পরিচ্ছেদঃ ২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নবী হিসেবে) প্রেরিত হওয়ার পূর্ববর্তী (আসমানী) কিতাবসমূহে লিখিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুণাবলী
৫. কাব বলেন: আমরা (তাওরাতে) লিখিত পেয়েছি যে, মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কঠোর স্বভাবের হবেন না, নির্দয়ও হবেন না; আর হাটে-বাজারে শোরগোলকারী হবেন না। মন্দ আচরণের প্রতিদানে মন্দ আচরণ করবেন না, বরং তিনি ক্ষমা ও মার্জনা করবেন। আর তাঁর উম্মত প্রত্যেক উচ্চ ভূমিতে (আরোহণকালে) মহান আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা’র অধিক হামদ্ (প্রশংসা) বর্ণনাকারী ও তাকবীর (বড়ত্ব) উচ্চারণকারী হবে। আর তারা সকল অবস্থানেই আল্লাহ’র প্রশংসা করবে। তারা ’ইযার’ বা তহবন্দ (এর নিম্নাংশ) তাদের (পায়ের গোছার) অর্ধেক বরাবর পরিধান করবে। তারা অঙ্গসমূহ (ধুয়ে) ওযু করবে। তাদের মুয়াযযিন আকাশ পরিমণ্ডলে আযান (ছড়িয়ে) দিবে। তাদের যুদ্ধের সারী ও সালাতের সারী একইরূপ হবে। তাদের রাতের (তাহাজ্জুদের সালাতে কান্নার) আওয়াজ হবে মৌমাছির গুণগুণ আওয়াজের মত। আর তাঁর জন্ম হবে মক্কায় ও তিনি ত্বয়্যিবায় (মদীনায়) হিজরত করবেন এবং তাঁর রাজ্য পৌঁছবে শাম দেশ পর্যন্ত।’[1]
তাখরীজ: ইবনু সা’দ, ত্ববাকাত ১/২/৮৭; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ (৩৬৪৮); আবী নুয়াইম, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৫/৩৮৭; দেখুন, ফাতহুল বারী ৮/৫৮৬ । পরবর্তী হাদীসটি এর শাহিদ।
بَاب صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكُتُبِ قَبْلَ مَبْعَثِهِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ الْأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، قَالَ: قَالَ كَعْبٌ: نَجِدُهُ مَكْتُوبًا: " مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا فَظٌّ، وَلَا غَلِيظٌ، وَلَا صَخَّابٌ بِالْأَسْوَاقِ، وَلَا يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَغْفِرُ، وَأُمَّتُهُ الْحَمَّادُونَ يُكَبِّرُونَ اللَّهَ تَعَالى عَلَى كُلِّ نَجْدٍ، وَيَحْمَدُونَهُ فِي كُلِّ مَنْزِلَةٍ، وَيَتَأَزَّرُونَ عَلَى أَنْصَافِهِمْ، وَيَتَوَضَّئُونَ عَلَى أَطْرَافِهِمْ، مُنَادِيهِمْ يُنَادِي فِي جَوِّ السَّمَاءِ صَفُّهُمْ فِي الْقِتَالِ، وَصَفُّهُمْ فِي الصَّلَاةِ سَوَاءٌ، لَهُمْ بِاللَّيْلِ دَوِيٌّ كَدَوِيِّ النَّحْلِ، مَوْلِدُهُ بِمَكَّةَ، وَمُهَاجرُهُ بِطَيْبَةَ، وَمُلْكُهُ بِالشَّامِ
مرسل وإسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নবী হিসেবে) প্রেরিত হওয়ার পূর্ববর্তী (আসমানী) কিতাবসমূহে লিখিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুণাবলী
৬. (আব্দুল্লাহ) ইবনু সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলতেন, নিশ্চয়ই আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুণাবলী (তাওরাতে) পেয়েছি: (সেখানে লেখা আছে, আল্লাহ বলেছেন) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে শাহীদ (সাক্ষ্যদাতা), সুসংবাদ দাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী এবং উম্মী’দের (বেদুইনদের) আশ্রয়স্থল হিসেবে পাঠিয়েছি। আপনি আমার বান্দা ও আমার রাসূল। আমি আপনার নাম রেখেছি ’মুতাওয়াক্কীল’ (ভরসাকারী)। তিনি কঠোর স্বভাবের নন, নির্দয় নন; আর হাটে-বাজারে শোরগোলকারী নন। তিনি মন্দের প্রতিদানে মন্দ কিছু করবেন না, বরং তিনি ক্ষমা ও উপক্ষো করবেন। আপনার “লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই”- এ কথার সাক্ষ্য দেয়ার মাধ্যমে তিনি বাঁকা (খারাপ) হয়ে যাওয়া জাতিকে সোজা না করা পর্যন্ত আমি তাঁকে মৃত্যু কখনোই দেব না। আমরা তাঁর মাধ্যমে অন্ধ চোখসমূহকে (দেখার জন্য), বধির কানসমূহকে (শ্রবণের জন্য) এবং আচ্ছাদিত হৃদয়সমূহকে উন্মোচন করে দেব।’[1]
আতা ইবনু ইয়াসার (রহঃ) বলেন: আমাকে আবী ওয়াকেদ লাইছী বর্ণনা করেছেন যে, তিনি কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে তা-ই বলতে শুনেছেন যা আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন।
তাখরীজ: ফাসাবী, মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ৩/২৭৪; বাইহাকী, দালাইলুন নবুওয়াত ১/৩৭৬; ইবনু কাসীর, সীরাত ১/৩২৭; দেখুন, ফাতহুল বারী ৪/৩৪৩।
তবে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রা: হতে আহমাদ ২/১৭৪ ও বুখারী, বুয়ূ ২১৫১ ও তাফসীর ৪৮৩৮ তে।
بَاب صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكُتُبِ قَبْلَ مَبْعَثِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي خَالِدٌ هُوَ ابْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدٍ هُوَ ابْنُ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ هِلَالِ بْنِ أُسَامَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ ابْنِ سَلَامٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: " إِنَّا لَنَجِدُ صِفَةَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا، وَحِرْزًا، لِلْأُمِّيِّينَ، أَنْتَ عَبْدِي وَرَسُولِي، سَمَّيْتُهُ الْمُتَوَكِّلَ، لَيْسَ بِفَظٍّ، وَلَا غَلِيظٍ، وَلَا صَخَّابٍ بِالْأَسْوَاقِ، وَلَا يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ مِثْلَهَا، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَتَجَاوَزُ، وَلَنْ أَقْبِضَهُ حَتَّى يُقِيمَ الْمِلَّةَ الْمُتَعَوِّجَةَ بِأَنْ يَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، نَفْتَحُ بِهِ أَعْيُنًا عُمْيًا وَآذَانًا صُمًا، وَقُلُوبًا غُلْفًا "، قَالَ عَطَاءُ بْنُ يَسَارٍ: وَأَخْبَرَنِي أَبُو وَاقِدٍ اللَّيْثِيُّ: أَنَّهُ سَمِعَ كَعْبًا يَقُولُ مِثْلَ مَا قَالَ ابْنُ سَلَامٍ
إسناده ضعيف لضعف عبد الله بن صالح كاتب الليث وهو موقوف على ابن سلام
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নবী হিসেবে) প্রেরিত হওয়ার পূর্ববর্তী (আসমানী) কিতাবসমূহে লিখিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুণাবলী
৭. কা’ব হতে বর্ণিত: (তাওরাতের) প্রথম লাইনে/অনুচ্ছেদে লেখা রয়েছে: মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল, আমার নির্বাচিত বান্দা, তিনি কঠোর স্বভাবের ও নির্দয় হবেন না; আর হাটে-বাজারে শোরগোলকারীও হবেন না; তিনি মন্দ আচরণের প্রতিদানে মন্দ আচরণ করবেন না, বরং তিনি ক্ষমা ও মার্জনা করবেন। আর তাঁর জন্ম হবে মক্কায় ও তিনি ত্বয়্যিবায় (মদীনায়) হিজরত করবেন এবং তাঁর রাজ্য পৌঁছবে শাম দেশ পর্যন্ত।
দ্বিতীয় লাইনে/অনুচ্ছেদে লেখা রয়েছে: মুহাম্মাদ সা আল্লাহর রাসূল, আর তাঁর উম্মত মহান আল্লাহ’র অধিক হামদ্ (প্রশংসা) বর্ণনাকারী, তারা সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় আল্লাহ’র প্রশংসা করবে, আর তারা সকল অবতরণস্থলেই আল্লাহ’র প্রশংসা করবে। প্রত্যেক উচ্চ ভূমিতে (আরোহণ কালে) তাকবীর (আল্লাহর বড়ত্ব/আল্লাহু আকবার) উচ্চারণকারী হবে। সূর্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে সালাতের ওয়াক্ত হওয়া মাত্র তারা সালাত আদায় করবে, এমনকি যদিও তারা ময়লা-আবর্জনার স্থানের চূড়ায়ও থাকে। তারা ’ইযার’ বা তহবন্দ (এর নিম্নাংশ) তাদের (পায়ের গোছার) মাঝ বরাবর পরিধান করবে। তারা তাদের অঙ্গসমূহ (ধুয়ে) ওযু করবে। রাতে আকাশ পরিমণ্ডলে তাদের (সালাতে দাঁড়িয়ে কান্নার) আওয়াজ হবে মৌমাছির গুণগুণ আওয়াজের মত।[1]
এবং পূর্ববর্তী ৫ নং হাদীস দ্রষ্টব্য।
بَاب صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكُتُبِ قَبْلَ مَبْعَثِهِ
أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ عَوْفٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ ذَكْوَانَ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ كَعْبٍ: " فِي السَّطْرِ الْأَوَّلِ: مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ، عَبْدِي الْمُخْتَارُ، لَا فَظٌّ، وَلَا غَلِيظٌ، وَلَا صَخَّابٌ فِي الْأَسْوَاقِ، وَلَا يَجْزِي بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَغْفِرُ، مَوْلِدُهُ بِمَكَّةَ، وَهِجْرَتُهُ بِطَيْبَةَ، وَمُلْكُهُ بِالشَّامِ، وَفِي السَّطْرِ الثَّانِي: مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ، أُمَّتُهُ الْحَمَّادُونَ يَحْمَدُونَ اللَّهَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ، يَحْمَدُونَ اللَّهَ فِي كُلِّ مَنْزِلَةٍ، وَيُكَبِّرُونَه عَلَى كُلِّ شَرَفٍ، رُعَاةُ الشَّمْسِ يُصَلُّونَ الصَّلَاةَ إِذَا جَاءَ وَقْتُهَا وَلَوْ كَانُوا عَلَى رَأْسِ كُنَاسَةٍ، وَيَأْتَزِرُونَ عَلَى أَوْسَاطِهِمْ، وَيُوَضِّئُونَ أَطْرَافَهُمْ، وَأَصْوَاتُهُمْ بِاللَّيْلِ فِي جَوِّ السَّمَاءِ كَأَصْوَاتِ النَّحْلِ
إسناده فيه زيد بن عوف وهو متروك وقد اتهمه أبو زرعة بالسرقة . وهو موقوف على كعب
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নবী হিসেবে) প্রেরিত হওয়ার পূর্ববর্তী (আসমানী) কিতাবসমূহে লিখিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুণাবলী
৮. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি কা’ব আল আহবারকে জিজ্ঞেস করেছিলেন: তুমি তাওরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর গুণাবলী কেমন পেয়েছ? কা’ব রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আমরা তাওরাতে পেয়েছি যে, মুহাম্মদ ইবনু আব্দুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় জন্ম গ্রহণ করবেন, ত্ববাহ বা মদীনায় হিজরত করবেন, আর তাঁর রাজ্য শাম পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। আর অশ্লীলতার সাথে তাঁর কোন সম্পর্ক থাকবে না, তিনি হাটে-বাজারে শোরগোলকারীও হবেন না, তিনি মন্দ আচরণের প্রতিদানে মন্দ আচরণ করবেন না, বরং তিনি ক্ষমা ও মার্জনা করবেন। আর তাঁর উম্মত মহান আল্লাহ’র অধিক হামদ্ (প্রশংসা) বর্ণনাকারী, তারা সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় আল্লাহ’র প্রশংসা করবে, তারা অঙ্গসমূহ (ধুয়ে) ওযু করবে এবং প্রত্যেক উঁচু ভূমিতে (আরোহণকালে) তাকবীর (আল্লাহর বড়ত্ব/আল্লাহু আকবার ধ্বনি) উচ্চারণ করবে। তারা ’ইযার’ বা তহবন্দ (এর নিম্নাংশ) পরিধান করবে তাদের (পায়ের গোছার) মাঝ বরাবর। তারা যেভাবে যুদ্ধে সারিবদ্ধ হবে, তারা তাদের সালাতেও তদ্রূপ সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে। তাদের মসজিদসমূহে তাদের (তিলাওয়াত ও যিকিরের) আওয়াজ হবে মৌমাছির গুণগুণ আওয়াজের মত। আর তাদের আহ্বানকারীর আহ্বান (মুয়াযযিনের আযান) দূর আকাশে শোনা যাবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু সা’দ, ত্বাবাকাত ১/২/৮৭।
بَاب صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكُتُبِ قَبْلَ مَبْعَثِهِ
أَخْبَرَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي فَرْوَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، أَنَّهُ سَأَلَ كَعْبَ الْأَحْبَارِ: كَيْفَ تَجِدُ نَعْتَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي التَّوْرَاةِ؟، فَقَالَ كَعْبٌ: " نَجِدْهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يُولَدُ بِمَكَّةَ، وَيُهَاجِرُ إِلَى طَابَةَ، وَيَكُونُ مُلْكُهُ بِالشَّامِ، وَلَيْسَ بِفَحَّاشٍ، وَلَا صَخَّابٍ فِي الْأَسْوَاقِ، وَلَا يُكَافِئُ بِالسَّيِّئَةِ السَّيِّئَةَ، وَلَكِنْ يَعْفُو وَيَغْفِرُ، أُمَّتُهُ الْحَمَّادُونَ، يَحْمَدُونَ اللَّهَ فِي كُلِّ سَرَّاءَ، وَضَرَّاءَ وَيُكَبِّرُونَ اللَّهَ عَلَى كُلِّ نَجْدٍ، يُوَضِّئُونَ أَطْرَافَهُمْ، وَيَأْتَزِرُونَ فِي أَوْسَاطِهِمْ، يُصَفُّونَ فِي صَلاتِهِمْ كَمَا يُصَفُّونَ فِي قِتَالِهِمْ، دَوِيُّهُمْ فِي مَسَاجِدِهِمْ كَدَوِيِّ النَّحْلِ، يُسْمَعُ مُنَادِيهِمْ فِي جَوِّ السَّمَاءِ
إن ذكر ابن حبان عروة بن الحارث في ثقات التابعين جعل الحافظ يشير إلى أنه أبو فروة الذي يروي عن ابن عباس ونحن نشك في ذلك فإن كان هو فالإسناد صحيح وإلا فلعله من ترجمة ابن أبي حاتم في " الجرح والتعديل " 425 / 9 والله أعلم
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নবী হিসেবে) প্রেরিত হওয়ার পূর্ববর্তী (আসমানী) কিতাবসমূহে লিখিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুণাবলী
৯. যুবায়র ইবনু নুফাইর আল হাদরামী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ’তোমাদের নিকট এমন একজন রাসূল এসেছেন যিনি দুর্বল নন এবং অলসও নন, তিনি এসেছেন আচ্ছাদিত অন্তরকে জীবিত করার জন্য, অন্ধ চোখসমূহকে খুলে দেয়ার জন্য, বধির কানসমূহকে শ্রবণ করানোর জন্য এবং বিকৃত হয়ে যাওয়া সুন্নাত[1] (রীতিসমূহ)কে সোজা (সংস্কার করে সঠিক) করার জন্য। (তিনি এই কাজ করে যাবেন) যতক্ষণ না সাক্ষ্য দেয়া হবে: ’আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক’।[2]
[2] তাহক্কীক্ক: এটি মুরসাল (তাবিঈ কর্তৃক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীস) ও এর সনদ যয়ীফ । তবে কাছীর ইবনু মুররাহ হতে তার বাণী হিসেবে এটি সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন ইবনু সা’দ (ত্বাবাকাত ১/২/৮৮)। যদিও হাফিজ ইবনু হাজার (ফাতহুল বারীতে ৮/৫৮৬) দারেমী কর্তৃক বর্ণিত জুবাইর ইবনু নুফাইরের এ মুরসালের সনদকে সহীহ বলেছেন।
তাখরীজ: অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে, ইবনু সা’দ (ত্বাবাকাত ১/২/৮৮)।
بَاب صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكُتُبِ قَبْلَ مَبْعَثِهِ
أَخْبَرَنَا حَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ بْنُ الْوَلِيدِ التَّمِيمِيِّ، حَدَّثَنَا بَحِيرُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ الْحَضْرَمِيِّ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ إِلَيْكُمْ لَيْسَ بِوَهِنٍ، وَلَا كَسِلٍ، لِيُحْيِيَ قُلُوبًا غُلْفًا، وَيَفْتَحَ أَعْيُنًا عُمْيًا، وَيُسْمِعَ آذَانًا صُمًّا، وَيُقِيمَ السُّنَّةَ العَوْجَاءَ، حَتَّى يُقَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ
مرسل إسناده ضعيف بقية بن الوليد مدلس تدليس التسوية وقد عنعن في هذا الإسناد
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নবী হিসেবে) প্রেরিত হওয়ার পূর্ববর্তী (আসমানী) কিতাবসমূহে লিখিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুণাবলী
১০. আমির রাহিমাহুল্লাহ বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট তাঁর কোন সাহাবী কোন এক প্রয়োজনে আসলেন। ফলে তিনি তার সাথে চলতে লাগলেন যতক্ষণ না তিনি ঘরে প্রবেশ করলেন। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, তাঁর এক পা ঘরের ভিতর এবং এক পা বাইরে থাকা অবস্থায় তিনি যেন কারো সাথে চুপি চুপি আলাপ করলেন। অতঃপর তিনি তার দিকে তাকালেন এবং বললেন: ’তুমি জান কি আমি কার সাথে কথা বলছিলাম? ইনি একজন ফেরেশতা, আজকের আগে আমি কোনদিন তাকে দেখিনি। তিনি আমাকে সালাম দেয়ার জন্য তাঁর প্রতিপালকের নিকট অনুমতি প্রার্থনা করেছেন । তিনি (তাকে অনুমতি দিয়ে) বলেছেন, আমি আপনাকে কুরআন দিয়েছি অথবা (আপনার ওপর) নাযিল করেছি ফয়সালাকারী রূপে; ধীর-স্থিরতা দান করেছি সহনশীলতারূপে, ফুরকান (কুরআন) দান করেছি (পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের মাঝে) সেতুবন্ধনরূপে।[1]
তাখরীজ: এটি দারেমী একাই বর্ণনা করেছেন।
بَاب صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكُتُبِ قَبْلَ مَبْعَثِهِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْحِزَامِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْحَاق بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي قَيْسٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَامِرٍ، قَالَ: كَانَ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَهُ إِلَيْهِ حَاجَةٌ، فَمَشَى مَعَهُ حَتَّى دَخَلَ، قَالَ: فَإِحْدَى رِجْلَيْهِ فِي الْبَيْتِ وَالْأُخْرَى خَارِجَة كَأَنَّهُ يُنَاجِي، فَالْتَفَتَ، فَقَالَ: " أَتَدْرِي مَنْ كُنْتُ أُكَلِّمُ؟ إِنَّ هَذَا مَلَكٌ لَمْ أَرَهُ قَطُّ قَبْلَ يَوْمِي هَذَا، اسْتَأْذَنَ رَبَّهُ أَنْ يُسَلِّمَ عَلَيَّ، قَالَ: إِنَّا آتَيْنَاكَ أَوْ أَنْزَلْنَا الْقُرْآنَ فَصْلًا، وَالسَّكِينَةَ صَبْرًا، وَالْفُرْقَانَ وَصْلًا
مرسل رجاله ثقات
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নবী হিসেবে) প্রেরিত হওয়ার পূর্ববর্তী (আসমানী) কিতাবসমূহে লিখিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুণাবলী
১১. আতিয়্যাহ, রবী’আহ আল-জুরাশীকে বলতে শুনেছেন: তিনি বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট একজন আগন্তুকে এল, অতঃপর তাঁকে বলা হল, আপনার চক্ষু ঘুমাক, আপনার কর্ণ শ্রবণ করুক এবং আপনার অন্তর উপলব্ধি করুক।
তিনি বলেন: ’তখন আমার চক্ষুদ্বয় ঘুমিয়ে গেল, আমার কর্ণদ্বয় শুনতে থাকল এবং আমার অন্তর উপলদ্ধি করতে থাকল।’ তারপর আমাকে বলা হল, একজন অধিকর্তা একটি গৃহ নির্মাণ করলেন, এবং সেখানে খাবারের আয়োজন করলেন। আর একজন আহ্বানকারীকে প্রেরণ করলেন (সবাইকে দাওয়াত দেয়ার জন্য)। ফলে যে ব্যক্তি আহ্বানকারীর আহ্বানে সাড়া দিল, সে গৃহে প্রবেশ করল, খানা খেল এবং সেই অধিকর্তা তার প্রতি সন্তুষ্ট হলেন। আর যে ব্যক্তি আহ্বানকারীর আহ্বানে সাড়া দিল না, সে গৃহে প্রবেশ করতে পারল না, খানাও খেতে পারল না এবং সেই অধিকর্তাও তার প্রতি অসন্তুষ্ট হলেন ।
তিনি বললেন: সুতরাং আল্লাহই হলেন সেই অধিকর্তা, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন সেই আহ্বানকারী এবং গৃহটি হল ইসলাম, আর ভোজ আয়োজন হল জান্নাত।”[1]
তাখরীজ: তাবারানী, আল কাবীর ৫/৬৫ নং ৪৫৯৭; মুহাম্মদ ইবনু নাছর, আস সুন্নাহ নং ১০৯।
بَاب صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكُتُبِ قَبْلَ مَبْعَثِهِ
أَخْبَرَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا رَيْحَانُ هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبَّادٌ هُوَ ابْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ عَطِيَّةَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَبِيعَةَ الْجُرَشِيَّ، يَقُولُ: أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقِيلَ لَهُ: لِتَنَمْ عَيْنُكَ، وَلْتَسْمَعْ أُذُنُكَ، وَلْيَعْقِلْ قَلْبُكَ، قَالَ: " فَنَامَتْ عَيْنَايَ، وَسَمِعَتْ أُذُنَايَ، وَعَقَلَ قَلْبِي "، قَالَ: فَقِيلَ لِي: سَيِّدٌ بَنَى دَارًا فَصَنَعَ مَأْدُبَةً، وَأَرْسَلَ دَاعِيًا، فَمَنْ أَجَابَ الدَّاعِيَ، دَخَلَ الدَّارَ، وَأَكَلَ مِنْ الْمَأْدُبَةِ، وَرَضِيَ عَنْهُ السَّيِّدُ، وَمَنْ لَمْ يُجِبْ الدَّاعِيَ، لَمْ يَدْخُلْ الدَّارَ، وَلَمْ يَطْعَمْ مِنْ الْمَأْدُبَةِ، وَسَخِطَ عَلَيْهِ السَّيِّدُ، قَالَ: " فَاللَّهُ: السَّيِّدُ، وَمُحَمَّدٌ: الدَّاعِي، وَالدَّارُ: الْإِسْلَامُ، وَالْمَأْدُبَةُ: الْجَنَّةُ
إسناده ضعيف لضعف عباد بن منصور
পরিচ্ছেদঃ ২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নবী হিসেবে) প্রেরিত হওয়ার পূর্ববর্তী (আসমানী) কিতাবসমূহে লিখিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের গুণাবলী
১২. আবী উছমান নাহদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, (একদা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে সাথে নিয়ে ’বাতহা’ (উপত্যকা)-য় গেলেন। সেখানে তাকে বসিয়ে তার চারপাশে রেখা টেনে দিলেন। তারপর বললেন: ’তুমি নড়বে না, কেননা কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমার নিকট কিছু লোক আসবে। তুমি তাদের সাথে কথা বলবে না। আর তারাও তোমার সাথে কথা বলবে না।
এ কথা বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেদিকে যাওয়ার ইচ্ছা করেছিলেন সেদিকে চলে গেলেন। অতঃপর ঐ সব লোকেরা রেখার নিকট এসে উপস্থিত হল কিন্তু তারা রেখাটি অতিক্রম করল না। তারপর তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দিকে ফিরে গেল। রাতের শেষভাগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার নিকট এলেন এবং আমার উরুর উপর মাথা দিয়ে শুয়ে পড়লেন। আর যখন তিনি ঘুমাতেন তখন নাক ডাকাতেন। যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার উরুর উপর ঘুমে বিভোর, তখন কিছু লোক আসল, যারা ছিল অত্যন্ত উঁচু মানের (ও সম্ভ্রান্ত[1])। তাদের পরনে ছিল সাদা পোশাক। আল্লাহই ভাল জানেন, কী অপূর্ব সৌন্দর্য যে তাদের ছিল! তাদের একদল তাঁর মাথার নিকট এবং একদল তাঁর পায়ের নিকট বসল। এরপর তারা পরস্পর বলাবলি করতে লাগল: এ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে যা দেওয়া হয়েছে, আর কোন বান্দাকে তা দেওয়া হয়েছে বলে আমরা দেখিনি। নিশ্চয় তাঁর চোখদু’টি ঘুমালেও তাঁর অন্তর সদা জাগ্রত।’ তোমরা তাঁর একটি উপমা দাও। (তা হচ্ছে) কোন এক অধিকর্তা একটি প্রাসাদ নির্মাণ করলেন, তারপর সেখানে একটি ভোজ সভার আয়োজন করলেন, অতঃপর লোকদেরকে সে ভোজের খাদ্য ও পানিয় গ্রহণের জন্য আহ্বান করলেন।’ তারপর (এ উপমাটি দিয়েই) তারা উঠে গেলেন। আর ঠিক এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও জেগে উঠলেন। তারপর তিনি বললেন: ’এরা কারা তা কি তুমি জান?’ আমি বললাম: আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন: ’তারা ছিল ফেরেশতা।’ তিনি (আরও) বললেন: তারা যে উপমাটি দিল, সে সম্পর্কে তুমি কি কিছু জান? আমি বললাম: আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তখন তিনি বললেন: ’আর রহমান (আল্লাহ) জান্নাত বানিয়েছেন, তারপর তিনি তাঁর বান্দাদেরকে সেদিকে আহ্বান করেছেন। ফলে যে তাঁর আহ্বানে সাড়া দেবে, সে তাঁর জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে আহ্বানে সাড়া দেবে না, তিনি তাকে পাকড়াও করবেন এবং শাস্তি দেবেন।”[2]
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ হাসান। তবে এটি মুরসাল (তাবিঈ বর্ণিত হাদীস)। তবে মুসনাদে আহমাদে ইবনু মাসউদ থেকে আমর কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীসের সনদ সহীহ।
তাখরীজ: তিরমিযী ২৮৬৫; আহমদ, আল মুসনাদ ১/৩৯৯;
بَاب صِفَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْكُتُبِ قَبْلَ مَبْعَثِهِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مَيْمُونٍ التَّمِيمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ إِلَى الْبَطْحَاءِ، وَمَعَهُ ابْنُ مَسْعُودٍ، فَأَقْعَدَهُ وَخَطَّ عَلَيْهِ خَطًّا، ثُمَّ قَالَ: " لَا تَبْرَحَنَّ فَإِنَّهُ سَيَنْتَهِي إِلَيْكَ رِجَالٌ فَلَا تُكَلِّمْهُمْ، فَإِنَّهُمْ لَنْ يُكَلِّمُوكَ "، فَمَضَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيْثُ أَرَادَ، ثُمَّ جَعَلُوا يَنْتَهُونَ إِلَى الْخَطِّ لَا يُجَاوِزُونَهُ، ثُمَّ يَصْدُرُونَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ، جَاءَ إِلَيَّ فَتَوَسَّدَ فَخِذِي، وَكَانَ إِذَا نَامَ، نَفَخَ فِي النَّوْمِ، نَفْخًا فَبَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَسِّدٌ فَخِذِي، رَاقِدٌ، إِذْ أَتَانِي رِجَالٌ كَأَنَّهُمْ الْجِمَالُ عَلَيْهِمْ ثِيَابٌ بِيضٌ اللَّهُ أَعْلَمُ مَا بِهِمْ مِنْ الْجَمَالِ حَتَّى قَعَدَ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ عِنْدَ رَأْسِهِ، وَطَائِفَةٌ مِنْهُمْ عِنْدَ رِجْلَيْهِ، فَقَالُوا بَيْنَهُمْ: مَا رَأَيْنَا عَبْدًا أُوتِيَ مِثْلَ مَا أُوتِيَ هَذَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ عَيْنَيْهِ لَتَنَامَانِ، وَإِنَّ قَلْبَهُ لَيَقْظَانُ، اضْرِبُوا لَهُ مَثَلًا: سَيِّدٌ بَنَى قَصْرًا ثُمَّ جَعَلَ مَأْدُبَةً فَدَعَا النَّاسَ إِلَى طَعَامِهِ وَشَرَابِهِ، ثُمَّ ارْتَفَعُوا، وَاسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ ذَلِكَ، فَقَالَ: " أَتَدْرِي مَنْ هَؤُلَاءِ؟ "، قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: " هُمْ الْمَلَائِكَةُ "، قَالَ: " وَهَلْ تَدْرِي مَا الْمَثَلُ الَّذِي ضَرَبُوهُ؟ "، قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، قَالَ: الرَّحْمَنُ بَنَى الْجَنَّةَ فَدَعَا إِلَيْهَا عِبَادَهُ، فَمَنْ أَجَابَهُ، دَخَلَ جَنَّتَهُ، وَمَنْ لَمْ يُجِبْهُ، عَاقَبَهُ وَعَذَّبَهُ
إسناده حسن