পরিচ্ছেদঃ ২৭. রাতের সালাতে কিরআত দীর্ঘ করা মুস্তাহাব

১৬৯৯-(২০৩/৭৭২) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ, যুহায়র ইবনু হারব ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, ইবনু নুমায়র [শব্দগুলো তার] (রহঃ) ..... হুযায়ফাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলাম। তিনি সূরাহ আল বাকারাহ পড়তে শুরু করলে আমি ভাবলাম তিনি হয়ত একশ’ আয়াত পড়ে রুকূ করবেন। কিন্তু এরপরেও তিনি পড়ে চললেন। তখন আমি চিন্তা করলাম। তিনি এর (সূরাহ আল বাকরাহ) দ্বারা পুরো দু’ রাকাআত পড়ে সালাম ফিরাবেন। কিন্তু তিনি এরপরেও পড়তে থাকলে আমি ভাবলাম সূরাটি শেষ করে তিনি রুকূ করবেন। কিন্তু এরপর তিনি সূরাহ নিসা পড়তে শুরু করলেন এবং তা পাঠ করলেন, অতঃপর তিনি সূরাহ আ-লি ইমরান শুরু করলেন এবং তা পাঠ করলেন। তিনি থেমে থেমে ধীরে ধীরে পড়ছিলেন এবং তাসবীর আয়াত আসলে তাসবীহ পড়ছিলেন আর কিছু চাওয়ার আয়াত আসলে চাইলেন। যখন আশ্রয় প্রার্থনা করার কোন আয়াত পড়ছিলেন তখন আশ্রয় প্রার্থনা করছিলেন।

অতঃপর তিনি রুকূ’ করলেন। রুকূ’তে তিনি বলতে থাকলেন, "সুবহা-না রব্বিয়াল আযীম" (আমার মহান প্রভু পবিত্র, আমি তার পবিত্রতা বর্ণনা করছি)। তার রুকু কিয়ামের মতই দীর্ঘ ছিল। এরপর “সামি’আল্ল-ই লিমান হামিদাহ” (আল্লাহ শুনে থাকেন যে তার প্রশংসা করে) বললেনঃ এরপর যতক্ষণ সময় রুকু করেছিলেন প্রায় ততক্ষণ সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকলেন। এরপর সিজদা করলেন। সাজদাতে তিনি বললেন, "সুবহা-না রব্বিয়াল আ’লা-" (মহান সুউচ্চ সত্তা আমার প্রভু পবিত্র, আমি তার পবিত্রতা বর্ণনা করছি)। তার এ সাজদায়ও প্রায় কিয়ামের সময়ের মতো দীর্ঘায়িত হলো। হাদীসটির বর্ণনাকারী বলেন যে, জারীর বর্ণিত হাদীসে এতটুকু কথা অধিক আছেঃ তিনি (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকু থেকে উঠে) বললেন, "সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ, রব্বানা- লাকাল হামদ" (আল্লাহ শুনেন যে ব্যক্তি তার প্রশংসা করে। হে আমাদের প্রতিপালক, তোমার জন্যই সব প্রশংসা)। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৮৪, ইসলামীক সেন্টার ১৬৯১)

باب اسْتِحْبَابِ تَطْوِيلِ الْقِرَاءَةِ فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ ‏‏

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ جَرِيرٍ، كُلُّهُمْ عَنِ الأَعْمَشِ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ، نُمَيْرٍ - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ الأَحْنَفِ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ لَيْلَةٍ فَافْتَتَحَ الْبَقَرَةَ فَقُلْتُ يَرْكَعُ عِنْدَ الْمِائَةِ ‏.‏ ثُمَّ مَضَى فَقُلْتُ يُصَلِّي بِهَا فِي رَكْعَةٍ فَمَضَى فَقُلْتُ يَرْكَعُ بِهَا ‏.‏ ثُمَّ افْتَتَحَ النِّسَاءَ فَقَرَأَهَا ثُمَّ افْتَتَحَ آلَ عِمْرَانَ فَقَرَأَهَا يَقْرَأُ مُتَرَسِّلاً إِذَا مَرَّ بِآيَةٍ فِيهَا تَسْبِيحٌ سَبَّحَ وَإِذَا مَرَّ بِسُؤَالٍ سَأَلَ وَإِذَا مَرَّ بِتَعَوُّذٍ تَعَوَّذَ ثُمَّ رَكَعَ فَجَعَلَ يَقُولُ ‏"‏ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ ‏"‏ ‏.‏ فَكَانَ رُكُوعُهُ نَحْوًا مِنْ قِيَامِهِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَامَ طَوِيلاً قَرِيبًا مِمَّا رَكَعَ ثُمَّ سَجَدَ فَقَالَ ‏"‏ سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى ‏"‏ ‏.‏ فَكَانَ سُجُودُهُ قَرِيبًا مِنْ قِيَامِهِ ‏.‏ قَالَ وَفِي حَدِيثِ جَرِيرٍ مِنَ الزِّيَادَةِ فَقَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ"‏ ‏.‏

وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا عبد الله بن نمير، وابو معاوية ح وحدثنا زهير بن حرب، واسحاق بن ابراهيم، جميعا عن جرير، كلهم عن الاعمش، ح وحدثنا ابن، نمير - واللفظ له - حدثنا ابي، حدثنا الاعمش، عن سعد بن عبيدة، عن المستورد بن الاحنف، عن صلة بن زفر، عن حذيفة، قال صليت مع النبي صلى الله عليه وسلم ذات ليلة فافتتح البقرة فقلت يركع عند الماىة ‏.‏ ثم مضى فقلت يصلي بها في ركعة فمضى فقلت يركع بها ‏.‏ ثم افتتح النساء فقراها ثم افتتح ال عمران فقراها يقرا مترسلا اذا مر باية فيها تسبيح سبح واذا مر بسوال سال واذا مر بتعوذ تعوذ ثم ركع فجعل يقول ‏"‏ سبحان ربي العظيم ‏"‏ ‏.‏ فكان ركوعه نحوا من قيامه ثم قال ‏"‏ سمع الله لمن حمده ‏"‏ ‏.‏ ثم قام طويلا قريبا مما ركع ثم سجد فقال ‏"‏ سبحان ربي الاعلى ‏"‏ ‏.‏ فكان سجوده قريبا من قيامه ‏.‏ قال وفي حديث جرير من الزيادة فقال ‏"‏ سمع الله لمن حمده ربنا لك الحمد"‏ ‏.‏


Hudhaifa reported:
I prayed with the Messenger of Allah (ﷺ) one night and he started reciting al-Baqara. I thought that he would bow at the end of one hundred verses, but he proceeded on; I then thought that he would perhaps recite the whole (surah) in a rak'ah, but he proceeded and I thought he would perhaps bow on completing (this surah). He then started al-Nisa', and recited it; he then started Al-i-'Imran and recited leisurely. And when he recited the verses which referred to the Glory of Allah, he glorified (by saying Subhan Allah-Glory to my Lord the Great), and when he recited the verses which tell (how the Lord) is to be begged, he (the Holy Prophet) would then beg (from Him), and when he recited the verses dealing with protection from the Lord, he sought (His) protection and would then bow and say: Glory be to my Mighty Lord; his bowing lasted about the same length of time as his standing (and then on returning to the standing posture after ruku') he would say: Allah listened to him who praised Him, and he would then stand about the same length of time as he had spent in bowing. He would then prostrate himself and say: Glory be to my Lord most High, and his prostration lasted nearly the same length of time as his standing. In the hadith transmitted by Jarir the words are:" He (the Holy Prophet) would say:" Allah listened to him who praised Him, our Lord, to Thee i the praise."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৬। মুসাফিরদের সালাত ও তার কসর (كتاب صلاة المسافرين وقصرها) 6. The Book of Prayer - Travellers

পরিচ্ছেদঃ ২৭. রাতের সালাতে কিরআত দীর্ঘ করা মুস্তাহাব

১৭০০-(২০৪/৭৭৩) উসমান ইবনু আবূ শায়বাহ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সালাত আদায় করলাম। এ সালাতে তিনি কিরআত এত দীর্ঘায়িত করলেন যে, আমি একটি মন্দ ইচ্ছা করে বসলাম। আবূ ওয়ায়িল বলেছেন তাকে (আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদকে) জিজ্ঞেস করা হ’ল, আপনি কী ধরনের মন্দ ইচ্ছা করেছিলেন? জবাবে তিনি বললেনঃ আমি বসে পড়ার এবং তার পিছনে এ সালাত পরিত্যাগ করার ইচ্ছা করেছিলাম। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৮৫, ইসলামীক সেন্টার ১৬৯২)

باب اسْتِحْبَابِ تَطْوِيلِ الْقِرَاءَةِ فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ ‏‏

وَحَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ جَرِيرٍ، - قَالَ عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ صَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَطَالَ حَتَّى هَمَمْتُ بِأَمْرِ سَوْءٍ قَالَ قِيلَ وَمَا هَمَمْتَ بِهِ قَالَ هَمَمْتُ أَنْ أَجْلِسَ وَأَدَعَهُ ‏.‏

وحدثنا عثمان بن ابي شيبة، واسحاق بن ابراهيم، كلاهما عن جرير، - قال عثمان حدثنا جرير، - عن الاعمش، عن ابي واىل، قال قال عبد الله صليت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فاطال حتى هممت بامر سوء قال قيل وما هممت به قال هممت ان اجلس وادعه ‏.‏


'Abdullah reported:
I prayed with the Messenger of Allah (ﷺ) and he lengthened it till I entertained an evil thought. It was said to him what that thought was. He said: I thought that I should sit down and forsake him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৬। মুসাফিরদের সালাত ও তার কসর (كتاب صلاة المسافرين وقصرها) 6. The Book of Prayer - Travellers

পরিচ্ছেদঃ ২৭. রাতের সালাতে কিরআত দীর্ঘ করা মুস্তাহাব

১৭০১-(.../...) ইসমাঈল ইবনু খলীল ও সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আ’মাশ (রহঃ) থেকে একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৮৬, ইসলামীক সেন্টার ১৬৯৩)

باب اسْتِحْبَابِ تَطْوِيلِ الْقِرَاءَةِ فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ ‏‏

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ الْخَلِيلِ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ مِثْلَهُ ‏.‏

وحدثناه اسماعيل بن الخليل، وسويد بن سعيد، عن علي بن مسهر، عن الاعمش، بهذا الاسناد ‏.‏ مثله ‏.‏


A hadith like this has been narrated by A'mash with the same chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আ‘মাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৬। মুসাফিরদের সালাত ও তার কসর (كتاب صلاة المسافرين وقصرها) 6. The Book of Prayer - Travellers
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে