পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৩০. ইবরাহীম ইবনু মায়সারাহ বলেন, মুজাহিদ তাউসকে স্বপ্নে দেখলেন যেন তিনি কা’বার মধ্যে মুখ ঢাকা অবস্থায় সালাত আদায় করছেন, আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কা’বার দরজায় দাঁড়িয়ে তাকে বলছেন: “হে আব্দুল্লাহ! তোমার মুখের আবরণ খুলে ফেলো এবং সজোরে কিরা’আত করো (কুরআন তিলাওয়াত করো)।” তিনি বলেন: ফলে তিনি এ (স্বপ্নে)’র তা’বীর (ব্যাখ্যা) করলেন ’ইলম’। পরবর্তীতে হাদীসের ক্ষেত্রে সে বিস্তৃত জ্ঞান লাভ করেছিলেন।[1]
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৪/৫, সেটিও মুরসাল হিসেবে সহীহ।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، قَالَ: رَأَى مُجَاهِدٌ طاوُوسًا فِي الْمَنَامِ كَأَنَّهُ فِي الْكَعْبَةِ يُصَلِّي مُتَقَنِّعًا، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بَابِ الْكَعْبَةِ فَقَالَ لَهُ «يَا عَبْدَ اللَّهِ اكْشِفْ قِنَاعَكَ وَأَظْهِرْ قِرَاءَتَكَ» قَالَ: «فَكَأَنَّهُ عَبَّرَهُ عَلَى الْعِلْمِ، فَانْبَسَطَ بَعْدَ ذَلِكَ فِي الْحَدِيثِ
إسناده صحيح غير أنه مرسل
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৩১. আব্দুল্লাহ ইবনু যামরাহ হতে বর্ণিত, তিনি কা’ব হতে বর্ণনা করেন, কা’ব বলেন: দুনিয়া ও এর মধ্যে যা কিছু আছে- সবকিছুই অভিশপ্ত, কেবল কল্যাণকর বিষয়ে শিক্ষা অর্জনকারী এবং কল্যাণের শিক্ষা দানকারী ব্যতীত।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ১৩/৫৩৪ নং ১৭১৮১; তিরমিযী ২৩২৩; ইবনু মাজাহ ৪১১২; উকাইলী, আদ দু’আফা ২/৪২৬; বাইহাকী, শুয়াব নং ১৭০৮; ইবনুল জাউযী, আল ইলালুল মুতানাহিয়্যাহ নং ১৩৩০: অনেকগুলো সনদে, মারফু’ হিসেবে যেখানে রয়েছে: আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি: “দুনিয়া ও এর মধ্যে যা কিছু আছে, এ সবকিছুই অভিশপ্ত কেবল আল্লাহর যিকর ও এ সংশ্লিষ্ট যা কিছু আছে, কিংবা আলিম ও ইলম শিক্ষাদানাকারী ব্যতীত।” তিরমিযী বলেন, এ হাদীস হাসান গারীব।’ দেখুন, তারগীব ওয়াত তারহীব ১/৯৮ ও মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৪৯৯। ফলে তা এ হাদীসের শাহিদ ।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ يَمَانٍ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ ضَمْرَةَ، عَنْ كَعْبٍ قَالَ: «الدُّنْيَا مَلْعُونَةٌ مَلْعُونٌ مَا فِيهَا إِلَّا مُتَعَلِّمَ خَيْرٍ أَوْ مُعَلِّمَهُ
إسناده حسن يحيى بن يمان حسن الحديث فيما لم يخالف فيه
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৩২. খালিদ ইবনু মা’দান বলেন: মানুষ (এ দু’ প্রকারের): আলিম ও ইলম শিক্ষার্থী; এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে নির্বোধ লোকজন- তাদের মাঝে কোনো কল্যাণ নেই।[1]
তাখরীজ: কিন্তু এর শাহিদ রয়েছে ইবনু মাসউদ কর্তৃক বর্ণিত মারফু’ হাদীসে যা আমরা আমাদের তাহক্বীক্বকৃত মাওয়ারিদুয যাম’আন, নং ৪৯৮ এ বিস্তারিত বর্ণনা করেছি।
এছাড়া আবু দারাদা’ হতেও এটি মারফু’ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে যা মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৫০০ তে আমরা বিস্তারিত তাখরীজ করেছি। এছাড়া এটি রয়েছে আহমদ, আয যুহদ পৃ: ১৩৬; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ১১৪ আবু দারদা’ হতে..... এ সনদ সহীহ, যদি খালিদ আবূ দারদা রা: হতে শুনে থাকেন।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، قَالَ: «النَّاسُ عَالِمٌ وَمُتَعَلِّمٌ، وَمَا بَيْنَ ذَلِكَ هَمَجٌ لَا خَيْرَ فِيهِ
إسناده ضعيف لضعف محمد بن كثير بن أبي عطاء
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৩৩. হিশাম হতে বর্ণিত হাসান রাহি. বলেন: তারা বলতেন: “আলিমের মৃত্যু হলো ইসলামের মধ্যে এমন এক শুন্যস্থান, যা কোন কিছুতেই পূরণ হবে না- যতদিন দিন-রাত আবর্তিত হতে থাকবে (কিয়ামত পর্যন্ত)।”[1]
তাখরীজ: আহমদ, আয যুহদ পৃ: ২৬২; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ১০২১; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ১৭১৯;
এছাড়া আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে এটি মারফু’ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে যা আমরা তাখরীজ করেছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৯৯৯, এর সনদে অভিযুক্ত রাবী রয়েছে।
এছাড়া জাবির ও আবু দারদা হতেও এ হাদীস মারফু’ হিসেবে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু তাতে আনন্দের কিছু নেই। আমরা এগুলো তাখরীজ করেছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ১০০১ এ।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: كَانُوا يَقُولُونَ: «مَوْتُ الْعَالِمِ ثُلْمَةٌ فِي الْإِسْلَامِ لَا يَسُدُّهَا شَيْءٌ مَا اخْتَلَفَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৩৪. মুনযির ইবনু নু’মান ওয়াহাব ইবনু মুনাব্বিহ হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন: যে সময়টুকু ইলম সম্পর্কে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়, সেই পরিমাণ সময় (নফল) সালাত আদায় করার চেয়েও তা আমার নিকট অধিক প্রিয়। হয়তো তাদের কেউ এমন কথা শুনবে যা দ্বারা সে এক বছর কিংবা যতদিন সে বেঁচে থাকবে ততদিন পর্যন্ত উপকৃত হতে থাকবে।[1]
তাখরীজ: মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ করেননি- অনুবাদক।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَنبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا مُنْذِرٌ هُوَ ابْنُ النُّعْمَانِ، عَنْ وَهْبِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ: «مَجْلِسٌ يُتَنَازَعُ فِيهِ الْعِلْمُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ قَدْرِهِ صَلَاةً، لَعَلَّ أَحَدَهُمْ يَسْمَعُ الْكَلِمَةَ فَيَنْتَفِعُ بِهَا سَنَةً أَوْ مَا بَقِيَ مِنْ عُمُرِهِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৩৫. ওয়াকী’ হতে বর্ণিত, সুফিয়ান বলেন: ইলমের মাধ্যমে আল্লাহ যার কল্যাণ করতে চান, তার জন্য জ্ঞান অর্জন করা ও তা স্মরণ রাখার চেয়ে উত্তম কোনো আমলের কথা আমি জানি না।[1]
তাখরীজ: আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৬/৩৬৩; ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৯৯, ১০০ সুফিয়ান থেকে বর্ণনা করেছেন, “ফরয আমলসমূহের পরে জ্ঞানার্জনের চেয়ে উত্তম কোনো আমল নেই।”
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَنبَأَنَا وَكِيعٌ، قَالَ: قَالَ سُفْيَانُ: «مَا أَعْلَمُ عَمَلًا أَفْضَلَ مِنْ طَلَبِ الْعِلْمِ وَحِفْظِهِ لِمَنْ أَرَادَ اللَّهَ تَعَالَى بِهِ خَيْرًا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৩৬. তিনি আরও বলেন, হাসান ইবনু সালিহ বলেছেন: লোকেরা যেভাবে তাদের দুনিয়াবী (পার্থিব) বিষয়ে খাদ্য ও পানীয়ের মুখাপেক্ষী, ঠিক তেমনিভাবে তারা তাদের দীনের বিষয়ে এ ইলমের মুখাপেক্ষী।[1]
তাখরীজ: খতীব, শরফু আসহাবিল হাদীস নং ১৭৮।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
وقَالَ: قَالَ الْحَسَنُ بْنُ صَالِحٍ، «إِنَّ النَّاسَ لَيَحْتَاجُونَ إِلَى هَذَا الْعِلْمِ فِي دِينِهِمْ، كَمَا يَحْتَاجُونَ إِلَى الطَّعَامِ وَالشَّرَابِ فِي دُنْيَاهُمْ
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৩৭. সালিম ইবনু আবুল জা’দ বলেন, আবু দারদা’ বলেছেন, ইলম উঠিয়ে নেওয়ার পূর্বেই তোমরা ইলম শিক্ষা কর। আর ইলমকে উঠিয়ে নেওয়ার অর্থ হলো আলিমগণকে উঠিয়ে নেয়া। আর আলিম ও ইলম শিক্ষার্থী সাওয়াবের দিক দিয়ে সমান।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবু শায়বাহ, ৮/৭৩০ নং ৬১৭২; আর ২৫১ নং এ এটি গত হয়েছে, পূর্ণ তাখরীজের জন্য সেখানে দেখুন।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، وَجَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، قَالَ قَالَ: أَبُو الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، «تَعَلَّمُوا قَبْلَ أَنْ يُقْبَضَ الْعِلْمُ. فَإِنَّ قَبْضَ الْعِلْمِ قَبْضُ الْعُلَمَاءِ، وَإِنَّ الْعَالِمَ وَالْمُتَعَلِّمَ فِي الْأَجْرِ سَوَاءٌ
إسناده ضعيف لانقطاعه
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৩৮. আবু আব্দুল্লাহ আল খুরাসানী থেকে বর্ণিত, তিনি দাহহাক থেকে বর্ণনা করেন, (وَلَكِنْ كُونُوا رَبَّانِيِّينَ بِمَا كُنْتُمْ تُعَلِّمُونَ الْكِتَابَ) (এ আয়াতের ব্যাখ্যায়) তিনি বলেন: যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে, তার উপর জরুরী হলো যে, সে একজন ফকীহ (বিশেষ জ্ঞানী) হবে।”[1]
তাখরীজ: দাওলাবী, আল কুন্নী ২/৬১ ....।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْخُرَاسَانِيِّ، عَنِ الضَّحَّاكِ، (وَلَكِنْ كُونُوا رَبَّانِيِّينَ بِمَا كُنْتُمْ تُعَلِّمُونَ الْكِتَابَ) [آل عمران: 79] قَالَ: حَقٌّ عَلَى كُلِّ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ، أَنْ يَكُونَ فَقِيهًا
لم يحكم عليه المحقق
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৩৯. আশ’আস ইবনু সিওয়ার, হাসান হতে বর্ণনা করেন, (لَوْلَا يَنْهَاهُمُ الرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ) হাসান বলেন: তারা হলেন বিজ্ঞ আলিমগণ।[1]
তাখরীজ: এটি এ ব্যতীত অন্য কোথাও পাইনি। তবে আগের এবং পরের হাদীস দু’টি দেখুন।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَفْصٍ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سَوَّارٍ، عَنِ الْحَسَنِ، (لَوْلَا يَنْهَاهُمُ الرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ) [المائدة: 63] قَالَ: الْحُكَمَاءُ الْعُلَمَاءُ
إسناده ضعيف لضعف أشعث بن سوار
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৪০. আতা ইবনু সাইব হতে, তিনি সাঈদ ইবনু জুবাইর হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: (كُونُوا رَبَّانِيِّينَ) (আল্লাহওয়ালা’রা হয়ে যাও।” সুরাহ: আলে ইমরাণ: ৭৯) অর্থাৎ ফকীহ (বিশেষজ্ঞ) আলিমগণ।[1]
তাখরীজ: তাবারী, আত তাফসীর ৩/৩২৭; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ১৮৫৬; খতীব, ফকীহ ওয়াল মুতাফাককিহ ১/৫১।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: (كُونُوا رَبَّانِيِّينَ) [آل عمران: 79] قَالَ: عُلَمَاءُ فُقَهَاءُ
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৪১. উবাইদুল্লাহ্ বিন সাঈদ বলেছেন, আমি সুফইয়ান ইবনু উয়াইনাকে বলতে শুনেছি: ইলম বলতে বুঝায় হিফজ করা ((মুখস্ত/স্মরণ রাখা), আমল করা, মনোযোগ সহকারে শোনা, চুপ থাকা এবং তা প্রচার-প্রসার করা।”[1]
তাখরীজ: বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ১৭৯৭; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৭/২৭৪; কাযী আয়ায, আল ইলমা’ পৃ: ২২১; ইবনু আব্দুল বারর, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৭৬০,৭৬১ (শব্দের ক্রমের কমবেশিসহ।)
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ سُفْيَانَ بْنَ عُيَيْنَةَ، يَقُولُ: «يُرَادُ لِلْعِلْمِ الْحِفْظُ، وَالْعَمَلُ، وَالِاسْتِمَاعُ، وَالْإِنْصَاتُ، وَالنَّشْرُ
رجاله ثقات غير أن أبا إسحاق إبراهيم بن محمد ابن الحارث ليس مذكورا فيمن سمعوا من عطاء قبل اختلاطه
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৪২. আহমদ ইবনু মুহাম্মদ হতে বর্ণিত, সুফইয়ান ইবনু উয়াইনা বলেন: সবচেয়ে জাহিল (মুর্খ) হলো ঐ ব্যক্তি, যে সে যা জানে তা (আ’মাল করা) ছেড়ে দেয়। আর সর্বাধিক জ্ঞানী ঐ ব্যক্তি, যে সে যা জানে সেই অনুযায়ী আ’মাল করে। আর সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন সেই ব্যক্তি যে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’র জন্য সবচেয়ে বিনীত।”[1]
তাখরীজ: এ বিষয়ে আর কিছু আমি পাইনি।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
قَالَ: وأخْبرني مُحَمَّدٌ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عُيَيْنَةَ قَالَ: «أَجْهَلُ النَّاسِ مَنْ تَرَكَ مَا يَعْلَمُ، وَأَعْلَمُ النَّاسِ مَنْ عَمِلَ بِمَا يَعْلَمُ، وَأَفْضَلُ النَّاسِ أَخْشَعَهُمْ لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৪৩. হাসান বলেন, দু’ প্রকারের ক্ষুধার্ত (লোভী) ব্যক্তি কখনও পরিতৃপ্ত হয় না। ১. ’ইলমের প্রতি ক্ষুধার্ত (জ্ঞান অনুসন্ধানী) সে কখনও পরিতৃপ্ত হয় না এবং দুনিয়া’র প্রতি ক্ষুধার্ত (লোভী) সেও কথনও পরিতৃপ্ত হয় না। আর আখিরাতই যার উদ্বেগ-আগ্রহ, অস্থিরতা ও বিষন্নতা (এর কেন্দ্রবিন্দু), আল্লাহই তার সকল (দুনিয়াবী) ক্ষতির বিরুদ্ধে যথেষ্ট হয়ে যান এবং তিনি তার অন্তরকে মুখাপেক্ষীহীন (অভাবমুক্ত) করেন। আর দুনিয়াই যার সকল উদ্বেগ-আগ্রহ, অস্থিরতা ও বিষন্নতা (এর কেন্দ্রবিন্দু), আল্লাহ তার (দুনিয়াবী) ক্ষতি বাড়িয়ে দেন এবং তার দু’চোখের মাঝে দারিদ্রকে স্থাপন করেন। ফলে সে সকাল করবে দরিদ্র হিসেবে এবং সন্ধ্যাও অতিবাহিত করবে দরিদ্র হিসেবেই (দরিদ্র হিসেবেই জীবন যাপন করতে থাকবে)।[1]
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ زَيْدٍ هُوَ ابْنُ أَبِي أُنَيْسَةَ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: " مَنْهُومَانِ لَا يَشْبَعَانِ: مَنْهُومٌ فِي الْعِلْمِ لَا يَشْبَعُ مِنْهُ، وَمَنْهُومٌ فِي الدُّنْيَا لَا يَشْبَعُ مِنْهَا، فَمَنْ تَكُنِ الْآخِرَةُ هَمَّهُ، وَبَثَّهُ، وَسَدَمَهُ، يَكْفِي اللَّهُ ضَيْعَتَهُ، وَيَجْعَلُ غِنَاهُ فِي قَلْبِهِ، وَمَنْ تَكُنِ الدُّنْيَا هَمَّهُ، وَبَثَّهُ، وَسَدَمَهُ، يُفْشِي اللَّهُ عَلَيْهِ ضَيْعَتَهُ، وَيَجْعَلُ فَقْرَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ، ثُمَّ لَا يُصْبِحُ إِلَّا فَقِيرًا، وَلَا يُمْسِي إِلَّا فَقِيرًا
إسناده صحيح إلى الحسن
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৪৪. আউন বলেন, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: দু’ প্রকারের ক্ষুধার্ত (লোভী) ব্যক্তি কখনও পরিতৃপ্ত হয় না। জ্ঞানী ব্যক্তি ও দুনিয়াদার ব্যক্তি। তবে তারা দু’জন সমান নয়। জ্ঞানবান ব্যক্তির ক্ষেত্রে তা দয়াময় আল্লাহর সন্তুষ্টি বাড়িয়ে দেয়। আর দুনিয়াদার ব্যক্তির ব্যাপার হলো, (দুনিয়ার পিছনে পড়ে) সে অবাধ্যতার সীমা ছাড়িয়ে যায়। অতঃপর আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু তিলাওয়াত করলেন:
كَلَّا إِنَّ الْإِنْسَانَ لَيَطْغَى أَنْ رَآهُ اسْتَغْنَى
(অর্থ: কখনও নয়, মানুষ তো সীমালঙ্ঘন করেই থাকে, কারণ সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে।” (সূরা আলাক্ব: ৬-৭)
তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন: তিনি আরও বলেন,
إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ
অর্থ: আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলিমগণই আল্লাহ তায়ালাকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে।- (সূরা ফাতির: ২৮)[1]
তাখরীজ: আমরা এর তাখরীজ সম্পূর্ণ করেছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৫৭৬ এ।
আর এর শাহিদ হাদীস ইবনু আব্বাস হতে তাবারানী, আল কাবীর ১১/৭৬-৭৭ নং ১১০৯৫ যয়ীফ সনদে বর্ণনা করেছেন।
মারফু’ হিসেবে ইবনু আবী শাইবা, আল মুছান্নাফ ৮/৭২৯ নং ৬১৬৯; তার সনদে ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম নং ৫৮৩; আবু খায়ছামাহ, আল ইলম নং ১৪১; ইবনুল জাওযী, আল ইলালুল মুতানাহিয়্যাহ ১/৯৪-৯৫ নং ১১১।
এ দু’ হাদীসের অপর শাহিদ উল্লেখ করেছি আনাস রা: হতে। .....
সাখাবী ইবনু মাসউদ, ইবনু আব্বাস, আনাস ও অন্যান্যদের হাদীস উল্লেখ করার পর বলেন: এ অনুচ্ছেদে ইবনু উমার, আবূ হুরাইরা হতেও বর্ণিত আছে। যদিও সেগুলি একক ভাবে যয়ীফ, তথাপিও সামগ্রিকভাবে শক্তিশালী....।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَنبَأَنَا أَبُو عُمَيْسٍ، عَنْ عَوْنٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، " مَنْهُومَانِ لَا يَشْبَعَانِ: صَاحِبُ الْعِلْمِ، وَصَاحِبُ الدُّنْيَا، وَلَا يَسْتَوِيَانِ. أَمَّا صَاحِبُ الْعِلْمِ، فَيَزْدَادُ رِضًا لِلرَّحْمَنِ، وَأَمَّا صَاحِبُ الدُّنْيَا، فَيَتَمَادَى فِي الطُّغْيَانِ، ثُمَّ قَرَأَ عَبْدُ اللَّهِ (كَلَّا إِنَّ الْإِنْسَانَ لَيَطْغَى أَنْ رَآهُ اسْتَغْنَى) [العلق: 7] قَالَ: وَقَالَ الْآخَرُ: (إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ) [فاطر: 28]
إسناده منقطع: عون بن عبد الله بن عتبة أرسل عن ابن مسعود وهو مرسل
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৪৫. ইকরিমাহ, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণনা করেন,
إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ
অর্থ: আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলিমগণই আল্লাহ তায়ালাকে সবচেয়ে বেশি ভয় করে।- (সূরা ফাতির: ২৮)
তিনি (আয়াত সম্পর্কে) বলেন: যে আল্লাহকে ভয় করে, সে-ই একজন আলিম।”[1]
তাখরীজ: তাবারী, তাফসীর ২২/১৩২; লালকাঈ, আল ই’তিক্বাদ নং ৯৪৫ যয়ীফ ও বিচ্ছিন্ন সনদে। এর অনেক শাহিদ বর্ণনা রয়েছে।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُخْتَارٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ بْنُ الْأَزْهَرِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، (إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ) [فاطر: 28] قَالَ: مَنْ خَشِيَ اللَّهَ فَهُوَ عَالِمٌ
في إسناد هذا الأثر علتان: ضعف محمد بن حميد واضطراب رواية سماك عن عكرمة
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৪৬. তাউস ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: দু’ প্রকারের ক্ষুধার্ত (লোভী) ব্যক্তি কখনও পরিতৃপ্ত হয় না। ১. ’তালিবে ইলম’ (জ্ঞান অনুসন্ধানী) এবং দুনিয়া অনুসন্ধানী।[1]
তাখরীজ: এর পূর্ণ তাখরীজ আমরা করেছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৫৭৭ এ। আরও দেখুন পূর্বের হাদীস নং ৩৪৪ এর আমাদের টীকা।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: " مَنْهُومَانِ لَا يَشْبَعَانِ: طَالِبُ عِلْمٍ، وَطَالِبُ دُنْيَا
إسناده ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৪৭. রবী’আহ ইবনু ইয়াযীদ বলেন, আমি ওয়াসিলা ইবনুল আসক্বা’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি জ্ঞান অন্বেষণ করে অত:পর তা অর্জন করতে সক্ষম হয়, তার জন্য রয়েছে দু’টি সাওয়াব; আর (অন্বেষণ করা সত্ত্বেও) যে তা অর্জন করতে সক্ষম হয়না, তার জন্য রয়েছে একটি সাওয়াব।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আব্দুল বার, জামি’ বায়ানিল ইলম, নং ২১৩; খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুতাফাককিহ ২/৮৫; কুদায়ী, মুসনাদুশ শিহাব নং ৪৮১, ১৫১৩; তাবারানী, আল কাবীর ২২/৬৮ নং ১৬৫।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ رَبِيعَةَ الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ: سَمِعْتُ وَاثِلَةَ بْنَ الْأَسْقَعِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ فَأَدْرَكَهُ، كَانَ لَهُ كِفْلَانِ مِنَ الْأَجْرِ، فَإِنْ لَمْ يُدْرِكْهُ، كَانَ لَهُ كِفْلٌ مِنَ الْأَجْرِ
يزيد بن ربيعة الصنعاني قال أبو حاتم: منكر الحديث واهي الحديث
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৪৮. আব্বাস আল ’আম্মী (অন্ধ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার নিকট একথা পৌঁছেছে যে, নবী দাউদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর দু’আয় বলতেন: ’হে আল্লাহ, আপনি অতি পবিত্র। আপনি আমার রব, আপনি সুমহান, আপনার আরশের উর্ধ্বে। আর আপনার ভয়কে আসমানসমূহ ও পৃথিবীর অধিবাসীদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে আপনার সৃষ্টির মধ্যে আপনার ভয় যার যতবেশী, সে ততবেশী আপনার নিকটতর মর্যাদা লাভ করে। যে আপনাকে ভয় করে না, তার কোনো ইলম-ই নেই। আর যে আপনার আদেশের আনুগত্য-অনুসরণ করে না, তার কোনো হিকমাহ (বিচক্ষণতা-প্রজ্ঞা) নেই।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ১০/২৭৭ নং ৯৪৩০; দেখুন দুররে মানসুর ৫/২৫০।
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَوْفٍ، عَنْ عَبَّاسٍ الْعَمِّيِّ، قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ دَاوُدَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي دُعَائِهِ: «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ، أَنْتَ رَبِّي تَعَالَيْتَ فَوْقَ عَرْشِكَ، وَجَعَلْتَ خَشْيَتَكَ عَلَى مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، فَأَقْرَبُ خَلْقِكَ مِنْكَ مَنْزِلَةً أَشَدُّهُمْ لَكَ خَشْيَةً. وَمَا عِلْمُ مَنْ لَمْ يَخْشَكَ؟ وَمَا حِكْمَةُ مَنْ لَمْ يُطِعْ أَمْرَكَ؟
عباس العمي مجهول وباقي رجاله ثقات
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ইলম ও আলিমের মর্যাদা
৩৪৯. দাহহাক থেকে বর্ণিত, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: আলিম হও, কিংবা ইলম শিক্ষার্থী হও। কেননা, এ দু’প্রকারের লোক ব্যতীত অন্যান্যদের মাঝে কোনো কল্যাণ নেই।[1]
তাখরীজ: (মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ করেননি- অনুবাদক।)
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِلْمِ وَالْعَالِمِ
أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا سَلَّامٌ هُوَ ابْنُ أَبِي مُطِيعٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا الْهَزْهَازِ، يُحَدِّثُ: عَنِ الضَّحَّاكِ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، «اغْدُ عَالِمًا، أَوْ مُتَعَلِّمًا، وَلَا خَيْرَ فِيمَا سِوَاهُمَا
إسناده منقطع لم يسمع الضحاك بن مزاحم من ابن مسعود ورجاله ثقات: أبو الهزهاز هو نصر بن زياد العجلي