পরিচ্ছেদঃ ৬১. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে কোন মুসলিমের হাক্ক (অধিকার) তসরুফকারীর প্রতি জাহান্নামের হুমকী
২৫০-(২১৮/১৩৭) ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব, কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ ও আলী ইবনু হুজুর (রহঃ) ..... আবূ উমামাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি কসমের মাধ্যমে কোন মুসলিমের হক বিনষ্ট করে তার জন্য আল্লাহ জাহান্নাম ওয়াজিব করে রেখেছেন এবং জান্নাত হারাম করে রেখেছেন। তখন জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! অতি সামান্য বস্তু হলেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আরাক (বাবলা গাছের মত এক ধরনের কাঁটাযুক্ত) গাছের ডাল হলেও এ শাস্তি দেয়া হবে*। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫২. ইসলামিক সেন্টারঃ ২৬১)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। অত্যাচার বা জুলুম হলো সমস্ত অমঙ্গলের উৎস, ন্যায় বিচার থেকে এবং সমস্ত কল্যাণ হতে মানুষকে দূরে রাখে। যখন কোনো জাতির মধ্যে অত্যাচার বা জুলুম প্রবেশ করবে, তখন সে জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। আর যখন কোনো গ্রামে অথবা শহরে অত্যাচার বা জুলুম প্রবেশ করবে, তখন সেই গ্রাম অথবা শহর নষ্ট হয়ে যাবে। তাই প্রকৃত ইসলাম ধর্ম লোকের অধিকার মেরে দেওয়া হারাম করে দিয়েছে।
২। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম লোকের অধিকার মেরে দেওয়া হতে এবং অন্যায় অত্যাচার এবং জুলুম করা হতে সতর্ক করে। অপরের অধিকার নষ্ট করা হতেও সতর্ক করে। যদিও অত্যাচারিত ব্যক্তির কাছে দলিল প্রমাণ কিছূ না থাকে। অত্যাচারিত ব্যক্তির কাছে তার অধিকারের দলিল প্রমাণ কিছূ না থাকার কারণে তার প্রতি জুলুম করে তার অধিকার নষ্ট করা বৈধ নয়। কেননা মহান আল্লাহর কাছে কোনো ব্যক্তির অধিকারের দলিল প্রমাণ কিছূ না থাকার কারণে তার অীধকার নষ্ট হয় না। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম সকল জাতির মানুষের অধিকারগুলির সংরক্ষণ করে, এবং এতে ধর্মের কারণে অথবা বর্ণের কারণে কোনো পার্থক্য করেনা। এই বিষয়টির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃত ইসলাম ধর্ম সকল জাতির মানুষের অধিকারগুলির সংরক্ষণ করে। এই বিষয়টি প্রকৃত ইসলাম ধর্মের একটি মহা বৈশিষ্ট্য।
৩। আরাক গাছের কর্তিত ডালের দ্বারা দাঁতন করা হয়।
باب وَعِيدِ مَنِ اقْتَطَعَ حَقَّ مُسْلِمٍ بِيَمِينٍ فَاجِرَةٍ بِالنَّارِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، - قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، - قَالَ أَخْبَرَنَا الْعَلاَءُ، - وَهُوَ ابْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَوْلَى الْحُرَقَةِ - عَنْ مَعْبَدِ بْنِ كَعْبٍ السَّلَمِيِّ، عَنْ أَخِيهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ اقْتَطَعَ حَقَّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ بِيَمِينِهِ فَقَدْ أَوْجَبَ اللَّهُ لَهُ النَّارَ وَحَرَّمَ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ " . فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ وَإِنْ كَانَ شَيْئًا يَسِيرًا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " وَإِنْ قَضِيبًا مِنْ أَرَاكٍ " .
Chapter: Warning of the Fire for the one who swears a false oath in order to unlawfully take the right of another muslim
It is narrated on the authority of Abu Umama that the Messenger of Allah (ﷺ) observed: He who appropriated the right of a Muslim by (swearing a false) oath, Allah would make Hell-fire necessary for him and would declare Paradise forbidden for him. A person said to him: Messenger of Allah, even if it is something insignificant? He (the Holy Prophet) replied: (Yes) even if it is the twig of the arak tree.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে কোন মুসলিমের হাক্ক (অধিকার) তসরুফকারীর প্রতি জাহান্নামের হুমকী
২৫১-(২১৯/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও হারূন ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ উমামাহ আল হারিসী (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৩, ইসলামিক সেন্টারঃ ২৬২)
باب وَعِيدِ مَنِ اقْتَطَعَ حَقَّ مُسْلِمٍ بِيَمِينٍ فَاجِرَةٍ بِالنَّارِ
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَخَاهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ، يُحَدِّثُ أَنَّ أَبَا أُمَامَةَ الْحَارِثِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
Chapter: Warning of the Fire for the one who swears a false oath in order to unlawfully take the right of another muslim
This hadith has been transmitted by another chain of narrators: Abu Bakr b. Abi Shaiba, Ishaq b. Ibrahim, Harun b. Abdullah, Abi Usama, Walid b. Kathir, Muhammad b. Ka'b, his brother Abdullah b. Ka'b and Abi Usama.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে কোন মুসলিমের হাক্ক (অধিকার) তসরুফকারীর প্রতি জাহান্নামের হুমকী
২৫২-(২২০/১৩৮) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ, ইবনু নুমায়র এবং ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আল হানযালী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি তার উপর অর্পিত চূড়ান্ত কসমের মাধ্যমে কোন মুসলিমের সম্পদ আত্মসাৎ করে অথচ সে মিথ্যাবাদী। এমন অবস্থায় আল্লাহর সাথে তার সাক্ষাৎ ঘটবে যে, তিনি তার প্রতি রেগে থাকবেন। রাবী বলেন, আশ’আস ইবনু কায়স তথায় প্রবেশ করলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, আবূ আবদুর রহমান (আবদুল্লাহ) তোমাদেরকে কি বর্ণনা করলেন? তদুত্তরে সকলে উক্ত হাদীসটির কথা বললেন। তিনি বললেন, আবূ আবদুর রহমান সত্যই বর্ণনা করেছেন, ঘটনাটি আমাকে কেন্দ্র করেই ঘটেছিল। ব্যাপার হলো ইয়ামানে জনৈক ব্যক্তির সাথে আমারও একখণ্ড ভূমি ছিল। এর মীমাংসা করার জন্য আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর খিদমাতে উপস্থিত হই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার দাবীর স্বপক্ষে তোমার নিকট কোন প্রমাণ আছে কি? আমি বললাম, না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তা হলে বিবাদীর কসম নেয়া হবে। আমি বললাম, এ ব্যক্তি তো কসম করবেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি তার উপর অর্পিত চূড়ান্ত কসমের মাধ্যমে কোন মুসলিমের সম্পদ গ্রাস করে অথচ সে মিথ্যাবাদী আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় তার সাক্ষাৎ ঘটবে যে, আল্লাহ তার প্রতি ক্রোধান্বিত থাকবেন। এরপর এ আয়াত নাযিল হয়, “যারা আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা এবং নিজেদের কসম তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে, পরকালে তাদের কোন অংশ নেই। কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন না; তাদের জন্য রয়েছে মর্মম্ভদ শাস্তি"- (সূরাহ্ আলে ইমরান ৩ঃ ৭৭)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৪, ইসলামিক সেন্টারঃ ২৬৩)
باب وَعِيدِ مَنِ اقْتَطَعَ حَقَّ مُسْلِمٍ بِيَمِينٍ فَاجِرَةٍ بِالنَّارِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينِ صَبْرٍ يَقْتَطِعُ بِهَا مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ هُوَ فِيهَا فَاجِرٌ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ " . قَالَ فَدَخَلَ الأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ فَقَالَ مَا يُحَدِّثُكُمْ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالُوا كَذَا وَكَذَا . قَالَ صَدَقَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ فِيَّ نَزَلَتْ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ أَرْضٌ بِالْيَمَنِ فَخَاصَمْتُهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " هَلْ لَكَ بَيِّنَةٌ " . فَقُلْتُ لاَ . قَالَ " فَيَمِينُهُ " . قُلْتُ إِذًا يَحْلِفُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ ذَلِكَ " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينِ صَبْرٍ يَقْتَطِعُ بِهَا مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ هُوَ فِيهَا فَاجِرٌ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ " . فَنَزَلَتْ ( إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً) إِلَى آخِرِ الآيَةِ .
Chapter: Warning of the Fire for the one who swears a false oath in order to unlawfully take the right of another muslim
It is narrated on the authority of Abdullah that the Messenger of Allah (ﷺ) observed: He who perjured with a view to appropriating the property of a Muslim, and he is in fact a liar and would meet Allah in a state that He would be angry with him. He (the narrator) said: There came Ash'ath b. Qais and said (to the people): What does Abu Abdur-Rahman (the Kunya of Abdullah b. Umar) narrate to you? They replied: So and so. Upon this he remarked: Abu Abdur-Rahman told the truth. This (command) has been revealed in my case. There was a piece of land in Yemen over which I and another person had a claim. I brought the dispute with him to the Messenger of Allah (to decide) He (the Holy Prophet) said: Can you produce an evidence (in your support)? I said: No. He (the Holy Prophet) observed: (Then the decision would be made) on his oath. I said: He would readily take an oath. Upon this the Messenger of Allah (ﷺ) remarked: He who perjured for appropriating the wealth of a Muslim, whereas he is a liar, would meet Allah while He would be angry with him. This verse was then revealed:" Verily those who barter Allah's covenant and their oaths at a small price..." (iii 77)
পরিচ্ছেদঃ ৬১. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে কোন মুসলিমের হাক্ক (অধিকার) তসরুফকারীর প্রতি জাহান্নামের হুমকী
২৫৩-(২২১/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কসমের মাধ্যমে কোন সম্পদ আত্মসাৎ করবে আল্লাহর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ঘটবে এমন অবস্থায় যে, তিনি তার প্রতি রেগে থাকবেন। পরে বর্ণনাকারী আমাশ বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি (ইয়ামানের ভূমির স্থলে) এ কথা বলেন, জনৈক ব্যক্তির সাথে আমার সাথে একটি কূপ নিয়ে বিরোধ ছিল। আমরা এর মীমাংসার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থিত হই। তখন তিনি বললেন, তোমার দু’জন সাক্ষী লাগবে অথবা বিবাদী থেকে কসম নেয়া হবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ২৬৪)
باب وَعِيدِ مَنِ اقْتَطَعَ حَقَّ مُسْلِمٍ بِيَمِينٍ فَاجِرَةٍ بِالنَّارِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ يَسْتَحِقُّ بِهَا مَالاً هُوَ فِيهَا فَاجِرٌ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ الأَعْمَشِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ كَانَتْ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ خُصُومَةٌ فِي بِئْرٍ فَاخْتَصَمْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " شَاهِدَاكَ أَوْ يَمِينُهُ " .
Chapter: Warning of the Fire for the one who swears a false oath in order to unlawfully take the right of another muslim
It is narrated on the authority of Abdullah that he heard the Prophet (ﷺ) saying: He who took an oath in order to entitle himself (to the possession) of a property, whereas he is a liar, would meet Allah in a state that He would be very much angry with him. Then the remaining part of the hadith was narrated as transmitted by A'mash but with the exception of these words: There was a dispute between me and another person in regard to a well. We referred this dispute to the Messenger of Allah (ﷺ). Upon this he remarked: Either (you should produce) two witnesses (to support your contention) or his oath (would be accepted as valid).
পরিচ্ছেদঃ ৬১. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে কোন মুসলিমের হাক্ক (অধিকার) তসরুফকারীর প্রতি জাহান্নামের হুমকী
২৫৪-(২২২/...) ইবনু আবূ উমার আল মাক্কী (রহঃ) ..... ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের সম্পদ আত্মসাতের জন্য মিথ্যা কসম করবে আল্লাহর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ঘটবে এমন অবস্থায় যে, তিনি তার প্রতি রেগে থাকবেন। আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রমাণ হিসেবে এ আয়াত পাঠ করেনঃ “যারা আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথ তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে, (পরকালে তাদের কোন অংশ নেই। কিয়ামতের দিনে আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন না; তাদের জন্য মর্মদ্ভদ শাস্তি রয়েছে)- (সূরাহ আ-লি ইমরান ৩ঃ ৭৭)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৬, ইসলামিক সেন্টারঃ ২৬৫)
باب وَعِيدِ مَنِ اقْتَطَعَ حَقَّ مُسْلِمٍ بِيَمِينٍ فَاجِرَةٍ بِالنَّارِ
وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَامِعِ بْنِ أَبِي رَاشِدٍ، وَعَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَعْيَنَ، سَمِعَا شَقِيقَ بْنَ سَلَمَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ حَلَفَ عَلَى مَالِ امْرِئٍ مُسْلِمٍ بِغَيْرِ حَقِّهِ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ " قَالَ عَبْدُ اللَّهِ ثُمَّ قَرَأَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِصْدَاقَهُ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ ( إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً) إِلَى آخِرِ الآيَةِ .
Chapter: Warning of the Fire for the one who swears a false oath in order to unlawfully take the right of another muslim
Ibn Mas'ud says: I heard the Messenger of Allah observing: He who took an oath on the property of a Muslim without legitimate right would meet Allah and He would be angry, with him. Then the Messenger of Allah (ﷺ) in support of his contention recited the verse:" Verily those who barter Allah's covenant and their oaths at a small price.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে কোন মুসলিমের হাক্ক (অধিকার) তসরুফকারীর প্রতি জাহান্নামের হুমকী
২৫৫-(২২৩/১৩৯) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ, আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ, হান্নাদ ইবনু আস সারী এবং আবূ আসিম আল হানাফী (রহঃ) ..... ওয়ায়িল (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। ওয়ায়িল (রাযিঃ) বলেন, হাযরামাওতের জনৈক ব্যক্তি কিনদীর এক ব্যক্তিকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থিত হয়। হাযরামাওতবাসী লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এ ব্যক্তি আমার একটি পৈতৃক ভূমি জোর করে দখল করে। কিনদী বলে উঠল না, এতো আমারই সম্পত্তি এবং আমারই দখলে আছে। এতে আমি চাষাবাদ করি, এতে কারোর কোন অধিকার নেই। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাযরামাওতবাসীকে বললেনঃ তোমার কোন সাক্ষী আছে? সে উত্তর দিল, না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তা হলে এ বিষয়ে বিবাদী কসম করবে। হাযরামাওতবাসী বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এতো অসৎ লোক, কসম করার বিষয়ে তার আদৌ পরোয়া নেই। আর সে কোন কিছুরই বাছ বিচার করে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, এছাড়া তার কাছ থেকে তোমার নেয়ার আর কোন পথ নেই। এরপর কিনদী শপথ করতে উদ্যোগ নিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যদি সে (কিনদী) অন্যায়ভাবে সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্য শপথ করে তবে সে অবশ্যই আল্লাহর কাছে এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে, তিনি তার মুখ ফিরিয়ে নিবেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৭, ইসলামিক সেন্টারঃ ২৬৬)
باب وَعِيدِ مَنِ اقْتَطَعَ حَقَّ مُسْلِمٍ بِيَمِينٍ فَاجِرَةٍ بِالنَّارِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَهَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ وَأَبُو عَاصِمٍ الْحَنَفِيُّ - وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ - قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ حَضْرَمَوْتَ وَرَجُلٌ مِنْ كِنْدَةَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ الْحَضْرَمِيُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هَذَا قَدْ غَلَبَنِي عَلَى أَرْضٍ لِي كَانَتْ لأَبِي . فَقَالَ الْكِنْدِيُّ هِيَ أَرْضِي فِي يَدِي أَزْرَعُهَا لَيْسَ لَهُ فِيهَا حَقٌّ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلْحَضْرَمِيِّ " أَلَكَ بَيِّنَةٌ " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَلَكَ يَمِينُهُ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الرَّجُلَ فَاجِرٌ لاَ يُبَالِي عَلَى مَا حَلَفَ عَلَيْهِ وَلَيْسَ يَتَوَرَّعُ مِنْ شَىْءٍ . فَقَالَ " لَيْسَ لَكَ مِنْهُ إِلاَّ ذَلِكَ " فَانْطَلَقَ لِيَحْلِفَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا أَدْبَرَ " أَمَا لَئِنْ حَلَفَ عَلَى مَالِهِ لِيَأْكُلَهُ ظُلْمًا لَيَلْقَيَنَّ اللَّهَ وَهُوَ عَنْهُ مُعْرِضٌ " .
Chapter: Warning of the Fire for the one who swears a false oath in order to unlawfully take the right of another muslim
It is narrated on the authority of Wa'il that there came a person from Hadramaut and another one from Kinda to the Apostle (ﷺ). One who had come from Hadramaut said: Messenger of Allah, only this man has appropriated my land which belonged to my father. The one who had came from Kinda contended. This is my land and is in my possession: I cultivate it. There is no right for him in it. The Messenger of Allah said to the Hadramite: Have you any evidence (to support you)? He replied in the negative. He (the Messenger of Allah) said: Then your case is to be decided on his oath. He (the Hadramite) said: Messenger of Allah, he is a liar and cares not what he swears and has no regard for anything. Upon this he (the Messenger of Allah) remarked: For you then there is no other help to it. He (the man from Kinda) set out to take an oath. When he turned his back the Messenger of Allah (ﷺ) observed: If he took an oath on his property with a view to usurping it, he would certainly meet his Lord in a state that He would turn away from him.
পরিচ্ছেদঃ ৬১. মিথ্যা কসমের মাধ্যমে কোন মুসলিমের হাক্ক (অধিকার) তসরুফকারীর প্রতি জাহান্নামের হুমকী
২৫৬-(২২৪/...) যুহায়র ইবনু হারব ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... ওয়ায়িল ইবনু হুজুর (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। ইত্যবসরে দু’ ব্যক্তি তার নিকট এসে একটি ভূমি সম্পর্কে বিচার প্রার্থনা করে। তন্মধ্যে একজন বলল, হে আল্লাহর রাসূল! জাহিলী যুগে এ ব্যক্তি আমার ভূমি জোর করে দখল করেছে। বর্ণনাকারী বলেন, বিচার প্রার্থনাকারী ছিল ইমরুল কায়স ইবনু আবিস আল কিনদী আর তার বিবাদী ছিল রাবি’আহ ইবনু আবদান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার সাক্ষী পেশ কর। লোকটি বলল, আমার কোন সাক্ষী নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তা হলে বিবাদী থেকে কসম নেয়া হবে। লোকটি বলল, তবে তো সে মিথ্যা কসম করে সম্পত্তি আত্মসাৎ করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ এছাড়া তার কাছ থেকে তোমার নেয়ার আর কোন পথ নেই। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর বিবাদী যখন শপথ করার জন্য প্রস্তুত হল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে অন্যায়ভাবে সম্পত্তি আত্মসাৎ করবে সে আল্লাহর কাছে এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে, তিনি তার প্রতি রেগে থাকবেন। রাবী ইসহাক তার বর্ণনায় رَبِيعَةُ بْنُ عَيْدَانَ (রাবী’আহ ইবনু আইদান) উল্লেখ করেন*। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫৮, ইসলামিক সেন্টারঃ ২৬৭)
(১) অধিকার দখলকার বেশি হকদার হবে, যার দখলে নেই তার থেকে।
(২) বিবাদী অস্বীকার করবে আর বাদীর নিকট কোন সাক্ষী থাকবে না, তখন বিবাদী কসম খাবে।
(৩) দখলের চাইতে সাক্ষী কার্যকরী বেশী। কাজেই যার নিকটে সাক্ষী থাকবে তার সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়ার পর তাকেই অভিযুক্ত জিনিসটি প্রদান করা হবে। কসমের প্রয়োজন হবে না।
(৪) বিবাদী যদি অসৎ ফাসিক হয় তাহলেও তার কসম গ্রহণ করা হবে। এর সাথে বাদীর দাবী শেষ হয়ে যাবে।
(৫) বাদী ও বিবাদী পরস্পর ঝগড়ার সময় যালিম, পাপী ইত্যাদি বললে, তার জন্য তাদের অভিযুক্ত করা হবে না বা শাস্তি দেয়া হবে না।
(৬) যদি উত্তরাধিকারী দাবী করে মূল ব্যক্তির (যার মাধ্যম হতে সে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়েছে) পক্ষ হতে এবং বিচারক জানতে পারেন যে, মূল ব্যক্তি মারা গেছে, আর তার বাদী ছাড়া আর কেউ নেই। তখন বাদীকে উত্তরাধিকারী হিসেবে মীমাংসা করা সঠিক হবে। কসম গ্রহণের কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি বিচারক জানতে না পারেন তাহলে উত্তরাধিকারী প্রমাণের জন্য বাদীর নিকট কসম গ্রহণ করতে হবে। তারপর তার দাবী প্রাপ্যের ব্যাপারেও কসম গ্রহণ করতে হবে। (সংক্ষিপ্ত নাবাবী)
باب وَعِيدِ مَنِ اقْتَطَعَ حَقَّ مُسْلِمٍ بِيَمِينٍ فَاجِرَةٍ بِالنَّارِ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي الْوَلِيدِ، قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَاهُ رَجُلاَنِ يَخْتَصِمَانِ فِي أَرْضٍ فَقَالَ أَحَدُهُمَا إِنَّ هَذَا انْتَزَى عَلَى أَرْضِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ - وَهُوَ امْرُؤُ الْقَيْسِ بْنُ عَابِسٍ الْكِنْدِيُّ وَخَصْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ عِبْدَانَ - قَالَ " بَيِّنَتُكَ " . قَالَ لَيْسَ لِي بَيِّنَةٌ . قَالَ " يَمِينُهُ " . قَالَ إِذًا يَذْهَبُ بِهَا . قَالَ " لَيْسَ لَكَ إِلاَّ ذَاكَ " . قَالَ فَلَمَّا قَامَ لِيَحْلِفَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنِ اقْتَطَعَ أَرْضًا ظَالِمًا لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ " . قَالَ إِسْحَاقُ فِي رِوَايَتِهِ رَبِيعَةُ بْنُ عَيْدَانَ .
Chapter: Warning of the Fire for the one who swears a false oath in order to unlawfully take the right of another muslim
Wa'il reported it on the authority of his father Hujr: I was with the Messenger of Allah (ﷺ) that two men came there disputing over a piece of land. One of them said: Messenger of Allah, this man appropriated my land without justification in the days of ignorance. The (claimant) was Imru'l-Qais b. 'Abis al-Kindi and his opponent was Rabi'a b. 'Iban He (the Holy Prophet) said (to the claimant): Have you evidence (to substantiate your claim)? He replied: I have no evidence. Upon this he (the Messenger of Allah) remarked: Then his (that is of the defendant) is the oath. He (the claimant) said: In this case he (the defendant) would appropriate this (the property). He (the Holy Prophet) said: There is than no other way left for you but this. He (the narrator) said: When he (the defendant) stood up to take oath, the Messenger of Allah (ﷺ) said: He who appropriated the land wrongfully would meet Allah in a state that He would be angry with him. Ishaq in his narration mentions Rabi'a b. 'Aidan (instead of Rabi'a b. 'Ibdan).