পরিচ্ছেদঃ ২৮. আবু যার (রাঃ) এর ফযীলত

৬১৩৫। হাদ্দাব ইবনু খালিদ আযদী (রহঃ) ... আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আমাদের গিফার গোত্র থেকে বের হলাম। তারা হারাম মাসগুলোকে হালাল গণ্য করত। আমি আমার ভাই উনায়স এবং আমাদের মা সহ বের হলাম এবং আমরা আমাদের এক মামার কাছে উঠলাম। আমাদের মামা খুব সম্মান দেখালেন এবং আমাদের সাথে সৌজন্যমূলক ব্যবহার করলেন। এতে তাঁর গোত্রের লোকেরা আমাদের প্রতি হিংসা করতে লাগল। তারা বলল, তুমি যখন তোমার পরিবার থেকে বের হও তখন উনায়স (রাঃ) তোমার অনুপস্থিতিতে তাদের কাছে যাতায়াত করে।

এরপর আমাদের মামা আসলেন এবং তাকে যা বলা হয়েছে তিনি তা আমাদের নিকট প্রকাশ করে দিলেন। তখন আমি বললাম আপনি আমাদের সাথে অতীতে যে সদ্ব্যবহার করেছেন তাকে ম্লান করে দিলেন। এরপর আপনার সঙ্গে আমাদের একত্রে থাকার অবকাশ নেই। তারপর আমরা আমাদের উটগুলোকে নিকটবর্তী করলাম এবং তাদের উপর আরোহণ করলাম। তখন আমাদের মামা তাঁর কাপড় দিয়ে নিজেকে ঢেকে কাঁদতে শুরু করলেন। আমরা রওনা হয়ে মক্কার নিকটে অবতরণ করলাম। উনায়স আমাদের পশুগুলো এবং সে পরিমাণ পশুর মধ্যে (কবিতা রচনার) বাজি ধরল। তারপর তারা উভয়ে এক গণকের কাছে গেল।

গণক উনায়সকে শ্রেষ্ঠ বলে ঘোষণা করল। এরপর উনায়স আমাদের উটগুলো এবং তার সমপরিমাণ উট নিয়ে আমাদের নিকট ফিরে এল। আবূ যার (রাঃ) বললেন, হে ভ্রাতুষ্পূত্র! আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সাক্ষাতের তিন বছর পূর্বে সালাত আদায় করেছি। আমি (রাবী) বললাম, কার জন্যে? তিনি বললেন, আল্লাহর জন্যে। আমি (রাবী) “বললাম, কোন দিকে মুখ ফিরাতেন? তিনি বললেন, আমার মহান প্রতিপালক যে দিকে আমার মুখ ফিরিয়ে দিতেন সে দিকে মুখ ফিরাতাম। আমি ইশার সালাত আদায় করতে করতে রাতের শেষ অংশে নিদ্রার চাঁদরে ঢলে পড়তাম, যতক্ষননা সূর্য আমার উপর পড়ত।

তারপর উনায়স (রাঃ) বললেন, মক্কায় আমার একটু প্রয়োজন আছে। কাজেই আপনি আমার সংসার তত্ত্বাবধান করবেন। তারপর উনায়স (রাঃ) চলে গেল এবং মক্কায় পৌছলো এবং সে বিলম্বে আমার কাছে ফিরে এল। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কী করলে? সে বলল, আমি মক্কায় এমন এক ব্যক্তির সাক্ষাৎ লাভ করেছি, যে আপনার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি দাবী করেন যে, আল্লাহ তাকে (রাসুল হিসেবে) প্রেরণ করেছেন। [আমি আবূ যার (রাঃ)] বললাম, লোকেরা তাঁর সম্পর্কে কী বলে? সে বলল, তারা তাঁকে কবি, গণক ও যাদুকর বলে।

উনায়স (রাঃ) নিজেও একজন কবি ছিল। উনায়স (রাঃ) বলল, আমি অনেক গণকের কথা শুনেছি; কিন্তু ঐ ব্যক্তির কথা গণকের মত নয়। আমি তাঁর বাক্যকে কবিদের রচনার সাথে তুলনা করে দেখেছি; কিন্তু কোন কবির ভাষার সাথে তার কোন মিল নেই। আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই তিনি সত্যবাদী এবং ওরা মিথ্যাবাদী। তিনি বললেন, আমি বললাম, তুমি আমার সংসার দেখাশোনা কর এবং আমি গিয়ে একটু দেখে নিই।

তিনি বললেন, আমি মক্কায় এলাম এবং তাদের এক দুর্বল ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বললাম, সে ব্যক্তি কোথায়, যাকে তোমরা সাবী (ধর্ম পরিবর্তনকারী) বলে ডাক? সে আমার প্রতি ইশারা করল এবং বলল, এই সাবী। এরপর মক্কা উপত্যকার লোকেরা ঢিল ও হাড়সহ আমার উপর চড়াও হল, এমন কি আমি বেহুশ হয়ে পড়ে গেলাম। তিনি বললেন, আমি যখন উঠলাম তখন লাল মূর্তির (অর্থাৎ রক্তে রঞ্জিত) অবস্থায় উঠলাম। তিনি বলেন, এরপর আমি যমযম কুপের কাছে এসে আমার রক্ত ধুয়ে নিলাম। এরপর তার পানি পান করলাম হে ভ্রাতুষ্পূত্র! আমি সেখানে ত্রিশ রাত্র-দিন অবস্থান করেছিলাম। সে সময় যমযমের পানি ছাড়া আমার কাছে কোন খাদ্য ছিলনা। অতঃপর আমি স্থুলদেহী হয়ে গেলাম। এমনকি আমার পেটের চামড়ায় ভাজ পড়ে গেল। আমি আমার কলিজায় ক্ষুধার কষ্ট অনুভব করিনি।

তিনি বললেন, ইতিমধ্যে মক্কাবাসীরা যখন এক উজ্জল চাঁদনী রাতে ঘুমিয়ে পড়ল, তখন কেউ বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করছিল না। সে সময় তাদের মধ্য থেকে দুজন মহিলা ইসাফ ও নায়েলাকে [১] ডাকাছিল। তিনি বললেন, তারা তাওয়াফ করতে করতে আমার কাছে এসে পড়ল। আমি বললাম, তাদের একজনকে অপরজনের সাথে বিয়ে দিয়ে দাও। তিনি বললেন, তবু তারা তাদের কথা থেকে বিরত হল না। তিনি বলেন, তারা আবার আমার সম্মুখ দিয়ে এল। আমি (বিরক্ত হয়ে) বললাম, (ওদের) লজ্জাস্থান কাঠের মত। তিনি বললেন, আমি তাদের নাম স্পষ্ট উচ্চারণ করিনি। এতে তারা অভিশাপ দিতে দিতে চলে গেল এবং বলতে লাগল এখানে যদি আমাদের লোকদের কেউ থাকত (তাহলে এই বেআদবকে শাস্তি দিত)!

প্রতিমধ্যে এই দুই মহিলার সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ) এর সাক্ষাৎ হল। তখন তারা দু’জন নীচে (অর্থাৎ বাইরে থেকে কা’বা চত্বরে) অবতরন করছিলেন। তিনি তাদের দু’জনকে বললেন, তোমাদের কি হয়েছে? তারা বলল কা’বা ও তাঁর পর্দার মাঝখানে এক বিধর্মী অবস্থান করছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, সে তোমাদের কি বলেছে? তারা বলল, সে এমন কথা বলেছে যাতে মুখ ভোরে যায় (অর্থাৎ মুখে উচ্চারন করা সম্ভব নয়)। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে তাঁর সঙ্গীসহ হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করলেন এবং বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে সালাত আদায় করলেন। যখন তিনি তাঁর সালাত সমাপন করলেন [তখন আবূ যার (রাঃ) বললেন] আমিই প্রথম ব্যাক্তি, যে তাকে ইসলামী কায়দায় সালাম জানিয়ে বললাম, আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ (হে আল্লাহর রাসুল, আপনার প্রতি সালাম ও শান্তি বর্ষিত হোক)। উত্তরে তিনি বললেন, ওয়া আলায়কা ওয়া রহমাতুল্লাহ (তোমার প্রতিও শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক)।

অতঃপর তিনি বললেন, তুমি কে? তিনি বললেন, আমি গিফার গোত্রের লোক। তিনি বললেন, তখন তিনি তাঁর হাত প্রসারিত করলেন, এবং তাঁর হাতের আঙ্গুলগুলো কপালে রাখলেন। আমি মনে মনে ভাবলাম, গিফার গোত্রের প্রতি আমার সম্পর্ককে তিনি অপছন্দ করছেন। এরপর আমি তাঁর হাত ধরতে চাইলাম। তাঁর সঙ্গী আমাকে বাঁধা দিলেন। তিনি তাকে আমার চাইতে অনেক বেশি ভালো জানতেন। তারপর তিনি মাথা তুলে তাকালেন এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কতদিন জাবত এখানে আছ? আমি বললাম, আমি এখানে ত্রিশটি রাতদিন অবস্থান করছি। তিনি বললেন, তোমাকে কে খাওয়াত? আমি বললাম, যমযম কুপের পানি ছাড়া আমার জন্য কোন খাদ্য ছিল না। এই পানি পান করেই আমি মোটাতাজা হয়ে গেছি, এমনকি আমার পেটের চামড়ায় ভাজ পড়েছে এবং আমি কখনো ক্ষুধা (জঠর জ্বালা) অনুভব করিনি। তিনি বললেন, তাতো বরকতময় এবং তা অনেক খাদ্যগুণে সমৃদ্ধ খাবার।

এরপর আবূ বকর (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তাঁর আজ রাতের খানার (মেহমানদারীর) জন্য আমাকে অনুমতি দিন। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকর (রাঃ) রওনা হলেন এবং আমিও তাদের সাথে চললাম। আবূ বকর (রাঃ) একটি দরজা খুললেন এবং আমাদের জন্য তিনি মুষ্টি ভরে তায়েফের কিসমিস পরিবেশন করলেন। এটাই ছিল আমার প্রথম খাদ্য যা সেখানে (মক্কায়) আমি খেলাম। তারপর যতদিন থাকার ততদিন রইলাম। এরপর আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম। তিনি বললেন, আমাকে খেজুর গাছ সমৃদ্ধ একটি দেশের প্রতি ইশারা করা হয়েছে। আমার ধারনা সেটি ইয়াসরিব (মদিনার পূর্ব নাম) ছাড়া অন্য কোন স্থান নয়।

তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি কি আমার পক্ষ থেকে তোমার গোত্রের কাছে আমার পয়গাম পৌঁছিয়ে দিবে? হয়ত তোমার মাধ্যমে আল্লাহ্‌ তাদের উপকৃত করবেন এবং এদের (হিদায়াতের) কারনে তোমাকে পুরস্কৃত করবেন। এরপর আমি উনায়সের কাছে ফিরে এলাম। সে বলল, আপনি কি করেছেন? আমি বললাম, আমি তো ইসলাম গ্রহন করেছি এবং বিশ্বাস করেছি। সে (উনায়স) বলল, আপনার দ্বীন সম্পর্কে আমার কোন আপত্তি নেই। আমিও ইসলাম গ্রহন করেছি এবং বিশ্বাস করছি।

এরপর আমরা উভয়ে মায়ের কাছে এলাম, তিনি বললেন, তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে আমার কোন আপত্তি নেই, আমিও ইসলাম গ্রহন করলাম এবং বিশ্বাস করলাম। তারপর আমরা সাওয়ার হয়ে আমদের গিফার গোত্রের কাছে এলাম। তাদের অর্ধেক লোক ইসলাম গ্রহন করল এবং ঈমা ইবনু রাহাদা গিফারী তাদের ইমমত করেন। তিনি ছিলেন তাদের সর্দার। তাদের বাকী অর্ধেক বলল, যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আসবেন তখন আমরা ইসলাম গ্রহন করব।

পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনাতে আসলেন এবং তাদের (গিফার গোত্রের) অবশিষ্ট অর্ধেক লোক ইসলামে দীক্ষিত হল। তারপর আসলাম গোত্রের লোকেরা এল, তারা বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাদের ভাইয়েরা (মিত্রেরা) যার উপরে ইসলাম কবুল করছেন আমরাও তাদের মত ইসলাম গ্রহন করলাম। এভাবে তারাও ইসলামে দীক্ষিত হল।

তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, গিফার গোত্রকে আল্লাহ্‌ তা’আলা মাগফিরাত দান করুন এবং আসলাম গোত্রকে আল্লাহ্‌ তা’আলা সালামাত (নিরাপত্তা) দান করুন।

باب مِنْ فَضَائِلِ أَبِي ذَرٍّ رضى الله عنه ‏‏

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ أَبُو ذَرٍّ خَرَجْنَا مِنْ قَوْمِنَا غِفَارٍ وَكَانُوا يُحِلُّونَ الشَّهْرَ الْحَرَامَ فَخَرَجْتُ أَنَا وَأَخِي أُنَيْسٌ وَأُمُّنَا فَنَزَلْنَا عَلَى خَالٍ لَنَا فَأَكْرَمَنَا خَالُنَا وَأَحْسَنَ إِلَيْنَا فَحَسَدَنَا قَوْمُهُ فَقَالُوا إِنَّكَ إِذَا خَرَجْتَ عَنْ أَهْلِكَ خَالَفَ إِلَيْهِمْ أُنَيْسٌ فَجَاءَ خَالُنَا فَنَثَا عَلَيْنَا الَّذِي قِيلَ لَهُ فَقُلْتُ لَهُ أَمَّا مَا مَضَى مِنْ مَعْرُوفِكَ فَقَدْ كَدَّرْتَهُ وَلاَ جِمَاعَ لَكَ فِيمَا بَعْدُ ‏.‏ فَقَرَّبْنَا صِرْمَتَنَا فَاحْتَمَلْنَا عَلَيْهَا وَتَغَطَّى خَالُنَا ثَوْبَهُ فَجَعَلَ يَبْكِي فَانْطَلَقْنَا حَتَّى نَزَلْنَا بِحَضْرَةِ مَكَّةَ فَنَافَرَ أُنَيْسٌ عَنْ صِرْمَتِنَا وَعَنْ مِثْلِهَا فَأَتَيَا الْكَاهِنَ فَخَيَّرَ أُنَيْسًا فَأَتَانَا أُنَيْسٌ بِصِرْمَتِنَا وَمِثْلِهَا مَعَهَا - قَالَ - وَقَدْ صَلَّيْتُ يَا ابْنَ أَخِي قَبْلَ أَنْ أَلْقَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِثَلاَثِ سِنِينَ ‏.‏ قُلْتُ لِمَنْ قَالَ لِلَّهِ ‏.‏ قُلْتُ فَأَيْنَ تَوَجَّهُ قَالَ أَتَوَجَّهُ حَيْثُ يُوَجِّهُنِي رَبِّي أُصَلِّي عِشَاءً حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ أُلْقِيتُ كَأَنِّي خِفَاءٌ حَتَّى تَعْلُوَنِي الشَّمْسُ ‏.‏ فَقَالَ أُنَيْسٌ إِنَّ لِي حَاجَةً بِمَكَّةَ فَاكْفِنِي ‏.‏ فَانْطَلَقَ أُنَيْسٌ حَتَّى أَتَى مَكَّةَ فَرَاثَ عَلَىَّ ثُمَّ جَاءَ فَقُلْتُ مَا صَنَعْتَ قَالَ لَقِيتُ رَجُلاً بِمَكَّةَ عَلَى دِينِكَ يَزْعُمُ أَنَّ اللَّهَ أَرْسَلَهُ ‏.‏ قُلْتُ فَمَا يَقُولُ النَّاسُ قَالَ يَقُولُونَ شَاعِرٌ كَاهِنٌ سَاحِرٌ ‏.‏ وَكَانَ أُنَيْسٌ أَحَدَ الشُّعَرَاءِ ‏.‏ قَالَ أُنَيْسٌ لَقَدْ سَمِعْتُ قَوْلَ الْكَهَنَةِ فَمَا هُوَ بِقَوْلِهِمْ وَلَقَدْ وَضَعْتُ قَوْلَهُ عَلَى أَقْرَاءِ الشِّعْرِ فَمَا يَلْتَئِمُ عَلَى لِسَانِ أَحَدٍ بَعْدِي أَنَّهُ شِعْرٌ وَاللَّهِ إِنَّهُ لَصَادِقٌ وَإِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَاكْفِنِي حَتَّى أَذْهَبَ فَأَنْظُرَ ‏.‏ قَالَ فَأَتَيْتُ مَكَّةَ فَتَضَعَّفْتُ رَجُلاً مِنْهُمْ فَقُلْتُ أَيْنَ هَذَا الَّذِي تَدْعُونَهُ الصَّابِئَ فَأَشَارَ إِلَىَّ فَقَالَ الصَّابِئَ ‏.‏ فَمَالَ عَلَىَّ أَهْلُ الْوَادِي بِكُلِّ مَدَرَةٍ وَعَظْمٍ حَتَّى خَرَرْتُ مَغْشِيًّا عَلَىَّ - قَالَ - فَارْتَفَعْتُ حِينَ ارْتَفَعْتُ كَأَنِّي نُصُبٌ أَحْمَرُ - قَالَ - فَأَتَيْتُ زَمْزَمَ فَغَسَلْتُ عَنِّي الدِّمَاءَ وَشَرِبْتُ مِنْ مَائِهَا وَلَقَدْ لَبِثْتُ يَا ابْنَ أَخِي ثَلاَثِينَ بَيْنَ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ مَا كَانَ لِي طَعَامٌ إِلاَّ مَاءُ زَمْزَمَ فَسَمِنْتُ حَتَّى تَكَسَّرَتْ عُكَنُ بَطْنِي وَمَا وَجَدْتُ عَلَى كَبِدِي سُخْفَةَ جُوعٍ - قَالَ - فَبَيْنَا أَهْلُ مَكَّةَ فِي لَيْلَةٍ قَمْرَاءَ إِضْحِيَانَ إِذْ ضُرِبَ عَلَى أَسْمِخَتِهِمْ فَمَا يَطُوفُ بِالْبَيْتِ أَحَدٌ وَامْرَأَتَيْنِ مِنْهُمْ تَدْعُوَانِ إِسَافًا وَنَائِلَةَ - قَالَ - فَأَتَتَا عَلَىَّ فِي طَوَافِهِمَا فَقُلْتُ أَنْكِحَا أَحَدَهُمَا الأُخْرَى - قَالَ - فَمَا تَنَاهَتَا عَنْ قَوْلِهِمَا - قَالَ - فَأَتَتَا عَلَىَّ فَقُلْتُ هَنٌ مِثْلُ الْخَشَبَةِ غَيْرَ أَنِّي لاَ أَكْنِي ‏.‏ فَانْطَلَقَتَا تُوَلْوِلاَنِ وَتَقُولاَنِ لَوْ كَانَ هَا هُنَا أَحَدٌ مِنْ أَنْفَارِنَا ‏.‏ قَالَ فَاسْتَقْبَلَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَهُمَا هَابِطَانِ قَالَ ‏"‏ مَا لَكُمَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَتَا الصَّابِئُ بَيْنَ الْكَعْبَةِ وَأَسْتَارِهَا قَالَ ‏"‏ مَا قَالَ لَكُمَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَتَا إِنَّهُ قَالَ لَنَا كَلِمَةً تَمْلأُ الْفَمَ ‏.‏ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى اسْتَلَمَ الْحَجَرَ وَطَافَ بِالْبَيْتِ هُوَ وَصَاحِبُهُ ثُمَّ صَلَّى فَلَمَّا قَضَى صَلاَتَهُ قَالَ أَبُو ذَرٍّ ‏.‏ فَكُنْتُ أَنَا أَوَّلُ مَنْ حَيَّاهُ بِتَحِيَّةِ الإِسْلاَمِ - قَالَ - فَقُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ وَعَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ مَنْ أَنْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مِنْ غِفَارٍ - قَالَ - فَأَهْوَى بِيَدِهِ فَوَضَعَ أَصَابِعَهُ عَلَى جَبْهَتِهِ فَقُلْتُ فِي نَفْسِي كَرِهَ أَنِ انْتَمَيْتُ إِلَى غِفَارٍ ‏.‏ فَذَهَبْتُ آخُذُ بِيَدِهِ فَقَدَعَنِي صَاحِبُهُ وَكَانَ أَعْلَمَ بِهِ مِنِّي ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ مَتَى كُنْتَ هَا هُنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ قَدْ كُنْتُ هَا هُنَا مُنْذُ ثَلاَثِينَ بَيْنَ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ قَالَ ‏"‏ فَمَنْ كَانَ يُطْعِمُكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا كَانَ لِي طَعَامٌ إِلاَّ مَاءُ زَمْزَمَ ‏.‏ فَسَمِنْتُ حَتَّى تَكَسَّرَتْ عُكَنُ بَطْنِي وَمَا أَجِدُ عَلَى كَبِدِي سُخْفَةَ جُوعٍ قَالَ ‏"‏ إِنَّهَا مُبَارَكَةٌ إِنَّهَا طَعَامُ طُعْمٍ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ ائْذَنْ لِي فِي طَعَامِهِ اللَّيْلَةَ ‏.‏ فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ وَانْطَلَقْتُ مَعَهُمَا فَفَتَحَ أَبُو بَكْرٍ بَابًا فَجَعَلَ يَقْبِضُ لَنَا مِنْ زَبِيبِ الطَّائِفِ وَكَانَ ذَلِكَ أَوَّلَ طَعَامٍ أَكَلْتُهُ بِهَا ثُمَّ غَبَرْتُ مَا غَبَرْتُ ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ إِنَّهُ قَدْ وُجِّهَتْ لِي أَرْضٌ ذَاتُ نَخْلٍ لاَ أُرَاهَا إِلاَّ يَثْرِبَ فَهَلْ أَنْتَ مُبَلِّغٌ عَنِّي قَوْمَكَ عَسَى اللَّهُ أَنْ يَنْفَعَهُمْ بِكَ وَيَأْجُرَكَ فِيهِمْ ‏"‏ ‏.‏ فَأَتَيْتُ أُنَيْسًا فَقَالَ مَا صَنَعْتَ قُلْتُ صَنَعْتُ أَنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ وَصَدَّقْتُ ‏.‏ قَالَ مَا بِي رَغْبَةٌ عَنْ دِينِكَ فَإِنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ وَصَدَّقْتُ ‏.‏ فَأَتَيْنَا أُمَّنَا فَقَالَتْ مَا بِي رَغْبَةٌ عَنْ دِينِكُمَا فَإِنِّي قَدْ أَسْلَمْتُ وَصَدَّقْتُ ‏.‏ فَاحْتَمَلْنَا حَتَّى أَتَيْنَا قَوْمَنَا غِفَارًا فَأَسْلَمَ نِصْفُهُمْ وَكَانَ يَؤُمُّهُمْ إِيمَاءُ بْنُ رَحَضَةَ الْغِفَارِيُّ وَكَانَ سَيِّدَهُمْ ‏.‏ وَقَالَ نِصْفُهُمْ إِذَا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ أَسْلَمْنَا ‏.‏ فَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ فَأَسْلَمَ نِصْفُهُمُ الْبَاقِي وَجَاءَتْ أَسْلَمُ فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِخْوَتُنَا نُسْلِمُ عَلَى الَّذِي أَسْلَمُوا عَلَيْهِ ‏.‏ فَأَسْلَمُوا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ غِفَارُ غَفَرَ اللَّهُ لَهَا وَأَسْلَمُ سَالَمَهَا اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هداب بن خالد الازدي، حدثنا سليمان بن المغيرة، اخبرنا حميد بن هلال، عن عبد الله بن الصامت، قال قال ابو ذر خرجنا من قومنا غفار وكانوا يحلون الشهر الحرام فخرجت انا واخي انيس وامنا فنزلنا على خال لنا فاكرمنا خالنا واحسن الينا فحسدنا قومه فقالوا انك اذا خرجت عن اهلك خالف اليهم انيس فجاء خالنا فنثا علينا الذي قيل له فقلت له اما ما مضى من معروفك فقد كدرته ولا جماع لك فيما بعد ‏.‏ فقربنا صرمتنا فاحتملنا عليها وتغطى خالنا ثوبه فجعل يبكي فانطلقنا حتى نزلنا بحضرة مكة فنافر انيس عن صرمتنا وعن مثلها فاتيا الكاهن فخير انيسا فاتانا انيس بصرمتنا ومثلها معها - قال - وقد صليت يا ابن اخي قبل ان القى رسول الله صلى الله عليه وسلم بثلاث سنين ‏.‏ قلت لمن قال لله ‏.‏ قلت فاين توجه قال اتوجه حيث يوجهني ربي اصلي عشاء حتى اذا كان من اخر الليل القيت كاني خفاء حتى تعلوني الشمس ‏.‏ فقال انيس ان لي حاجة بمكة فاكفني ‏.‏ فانطلق انيس حتى اتى مكة فراث على ثم جاء فقلت ما صنعت قال لقيت رجلا بمكة على دينك يزعم ان الله ارسله ‏.‏ قلت فما يقول الناس قال يقولون شاعر كاهن ساحر ‏.‏ وكان انيس احد الشعراء ‏.‏ قال انيس لقد سمعت قول الكهنة فما هو بقولهم ولقد وضعت قوله على اقراء الشعر فما يلتىم على لسان احد بعدي انه شعر والله انه لصادق وانهم لكاذبون ‏.‏ قال قلت فاكفني حتى اذهب فانظر ‏.‏ قال فاتيت مكة فتضعفت رجلا منهم فقلت اين هذا الذي تدعونه الصابى فاشار الى فقال الصابى ‏.‏ فمال على اهل الوادي بكل مدرة وعظم حتى خررت مغشيا على - قال - فارتفعت حين ارتفعت كاني نصب احمر - قال - فاتيت زمزم فغسلت عني الدماء وشربت من ماىها ولقد لبثت يا ابن اخي ثلاثين بين ليلة ويوم ما كان لي طعام الا ماء زمزم فسمنت حتى تكسرت عكن بطني وما وجدت على كبدي سخفة جوع - قال - فبينا اهل مكة في ليلة قمراء اضحيان اذ ضرب على اسمختهم فما يطوف بالبيت احد وامراتين منهم تدعوان اسافا وناىلة - قال - فاتتا على في طوافهما فقلت انكحا احدهما الاخرى - قال - فما تناهتا عن قولهما - قال - فاتتا على فقلت هن مثل الخشبة غير اني لا اكني ‏.‏ فانطلقتا تولولان وتقولان لو كان ها هنا احد من انفارنا ‏.‏ قال فاستقبلهما رسول الله صلى الله عليه وسلم وابو بكر وهما هابطان قال ‏"‏ ما لكما ‏"‏ ‏.‏ قالتا الصابى بين الكعبة واستارها قال ‏"‏ ما قال لكما ‏"‏ ‏.‏ قالتا انه قال لنا كلمة تملا الفم ‏.‏ وجاء رسول الله صلى الله عليه وسلم حتى استلم الحجر وطاف بالبيت هو وصاحبه ثم صلى فلما قضى صلاته قال ابو ذر ‏.‏ فكنت انا اول من حياه بتحية الاسلام - قال - فقلت السلام عليك يا رسول الله ‏.‏ فقال ‏"‏ وعليك ورحمة الله ‏"‏ ‏.‏ ثم قال ‏"‏ من انت ‏"‏ ‏.‏ قال قلت من غفار - قال - فاهوى بيده فوضع اصابعه على جبهته فقلت في نفسي كره ان انتميت الى غفار ‏.‏ فذهبت اخذ بيده فقدعني صاحبه وكان اعلم به مني ثم رفع راسه ثم قال ‏"‏ متى كنت ها هنا ‏"‏ ‏.‏ قال قلت قد كنت ها هنا منذ ثلاثين بين ليلة ويوم قال ‏"‏ فمن كان يطعمك ‏"‏ ‏.‏ قال قلت ما كان لي طعام الا ماء زمزم ‏.‏ فسمنت حتى تكسرت عكن بطني وما اجد على كبدي سخفة جوع قال ‏"‏ انها مباركة انها طعام طعم ‏"‏ ‏.‏ فقال ابو بكر يا رسول الله اىذن لي في طعامه الليلة ‏.‏ فانطلق رسول الله صلى الله عليه وسلم وابو بكر وانطلقت معهما ففتح ابو بكر بابا فجعل يقبض لنا من زبيب الطاىف وكان ذلك اول طعام اكلته بها ثم غبرت ما غبرت ثم اتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ‏"‏ انه قد وجهت لي ارض ذات نخل لا اراها الا يثرب فهل انت مبلغ عني قومك عسى الله ان ينفعهم بك وياجرك فيهم ‏"‏ ‏.‏ فاتيت انيسا فقال ما صنعت قلت صنعت اني قد اسلمت وصدقت ‏.‏ قال ما بي رغبة عن دينك فاني قد اسلمت وصدقت ‏.‏ فاتينا امنا فقالت ما بي رغبة عن دينكما فاني قد اسلمت وصدقت ‏.‏ فاحتملنا حتى اتينا قومنا غفارا فاسلم نصفهم وكان يومهم ايماء بن رحضة الغفاري وكان سيدهم ‏.‏ وقال نصفهم اذا قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة اسلمنا ‏.‏ فقدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة فاسلم نصفهم الباقي وجاءت اسلم فقالوا يا رسول الله اخوتنا نسلم على الذي اسلموا عليه ‏.‏ فاسلموا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ غفار غفر الله لها واسلم سالمها الله ‏"‏ ‏.‏


'Abdullah b. Samit reported that Abu Dharr said:
We set out from our tribe Ghafir who look upon the prohibited months as permissible months. I and my brother Unais and our mother stayed with our maternal uncle who treated us well. The men of his tribe fell jealous and they said: When you are anay from your house, Unais commits adultery with your wife. Our -naternal uncle came and he accused us of the sin which was conveyed to him. I said: You have undone the good you did to us. We cannot stay with you after this. We came to our camels and loaded (our) luggage. Our maternal uncle began to weep covering himself with (a piece of) cloth. We proceeded on until we encamped by the side of Mecca. Unais cast lot on the camels (we had) and an equal number (above that). They both went to a Kahin and he made Unais win and Unais came with our camels and an equal number along with them. He (Abu Dharr) said: My nephew, I used to observe prayer three years before my meeting with Allah's Messenger (ﷺ). I said: For whom did you say prayer? He said: For Allah. I said: To which direction did you turn your face (for observing prayer)? He said: I used to turn my face as Allah has directed me to turn my face. I used to observe the night prayer at the time of the end of night and I fell down in prostration like the mantle until the sun rose over me. Unais said: I have a work in Mecca, so you better stay here. Unais went until he came to Mecca and he came to me late. I said: What did you do? He said: I met a person in Mecca who is on your religion and he claims that verily it is Allah Who has sent him. I said: What do the people say about him? He said: They say that he is a poet or a Kahin or a magician. Unais who was himself one of the poets said. I have heard the words of a Kahin but his words in no way resemble his (words). And 1 also compared his words to the verses of poets but such words cannot be uttered by any poet. By Allah, he is truthful and they are liars. Then I said: you stay here, until I go, so that I should see him. He said: I came to Mecca and I selected an insignificant person from amongst them and said to him: Where is he whom you call as-Sabi? He pointed out towards me saying: He is Sabi. Thereupon the people of the valley attacked me with sods and bows until I fell down unconscious. I stood up after havin. regained my consciousness and I found as if I was a red idol. I came to Zamzarn and washed blood from me and drank water from it and listen, O son of my brother, I stayed there for thirty nights or days and there was no food for me but the water of Zamzarn. And I became so bulky that there appeared wrinkles upon my stomach, and I did not feel any hunger in my stomach. It was during this time that the people of Mecca slept in the moonlit night and none was there to eircumambulate the House but only two women who had been invoking the name of Isafa, and Na'ila (the two idols). They came to me while in their circuit and I said: Marry one with the other, but they did not dissuade from their invoking. They came to me and I said to them: Insert wood (in the idols' private parts). (I said this to them in such plain words) as I could not express in metaphorical terms. These women went away crying and saying: Had there been one amongst our people (he would have taught a lesson to you for the obscene words used for our idols before us). These women met Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr who had also been coming down the hill. He asked them: What has happened to you? They said: There is Sabi, who has hidden himself between the Ka'ba and its curtain. He said: What did he say to you? They said: He uttered such words before us as we cannot express. Allah's Messenger (ﷺ) came and he kissed the Black Stone and circumambulated the House along with his Companion and then observed prayer, and when he had finished his prayer, Abu Dharr said: I was the first to greet him with the salutation of peace and uttered (these words) in this way; Allah's Messen- ger, may there be peace upon you, whereupon he said: It may be upon you too and the mercy of Allah. He then said: Who are you? I said: From the tribe of Ghifar. He leaned his hand and placed his finger on his forehead and I said to myself: Perhaps he has not liked it that I belong to the tribe of Ghifar. I attempted to catch hold of his hand but his friend who knew about him more than I dissuaded me f rom doing so. He then lifted his head and said: Since how long have you been here? I said: I have been here for the last thirty nights or days. He said: Who has been feeding you? I said: There has been no food for me but the water of Zamzam. I have grown so bulky that there appear wrinkles upon my stomach and I do not feel any hunger. He said: It is blessed (water) and it also serves as food. Thereupon Abu Bakr said: Allah's Messenger, let me serve as a host to him for tonight, and then Allah's Messenger (ﷺ) proceeded forth and so did Abu Bakr and I went along with them. Abu Bakr opened the door and then he brought for us the raisins of Ta'if and that was the first food which I ate there. Then I stayed as long as I had to stay. I then came to Allah's Messenaer (ﷺ) and he said: I have been shown the land abound- ing in trees and I think it cannot be but that of Yathrib (that is the old name of Medina). You are a preacher to your people on my behalf. I hope Allah would benefit them through you and He would reward you. I came to Unais and he said: What have you done? I said: I have done that I have embraced Islam and I have testified (to the prophethood of Allah's Messenger). He said: I have no aversion for your religion and I also embrace Islam and testify (to the prophethood of Muhammad). Then both of us came to our mother and she said: I have no aversion for your religion and I also embrace Islam and testify to the prophethood of Muhammad. We then loaded our camels and came to our tribe Ghifir and half of the tribe embraced Islam and their chief was Aimi' b. Rahada Ghifirl and he was their leader and hall of the tribe said: We will embrace Islam when Allah's Messenger (may p,. ace be upon him) would come to Medina, and when Allah's Messenger (ﷺ) came to Medina the remaining half also embraced Islam. Then a tribe Aslam came to the Prophet (ﷺ) and said: Allah's Messenger, we also embrace Islam like our brothers who have embraced Islam. And they also embraced Islam. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: Allah granted pardon to the tribe of Ghifar and Allah saved (from destruction) the tribe of Aslam.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৬/ সাহাবী (রাঃ) গণের ফযীলত (كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم) 46/ The Book of the Merits of the Companions

পরিচ্ছেদঃ ২৮. আবু যার (রাঃ) এর ফযীলত

৬১৩৬। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম হানযালী (রহঃ) ... হুমায়দ ইবনু হিলাল (রাঃ) থেকে এই সনদে (রাবী) আবূ যার (রাঃ) এর কথা “আমি বললাম, তুমি এখানে অবস্থান কর, আমি গিয়ে সে ব্যক্তিকে দেখে নই।” এরপরে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বললেন, আচ্ছা, তবে মক্কাবাসীদের ব্যপারে সতর্ক থাকবেন। তারা তাঁর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে এবং কঠোর ও রুঢ় আচরণ করে।

باب مِنْ فَضَائِلِ أَبِي ذَرٍّ رضى الله عنه ‏‏

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، بْنُ الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ بَعْدَ قَوْلِهِ قُلْتُ فَاكْفِنِي حَتَّى أَذْهَبَ فَأَنْظُرَ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ وَكُنْ عَلَى حَذَرٍ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ فَإِنَّهُمْ قَدْ شَنِفُوا لَهُ وَتَجَهَّمُوا ‏.‏

حدثنا اسحاق بن ابراهيم الحنظلي، اخبرنا النضر بن شميل، حدثنا سليمان، بن المغيرة حدثنا حميد بن هلال، بهذا الاسناد وزاد بعد قوله قلت فاكفني حتى اذهب فانظر ‏.‏ قال نعم وكن على حذر من اهل مكة فانهم قد شنفوا له وتجهموا ‏.‏


This hadlth has been narrated on the authority of Humaid b. Hilal with the same chain of transmitters but with this addition:
" As I came to Mecca, Unais said: (Well), go but be on your guard against the Meccans for they are his enemies and are annoyed with him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৬/ সাহাবী (রাঃ) গণের ফযীলত (كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم) 46/ The Book of the Merits of the Companions

পরিচ্ছেদঃ ২৮. আবু যার (রাঃ) এর ফযীলত

৬১৩৭। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না আনাযী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ যার (রাঃ) বলেছেন , হে ভ্রাতুষ্পুত্র! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আবির্ভাবের পূর্বে আমি দুই বছর সালাত আদায় করেছি। রাবী বললেন, আমি বললাম, আপনি কোন দিকে মুখ করতেন। তিনি [আবূ যার (রাঃ)] বললেন, আল্লাহ্‌ যে দিকে আমার মুখ ফিরিয়ে দিতেন সেদিকে। ...... এরপর তিনি সুলায়মান ইবনু মুগীরা (রহঃ) এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।

আর তিনি হাদীসে বলেছেন, এরপর (কাব্য রচনায় শ্রেষ্ঠত্বের বাজি ধরেন) উভয়ে এক জ্যোতিষীর কাছে গেলেন। তিনি [আবূ যার (রাঃ)] বলেন, আমার ভাই উনায়স কবিতায় এই জ্যোতিষীর প্রশংসা করতে লাগল, অবশেষে প্রতিপক্ষের উপর জয়ী হল। রাবী বলেন, তারপর আমরা তার পশুগুলো নিলাম এবং আমাদের পশুগুলোর সাথে মিলিয়ে ফেললাম।

তিনি তার হাদীসে আরও বলেছেন, তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসলেন এবং বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলেন। এরপর মাকামে ইবরাহীম এর পিছনে দু’রাকাআত সালাত আদায় করলেন। তিনি [আবূ যার (রাঃ)] বলেন, আমি তাঁর [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর নিকট এলাম এবং আমিই প্রথম ব্যক্তি, যে তাঁকে ইসলামী নিয়মে সালাম করলাম। তিনি বলেন, আমি বললাম, আস সালামু আলাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! (হে আল্লাহর রাসূল আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক!) তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, ’ওয়া আলাইকাস সালাম’ (তোমার প্রতিও সালাম বর্ষিত হোক)। তুমি কে?

তার বর্ণিত হাদীসে আরও আছে যে, তারপর তিনি বললেন, তুমি এখানে কতদিন যাবৎ আছ? আমি বললাম, পনের (দিন) ধরে অবস্থান করছি। এই হাদীসে আরও আছে, তারপর আবূ বকর (রাঃ) বললেন , তাঁকে এক রাত্রির মেহমানদারীর সুযোগ আমাকে দিন।

باب مِنْ فَضَائِلِ أَبِي ذَرٍّ رضى الله عنه ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنِي ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلاَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ قَالَ أَبُو ذَرٍّ يَا ابْنَ أَخِي صَلَّيْتُ سَنَتَيْنِ قَبْلَ مَبْعَثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَأَيْنَ كُنْتَ تَوَجَّهُ قَالَ حَيْثُ وَجَّهَنِيَ اللَّهُ ‏.‏ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ سُلَيْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَتَنَافَرَا إِلَى رَجُلٍ مِنَ الْكُهَّانِ ‏.‏ قَالَ فَلَمْ يَزَلْ أَخِي أُنَيْسٌ يَمْدَحُهُ حَتَّى غَلَبَهُ - قَالَ - فَأَخَذْنَا صِرْمَتَهُ فَضَمَمْنَاهَا إِلَى صِرْمَتِنَا ‏.‏ وَقَالَ أَيْضًا فِي حَدِيثِهِ قَالَ فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَطَافَ بِالْبَيْتِ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَلْفَ الْمَقَامِ - قَالَ - فَأَتَيْتُهُ فَإِنِّي لأَوَّلُ النَّاسِ حَيَّاهُ بِتَحِيَّةِ الإِسْلاَمِ - قَالَ - قُلْتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ وَعَلَيْكَ السَّلاَمُ مَنْ أَنْتَ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِهِ أَيْضًا فَقَالَ ‏"‏ مُنْذُ كَمْ أَنْتَ هَا هُنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مُنْذُ خَمْسَ عَشْرَةَ ‏.‏ وَفِيهِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَتْحِفْنِي بِضِيَافَتِهِ اللَّيْلَةَ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى العنزي، حدثني ابن ابي عدي، قال انبانا ابن عون، عن حميد بن هلال، عن عبد الله بن الصامت، قال قال ابو ذر يا ابن اخي صليت سنتين قبل مبعث النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال قلت فاين كنت توجه قال حيث وجهني الله ‏.‏ واقتص الحديث بنحو حديث سليمان بن المغيرة وقال في الحديث فتنافرا الى رجل من الكهان ‏.‏ قال فلم يزل اخي انيس يمدحه حتى غلبه - قال - فاخذنا صرمته فضممناها الى صرمتنا ‏.‏ وقال ايضا في حديثه قال فجاء النبي صلى الله عليه وسلم فطاف بالبيت وصلى ركعتين خلف المقام - قال - فاتيته فاني لاول الناس حياه بتحية الاسلام - قال - قلت السلام عليك يا رسول الله ‏.‏ قال ‏"‏ وعليك السلام من انت ‏"‏ ‏.‏ وفي حديثه ايضا فقال ‏"‏ منذ كم انت ها هنا ‏"‏ ‏.‏ قال قلت منذ خمس عشرة ‏.‏ وفيه فقال ابو بكر اتحفني بضيافته الليلة ‏.‏


Abdullah b. Samit reported that Abu Dharr said:
Son of my brother, I used to observe prayer two years before the advent of Allah's Apostle (ﷺ). I said: To which direction did you turn your face? He said: To which Allah directed me to turn my face. The rest of the hadith is the same but with this addition that they went to a Kahin and his brother Unais began to praise him until he (in verses declared) him (Unais) as winner (in the contest of poetry), and so we got his camels, mixed them with our camels, and there is in this hadith also these words that Allah's Apostle (ﷺ) came there and he circumambulated the House and observed two Rak'ahs of prayer behind the Station (of Ibrahim). I came to him and I was the first amongst persons to greet him with Assalam-o-'Alaikum, and I said to Allah's Messenger Let there be peace upon you. And he said: Let there be peace upon you too; who are you? And in the hadith (these words are) also found: Since how long have you been here? And Abu Bakr said: Let him be my guest tonight.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৬/ সাহাবী (রাঃ) গণের ফযীলত (كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم) 46/ The Book of the Merits of the Companions

পরিচ্ছেদঃ ২৮. আবু যার (রাঃ) এর ফযীলত

৬১৩৮। ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মদ ইবনু আর’আরা সামী ও মুহাম্মদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আবূ যার (রাঃ) এর কাছে খবর পৌছল যে, মক্কায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রেরিত হয়েছেন, তখন তিনি তাঁর ভাইকে বললেন, তুমি সওয়ারীতে আরোহণ করে সেই (মক্কা) উপত্যকায় যাও এবং সেই ব্যক্তি সম্পর্কে আমাকে জানাও, যিনি দাবি করেন যে, আসমান থেকে তাঁর কাছে ওহী আসে। তাঁর কথা ভাল করে শুনবে এবং তারপর তুমি আমার কাছে আসবে। তখন অপর ব্যক্তি (তার ভাই) রওনা হয়ে মক্কা এল এবং তার কথা শুনল।

তারপর সে আবূ যার (রাঃ)-এর কাছে ফিরে এল এবং সে বলল, আমি তাঁকে লক্ষ্য করেছি যে, তিনি উত্তম চরিত্রের নির্দেশ দেন এবং এমন বাণী শোনান, যা কবিতা নয়। তখন তিনি (আবূ যার (রাঃ) বললেন, তুমি আমার চাহিদা মেটাতে পারলে না। তারপর তিনি পাথেয় জোগাড় করলেন এবং একটি পানি ভর্তি মশক নিলেন। অবশেষে মক্কায় পৌছ তিনি মসজিদুক হারামে এলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তালাশ করলেন। কিন্তু তিনি তাঁকে চিনতেন না। আর তাঁর সম্পর্কে (কারও কাছে) জিজ্ঞাসা করাও অপছন্দ করলেন।

অবশেষে রাত হয়ে গেল। তিনি শুয়ে পড়লেন। তখন আলী (রাঃ) তাকে দেখলেন এবং তিনি বুঝতে পারলেন যে ইনি একজন আগন্তুক। যখন তিনি তাকে দেখলেন (তাঁর আহবানে) তাঁর [আলী (রাঃ)] অনুসরণ করলেন; কিন্তু কেউ কারো কাছে কিছু জিজ্ঞাসা করলেন না। এমনকি (এভাবে) ভোর হয়ে গেল। এরপর তিনি [আবূ যার (রাঃ)] তাঁর আসবাবপত্র ও মশক মসজিদে রাখলেন এবং সেদিনটি সেখানে অতিবাহিত করলেন। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখতে পেলেন না, এমনকি সন্ধ্যা হয়ে গেল। তারপর তিনি তাঁর শোবার জায়গায় ফিরে এলেন।

আলী (রাঃ) তাঁর কাছে এলেন, তিনি বললেন, এখনো সময় আসেনি, যে সে ব্যাক্তি (আপনি) তাঁর উদ্দিষ্ট স্থান সম্পর্কে অবগত হবে। এরপর তিনি তাকে উঠিয়ে সঙ্গে নিয়ে চললেন। তবে কেউ কারোর কাছে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন না। এমনকি তৃতীয় দিন এসে গেল। এই দিনও সেইরূপ করলেন। আলী (রাঃ) তাকে তাঁর সঙ্গে উঠিয়ে নিয়ে নিলেন এবং তাকে বললেন, আপনি কি আমাকে জানাবেন না, কিসে আপনাকে এই শহরে এনেছে? তিনি (আবূ যার (রাঃ) বললেন, আপনি যদি আমাকে সঠিক পথ দেখানোর পতিশ্রুতি দেন ও প্রতিজ্ঞা করেন তাহলে আমি আপনার কাছে বলব। তিনি ওয়াদা করলেন।

তখন (আবূ যার (রাঃ) তাকে সব অবহিত করলেন। এরপর আলী (রাঃ) বললেন, তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সত্য এবং তিনি আল্লাহর রাসুল। সকাল হলে আপনি আমাকে অনুসরন করবেন। আমি যদি এমন কিছু দেখতে পাই যাতে আপনার আশংকা আছে, তখন আমি দাঁড়িয়ে যাব, যেন আমি মুত্র ত্যাগ করছি। আর যদি আমি চলতে থাকি তাহলে আমাকে অনুসরণ করবেন। অবশেষে আমার প্রবেশস্থলে আপনি ঢুকে পড়বেন। তিনি তাই করলেন। তিনি তাঁর পিছনে চললেন, শেষ পর্যন্ত তিনি [আলী (রাঃ)] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রবেশ করলেন আর আবূ যার (রাঃ) ও তাঁর সঙ্গে প্রবেশ করলেন।

তারপর তিনি তার (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) কথা শুনলেন এবং সেখানেই ইসলাম গ্রহন করলেন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি তোমার গোত্রের কাছে ফিরে যাও এবং তাদের কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দাও। এ আমার নির্দেশ তোমার কাছে পৌছা পর্যন্ত (এভাবে থাকবে)। এরপর তিনি [আবূ যার (রাঃ)] বললেন, সেই মহান সত্তার কসম! যার হাতে আমার প্রান, আমি তা মক্কাবাসীদের মাঝে চিৎকার করে ঘোষণা করব। তারপর তিনি বেরিয়ে পড়লেন এবং মাসজিদুল হারামে প্রবেশ করলেন। তারপর উচ্চস্বরে ঘোষণা করেলেনঃأَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসুল।"

এতে লোকেরা তাঁর উপর ঝাপিয়ে পড়ল এবং প্রহার করে তাকে ধরাশায়ী করে ফেলল। আব্বাস (রাঃ) সেখানে এলেন এবং ঝুকে পড়ে তাকে দেখলেন। তিনি [আব্বাস (রাঃ)] বললেন, তোমাদের জন্য আফসোস! তোমরা কি জাননা যে, ইনি গিফার গোত্রের লোক? তোমাদের সিরিয়া দেশে বানিজ্যের যাতায়াতের রাস্তা তাদের এলাকায়। তারপর তিনি তাকে তাদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে আনলেন। পরের দিন তিনি আবার আগের দিনের মতই করলেন। লোকেরা তাঁর উপর ঝাপিয়ে পড়ল এবং প্রহার করল। আব্বাস (রাঃ) তাকে আড়াল করলেন এবং তাকে তিনি মুক্ত করলেন।

باب مِنْ فَضَائِلِ أَبِي ذَرٍّ رضى الله عنه ‏‏

وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنُ عَرْعَرَةَ السَّامِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، - وَتَقَارَبَا فِي سِيَاقِ الْحَدِيثِ وَاللَّفْظُ لاِبْنِ حَاتِمٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي جَمْرَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ لَمَّا بَلَغَ أَبَا ذَرٍّ مَبْعَثُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَكَّةَ قَالَ لأَخِيهِ ارْكَبْ إِلَى هَذَا الْوَادِي فَاعْلَمْ لِي عِلْمَ هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي يَزْعُمُ أَنَّهُ يَأْتِيهِ الْخَبَرُ مِنَ السَّمَاءِ فَاسْمَعْ مِنْ قَوْلِهِ ثُمَّ ائْتِنِي ‏.‏ فَانْطَلَقَ الآخَرُ حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ وَسَمِعَ مِنْ قَوْلِهِ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى أَبِي ذَرٍّ فَقَالَ رَأَيْتُهُ يَأْمُرُ بِمَكَارِمِ الأَخْلاَقِ وَكَلاَمًا مَا هُوَ بِالشِّعْرِ ‏.‏ فَقَالَ مَا شَفَيْتَنِي فِيمَا أَرَدْتُ ‏.‏ فَتَزَوَّدَ وَحَمَلَ شَنَّةً لَهُ فِيهَا مَاءٌ حَتَّى قَدِمَ مَكَّةَ فَأَتَى الْمَسْجِدَ فَالْتَمَسَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ يَعْرِفُهُ وَكَرِهَ أَنْ يَسْأَلَ عَنْهُ حَتَّى أَدْرَكَهُ - يَعْنِي اللَّيْلَ - فَاضْطَجَعَ فَرَآهُ عَلِيٌّ فَعَرَفَ أَنَّهُ غَرِيبٌ فَلَمَّا رَآهُ تَبِعَهُ فَلَمْ يَسْأَلْ وَاحِدٌ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ عَنْ شَىْءٍ حَتَّى أَصْبَحَ ثُمَّ احْتَمَلَ قُرَيْبَتَهُ وَزَادَهُ إِلَى الْمَسْجِدِ فَظَلَّ ذَلِكَ الْيَوْمَ وَلاَ يَرَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَمْسَى فَعَادَ إِلَى مَضْجَعِهِ فَمَرَّ بِهِ عَلِيٌّ فَقَالَ مَا أَنَى لِلرَّجُلِ أَنْ يَعْلَمَ مَنْزِلَهُ فَأَقَامَهُ فَذَهَبَ بِهِ مَعَهُ وَلاَ يَسْأَلُ وَاحِدٌ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ عَنْ شَىْءٍ حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ الثَّالِثِ فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ فَأَقَامَهُ عَلِيٌّ مَعَهُ ثُمَّ قَالَ لَهُ أَلاَ تُحَدِّثُنِي مَا الَّذِي أَقْدَمَكَ هَذَا الْبَلَدَ قَالَ إِنْ أَعْطَيْتَنِي عَهْدًا وَمِيثَاقًا لَتُرْشِدَنِّي فَعَلْتُ ‏.‏ فَفَعَلَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ فَإِنَّهُ حَقٌّ وَهُوَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا أَصْبَحْتَ فَاتَّبِعْنِي فَإِنِّي إِنْ رَأَيْتُ شَيْئًا أَخَافُ عَلَيْكَ قُمْتُ كَأَنِّي أُرِيقُ الْمَاءَ فَإِنْ مَضَيْتُ فَاتَّبِعْنِي حَتَّى تَدْخُلَ مَدْخَلِي ‏.‏ فَفَعَلَ فَانْطَلَقَ يَقْفُوهُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَدَخَلَ مَعَهُ فَسَمِعَ مِنْ قَوْلِهِ وَأَسْلَمَ مَكَانَهُ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ارْجِعْ إِلَى قَوْمِكَ فَأَخْبِرْهُمْ حَتَّى يَأْتِيَكَ أَمْرِي ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لأَصْرُخَنَّ بِهَا بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ ‏.‏ فَخَرَجَ حَتَّى أَتَى الْمَسْجِدَ فَنَادَى بِأَعْلَى صَوْتِهِ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ‏.‏ وَثَارَ الْقَوْمُ فَضَرَبُوهُ حَتَّى أَضْجَعُوهُ فَأَتَى الْعَبَّاسُ فَأَكَبَّ عَلَيْهِ فَقَالَ وَيْلَكُمْ أَلَسْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنَّهُ مِنْ غِفَارٍ وَأَنَّ طَرِيقَ تُجَّارِكُمْ إِلَى الشَّامِ عَلَيْهِمْ ‏.‏ فَأَنْقَذَهُ مِنْهُمْ ثُمَّ عَادَ مِنَ الْغَدِ بِمِثْلِهَا وَثَارُوا إِلَيْهِ فَضَرَبُوهُ فَأَكَبَّ عَلَيْهِ الْعَبَّاسُ فَأَنْقَذَهُ ‏.‏

وحدثني ابراهيم بن محمد بن عرعرة السامي، ومحمد بن حاتم، - وتقاربا في سياق الحديث واللفظ لابن حاتم - قالا حدثنا عبد الرحمن بن مهدي حدثنا المثنى بن سعيد عن ابي جمرة عن ابن عباس قال لما بلغ ابا ذر مبعث النبي صلى الله عليه وسلم بمكة قال لاخيه اركب الى هذا الوادي فاعلم لي علم هذا الرجل الذي يزعم انه ياتيه الخبر من السماء فاسمع من قوله ثم اىتني ‏.‏ فانطلق الاخر حتى قدم مكة وسمع من قوله ثم رجع الى ابي ذر فقال رايته يامر بمكارم الاخلاق وكلاما ما هو بالشعر ‏.‏ فقال ما شفيتني فيما اردت ‏.‏ فتزود وحمل شنة له فيها ماء حتى قدم مكة فاتى المسجد فالتمس النبي صلى الله عليه وسلم ولا يعرفه وكره ان يسال عنه حتى ادركه - يعني الليل - فاضطجع فراه علي فعرف انه غريب فلما راه تبعه فلم يسال واحد منهما صاحبه عن شىء حتى اصبح ثم احتمل قريبته وزاده الى المسجد فظل ذلك اليوم ولا يرى النبي صلى الله عليه وسلم حتى امسى فعاد الى مضجعه فمر به علي فقال ما انى للرجل ان يعلم منزله فاقامه فذهب به معه ولا يسال واحد منهما صاحبه عن شىء حتى اذا كان يوم الثالث فعل مثل ذلك فاقامه علي معه ثم قال له الا تحدثني ما الذي اقدمك هذا البلد قال ان اعطيتني عهدا وميثاقا لترشدني فعلت ‏.‏ ففعل فاخبره فقال فانه حق وهو رسول الله صلى الله عليه وسلم فاذا اصبحت فاتبعني فاني ان رايت شيىا اخاف عليك قمت كاني اريق الماء فان مضيت فاتبعني حتى تدخل مدخلي ‏.‏ ففعل فانطلق يقفوه حتى دخل على النبي صلى الله عليه وسلم ودخل معه فسمع من قوله واسلم مكانه فقال له النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ارجع الى قومك فاخبرهم حتى ياتيك امري ‏"‏ ‏.‏ فقال والذي نفسي بيده لاصرخن بها بين ظهرانيهم ‏.‏ فخرج حتى اتى المسجد فنادى باعلى صوته اشهد ان لا اله الا الله وان محمدا رسول الله ‏.‏ وثار القوم فضربوه حتى اضجعوه فاتى العباس فاكب عليه فقال ويلكم الستم تعلمون انه من غفار وان طريق تجاركم الى الشام عليهم ‏.‏ فانقذه منهم ثم عاد من الغد بمثلها وثاروا اليه فضربوه فاكب عليه العباس فانقذه ‏.‏


Ibn `Abbas reported that when Abu Dharr heard of the advent of the Apostle (ﷺ) in Mecca he said:
Brother, ride in this valley and bring information for me about the person who claims that there comes to him information from the Heavens. Listen to his words and then come to me. So he rode on until he came to Mecca and he heard his words (the sacred words of the Holy Prophet) and then came back to Abu Dharr and said: I have seen him exhorting (people) to develop good morals and his expressions can in no way be termed as poetry. He (Abu Dharr) said: I have not been satisfied with it regarding that which I had in my mind (as I sent you). So he took up provisions for the journey and a small water-skin containing water (and set forth) until he came to Mecca. He came to the mosque (Ka`bah) and began to look for Allah's Apostle (ﷺ) and he did not recognize him (the Holy Prophet) and he did not even like that he should ask about him from anyone until it was night, and he slept. `Ali saw him and found him to be a stranger. So he went with him. He followed him but one did not make any inquiry from the other about anything until it was morning. He then brought the water and his provisions to the mosque and spent a day there, but he did not see Allah's Apostle (ﷺ) until it was night. He then returned to his bed, and there happened to pass `Ali and he said: This man has not been able to find his destination until this time. He made him stand and he went with him and no one made an inquiry from his companion about anything. And when it was the third day he did the same. `Ali made him stand up and brought him along with him. He said: By Him, besides Whom there is no god, why don't you tell me (the reason) which brought you here to this town? He said: (I shall do this) provided you hold me promise and a covenant that you would guide me aright. He then did that. He (`Ali) said: Verily, he is truthful and he is a Messenger of Allah (ﷺ) and when it is morning, follow me and if I would say anything from which I would sense fear about you I would stand (in a manner) as if I was throwing water and if I move on, you then follow me until I get in (some house). He did that and I followed him until he came to Allah's Messenger (ﷺ). He entered (the house) of Allah's Apostle (ﷺ) along with him and listened to his words and embraced Islam at this very place. Allah's Apostle (ﷺ) said to him: Go to your people and inform them until my command reaches you. Thereupon he said: By Him in Whose Hand is my life, I shall say to the people of Mecca this thing at the top of my voice. So he set forth until he came to the mosque and then spoke at the top of his voice (saying): I bear testimony to the fact that there is no god but Allah and that Muhammad is the Messenger of Allah. The people attacked him and made him fall down when al-`Abbas came and he leaned over him and said: Woe be upon you, don't you know that he is from amongst the tribe of Ghifar and your trading route to Syria passes through (the settlements of this tribe), and he rescued him. He (Abu Dharr) did the same on the next day and they (the Meccans) again attacked him and al-`Abbas leaned upon him and he rescued him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪৬/ সাহাবী (রাঃ) গণের ফযীলত (كتاب فضائل الصحابة رضى الله تعالى عنهم) 46/ The Book of the Merits of the Companions
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে