পরিচ্ছেদঃ ২৫. রমাযানে তারাবীহ সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে উৎসাহ প্রদান করা
১৬৬৪-(১৭৩/৭৫৯) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। যে ব্যক্তি রমযান মাসে ঈমানের সাথে ও একান্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে তারাবীহ পড়ে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৪৯, ইসলামীক সেন্টার ১৬৫৬)
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَهُوَ التَّرَاوِيحُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " .
Abu Huraira reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
He who observed prayer at night during Ramadan, because of faith and seeking his reward from Allah, his previous sins would be forgiven.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. রমাযানে তারাবীহ সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে উৎসাহ প্রদান করা
১৬৬৫-(১৭৪/...) আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দৃঢ় বা কঠোরভাবে নির্দেশ না দিয়ে রমযান মাসের তারাবীহ পড়তে উৎসাহিত করে বলতেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানসহ ও একান্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে রমযান মাসের তারাবীহ পড়ল তার পূর্বের সব পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুবরণ করলেন। তখনও এ অবস্থা চলছিল (অর্থাৎ মানুষকে তারাবীহ পড়তে নির্দেশ না দিয়ে শুধু উৎসাহিত করা হত)। আবূ বকর (রাযিঃ) এর খিলাফতকালে এবং উমর (রাযিঃ) এর খিলাফাতের প্রথম দিকেও এ নীতি কার্যকর ছিল। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৫০, ইসলামীক সেন্টার ১৬৫৭)
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَهُوَ التَّرَاوِيحُ
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُرَغِّبُ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَأْمُرَهُمْ فِيهِ بِعَزِيمَةٍ فَيَقُولُ " مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " . فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ ثُمَّ كَانَ الأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ فِي خِلاَفَةِ أَبِي بَكْرٍ وَصَدْرًا مِنْ خِلاَفَةِ عُمَرَ عَلَى ذَلِكَ .
Abu Huraira reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to exhort (his Companions) to pray (at night) during Ramadan without commanding them to observe it as an obligatory act, and say: He who observed the night prayer in Ramadan because of faith and seeking his reward (from Allah), all his previous sins would be forgiven. When Allah's Messenger (ﷺ) died, this was the practice, and it continued thus during Abu Bakr's caliphate and the early part of 'Umar's caliphate.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. রমাযানে তারাবীহ সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে উৎসাহ প্রদান করা
১৬৬৬-(১৭৫/৭৬০) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযান মাসে ঈমান ও একান্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে সিয়াম পালন করবে তার পূর্ববর্তী সব পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি কদরের রাতে ঈমানসহ ও একান্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে সালাত আদায় করবে তারও পূর্ববর্তী সব পাপ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৫১, ইসলামীক সেন্টার ১৬৫৮)
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَهُوَ التَّرَاوِيحُ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " .
Abu Huraira reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
He who observed the fasts of Ramadan with faith and seeking reward (from Allah), all his previous sins would be forgiven, and he who observed prayer on Lailat-ul- Qadr with faith and seeking reward (from Allah), all his previous sins would be forgiven.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. রমাযানে তারাবীহ সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে উৎসাহ প্রদান করা
১৬৬৭-(১৭৬/...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কদরের রাতে জাগরণ করতে গিয়ে তা পেয়ে গেল, তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। (রাবী বলেন) আমার মনে হয় তিনি ঈমান ও সাওয়াবের আশায়’ কথাটি বলেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৫২, ইসলামীক সেন্টার ১৬৫৯)
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَهُوَ التَّرَاوِيحُ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنِي وَرْقَاءُ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ يَقُمْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فَيُوَافِقُهَا - أُرَاهُ قَالَ - إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ " .
Abu Huraira reported Allah's Apostle (ﷺ) as saying:
He who prayed on the Lailat-ul-Qadr (the Majestic Night) knowing that it is (the same night). I (believe) that he (the Prophet also) said: (He who does) it with faith and seeking reward (from Allah), his sins would be forgiven.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. রমাযানে তারাবীহ সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে উৎসাহ প্রদান করা
১৬৬৮-(১৭৭/৭৬১) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এক রাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে সালাত আদায় করলেন। তার সাথে কিছু সংখ্যক লোকও সালাত আদায় করল। পরের রাতেও তিনি মসজিদে সালাত আদায় করলেন। লোকজন সংখ্যায় অনেক বেশী হয়ে গেল। অতঃপর তৃতীয় কিংবা চতুর্থ রাতেও অনেক লোক এসে একত্ৰ হ’ল। কিন্তু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর তাদের সাথে যোগ দিলেন না। সকাল বেলা তিনি সবাইকে বললেনঃ (গত রাতে) তোমরা যা করেছ তা আমি দেখেছি। তবে শুধু এ আশঙ্কায় আমি তোমাদের সাথে যোগদান করিনি যে, তোমাদের ওপর তা ফারয (ফরয) করে দেয়া হতে পারে। তিনি (আয়িশাহ) বলেছেনঃ ঘটনাটি রমযান মাসে সংঘটিত হয়েছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৫৩, ইসলামীক সেন্টার ১৬৬০)
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَهُوَ التَّرَاوِيحُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى فِي الْمَسْجِدِ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَصَلَّى بِصَلاَتِهِ نَاسٌ ثُمَّ صَلَّى مِنَ الْقَابِلَةِ فَكَثُرَ النَّاسُ ثُمَّ اجْتَمَعُوا مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ أَوِ الرَّابِعَةِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ " قَدْ رَأَيْتُ الَّذِي صَنَعْتُمْ فَلَمْ يَمْنَعْنِي مِنَ الْخُرُوجِ إِلَيْكُمْ إِلاَّ أَنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ " . قَالَ وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ .
'A'isha reported that the Messenger of Allah (ﷺ) prayed one night in the mosque and people also prayed along with him. He then prayed on the following night and there were many persons. Then on the third or fourth night (many people) gathered there, but the Messenger of Allah (ﷺ) did not come out to them (for leading the Tarawih prayer). When it was morning he said:
I saw what you were doing, but I desisted to come to you (and lead the prayer) for I feared that this prayer might become obligatory for you. (He the narrator) said: It was the month of Ramadan.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. রমাযানে তারাবীহ সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে উৎসাহ প্রদান করা
১৬৬৯-(১৭৮/...) হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এক রাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়ী থেকে মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় করলেন, অনেক লোকও তার সাথে সালাত আদায় করল। পরদিন লোকজন এ ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করল। সুতরাং ঐ দিন রাতে আরো বেশী লোক (মসজিদে) একত্রিত হ’ল। ঐ দ্বিতীয় রাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে তাদের মাঝে উপস্থিত হলেন। সবাই তার সাথে সালাত আদায় করল। পরদিনও লোকজন এ ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করল। সুতরাং তৃতীয় রাতে লোকের সংখ্যা আরো বেড়ে গেল। রাতেও তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মসজিদে তাদের মাঝে গেলেন। লোকজন তার সাথে সালাত আদায় করল। কিন্তু চতুর্থ রাতে লোক সংখ্যা এত বেশী হ’ল যে, মসজিদে জায়গা সংকুলান হ’ল না। কিন্তু রাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে আসলেন না।
তাদের মধ্য থেকে কিছু সংখ্যক লোক সালাত বলে ডাকতে শুরু করল। কিন্তু তিনি ঐ রাতে আর বের হলেন না। বরং ফজরের ওয়াক্তে বের হলেন। ফজরের সালাত শেষ করে তিনি লোকদের দিকে ঘুরলেন, তাশাহহুদ পড়লেন, তারপর "আম্মাবাদ" বলে শুরু করলেন। তিনি বললেনঃ গতরাতে তোমাদের ব্যাপারটা আমার অজানা নয়। কিন্তু আমি আশঙ্কা করেছিলাম যে, রাতের এ সালাতটি তোমাদের জন্য ফারয (ফরয) করে দেয়া হতে পারে। আর তোমরা তা পালন করতে অক্ষম হয়ে পড়বে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৫৪, ইসলামীক সেন্টার ১৬৬১)
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَهُوَ التَّرَاوِيحُ
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ فَصَلَّى رِجَالٌ بِصَلاَتِهِ فَأَصْبَحَ النَّاسُ يَتَحَدَّثُونَ بِذَلِكَ فَاجْتَمَعَ أَكْثَرُ مِنْهُمْ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي اللَّيْلَةِ الثَّانِيَةِ فَصَلَّوْا بِصَلاَتِهِ فَأَصْبَحَ النَّاسُ يَذْكُرُونَ ذَلِكَ فَكَثُرَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ فَخَرَجَ فَصَلَّوْا بِصَلاَتِهِ فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الرَّابِعَةُ عَجَزَ الْمَسْجِدُ عَنْ أَهْلِهِ فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَطَفِقَ رِجَالٌ مِنْهُمْ يَقُولُونَ الصَّلاَةَ . فَلَمْ يَخْرُجْ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى خَرَجَ لِصَلاَةِ الْفَجْرِ فَلَمَّا قَضَى الْفَجْرَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ ثُمَّ تَشَهَّدَ فَقَالَ " أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّهُ لَمْ يَخْفَ عَلَىَّ شَأْنُكُمُ اللَّيْلَةَ وَلَكِنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْرَضَ عَلَيْكُمْ صَلاَةُ اللَّيْلِ فَتَعْجِزُوا عَنْهَا " .
'A'isha reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) came out during the night and observed prayer in the mosque and some of the people prayed along with him. When it was morning the people talked about this and so a large number of people gathered there. The Messenger of Allah (ﷺ) went out for the second night, and they (the people) prayed along with him. When it was morning the people began to talk about it. So the mosque thronged with people on the third night. He (the Holy Prophet) came out and they prayed along with him. When it was the fourth night, the mosque was filled to its utmost capacity but the Messenger of Allah (ﷺ) did not come out. Some persons among then cried:" Prayer." But the Messenger of Allah (ﷺ) did not come to them till he came out for the morning prayer. When he had completed the morning prayer, he turned his face to the people and recited Tashahhud (I bear testi- mony that there is no god but Allah and I bear testimony that Muhammad is His Messen- ger) and then said: Your affair was not hidden from me in the night, but I was afraid that (my observing prayer continuously) might make the night prayer obligatory for you and you might be unable to perform it.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. রমাযানে তারাবীহ সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে উৎসাহ প্রদান করা
১৬৭০-(১৭৯/৭৬২) মুহাম্মাদ ইবনু মিহরান আর রায়ী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সারা বছর রাত জেগে সালাত আদায় করবে সে কদরের রাত প্রাপ্ত হবে। এ কথা শুনে উবাই ইবনু কা’ব বললেনঃ যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই মহান আল্লাহর কসম! নিশ্চিতভাবে লায়লাতুল কদর রমযান মাসে। এ কথা বলতে তিনি কসম করলেন কিন্তু ইনশা-আল্ল-হ বললেন না (অর্থাৎ তিনি নিশ্চিতভাবেই বুঝলেন যে, রমাযান মাসের মধ্যেই ’লায়লাতুল কদর’ আছে)। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবার বললেন আল্লাহর কসম! কোন রাতটি কদরের রাত তাও আমি জানি। সেটি হ’ল এ রাত, যে রাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সালাত আদায় করতে আদেশ করেছেন। সাতাশ রমযান তারিখের সকালের পূর্বের রাতটি সেই রাত। আর ঐ রাতের আলামাত বা লক্ষণ হ’ল- সে রাত শেষে সকালে সূর্য উদিত হবে তা উজ্জ্বল হবে কিন্তু সে সময় (উদয়ের সময়) তার কোন তীব্র আলোকরশ্মি থাকবে না (অর্থাৎ অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা নিষ্প্রভ হবে)। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৫৫, ইসলামীক সেন্টার ১৬৬২)
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَهُوَ التَّرَاوِيحُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدَةُ، عَنْ زِرٍّ، قَالَ سَمِعْتُ أُبَىَّ بْنَ كَعْبٍ، يَقُولُ - وَقِيلَ لَهُ إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ مَنْ قَامَ السَّنَةَ أَصَابَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ - فَقَالَ أُبَىٌّ وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ إِنَّهَا لَفِي رَمَضَانَ - يَحْلِفُ مَا يَسْتَثْنِي - وَوَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُ أَىُّ لَيْلَةٍ هِيَ . هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقِيَامِهَا هِيَ لَيْلَةُ صَبِيحَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَأَمَارَتُهَا أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فِي صَبِيحَةِ يَوْمِهَا بَيْضَاءَ لاَ شُعَاعَ لَهَا .
Zirr (b. Hubaish) reported:
I heard from Ubayy b. Ka'b a statement made by 'Abdullah b. Mas'ud in which he said: He who gets up for prayer (every night) during the year will hit upon Lailat-ul-Qadr. Ubayy said: By Allah I there is no god but He, that (Lailat-ul-Qadr) is in Ramadhan (He swore without reservation: ) By Allah, I know the night; it is the night on which the Messenger of Allah (ﷺ) commanded us to pray. It is that which precedes the morning of twenty-seventy and its indication is that the sun rises bright on that day without rays.
পরিচ্ছেদঃ ২৫. রমাযানে তারাবীহ সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে উৎসাহ প্রদান করা
১৬৭১-(১৮০/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... উবাই ইবনু কা’ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ’লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত সম্পর্কে বলেনঃ আল্লাহর কসম! আমি রাতটি সম্পর্কে জানি এবং এ ব্যাপারে আমি যা জানি তা হচ্ছে, যে রাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সালাত আদায় করতে আদেশ করেছেন সেটিই অর্থাৎ সাতাশ তারিখের রাতই কদরের রাত। হাদীসটির ঐ অংশ সম্পর্কে ’যে রাতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সালাত আদায় করতে আদেশ করেছেন’ শুবাহ সন্দেহ পোষণ করেছেন। বর্ণনাকারী শুবাহ বলেছেনঃ আমার এক বন্ধু (আবদাল্লাহ ইবনু আবূ লুবাবাহ) তার থেকে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৫৬, ইসলামীক সেন্টার ১৬৬৩)
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَهُوَ التَّرَاوِيحُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَةَ بْنَ أَبِي لُبَابَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ، عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ أُبَىٌّ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُهَا وَأَكْثَرُ عِلْمِي هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقِيَامِهَا هِيَ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ - وَإِنَّمَا شَكَّ شُعْبَةُ فِي هَذَا الْحَرْفِ - هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ وَحَدَّثَنِي بِهَا صَاحِبٌ لِي عَنْهُ .
Ubayy b Ka'b reported:
By Allah, I know about Lailat-ul Qadr and I know it fully well that it is the twenty-seventh night (during Ramadan) on which the Messenger of Allah (ﷺ) commanded us to observe prayer. (Shu'ba was in doubt about these words:" the night on which the Messenger of Allah [may peace be upon him] commanded us to observe the prayer." This has been transmitted to me by a friend of mine.)
পরিচ্ছেদঃ ২৫. রমাযানে তারাবীহ সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে উৎসাহ প্রদান করা
১৬৭২-(.../...) উবায়দুল্লাহ ইবনু মু’আয (রহঃ) ..... শুবাহ (রহঃ) থেকে একই সানাদে হাদীসটি অনুরূপভাবে বর্ণনা করেছেন। তবে শু’বাহ এ বর্ণনাতে সন্দেহ পোষণ করেছেন এবং এর পরের কথাগুলো উল্লেখ করেননি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬৫৭, ইসলামীক সেন্টার ১৬৬৪)
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَهُوَ التَّرَاوِيحُ
وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَهُ وَلَمْ يَذْكُرْ إِنَّمَا شَكَّ شُعْبَةُ . وَمَا بَعْدَهُ .
Shu'ba reported this hadith with the same chain of transmitters, but he made no mention that Shu'ba was in doubt and what follows subsequently.