পরিচ্ছেদঃ ৭. এক (মুসলিম) ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর অপর জনের প্রস্তাব দেয়া নিষেধ

২২১৪. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক (মুসলিম) ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের অপর ব্যক্তির প্রস্তাব দিতে নিষেধ করেছেন।[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ خِطْبَةِ الرَّجُلِ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ نَهَى عَنْ أَنْ يَخْطُبَ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ

اخبرنا ابو الوليد الطيالسي حدثنا شعبة عن سهيل بن ابي صالح عن ابيه عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم انه نهى عن ان يخطب الرجل على خطبة اخيه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

পরিচ্ছেদঃ ৭. এক (মুসলিম) ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর অপর জনের প্রস্তাব দেয়া নিষেধ

২২১৫. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের ওপরে অন্য ভাইকে প্রস্তাব দিতে এবং এক ভাই দরদাম করলে অন্যকে তার দরদাম করতে নিষেধ করেছেন নিষেধ করেছেন, যতক্ষণ না প্রথম প্রস্তাবকারী তাকে অনুমতি দেবে।”[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ خِطْبَةِ الرَّجُلِ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَخْطُبُ أَحَدُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ وَلَا يَبِيعُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ حَتَّى يَأْذَنَ لَهُ

حدثنا عبد الله بن سعيد حدثنا عقبة بن خالد عن عبيد الله قال حدثني نافع عن ابن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يخطب احدكم على خطبة اخيه ولا يبيع على بيع اخيه حتى ياذن له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)

পরিচ্ছেদঃ ৭. এক (মুসলিম) ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর অপর জনের প্রস্তাব দেয়া নিষেধ

২২১৬. ফাতিমা বিনত কায়স রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি কুরাইশ গোত্রের বনী মাখযুম উপগোত্রের এক ব্যক্তির (আবূ আমর ইবন হাফসের) সাথে বিবাহাধীন ছিলেন। আর তিনি তাকে তিন তালাক বায়েন প্রদান করেন। এরপর তিনি তার উকিল মারফত তার নিকট খোরপোশ দাবী করেন। তখন তিনি বলেন, আল্লার শপথ! তোমার জন্য কোনো খোরপোশ প্রাপ্য নেই। এ খবরটি রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, “তার নিকট তোমার কিছুই পাওনা নেই। আর তোমার উপর ইদ্দত পালন ওয়াজিব। আর তুমি উম্মু শারীকের ঘরে চলে যাও (অবস্থান করো) এবং তোমার নিজের (নফসের) দ্বারা আমাদেরকে ফিতনায় ফেলো না।”

এরপর তিনি বলেন, “উম্মু শারীক এমন এক মহিলা, যার ঘরে তার মুহাজির ভাইয়েরা যাতায়াত করে। তুমি বরং উম্মে মাখতুমের ঘরে যাও (অবস্থান কর)। কেননা, সে হল একজন অন্ধ লোক, কাজেই তুমি তোমার কাপড় খুলে রাখলে সে কিছুই দেখতে পাবে না। আর তোমার নিজের (নফসের) দ্বারা আমাদেরকে ফিতনায় ফেলো না।” এরপর তিনি উম্মু মাকতুমের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিলেন। এবং যখন তিনি হালাল হলেন (ইদ্দত পূর্ণ করলেন), তখন তিনি উল্লেখ করলেন যে, মু’আবিয়া ও আবূ জাহাম উভয়ে তার নিকট বিবাহের উদ্দেশ্যে পয়গাম পাঠান। তখন রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, “মু’আবিয়া - সে তো ফকীর। আর আবূ জাহাম তো তার কাঁধ হতে লাঠিই সরায় না ( অর্থাৎ অধিক মারধরকারী)। এবং তার কোন মাল নেই। উসামার ব্যাপারে তোমার মত কি?” তার পরিবারের লোকদের নিকট তা অপছন্দনীয় মনে হলো। অত:পর সে বললো, আল্লাহর কসম! রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমারকে যার সাথে বিয়ে দিবেন, তাকে ছাড়া আমি বিয়েই করব না। এরপর তিনি উসামাকে বিবাহ করেন।

বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবনু আমির (রহঃ) বলে, মুহাম্মদ ইবনু ইবরাহীম বলেন, হে ফাতিমাহ! আল্লাহকে ভয় করো। তুমি জানো তো যে এটি কোন্ বিষয়ে ছিল।

তিনি বলেন, আর ইবনু আব্বাস বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা বলেন, “হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর তবে তাদেরকে তালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেকে, ইদ্দতের হিসাব রেখো এবং তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করো; তোমরা তাদেরকে তাদের বাসগৃহ হতে বের করে দিও না এবং তারাও যেন বের না হয়, যদি না তারা স্পষ্ট অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়।” (সুরা তালাক: ১) আর ফাহিশাহ (অশ্লীল কাজ)এর মধ্যে এও শামিল রয়েছে যে, সে তার পরিবারকে কষ্ট দেবে; সে একাজ করলে তাদের জন্য তাকে বের করে দেওয়া হালাল হয়ে যাবে।[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ خِطْبَةِ الرَّجُلِ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ أَنَّهَا حَدَّثَتْهُ وَكَتَبَهُ مِنْهَا كِتَابًا أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ رَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ فَطَلَّقَهَا الْبَتَّةَ فَأَرْسَلَتْ إِلَى أَهْلِهِ تَبْتَغِي مِنْهُمْ النَّفَقَةَ فَقَالُوا لَيْسَ لَكِ نَفَقَةٌ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَيْسَ لَكِ نَفَقَةٌ وَعَلَيْكِ الْعِدَّةُ وَانْتَقِلِي إِلَى بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ وَلَا تُفَوِّتِينَا بِنَفْسِكِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ أُمَّ شَرِيكٍ امْرَأَةٌ يَدْخُلُ عَلَيْهَا إِخْوَانُهَا مِنْ الْمُهَاجِرِينَ وَلَكِنْ انْتَقِلِي إِلَى بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَإِنَّهُ رَجُلٌ أَعْمَى إِنْ وَضَعْتِ ثِيَابَكِ لَمْ يَرَ شَيْئًا وَلَا تُفَوِّتِينَا بِنَفْسِكِ فَانْطَلَقَتْ إِلَى بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَلَمَّا حَلَّتْ ذَكَرَتْ أَنَّ مُعَاوِيَةَ وَأَبَا جَهْمٍ خَطَبَاهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَّا مُعَاوِيَةُ فَرَجُلٌ لَا مَالَ لَهُ وَأَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَلَا يَضَعُ عَصَاهُ عَنْ عَاتِقِهِ فَأَيْنَ أَنْتُمْ مِنْ أُسَامَةَ فَكَأَنَّ أَهْلَهَا كَرِهُوا ذَلِكَ فَقَالَتْ وَاللَّهِ لَا أَنْكِحُ إِلَّا الَّذِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَكَحَتْ أُسَامَةَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ يَا فَاطِمَةُ اتَّقِي اللَّهَ فَقَدْ عَلِمْتِ فِي أَيِّ شَيْءٍ كَانَ هَذَا قَالَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى لَا تُخْرِجُوهُنَّ مِنْ بُيُوتِهِنَّ وَلَا يَخْرُجْنَ إِلَّا أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ وَالْفَاحِشَةُ أَنْ تَبْذُوَ عَلَى أَهْلِهَا فَإِذَا فَعَلَتْ ذَلِكَ فَقَدْ حَلَّ لَهُمْ أَنْ يُخْرِجُوهَا

اخبرنا يزيد بن هارون اخبرنا محمد بن عمرو عن ابي سلمة عن فاطمة بنت قيس انها حدثته وكتبه منها كتابا انها كانت تحت رجل من قريش من بني مخزوم فطلقها البتة فارسلت الى اهله تبتغي منهم النفقة فقالوا ليس لك نفقة فبلغ ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ليس لك نفقة وعليك العدة وانتقلي الى بيت ام شريك ولا تفوتينا بنفسك ثم قال ان ام شريك امراة يدخل عليها اخوانها من المهاجرين ولكن انتقلي الى بيت ابن ام مكتوم فانه رجل اعمى ان وضعت ثيابك لم ير شيىا ولا تفوتينا بنفسك فانطلقت الى بيت ابن ام مكتوم فلما حلت ذكرت ان معاوية وابا جهم خطباها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اما معاوية فرجل لا مال له واما ابو جهم فلا يضع عصاه عن عاتقه فاين انتم من اسامة فكان اهلها كرهوا ذلك فقالت والله لا انكح الا الذي قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فنكحت اسامة قال محمد بن عمرو قال محمد بن ابراهيم يا فاطمة اتقي الله فقد علمت في اي شيء كان هذا قال وقال ابن عباس قال الله تعالى لا تخرجوهن من بيوتهن ولا يخرجن الا ان ياتين بفاحشة مبينة والفاحشة ان تبذو على اهلها فاذا فعلت ذلك فقد حل لهم ان يخرجوها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে