পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৭৯৩। ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের পর সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন যাবৎ না সূর্য অস্ত যায় এবং ফজরের পর সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন যাবৎ না সূর্যোদয় হয়।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَعَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ .
Abu Huraira is reported to have said that the Messenger of Allah (ﷺ) prohibited to observe prayer after the 'Asr prayer till the sun is set, and after the dawn till the sun rises.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৭৯৪। দাঊদ ইবনু রুশায়দ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বহু সাহাবী হতে শুনেছি, তাঁদের মধ্যে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)ও রয়েছেন। আর তাঁদের মধ্যে তিনিই আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয় ব্যাক্তি ছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের পর সালাত আদায় করা হতে নিষেধ করেছেন, যে পর্যন্ত না সূর্য উদিত হয়। তিনি আসরের পরও (নিষেধ করেছেন) সূর্যাস্ত না হওযা পর্যন্ত।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، وَإِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، جَمِيعًا عَنْ هُشَيْمٍ، - قَالَ دَاوُدُ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، - أَخْبَرَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ قَتَادَةَ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو الْعَالِيَةِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ غَيْرَ، وَاحِدٍ، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُمْ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَكَانَ أَحَبَّهُمْ إِلَىَّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ .
Ibn 'Abbas reported:
I heard it from so many Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) and one among them is 'Umar b. Khattab, and he is most dear to me among them that the Messenger of Allah (ﷺ) prohibited observing of prayer after the dawn prayer till the sun rose and after the 'Asr till the sun set.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৭৯৫। যুহায়র ইবনু হারব, আবূ গাসসান মিসমায়ী, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) সবাই ... কাতাদা (রহঃ) হতে ঐ সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে সাঈদ ও হিশামের বর্ণনায় এ কথাটি অতিরিক্ত আছে "ফজরের পর সূর্য আলোকোজ্জল না হওয়া পর্যন্ত।"
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ، الْمِسْمَعِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، ح وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا مُعَاذُ، بْنُ هِشَامٍ حَدَّثَنِي أَبِي كُلُّهُمْ، عَنْ قَتَادَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ غَيْرَ أَنَّ فِي، حَدِيثِ سَعِيدٍ وَهِشَامٍ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَشْرُقَ الشَّمْسُ .
This hadith has been narrated by Qatada with the same chain of transmitters with a minor alteration of words.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৭৯৬। হারামালা ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) ... আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আসরের পর কোন সালাত নেই সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত এবং ফজরের পর কোন সালাত নেই সুর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءُ بْنُ يَزِيدَ اللَّيْثِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَةِ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ صَلاَةِ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ " .
Abu Sa'id al-Khudri reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
No prayer is valid after the 'Asr prayer till the sun sets and no prayer is valid after the dawn prayer till the sun rises.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৭৯৭। ইয়াইয়া ইবনু ইয়াইয়া (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যেন সূর্যোদয় বা সূর্যাস্ত যাওয়ার সময় সালাত আদায় করার ইচ্ছা না করে।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَتَحَرَّى أَحَدُكُمْ فَيُصَلِّي عِنْدَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَلاَ عِنْدَ غُرُوبِهَا " .
Ibn 'Umar reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Let not any one of you intend to observe prayer at the time of the rising of the sun or of the setting sun.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৭৯৮। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের সালাত সূর্যাদয় ও সূর্যাস্তের সময় আদায় করার ইচ্ছা করবে না। কেননা সূর্য শয়তানের দুটি শিং এর মাঝখানে উদিত হয়।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي وَمُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، قَالاَ جَمِيعًا حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَحَرَّوْا بِصَلاَتِكُمْ طُلُوعَ الشَّمْسِ وَلاَ غُرُوبَهَا فَإِنَّهَا تَطْلُعُ بِقَرْنَىْ شَيْطَانٍ " .
Ibn 'Umar reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Do not intend to observe prayer at the time of the rising of the sun nor at its setting, for it rises between the horns of Satan.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৭৯৯। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সূর্যের কিনারা যখন প্রকাশিত হয় তখন তোমরা সূর্য পূরাপূরি প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায়ে বিলম্ব কর এবং যখন কিনারা অদৃশ্য হয়ে যায় তখন পূরাপূরি অস্ত যাওয়া পর্যন্ত তোমরা সালাত আদায় বিলম্ব কর।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ، نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبِي وَابْنُ، بِشْرٍ قَالُوا جَمِيعًا حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا بَدَا حَاجِبُ الشَّمْسِ فَأَخِّرُوا الصَّلاَةَ حَتَّى تَبْرُزَ وَإِذَا غَابَ حَاجِبُ الشَّمْسِ فَأَخِّرُوا الصَّلاَةَ حَتَّى تَغِيبَ " .
Ibn 'Umar reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
When the rim of the sun starts appearing defer prayer till it completely appears, and when the rim of the sun disappears defer prayer till it completely disappears.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৮০০। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ বাসরা আল গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে মুখাম্মাস নামক স্থানে আসরের সালাত আদায় করলেন এবং বললেন, এ সালাত তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতদের কাছে পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এ সালাতকে বিনষ্ট করল। অতএব যে ব্যাক্তি এ সালাতের ব্যাপারে যত্নবান হবে তাকে দ্বিগুন সাওয়ার দেয়া হবে। এ সালাতের পর অন্য কোন সালাত নেই ’শাহিদ’ উদয় না হওয়া পর্যন্ত। (শাহিদ হল তারকা)
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنِ ابْنِ هُبَيْرَةَ، عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ بِالْمُخَمَّصِ فَقَالَ " إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ عُرِضَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَضَيَّعُوهَا فَمَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَ لَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَهَا حَتَّى يَطْلُعَ الشَّاهِدُ " . وَالشَّاهِدُ النَّجْمُ .
Abu Basra Ghifari reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) led us in the 'Asr prayer at (the place known as) Mukhammas, and then said: This prayer was presented to those gone before you, but they lost it, and he who guards it has two rewards in store for him. And no prayer is valid after till the onlooker appears (by onlooker is meant the evening star).
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৮০১। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ বাসরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত পড়লেন। তারপর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هُبَيْرَةَ السَّبَائِيِّ، - وَكَانَ ثِقَةً - عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ . بِمِثْلِهِ .
This hadith has been narrated by Abu Basra Ghifari through another chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৮০২। ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) ... উলাঈ (রহঃ) বলেন, আমি উকবা ইবনু আমির জুহানী (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি সময়ে সালাত আদায় এবং মৃত ব্যাক্তিকে কবরস্থ করা হতে আমাদেরকে নিষেধ করতেন, সূর্য যখন আলোকজ্জ্বল হয়ে উদয় হতে থাকে তখন থেকে পরিষ্কারভাবে উপরে না উঠা পর্যন্ত। যখন সূর্য ঠিক মধ্যাকাশে থাকে তখন থেকে ঢলে না পড়া পর্যন্ত এবং সূর্য অস্ত যাওয়া শুরু হলে, যাবৎ না সম্পূর্ণরূপে অস্তমিত হয়।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىٍّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ ثَلاَثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ .
Uqba b. 'Amir said:
There were three times at which Allah's Messenger (ﷺ) forbade us to pray, or bury our dead: When the sun begins to rise till it is fully up, when the sun is at its height at midday till it passes over the meridian, and when the sun draws near to setting till it sets.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৮০৩। আহমাদ ইবনু জাফর আল মা’কিরী (রহঃ) ... ইকরামা (রহঃ) বলেন, শাদ্দাদ, আবূ উমামা ও ওয়াসিলার সাথে তার সাক্ষাৎ হয়েছে এবং সিরিয়া ভ্রমণকালেও আনাস (রাঃ) এর সহচর ছিলেন। তিনি তার প্রশংসা করেছেন ও তার মহাত্ম্য বর্ণনা করেছেন। আবূ উমামা (রাঃ) বলেন, আমর ইবনু আবাসা সুলামী (রাঃ) বলেন, আমি প্রাক ইসলাম যুগে সকল মানুষকে পথভ্রষ্ট বলে ধারণা করতাম। তারা কোন ধর্মের উপর নেই। তারা সবাই মুর্তি পূঁজা, দেব-দেবীর পূঁজা করত। তিনি বলেন, তখন আমি মক্কায় এমন এক ব্যাক্তির কথা শুনলাম যিনি বিভিন্ন সংবাদ বর্ণনা করেন। তখন আমি সাওয়ারীর উপর আরোহণ করে তাঁর নিকট এলাম এবং আমি জানতে পারলাম যে তিনি জনসমাবেশ থেকে নিজকে দুরে রাখেন। তাঁর কাওম তাঁর উপর নির্যাতন করে। আমি কৌশলে মক্কায় তার নিকট পৌছিলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনার পরিচয় কি?
তিনি বললেন, আমি নবী। আমি বললাম, নবী কি? তিনি বললেন, আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম আল্লাহ আপনাকে কি দিয়ে পাঠিয়েছেন? তিনি বললেন, আমাকে আত্নীয়তার বন্ধন সুদূঢ় করা, দেব-দেবী ও মূর্তি ভেঙ্গে দেওয়া, আল্লাহকে এক বলে জানা এবং তাঁর সঙ্গে কোন কিছু শরীক না করা। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ ব্যাপারে আপনার সঙ্গে কারা আছে? তিনি বললেন, একজন স্বাধীন ব্যাক্তি ও একজন কৃতদাস। তিনি বলেন যে, তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিলেন তাদের মধ্যে আবূ বকর (রাঃ) ও বিলাল (রাঃ) ছিলেন। আমি বললাম, আমিও আপনার অনুসারী হাত চাই। তিনি বললেন, বর্তমান অবস্থায় তুমি তা পারবে না। তুমি আমার অবস্থা ও লোকজনের অবস্থা কি দেখছ না? তুমি বরং পরিজনদের কাছে ফিরে যাও। যখন আমি বিজয় লাভ করেছি বলে শুনতে পাবে তখন আমার কাছে এসো।
তিনি বললেন, আমি পরিজনদের কাছে চলে গেলাম। ইতিমধ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদিনায় গমন করলেন। তখন আমি পরিজনদের মাঝে অবস্থান করছিলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় গমন করার পর থেকে আমি সর্বদা এ বিষয়ে খোঁজ-খবর এবং মানুষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকলাম। মদিনাবাসীদের একদল লোক আমার কাছে এলেন। তাদেরকে আমি জিজ্ঞেস করলাম। যে ব্যাক্তি মদিনায় আগমন করেছেন তিনি কি করছেন, তাঁর অবস্থা কি? তারা বললেন, লোকজন অতি দ্রুত তাঁর সাহচর্যে যাচ্ছে তাঁর কাওম তাঁকে হত্যা করতে চাচ্ছিল। কিন্তু তারা সফলকাম হয়নি। আমি এ কথা শুলে মদিনায় গেলাম এবং তাঁর কাছে পৌছলাম। তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে চিনতে পেরেছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ, তুমি সে ব্যাক্তি যে আমার সাথে মক্কায় সাক্ষাৎ করেছিলে।
(বর্ণনাকারী) বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। আমি আবার বললাম, ইয়া-নবী আল্লাহ। আল্লাহ তা’আলা আপনাকে যা কিছু শিখিয়েছেন, অথচ আমি তা জানি না, তা আমাকে শিক্ষা দিন। আমাকে সালাত সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, ফজরের সালাত আদায় করবে। এরপর সূর্য উদিত হয়ে পরিষ্কারভাবে উপরে না উঠা পর্যন্ত তুমি সালাত থেকে বিরত থাক। কেননা সূর্য যখন উদিত হয় তখন সেটা উদিত হয় শয়তানের দু’ শিং-এর মাঝখান দিয়ে। সে সময়ে কাফির তাকে সিজদা করে। এরপর সালাত আদায় কর, তীরের ছায়া তার সমান না হওয়া পর্যন্ত। সালাতে ফিরিশতাগণের উপস্থিতি এবং সাক্ষ্যের ব্যাপার রয়েছে। এরপর সালাত থেকে বিরত থাকো কেননা এ সময়ে জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয়। এরপর যখন ছায়ায় পরিবর্তন শুরু হয় তখন সালাত পড়তে থাক। ফিরিশতাগণ সালাতে উপস্থিত থাকেন। অর্থাৎ আসরের সালাত আদায় করা পর্যন্ত, তারপর সালাত হতে বিরত থাক সূর্য অস্তমিত না যাওয়া পর্যন্ত। কেননা সূর্য শয়তানের দু’শিং-এর মধ্যে দিয়ে অস্ত যায়। ঐ সময় কাফিররা তাকে সিজদা করে।
রাবী বলেন,আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! উযূ (ওজু/অজু/অযু) সম্পর্কে আমাকে বলে দিন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কোন ব্যাক্তির কাছে যখন ওযুর পানি পেশ করা হয়, এরপর সে কুলি করে ও নাকে পানি দেয় ও তা পরিষ্কার করে। তখন তার মুখমণ্ডল ের মূখ গহব্বর ও নাকের সকল গুনাহ ঝরে যায়। তারপর যখন সে আল্লাহ পাকের নির্দেশ অনুসারে মুখমণ্ডল ধোয় তখন মুখমণ্ডল ের চারিদিক থেকে সকল গুনাহ পানির সাথে ঝরে যায়। এরপর যখন দু’ হাত ধোয় কুনূই পর্যন্ত, তখন তার উভয় হাতের গুনাহসমূহ আঙ্গুল দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। এরপর উভয় পা গোড়ালী পর্যন্ত ধৌত করলে উভয় পায়ের গুনাহগুলো আঙ্গুল দিয়ে পানির সাথে ঝরে পড়ে। এরপর যদি সে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করে, যথাযথভাবে ও তাঁর অন্তরকে আল্লাহর জন্য মুক্ত করে নেয়, তাহলে সে গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে সেদিনের মত যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করোছিল।
আমর ইবনু আবাসা (রাঃ)ও হাদীসটি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী আবূ উমামা (রাঃ) এর নিকট বর্ণনা করেন। তখন আবূ উমামা (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আমর ইবনু আবাসা! ভেবে দেখ, তুমি কি বলছ! একই স্থানে ঐ ব্যাক্তিকে এত মর্যাদা দেয়া হবে? তখন আমর (রাঃ) বললেন, হে আবূ উমামা (রাঃ)! আমি বয়োবৃদ্ধ হয়ে গিয়েছি। আমার হাড়গুলো নরম হয়ে গিয়েছে। আমার মৃত্যুকাল নিকটবর্তী হয়ে পড়েছে। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যা আরোপের কোন প্রয়োজন আমার নেই। আমি যদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে না শুনতাম একবার দু’বার, তিনবার এমনকি তিনি সাত বার পর্যন্ত গণনা করলেন। তবে আমি কখনো এ হাদীস বর্ণনা করতাম না। আমি হাদীসটি সাত বারের চেয়েও অনেক বেশীবার শুনেছি।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عِكْرِمَةُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا شَدَّادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ أَبُو عَمَّارٍ، وَيَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، - قَالَ عِكْرِمَةُ وَلَقِيَ شَدَّادٌ أَبَا أُمَامَةَ وَوَاثِلَةَ وَصَحِبَ أَنَسًا إِلَى الشَّامِ وَأَثْنَى عَلَيْهِ فَضْلاً وَخَيْرًا - عَنْ أَبِي أُمَامَةَ قَالَ قَالَ عَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ السُّلَمِيُّ كُنْتُ وَأَنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَظُنُّ أَنَّ النَّاسَ عَلَى ضَلاَلَةٍ وَأَنَّهُمْ لَيْسُوا عَلَى شَىْءٍ وَهُمْ يَعْبُدُونَ الأَوْثَانَ فَسَمِعْتُ بِرَجُلٍ بِمَكَّةَ يُخْبِرُ أَخْبَارًا فَقَعَدْتُ عَلَى رَاحِلَتِي فَقَدِمْتُ عَلَيْهِ فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسْتَخْفِيًا جُرَءَاءُ عَلَيْهِ قَوْمُهُ فَتَلَطَّفْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَيْهِ بِمَكَّةَ فَقُلْتُ لَهُ مَا أَنْتَ قَالَ " أَنَا نَبِيٌّ " . فَقُلْتُ وَمَا نَبِيٌّ قَالَ " أَرْسَلَنِي اللَّهُ " . فَقُلْتُ وَبِأَىِّ شَىْءٍ أَرْسَلَكَ قَالَ " أَرْسَلَنِي بِصِلَةِ الأَرْحَامِ وَكَسْرِ الأَوْثَانِ وَأَنْ يُوَحَّدَ اللَّهُ لاَ يُشْرَكُ بِهِ شَىْءٌ " . قُلْتُ لَهُ فَمَنْ مَعَكَ عَلَى هَذَا قَالَ " حُرٌّ وَعَبْدٌ " . قَالَ وَمَعَهُ يَوْمَئِذٍ أَبُو بَكْرٍ وَبِلاَلٌ مِمَّنْ آمَنَ بِهِ . فَقُلْتُ إِنِّي مُتَّبِعُكَ . قَالَ " إِنَّكَ لاَ تَسْتَطِيعُ ذَلِكَ يَوْمَكَ هَذَا أَلاَ تَرَى حَالِي وَحَالَ النَّاسِ وَلَكِنِ ارْجِعْ إِلَى أَهْلِكَ فَإِذَا سَمِعْتَ بِي قَدْ ظَهَرْتُ فَأْتِنِي " . قَالَ فَذَهَبْتُ إِلَى أَهْلِي وَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ وَكُنْتُ فِي أَهْلِي فَجَعَلْتُ أَتَخَبَّرُ الأَخْبَارَ وَأَسْأَلُ النَّاسَ حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ حَتَّى قَدِمَ عَلَىَّ نَفَرٌ مِنْ أَهْلِ يَثْرِبَ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَقُلْتُ مَا فَعَلَ هَذَا الرَّجُلُ الَّذِي قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَقَالُوا النَّاسُ إِلَيْهِ سِرَاعٌ وَقَدْ أَرَادَ قَوْمُهُ قَتْلَهُ فَلَمْ يَسْتَطِيعُوا ذَلِكَ . فَقَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَدَخَلْتُ عَلَيْهِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَعْرِفُنِي قَالَ " نَعَمْ أَنْتَ الَّذِي لَقِيتَنِي بِمَكَّةَ " . قَالَ فَقُلْتُ بَلَى . فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَمَّا عَلَّمَكَ اللَّهُ وَأَجْهَلُهُ . أَخْبِرْنِي عَنِ الصَّلاَةِ قَالَ " صَلِّ صَلاَةَ الصُّبْحِ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلاَةِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَتَّى تَرْتَفِعَ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ حِينَ تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ وَحِينَئِذٍ يَسْجُدُ لَهَا الْكُفَّارُ ثُمَّ صَلِّ فَإِنَّ الصَّلاَةَ مَشْهُودَةٌ مَحْضُورَةٌ حَتَّى يَسْتَقِلَّ الظِّلُّ بِالرُّمْحِ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلاَةِ فَإِنَّ حِينَئِذٍ تُسْجَرُ جَهَنَّمُ فَإِذَا أَقْبَلَ الْفَىْءُ فَصَلِّ فَإِنَّ الصَّلاَةَ مَشْهُودَةٌ مَحْضُورَةٌ حَتَّى تُصَلِّيَ الْعَصْرَ ثُمَّ أَقْصِرْ عَنِ الصَّلاَةِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ فَإِنَّهَا تَغْرُبُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ وَحِينَئِذٍ يَسْجُدُ لَهَا الْكُفَّارُ " . قَالَ فَقُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ فَالْوُضُوءُ حَدِّثْنِي عَنْهُ قَالَ " مَا مِنْكُمْ رَجُلٌ يُقَرِّبُ وَضُوءَهُ فَيَتَمَضْمَضُ وَيَسْتَنْشِقُ فَيَنْتَثِرُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ وَفِيهِ وَخَيَاشِيمِهِ ثُمَّ إِذَا غَسَلَ وَجْهَهُ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا وَجْهِهِ مِنْ أَطْرَافِ لِحْيَتِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ يَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا يَدَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَمْسَحُ رَأْسَهُ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رَأْسِهِ مِنْ أَطْرَافِ شَعْرِهِ مَعَ الْمَاءِ ثُمَّ يَغْسِلُ قَدَمَيْهِ إِلَى الْكَعْبَيْنِ إِلاَّ خَرَّتْ خَطَايَا رِجْلَيْهِ مِنْ أَنَامِلِهِ مَعَ الْمَاءِ فَإِنْ هُوَ قَامَ فَصَلَّى فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَمَجَّدَهُ بِالَّذِي هُوَ لَهُ أَهْلٌ وَفَرَّغَ قَلْبَهُ لِلَّهِ إِلاَّ انْصَرَفَ مِنْ خَطِيئَتِهِ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ وَلَدَتْهُ أُمُّهُ " . فَحَدَّثَ عَمْرُو بْنُ عَبَسَةَ بِهَذَا الْحَدِيثِ أَبَا أُمَامَةَ صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ أَبُو أُمَامَةَ يَا عَمْرَو بْنَ عَبَسَةَ انْظُرْ مَا تَقُولُ فِي مَقَامٍ وَاحِدٍ يُعْطَى هَذَا الرَّجُلُ فَقَالَ عَمْرٌو يَا أَبَا أُمَامَةَ لَقَدْ كَبِرَتْ سِنِّي وَرَقَّ عَظْمِي وَاقْتَرَبَ أَجَلِي وَمَا بِي حَاجَةٌ أَنْ أَكْذِبَ عَلَى اللَّهِ وَلاَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ لَوْ لَمْ أَسْمَعْهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا - حَتَّى عَدَّ سَبْعَ مَرَّاتٍ - مَا حَدَّثْتُ بِهِ أَبَدًا وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ .
'Amr b. 'Abasa Sulami reported:
In the state of the Ignorance (before embracing Islam), I used to think that the people were in error and they were not on anything (which may be called the right path) and worshipped the idols. Meanwhile, I heard of a man in Mecca who was giving news (on the basis of his prophetic knowledge) ; so I sat on my ride and went to him. The Messenger of Allah (ﷺ) was at that time hiding as his people had made life hard for him. I adopted a friendly attitude (towards the Meccans and thus managed) to enter Mecca and go to him (the Holy Prophet) and I said to him: Who are you? He said: I am a Prophet (of Allah). I again said: Who is a Prophet? He said: (I am a Prophet in the sense that) I have been sent by Allah. I said: What is that which you have been sent with? He said: I have been sent to join ties of relationship (with kindness and affection), to break the Idols, and to proclaim the oneness of Allah (in a manner that) nothing is to be associated with Him. I said: Who is with you in this (in these beliefs and practices)? He said: A free man and a slave. He (the narrator) said: Abu Bakr and Bilal were there with him among those who had embraced Islam by that time. I said: I intend to follow you. He said: During these days you would not be able to do so. Don't you see the (hard) condition under which I and (my) people are living? You better go back to your people and when you hear that I have been granted victory, you come to me. So I went to my family. I was in my home when the Messenger of Allah (ﷺ) came to Medina. I was among my people and used to seek news and ask people when he arrived in Medina. Then a group of people belonging to Yathrib (Medina) came. I said (to them): How is that person getting on who has come to Medina? They said: The people are hastening to him, while his people (the polytheists of Mecca) planned to kill him, but they could not do so. I (on hearing it) came to Medina and went to him and said: Messenger of Allah, do you recognise me? He said: Yes, you are the same man who met me at Mecca. I said: It is so. I again said: Prophet of Allah, tell me that which Allah has taught you and which I do not know, tell me about the prayer. He said: Observe the dawn prayer, then stop praying when the sun is rising till it is fully up, for when it rises it comes up between the horns of Satan, and the unbelievers prostrate themselves to it at that time. Then pray, for the prayer is witnessed and attended (by angels) till the shadow becomes about the length of a lance; then cease prayer, for at that time Hell is heated up. Then when the shadow moves forward, pray, for the prayer is witnessed and attended by angels, till you pray the afternoon prayer, then cease prayer till the sun sets, for it sets between the horns of devil, and at that time the unbelievers prostrate themselves before it. I said: Apostle of Allah, tell me about ablution also. He said: None of you who uses water for ablution and rinses his mouth, snuffs up water and blows it, but the sins of his face, and his mouth and his nostrils fall out. When he washes his face, as Allah has commanded him, the sins of his face fall out from the end of his beard with water. Then (when) he washes his forearms up to the elbows, the sins of his arms fall out along with water from his finger-tips. And when he wipes his head, the sins of his head fall out from the points of his hair along with water. And (when) he washes his feet up to the ankles, the sins of his feet fall out from his toes along with water. And if he stands to pray and praises Allah, lauds Him and glorifies Him with what becomes Him and shows wholehearted devotion to Allah, his sins would depart leaving him (as innocent) as he was on the day his mother bore him. 'Amr b. 'Abasa narrated this hadith to Abu Umama, a Companion of the Messenger of Allah (ﷺ), and Abu Umama said to him: 'Amr b. 'Abasa, think what you are saying that such (a great reward) is given to a man at one place (only in the act of ablution and prayer). Upon this 'Amr said: Abu Umama, I have grown old and my bones have become weak and I am at the door of death; what impetus is there for me to attribute a lie to Allah and the Messenger of Allah (ﷺ)? Had I heard it from the Messenger of Allah (ﷺ) once, twice, or three times (even seven times), I would have never narrated it, but I have heard it from him on occasions more than these.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৮০৪। মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর (রাঃ) এর ধারণা হয়েছিল যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যোদয় ও সূর্যস্তের সময়কালে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ وَهِمَ عُمَرُ إِنَّمَا نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُتَحَرَّى طُلُوعُ الشَّمْسِ وَغُرُوبُهَا .
'A'isha reported that 'Umar misconstrued the fact that the Messenger of Allah (ﷺ) had prohibited the observance of prayer at the time of the rising sun and at the time of its setting.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৮০৫। হাসান হুলওয়ানী (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের পর দু’ রাকআত সালাত ত্যাগ করেননি। রাবী বলেন, আয়িশা (রাঃ) আরো বলেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময়ের অপেক্ষায় থেকে না এবং সে সময় সালাত আদায় করো না।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا حَسَنٌ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ لَمْ يَدَعْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ . قَالَ فَقَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَتَحَرَّوْا طُلُوعَ الشَّمْسِ وَلاَ غُرُوبَهَا فَتُصَلُّوا عِنْدَ ذَلِكَ " .
'A'isha said that the Messenger of Allah (ﷺ) did not abandon observing two rak'ahs after 'Asr, but she reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Do not get used to observe prayer at the time of the rising sun and at the time of its setting and (exhorted the Muslims) to pray at their times.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৮০৬। হারামালা ইবনু ইয়াহয়া তুজীবী (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর আযাদকৃত গোলাম কুরায়ব (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস, আব্দুর রহমান ইবনু আযহার এবং মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) সবাই তাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ) এর নিকট প্রেরণ করলেন এবং বলে দিলেন, তাকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে সালাম জানাবে এবং তাঁকে আসরের পরের দু’রাকআত সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে এবং এ কথাও বলবে যে আমরা জানতে পেরেছি, আপনিও সে দু রাকআত সালাত আদায় করে থাকেন, অথচ আমাদের নিকট হাদীস পৌছেছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিষেধ করেছেন।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমিও উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর সঙ্গে এ সালাত হতে লোকদের ফিরিয়ে রাখতাম। কুরায়ব (রাঃ) বলেন, আমি তার নিকট গেলাম এবং তাঁরা যে সব কথা বলে দিয়ে আমাকে প্রেরণ করেছিলেন তা সব পৌছে দিলাম। আয়িশা (রাঃ) বললেন, উম্মে সালামাকে (রাঃ) জিজ্ঞাসা কর। আমি সেখান থেকে বেরিয়ে যারা আমাকে পাঠিয়েছেন, তাঁদের কাছে এলাম এবং তাঁদেরকে আয়িশা (রাঃ) যা বলেছিলেন তা অবহিত করলাম। তারা আমাকে পূনরায় উম্মে সালামা (রাঃ) এর নিকট প্রেরণ করলেন, যেভাবে আমাকে পাঠিয়েছিলেন আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে।
(আমার বক্তব্য শুনে) উম্মে সালামা (রাঃ) বললেন, আমিও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ সালাত নিষেধ করতে শুনেছি, পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ সালাত আদায় করতে দেখেছি। যে দু’ রাকআত সালাত আদায় করেছিলেন (তার ব্যাপার এই) তিনি আসরের সালাত আদায় করলেন। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হুজরায় প্রবেশ করলেন তখন আমার কাছে আনসারের বনী হারাম গোত্রের কতিপয় মহিলা বসাছিলেন। এরপর দু- রাকআত সালাত আদায় করলেন। আমি দাসীকে তাঁর নিকট পাঠালাম এবং বলে দিলাম, তুমি তার পার্শ্বে দাঁড়াবে এবং তাঁকে বলবে ইয়া রাসুলাল্লাহ! উম্মে সালামা (রাঃ) বলেছেন যে, আপনাকে এ দু- রাক’আত হতে নিষেধ করতে শুনেছেন। অথচ এখন দেখছি আপনি সে দু’ রাকআত আদায় করেছেন। তখন তিনি যদি হাত দ্বারা ইশারা করেন তাহলে পিছনে সরে দাঁড়াবে। উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন, দাসী তাই করল।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত দ্বারা ইশারা করলেন। দাসী পিছনে সরে দাঁড়াল। সালাত শেষ করে যখন বললেন, হে আবূ উমাইয়ার কন্যা! তুমি আমাকে আসরের পরের দু’ রাকআত সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছ? (ঘটনা হল) আমার নিকট আবদুল কায়স গোত্রের কতিপয় লোক ইসলাম গ্রহণ করতে এসেছিল। তাদের সাথে ব্যস্ততার কারণে যুহরের পরের দু’ রাক’আত আদায় করতে পারিনি। এ হল সেই দু’ রাকআত।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، - وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ - عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ، بْنَ أَزْهَرَ وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَرْسَلُوهُ إِلَى عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا اقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلاَمَ مِنَّا جَمِيعًا وَسَلْهَا عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَقُلْ إِنَّا أُخْبِرْنَا أَنَّكِ تُصَلِّينَهُمَا وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهُمَا . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَكُنْتُ أَصْرِفُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ النَّاسَ عَنْهَا . قَالَ كُرَيْبٌ فَدَخَلْتُ عَلَيْهَا وَبَلَّغْتُهَا مَا أَرْسَلُونِي بِهِ . فَقَالَتْ سَلْ أُمَّ سَلَمَةَ . فَخَرَجْتُ إِلَيْهِمْ فَأَخْبَرْتُهُمْ بِقَوْلِهَا فَرَدُّونِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِمِثْلِ مَا أَرْسَلُونِي بِهِ إِلَى عَائِشَةَ . فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْهُمَا ثُمَّ رَأَيْتُهُ يُصَلِّيهِمَا أَمَّا حِينَ صَلاَّهُمَا فَإِنَّهُ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَخَلَ وَعِنْدِي نِسْوَةٌ مِنْ بَنِي حَرَامٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَصَلاَّهُمَا فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ الْجَارِيَةَ فَقُلْتُ قُومِي بِجَنْبِهِ فَقُولِي لَهُ تَقُولُ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَسْمَعُكَ تَنْهَى عَنْ هَاتَيْنِ الرَّكْعَتَيْنِ وَأَرَاكَ تُصَلِّيهِمَا فَإِنْ أَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخِرِي عَنْهُ - قَالَ - فَفَعَلَتِ الْجَارِيَةُ فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخَرَتْ عَنْهُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ " يَا بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ سَأَلْتِ عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ إِنَّهُ أَتَانِي نَاسٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ بِالإِسْلاَمِ مِنْ قَوْمِهِمْ فَشَغَلُونِي عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ فَهُمَا هَاتَانِ " .
Kuraib, the freed slave of Ibn 'Abbas, reported that 'Abdullah b. 'Abbas, 'Abd al-Rahman b. Azhar, al-Miswar b. Makhrama sent him to 'A'isha, the wife of the Messenger of Allah (ﷺ), telling him to give her their greetings, and ask her about the two rak'ahs after the afternoon prayer, (for)" we have heard that you observe them whereas it has been conveyed to us that the Messenger of Allah (ﷺ) prohibited their observance." Ibn 'Abbas said:
I along with 'Umar b. al-Khattab dissuaded people to do so (to observe two rak'ahs of prayer). Kuraib said: I went to her ('A'isha) and conveyed to her the message with which I was sent. She said: (Better) ask Umm Salama. So I went to them (those who had sent him to Hadrat 'A'isha) and informed them about what she had said. They sent me back to Umm Salama with that with which I was sent to 'A'isha. Umm Salama said: I beard the Messenger of Allah (ﷺ) prohibiting them, and then afterwards I saw him observing them. And when he observed them (two rak'ahs) he had already observed the 'Asr prayer. Then he (the Holy Prophet) came, while there were with me ladies of Banu Haram, a tribe of the Ansar and he (the Holy Prophet) observed them (the two rak'ahs). I sent a slave-girl to him asking her to stand by his side and say to him that Umm Salama says: Messenger of Allah, I heard you prohibiting these two rak'ahs, whereas I saw you observing them; and if he (the Holy Prophet) points with his hand (to wait), then do wait. The slave-girl did like that. He (the Holy Prophet) pointed out with his hand and she got aside and waited, and when he had finished (the prayer) he said: Daughter of Abu Umayya. you have asked about the two rak'ahs after the 'Asr prayer. Some people of 'Abu al-Qais came to me for embracing Islam and hindered me from observing the two rak'ahs which come after the noon prayer. So those are the two I have been praying.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৮০৭। ইয়াহয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ও আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আয়িশা (রাঃ) কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের পর যে দু’ রাকআত সালাত আদায় করতেন সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু’ রাকআত আসরের পূর্বেই আদায় করতেন। অবশ্য অধিক ব্যস্ততা অথবা ভুলে যাওয়ার ক্যরণে ঐ দু’ রাকআত আদায় করতে না পারায় তা আসরের পর আদায় করলেন।
তারপর থেকে এ দু’ রাক’আত নিয়মিত আদায় করতে লাগলেন। তাঁর নিয়ম ছিল যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সালাত আদায় করলে তা নিয়মিত আদায় করতেন। ইয়াহয়া ইবনু আয়্যুব (রহঃ) বলেন, ইসমাঈল বলেছেন যে, তিনি তা সর্বদা আদায় করতেন।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - أَخْبَرَنِي مُحَمَّدٌ، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ - قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنِ السَّجْدَتَيْنِ اللَّتَيْنِ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّيهِمَا بَعْدَ الْعَصْرِ فَقَالَتْ كَانَ يُصَلِّيهِمَا قَبْلَ الْعَصْرِ ثُمَّ إِنَّهُ شُغِلَ عَنْهُمَا أَوْ نَسِيَهُمَا فَصَلاَّهُمَا بَعْدَ الْعَصْرِ ثُمَّ أَثْبَتَهُمَا وَكَانَ إِذَا صَلَّى صَلاَةً أَثْبَتَهَا . قَالَ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ قَالَ إِسْمَاعِيلُ تَعْنِي دَاوَمَ عَلَيْهَا .
Abu Salama asked 'A'isha about the two prostrations (i. e. rak'ahs) which the Messenger of Allah (ﷺ) made after the 'Asr. She said:
He (the Holy Prophet) observed them before the 'Asr prayer, but then he was hindered to do so, or he forgot them and then he observed them after the 'Asr, and then he continued observing them. (It was his habit) that when he (the Holy Prophet) observed prayer, he then continued observing it. Isma'il said: It implies that he always did that.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৮০৮। যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকটে (অবস্থানকালে) আসরের পরের দু’ রাকআত কখনো ত্যাগ করেন নি।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي جَمِيعًا، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ عِنْدِي قَطُّ .
'A'isha reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) did not abandon at all observing two rak'ahs after the 'Asr in my house.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৮০৯। আবূ বকর ইবনু শায়বা (রহঃ), আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, দুটি সালাত আমার গৃহে অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ত্যাগ করেননি গোপনেও নয় প্রকাশ্যে নয়; ফজরের (ফরযের) পুর্বে দু- রাক’আত ও আসরের (ফরযের) পর দু’রাক’আত।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، ح وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ الأَسْوَدِ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ صَلاَتَانِ مَا تَرَكَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِي قَطُّ سِرًّا وَلاَ عَلاَنِيَةً رَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ وَرَكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ .
'A'isha reported:
Two are the prayers which the Messenger of Allah (ﷺ) always observed in my house-openly or secretly-two rak'ahs before the dawn and two rak'ahs after the 'Asr.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ
১৮১০। ইবনুল মূসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আসওয়াদ ও মাসরুক (রহঃ) বলেন, আমরা আয়িশা (রাঃ) এর সম্পর্কে সাক্ষ্য প্রদান করছি যে, তিনি বলেন, আমার নিকট পালাক্রমে অবস্থানের দিনটিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার গৃহে ঐ দু’ রাক’আত অবশ্যই আদায় করতেন। অর্থাৎ আসরের পরের দু’ রাকআত।
باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا .
وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، وَمَسْرُوقٍ، قَالاَ نَشْهَدُ عَلَى عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ مَا كَانَ يَوْمُهُ الَّذِي كَانَ يَكُونُ عِنْدِي إِلاَّ صَلاَّهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِي . تَعْنِي الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ .
Aswad and Masruq reported:
We bear testimony to the fact that 'A'isha said: Never was there a day that he (the Holy Prophet) was with me and he did not observe two rak'ahs of prayer in my house, i. e. two rak'ahs after the Asr.