পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৫৯. উবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ জা’ফর থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, তোমাদের ফতওয়া প্রদানের বিষয়ে অধিক দুঃসাহসীগণ জাহান্নামের (যাওয়ার) জন্যও অধিক দুঃসাহসী।’[1]
তাখরীজ: কাশফুল খফা নং ১১৩; আসনাল মাতালিব, নং ৫৪; জামি’ বায়ানুল ইলম, ২/৮১৬,৮১৭, ৮৪৮ নং ১৫২৫, ১৫২৬, ১৫৯১।
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سَعِيدِ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَجْرَؤُكُمْ عَلَى الْفُتْيَا، أَجْرَؤُكُمْ عَلَى النَّارِ
إسناده معضل عبيد الله بن أبي جعفر ما عرفنا له رواية عن الصحابة فيما نعلم
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৬০. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এমন মত-পথ উদ্ভাবন করল বা পোষণ করলো যা আল্লাহর কিতাবে নেই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লামের সুন্নাতে আসেনি, তাহলে যখন সে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’র সাথে (কিয়ামতের দিন) সাক্ষাৎ করবে, সেদিন সে জানতেও পারবে না, সে কোন্ পথের উপর প্রতিষ্ঠিত (দীনের অনুসারী) ছিল।[1]
তাখরীজ: ইবনু ওয়াদাহ, আল বিদ’আ নং ৯৪; ইবনু হাযম, আল আহকাম ৬/৭৮২; বাইহাকী, আল মাদখাল ১৯০; খতীব, আল ফাকিহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, ১/১৮৩।
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ، حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنهما قَالَ: " مَنْ أَحْدَثَ رَأْيًا لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ، وَلَمْ تَمْضِ بِهِ سُنَّةٌ مَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَمْ يَدْرِ عَلَى مَا هُوَ مِنْهُ، إِذَا لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ
إسناده صحيح إذا كان عبدة سمعه من ابن عباس
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৬১. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন ফতওয়া দিল যা (দলীল-প্রমাণ দ্বারা) সাব্যস্ত নয়, তাহলে ভুল ফতওয়া দানের পাপ ফতওয়া দানকারীর উপরই বর্তাবে।’[1]
তাখরীজ: আবু দাউদ, ৩৬৫৭; বুখারী, আদাবুল মুফরাদ ২৫৯; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ১/১৭১; হাকিম ১/১২৬; খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ১/১৫৫; বাইহাকী, আদাবুল কাযী ১০/১১২; হাকিম ও যাহাবী একে বুখারী মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। তবে আমি বলছি: এটি বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ নয়, বরং এর রাবী মুসলিম ইবনু ইয়াসার হতে ইমাম মুসলিম তার সহীহ মুসলিমের মুকদ্দমায় এর শাহীদ নিয়ে এসেছেন।
ইবনু হাযম, আল আহকাম ৬/১০২১ ইবনু আব্বাস হতে, সনদ সহীহ; আহমদ ২/৩২১, সনদ হাসান, (এছাড়াও শাইখ এর অনেকগুলো সনদ তাখরীজ করেছেন-অনুবাদক)
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي بَكْرُ بْنُ عَمْرٍو الْمَعَافِرِيُّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ مُسْلِمِ بْنُ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا مَنْ غَيْرِ ثَبْتٍ، فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مِنْ أَفْتَاهُ
إسناده حسن إذا كان بكر بن عمرو سمعه من أبي عثمان
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৬২. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে অজ্ঞ হয়েও সে বিষয়ে ফতওয়া প্রদান করে, তবে এই ভুল ফতওয়ার পাপ তার উপরই বর্তাবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আব্দুল বার, জামি বায়ানুল ইলম, নং ১৬২৬, ১৬২৭, ১৮৯২; খতীব, আল ফাকিহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ, ২/১৫৫;
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنه، قَالَ: «مَنْ أَفْتَى بِفُتْيَا يُعَمَّى عنهَا، فَإِثْمُهَا عَلَيْهِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৬৪. আবু সুহাইল রাহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর উপর মাসজিদুল হারামে তিনদিনের জন্য মানতের ই’তিকাফ রয়ে গিয়েছিল। যখন আমি (এ বিষয়ে) উমার ইবনু আব্দুল আযীয রাহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞেস করলাম, তখন তাঁর নিকট ইবনু শিহাব যুহুরী রাহিমাহুল্লাহও ছিলেন। তিনি বলেন, আমি বললাম, তার উপর কি সিয়ামও রয়েছে? তখন ইবনু শিহাব বললেন: সিয়াম ব্যতীত কোনো ই’তিকাফ হয় না।
তখন উমার ইবনু আব্দুল আযীয তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে (বর্ণনা করছেন)? তিনি বললেন, না। তিনি তাকে আবার জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি তাহলে আবু বাকর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে (বর্ণনা করছেন)? তিনি বললেন, না। তিনি আবার তাকে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি তবে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে (বর্ণনা করছেন)? তিনি জবাবে বললেন, না। তিনি অনুরূপভাবে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কি তবে উছমান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে (বর্ণনা করছেন)? তিনি এর জবাবে আবারও বললেন, না।
তখন তিনি বললেন, আমার মত হল, (ই’তিকাফ করার জন্য) এ মহিলার উপর সিয়াম বাধ্যতামুলক নয়। তখন আমি বের হয়ে গেলাম এবং তাউস ও আতা ইবনু আবী রাবাহকে পেয়ে গেলাম। ফলে তাদের দু’জনকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলাম। তাউস বললেন: ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু (ই’তিকাফের জন্য) এ ক্ষেত্রে তার উপর সিয়াম অপরিহার্য বলে মনে করতেন না, যদি না সে নিজের উপর তা ধার্য করে নেয়। তিনি বলেন, আতা বললেন, এটি আমারও মত।[1]
তাখরীজ: আমি এ হাদীসটি এখানে ব্যতীত অন্য কোথাও পাইনি। তবে দেখুন, মুছান্নাফ ইবনু আবী শাইবা, ৩/৮৭; মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার ৬/৩৯৫-৩৯৬; মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক ৪/৩৫৩-৩৫৪।
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، وَعَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي سُهَيْلٍ، قَالَ: كَانَ عَلَى امْرَأَتِي اعْتِكَافُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ، فَسَأَلْتُ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، وَعِنْدَهُ ابْنُ شِهَابٍ، قَالَ: قُلْتُ عَلَيْهَا صِيَامٌ. قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: لَا يَكُونُ اعْتِكَافٌ إِلَّا بِصِيَامٍ. فَقَالَ لَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ: أَعَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَعَنْ أَبِي بَكْرٍ؟ قَالَ: لَا؟ قَالَ: فَعَنْ عُمَرَ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَعَنْ عُثْمَانَ؟ قَالَ: لَا. قَالَ عُمَرُ: مَا أَرَى عَلَيْهَا صِيَامًا. فَخَرَجْتُ فَوَجَدْتُ طَاوُسًا وَعَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ، فَسَأَلْتُهُمَا، فَقَالَ طَاوُسٌ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، «لَا يَرَى عَلَيْهَا صِيَامًا إِلَّا أَنْ تَجْعَلَهُ عَلَى نَفْسِهَا». قَالَ: وَقَالَ عَطَاءٌ: ذَلِكَ رَأْيِي
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৬৫, আবু নাদ্বরাহ্ বলেন, আবু সালামাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যখন বসরায় এলেন, তখন আমি এবং হাসান তাঁর নিকট এলাম। তিনি হাসানকে বললেন, তুমিই হাসান? বসরায় এমন কোন ব্যক্তি নেই, যার সাথে সাক্ষাৎ করা আমার নিকট তোমার সাথে সাক্ষাৎ অপেক্ষা অধিক প্রিয়। এর কারণ হল, আমার নিকট এ সংবাদ পৌঁছেছে যে, তুমি তোমার আপন রায় (মতামত) দ্বারা ফাতওয়া প্রদান কর। (শোনো), নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত কিংবা (আল্লাহর) নাযিলকৃত কিতাবের দলীল ব্যতীত তুমি কখনো তোমার নিজের রায় দ্বারা ফতওয়া দিও না।[1]
তাখরীজ: খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ নং ১০৭১; সনদ সহীহ।
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَقِيلٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ قَالَ: لَمَّا قَدِمَ أَبُو سَلَمَةَ الْبَصْرَةَ، أَتَيْتُهُ أَنَا وَالْحَسَنُ فَقَالَ لِلْحَسَنِ: أَنْتَ الْحَسَنُ؟ «مَا كَانَ أَحَدٌ بِالْبَصْرَةِ أَحَبَّ إِلَيَّ لِقَاءً مِنْكَ، وَذَلِكَ أَنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّكَ تُفْتِي بِرَأْيِكَ، فَلَا تُفْتِ بِرَأْيِكَ إِلَّا أَنْ تَكُونَ سُنَّةٌ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ كِتَابٌ مُنْزَلٌ
رجاله ثقات غير أن أبا عقيل بشير بن عقبة لم يذكر فيمن سمعوا سعيد بن إياس الجريري قبل الاختلاط
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৬৬. জাবির বিন যায়িদ থেকে বর্ণিত, তাওয়াফ করার সময় ইবনু উমার তার সাথে সাক্ষাৎ করলেন, অতঃপর বললেন, ওহে আবূ শা’ছা’! নিশ্চয়ই তুমি বসরার ফকীহদের (প্রজ্ঞাবানদের) একজন। ফলে ফয়সালাকারী কুরআন কিংবা বিগত কোন সুন্নাত ব্যতীত তুমি ফতওয়া দিও না। আর যদি তুমি তা কর (কুরআন-সুন্নাহ ব্যতীত ফতওয়া দাও), তবে তুমি নিজেও ধ্বংস হবে এবং (অন্যদেরকেও) ধ্বংস করবে।[1]
তাখরীজ: বুখারী, আত তারীখ ২/২০৪; খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ১/১৮৩ ও ২/১৬৩; আবু নুয়াইম, হিলইয়া ৩/৮৬;
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا عِصْمَةُ بْنُ الْفَضْلِ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عُقْبَةَ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ، عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ لَقِيَهُ فِي الطَّوَافِ فَقَالَ لَهُ: يَا أَبَا الشَّعْثَاءِ إِنَّكَ مِنْ فُقَهَاءِ الْبَصْرَةِ فَلَا تُفْتِ إِلَّا بِقُرْآنٍ نَاطِقٍ، أَوْ سُنَّةٍ مَاضِيَةٍ، فَإِنَّكَ إِنْ فَعَلْتَ غَيْرَ ذَلِكَ، هَلَكْتَ وَأَهْلَكْتَ
إسناده حسن
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৬৭. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের উপর এক যামানা এসেছিল, যখন আমরা কোন ফায়সালা বা সমাধান দিতাম না, আর সে অবস্থাও আমাদের ছিল না। এরপর মহান আল্লাহ এ বিষয়টি নির্ধারণ করলেন এবং আমাদেরকে সেই অবস্থায় পৌঁছে দিলেন, যেখানে তোমরা আজকে আমাদেরকে দেখছ। কাজেই আজকের পর থেকে কারো নিকট এমন কোন মুকাদ্দমা-বিবাদ উত্থাপিত হলে সে যেন আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’-এর কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা করে। আর তার নিকট যদি এমন কোন বিবাদ আসে যা আল্লাহর কিতাবে নেই, তবে সে যেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ফায়সালা দ্বারা ফায়সালা করে। আর যদি তার নিকট এমন কিছু আসে, যা আল্লাহর কিতাবেও নেই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সে ব্যাপারে কোন ফায়সালা দেননি, তবে সে বিষয়ে সে সলিহীন (নেককার)দের ফায়সালা অনুযায়ী ফায়সালা দেবে। ’আমার ভয় হয়’ বা ’আমি মনে করি’- এ জাতীয় কথা সে যেন না বলে। কেননা, হারাম স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে এবং হালালও স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এতদুভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়সমূহ। সুতরাং তোমাকে যা সন্দেহে পতিত করে, তা তুমি পরিত্যাগ করে সেই বিষয় অবলম্বন কর যা তোমাকে সন্দেহে পতিত করে না।”[1]
তাখরীজ: নাসাঈ, আদাবুল কুযাত ৮/২৩০-২৩১; খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ১/২০০-২০১; বাইহাকী, আদাবুল কাযী ১০/১১৫; ইবনু আব্দুল বাররা, জামিউ’ বায়ানুল ইলম, ১৫৯৫, ১৫৯৬।
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ حُرَيْثِ بْنِ ظُهَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: أَتَى عَلَيْنَا زَمَانٌ لَسْنَا نَقْضِي وَلَسْنَا هُنَالِكَ، وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ قَدَّرَ مِنَ الْأَمْرِ أَنْ قَدْ بَلَغْنَا مَا تَرَوْنَ، «فَمَنْ عَرَضَ لَهُ قَضَاءٌ بَعْدَ الْيَوْمِ، فَلْيَقْضِ فِيهِ بِمَا فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَإِنْ جَاءَهُ مَا لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ، فَلْيَقْضِ بِمَا قَضَى بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنْ جَاءَهُ مَا لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ، وَلَمْ يَقْضِ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلْيَقْضِ بِمَا قَضَى بِهِ الصَّالِحُونَ، وَلَا يَقُلْ إِنِّي أَخَافُ، وَإِنِّي أُرَى، فَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ، وَالْحَلَالَ بَيِّنٌ، وَبَيْنَ ذَلِكَ أُمُورٌ مُشْتَبِهَةٌ، فَدَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لَا يَرِيبُكَ
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৬৮. উবাইদুল্লাহ বিন আবু ইয়াযীদ বলেন, ইবনু আব্বাসকে যখন কোন বিষয় জিজ্ঞাসা করা হত, যদি তা কুরআনে থাকে, তবে তিনি তা জানিয়ে দিতেন। আর তা যদি কুরআনে না থাকে, কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত থাকে, তবে তাও তিনি জানিয়ে দিতেন। আর যা কুরআন-হাদীসে নাই, তবে আবু বকর ও উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে সে বিষয়ে কিছু বর্ণিত আছে, তাও তিনি জানিয়ে দিতেন। আর তা (উল্লিখিত স্থানসমূহে) কোথাও-ই না থাকলে তিনি সে ব্যাপারে আপন মতামত ব্যক্ত করতেন।[1]
তাখরীজ: হাকিম, ১/১২৭; খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ১/২০৩; বাইহাকী, আদাবুল কাযী ১০/১১৫; সনদ সহীহ।
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، قَالَ: كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، «إِذَا سُئِلَ عَنِ الْأَمْرِ فَكَانَ فِي الْقُرْآنِ، أَخْبَرَ بِهِ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي الْقُرْآنِ وَكَانَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَخْبَرَ بِهِ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ، فَعَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - فَإِنْ لَمْ يَكُنْ، قَالَ فِيهِ بِرَأْيِهِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৬৯. শুরাইহ থেকে বর্ণিত, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে লিখে পাঠিয়েছিলেন, ’তোমার কাছে যদি এমন বিষয় আসে যা আল্লাহর কিতাবে (কুরআনে) রয়েছে, তবে সেই অনুযায়ী তুমি বিচার ফায়সালা করবে। কোন ব্যক্তি যেন তোমাকে তা থেকে (ডানে বামে) সরিয়ে না দেয়। আর যদি এমন বিষয় আসে যা আল্লাহর কিতাবে নেই তাহলে তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ দেখবে এবং সে অনুযায়ী ফায়সালা করবে। আর যদি তোমার নিকট এমন বিষয় আসে যা আল্লাহর কিতাবেও নেই, সে বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কোন সুন্নাহও নেই, তাহলে দেখবে লোকেরা কোন্ বিষয়ের উপর ঐকমত্য পোষণ করছে, তুমি সেটি গ্রহণ করবে। আর যদি তোমার নিকট এমন বিষয় আসে যা আল্লাহর কিতাবেও নেই, সে বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহও নেই, আর তোমার পূর্বে এ বিষয়ে কেউ কোন কথাই বলে যাননি, তবে তুমি দু’টি বিষয়ের যেকোন একটি গ্রহণ করতে পারো; যদি চাও তুমি আপন মতামতের ভিত্তিতে ইজতিহাদ করে অগ্রসর হবে, তবে অগ্রসর হতে পারো। আর যদি তুমি চাও (এ ব্যাপারে আপন মতামত প্রদান করা হতে) তুমি বিষয়টি মুলতুবি রাখবে, তবে মুলতুবি রাখতেও পার। তবে মুলতুবি রাখাই তোমার জন্য কল্যাণকর হবে বলে আমি মনে করি।[1]
তাখরীজ: : বাইহাকী, আদাবুল কাযী ১০/১১৫; নাসাঈ, আদাবুল কুযাত ৮/২৩১; খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাকিহ ১/১৯৯-২০১; ইবনু আব্দুল বাররা, জামিউ’ বয়ানুল ইলম, ১৪৩৯; ইবনু হাযম, আল আহকাম ৬/১০০৫;
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ شُرَيْحٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَتَبَ إِلَيْهِ: " إِنْ جَاءَكَ شَيْءٌ فِي كِتَابِ اللَّهِ، فَاقْضِ بِهِ وَلَا تَلْفِتْكَ عَنْهُ الرِّجَالُ، فَإِنْ جَاءَكَ مَا لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَانْظُرْ سُنَّةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاقْضِ بِهَا، فَإِنْ جَاءَكَ مَا لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ وَلَمْ يَكُنْ فِيهِ سُنَّةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَانْظُرْ مَا اجْتَمَعَ عَلَيْهِ النَّاسُ فَخُذْ بِهِ، فَإِنْ جَاءَكَ مَا لَيْسَ فِي كِتَابِ اللَّهِ وَلَمْ يَكُنْ فِي سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ أَحَدٌ قَبْلَكَ. فَاخْتَرْ أَيَّ الْأَمْرَيْنِ شِئْتَ: إِنْ شِئْتَ أَنْ تَجْتَهِدَ برأْيكَ ثُمَّ تَقَدَّمَ فَتَقَدَّمْ، وَإِنْ شِئْتَ أَنْ تتأخَّرَ، فَتَأَخَّرْ، وَلَا أَرَى التَّأَخُّرَ إِلَّا خَيْرًا لَكَ
إسناده جيد
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৭০. মু’আয রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তাকে ইয়ামানে পাঠান, তখন বলেন: তোমার নিকট বিচার-বিসম্বাদ উত্থাপিত হলে তুমি কিভাবে তার বিচার-ফয়সালা করবে? মু’আয বললেন, আমি আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করব। তিনি বললেন, ’তা যদি আল্লাহর কিতাবে না থাকে?’ তখন তিনি বললেন, তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাহ অনুযায়ী ফায়সালা করব। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, ’যদি তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাহতেও না থাকে?’ তিনি জবাবে বললেন, তাহলে আমি আপন মতামতের ভিত্তিতে ইজতিহাদ করব, আমি অবহেলা করব না। তখন নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার বুকে চাপড় মেরে বললেন, সেই আল্লাহর জন্যই সমস্ত প্রশংসা যিনি রাসূলুল্লাহ’র দূতকে এমন বিষয়ে তাওফীক দিয়েছেন, যা রাসূলুল্লাহকে সন্তুষ্ট করেছে।[1]
তাখরীজ: তায়ালিসী ১/২৮৬ নং ১৪৫২; ইবনু আবী শাইবা ১০/১৭৭ নং ৯১৪৯; আহমদ ৫/২৩০, ২৩৬, ২৪২; আবু দাউদ ৩৫৯৩; তিরমিযী ১৩২৮;
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَمْرِو، ابْنِ أَخِي الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنْ نَاسٍ مِنْ أَهْلِ حِمْصٍ مِنْ أَصْحَابِ مُعَاذٍ عَنْ مُعَاذٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا بَعَثَهُ إِلَى الْيَمَنِ قَالَ: أَرَأَيْتَ إِنْ عَرَضَ لَكَ قَضَاءٌ كَيْفَ تَقْضِي؟ " قَالَ: أَقْضِي بِكِتَابِ اللَّهِ، قَالَ: «فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي كِتَابِ اللَّهِ؟». قَالَ: فَبِسُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: " فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ؟. قَالَ: أَجْتَهِدُ رَأْيِي وَلَا آلُو. قَالَ: فَضَرَبَ صَدْرَهُ ثُمَّ قَالَ: «الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَفَّقَ رَسُولَ رَسُولِ اللَّهِ لِمَا يُرْضِي رَسُولَ اللَّهِ
إسناده ضعيف لانقطاعه
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৭১. হুরাইছ বিন জুহাইর হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার ধারণা, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: আমাদের জীবনে এমন একটি সময় অতিবাহিত হয়েছে, যখন আমরা কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হতাম না, আর সে অবস্থাও আমাদের ছিল না। এরপর মহান আল্লাহ (আমাদেরকে) এ অবস্থার যোগ্য করে তুললেন এবং সেই অবস্থায় পৌঁছে দিলেন, যেখানে তোমরা আজকে আমাকে দেখছ। কাজেই তোমাদেরকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তোমরা আল্লাহ-এর কিতাবে তা খুঁজে দেখো। যদি বিষয়টি আল্লাহর কিতাবে (খুঁজে) না পাও, তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম্-এর সুন্নাতে তা তালাশ কর। আর যদি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ’র সুন্নাতেও না পাও, তবে সে বিষয়ে মুসলিমগণের (সাহাবীদের) ইজমা (ঐকমত্য) তালাশ করবে। যদি সেই বিষয়ে মুসলিমগণের ইজমা না পাও, তবে কেবল তখনই তুমি তোমার আপন মতামতের ভিত্তিতে ইজতিহাদ করতে পার। এমন বলো না যে, ’আমি ভয় পাচ্ছি ও শংকিত হচ্ছি’। কেননা, হালাল স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে এবং হারামও স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এতদুভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়সমূহ। সুতরাং তোমাকে যা সন্দেহে পতিত করে, তা তুমি পরিত্যাগ করে সেই বিষয় অবলম্বন কর যা তোমাকে সন্দেহে পতিত করে না।[1]
তাখরীজ: খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ১/২০১। পূর্ণাঙ্গ তাখরীজের জন্য দেখুন পূর্বের হা/১৬৭।
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ حُرَيْثِ بْنِ ظُهَيْرٍ، قَالَ: أَحْسَبُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " قَدْ أَتَى عَلَيْنَا زَمَانٌ وَمَا نُسْأَلُ، وَمَا نَحْنُ هُنَاكَ، وَإِنَّ اللَّهِ قَدَّرَ أَنْ بَلَغْتُ مَا تَرَوْنَ. فَإِذَا سُئِلْتُمْ عَنْ شَيْءٍ، فَانْظُرُوا فِي كِتَابِ اللَّهِ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوهُ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فَفِي سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوهُ فِي سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ، فَمَا أَجْمَعَ عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ، فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيمَا أَجْمَعَ عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ، فَاجْتَهِدْ رَأْيَكَ، وَلَا تَقُلْ: إِنِّي أَخَافُ وَأَخْشَى، فَإِنَّ الْحَلَالَ بَيِّنٌ، وَالْحَرَامَ بَيِّنٌ، وَبَيْنَ ذَلِكَ أُمُورٌ مُشْتَبِهَةٌ، فَدَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لَا يَرِيبُكَ
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৭২. আব্দুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ থেকে, তিনি আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।[1]
তাখরীজ: পূর্বের হাদীসটি দেখুন।
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ نَحْوَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৭৩. কাসিম ইবনু আব্দুর রহমান তার পিতা আব্দুর রহমান হতে, তিনি আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতেও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।[1]
তাখরীজ: (মুহাক্বিক্ব এর কোন তাখরীজ করেন নি-অনুবাদক)।
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْأَعْمَشِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بِنَحْوِهِ
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৭৪. আ’মাশ বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: হে মানবমণ্ডলী! অচিরেই তোমরা নতুন বিষয় (মত-পথ) উদ্ভাবন করবে এবং তোমাদের জন্যও নতুন বিষয় (মত-পথ) উদ্ভাবন করা হবে। কাজেই যখনই তোমরা কোন নতুন বিষয় (মত-পথ) দেখবে, তখন তোমাদের উপর আবশ্যক হল, প্রাথমিক যুগের (রাসূল সা: ও সাহাবাগণের) নির্দেশ অনুসরণ করা।[1]
হাফস বলেন: আমি হাবীব থেকে তিনি আবু আব্দুর রহমান থেকে- এ সনদে এটি বর্ণনা করতাম। তারপর এ সনদ সম্পর্কে আমার সন্দেহ হল। (ফলে সে সনদ বাদ দিয়ে উল্লিখিত সনদে বর্ণনা করছি)।[2]
তাখরীজ: মারওয়াযী, আস সুন্নাহ নং ৮০; ইবনু বাত্তাহ, আল ইবানাহ ১/৩২৯, ৩৩০ নং ১৮০-১৮১; সনদ সহীহ। ইবনু বাত্তাহ নং ১৮২ তে আম্মারাহ ইবনু উবাইদ থেকে তিনি ইবনু মাসউদ থেকে বর্ণনা করেছেন। এর সনদ জায়্যেদ ক্বাবী (উত্তম শক্তিশালী)। আবার নং ১৮৩ তেও আসওয়াদ্ ইবনু হিলাল থেকে তিনি আব্দুল্লাহ থেকে এটি বর্ণনা করেছেন। এর সনদ সহীহ।
[2] তাহক্বীক্ব: (এর কোন হুকুম লাগাননি)। এর রাবীগণ বিশ্বস্ত, তবে হাবীব বিন আবী ছাবিত মুদাল্লিস, তিনি ‘আন ‘আন পদ্ধতিতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
তাখরীজ: খতীব, আল ফাকীহ ওয়াল মুতাফাক্কিহ ১/১৮২ ইবনু আবী শাইবা সূত্রে।
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: «أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ سَتُحْدِثُونَ وَيُحْدَثُ لَكُمْ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ مُحْدَثَةً، فَعَلَيْكُمْ بِالْأَمْرِ الْأَوَّلِ» قَالَ حَفْصٌ: كُنْتُ أُسْنِدُ عَنْ حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ثُمَّ دَخَلَنِي مِنْهُ شَكٌّ
إسناده منقطع لم يسمع الأعمش من ابن مسعود
পরিচ্ছেদঃ ২০. ফতোয়া প্রদান করা এবং এতে যে কঠোরতা রয়েছে
১৭৫. ইবনু আউন হতে বর্ণিত, তিনি মুহাম্মাদ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে, তুমি ফতওয়া দিচ্ছো, অথচ তুমি শাসক নও। এর শীতলতার ভার তুমি তাকেই অর্পণ কর, যাকে এর উত্তাপেরও ভার দিয়েছ (শাসক বা আমীর ফতওয়া দেওয়ার কর্তৃত্বশীল, ফতওয়া দানের ক্ষতির ভার ও তাকেই বহন করতে দাও)।[1]
তাখরীজ: আব্দুল বার, জামিউ’ বায়ানুল ইলম, নং ২০৬৪, ২২১৬;
بَابُ الْفُتْيَا وَمَا فِيهِ مِنَ الشِّدَّةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّلْتِ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ قَالَ: قَالَ عُمَرُ لِابْنِ مَسْعُودٍ: «أَلَمْ أُنْبَأْ - أَوْ أُنْبِئْتُ - أَنَّكَ تُفْتِي وَلَسْتَ بِأَمِيرٍ؟ وَلِّ حَارَّهَا مَنْ تَوَلَّى قَارَّهَا