পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর প্রতি গাছ-পালা, চতুষ্পদ জন্তু ও জিনদের ঈমান আনয়নের মাধ্যমে তাঁকে যে সম্মানিত করেছেন, তার বর্ণনা

১৬. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে কোন এক সফরে ছিলাম। তখন একজন বেদুইন এসে উপস্থিত হল। যখন সে তাঁর নিকটবর্তী হল, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন: ’তুমি কোথায় যেতে চাচ্ছ? সে বলল, আমার পরিবারের নিকট যেতে চাচ্ছি। তিনি তাকে বললেন: তোমার কি কল্যাণের কোন প্রয়োজন আছে? সে বলল, তা (সে কল্যাণ) আবার কি? তিনি বললেন: ’তুমি এ কথার সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোন অংশীদার নেই এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল। সে জিজ্ঞেস করল, আপনার এ কথার সত্যায়ন করবে কে? তিনি বললেন: এই বাবলাগাছ সাক্ষ্য দেবে। তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপত্যকার কিনারায় অবস্থিত বাবলা গাছটিকে ডাকলেন এবং সে মাটিতে দাগ কাটতে কাটতে এসে তাঁর সামনে দাঁড়াল। আর তিনি সেই গাছের নিকট তিনবার এর সাক্ষ্য চাইলেন, আর সেটি তিনবারই সেভাবে সাক্ষ্য দিল যেভাবে তিনি বলেছিলেন। তারপর সেই গাছটি আপন স্থানে ফিরে গেল। তখন বেদুইন লোকটিও তার গোত্রের নিকট ফিরে গেল। আর বলে গেল, যদি আমার ক্বওম আমার অনুসরণ করে, তবে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমি আপনার কাছে উপস্থিত হবে এবং নইলে আমি একাই ফিরে আসব এবং আপনার নিকট অবস্থান করব।”[1]

بَاب مَا أَكْرَمَ اللَّهُ تَعَالي بِهِ نَبِيَّهُ مِنْ إِيمَانِ الشَّجَرِ بِهِ، وَالْبَهَائِمِ، وَالْجِنِّ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ فَأَقْبَلَ أَعْرَابِيٌّ فَلَمَّا دَنَا مِنْهُ، قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيْنَ تُرِيدُ؟ "، قَالَ: إِلَى أَهْلِي، قَالَ: " هَلْ لَكَ فِي خَيْرٍ؟ "، قَالَ: وَمَا هُوَ؟، قَالَ: " تَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ "، فَقَالَ: وَمَنْ يَشْهَدُ عَلَى مَا تَقُولُ؟، قَالَ: " هَذِهِ السَّلَمَةُ "، فَدَعَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ بِشَاطِئِ الْوَادِي فَأَقْبَلَتْ تَخُدُّ الْأَرْضَ خَدًّا حَتَّى قَامَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَاسْتَشْهَدَهَا ثَلَاثًا، فَشَهِدَتْ ثَلَاثًا أَنَّهُ كَمَا قَالَ، ثُمَّ رَجَعَتْ إِلَى مَنْبَتِهَا، وَرَجَعَ الْأَعْرَابِيُّ إِلَى قَوْمِهِ، وَقَالَ: إِنْ اتَّبَعُونِي أَتَيْتُكَ بِهِمْ، وَإِلَّا رَجَعْتُ، فَكُنْتُ مَعَكَ

حديث صحيح

اخبرنا محمد بن طريف، حدثنا محمد بن فضيل، حدثنا ابو حيان، عن عطاء، عن ابن عمر رضي الله عنهما، قال: كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في سفر فاقبل اعرابي فلما دنا منه، قال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: " اين تريد؟ "، قال: الى اهلي، قال: " هل لك في خير؟ "، قال: وما هو؟، قال: " تشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له، وان محمدا عبده ورسوله "، فقال: ومن يشهد على ما تقول؟، قال: " هذه السلمة "، فدعاها رسول الله صلى الله عليه وسلم وهي بشاطى الوادي فاقبلت تخد الارض خدا حتى قامت بين يديه، فاستشهدها ثلاثا، فشهدت ثلاثا انه كما قال، ثم رجعت الى منبتها، ورجع الاعرابي الى قومه، وقال: ان اتبعوني اتيتك بهم، والا رجعت، فكنت معك حديث صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর প্রতি গাছ-পালা, চতুষ্পদ জন্তু ও জিনদের ঈমান আনয়নের মাধ্যমে তাঁকে যে সম্মানিত করেছেন, তার বর্ণনা

১৭. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে এক সফরে বের হলাম। তিনি প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটাতে এতটা আড়ালে চলে যেতেন যাতে তাঁকে আর দেখা যেত না। আমরা এমন এক মরুভূমিতে অবতরণ করলাম যেখানে কোন গাছপালা কিংবা পাহাড় চোখে পড়ছিল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: হে জাবির, তোমার পাত্রে পানি নাও এবং আমার সাথে এসো।’ বর্ণনাকারী (জাবির রাদ্বি:) বলেন, আমরা চলতে লাগলাম (এবং এত দূরে গেলাম যাতে) আমাদেরকে আর দেখা না যায়। চলতে চলতে দু’টি গাছ দেখা গেল, যাদের মাঝে দূরত্ব ছিল হাত চারেক। তখন তিনি আমাকে বললেন: ’হে জাবির, তুমি এ গাছটির নিকট যাও এবং তাকে বল: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাকে বলছেন যে, ’তুমি তোমার সাথীর সাথে ‍এমনভাবে মিলিত হও, যাতে আমি তোমাদের অন্তরালে (হাজত পূরণের উদ্দেশ্যে) বসতে পারি।’

বর্ণনাকারী বলেন: আমি তাই করলাম। তখন সেই গাছটি অন্য গাছের সাথে মিলে গেলো আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (প্রয়োজন পূরণ করার উদ্দেশ্যে) গাছ দুটির অন্তরালে বসলেন। তারপর গাছ দুটি যার যার স্থানে ফিরে গেল। তারপর আমরা আবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে রওয়ানা হলাম। তিনি আমাদের মাঝে থাকলে আমাদের মনে হতো, যেন আমাদের মাথার উপর পাখি ছায়া দান করছে। এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সামনে এক মহিলা আসলো, তার সঙ্গে ছিল তার একটি ছেলে। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমার এ ছেলেটার উপর প্রত্যেক দিন তিন বার করে শয়তান আছর করে। বর্ণনাকারী বলেন: তখন তিনি ছেলেটিকে তুলে নিলেন এবং তাকে তাঁর এবং জিনের (উটের পিঠে বসানো গদি) সামনের অংশের মাঝে বসালেন। তারপর বললেন: “আল্লাহর দুশমন, দূর হ! আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহর দুশমন, দূর হ! আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।- একথাটি তিনি তিনবার বললেন।

তারপর তিনি ছেলেটিকে ঐ মহিলার নিকট ফিরিয়ে দিলেন। পরবর্তীতে যখন আমরা আমাদের সফর শেষ করে এ স্থান দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন সেই মহিলাটি আবার আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালো। তার সাথে তার ছেলেটি ছিল এবং দু’টি মেষ ছিল যেগুলো সে হাঁকিয়ে আনছিল। মহিলাটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমার পক্ষ থেকে এ হাদিয়াটুকু গ্রহণ করুন। যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, সেই সত্ত্বার কসম, সেই দিনের পর শয়তান আর ওর কাছে ফিরে আসেনি। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তার নিকট থেকে একটি মেষ গ্রহণ কর এবং অপরটি তাকে ফিরিয়ে দাও।’

বর্ণনাকারী বলেন: অতঃপর আমরা রওনা দিলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মাঝেই ছিলেন, এমতাবস্থায় মনে হচ্ছিল যেন পাখিরা আমাদের উপর ছায়া দান করছে। এমন সময় কোথা হতে জানি আওয়াজ করতে করতে একটি উট পালিয়ে আসল এবং লোকদের দুই সারির মাঝে এসে সাজদায় পড়ে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বসে পড়লেন এবং লোকদেরকে বললেন: ’এ উটটির মালিক কে?’ তখন আনসারী কিছু যুবক বলে উঠল: ইয়া রাসূলুল্লাহ, ওটি আমাদের উট।

তিনি বললেন: ’ওটার কী হয়েছে?’ তারা বলল, এর পিঠে আমরা প্রায় বিশ বছর ধরে পানি বহন করে আসছি। আর ওটা বেশ মোটা তাজা ছিল। এখন আমরা চাচ্ছি এটিকে যবেহ/কুরবানী করে আমাদের বাচ্চাদের মাঝে বণ্টন করে দিতে। এমতাবস্থায় এটি আমাদের থেকে পালিয়ে এসেছে। তিনি বললেন: ’তোমরা একে আমার কাছে বিক্রি করে দাও।’ তারা বলল, না, বরং ওটি আপনারই, হে আল্লাহর রাসূল!

তিনি বললেন: “তা যখন করবে না, তখন ওর মৃত্যু পর্যন্ত ওর সাথে সদাচারণ কর।” এ সময় মুসলিমগণ বলে উঠলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, পশুদের থেকে আমরাই তো আপনাকে সাজদা করার ব্যাপারে অধিক হকদার। তিনি বললেন: ’কোন কিছুরই কোন কিছুকে সাজদা করা উচিত নয়। তা যদি হত (অর্থাৎ এভাবে সাজদা করার অনুমতি থাকত), তবে নারীদের জন্য তাদের স্বামীদেরকে সাজদা করাই সঙ্গত হত (কিন্তু এর অনুমতি নেই)।”[1]

بَاب مَا أَكْرَمَ اللَّهُ تَعَالي بِهِ نَبِيَّهُ مِنْ إِيمَانِ الشَّجَرِ بِهِ، وَالْبَهَائِمِ، وَالْجِنِّ

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْمَاعِيل بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، وَكَانَ لَا يَأْتِي الْبَرَازَ حَتَّى يَتَغَيَّبَ فَلَا يُرَى، فَنَزَلْنَا بِفَلَاةٍ مِنْ الْأَرْضِ لَيْسَ فِيهَا شَجَرةٌ، وَلَا عَلَمٌ، فَقَالَ: " يَا جَابِرُ، اجْعَلْ فِي إِدَاوَتِكَ مَاءً ثُمَّ انْطَلِقْ بِنَا "، قَالَ: فَانْطَلَقْنَا حَتَّى لَا نُرَى، فَإِذَا هُوَ بِشَجَرَتَيْنِ بَيْنَهُمَا أَرْبَعُ أَذْرُعٍ، فَقَالَ: " يَا جَابِرُ، انْطَلِقْ إِلَى هَذِهِ الشَّجَرَةِ، فَقُلْ: يُقُولُ لَكِ رَسولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْحَقِي بِصَاحِبَتِكِ حَتَّى أَجْلِسَ خَلْفَكُمَا "، فَرَجَعَتْ إِلَيْهَا، فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَلْفَهُمَ، ثُمَّ رَجَعَتَا إِلَى مَكَانِهِمَا، فَرَكِبْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَسُولُ اللَّهِ بَيْنَنَا كَأَنَّمَا عَلَيْنَا الطَّيْرُ تُظِلُّنَا، فَعَرَضَتْ لَهُ امْرَأَةٌ مَعَهَا صَبِيٌّ لَهَا، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ ابْنِي هَذَا يَأْخُذُهُ الشَّيْطَانُ كُلَّ يَوْمٍ ثَلَاثَ مِرَارٍ، قَالَ: فَتَنَاوَلَ الصَّبِيَّ فَجَعَلَهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ مُقَدَّمِ الرَّحْلِ، ثُمَّ قَالَ: " اخْسَأْ عَدُوَّ اللَّهِ، أَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اخْسَأْ عَدُوَّ اللَّهِ أَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثًا "، ثُمَّ دَفَعَهُ إِلَيْهَا، فَلَمَّا قَضَيْنَا سَفَرَنَا، مَرَرْنَا بِذَلِكَ الْمَكَانِ فَعَرَضَتْ لَنَا الْمَرْأَةُ مَعَهَا صَبِيُّهَا، وَمَعَهَا كَبْشَانِ تَسُوقُهُمَا، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ اقْبَلْ مِنِّي هَدِيَّتِي، فَوَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا عَادَ إِلَيْهِ بَعْدُ، فَقَالَ: " خُذُوا مِنْهَا وَاحِدًا وَرُدُّوا عَلَيْهَا الْآخَرَ "، قَالَ: ثُمَّ سِرْنَا وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَنَا كَأَنَّمَا عَلَيْنَا الطَّيْرُ تُظِلُّنَا، فَإِذَا جَمَلٌ نَادٌّ حَتَّى إِذَا كَانَ بَيْنَ سِمَاطَيْنِ خَرَّ سَاجِدًا، فَجَلَسَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ عَلَيَّ النَّاسَ: " مَنْ صَاحِبُ الْجَمَلِ؟ " فَإِذَا فِتْيَةٌ مِنْ الْأَنْصَارِ، قَالُوا: هُوَ لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: " فَمَا شَأْنُهُ "؟، قَالُوا: اسْتَنَيْنَا عَلَيْهِ مُنْذُ عِشْرِينَ سَنَةً وَكَانَتْ بِهِ شُحَيْمَةٌ فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْحَرَهُ فَنَقْسِمَهُ بَيْنَ غِلْمَانِنَا، فَانْفَلَتَ مِنَّا، قَالَ: " بِيعُونِيهِ "، قَالُوا: لَا، بَلْ هُوَ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: " أَمَّا لا، فَأَحْسِنُوا إِلَيْهِ حَتَّى يَأْتِيَهُ أَجَلُهُ "، قَالَ الْمُسْلِمُونَ عِنْدَ ذَلِكَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، نَحْنُ أَحَقُّ بِالسُّجُودِ لَكَ مِنْ الْبَهَائِمِ، قَالَ: " لَا يَنْبَغِي لِشَيْءٍ أَنْ يَسْجُدَ لِشَيْءٍ وَلَوْ كَانَ ذَلِكَ، كَانَ النِّسَاءُ لِأَزْوَاجِهِنَّ

إسناده ضعيف لضعف إسماعيل بن عبد الملك . ولكن الحديث صحيح بشواهده

اخبرنا عبيد الله بن موسى، عن اسماعيل بن عبد الملك، عن ابي الزبير، عن جابر رضي الله عنه، قال: خرجت مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر، وكان لا ياتي البراز حتى يتغيب فلا يرى، فنزلنا بفلاة من الارض ليس فيها شجرة، ولا علم، فقال: " يا جابر، اجعل في اداوتك ماء ثم انطلق بنا "، قال: فانطلقنا حتى لا نرى، فاذا هو بشجرتين بينهما اربع اذرع، فقال: " يا جابر، انطلق الى هذه الشجرة، فقل: يقول لك رسول الله صلى الله عليه وسلم: الحقي بصاحبتك حتى اجلس خلفكما "، فرجعت اليها، فجلس رسول الله صلى الله عليه وسلم خلفهم، ثم رجعتا الى مكانهما، فركبنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ورسول الله بيننا كانما علينا الطير تظلنا، فعرضت له امراة معها صبي لها، فقالت: يا رسول الله، ان ابني هذا ياخذه الشيطان كل يوم ثلاث مرار، قال: فتناول الصبي فجعله بينه وبين مقدم الرحل، ثم قال: " اخسا عدو الله، انا رسول الله صلى الله عليه وسلم اخسا عدو الله انا رسول الله صلى الله عليه وسلم ثلاثا "، ثم دفعه اليها، فلما قضينا سفرنا، مررنا بذلك المكان فعرضت لنا المراة معها صبيها، ومعها كبشان تسوقهما، فقالت: يا رسول الله اقبل مني هديتي، فوالذي بعثك بالحق ما عاد اليه بعد، فقال: " خذوا منها واحدا وردوا عليها الاخر "، قال: ثم سرنا ورسول الله صلى الله عليه وسلم بيننا كانما علينا الطير تظلنا، فاذا جمل ناد حتى اذا كان بين سماطين خر ساجدا، فجلس رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال علي الناس: " من صاحب الجمل؟ " فاذا فتية من الانصار، قالوا: هو لنا يا رسول الله، قال: " فما شانه "؟، قالوا: استنينا عليه منذ عشرين سنة وكانت به شحيمة فاردنا ان ننحره فنقسمه بين غلماننا، فانفلت منا، قال: " بيعونيه "، قالوا: لا، بل هو لك يا رسول الله، قال: " اما لا، فاحسنوا اليه حتى ياتيه اجله "، قال المسلمون عند ذلك: يا رسول الله، نحن احق بالسجود لك من البهاىم، قال: " لا ينبغي لشيء ان يسجد لشيء ولو كان ذلك، كان النساء لازواجهن اسناده ضعيف لضعف اسماعيل بن عبد الملك . ولكن الحديث صحيح بشواهده

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর প্রতি গাছ-পালা, চতুষ্পদ জন্তু ও জিনদের ঈমান আনয়নের মাধ্যমে তাঁকে যে সম্মানিত করেছেন, তার বর্ণনা

১৮. জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে হাঁটতে হাঁটতে বনী নাজ্জারের এলাকায় একটি দেয়ালঘেরা বাগানের নিকট পৌঁছলাম। তখন সেই বাগানে একটি উট ছিল। যে ব্যক্তিই সেই বাগানে প্রবেশ করত, তার উপরই সেটি চড়াও হত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে লোকেরা এ কথা জানালো। তিনি সেখানে গেলেন এবং উটটিকে ডাকলেন। উটটি নিচু হয়ে ঠোঁট মাটির উপর লাগিয়ে তাঁর সামনে এসে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল। তখন তিনি বললেন: ’তোমরা একটি লাগাম আনো।’ তারপর তিনি একে লাগাম পরালেন এবং তার মালিককে ফিরিয়ে দিলেন। পরে আমাদেরকে লক্ষ্য করে তিনি বললেন: “আসমান ও জমিনের মাঝে যা কিছু আছে, সকলেই জানে যে, আমি আল্লাহর রাসূল। কেবলমাত্র জ্বিন ও মানুষের মধ্য থেকে অবাধ্যরা ব্যতীত।[1]

بَاب مَا أَكْرَمَ اللَّهُ تَعَالي بِهِ نَبِيَّهُ مِنْ إِيمَانِ الشَّجَرِ بِهِ، وَالْبَهَائِمِ، وَالْجِنِّ

حَدَّثَنَا يَعْلَى، حَدَّثَنَا الْأَجْلَحُ، عَنْ الذَّيَّالِ بْنِ حَرْمَلَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: أَقْبَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى دُفِعْنَا إِلَى حَائِطٍ فِي بَنِي النَّجَّارِ، فَإِذَا فِيهِ جَمَلٌ لَا يَدْخُلُ الْحَائِطَ أَحَدٌ إِلَّا شَدَّ عَلَيْهِ، فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَاهُ، فَدَعَاهُ فَجَاءَ وَاضِعًا مِشْفَرَهُ عَلَى الْأَرْضِ حَتَّى بَرَكَ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: " هَاتُوا خِطَامًا "، فَخَطَمَهُ وَدَفَعَهُ إِلَى صَاحِبِهِ، ثُمَّ الْتَفَتَ، فَقَالَ: مَا بَيْنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ أَحَدٌ إِلَّا يَعْلَمُ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، إِلَّا عَاصِيَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ

إسناده جيد

حدثنا يعلى، حدثنا الاجلح، عن الذيال بن حرملة، عن جابر بن عبد الله رضي الله عنه، قال: اقبلنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى دفعنا الى حاىط في بني النجار، فاذا فيه جمل لا يدخل الحاىط احد الا شد عليه، فذكروا ذلك للنبي صلى الله عليه وسلم فاتاه، فدعاه فجاء واضعا مشفره على الارض حتى برك بين يديه، فقال: " هاتوا خطاما "، فخطمه ودفعه الى صاحبه، ثم التفت، فقال: ما بين السماء الى الارض احد الا يعلم اني رسول الله، الا عاصي الجن والانس اسناده جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর প্রতি গাছ-পালা, চতুষ্পদ জন্তু ও জিনদের ঈমান আনয়নের মাধ্যমে তাঁকে যে সম্মানিত করেছেন, তার বর্ণনা

১৯. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট একটি ছেলেসহ একজন মহিলা এলো। সে বললো, ইয়া রাসূলূল্লাহ, আমার এ ছেলেটিকে জ্বিনে ধরেছে। সে সকালে খাওয়ার সময় এবং সন্ধ্যায় খাওয়ার সময় তার উপর আক্রমণ চালায় বা প্রভাব বিস্তার করে। ফলে সে তাকে আমাদের প্রতি খবীছ বানিয়ে দিচ্ছে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার বুকে হাত দিয়ে মাসেহ করে দিলেন এবং তার জন্য দু’আ করলেন। অতঃপর সে অনেকখানি বমি করলো। তখন তার ভেতর থেকে কালো রংয়ের কোনো কিছুর বাচ্চা জাতীয় কিছু একটা বের হয়ে দৌড়ে চলে গেল।[1]

بَاب مَا أَكْرَمَ اللَّهُ تَعَالي بِهِ نَبِيَّهُ مِنْ إِيمَانِ الشَّجَرِ بِهِ، وَالْبَهَائِمِ، وَالْجِنِّ

أَخْبَرَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ فَرْقَدٍ السَّبَخِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، إِنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ بِابْنٍ لَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنِي بِهِ جُنُونٌ، وَإِنَّهُ يَأْخُذُهُ عِنْدَ غَدَائِنَا وَعَشَائِنَا فَيُخَبِّثُ عَلَيْنَا، " فَمَسَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدْرَهُ، وَدَعَا فَثَعَّ ثَعَّةً، وَخَرَجَ مِنْ جَوْفِهِ مِثْلُ الْجِرْوِ الْأَسْوَدِ، فَسَعَى

إسناده ضعيف من أجل فرقد السبخي

اخبرنا الحجاج بن منهال، حدثنا حماد بن سلمة، عن فرقد السبخي، عن سعيد بن جبير، عن ابن عباس رضي الله عنهما، ان امراة جاءت بابن لها الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقالت: يا رسول الله ان ابني به جنون، وانه ياخذه عند غداىنا وعشاىنا فيخبث علينا، " فمسح رسول الله صلى الله عليه وسلم صدره، ودعا فثع ثعة، وخرج من جوفه مثل الجرو الاسود، فسعى اسناده ضعيف من اجل فرقد السبخي

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর প্রতি গাছ-পালা, চতুষ্পদ জন্তু ও জিনদের ঈমান আনয়নের মাধ্যমে তাঁকে যে সম্মানিত করেছেন, তার বর্ণনা

২০. জাবির ইবনু সামুরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ’নিশ্চয়ই মক্কার একটি পাথরকে আমি চিনি, আমি (নবী হিসেবে) প্রেরিত হওয়ার পূর্ব থেকেই যে আমাকে সালাম দিত। নিশ্চয় সেটিকে এখনও আমি চিনি।’[1]

بَاب مَا أَكْرَمَ اللَّهُ تَعَالي بِهِ نَبِيَّهُ مِنْ إِيمَانِ الشَّجَرِ بِهِ، وَالْبَهَائِمِ، وَالْجِنِّ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ الْعَبْدِيُّ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ طَهْمَانَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنِّي لَأَعْرِفُ حَجَرًا بِمَكَّةَ كَانَ يُسَلِّمُ عَلَيَّ قَبْلَ أَنْ أُبْعَثَ إِنِّي لَأَعْرِفُهُ الْآنَ

إسناده جيد

حدثنا محمد بن سعيد، اخبرنا يحيى بن ابي بكير العبدي، عن ابراهيم بن طهمان، عن سماك، عن جابر بن سمرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " اني لاعرف حجرا بمكة كان يسلم علي قبل ان ابعث اني لاعرفه الان اسناده جيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর প্রতি গাছ-পালা, চতুষ্পদ জন্তু ও জিনদের ঈমান আনয়নের মাধ্যমে তাঁকে যে সম্মানিত করেছেন, তার বর্ণনা

২১. আলী ইবনু আবু তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে মক্কায় ছিলাম। একদা তাঁর সাথে মক্কার পার্শ্ববর্তী কোন এক অঞ্চলের দিকে বের হলাম। তখন আমরা পাহাড় ও গাছপালার মধ্য দিয়ে পথ অতিক্রম করলাম। আমরা যে গাছ ও পাহাড়কেই অতিক্রম করেছি, প্রতিটি গাছ ও পাহাড়ই বলে উঠত: আস্ সালামু আলাইকা, ইয়া রাসূলুল্লাহ![1]

بَاب مَا أَكْرَمَ اللَّهُ تَعَالي بِهِ نَبِيَّهُ مِنْ إِيمَانِ الشَّجَرِ بِهِ، وَالْبَهَائِمِ، وَالْجِنِّ

حَدَّثَنَا فَرْوَةُ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي ثَوْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيل السُّدِّيِّ، عَنْ عَبَّادٍ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِ، قَالَ: " كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ فَخَرَجْنَا مَعَهُ فِي بَعْضِ نَوَاحِيهَا، فَمَرَرْنَا بَيْنَ الْجِبَالِ وَالشَّجَرِ، فَلَمْ نَمُرَّ بِشَجَرَةٍ وَلَا جَبَلٍ إِلَّا قَالَ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ

إسناده فيه علتان : ضعف الوليد بن أبي ثور وجهالة عباد أبي يزيد وهو عباد بن أبي يزيد

حدثنا فروة، حدثنا الوليد بن ابي ثور الهمداني، عن اسماعيل السدي، عن عباد ابي يزيد، عن علي بن ابي طالب رضوان الله عليه، قال: " كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم بمكة فخرجنا معه في بعض نواحيها، فمررنا بين الجبال والشجر، فلم نمر بشجرة ولا جبل الا قال: السلام عليك يا رسول الله اسناده فيه علتان : ضعف الوليد بن ابي ثور وجهالة عباد ابي يزيد وهو عباد بن ابي يزيد

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর প্রতি গাছ-পালা, চতুষ্পদ জন্তু ও জিনদের ঈমান আনয়নের মাধ্যমে তাঁকে যে সম্মানিত করেছেন, তার বর্ণনা

২২. শিমর ইবনু আতিয়্যা কর্তৃক মুযাইনা কিংবা জুহাইনা গোত্রের এক ব্যক্তি হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের সালাত আদায় করে দেখলেন সেখানে প্রায় একশটি নেকড়ে নিতন্বের উপর ভর দিয়ে বসে রয়েছে, তাদের পক্ষ হতে প্রতিনিধি হিসেবে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লোকদেরকে বললেন: তোমাদের খাদ্য থেকে সামান্য কিছু এদেরকে দাও, তাহলে অন্যগুলো থেকে নিরাপদে থাকবে। সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে (নিজেদের সেগুলির) প্রয়োজন রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’তাদেরকে এ খবর জানিয়ে দাও।’ তিনি বলেন, সেগুলোকে তা জানিয়ে দেয়া হল। ফলে তারা আর্তনাদ করতে করতে বের হয়ে গেল।[1]

بَاب مَا أَكْرَمَ اللَّهُ تَعَالي بِهِ نَبِيَّهُ مِنْ إِيمَانِ الشَّجَرِ بِهِ، وَالْبَهَائِمِ، وَالْجِنِّ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ مُزَيْنَةَ، أَوْ جُهَيْنَةَ، قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْفَجْرَ فَإِذَا هُوَ بِقَرِيبٍ مِنْ مِئَةِ ذِئْبٍ قَدْ أَقْعَيْنَ وُفُودُ الذِّئَابِ، فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " تَرْضَخُونَ لَهُمْ شَيْئًا مِنْ طَعَامِكُمْ وَتَأْمَنُونَ عَلَى مَا سِوَى ذَلِكَ؟ "، فَشَكَوْا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَاجَةَ، قَالَ: " فَآذِنُوهُنَّ "، قَالَ: فَآذَنُوهُنَّ فَخَرَجْنَ وَلَهُنَّ عُوَاءٌ

رجاله ثقات ولكن قيل :أخطأ محمد بن يوسف في مئة وخمسين حديثا من حديث سفيان

اخبرنا محمد بن يوسف، حدثنا سفيان، عن الاعمش، عن شمر بن عطية، عن رجل من مزينة، او جهينة، قال: صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم الفجر فاذا هو بقريب من مىة ذىب قد اقعين وفود الذىاب، فقال لهم رسول الله صلى الله عليه وسلم: " ترضخون لهم شيىا من طعامكم وتامنون على ما سوى ذلك؟ "، فشكوا الى رسول الله صلى الله عليه وسلم الحاجة، قال: " فاذنوهن "، قال: فاذنوهن فخرجن ولهن عواء رجاله ثقات ولكن قيل :اخطا محمد بن يوسف في مىة وخمسين حديثا من حديث سفيان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর প্রতি গাছ-পালা, চতুষ্পদ জন্তু ও জিনদের ঈমান আনয়নের মাধ্যমে তাঁকে যে সম্মানিত করেছেন, তার বর্ণনা

২৩. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভারাক্রান্ত মনে বসে ছিলেন, এমতাবস্থায় জিবরীল আলাইহিস সালাম তাঁর নিকট আসলেন। আর তখন মক্কার কুরাইশদের অত্যাচারে তিনি রক্তে রঞ্জিত ছিলেন। জিবরীল (আ:) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আপনি কি চান আমি আপনাকে কোন নিদর্শন দেখাই? তিনি বললেন: ’হাঁ’। তখন তিনি (জিবরীল) তাঁর পিছনের একটি গাছের দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনি একে ডাকুন। তখন তিনি গাছটিকে ডাকলেন আর সেটি চলে আসল এবং তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে রইল। তারপর তিনি (জিবরীল) বললেন, আপনি একে ফিরে চলে যেতে নির্দেশ দিন। তখন তিনি একে ফিরে যেতে নির্দেশ দিলেন আর সঙ্গে সঙ্গে সেটি আপন স্থানে ফিরে চলে গেল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’’এ-ই আমার জন্য যথেষ্ট, এ-ই আমার জন্য যথেষ্ট।”[1]

بَاب مَا أَكْرَمَ اللَّهُ تَعَالي بِهِ نَبِيَّهُ مِنْ إِيمَانِ الشَّجَرِ بِهِ، وَالْبَهَائِمِ، وَالْجِنِّ

أَخْبَرَنَا إِسْحَاق بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: جَاءَ جِبْرِيلُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالِسٌ حَزِينٌ، وَقَدْ تَخَضَّبَ بِالدَّمِ مِنْ فِعْلِ أَهْلِ مَكَّةَ مِنْ قُرَيْشٍ، فَقَالَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلامُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلْ تُحِبُّ أَنْ أُرِيَكَ آيَةً؟، قَالَ: " نَعَمْ، فَنَظَرَ إِلَى شَجَرَةٍ مِنْ وَرَائِهِ "، فَقَالَ: ادْعُ بِهَا، فَدَعَا بِهَا، فَجَاءَتْ وَقَامَتْ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: مُرْهَا فَلْتَرْجِعْ، فَأَمَرَهَا فَرَجَعَتْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " حَسْبِي حَسْبِي

إسناده صحيح

اخبرنا اسحاق بن ابراهيم، حدثنا ابو معاوية، حدثنا الاعمش، عن ابي سفيان، عن انس بن مالك رضي الله عنه، قال: جاء جبريل الى رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو جالس حزين، وقد تخضب بالدم من فعل اهل مكة من قريش، فقال جبريل عليه السلام: يا رسول الله، هل تحب ان اريك اية؟، قال: " نعم، فنظر الى شجرة من وراىه "، فقال: ادع بها، فدعا بها، فجاءت وقامت بين يديه، فقال: مرها فلترجع، فامرها فرجعت، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " حسبي حسبي اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)

পরিচ্ছেদঃ ৪. আল্লাহ তায়ালা তাঁর নবীর প্রতি গাছ-পালা, চতুষ্পদ জন্তু ও জিনদের ঈমান আনয়নের মাধ্যমে তাঁকে যে সম্মানিত করেছেন, তার বর্ণনা

২৪. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনী আমির হতে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এলে তিনি লোকটিকে বললেন: ’আমি কি তোমাকে কোন নিদর্শন দেখাব না?’ লোকটি বলল, অবশ্যই দেখাবেন। তখন তিনি বললেন: ’যাও, ঐ খেজুর গাছটিকে ডেকে নিয়ে এসো।’ তখন সে গাছটিকে ডাকলো এবং গাছটি লাফিয়ে তাঁর সামনে চলে এলো। লোকটি তাঁকে বললো, আপনি একে ফিরে যেতে বলুন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটিকে বললেন: ’ফিরে যাও।’ তখন সেটি তার আপন স্থানে ফিরে গেল। (এই ঘটনা দেখার পর) সেই লোকটি (তার সম্প্রদায় বনী আমিরকে উদ্দেশ্য করে) বললো, হে বনী আমির, আজকের মতো এই লোকটির চেয়ে বড় যাদুকর আমি আর কাউকে দেখিনি।[1]

بَاب مَا أَكْرَمَ اللَّهُ تَعَالي بِهِ نَبِيَّهُ مِنْ إِيمَانِ الشَّجَرِ بِهِ، وَالْبَهَائِمِ، وَالْجِنِّ

أَخْبَرَنَا إِسْحَاق بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، قَالَ: أَتَى رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَامِرٍ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَلَا أُرِيكَ آيَةً "، قَالَ: بَلَى، قَالَ: فَاذْهَبْ فَادْعُ تِلْكَ النَّخْلَةَ "، فَدَعَاهَا فَجَاءَتْ تَنْقُزُ بَيْنَ يَدَيْهِ، قَالَ: قُلْ لَهَا تَرْجِعْ، قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ارْجِعِي "، فَرَجَعَتْ حَتَّى عَادَتْ إِلَى مَكَانِهَا، فَقَالَ: يَا بَنِي عَامِرٍ، مَا رَأَيْتُ رَجُلًا كَالْيَوْمِ أَسْحَرَ مِنْهُ

إسناده صحيح

اخبرنا اسحاق بن ابراهيم، حدثنا جرير، وابو معاوية، عن الاعمش، عن ابي ظبيان، عن ابن عباس رضي الله عنه، قال: اتى رجل من بني عامر رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " الا اريك اية "، قال: بلى، قال: فاذهب فادع تلك النخلة "، فدعاها فجاءت تنقز بين يديه، قال: قل لها ترجع، قال لها رسول الله صلى الله عليه وسلم: ارجعي "، فرجعت حتى عادت الى مكانها، فقال: يا بني عامر، ما رايت رجلا كاليوم اسحر منه اسناده صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে