পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২০৬. ইবনু মিগওয়াল বলেন, শা’বী আমাকে বলেছেন, এরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে তোমাদের নিকট যে সকল হাদীস বর্ণনা করে, তা তোমরা গ্রহণ করবে। আর তারা আপন রায় বা মতামত দ্বারা যা বলবে, সেগুলি তোমরা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।’[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ هُوَ: ابْنُ مِغْوَلٍ، قَالَ: قَالَ لِيَ الشَّعْبِيُّ «مَا حَدَّثُوكَ هَؤُلَاءِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخُذْ بِهِ، وَمَا قَالُوهُ بِرَأْيِهِمْ، فَأَلْقِهِ فِي الْحُشِّ

إسناده صحيح

اخبرنا محمد بن يوسف، حدثنا مالك هو: ابن مغول، قال: قال لي الشعبي «ما حدثوك هولاء عن رسول الله صلى الله عليه وسلم فخذ به، وما قالوه برايهم، فالقه في الحش اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২০৭. রজা’ ইবনু আবী সালামাহ বলেন, আব্দাহ ইবনু আবু লুবাবাহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলতেন, আমি আমার জামানার এ সকল লোকদের সাথে সম্মত হয়েছি যে, তারা আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করবে না, আর আমিও তাদেরকে কিছু জিজ্ঞেস করব না। নিশ্চয়ই এদের কেউ কেউ বলে, ’আপনার মতামত কী’, ’আপনার মতামত কী’?[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنِا الْعَبَّاسُ بْنُ سُفْيَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ حُبَابٍ، أَخْبَرَنِي رَجَاءُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَةَ بْنَ أَبِي لُبَابَةَ، يَقُولُ: " قَدْ رَضِيتُ مِنْ أَهْلِ زَمَانِي هَؤُلَاءِ أَنْ لَا يَسْأَلُونِي وَلَا أَسْأَلُهُمْ، إِنَّمَا يَقُولُ أَحَدُهُمْ: أَرَأَيْتَ، أَرَأَيْتَ؟

إسناده حسن من أجل عباس بن سفيان الدبوسي

اخبرنا العباس بن سفيان، عن زيد بن حباب، اخبرني رجاء بن ابي سلمة، قال: سمعت عبدة بن ابي لبابة، يقول: " قد رضيت من اهل زماني هولاء ان لا يسالوني ولا اسالهم، انما يقول احدهم: ارايت، ارايت؟ اسناده حسن من اجل عباس بن سفيان الدبوسي

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২০৮. আবী ওয়াইল হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ বলেন, তিনি বলেন, আমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি সরল রেখা টেনে বললেন: “এটা হল আল্লাহর রাস্তা, অতঃপর ডানে ও বামে আরও কতকগুলি রেখা টেনে বললেন: “এও কতকগুলি রাস্তা; তবে এসকল রাস্তার প্রত্যেকটির উপরই একটি করে শয়তান রয়েছে, তারা লোকদেরকে তার দিকে আহ্বান করছে। অতঃপর তিনি (প্রমাণ স্বরূপ) পাঠ করলেন: (“নিশ্চয়ই এটিই আমার সরল পথ, তোমরা এরই অনুসরণ কর। তোমরা অন্যান্য পথসমূহের অনুসরণ করো না। নইলে সেগুলো তোমাকে তাঁর রাস্তা থেকে দূরে সরিয়ে দিবে। ... (সূরা আনআম ৬: ১৫৩)) আয়াতের শেষ পযর্ন্ত।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمُ ابْنُ بَهْدَلَةَ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: خَطَّ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا خَطًّا ثُمَّ قَالَ: «هَذَا سَبِيلُ اللَّهِ» ثُمَّ خَطَّ خُطُوطًا عَنْ يَمِينِهِ، وَعَنْ شِمَالِهِ، ثُمَّ قَالَ: «هَذِهِ سُبُلٌ عَلَى كُلِّ سَبِيلٍ مِنْهَا شَيْطَانٌ يَدْعُو إِلَيْهِ» ثُمَّ تَلَا (وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ) [الأنعام: 153]

إسناده حسن

اخبرنا عفان، حدثنا حماد بن زيد، حدثنا عاصم ابن بهدلة، عن ابي واىل عن عبد الله بن مسعود قال: خط لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما خطا ثم قال: «هذا سبيل الله» ثم خط خطوطا عن يمينه، وعن شماله، ثم قال: «هذه سبل على كل سبيل منها شيطان يدعو اليه» ثم تلا (وان هذا صراطي مستقيما فاتبعوه ولا تتبعوا السبل فتفرق بكم عن سبيله) [الانعام: 153] اسناده حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২০৯. ইবনু আবী নাজীহ মুজাহিদ হতে বর্ণনা করেন, (وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ) (অন্য পথসমূহের অনুসরণ কর না। সূরা আন’আম: ১৫৩) (এ আয়াতের ব্যাখ্যায়) তিনি বলেন, (অন্য পথসমূহ বলতে এখানে) বিদ’আত ও সন্দেহ-সংশয় (এর পথ বুঝানো হয়েছে)।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ،: " (وَلَا تَتَّبِعُوا السُّبُلَ) [الأنعام: 153] قَالَ: الْبِدَعَ وَالشُّبُهَاتِ

إسناده صحيح

اخبرنا محمد بن يوسف، حدثنا ورقاء، عن ابن ابي نجيح، عن مجاهد،: " (ولا تتبعوا السبل) [الانعام: 153] قال: البدع والشبهات اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২১০. আমর ইবনু ইয়াহইয়া তার পিতা ইয়াহইয়াকে তার দাদা আমর ইবনু সালামাহ হতে বর্ণনা করতে শুনেছেন, তিনি বলেন, আমরা (হাদীস ও ইলম শিক্ষার জন্য তালেবে ইলমগণ) ফজর নামাযের পূর্বেই আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বাড়ির দরজায় গিয়ে বসে থাকতাম। যখন তিনি মসজিদে যাওয়ার জন্য বাহির হতেন, তখন আমরা তাঁর সাথে সাথে যেতাম। একদিন আবূ মূসা আল আশ’আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এসে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, আবু আব্দুর রহমান (আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ) কি বের হয়েছেন? আমরা বললাম, না, এখনো বের হননি। তখন তিনিও আমাদের সাথে বসে পড়লেন। যখন তিনি বের হলেন তখন আমরা সবাই উঠে তাঁর কাছে গেলাম। আবু মূসা আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান (আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ) আমি একটু আগে মসজিদের মধ্যে একটি বিষয় দেখেছি এবং দেখে অপছন্দ করেছি, যদিও যা দেখেছি তা ভালো ছাড়া খারাপ মনে হয়নি, আলহামদুলিল্লাহ।

ইবনু মাসউদ বললেন, বিষয়টি কী? আবু মূসা বললেন: আপনি জীবিত থাকলে, একটু পরেই তা দেখতে পাবেন। তিনি বলেন: আমি দেখলাম কিছু মানুষ কয়েকটি হালাকায় (বৃত্তাকারে) বসে নামাযের অপেক্ষা করছে। প্রত্যেক হালাকায় (গ্রুপে) একজন (নেতা গোছের) ব্যক্তি রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের হাতে (তাসবীহের মতো) কাঁকর রয়েছে। নেতা গোছের ব্যক্তি বলছে, সবাই একশতবার ’আল্লাহু আকবার’ পড়ুন, তখন সবাই ১০০ বার ’আল্লাহ আকবার’ বলছে। তখন সে বলছে, সবাই ১০০ বার ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়ুন। এতে সবাই ১০০ বার ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলছেন। তখন সে বলছে: সবাই ১০০ বার ’সুবহানাল্লাহ’ বলুন। সবাই তখন ১০০ বার ’সুবহানাল্লাহ’ বলছে। ইবনু মাসউদ বললেন: আপনি তাদেরকে কী বলেছেন? তিনি বললেন: আমি আপনার মতামতের ও নির্দেশের অপেক্ষায় তাদেরকে কিছু বলিনি।

ইবনু মাসউদ বললেন: আপনি তাদেরকে বললেন না কেন যে, তোমরা তোমাদের পাপগুলি গুণে গুণে রাখ, আর আপনি দায়িত্ব নিতেন যে, তাদের কোনো নেককর্ম নষ্ট হবে না? এরপর আমরা সবাই তাঁর সাথে মসজিদে গেলাম। তিনি ঐ হালকাগুলি (গ্রুপগুলির) একটি হালাকার নিকট গিয়ে তাদেরকে বললেন: আমি তোমাদেরকে এ কী করতে দেখছি? তারা বলল: হে আবু আব্দুর রহমান (আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ)! আমরা কাঁকর দিয়ে তাসবীহ, তাহলীল, তাকবীর গণনা করছি। তিনি বললেন: তোমরা তোমাদের পাপগুলি গণনা কর, আমি দায়িত্ব নিচ্ছি যে, তোমাদের নেক কর্ম বিনষ্ট হবে না। হতভাগা উম্মতে মুহাম্মাদী! কত দ্রুত তোমরা ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছ! এখনো তোমাদের মাঝে তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণ বিপুল সংখ্যায় জীবিত রয়েছেন। দেখ! তাঁর পোশাকগুলি এখনো পুরাতন হয়নি, তাঁর আসবাবপত্র এখনো ভেঙ্গে নষ্ট হয়নি। (অথচ তার আগেই তোমরা ধ্বংসের পথে চলে গেলে) আল্লাহর কসম করে বলছি: তোমরা কি মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ধর্মের চেয়েও ভালো কোনো ধর্মের ওপরে আছো? নাকি তোমরা বিভ্রান্তি ও গোমরাহীর দরজা খুলে নিলে?

সমবেত যিকিরকারীরা বলল: হে আবু আব্দুর রহমান (আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ)! আমরা তো একান্তই ভাল নিয়্যাতে এ কাজ করেছি। তিনি জবাবে বললেন: অনেক মানুষেরই উদ্দেশ্য ভালো হয়, তবে সে ভালো পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। (কারণ, উদ্দেশ্য ভাল হয়, কিন্তু উদ্দেশ্য অর্জনের পন্থা ভালো হয় না)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন যে, কিছু মানুষ কুরআন তিলাওয়াত করবে, কিন্তু তাদের তিলাওয়াত কণ্ঠনালীর নিচে নামবে না। (বিদ’আতে লিপ্ত থাকার ফলে তাদের আমল কবুল হবে না)। আল্লাহর কসম! আমি জানি না, হয়ত তোমাদের অনেকেই এই শ্রেণির অন্তর্গত। এরপর তিনি তাদের কাছ থেকে চলে গেলেন।

আমর ইবনু সালামাহ (বর্ণনাকারী) বলেন, এ সকল হলাকায় যারা উপস্থিত ছিল তাদের অধিকাংশকেই দেখেছি নাহরাওয়ানের যুদ্ধে খারেজীদের পক্ষে আমাদের (আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বিপক্ষে) যুদ্ধ করছে।”[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَنبَأَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي، يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كُنَّا نَجْلِسُ عَلَى بَابِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَبْلَ صَلَاةِ الْغَدَاةِ، فَإِذَا خَرَجَ، مَشَيْنَا مَعَهُ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَجَاءَنَا أَبُو مُوسَى الْأَشْعَرِيُّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ: أَخَرَجَ إِلَيْكُمْ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ قُلْنَا: لَا، بَعْدُ. فَجَلَسَ مَعَنَا حَتَّى خَرَجَ، فَلَمَّا خَرَجَ، قُمْنَا إِلَيْهِ جَمِيعًا، فَقَالَ لَهُ أَبُو مُوسَى: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، إِنِّي رَأَيْتُ فِي الْمَسْجِدِ آنِفًا أَمْرًا أَنْكَرْتُهُ وَلَمْ أَرَ - وَالْحَمْدُ لِلَّهِ - إِلَّا خَيْرًا. [ص: 287] قَالَ: فَمَا هُوَ؟ فَقَالَ: إِنْ عِشْتَ فَسَتَرَاهُ. قَالَ: رَأَيْتُ فِي الْمَسْجِدِ قَوْمًا حِلَقًا جُلُوسًا يَنْتَظِرُونَ الصَّلَاةَ فِي كُلِّ حَلْقَةٍ رَجُلٌ، وَفِي أَيْدِيهِمْ حصًا، فَيَقُولُ: كَبِّرُوا مِائَةً، فَيُكَبِّرُونَ مِائَةً، فَيَقُولُ: هَلِّلُوا مِائَةً، فَيُهَلِّلُونَ مِائَةً، وَيَقُولُ: سَبِّحُوا مِائَةً، فَيُسَبِّحُونَ مِائَةً، قَالَ: فَمَاذَا قُلْتَ لَهُمْ؟ قَالَ: مَا قُلْتُ لَهُمْ شَيْئًا انْتِظَارَ رَأْيِكَ أَوِ انْتظارَ أَمْرِكَ. قَالَ: «أَفَلَا أَمَرْتَهُمْ أَنْ يَعُدُّوا سَيِّئَاتِهِمْ، وَضَمِنْتَ لَهُمْ أَنْ لَا يَضِيعَ مِنْ حَسَنَاتِهِمْ»، ثُمَّ مَضَى وَمَضَيْنَا مَعَهُ حَتَّى أَتَى حَلْقَةً مِنْ تِلْكَ الْحِلَقِ، فَوَقَفَ عَلَيْهِمْ، فَقَالَ: «مَا هَذَا الَّذِي أَرَاكُمْ تَصْنَعُونَ؟» قَالُوا: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ حصًا نَعُدُّ بِهِ التَّكْبِيرَ وَالتَّهْلِيلَ وَالتَّسْبِيحَ. قَالَ: «فَعُدُّوا سَيِّئَاتِكُمْ، فَأَنَا ضَامِنٌ أَنْ لَا يَضِيعَ مِنْ حَسَنَاتِكُمْ شَيْءٌ وَيْحَكُمْ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ، مَا أَسْرَعَ هَلَكَتَكُمْ هَؤُلَاءِ صَحَابَةُ نَبِيِّكُمْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَافِرُونَ، وَهَذِهِ ثِيَابُهُ لَمْ تَبْلَ، وَآنِيَتُهُ لَمْ تُكْسَرْ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إِنَّكُمْ لَعَلَى مِلَّةٍ هِيَ أَهْدَى مِنْ مِلَّةِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أوْ مُفْتَتِحُو بَابِ ضَلَالَةٍ». قَالُوا: وَاللَّهِ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، مَا أَرَدْنَا إِلَّا الْخَيْرَ. قَالَ: «وَكَمْ مِنْ مُرِيدٍ لِلْخَيْرِ لَنْ يُصِيبَهُ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَنَا أَنَّ» قَوْمًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ "، وَايْمُ اللَّهِ مَا أَدْرِي لَعَلَّ أَكْثَرَهُمْ مِنْكُمْ، ثُمَّ تَوَلَّى عَنْهُمْ. فَقَالَ عَمْرُو بْنُ سَلَمَةَ: رَأَيْنَا عَامَّةَ أُولَئِكَ الْحِلَقِ يُطَاعِنُونَا يَوْمَ النَّهْرَوَانِ مَعَ الْخَوَارِجِ

إسناده جيد

اخبرنا الحكم بن المبارك، انبانا عمرو بن يحيى، قال: سمعت ابي، يحدث، عن ابيه قال: كنا نجلس على باب عبد الله بن مسعود رضي الله عنه، قبل صلاة الغداة، فاذا خرج، مشينا معه الى المسجد، فجاءنا ابو موسى الاشعري رضي الله عنه فقال: اخرج اليكم ابو عبد الرحمن قلنا: لا، بعد. فجلس معنا حتى خرج، فلما خرج، قمنا اليه جميعا، فقال له ابو موسى: يا ابا عبد الرحمن، اني رايت في المسجد انفا امرا انكرته ولم ار - والحمد لله - الا خيرا. [ص: 287] قال: فما هو؟ فقال: ان عشت فستراه. قال: رايت في المسجد قوما حلقا جلوسا ينتظرون الصلاة في كل حلقة رجل، وفي ايديهم حصا، فيقول: كبروا ماىة، فيكبرون ماىة، فيقول: هللوا ماىة، فيهللون ماىة، ويقول: سبحوا ماىة، فيسبحون ماىة، قال: فماذا قلت لهم؟ قال: ما قلت لهم شيىا انتظار رايك او انتظار امرك. قال: «افلا امرتهم ان يعدوا سيىاتهم، وضمنت لهم ان لا يضيع من حسناتهم»، ثم مضى ومضينا معه حتى اتى حلقة من تلك الحلق، فوقف عليهم، فقال: «ما هذا الذي اراكم تصنعون؟» قالوا: يا ابا عبد الرحمن حصا نعد به التكبير والتهليل والتسبيح. قال: «فعدوا سيىاتكم، فانا ضامن ان لا يضيع من حسناتكم شيء ويحكم يا امة محمد، ما اسرع هلكتكم هولاء صحابة نبيكم صلى الله عليه وسلم متوافرون، وهذه ثيابه لم تبل، وانيته لم تكسر، والذي نفسي بيده، انكم لعلى ملة هي اهدى من ملة محمد صلى الله عليه وسلم او مفتتحو باب ضلالة». قالوا: والله يا ابا عبد الرحمن، ما اردنا الا الخير. قال: «وكم من مريد للخير لن يصيبه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم حدثنا ان» قوما يقرءون القران لا يجاوز تراقيهم "، وايم الله ما ادري لعل اكثرهم منكم، ثم تولى عنهم. فقال عمرو بن سلمة: راينا عامة اولىك الحلق يطاعنونا يوم النهروان مع الخوارج اسناده جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২১১. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা অনুসরণ করো, নতুন মত-পথ (বিদ’আত) উদ্ভাবন করো না। তবেই তোমরা রক্ষা পাবে।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ -: اتَّبِعُوا وَلَا تَبْتَدِعُوا، فَقَدْ كُفِيتُمْ

في اسناده علتان: الأولى: تدليس حبيب بن أبي ثابت وقد عنعن والثانية: قول شعبة: " لم يسمع أبو عبد الرحمن: عبد الله بن حبيب من عبد الله بن مسعود ". ولكن قال الإمام أحمد: " في قول شعبة: لم يسمع من ابن مسعود شيئا أراه وهما

اخبرنا يعلى، حدثنا الاعمش، عن حبيب، عن ابي عبد الرحمن، قال: قال عبد الله - رضي الله عنه -: اتبعوا ولا تبتدعوا، فقد كفيتم في اسناده علتان: الاولى: تدليس حبيب بن ابي ثابت وقد عنعن والثانية: قول شعبة: " لم يسمع ابو عبد الرحمن: عبد الله بن حبيب من عبد الله بن مسعود ". ولكن قال الامام احمد: " في قول شعبة: لم يسمع من ابن مسعود شيىا اراه وهما

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২১২. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করলেন। প্রথমে তিনি আল্লাহর প্রশংসা ও তা’রীফ করলেন, তারপর বললেন: ’সর্বোত্তম হেদায়াত (পথ-নির্দেশনা) হল মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হেদায়াত, সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ হচ্ছে নতুন প্রবর্তিত কাজ। আর প্রত্যেক বিদ’আতই (নব উদ্ভাবন) ভ্রষ্টতা।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: إِنَّ أَفْضَلَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَشَرَّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا، وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ

إسناده حسن من أجل يحيى بن سليم ولكنه لم ينفرد به بل تابعه عليه عبد الوهاب الثقفي وسليمان بن بلال وسفيان فيصح الإسناد

اخبرنا محمد بن احمد بن ابي خلف، حدثنا يحيى بن سليم، حدثني جعفر بن محمد، عن ابيه، عن جابر بن عبد الله الانصاري - رضي الله عنهما - قال: خطبنا رسول الله صلى الله عليه وسلم فحمد الله واثنى عليه ثم قال: ان افضل الهدي هدي محمد صلى الله عليه وسلم، وشر الامور محدثاتها، وكل بدعة ضلالة اسناده حسن من اجل يحيى بن سليم ولكنه لم ينفرد به بل تابعه عليه عبد الوهاب الثقفي وسليمان بن بلال وسفيان فيصح الاسناد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২১৩. বিলায ইবনু ইছমাহ বলেন, আমি আব্দুল্লাহ মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি, যখন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা তথা জুমু’আর রাত্রি আগমন করতো, তিনি দাঁড়িয়ে যেতেন এবং বলতেন, ’সবচেয়ে সত্য বাণী হল আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা-’র বাণী আর ’সর্বোত্তম হেদায়াত (পথ-নির্দেশনা) হল মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর হেদায়াত। আর দুর্ভাগা সেই ব্যক্তি যে তার মায়ের গর্ভে থাকাকালীন দুর্ভাগা (বলে নির্ধারিত) হয়েছে। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বর্ণনা হল মিথ্যা বর্ণনা, সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ হচ্ছে নতুন প্রবর্তিত কাজ (বিদ’আত)। আর এর (বিদ’আতের) প্রত্যেকটিই অদূর ভবিষ্যতে আগমন করবে।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ أَسْلَمَ الْمِنْقَرِيِّ، عَنْ بِلَادِ بْنِ عِصْمَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ، وَكَانَ إِذَا كَانَ عَشِيَّةَ الْخَمِيسِ ليْلةِ الْجُمُعَةِ، قَامَ فَقَالَ: «إِنَّ أَصْدَقَ الْقَوْلِ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَإِنَّ أَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالشَّقِيُّ مَنْ شَقِيَ فِي بَطْنِ أُمِّهِ، وَإِنَّ شَرَّ الرَّوَايَا رَوَايَا الْكَذِبِ، وَشَرَّ الْأُمُورِ مُحْدَثَاتُهَا، وَكُلَّ مَا هُوَ آتٍ قَرِيبٌ

إسناده جيد

اخبرنا محمد بن عيينة، عن ابي اسحاق الفزاري، عن اسلم المنقري، عن بلاد بن عصمة، قال: سمعت عبد الله بن مسعود رضي الله عنه يقول، وكان اذا كان عشية الخميس ليلة الجمعة، قام فقال: «ان اصدق القول قول الله عز وجل وان احسن الهدي هدي محمد صلى الله عليه وسلم والشقي من شقي في بطن امه، وان شر الروايا روايا الكذب، وشر الامور محدثاتها، وكل ما هو ات قريب اسناده جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২১৪. ইবনু সীরীন রাহি. বলেন, যখনই কোন ব্যক্তি কোন বিদ’আতকে আকড়ে ধরে, তখনই সে কোন একটি সুন্নাত থেকে (মুখ) ফিরিয়ে নেয়।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الْفَزَارِيِّ عَنْ لَيْثٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ: مَا أَخَذَ رَجُلٌ بِبِدْعَةٍ فَرَاجَعَ سُنَّةً

إسناده ضعيف لضعف الليث وهو ابن أبي سليم

اخبرني محمد بن عيينة، عن ابي اسحاق الفزاري عن ليث، عن ايوب، عن ابن سيرين، قال: ما اخذ رجل ببدعة فراجع سنة اسناده ضعيف لضعف الليث وهو ابن ابي سليم

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২১৫. ছাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ’আমার উম্মাতের জন্য আমি সর্বাধিক ভয় করি গোমরাহকারী ইমাম (অনুসৃত আলিম/নেতা)-গণকে ।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: إِنَّمَا أَخَافُ عَلَى أُمَّتِي الْأَئِمَّةَ الْمُضِلِّينَ

إسناده صحيح

اخبرنا سليمان بن حرب، حدثنا حماد بن زيد، عن ايوب، عن ابي قلابة، عن ابي اسماء، عن ثوبان رضي الله عنه، عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قال: انما اخاف على امتي الاىمة المضلين اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২১৬. হায়্যাত বিনতে আবী হায়্যাত বলেন, (একদা) এক লোক দুপুর বেলায় আমাদের নিকট এলেন। তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর বান্দা! আপনি কোথা হতে এসেছেন। তিনি উত্তরে বললেন, আমি ও আমার সাথী আমাদের কোনো একটি বিষয়ের খোঁজে এসেছি। আমার সাথী তা খুঁজতে বের হলেন, আর আমি এখানে ছায়ায় একটু আশ্রয় গ্রহণ এবং একটু কিছু পান করার উদ্দেশ্যে এলাম।

আমি তখন উঠে টক দুধ আনতে গেলাম, বর্ণনাকারী বলেন, (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) কখনো তিনি বলেছেন, আমি টক দই আনতে গেলাম। এরপর আমি তাকে তা পান করালাম। আর তিনিও পান করলেন এবং আমিও পান করলাম। এরপর আমি তাকে মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করলাম এবং বললাম: হে আল্লাহর বান্দা! আপনি কে? তখন তিনি বললেন, আমি আবু বাকর। আমি বললাম, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথী আবু বকর, যার সম্পর্কে আমি শুনেছি? তিনি বললেন, হাঁ। তখন আমি খাছ’আম গোত্রের সাথে আমাদের যুদ্ধ ও জাহিলিয়্যাতের কোন কোন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করলাম। এরপর বললাম, এরপর আল্লাহ আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁবু সমুহের রশিগুলি (এর ন্যায় সেতুবন্ধন) এনে দিয়েছেন। বর্ণনাকারী ইবনু আউন এক হাতের আঙ্গুলসমূহকে অপর হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে প্রবেশ করিয়ে দেখালেন। মুয়ায (অপর বর্ণনাকারী) আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন, আহমাদও এক হাতের আঙ্গুলসমূহকে অপর হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে প্রবেশ করিয়ে দেখালেন।

[বর্ণনাকারী (হায়্যাত) বলেন]: আমি বললাম, হে আল্লাহর বান্দা! লোকদের এ অবস্থা কতদিন পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে আপনি মনে করেন? তিনি বললেন, ইমামগণ যতক্ষণ সরল পথে স্থির থাকবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইমামগণ কারা? তিনি বললেন, তুমি কি (একত্রে বসবাসকারী) জনগোষ্ঠীর নেতাকে দেখনি, বিভিন্ন মহল্লায় যেমন সর্দার থাকে আর তারা তাকে অনুসরণ করে এবং তার আনুগত্য করে? ফলে এরা যতদিন সরল পথে স্থির থাকে, (ততদিন তা ঠিক থাকবে)।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو الْوَلِيدِ الْهَرَوِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ حَيَّةَ بِنْتِ أَبِي حَيَّةَ، قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيْنَا رَجُلٌ بِالظَّهِيرَةِ فَقُلْتُ: يَا عَبْدَ اللَّهِ مِنْ أَيْنَ أَقْبَلْتَ؟ قَالَ: «أَقْبَلْتُ أَنَا وَصَاحِبٌ لِي فِي بُغَاءٍ لَنَا فَانْطَلَقَ صَاحِبِي يَبْغِي وَدَخَلْتُ أَنَا أَسْتَظِلُّ بِالظِّلِّ وَأَشْرَبُ مِنَ الشَّرَابِ». فَقُمْتُ إِلَى لُبَيْنَةٍ حَامِضَةٍ - ورُبَّما قَالَتْ: فَقُمْتُ إِلَى ضَيْحَةٍ حَامِضَةٍ - فَسَقَيْتُهُ مِنْهَا، فَشَرِبَ وَشَرِبْتُ. قَالَتْ: وَتَوَسَّمْتُهُ فَقُلْتُ: يَا عَبْدَ اللَّهِ مَنْ أَنْتَ؟ فَقَالَ: «أَنَا أَبُو بَكْرٍ». قُلْتُ: أَنْتَ أَبُو بَكْرٍ صَاحِبُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي سَمِعْتُ بِهِ؟ قَالَ: «نَعَمْ». قَالَتْ: فَذَكَرْتُ غَزْوَنَا خَثْعَمًا، وَغَزْوَةَ بَعْضِنَا بَعْضًا فِي الْجَاهِلِيَّةِ، وَمَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْأُلْفَةِ وَأَطْنَابِ الْفَسَاطِيطِ - وَشَبَّكَ ابْنُ عَوْنٍ أَصَابِعَهُ، وَوَصَفَهُ لَنَا مُعَاذٌ، وَشَبَّكَ أَحْمَدُ - فَقُلْتُ: يَا عَبْدَ اللَّهِ حَتَّى مَتَى تَرَى أَمْرَ النَّاسِ هَذَا؟ قَالَ: «مَا اسْتَقَامَتِ الْأَئِمَّةُ»، قُلْتُ: مَا الْأَئِمَّةُ؟ قَالَ: أَمَا رَأَيْتَ السَّيِّدَ يَكُونُ فِي الْحِوَاءِ فَيَتَّبِعُونَهُ وَيُطِيعُونَهُ؟ فَمَا اسْتَقَامَ أُولَئِكَ

إسناده حسن

اخبرنا احمد بن عبد الله ابو الوليد الهروي، حدثنا معاذ بن معاذ، عن ابن عون، عن عمرو بن سعيد، عن ابي زرعة بن عمرو بن جرير، عن حية بنت ابي حية، قالت: دخل علينا رجل بالظهيرة فقلت: يا عبد الله من اين اقبلت؟ قال: «اقبلت انا وصاحب لي في بغاء لنا فانطلق صاحبي يبغي ودخلت انا استظل بالظل واشرب من الشراب». فقمت الى لبينة حامضة - وربما قالت: فقمت الى ضيحة حامضة - فسقيته منها، فشرب وشربت. قالت: وتوسمته فقلت: يا عبد الله من انت؟ فقال: «انا ابو بكر». قلت: انت ابو بكر صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم الذي سمعت به؟ قال: «نعم». قالت: فذكرت غزونا خثعما، وغزوة بعضنا بعضا في الجاهلية، وما جاء الله به من الالفة واطناب الفساطيط - وشبك ابن عون اصابعه، ووصفه لنا معاذ، وشبك احمد - فقلت: يا عبد الله حتى متى ترى امر الناس هذا؟ قال: «ما استقامت الاىمة»، قلت: ما الاىمة؟ قال: اما رايت السيد يكون في الحواء فيتبعونه ويطيعونه؟ فما استقام اولىك اسناده حسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২১৭. আবু দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আমি তোমাদের জন্য যে সকল জিনিসকে ভয় করি, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয় করি গোমরাহকারী ইমাম (নেতা)-দেরকে।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَخٍ لِعَدِيِّ بْنِ أَرْطَاةَ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَخْوَفُ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمُ الْأَئِمَّةَ الْمُضِلِّينَ

إسناده ضعيف فيه جهالة ولكن الحديث صحيح يشهد له الحديث قبل السابق

اخبرنا محمد بن الصلت، حدثنا ابراهيم بن سعد، عن ابيه، عن اخ لعدي بن ارطاة عن ابي الدرداء قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان اخوف ما اخاف عليكم الاىمة المضلين اسناده ضعيف فيه جهالة ولكن الحديث صحيح يشهد له الحديث قبل السابق

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২১৮. কায়িস ইবনু আবু হাযিম বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আবু বাকর আহমাস গোত্রের এক মহিলার নিকট গেলেন, যাকে যায়নাব বলে ডাকা হত। তিনি বলেন, তিনি মহিলাকে দেখলেন যে, সে কোনো কথা-বার্তা বলছে না। তখন তিনি (লোকদেরকে) জিজ্ঞেস করলেন, তার কী হয়েছে যে সে কথা বলছে না? তারা বলল, সে কথা-বার্তাহীন (নিশ্চুপ) হজ্জ করার নিয়াত করেছে। তিনি তাকে বললেন, তুমি কথা বলো। কারণ, এটি জায়েয নয়। এটি জাহিলী যুগের কাজ। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তারপর সে কথা বলল। তখন সে জিজ্ঞেস করল, আপনি কে? তিনি (আবু বাকর) বললেন, আমি মুহাজিরগণের একজন । সে তখন জিজ্ঞেস করল, কোন্ মুহাজিরগণের? তিনি বললেন, কুরাইশ বংশের। তখন সে আবারও প্রশ্ন করল, আপনি কুরাইশদের কোন্ (গোত্রের)? তিনি বললেন, তুমি তো দেখি খুব বেশি বেশি প্রশ্ন কর! আমি আবু বাকর। তখন ঐ মহিলা বললেন, জাহিলিয়্যাহ যুগের পরে আল্লাহ আমাদের জন্য যে কল্যাণকর অবস্থা সৃষ্টি করেছেন, তার উপর আমরা কতদিন পর্যন্ত স্থির থাকবো? তিনি বললেন, তোমরা এর উপর ততদিন পর্যন্ত স্থির থাকবে, যতদিন পর্যন্ত তোমাদের ইমামগণ সরল পথে স্থির থাকবে। সে বলল, ইমামগণ আবার কী? তিনি বললেন: ’তোমাদের গোত্রে কি নেতৃস্থানীয় সর্দার ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গ আছেন না, যারা লোকদেরকে আদেশ করেন এবং তারা তাদের আদেশ মান্য করে? সে বলল, হাঁ, অবশ্যই আছে। তিনি বললেন, ফলে তারাই হলো লোকদের জন্য ঐ ব্যক্তিবর্গের (ইমামগণের) মত।”[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ بَيَانٍ بْنِ بِشْرٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، قَالَ: دَخَلَ أَبُو بَكْرٍ رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِ عَلَى امْرَأَةٍ مِنْ أَحْمَسَ يُقَالُ لَهَا زَيْنَبُ، قَالَ: «فَرَآهَا لَا تَتَكَلَّمُ»، فَقَالَ: مَا لَهَا لَا تَتَكَلَّمُ؟ قَالُوا: نَوَتْ حَجَّةً مُصْمِتَةً. فَقَالَ لَهَا: «تَكَلَّمِي، فَإِنَّ هَذَا لَا يَحِلُّ، هَذَا مِنْ عَمَلِ الْجَاهِلِيَّةِ». قَالَ: فَتَكَلَّمَتْ، فَقَالَتْ: مَنْ أَنْتَ. قَالَ: " أَنَا امْرُؤٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ. قَالَتْ: مِنْ أَيِّ الْمُهَاجِرِينَ؟ قَالَ: «مِنْ قُرَيْشٍ» قَالَتْ: فَمِنْ أَيِّ قُرَيْشٍ أَنْتَ؟ قَالَ: " إِنَّكِ لَسَئُولٌ، أَنَا أَبُو بَكْرٍ. قَالَتْ: مَا بَقَاؤُنَا عَلَى هَذَا الْأَمْرِ الصَّالِحِ الَّذِي جَاءَ اللَّهُ بِهِ بَعْدَ الْجَاهِلِيَّةِ؟ فَقَالَ: «بَقَاؤُكُمْ عليْهِ مَا اسْتَقَامَتْ بِكُمْ أَئِمَّتُكُمْ». قَالَتْ " وَمَا الْأَئِمَّةُ؟ قَالَ: «أَمَا كَانَ لِقَوْمِكِ رُؤَسَاءُ وَأَشْرَافٌ يَأْمُرُونَهُمْ فَيُطِيعُونَهُمْ؟» قَالَتْ: بَلَى، قَالَ: «فَهُمْ مِثْلُ أُولَئِكَ عَلَى النَّاسِ

إسناده صحيح

اخبرنا ابو النعمان، حدثنا ابو عوانة، عن بيان بن بشر، عن قيس بن ابي حازم، قال: دخل ابو بكر رضوان الله عليه على امراة من احمس يقال لها زينب، قال: «فراها لا تتكلم»، فقال: ما لها لا تتكلم؟ قالوا: نوت حجة مصمتة. فقال لها: «تكلمي، فان هذا لا يحل، هذا من عمل الجاهلية». قال: فتكلمت، فقالت: من انت. قال: " انا امرو من المهاجرين. قالت: من اي المهاجرين؟ قال: «من قريش» قالت: فمن اي قريش انت؟ قال: " انك لسىول، انا ابو بكر. قالت: ما بقاونا على هذا الامر الصالح الذي جاء الله به بعد الجاهلية؟ فقال: «بقاوكم عليه ما استقامت بكم اىمتكم». قالت " وما الاىمة؟ قال: «اما كان لقومك روساء واشراف يامرونهم فيطيعونهم؟» قالت: بلى، قال: «فهم مثل اولىك على الناس اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২১৯. আইযা নামক এক মহিলা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে নারী-পুরুষদেরকে নসীহত করতে শুনেছি। তিনি বলতেন: “তোমাদের মধ্যকার নারী বা পুরুষ যে-ই (ফিতনা ও বিদআতের যুগ) পায় সে যেনো অনুসরণ করে প্রথমযুগের লোকদের পথ, প্রাচীনদের পন্থা (তথা সাহাবীগণের পন্থা)। কেননা, তবেই তোমরা ফিতরাত’ তথা স্বভাব ধর্ম (ইসলাম)-এর উপর থাকবে।

(পরবর্তী বর্ণনাকারী) আব্দুল্লাহ বলেন, السمت মানে রাস্তা, পথ-পন্থা।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ وَاصِلٍ، عَنِ امْرَأَةٍ يُقَالُ لَهَا: عَائِذَةُ، قَالَتْ: رَأَيْتُ ابْنَ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يُوصِي الرِّجَالَ وَالنِّسَاءَ وَيَقُولُ: «مَنْ أَدْرَكَ مِنْكمْ مِنَ امْرَأَةٍ أَوْ رَجُلٍ، فَالسَّمْتَ الْأَوَّلَ السَّمْتُ الْأَوَّلُ، فَإِنَّكُمْ عَلَى الْفِطْرَةِ» قَالَ عَبْدُ اللَّهِ السَّمْتُ: الطَّرِيقُ

إسناده صحيح

اخبرنا عبد الله بن محمد، حدثنا عبد الرحمن بن مهدي، عن سفيان، عن واصل، عن امراة يقال لها: عاىذة، قالت: رايت ابن مسعود رضي الله عنه يوصي الرجال والنساء ويقول: «من ادرك منكم من امراة او رجل، فالسمت الاول السمت الاول، فانكم على الفطرة» قال عبد الله السمت: الطريق اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২২০. যিয়াদ ইবনু হুদাইর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তুমি কি জানো, কিসে ইসলামকে ধ্বংস করবে? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, আলিমগণের পদস্খলন বা ভ্রান্তি, কিতাব তথা কুরআন নিয়ে মুনাফিকদের বিতর্ক-বিবাদ এবং গোমরাহকারী ইমাম (নেতা)-দের শাসন-পরিচালনা।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ، أَنبَأَنَا عَلِيٌّ هُوَ ابْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ زِيَادِ بْنِ حُدَيْرٍ، قَالَ: قَالَ لِي عُمَرُ: «هَلْ تَعْرِفُ مَا يَهْدِمُ الْإِسْلَامَ؟» قَالَ: قُلْتُ: لَا، قَالَ: يَهْدِمُهُ زَلَّةُ الْعَالِمِ، وَجِدَالُ الْمُنَافِقِ بِالْكِتَابِ وَحُكْمُ الْأَئِمَّةِ الْمُضِلِّينَ

إسناده صحيح

اخبرنا محمد بن عيينة، انبانا علي هو ابن مسهر، عن ابي اسحاق، عن الشعبي، عن زياد بن حدير، قال: قال لي عمر: «هل تعرف ما يهدم الاسلام؟» قال: قلت: لا، قال: يهدمه زلة العالم، وجدال المنافق بالكتاب وحكم الاىمة المضلين اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২২১. মুহাম্মদ ইবনু আলী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা ঝগড়া-বিতর্ককারী লোকদের নিকট বসবে না। কেননা, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহে দোষ-ত্রুটি অনুসন্ধান করবে।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا هَارُونُ، عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ: لَا تُجَالِسُوا أَصْحَابَ الْخُصُومَاتِ فَإِنَّهُمْ يَخُوضُونَ فِي آيَاتِ اللَّهِ

إسناده ضعيف لضعف ليث بن أبي سليم

اخبرنا هارون، عن حفص بن غياث، عن ليث، عن الحكم، عن محمد بن علي، قال: لا تجالسوا اصحاب الخصومات فانهم يخوضون في ايات الله اسناده ضعيف لضعف ليث بن ابي سليم

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২২২. হাসান (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর কসম, যিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তোমাদের রীতি-পদ্ধতি (সুন্নাত) হল বাড়াবাড়ি ও শৈথিল্যের মাঝামাঝি। তাই তোমরা এ সুন্নাতের উপর অটল থাকবে, আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া করুন। কেননা, আহলুস ‍সুন্নাহ (সুন্নাতের অনুসারীগণ) ছিলেন অতীতের অতি স্বল্প সংখ্যক লোক; আর বর্তমানেও তারা সংখ্যায় অতি অল্প; যারা ভোগ-বিলাসে মত্ত লোকদের সাথে ভোগ-বিলাসে মত্ত হয়নি, আর বিদ’আতী লোকদের সাথেও বিদ’আতে লিপ্ত হয়নি। বরং তারা তাদের রবের সাথে সাক্ষাত করা পর্যন্ত তাদের পথ-পন্থার (সুন্নাতের) উপর অটল থেকেছেন। সুতরাং আল্লাহ যদি ইচ্ছা করেন, তোমরাও (অটল থাকার ব্যাপারে) তাদের মত হয়ে যাও।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ شَرِيكٍ عَنْ المُبَارَكٍ، عَنِ الْحَسَنِ قَالَ: " سُنَّتُكُمْ - وَاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ بَيْنَهُمَا: بَيْنَ الْغَالِي وَالْجَافِي، فَاصْبِرُوا عَلَيْهَا رَحِمَكُمُ اللَّهُ، فَإِنَّ أَهْلَ السُّنَّةِ كَانُوا أَقَلَّ النَّاسِ فِيمَا مَضَى، وَهُمْ أَقَلُّ النَّاسِ فِيمَا بَقِيَ: الَّذِينَ لَمْ يَذْهَبُوا مَعَ أَهْلِ الْإِتْرَافِ فِي إِتْرَافِهِمْ، وَلَا مَعَ أَهْلِ الْبِدَعِ فِي بِدَعِهِمْ، وَصَبَرُوا عَلَى سُنَّتِهِمْ حَتَّى لَقُوا رَبَّهُمْ فكذاكمْ - إِنْ شَاءَ اللَّهُ - فَكُونُوا

إسناده ضعيف المبارك بن فضالة يدلس ويسوي وقد عنعن

اخبرنا الحسين بن منصور، حدثنا ابو اسامة، عن شريك عن المبارك، عن الحسن قال: " سنتكم - والله الذي لا اله الا هو بينهما: بين الغالي والجافي، فاصبروا عليها رحمكم الله، فان اهل السنة كانوا اقل الناس فيما مضى، وهم اقل الناس فيما بقي: الذين لم يذهبوا مع اهل الاتراف في اترافهم، ولا مع اهل البدع في بدعهم، وصبروا على سنتهم حتى لقوا ربهم فكذاكم - ان شاء الله - فكونوا اسناده ضعيف المبارك بن فضالة يدلس ويسوي وقد عنعن

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ২৩. রায় বা মত পোষণ করা অপছন্দনীয় বিষয়ে

২২৩. আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, বিদ’আতের মধ্যে (অনেক) পরিশ্রম করার চেয়ে সুন্নাতের মধ্যে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা উত্তম।[1]

بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ أَخْذِ الرَّأْيِ

أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ، وَمَالِكِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: الْقَصْدُ فِي السُّنَّةِ خَيْرٌ مِنَ الِاجْتِهَادِ فِي الْبِدْعَةِ

إسناده جيد

اخبرنا موسى بن خالد، حدثنا عيسى بن يونس، عن الاعمش، عن عمارة، ومالك بن الحارث، عن عبد الرحمن بن يزيد، عن عبد الله رضي الله عنه، قال: القصد في السنة خير من الاجتهاد في البدعة اسناده جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে