পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

২৯৬. জুবাইর ইবনু নুফাইর আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ছিলাম। তিনি আকাশের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললেন: “এই সময়ে লোকদের নিকট থেকে ইলমকে কেড়ে নেয়া হবে, এমনকি এর উপর তাদের কোনো ক্ষমতাই থাকবে না।” তখন যিয়াদ ইবনু লাবীদ আল আনসারী বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, কিভাবে আমাদের থেকে জ্ঞানকে কেড়ে নেয়া হবে, অথচ আমরা কুরআন পড়ছি? আল্লাহর কসম, আমরা তো অবশ্যই পড়ছি, এমনকি আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদেরকেও পড়াচ্ছি। তখন তিনি বললেন: “হে যিয়াদ, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! আমি তো তোমাকে মদীনাবাসীদের মধ্যে ফকীহ হিসেবে গণ্য করতাম! এই যে ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানদের নিকট তাওরাত ও ইন্জিল কিতাব রয়েছে, তা তাদের কোন্ কাজে আসছে?” জুবাইর বলেন: আমি উবাদাহ ইবনু সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু’র সাথে সাক্ষাৎ করলাম।’ তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তিনি বললেন: আমি বললাম, আপনি কি শুনেননি আপনার ভাই আবু দারদা কী বলছেন? তিনি যা বলেছিলেন, আমি তাকে তা জানালাম।

তখন তিনি বললেন: আবু দারদা সত্যই বলেছেন, তুমি চাইলে আমি তোমার নিকট এ সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করতে পারি যে, সর্বপ্রথম কোন্ জ্ঞান লোকদের থেকে উঠিয়ে নেয়া হবে। (সর্বপ্রথম লোকদের নিকট থেকে জ্ঞানের যে অংশটুকু উঠিয়ে নেয়া হবে তা হলো) ’খুশু’ (আল্লাহর ভয়)। শীঘ্রই তুমি কোনো জামে’ মসজিদে প্রবেশ করে সেখানে ’খুশু’ ওয়ালা (ভয়াবনত) একজন লোককেও পাবে না।”[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ جُبْيَرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَشَخَصَ بِبَصَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَالَ: «هَذَا أَوَانُ يُخْتَلَسُ الْعِلْمُ مِنَ النَّاسِ حَتَّى لَا يَقْدِرُوا مِنْهُ عَلَى شَيْءٍ» فَقَالَ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ الْأَنْصَارِيُّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَكَيْفَ يُخْتَلَسُ مِنَّا وَقَدْ قَرَأْنَا الْقُرْآنَ؟ فَوَاللَّهِ لَنَقْرَأَنَّهُ، وَلَنُقْرِئَنَّهُ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا، فَقَالَ: «ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا زِيَادُ، إِنْ كُنْتُ لَأَعُدُّكَ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ، هَذِهِ التَّوْرَاةُ وَالْإِنْجِيلُ عِنْدَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى، فَمَاذَا يُغْنِي عَنْهُمْ؟» قَالَ جُبَيْرٌ: فَلَقِيتُ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قُلْتُ أَلَا تَسْمَعُ مَا يَقُولُ أَخُوكَ أَبُو الدَّرْدَاءِ؟ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ. قَالَ: صَدَقَ أَبُو الدَّرْدَاءِ إِنْ شِئْتَ لَأُحَدِّثَنَّكَ بِأَوَّلِ عِلْمٍ يُرْفَعُ مِنَ النَّاسِ: الْخُشُوعُ، يُوشِكُ أَنْ تَدْخُلَ مَسْجِدَ الْجَمَاعَةِ فَلَا تَرَى فِيهِ رَجُلًا خَاشِعًا

إسناده ضعيف عبد الله بن صالح سيئ الحفظ وفيه غفلة وباقي رجاله ثقات

اخبرنا عبد الله بن صالح، حدثني معاوية، عن عبد الرحمن بن جبير بن نفير، عن ابيه جبير بن نفير، عن ابي الدرداء رضي الله عنه، قال: كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم فشخص ببصره الى السماء ثم قال: «هذا اوان يختلس العلم من الناس حتى لا يقدروا منه على شيء» فقال زياد بن لبيد الانصاري: يا رسول الله، وكيف يختلس منا وقد قرانا القران؟ فوالله لنقرانه، ولنقرىنه نساءنا وابناءنا، فقال: «ثكلتك امك يا زياد، ان كنت لاعدك من فقهاء اهل المدينة، هذه التوراة والانجيل عند اليهود والنصارى، فماذا يغني عنهم؟» قال جبير: فلقيت عبادة بن الصامت رضي الله عنه قال: قلت الا تسمع ما يقول اخوك ابو الدرداء؟ فاخبرته بالذي قال. قال: صدق ابو الدرداء ان شىت لاحدثنك باول علم يرفع من الناس: الخشوع، يوشك ان تدخل مسجد الجماعة فلا ترى فيه رجلا خاشعا اسناده ضعيف عبد الله بن صالح سيى الحفظ وفيه غفلة وباقي رجاله ثقات

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

২৯৭. মাকহুল বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের মধ্যকার সাধারণ একজন ব্যক্তির উপর আমার যেরূপ মর্যাদা রয়েছে, একজন আবিদ’ (অধিক ইবাদতগুজার) এর উপর একজন আলিমের তদ্রূপ মর্যাদা রয়েছে। তারপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন- “নিশ্চয় আল্লাহ’র বান্দাগণের মাঝে আলিমগণই আল্লাহকে ভয় করে।” (সুরা ফাতির: ২৮) অতঃপর তিনি বলেন: “আল্লাহ ঐ ব্যক্তির ওপর রহম করেন এবং তাঁর ফেরেশতামণ্ডলী, আসমানসমূহ ও পৃথিবীর অধিবাসীগণ, সাগরের মাছসমূহ সকলেই ঐ ব্যক্তির জন্য রহমত কামনা করে দু’আ করে, যে ব্যক্তি লোকদেরকে কল্যাণকর বিষয় শিক্ষাদান করে।[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ جَمِيلٍ الْكِنَانِيُّ، حَدَّثَنَا مَكْحُولٌ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «فَضْلُ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ، كَفَضْلِي عَلَى أَدْنَاكُمْ» ثُمَّ تَلَا هَذِهِ الْآيَةَ (إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ) [فاطر: 28] ثُمَّ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ، وَأَهْلَ سَمَاوَاتِهِ وَأَرَضِيهِ، وَالنُّونَ فِي الْبَحْرِ يُصَلُّونَ عَلَى الَّذِينَ يُعَلِّمُونَ النَّاسَ الْخَيْرَ

هكذا جاء مرسلا

اخبرنا يعقوب بن ابراهيم، حدثنا يزيد بن هارون، حدثنا الوليد بن جميل الكناني، حدثنا مكحول قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم «فضل العالم على العابد، كفضلي على ادناكم» ثم تلا هذه الاية (انما يخشى الله من عباده العلماء) [فاطر: 28] ثم قال: ان الله وملاىكته، واهل سماواته وارضيه، والنون في البحر يصلون على الذين يعلمون الناس الخير هكذا جاء مرسلا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

২৯৮. কোন এক ব্যক্তি ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: কোনো ব্যক্তি ততক্ষণ পর্যন্ত আলিম হতে পারবে না, যতক্ষণ না তার চেয়ে উচ্চস্তরের লোক তাকে হিংসা করবে, তার চেয়ে নিম্নস্তরের লোক তাকে হেয়জ্ঞান করবে; আর সে তার জ্ঞানের বিনিময়ে মূল্য গ্রহণ করবে না।”[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَسَدٍ أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَمَانٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ رَجُلٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «لَا يَكُونُ الرَّجُلُ عَالِمًا حَتَّى لَا يَحْسُدَ مَنْ فَوْقَهُ، وَلَا يَحْقِرَ مَنْ دُونَهُ، وَلَا يَبْتَغِيَ بِعِلْمِهِ ثَمَنًا

في إسناده ليث بن أبي سليم وهو ضعيف وفيه جهالة الرجل الراوي عن ابن عمر

اخبرنا احمد بن اسد ابو عاصم، حدثنا يحيى بن يمان، عن سفيان، عن ليث، عن رجل، عن ابن عمر رضي الله عنهما، قال: «لا يكون الرجل عالما حتى لا يحسد من فوقه، ولا يحقر من دونه، ولا يبتغي بعلمه ثمنا في اسناده ليث بن ابي سليم وهو ضعيف وفيه جهالة الرجل الراوي عن ابن عمر

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

২৯৯. মিস’আর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আব্দুল আ’লা আত তাইমীকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন: যাকে এমন জ্ঞান দান করা হয়েছে, যা তাকে কাঁদায় না, তবে অবশ্যই আল্লাহ সে ব্যক্তিকে তার জন্য উপকারী জ্ঞান দান করেননি। কেননা, আল্লাহ তা’আলাই আলিমগণের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন।” অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করেন: “নিশ্চয় যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে (সূরা ইসরা’: ১০৭) ... তারা কাঁদতে থাকে” (সূরা ইসরা’: ১০৯) - এ পর্যন্ত।[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ الْأَعْلَى التَّيْمِيَّ يَقُولُ: " مَنْ أُوتِيَ مِنَ الْعِلْمِ مَا لَا يُبْكِيهِ، لَخَلِيقٌ أَنْ لَا يَكُونَ أُوتِيَ عِلْمًا يَنْفَعُهُ، لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى نَعَتَ الْعُلَمَاءَ ثُمَّ قَرَأَ: (إِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ) [الإسراء: 107] إِلَى قَوْلِهِ (يَبْكُونَ) [الإسراء: 109]

إسناده جيد

اخبرنا سعيد بن سليمان، عن ابي اسامة، عن مسعر، قال: سمعت عبد الاعلى التيمي يقول: " من اوتي من العلم ما لا يبكيه، لخليق ان لا يكون اوتي علما ينفعه، لان الله تعالى نعت العلماء ثم قرا: (ان الذين اوتوا العلم) [الاسراء: 107] الى قوله (يبكون) [الاسراء: 109] اسناده جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩০০. আবু হাযিম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমার মধ্যে তিনটি গুণ না থাকা পর্যন্ত তুমি একজন আলিম হতে পারবে না: ১. তোমার চেয়ে উচ্চস্তরের লোকদের প্রতি সীমালংঘন করবে না; ২. তোমার চেয়ে নিম্নস্তরের লোকদেরকে হেয়জ্ঞান/অবজ্ঞা করবে না। আর তোমার ইলমের বিনিময়ে দুনিয়া (-এর ভোগ সম্ভার) গ্রহণ করবে না।[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا عِصْمَةُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ حُبَابٍ، عَنْ مُبَارَكِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ الْعُمَرِيِّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ: " لَا تَكُونُ عَالِمًا حَتَّى يَكُونَ فِيكَ ثَلَاثُ خِصَالٍ: لَا تَبْغِي عَلَى مَنْ فَوْقَكَ وَلَا تَحْقِرُ مَنْ دُونَكَ، وَلَا تَأْخُذُ عَلَى عِلْمِكَ دُنْيَا

مبارك بن فضال يدلس تدليس تسوية وقد عنعن. فالإسناد ضعيف

اخبرنا عصمة بن الفضل، حدثنا زيد بن حباب، عن مبارك بن فضالة، عن عبيد الله بن عمر العمري، عن ابي حازم، قال: " لا تكون عالما حتى يكون فيك ثلاث خصال: لا تبغي على من فوقك ولا تحقر من دونك، ولا تاخذ على علمك دنيا مبارك بن فضال يدلس تدليس تسوية وقد عنعن. فالاسناد ضعيف

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩০১. আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: তুমি শিক্ষার্থী না হওয়া পর্যন্ত আলিম হতে পারবেনা; আর তুমি অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী আমল না করা পর্যন্ত শুধু জ্ঞান অর্জন দ্বারা আলিম হতে পারবে না। তোমার পাপী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, তুমি সর্বদা ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত থাকবে; তোমার পাপী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, তুমি সর্বদা তর্ক-বিতর্ক করতে থাকবে; আবার তোমার মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, তুমি একমাত্র আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা ব্যতীত অন্যের বিষয়ে অধিক আলোচনা করতে থাকবে।[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ بُرْدِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى الدِّمَشْقِيِّ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «لَا تَكُونُ عَالِمًا حَتَّى تَكُونَ مُتَعَلِّمًا، وَلَا تَكُونُ بِالْعِلْمِ عَالِمًا حَتَّى تَكُونَ بِهِ عَامِلًا، وَكَفَى بِكَ إِثْمًا أَنْ لَا تَزَالَ مُخَاصِمًا، وَكَفَى بِكَ إِثْمًا أَنْ لَا تَزَالَ مُمَارِيًا، وَكَفَى بِكَ كَاذِبًا أَنْ لَا تَزَالَ مُحَدِّثًا فِي غَيْرِ ذَاتِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ

إسناده حسن

اخبرنا احمد بن اسد، حدثنا عبثر، عن برد بن سنان، عن سليمان بن موسى الدمشقي، عن ابي الدرداء رضي الله عنه، قال: «لا تكون عالما حتى تكون متعلما، ولا تكون بالعلم عالما حتى تكون به عاملا، وكفى بك اثما ان لا تزال مخاصما، وكفى بك اثما ان لا تزال مماريا، وكفى بك كاذبا ان لا تزال محدثا في غير ذات الله عز وجل اسناده حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩০২. ইমরান আল মিনকারী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি একদিন কোনো এক বিষয়ে প্রশ্ন করতে গিয়ে হাসানকে বললাম: হে আবু সা’ঈদ! ফকীহগণ (বিশেষজ্ঞ আলিমগণ) তো এভাবে বলেন না। তিনি বললেন: তোমার জন্য আফসোস! তুমি নিজ চোখে কখনো কি কোনো আলিমকে দেখেছো? আলিম তো হলো সেই ব্যক্তি যে দুনিয়ার প্রতি নিরাসক্ত / অনাগ্রহী, আখিরাতের প্রতি আগ্রহী, তার দীনের কাজের ব্যাপারে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন; আর তার রবের ইবাদতের ব্যাপারে ধারাবাহিকতা রক্ষাকারী বা নিরবচ্ছিন্ন।[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا الْمُبَارَكُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَخِيهِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عِمْرَانَ الْمِنْقَرِيِّ، قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ يَوْمًا فِي شَيْءٍ قَالَهُ: يَا أَبَا سَعِيدٍ، لَيْسَ هَكَذَا يَقُولُ الْفُقَهَاءُ. فَقَالَ: «وَيْحَكَ وَرَأَيْتَ أَنْتَ فَقِيهًا قَطُّ، إِنَّمَا الْفَقِيهُ الزَّاهِدُ فِي الدُّنْيَا، الرَّاغِبُ فِي الْآخِرَةِ، الْبَصِيرُ بِأَمْرِ دِينِهِ، الْمُدَاوِمُ عَلَى عِبَادَةِ رَبِّهِ

إسناده صحيح

اخبرنا الحسن بن عرفة، حدثنا المبارك بن سعيد، عن اخيه سفيان الثوري، عن عمران المنقري، قال: قلت للحسن يوما في شيء قاله: يا ابا سعيد، ليس هكذا يقول الفقهاء. فقال: «ويحك ورايت انت فقيها قط، انما الفقيه الزاهد في الدنيا، الراغب في الاخرة، البصير بامر دينه، المداوم على عبادة ربه اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩০৩. মিস’আর সা’দ ইবনু ইবরাহীম থেকে বর্ণনা করেন, ইবরাহীম বলেন, তাকে একবার বলা হলো: মদীনাবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় আলিম কে? তিনি বললেন: যে তার রব আযযা ওয়া জাল্লা’কে সবচেয়ে বেশি ভয় করে।”[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْبَجَلِيُّ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ: قِيلَ لَهُ: " مَنْ أَفْقَهُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ؟ قَالَ: أَتْقَاهُمْ لِرَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ

إسناده فيه النضر بن إسماعيل وليس بالقوي وهذا إسناد ضعيف

اخبرنا الحسن بن عرفة، حدثنا النضر بن اسماعيل البجلي، عن مسعر، عن سعد بن ابراهيم، قال: قيل له: " من افقه اهل المدينة؟ قال: اتقاهم لربه عز وجل اسناده فيه النضر بن اسماعيل وليس بالقوي وهذا اسناد ضعيف

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩০৪. লাইছ ইবনু আবু সালীম হতে বর্ণিত, মুজাহিদ বলেন, আলিম হলেন সেই ব্যক্তি যে আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করে।[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، عَنْ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: إِنَّمَا الْفَقِيهُ مَنْ يَخَافُ اللَّهَ تَعَالَى

إسناده ضعيف لضعف ليث بن أبي سليم

اخبرنا الحسن بن عرفة، حدثنا الحسين بن علي، عن ليث بن ابي سليم، عن مجاهد، قال: انما الفقيه من يخاف الله تعالى اسناده ضعيف لضعف ليث بن ابي سليم

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩০৫. ইবনু আব্বাদ আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন যে, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “নিশ্চয়ই প্রকৃত আলিম হলেন সেই আলিম যিনি লোকদেরকে আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ করেন না এবং আল্লাহর অবাধ্যতার অনুমতিও লোকদেরকে দেন না; আর আল্লাহর আযাব হতে লোকদেরকে নির্ভীকও করেন না। আবার অন্য কোনো কিছুর আশায় কুরআনকে ছেড়ে দেন না। নিশ্চয়ই ইলমবিহীন (জ্ঞানহীন) ইবাদাতের মধ্যে কোন কল্যাণ নেই, আর উপলব্ধি বা অনুধাবন ব্যতীত কোন ইলম নেই এবং গভীর চিন্তাভাবনা ব্যতীত কুরআন তিলাওয়াত নেই (তেলাওয়াত করে কোন কল্যাণ অর্জন করা যাবে না)।”[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبَانَ، عَنْ يَعْقُوبَ الْقُمِّيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي لَيْثُ بْنُ أَبِي سُلَيْمٍ، عَنْ يَحْيَى هُوَ ابْنُ عَبَّادٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ الْفَقِيهَ حَقَّ الْفَقِيهِ، مَنْ لَمْ يُقَنِّطِ النَّاسَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ، وَلَمْ يُرَخِّصْ لَهُمْ فِي مَعَاصِي اللَّهِ، وَلَمْ يُؤَمِّنْهُمْ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ، وَلَمْ يَدَعِ الْقُرْآنَ رَغْبَةً عنْهُ إِلَى غَيْرِهِ، إِنَّهُ لَا خَيْرَ فِي عِبَادَةٍ لَا عِلْمَ فِيهَا، وَلَا عِلْمٍ لَا فَهْمَ فِيهِ، وَلَا قِرَاءَةٍ لَا تَدَبُّرَ فِيهَا

في هذا الإسناد علتان: الأولى: ضعف ليث بن أبي سليم والثانية: الانقطاع يحيى بن عباد بن شيبان لم يدرك عليا فيما نعلم

اخبرنا اسماعيل بن ابان، عن يعقوب القمي، قال: حدثني ليث بن ابي سليم، عن يحيى هو ابن عباد، عن علي بن ابي طالب رضي الله عنه قال: ان الفقيه حق الفقيه، من لم يقنط الناس من رحمة الله، ولم يرخص لهم في معاصي الله، ولم يومنهم من عذاب الله، ولم يدع القران رغبة عنه الى غيره، انه لا خير في عبادة لا علم فيها، ولا علم لا فهم فيه، ولا قراءة لا تدبر فيها في هذا الاسناد علتان: الاولى: ضعف ليث بن ابي سليم والثانية: الانقطاع يحيى بن عباد بن شيبان لم يدرك عليا فيما نعلم

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩০৬. ইয়াহইয়া ইবনু ’ইবাদ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “সেই আলিমই হলেন প্রকৃত আলিম যিনি লোকদেরকে আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ করেন না এবং আল্লাহর আযাব হতে লোকদেরকে নির্ভীকও করেন না। যিনি লোকদেরকে আল্লাহর অবাধ্যতার অনুমতিও দেন না। নিশ্চয়ই ইলমবিহীন ইবাদতের মধ্যে কোনোই কল্যাণ নেই; আর এমন ইলমেও কোনো কল্যাণ নেই, যাতে কোনো উপলব্ধি বা অনুধাবন নেই; আর এমন কুরআন তিলাওয়াতেও কোনো কল্যাণ নেই যার মধ্যে কোনো গভীর চিন্তাভাবনা নেই।”[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبَّادٍ، قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ: «الْفَقِيهُ حَقُّ الْفَقِيهِ الَّذِي لَا يُقَنِّطُ النَّاسَ مِنْ رَحْمَةِ اللَّهِ، وَلَا يُؤَمِّنُهُمْ مِنْ عَذَابِ اللَّهِ، وَلَا يُرَخِّصُ لَهُمْ فِي مَعَاصِي اللَّهِ، إِنَّهُ لَا خَيْرَ فِي عِبَادَةٍ لَا عِلْمَ فِيهَا، وَلَا خَيْرَ فِي عِلْمٍ لَا فَهْمَ فِيهِ، وَلَا خَيْرَ فِي قِرَاءَةٍ لَا تَدَبُّرَ فِيهَا

إسناده ضعيف

حدثنا الحسن بن عرفة، حدثنا اسماعيل بن ابراهيم، عن ليث، عن يحيى بن عباد، قال: قال علي: «الفقيه حق الفقيه الذي لا يقنط الناس من رحمة الله، ولا يومنهم من عذاب الله، ولا يرخص لهم في معاصي الله، انه لا خير في عبادة لا علم فيها، ولا خير في علم لا فهم فيه، ولا خير في قراءة لا تدبر فيها اسناده ضعيف

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩০৭. তুবাইয়া বর্ণনা করেন, কা’ব বলেন: আমি (পূর্ববর্তী কিতাবে) এমন এক জাতির গুণাবলীর বর্ণনা পেয়েছি যারা আমলের উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য উদ্দেশ্যে ইলম শিক্ষা করবে; ইবাদত ব্যতীত অন্য উদ্দেশ্যে গভীর জ্ঞান (ফিকহ্) অর্জন করবে; আখিরাতের আমলের দ্বারা দুনিয়া’ (এর ধন-সম্পদ) প্রত্যাশা করবে; ভেড়ার চামড়া পরিধান করবে। আর তাদের হৃদয়সমূহ হবে তেতো গাছ (যথা নিম)-এর তিক্ততার চেয়েও অধিক তিক্ততর। তবে কি তারা আমাকে ধোঁকা দেবে অথবা আমারই সাথে প্রতারণা করবে? আমি আমার সত্তার কসম করে বলছি,[1] অবশ্যই আমি এমন কঠিন ফিতনা তাদের জন্য সহজ করে দেব, যা তাদের মহা ধৈর্য্যশীল বা জ্ঞানী লোকদেরকেও হয়রান করে ছাড়বে।[2]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ حَازِمٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي جَرِيرُ بْنُ زَيْدٍ أَنَّهُ سَمِعَ تُبَيْعًا يُحَدِّثُ عَنْ كَعْبٍ، قَالَ: «إِنِّي لَأَجِدُ نَعْتَ قَوْمٍ يَتَعَلَّمُونَ لِغَيْرِ الْعَمَلِ، وَيَتَفَقَّهُونَ لِغَيْرِ الْعِبَادَةِ، وَيَطْلُبُونَ الدُّنْيَا بِعَمَلِ الْآخِرَةِ. وَيَلْبَسُونَ جُلُودَ الضَّأْنِ. وَقُلُوبُهُمْ أَمَرُّ مِنَ الصَّبْرِ، فَبِي يَغْتَرُّونَ، أَوْ إِيَّايَ يُخَادِعُونَ؟ فَحَلَفْتُ بِي لَأُتِيحَنَّ لَهُمْ فِتْنَةً تَتْرُكُ الْحَلِيمَ فِيهَا حَيْرَانَ

إسناده صحيح

اخبرنا ابو النعمان، حدثنا حماد بن زيد، عن يزيد بن حازم، حدثني عمي جرير بن زيد انه سمع تبيعا يحدث عن كعب، قال: «اني لاجد نعت قوم يتعلمون لغير العمل، ويتفقهون لغير العبادة، ويطلبون الدنيا بعمل الاخرة. ويلبسون جلود الضان. وقلوبهم امر من الصبر، فبي يغترون، او اياي يخادعون؟ فحلفت بي لاتيحن لهم فتنة تترك الحليم فيها حيران اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩০৮. আবু ইমরান আল জাওনী বর্ণনা করেন, হারিম ইবনু হাইয়্যান বলতেন: “তোমরা ফাসিক আলিম থেকে বেঁচে থাকো। এরপর এ খবর উমার ইবনুল খাত্ত্বাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর নিকট পৌঁছলে তিনি তাকে লিখে পাঠালেন- ফাসিক আলিম কে? এতে তিনি ভয় পেয়ে গেলেন। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন: হারিম তাকে লিখে পাঠালেন: হে আমীরুল মু’মিনীন! আল্লাহর কসম, এ দ্বারা কল্যাণ ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিল না। কোন কোন আলিম এমন হবে, যে ইলমসমৃদ্ধ কথা বলবে কিন্তু তার কাজ হবে ফাসিক ব্যক্তির ন্যায়। আর (এভাবে) সে লোকদের মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি করবে ফলে তারা পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে।”[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ الْجَوْنِيُّ، عَنْ هَرِمِ بْنِ حَيَّانَ، أَنَّهُ قَالَ: «إِيَّاكُمْ وَالْعَالِمَ الْفَاسِقَ»، فَبَلَغَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - فَكَتَبَ إِلَيْهِ - وَأَشْفَقَ مِنْهَا مَا الْعَالِمُ الْفَاسِقُ؟ قَالَ: فَكَتَبَ إِلَيْهِ هَرِمٌ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، وَاللَّهِ مَا أَرَدْتُ بِهِ إِلَّا الْخَيْرَ: يَكُونُ إِمَامٌ يَتَكَلَّمُ بِالْعِلْمِ، وَيَعْمَلُ بِالْفِسْقِ، فَيُشَبِّهُ عَلَى النَّاسِ فَيَضِلُّوا

إسناده صحيح

اخبرنا بشر بن الحكم، حدثنا عبد العزيز بن عبد الصمد العمي، حدثنا ابو عمران الجوني، عن هرم بن حيان، انه قال: «اياكم والعالم الفاسق»، فبلغ عمر بن الخطاب رضي الله عنه - فكتب اليه - واشفق منها ما العالم الفاسق؟ قال: فكتب اليه هرم: يا امير المومنين، والله ما اردت به الا الخير: يكون امام يتكلم بالعلم، ويعمل بالفسق، فيشبه على الناس فيضلوا اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩০৯. উবাইদুল্লাহ ইবনু আবুল মুহাজির হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: যে ব্যক্তি তার দীনকে মর্যাদামণ্ডিত করতে চায়, সে যেন সুলতান বা শাসকের নিকট না যায়, আর কখনোই সে যেন নারীদের সাথে একাকী অবস্থান না করে এবং প্রবৃত্তির অনুসারীদের সাথে তর্কে লিপ্ত না হয়।”[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مُطَرِّفٍ وَعَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: «مَنْ أَرَادَ أَنْ يُكْرَمَ دِينُهُ، فَلَا يَدْخُلْ عَلَى السُّلْطَانِ، وَلَا يَخْلُوَنَّ بِالنِّسْوَانِ، وَلَا يُخَاصِمَنَّ أَصْحَابَ الْأَهْوَاءِ

رجاله ثقات غير أن الوليد بن مسلم قد عنعن وهو مدلس والإسناد منقطع وربما كان معضلا

اخبرنا سعيد بن المغيرة، حدثنا الوليد بن مسلم، عن محمد بن مطرف وعبد العزيز بن اسماعيل بن عبيد الله بن ابي المهاجر، عن عبد الله بن مسعود قال: «من اراد ان يكرم دينه، فلا يدخل على السلطان، ولا يخلون بالنسوان، ولا يخاصمن اصحاب الاهواء رجاله ثقات غير ان الوليد بن مسلم قد عنعن وهو مدلس والاسناد منقطع وربما كان معضلا

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩১০. ইউনুস রাহি. বলেন, মায়মুন ইবনু মিহরান আমার নিকট লিখে পাঠান: তুমি দীনী বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ ও তর্ক-বিতর্ক করা হতে দূরে থাকবে। আর তুমি কখনোই তর্ক-বিতর্ক করবে না কোনো আলিমের সাথে , আর না কোনো জাহিলের (মুর্খের) সাথে। কেননা, আলিম তো তোমার থেকে তার ইলমকে সংরক্ষণ করবেন, আর তুমি কী আমল করছো, সে ব্যাপারে তিনি পরোয়া করবেন না; আর জাহিল তো তোমার অন্তরকে কঠিন করে ফেলবে[1] অথচ সে তোমার আনুগত্য-অনুসরণও করবে না।[2]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ يُونُسَ، قَالَ: كَتَبَ إِلَيَّ مَيْمُونُ بْنُ مِهْرَانَ " إِيَّاكَ وَالْخُصُومَةَ وَالْجِدَالَ فِي الدِّينِ، وَلَا تُجَادِلَنَّ عَالِمًا، وَلَا جَاهِلًا: أَمَّا الْعَالِمُ، فَإِنَّهُ يَخْزُنُ عَنْكَ عِلْمَهُ وَلَا يُبَالِي مَا صَنَعْتَ، وَأَمَّا الْجَاهِلُ، فَإِنَّهُ يُخَشِّنُ بِصَدْرِكَ وَلَا يُطِيعُكَ

إسناده صحيح

اخبرنا سعيد بن عامر، عن اسماعيل بن ابراهيم، عن يونس، قال: كتب الي ميمون بن مهران " اياك والخصومة والجدال في الدين، ولا تجادلن عالما، ولا جاهلا: اما العالم، فانه يخزن عنك علمه ولا يبالي ما صنعت، واما الجاهل، فانه يخشن بصدرك ولا يطيعك اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩১১. ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাছীর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সুলাইমান ইবনু দাউদ (আ:) তাঁর পূত্রকে বলেন: তর্ক-বিতর্ক পরিত্যাগ কর, কেননা এতে উপকার খুবই কম। আর তা ভাইদের মাঝে শত্রুতার আগুন প্রজ্জ্বলিত করে।[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ: قَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلَامُ لِابْنِهِ: «دَعِ الْمِرَاءَ فَإِنَّ نَفْعَهُ قَلِيلٌ، وَهُوَ يُهَيِّجُ الْعَدَاوَةَ بَيْنَ الْإِخْوَانِ

إسناده معضل

اخبرنا ابو المغيرة، حدثنا الاوزاعي، عن يحيى بن ابي كثير، قال: قال سليمان بن داود عليه السلام لابنه: «دع المراء فان نفعه قليل، وهو يهيج العداوة بين الاخوان اسناده معضل

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩১২. ইসমাঈল ইবনু আবী হাকীম বলেন, আমি উমার ইবনু আব্দুল আযীযকে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি তার দীনকে ঝগড়া-বিবাদের লক্ষ্যবস্তু বানাল, সে বার বার (তার দীনকে) পরিবর্তন করল।[1]

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي حَكِيمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، «يَقُولُ مَنْ جَعَلَ دِينَهُ غَرَضًا لِلْخُصُومَاتِ، أَكْثَرَ التَّنَقُّلَ

إسناده صحيح

اخبرنا يحيى بن حسان، حدثنا عبد الله بن ادريس، عن اسماعيل بن ابي حكيم، قال: سمعت عمر بن عبد العزيز، «يقول من جعل دينه غرضا للخصومات، اكثر التنقل اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩১৩. সাঈদ ইবনু আব্দুল আযীয হতে বর্ণিত, উমার ইবনু আব্দুল আযীয মদীনাবাসীকে লিখে পাঠিয়েছিলেন: যে ব্যক্তি ইলম ব্যতীত ইবাদত করবে, সে নেক আমল করার চেয়ে খারাপ কাজই বেশি করবে। আর যে তার আমলের চেয়ে কথা বেশী হিসাব করে বলবে, তার কথা কমে যাবে। তবে তার জন্য উপকারী বিষয়ে সে কথা বলবে। আর যে ব্যক্তি তার দীনকে ঝগড়া-বিবাদের লক্ষ্যবস্তু বানাবে, তার (মতা/অবস্থা) অধিক হারে পরিবর্তিত হবে।”[1].।

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: «كَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى أَهْلِ الْمَدِينَةِ أنَّهُ مَنْ تَعَبَّدَ بِغَيْرِ عِلْمٍ، كَانَ مَا يُفْسِدُ أَكْثَرَ مِمَّا يُصْلِحُ، وَمَنْ عَدَّ كَلَامَهُ مِنْ عَمَلِهِ، قَلَّ كَلَامُهُ إِلَّا فِيمَا يَعْنِيهِ، وَمَنْ جَعَلَ دِينَهُ غَرَضًا لِلْخُصُومَاتِ، كَثُرَ تَنَقُّلُهُ

رجاله ثقات غير أنه منقطع سعيد بن عبد العزيز لم يدرك عمر بن عبد العزيز فيما نعلم

اخبرنا مروان بن محمد، حدثنا سعيد بن عبد العزيز قال: «كتب عمر بن عبد العزيز الى اهل المدينة انه من تعبد بغير علم، كان ما يفسد اكثر مما يصلح، ومن عد كلامه من عمله، قل كلامه الا فيما يعنيه، ومن جعل دينه غرضا للخصومات، كثر تنقله رجاله ثقات غير انه منقطع سعيد بن عبد العزيز لم يدرك عمر بن عبد العزيز فيما نعلم

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৯. যে ব্যক্তি বলেন, ইলম হল আল্লাহর ভয় ও তাক্বওয়া

৩১৪. জা’ফর ইবনু বুরক্বান বর্ণনা করেন, উমার ইবনু্ আব্দুল আযীয রাহি. বলেন: এক ব্যক্তি তাঁকে প্রবৃত্তি সম্পর্কিত কোনো একটি বিষয়ে প্রশ্ন করলো। তখন তিনি বললেন: (সহজ-সরল) বেদুঈনদের এবং মাদরাসার (অবুঝ) বালকের দীনকে তুমি আকড়ে ধর। এ ব্যতীত আর সকল কিছুকে পরিত্যাগ কর।[1]

আবু মুহাম্মদ বলেন: ’অধিক হারে পরিবর্তিত হওয়া’ অর্থ এক মত থেকে আরেক মতে আসা-যাওয়া করা।

بَابُ مَنْ قَالَ: الْعِلْمُ: الْخَشْيَةُ وَتَقْوَى اللَّهِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ بُرْقَانَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ قَالَ: سَأَلَهُ رَجُلٌ عَنْ شَيْءٍ مِنَ الْأَهْوَاءِ فَقَالَ: «عَلَيْكَ بِدِينِ الْأَعْرَابِيِّ، وَالْغُلَامِ فِي الْكُتَّابِ، وَالْهَ عَمَّا سِوَى ذَلِكَ» قَالَ أَبُو مُحَمَّدٍ: كَثُرَ تَنَقُّلُهُ، أَيْ: يَنْتَقِلُ مِنْ رَأْيٍ إِلَى رَأْيٍ

إسناده منقطع جعفر بن برقان لم يدرك عمر بن عبد العزيز

اخبرنا محمد بن يوسف، عن سفيان، عن جعفر بن برقان، عن عمر بن عبد العزيز قال: ساله رجل عن شيء من الاهواء فقال: «عليك بدين الاعرابي، والغلام في الكتاب، واله عما سوى ذلك» قال ابو محمد: كثر تنقله، اي: ينتقل من راي الى راي اسناده منقطع جعفر بن برقان لم يدرك عمر بن عبد العزيز

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে