পরিচ্ছেদঃ ২৪. যে ব্যক্তি রমযানের সিয়াম পালন করেনি ওযরের কারণে যথাঃ রোগ, সফর ও মাসিক ঋতু ইত্যাদি, তবে তার জন্য রমযানের কাযা পরবর্তী রমযান না আসা পর্যন্ত বিলম্বে আদায় করা জায়েয
২৫৫৮। আহমদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু ইউনূস (রহঃ) ... আবূ সালামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আমার উপর রমযানের সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) কাযা থেকে যেত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে শা’বান মাস ব্যতীত আমি তা আদায় করতে পারতাম না।
باب جواز تأخير قضاء رمضان
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي، سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - تَقُولُ كَانَ يَكُونُ عَلَىَّ الصَّوْمُ مِنْ رَمَضَانَ فَمَا أَسْتَطِيعُ أَنْ أَقْضِيَهُ إِلاَّ فِي شَعْبَانَ الشُّغُلُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
Abu Salama reported:
I heard 'A'isha (Allah be pleased with her) as saying: I had to complete some of the fasts of Ramadan, but I could not do it but during the month of Sha'ban due to my duties to the Messenger of Allah (ﷺ) or with the Messenger of Allah (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ২৪. যে ব্যক্তি রমযানের সিয়াম পালন করেনি ওযরের কারণে যথাঃ রোগ, সফর ও মাসিক ঋতু ইত্যাদি, তবে তার জন্য রমযানের কাযা পরবর্তী রমযান না আসা পর্যন্ত বিলম্বে আদায় করা জায়েয
২৫৫৯। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) এর সুত্রে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ননা করেছেন। তবে এ হাদীসের মধ্যে রয়েছে যে, "এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপস্থিতির কারণে শাবানের পূর্বে আমার জন্য তা পালন সম্ভব হতো না।"
باب جواز تأخير قضاء رمضان
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ، بْنُ بِلاَلٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ وَذَلِكَ لِمَكَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
This hadith is narrated on the authority of Yahya b. Sa'id with the same chain of transmitters but with this variation that he said that ('A'isha did not observe fast but in Sha'ban) out of regard for the Messenger of Allah (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ২৪. যে ব্যক্তি রমযানের সিয়াম পালন করেনি ওযরের কারণে যথাঃ রোগ, সফর ও মাসিক ঋতু ইত্যাদি, তবে তার জন্য রমযানের কাযা পরবর্তী রমযান না আসা পর্যন্ত বিলম্বে আদায় করা জায়েয
২৫৬০। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ... ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এতে রয়েছে যে ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, আমার ধারণা, এ বিলম্ব করা মূলত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে থাকার কারণেই হয়েছিল।
باب جواز تأخير قضاء رمضان
وَحَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى، بْنُ سَعِيدٍ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فَظَنَنْتُ أَنَّ ذَلِكَ لِمَكَانِهَا مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . يَحْيَى يَقُولُهُ .
In another version of the previous hadith, the words are:
" Yahya said: I think it was due to the regard for the Messenger of Allah (ﷺ)."
পরিচ্ছেদঃ ২৪. যে ব্যক্তি রমযানের সিয়াম পালন করেনি ওযরের কারণে যথাঃ রোগ, সফর ও মাসিক ঋতু ইত্যাদি, তবে তার জন্য রমযানের কাযা পরবর্তী রমযান না আসা পর্যন্ত বিলম্বে আদায় করা জায়েয
২৫৬১। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না ও আমরুন-নাকিদ (রহঃ) ... ইয়াহইয়া (রহঃ) থেকে এ সনদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এ হাদীসের মধ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে লিপ্ত থাকার কথা উল্লেখ নেই।
باب جواز تأخير قضاء رمضان
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، ح وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرَا فِي الْحَدِيثِ الشُّغْلُ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
This hadith is reported on the authority of Yahya with the same chain of transmitters but no mention is made of the duty to the Messenger of Allah (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ২৪. যে ব্যক্তি রমযানের সিয়াম পালন করেনি ওযরের কারণে যথাঃ রোগ, সফর ও মাসিক ঋতু ইত্যাদি, তবে তার জন্য রমযানের কাযা পরবর্তী রমযান না আসা পর্যন্ত বিলম্বে আদায় করা জায়েয
২৫৬২। মুহাম্মাদ ইবনু আবূ উমর মক্কী (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমাদের মঝে এমন অনেকে আছেন যিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে রমযানের সিয়াম পালনে সক্ষম হতেন না। অতঃপর শা’বান না আসা পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে থাকার কারণে তার পক্ষে কাযা আদায় করাও সম্ভব হতো না।
باب جواز تأخير قضاء رمضان
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - أَنَّهَا قَالَتْ إِنْ كَانَتْ إِحْدَانَا لَتُفْطِرُ فِي زَمَانِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا تَقْدِرُ عَلَى أَنْ تَقْضِيَهُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى يَأْتِيَ شَعْبَانُ .
'A'isha reported:
If one amongst us had to break fasts (of Ramadan due to natural reasons, i. e. menses) during the life of the Messenger of Allah (ﷺ) she could not find it possible to complete them so long she had been in the presence of Allah's Messenger (ﷺ) till Sha'ban commenced.