পরিচ্ছেদঃ ৬৬. সা’দ ইবনু মুয়ায (রাঃ) এর ফায়সালার উপর বনী কুরায়যা’র লোকদের (দুর্গ হতে) অবরতণ
২৫৪৭. জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আহযাবের যুদ্ধের দিন সা’দ ইবনু মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু তীরের আঘাতে আহত হয়েছিলেন। এতে তাঁর বাহুর প্রধান রগটি কেটে গিয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগুনের সেক দিয়ে (তাঁর রক্তক্ষরণ বন্ধ করে) দেন। পরে তার হাত ফুলে যায়। পরে পুনরায় রক্তক্ষরণে তিনি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েন। আবার তিনি তাকে সেঁক দিয়ে (তার রক্তক্ষরণ বন্ধ করে) দেন। এরপর পুনরায় তার হাত ফুলে যায়। সা’দ যখন এ অবস্থা দেখলেন, তখন দু’আ করলেন, হে আল্লাহ ! (ইয়াহুদী গোত্র) বনী কুরাইযার ব্যাপারে আমার চক্ষু শীতল না করে তুমি আমার প্রাণ হরণ করো না। সঙ্গে সঙ্গে তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায়। একটি ফোটাও আর তার রক্ত পড়েনি।
অবশেষে বনী কুরাইযা তার ফায়সালানুসারে (দুর্গ হতে) অবতরণ করে। এই বিষয়েই তার কাছে ফায়সালার জন্য লোক প্রেরণ করা হয়েছিল। তখন তিনি ফায়সালা দেন যে, এদের পুরুষদের হত্যা করা হবে এবং মেয়েদের ও সন্তানদের জীবিত রাখা হবে। তাদের মাধ্যমে মুসলিমরা কাজ নিবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এদের বিষয়ে তুমি মহান আল্লাহর (ইচ্ছামাফিক) ফায়সালায় উপনীত হয়ে পেরেছ।তাদের (বনী কুরাইযার পুরুষদের) সংখ্যা ছিল চারশ’। এদের হত্যা করা শেষ হলে তার (সা’দ রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর) আঘাতপ্রাপ্ত রগটি পুনরায় ফেটে যায় এবং তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[1]
তাখরীজ: এটি মুসলিমে সংক্ষিপ্ত আকারে রয়েছে। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৭৮৪ তে। এছাড়াও, তাহাবী, মুশকিলিল আছার নং ৩৫৭৯; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৩/২/৮; বাইহাকী, দালাইলুল নবুওয়াত ৪/২৮; ইবনু কাছীর, বিদা’আ ৪/১২২। ((আহমাদ ৩/৩৫০; তিরমিযী, সিয়ার ১৫৮২; নাসাঈ, কুবরা৫/২০৬-২০৭ নং ৮৬৭৯; মুসলিম, সালাম নং ২২০৮।– ফাতহুল মান্নান হা/২৬৬৮।–অনুবাদক))
باب فِي نُزُولِ أَهْلِ قُرَيْظَةَ عَلَى حُكْمِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ قَالَ رُمِيَ يَوْمَ الْأَحْزَابِ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فَقَطَعُوا أَبْجَلَهُ فَحَسَمَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّارِ فَانْتَفَخَتْ يَدُهُ فَنَزَفَهُ فَحَسَمَهُ أُخْرَى فَانْتَفَخَتْ يَدُهُ فَلَمَّا رَأَى ذَلِكَ قَالَ اللَّهُمَّ لَا تُخْرِجْ نَفْسِي حَتَّى تُقِرَّ عَيْنِي مِنْ بَنِي قُرَيْظَةَ فَاسْتَمْسَكَ عِرْقُهُ فَمَا قَطَرَ قَطْرَةً حَتَّى نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ سَعْدٍ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَحَكَمَ أَنْ تُقْتَلَ رِجَالُهُمْ وَتُسْتَحْيَى نِسَاؤُهُمْ وَذَرَارِيُّهُمْ يَسْتَعِينُ بِهِمْ الْمُسْلِمُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصَبْتَ حُكْمَ اللَّهِ فِيهِمْ وَكَانُوا أَرْبَعَ مِائَةٍ فَلَمَّا فُرِغَ مِنْ قَتْلِهِمْ انْفَتَقَ عِرْقُهُ فَمَاتَ