পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৬০। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খূদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ নিম্নতম জান্নাতী ঐ ব্যাক্তি, যার মুখমণ্ডল টি আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামের দিক থেকে সরিয়ে জান্নাতের দিকে করে দিবেন। তার সামনে একটি ছায়াযুক্ত বৃক্ষ উদ্ভাসিত করা হবে। সে ব্যাক্তি প্রার্থনা জানাবে, হে প্রতিপালক। আমাকে এ বৃক্ষ পর্যন্ত এগিয়ে দিন। আমি এ ছায়ায় অবস্থান করতে চাই... এভাবে তিনি ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর হাদীসের অনুরুপ বর্ননা করেন।

তবে এ হাদীসে يَا ابْنَ آدَمَ مَا يَصْرِينِي مِنْكَ এর উল্লেখ নেই। অবশ্য এতটুকু বলেছেন যে, আল্লাহ তাঁকে বিভিন্ন নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলবেনঃ এটা চাও। এভাবে যখন তার সকল আকাঙ্ক্ষা সমাপ্ত হয়ে যাবে, তখন আল্লাহ বলবেনঃ যাও, তোমাকে এসব সস্পদ প্রদান করলাম সে সাথে আরও দশগুন দান করলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তখন লোকটি জান্নাতে তার গৃহে প্রবেশ করবে। তার সাথে ডাগর চোখ বিশিষ্ট দু-জন হুর তার পত্নী হিসাবে প্রবেশ করবে। আর তারা বলবে, সকল প্রশংসা সে আল্লাহর জন্য, যিনি আপনাকে আমাদের জন্য জীবন দান করেছেন এবং আমাদেরকে আপনার জন্য জীবন দান করেছেন। লোকটি বলবে, আমাকে যা দেয়া হয়েছে, এমন আর কাউকে দেওয়া হয়নি।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِنَّ أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً رَجُلٌ صَرَفَ اللَّهُ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ قِبَلَ الْجَنَّةِ وَمَثَّلَ لَهُ شَجَرَةً ذَاتَ ظِلٍّ فَقَالَ أَىْ رَبِّ قَدِّمْنِي إِلَى هَذِهِ الشَّجَرَةِ أَكُونُ فِي ظِلِّهَا ‏"‏ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَلَمْ يُذْكُرْ ‏"‏ فَيَقُولُ يَا ابْنَ آدَمَ مَا يَصْرِينِي مِنْكَ ‏"‏ ‏.‏ إِلَى آخِرِ الْحَدِيثِ وَزَادَ فِيهِ ‏"‏ وَيُذَكِّرُهُ اللَّهُ سَلْ كَذَا وَكَذَا فَإِذَا انْقَطَعَتْ بِهِ الأَمَانِيُّ قَالَ اللَّهُ هُوَ لَكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ - قَالَ - ثُمَّ يَدْخُلُ بَيْتَهُ فَتَدْخُلُ عَلَيْهِ زَوْجَتَاهُ مِنَ الْحُورِ الْعِينِ فَتَقُولاَنِ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَاكَ لَنَا وَأَحْيَانَا لَكَ - قَالَ - فَيَقُولُ مَا أُعْطِيَ أَحَدٌ مِثْلَ مَا أُعْطِيتُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا يحيى بن ابي بكير، حدثنا زهير بن محمد، عن سهيل بن ابي صالح، عن النعمان بن ابي عياش، عن ابي سعيد الخدري، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ ان ادنى اهل الجنة منزلة رجل صرف الله وجهه عن النار قبل الجنة ومثل له شجرة ذات ظل فقال اى رب قدمني الى هذه الشجرة اكون في ظلها ‏"‏ ‏.‏ وساق الحديث بنحو حديث ابن مسعود ولم يذكر ‏"‏ فيقول يا ابن ادم ما يصريني منك ‏"‏ ‏.‏ الى اخر الحديث وزاد فيه ‏"‏ ويذكره الله سل كذا وكذا فاذا انقطعت به الاماني قال الله هو لك وعشرة امثاله - قال - ثم يدخل بيته فتدخل عليه زوجتاه من الحور العين فتقولان الحمد لله الذي احياك لنا واحيانا لك - قال - فيقول ما اعطي احد مثل ما اعطيت ‏"‏ ‏.‏


It is transmitted from Abu Sa'id al-Khudri that, verily, the Messenger of Allah (ﷺ) said:
Amongst the inhabitants of Paradise the lowest in rank will be the person whose face Allah would turn away from the Fire towards the Paradise, and make a shady tree appear before him. He would say: O my Lord! direct my steps to this tree so that I (should enjoy) its shade; and the rest of the hadith is like that narrated by Ibn Mas'ud, but he did not mention:" He (Allah) would say: O son of Adam! what will bring an end to your making requests to Me" to the end of the tradition. In it, he added: Allah will remind him: Ask such and such, and when his expectations would be realised, Allah would say: That is for you, and ten times as much. He said that he would then enter his house and his two wives with large and dark eyes would enter after him. They will say: Praise be to Allah, Who has created you for us and us for you. He will say: No one has been given the like of what I have been given.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৬১। সাঈদ ইবনু আমর আল আশআসী, ইবনু আবূ উমর এবং বিশর ইবনু হাকাম (রহঃ) ... মুগীরা ইবনু শু’বা (রাঃ) এর সুত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, একবার মূসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর প্রতিপালককে জিজ্ঞেস করেছিলেন, জান্নাতে সবচেয়ে নিম্নস্তরের লোকটি কে হবে? আল্লাহ বললেনঃ সে হল এমন এক ব্যাক্তি, যে জান্নাতীদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করানোর পর আসবে। তাকে বলা হবে, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলবে, হে প্রতিপালক! তা কিরুপে হবে? জান্নাতীগণ তো নিজ নিজ আবাসের অধিকারী হয়ে গেছেন। তারা তাদের প্রাপ্য নিয়েছেন। তাকে বলা হবে, পৃথিবীর কোন সম্রাটের সামরাজ্যের সমপরিমাণ সম্পদ নিয়ে কি তুমি সন্তুষ্ট হবে? সে বলবে, হে প্রভু! আমি এতে খুশি।

আল্লাহ বলবেনঃ তোমাকে উক্ত পরিমাণ সস্পদ দেওয়া হলো। সাথে দেওয়া হল আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ, আরো সমপরিমাণ। পঞ্চমবারে সে বলে উঠবে, আমি পরিতৃপ্ত, হে আমার রব! আল্লাহ বলবেন, আরো দশগুন দেওয়া হল। এ সবই তোমার জন্য। তাছাড়া তোমার জন্য রয়েছে এমন জিনিস, যদ্বারা মন তৃপ্ত হয়, চোখ জুড়ায়। লোকটি বলবে, হে আমার প্রভু! আমি পরিতৃপ্ত। মূসা (আলাইহিস সালাম) বললেনঃ তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ কে? আল্লাহ তা’আলা বলবেনঃ এরা তারাই যাদের মর্যাদা আমি চুড়ান্তভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছি। এমন জিনিস তাদের জন্য রেখেছি, যা কোন চক্ষু কখনো দেখেনি, কোন কান কখনও শুনেনি, কারো অন্তরে কখনও কল্পনায়ও উদয় হয়নি। বর্ণনাকারী বলেন, কুরআনের এ আয়াতটি এর প্রমাণ বহন করেঃ (অর্থ) “কেউ জাননা, তাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর কি লুকায়িত রাখা হয়েছে, তাদের কৃতকর্মের পূরস্কারস্বরুপ। ” (সাজদাঃ ১৭)

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، وَابْنِ، أَبْجَرَ عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، رِوَايَةً إِنْ شَاءَ اللَّهُ ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا مُطَرِّفُ بْنُ طَرِيفٍ، وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ سَعِيدٍ، سَمِعَا الشَّعْبِيَّ، يُخْبِرُ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ سَمِعْتُهُ عَلَى الْمِنْبَرِ، يَرْفَعُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏
قَالَ وَحَدَّثَنِي بِشْرُ بْنُ الْحَكَمِ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا مُطَرِّفٌ، وَابْنُ، أَبْجَرَ سَمِعَا الشَّعْبِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، يُخْبِرُ بِهِ النَّاسَ عَلَى الْمِنْبَرِ قَالَ سُفْيَانُ رَفَعَهُ أَحَدُهُمَا - أُرَاهُ ابْنَ أَبْجَرَ - قَالَ ‏"‏ سَأَلَ مُوسَى رَبَّهُ مَا أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً قَالَ هُوَ رَجُلٌ يَجِيءُ بَعْدَ مَا أُدْخِلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ فَيُقَالُ لَهُ ادْخُلِ الْجَنَّةَ ‏.‏ فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ كَيْفَ وَقَدْ نَزَلَ النَّاسُ مَنَازِلَهُمْ وَأَخَذُوا أَخَذَاتِهِمْ فَيُقَالُ لَهُ أَتَرْضَى أَنْ يَكُونَ لَكَ مِثْلُ مُلْكِ مَلِكٍ مِنْ مُلُوكِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ رَضِيتُ رَبِّ ‏.‏ فَيَقُولُ لَكَ ذَلِكَ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ ‏.‏ فَقَالَ فِي الْخَامِسَةِ رَضِيتُ رَبِّ ‏.‏ فَيَقُولُ هَذَا لَكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ وَلَكَ مَا اشْتَهَتْ نَفْسُكَ وَلَذَّتْ عَيْنُكَ ‏.‏ فَيَقُولُ رَضِيتُ رَبِّ ‏.‏ قَالَ رَبِّ فَأَعْلاَهُمْ مَنْزِلَةً قَالَ أُولَئِكَ الَّذِينَ أَرَدْتُ غَرَسْتُ كَرَامَتَهُمْ بِيَدِي وَخَتَمْتُ عَلَيْهَا فَلَمْ تَرَ عَيْنٌ وَلَمْ تَسْمَعْ أُذُنٌ وَلَمْ يَخْطُرْ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَمِصْدَاقُهُ فِي كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏ فَلاَ تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ‏)‏ الآيَةَ ‏.‏

حدثنا سعيد بن عمرو الاشعثي، حدثنا سفيان بن عيينة، عن مطرف، وابن، ابجر عن الشعبي، قال سمعت المغيرة بن شعبة، رواية ان شاء الله ح وحدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، حدثنا مطرف بن طريف، وعبد الملك بن سعيد، سمعا الشعبي، يخبر عن المغيرة بن شعبة، قال سمعته على المنبر، يرفعه الى رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال وحدثني بشر بن الحكم، - واللفظ له - حدثنا سفيان بن عيينة، حدثنا مطرف، وابن، ابجر سمعا الشعبي، يقول سمعت المغيرة بن شعبة، يخبر به الناس على المنبر قال سفيان رفعه احدهما - اراه ابن ابجر - قال ‏"‏ سال موسى ربه ما ادنى اهل الجنة منزلة قال هو رجل يجيء بعد ما ادخل اهل الجنة الجنة فيقال له ادخل الجنة ‏.‏ فيقول اى رب كيف وقد نزل الناس منازلهم واخذوا اخذاتهم فيقال له اترضى ان يكون لك مثل ملك ملك من ملوك الدنيا فيقول رضيت رب ‏.‏ فيقول لك ذلك ومثله ومثله ومثله ومثله ‏.‏ فقال في الخامسة رضيت رب ‏.‏ فيقول هذا لك وعشرة امثاله ولك ما اشتهت نفسك ولذت عينك ‏.‏ فيقول رضيت رب ‏.‏ قال رب فاعلاهم منزلة قال اولىك الذين اردت غرست كرامتهم بيدي وختمت عليها فلم تر عين ولم تسمع اذن ولم يخطر على قلب بشر ‏"‏ ‏.‏ قال ومصداقه في كتاب الله عز وجل ‏(‏ فلا تعلم نفس ما اخفي لهم من قرة اعين‏)‏ الاية ‏.‏


The same hadith has been by AlMughirah bin Shu’bah attributing it to the Messenger of Allah (ﷺ).

It is reported on the authority of al-Mughira b. Shu'ba that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
Moses asked his Lord: Who amongst the inhabitants of Paradise is the lowest to rank? He (Allah) said: The person who would be admitted into Paradise last of all among those deserving of Paradise who are admitted to it. I would be said to him: Enter Paradise. He would say: O my Lord! how (should I enter) while the people have settled in their apartments and taken the shares (portions)? It would be said to him: Would you be pleased if there be for you like the kingdom of a king amongst the kings of the world? He would say: I am pleased my Lord. He (Allah) would say: For you is that, and like that, and like that, and like that, and that. He would say at the fifth (point): I am well pleased. My Lord. He (Allah) would say: It is for you and, ten times like it, and for you is what your self desires and your eye enjoys. He would say: I am well pleased, my Lord. He (Moses) said: (Which is) the highest of their (inhabitants of Paradise) ranks? He (Allah) said: They are those whom I choose. I establish their honour with My own hand and then set a seal over it (and they would be blessed with Bounties) which no eye has seen, no ear has heard and no human mind has perceived: and this is sub- stantiated by the Book of Allah, Exalted and Great:" So no soul knows what delight of the eye is hidden for them; a reward for what they did" (xxxii. 17).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৬২। আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... মুগীরা ইবনু শু’বা (রাঃ) থেঁকে বর্ননা করেন। তিনি বলেন, মূসা (আলাইহিস সালাম) আল্লাহ তা’আলাকে জান্নাতের সর্বনিম্ন ব্যাক্তিটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন... এরপর বর্ণনাকারী পূর্ববর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبْجَرَ، قَالَ سَمِعْتُ الشَّعْبِيَّ، يَقُولُ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ إِنَّ مُوسَى - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - سَأَلَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ عَنْ أَخَسِّ أَهْلِ الْجَنَّةِ مِنْهَا حَظًّا ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِهِ ‏.‏

حدثنا ابو كريب، حدثنا عبيد الله الاشجعي، عن عبد الملك بن ابجر، قال سمعت الشعبي، يقول سمعت المغيرة بن شعبة، يقول على المنبر ان موسى - عليه السلام - سال الله عز وجل عن اخس اهل الجنة منها حظا ‏.‏ وساق الحديث بنحوه ‏.‏


Sha'bi reported he had heard al-Mughira b. Shu'ba say on the pulpit that Moses (peace be upon him) had asked Allah, Exalted and Great, about the reward of the lowest of the inhabitants of Paradise, and the remaining part of hadith is the same (as narrated) above.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৬৩। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ জাহান্নাম হতে সবার শেষে উদ্ধারপ্রাপ্ত ও জান্নাতে সবার শেষে প্রবেশকারী লোকটিকে আমি অবশ্যই জানি। কিয়ামতের দিন তাকে উপস্থিত করে ফেরেশতাদেরকে নির্দেশ দেয়া হবে যে, এ ব্যাক্তির সগীরা গুনাহগুলো তার সামনে পেশ কর, আর কবীরা শোনাহগুলো আলাদা তুলে রাখ। ফেরেশতাগণ তার সম্মুখে সগীরা গুনাহগুলো উপস্থিত করবেন। ঐ ব্যাক্তিকে বলা হবে, তুমি অমুক দিন এ পাপ কাজ করেছিলে? অমুক দিন এ কাজ করেছিলে? সে বলবে, হ্যাঁ। সে কোনটার অস্বীকার করতে পারবে না। আর কবীরা গুনাহগুলো পেশ করা হলে সে ভয় করতে থাকবে। অতঃপর তাকে বলা হবে, তোমার এক একটি গুনাহর স্থলে একটি নেকী দেওয়া হল। লোকটি বলবে, হে প্রতিপালক! আমি আরও অনেক অন্যায় কাজ করেছি, যেগুলো এখানে দেখছি না। এখানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এমনভাবে হাসতে দেখেছি যে, তাঁর মাড়ির দাঁতগুলো পর্যন্ত ভেসে উঠল।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنِّي لأَعْلَمُ آخِرَ أَهْلِ الْجَنَّةِ دُخُولاً الْجَنَّةَ وَآخِرَ أَهْلِ النَّارِ خُرُوجًا مِنْهَا رَجُلٌ يُؤْتَى بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُقَالُ اعْرِضُوا عَلَيْهِ صِغَارَ ذُنُوبِهِ وَارْفَعُوا عَنْهُ كِبَارَهَا ‏.‏ فَتُعْرَضُ عَلَيْهِ صِغَارُ ذُنُوبِهِ فَيُقَالُ عَمِلْتَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا كَذَا وَكَذَا وَعَمِلْتَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا كَذَا وَكَذَا ‏.‏ فَيَقُولُ نَعَمْ ‏.‏ لاَ يَسْتَطِيعُ أَنْ يُنْكِرَ وَهُوَ مُشْفِقٌ مِنْ كِبَارِ ذُنُوبِهِ أَنْ تُعْرَضَ عَلَيْهِ ‏.‏ فَيُقَالُ لَهُ فَإِنَّ لَكَ مَكَانَ كُلِّ سَيِّئَةٍ حَسَنَةً ‏.‏ فَيَقُولُ رَبِّ قَدْ عَمِلْتُ أَشْيَاءَ لاَ أَرَاهَا هَا هُنَا ‏"‏ ‏.‏ فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ ‏.‏

حدثنا محمد بن عبد الله بن نمير، حدثنا ابي، حدثنا الاعمش، عن المعرور بن سويد، عن ابي ذر، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اني لاعلم اخر اهل الجنة دخولا الجنة واخر اهل النار خروجا منها رجل يوتى به يوم القيامة فيقال اعرضوا عليه صغار ذنوبه وارفعوا عنه كبارها ‏.‏ فتعرض عليه صغار ذنوبه فيقال عملت يوم كذا وكذا كذا وكذا وعملت يوم كذا وكذا كذا وكذا ‏.‏ فيقول نعم ‏.‏ لا يستطيع ان ينكر وهو مشفق من كبار ذنوبه ان تعرض عليه ‏.‏ فيقال له فان لك مكان كل سيىة حسنة ‏.‏ فيقول رب قد عملت اشياء لا اراها ها هنا ‏"‏ ‏.‏ فلقد رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم ضحك حتى بدت نواجذه ‏.‏


Abu Dharr reported that Allah's Messenger (ﷺ) said:
I know the last of the inhabitants of Paradise to enter it and the last of the inhabitants of Hell to come out of it. He is a man who would be brought on the Day of Resurrection and it will be said: Present his minor sins to him, and withhold from him his serious sins. Then the minor sins would be placed before him, and it would be said: On such and such a day you did so and so and on such and such a day you did so and so. He would say: Yes. It will not be possible for him to deny, while he would be afraid lest serious sins should be presented before him. It would be said to him: In place of every evil deed you will have a good deed. He will say: My Lord! I have done things I do not see here. I indeed saw the Messenger of Allah laugh till his front teeth were exposed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৬৪। ইবনু নুমায়র, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব ... আ’মাশ (রহঃ) সুত্রে এ সনদে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَعْمَشِ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏

وحدثنا ابن نمير، حدثنا ابو معاوية، ووكيع، ح وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا وكيع، ح وحدثنا ابو كريب، حدثنا ابو معاوية، كلاهما عن الاعمش، بهذا الاسناد ‏.‏


This hadith is also narrated by another chain of narrators, i. e. Ibn Numair, Abu Mu'awiya, Waki', Abu Bakr b. Abi Shaiba, Abu Kuraib, A'mash.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৬৫। উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ ও ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) ... আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) কে الْوُرُودِ অর্থাৎ “অতিক্রম করতে হবে” সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তরে বলেছিলেন, কিয়ামতের দিন সকল মানুষ একত্রিত হবে। আমি মানুষের উপর থেকে-তা দেখব। (এ উম্মাতকে একত্র করা হবে একটি টিলায়) এরপর একে একে প্রতিটি জাতিকে তাদের নিজ নিজ দেব-দেবী ও উপাস্যের নামসহ ডাকা হবে। তারপর আল্লাহ আমাদের (মুমিনদের) কাছে এসে জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা কার অপেক্ষায় রয়েছ? মুমিনগন বলবে, আমাদের প্রতিপালকের অপেক্ষায় আছি। তিনি বলবেন, আমিই তো তোমাদের প্রতিপালক। তারা বলবে, যতক্ষন পর্যন্ত আপনাকে না দেখব (আমরা তা মানছি না)। এরপর আল্লাহ তখন সহাস্যে স্বীয় তাজাল্লীতে উদ্ভাসিত হবেন। অনন্তর তিনি তাদের নিয়ে চলবেন এবং মুমিনগণ তাঁর অনুসরণ করবে। মুনাফিক কি মুমিন, প্রতিটি মানুষ কেই নূর প্রদান করা হবে। তারপর তারা এর অনুসরণ করবে। জাহান্নামের পূলের উপর থাকবে কাটাযুক্ত লৌহ শলাকা। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন তাকে সেগুলো পাকড়াও করবে।

মুনাফিকদের নূর নিভে যাবে। আর মুমিনগণ নাজাত পাবেন। প্রথম দল হবে সত্তর হাজার লোকের, তাদের কোন হিসাবই নেয়া হবে না। তাঁদের চেহারা হবে পূর্নিমা রাতের চাঁদের মত উজ্জ্বল। তারপর আরেক দল আসবে, তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত দীপ্ত। এভাবে পর্বায়ক্রমে সকলে পার হয়ে যাবে। তারপর শাফাআতের অনুমতি প্রদান করা হবে। ফলে সকলেই শাফাআত লাভ করবে। এমন কি যে ব্যাক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ স্বীকার করেছে, এবং যার অন্তরে সামান্য যব পরিমাণ ঈমান অবশিষ্ট আছে তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে। পরে এদেরকে জান্নাতের আঙ্গিনায় জমায়েত করা হবে, আর জান্নাতিগণ তাদের গায়ে পানি সিঞ্চন করবেন, ফলে তারা এমন সতেজ হয়ে উঠবেন, যেমন কোন উদ্ভিদ স্রোতবাহিত পানিতে সতেজ হয়ে ওঠে। আগুনে পোড়া দাগসমূহ মুছে যাবে। এরপর তারা আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা জানাবে। আল্লাহ তাদের প্রার্থনা কবুল করবেন। তাদের প্রত্যেককে পৃথিবীর মত এবং তৎসহ আরো পৃথিবীর দশগুন প্রতিদান দেওয়া হবে।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، كِلاَهُمَا عَنْ رَوْحٍ، قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ الْقَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يُسْأَلُ عَنِ الْوُرُودِ، فَقَالَ نَجِيءُ نَحْنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَنْ كَذَا، وَكَذَا، انْظُرْ أَىْ ذَلِكَ فَوْقَ النَّاسِ - قَالَ - فَتُدْعَى الأُمَمُ بِأَوْثَانِهَا وَمَا كَانَتْ تَعْبُدُ الأَوَّلُ فَالأَوَّلُ ثُمَّ يَأْتِينَا رَبُّنَا بَعْدَ ذَلِكَ فَيَقُولُ مَنْ تَنْظُرُونَ فَيَقُولُونَ نَنْظُرُ رَبَّنَا ‏.‏ فَيَقُولُ أَنَا رَبُّكُمْ ‏.‏ فَيَقُولُونَ حَتَّى نَنْظُرَ إِلَيْكَ ‏.‏ فَيَتَجَلَّى لَهُمْ يَضْحَكُ - قَالَ - فَيَنْطَلِقُ بِهِمْ وَيَتَّبِعُونَهُ وَيُعْطَى كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ - مُنَافِقٍ أَوْ مُؤْمِنٍ - نُورًا ثُمَّ يَتَّبِعُونَهُ وَعَلَى جِسْرِ جَهَنَّمَ كَلاَلِيبُ وَحَسَكٌ تَأْخُذُ مَنْ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ يَطْفَأُ نُورُ الْمُنَافِقِينَ ثُمَّ يَنْجُو الْمُؤْمِنُونَ فَتَنْجُو أَوَّلُ زُمْرَةٍ وُجُوهُهُمْ كَالْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ سَبْعُونَ أَلْفًا لاَ يُحَاسَبُونَ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ كَأَضْوَإِ نَجْمٍ فِي السَّمَاءِ ثُمَّ كَذَلِكَ ثُمَّ تَحِلُّ الشَّفَاعَةُ وَيَشْفَعُونَ حَتَّى يَخْرُجَ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ شَعِيرَةً فَيُجْعَلُونَ بِفِنَاءِ الْجَنَّةِ وَيَجْعَلُ أَهْلُ الْجَنَّةِ يَرُشُّونَ عَلَيْهِمُ الْمَاءَ حَتَّى يَنْبُتُوا نَبَاتَ الشَّىْءِ فِي السَّيْلِ وَيَذْهَبُ حُرَاقُهُ ثُمَّ يَسْأَلُ حَتَّى تُجْعَلَ لَهُ الدُّنْيَا وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهَا مَعَهَا ‏.‏

حدثني عبيد الله بن سعيد، واسحاق بن منصور، كلاهما عن روح، قال عبيد الله حدثنا روح بن عبادة القيسي، حدثنا ابن جريج، قال اخبرني ابو الزبير، انه سمع جابر بن عبد الله، يسال عن الورود، فقال نجيء نحن يوم القيامة عن كذا، وكذا، انظر اى ذلك فوق الناس - قال - فتدعى الامم باوثانها وما كانت تعبد الاول فالاول ثم ياتينا ربنا بعد ذلك فيقول من تنظرون فيقولون ننظر ربنا ‏.‏ فيقول انا ربكم ‏.‏ فيقولون حتى ننظر اليك ‏.‏ فيتجلى لهم يضحك - قال - فينطلق بهم ويتبعونه ويعطى كل انسان منهم - منافق او مومن - نورا ثم يتبعونه وعلى جسر جهنم كلاليب وحسك تاخذ من شاء الله ثم يطفا نور المنافقين ثم ينجو المومنون فتنجو اول زمرة وجوههم كالقمر ليلة البدر سبعون الفا لا يحاسبون ثم الذين يلونهم كاضوا نجم في السماء ثم كذلك ثم تحل الشفاعة ويشفعون حتى يخرج من النار من قال لا اله الا الله وكان في قلبه من الخير ما يزن شعيرة فيجعلون بفناء الجنة ويجعل اهل الجنة يرشون عليهم الماء حتى ينبتوا نبات الشىء في السيل ويذهب حراقه ثم يسال حتى تجعل له الدنيا وعشرة امثالها معها ‏.‏


It is reported on the authority of Abu Zubair that he heard from Jabir b 'Abdullah, who was asked about the arrival (of people on the Day of Resurrection). He said. We would come on the Day of Resurrection like this, like this, and see. carefully. that which concerns" elevated people". He (the narrator) said:
Then the people would be summoned along with their idols whom they worshipped, one after another. Then our Lord would come to us and say: Whom are you waiting for? They would say: We are waiting for our Lord. He would say: I am your Lord. They would say: (We are not sure) till we gaze at Thee, and He would manifest Himself to them smilingly, and would go along with them and they would follow Him; and every person, whether a hypocrite or a believer, would be endowed with a light, and there would be spikes and hooks on the bridge of the Hell, which would catch hold of those whom Allah willed. Then the light of the hypocrites would be extinguished, and the believers would secure salvation. and the first group to achieve it would comprise seventy thousand men who would have the brightness of full moon on their faces, and they would not be called to account. Then the people immediately following them would have their faces as the brightest stars in the heaven. This is how (the groups would follow one after another). Then the stage of intercession would come, and they (who are permitted to intercede) would intercede, till he who had declared:" There is no god but Allah" and had in his heart virtue of the weight of a barley grain would come out of the Fire. They would be then brought in the courtyard of Paradise and the inhabitants of Paradise would begin to sprinkle water over them till they would sprout like the sprouting of a thing in flood water, and their burns would disappear. They would ask their Lord till they would be granted (the bounties) of the world and with it ten more besides it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুয্ যুবায়র (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৬৬। আবূ বকর ইবনু শায়বা (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ইরশাদ করতে শুনেছেনঃ আল্লাহ তায়ালা কতিপয় লোককে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ سَمِعَهُ مِنَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم بِأُذُنِهِ يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ يُخْرِجُ نَاسًا مِنَ النَّارِ فَيُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا سفيان بن عيينة، عن عمرو، سمع جابرا، يقول سمعه من النبي، صلى الله عليه وسلم باذنه يقول ‏ "‏ ان الله يخرج ناسا من النار فيدخلهم الجنة ‏"‏ ‏.‏


Jabir reported that he had heard with his ears the Apostle (ﷺ) saying:
Allah will bring out people from the Fire and admit them into Paradise.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৬৭। আবূ রাবী (রহঃ) ... হাম্মাদ ইবনু যায়িদ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমর ইবনু দ্বীনারকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বরাত দিয়ে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, আল্লাহ তা’আলা কতিপয় মানুষকে শাফাআতের ম্যধ্যমে জাহান্নাম থেকে বের করবেন। তখন তিনি বললেন- হ্যাঁ।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَمْرِو بْنِ دِينَارٍ أَسَمِعْتَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ يُخْرِجُ قَوْمًا مِنَ النَّارِ بِالشَّفَاعَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏

حدثنا ابو الربيع، حدثنا حماد بن زيد، قال قلت لعمرو بن دينار اسمعت جابر بن عبد الله يحدث عن رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان الله يخرج قوما من النار بالشفاعة ‏"‏ ‏.‏ قال نعم ‏.‏


Hammad b. Zaid, reported:
I said to 'Amr b. Dinar: Did you hear Jabir b. 'Abdullah narrating from the Messenger of Allah (ﷺ) that Allah would bring out people from the Fire through intercession. He said: Yes.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৬৮। হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদূল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আল্লাহ জন্য কতিপয় মানুষকে এমতাবস্থায় জাহান্নাম থেকে বের করবেন, যখন জাহান্নামে তাদের মুখমণ্ডল ের চারপাশ ব্যতীত অন্য সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাবে, অবশেষে তারা (আল্লাহর অনুগ্রহে) জান্নাতে প্রবেশ করবে।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ سُلَيْمٍ الْعَنْبَرِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ الْفَقِيرُ، حَدَّثَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ قَوْمًا يُخْرَجُونَ مِنَ النَّارِ يَحْتَرِقُونَ فِيهَا إِلاَّ دَارَاتِ وُجُوهِهِمْ حَتَّى يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا حجاج بن الشاعر، حدثنا ابو احمد الزبيري، حدثنا قيس بن سليم العنبري، قال حدثني يزيد الفقير، حدثنا جابر بن عبد الله، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان قوما يخرجون من النار يحترقون فيها الا دارات وجوههم حتى يدخلون الجنة ‏"‏ ‏.‏


Jabir b. 'Abdullah repotted:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Verily people would be brought out from the Fire, and they would be burnt except the exterior (surfaces, fronts) of their faces; and they would enter Paradise.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৬৯। হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ... ইয়াযীদ আল ফাকীর (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, খারিজীদের একটি মত, আমাকে বড়ই আকৃষ্ট করছিল। আমরা একবার একটি দলের সাথে বের হই। উদ্দেশ্য ছিল হজ্জ করা তারপর মানুষের সাথে যোগাযোগ করা। আমরা মদিনা দিয়ে যাচ্ছিলাম দেখি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) একটি খুঁটির পাশে বসে লোকদেরকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস বর্ননা করছেন। বর্ননাকারী বলেন, আর একটু এগিয়ে দেখি, তিনি জাহান্নামীদের আলোচনা তুলেছেন। আমি বললাম, হে রাসুলের সাহাবী! আপনারা এ কি বলছেন? অথচ আল্লাহ তায়াআলা ইরশাদ করেছেনঃ (অর্থ) “কাকেও আপনি অগ্নিতে নিক্ষেপ করলে তাকে তো আপনি নিশ্চয়ই হেয় করলেন” (৩:১৯২)। আরো ইরশাদ করেনঃ (অর্থ) যখনই তারা জাহান্নাম হতে বেরোবার চেষ্টা করবে, তখনই ফিরিয়ে দেয়া হবে।” (৩২:২০)

জাবির (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি কুরআন পাঠ কর? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তা হলে কুরআনে তুমি মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সে সম্মানিত আসন, যেখানে আল্লাহ তাঁকে (কিয়ামত দিবসে) সমাসীন করবেন, সে আসনের কথা শুননি? বললাম, হ্যাঁ। জাবির (রাঃ) বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সে আসনটি হচ্ছে “মাকামে মাহমুদ” যার মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা যাকে জাহান্নাম থেকে বের করার, বের করবেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর জাবির (রাঃ) পুলসিরাত স্থাপন ও মানুষ তা অতিক্রম করার কথা বর্ণনা করেন।

বর্ণনাকারী আরো বলেন, আলোচনাটি পুরোপুরি সংরক্ষণ করতে পারিনি বলে আমার আশঙ্কা হয়। তবে তিনি অনশ্যই একথা উল্লেখ করেছেন যে, কতিপয় মানুষ কিছু কাল জাহান্নামে অবস্থান করার পর, তাদেরকে বের করা হবে। জাহান্নামে আগ্নি দগ্ন হয়ে রোদেপোড়া তিল গাছের মত কালো বর্ণ ধারণ করবে, তখন তাদেরকে বের করে আনা হবে। এরপর তারা জান্নাতের একটি নহরে নেমে গোসল করবে। পরে সকলে কাগজের মত সাদা ধবধবে হয়ে সে নহর থেকে উঠে আসবে। ইয়াযীদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীস নিয়ে আমরা আমাদের এলাকায় ফিরে এলাম এবং সকলকে বললাম, অমঙ্গল হোক তোমাদের! তোমরা কি মনে কর যে, এ বৃদ্ধ (জাবির) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ওপর মিথ্যা আরোপ করতে পারেন? পরিশেষে আমাদের সকলেই (ঐ ভ্রান্ত বিশ্বাস) থেকে ফিরে আসে। আল্লাহর কসম! মাত্র এক ব্যাক্তি ছাড়া কেউ আমাদের এ সঠিক আকীদা পরিত্যাগ করে নাই, বা আবূ নূয়ায়ম যা বলেছেন তার অনুরূপ।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، - يَعْنِي مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي أَيُّوبَ - قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ الْفَقِيرُ، قَالَ كُنْتُ قَدْ شَغَفَنِي رَأْىٌ مِنْ رَأْىِ الْخَوَارِجِ فَخَرَجْنَا فِي عِصَابَةٍ ذَوِي عَدَدٍ نُرِيدُ أَنْ نَحُجَّ ثُمَّ نَخْرُجَ عَلَى النَّاسِ - قَالَ - فَمَرَرْنَا عَلَى الْمَدِينَةِ فَإِذَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ يُحَدِّثُ الْقَوْمَ - جَالِسٌ إِلَى سَارِيَةٍ - عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَإِذَا هُوَ قَدْ ذَكَرَ الْجَهَنَّمِيِّينَ - قَالَ - فَقُلْتُ لَهُ يَا صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ مَا هَذَا الَّذِي تُحَدِّثُونَ وَاللَّهُ يَقُولُ ‏(‏ إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ‏)‏ وَ ‏(‏ كُلَّمَا أَرَادُوا أَنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا أُعِيدُوا فِيهَا‏)‏ فَمَا هَذَا الَّذِي تَقُولُونَ قَالَ فَقَالَ أَتَقْرَأُ الْقُرْآنَ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَهَلْ سَمِعْتَ بِمَقَامِ مُحَمَّدٍ - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - يَعْنِي الَّذِي يَبْعَثُهُ اللَّهُ فِيهِ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَإِنَّهُ مَقَامُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم الْمَحْمُودُ الَّذِي يُخْرِجُ اللَّهُ بِهِ مَنْ يُخْرِجُ ‏.‏ - قَالَ - ثُمَّ نَعَتَ وَضْعَ الصِّرَاطِ وَمَرَّ النَّاسِ عَلَيْهِ - قَالَ - وَأَخَافُ أَنْ لاَ أَكُونَ أَحْفَظُ ذَاكَ - قَالَ - غَيْرَ أَنَّهُ قَدْ زَعَمَ أَنَّ قَوْمًا يَخْرُجُونَ مِنَ النَّارِ بَعْدَ أَنْ يَكُونُوا فِيهَا - قَالَ - يَعْنِي فَيَخْرُجُونَ كَأَنَّهُمْ عِيدَانُ السَّمَاسِمِ ‏.‏ قَالَ فَيَدْخُلُونَ نَهْرًا مِنْ أَنْهَارِ الْجَنَّةِ فَيَغْتَسِلُونَ فِيهِ فَيَخْرُجُونَ كَأَنَّهُمُ الْقَرَاطِيسُ ‏.‏ فَرَجَعْنَا قُلْنَا وَيْحَكُمْ أَتُرَوْنَ الشَّيْخَ يَكْذِبُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَجَعْنَا فَلاَ وَاللَّهِ مَا خَرَجَ مِنَّا غَيْرُ رَجُلٍ وَاحِدٍ أَوْ كَمَا قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ ‏.‏

وحدثنا حجاج بن الشاعر، حدثنا الفضل بن دكين، حدثنا ابو عاصم، - يعني محمد بن ابي ايوب - قال حدثني يزيد الفقير، قال كنت قد شغفني راى من راى الخوارج فخرجنا في عصابة ذوي عدد نريد ان نحج ثم نخرج على الناس - قال - فمررنا على المدينة فاذا جابر بن عبد الله يحدث القوم - جالس الى سارية - عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فاذا هو قد ذكر الجهنميين - قال - فقلت له يا صاحب رسول الله ما هذا الذي تحدثون والله يقول ‏(‏ انك من تدخل النار فقد اخزيته‏)‏ و ‏(‏ كلما ارادوا ان يخرجوا منها اعيدوا فيها‏)‏ فما هذا الذي تقولون قال فقال اتقرا القران قلت نعم ‏.‏ قال فهل سمعت بمقام محمد - عليه السلام - يعني الذي يبعثه الله فيه قلت نعم ‏.‏ قال فانه مقام محمد صلى الله عليه وسلم المحمود الذي يخرج الله به من يخرج ‏.‏ - قال - ثم نعت وضع الصراط ومر الناس عليه - قال - واخاف ان لا اكون احفظ ذاك - قال - غير انه قد زعم ان قوما يخرجون من النار بعد ان يكونوا فيها - قال - يعني فيخرجون كانهم عيدان السماسم ‏.‏ قال فيدخلون نهرا من انهار الجنة فيغتسلون فيه فيخرجون كانهم القراطيس ‏.‏ فرجعنا قلنا ويحكم اترون الشيخ يكذب على رسول الله صلى الله عليه وسلم فرجعنا فلا والله ما خرج منا غير رجل واحد او كما قال ابو نعيم ‏.‏


Yazid al-Faqir said:
This view of the Khawarij (i.e. those who commit major sins and would be eternally doomed to Hell) had obsessed me, and we set out in a large group intending to perform the Hajj and then going to the people (for the propagation of the views of the Khawarij). He (the narrator) said: We happened to past by Medina and found there Jabir b. 'Abdullah sitting near a column narrating to the people (the ahadith of) the Prophet (ﷺ). When he mentioned the inhabitants of Hell, I said: O companion of the Messenger of Allah what is this that you narrate, whereas Allah says: "Verily whomsoever Thou shall commit to the Fire, Thou indeed humiliateth him" (al-Qur'an, iii. 192); and All those who endeavored to get out of that would be thrown back into it" (al-Qur'an, xxxi i. 20)? So what is it that you say? He said: Have you read the Qur'an? I said: Yes. He said: Have you heard about the (exalted) position of Muhammad (ﷺ), i.e. to which Allah would raise, him? I said: Yes. He said: Verily the position of Muhammad (ﷺ) is that of great glory and that is by which Allah would bring out whomsoever He would wish to bring out. He then described the Path (the Bridge) and the passing of the people over it, and said: I am afraid I may not have remembered (other things) but this much is still in my memory that people would come out of the Hell after having gone into it, and he said: They would come out of it as if they were the wood of the ebony tree. He (the narrator said: They would enter a river, one or the rivers of Paradise, and would bathe in it, and then come out as if they were (white like) paper. We then turned back and said: Woe be upon you! How can this old man tell a lie against the Messenger of Allah (ﷺ)? We turned back (from the views of the Khawarij), and by God every one of us abandoned this (band of Khawarij) except one man. A similar statement has been made by Abu Nu'aim.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৭০। হাম্মাদ ইবনু খালিদ আল আযদী (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ চার ব্যাক্তিকে (বিচারের জন্য) জাহান্নাম থেকে বের করে আল্লাহর সমীপে উপস্থিত করা হবে। তন্মধ্যে একজন বারবার পশ্চাৎ দিকে ফিরে তাকারে আর বলবে, হে আমার রব! যখন আমাকে এ জাহান্নাম থেকে বের করেছেন, তখন আমাকে আর সেখানে ফিরিয়ে নেবেন না। আল্লাহ তা’আলা এ লোকটিকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে দিবেন।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ، وَثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ أَرْبَعَةٌ فَيُعْرَضُونَ عَلَى اللَّهِ فَيَلْتَفِتُ أَحَدُهُمْ فَيَقُولُ أَىْ رَبِّ إِذْ أَخْرَجْتَنِي مِنْهَا فَلاَ تُعِدْنِي فِيهَا ‏.‏ فَيُنْجِيهِ اللَّهُ مِنْهَا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هداب بن خالد الازدي، حدثنا حماد بن سلمة، عن ابي عمران، وثابت، عن انس بن مالك، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ يخرج من النار اربعة فيعرضون على الله فيلتفت احدهم فيقول اى رب اذ اخرجتني منها فلا تعدني فيها ‏.‏ فينجيه الله منها ‏"‏ ‏.‏


It is narrated on the authority of Anas b. Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
Four persons would be brought out from the Fire and would be presented to Allah. One of them would turn (towards the He) ) ) and say: O my Lord, when Thou hast brought me out from it, do not throw me back into it, and Allah would rescue him from it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৭১। আবূ কামিল ফূযায়ল ইবনু হুসায়ন আল জাহদারী ও মুহাম্মদ ইবনু উবায়দ আল শুবারী (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ হাশরের মাঠে আল্লাহ জন্য সকল মানুষকে একত্র করবেন। তখন সংকটমুক্তির জন্য সুপারিশ প্রার্থনার ব্যাপারে তারা তৎপর হবে। এখানে বর্ণনাকারী ইবনু উবায়দ يُلْهَمُونَ শব্দ ব্যবহার করেছেন। অর্থ, অন্তরে উৎসারিত করা হবে। তারা বলবে, আমরা যদি কাউকে আল্লাহর কাছে সুপারিশের জন্য অনুরোধ করতাম, যেন তিনি আমাদের সংকটময় স্থান থেকে মুক্তি দেন।

সে মতে তারা আদম (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে এসে বলবে, আপনি আদম (আলাইহিস সালাম), আপনি মানুষের আদি পিতা, আল্লাহ তা’আলা স্বহস্তে আপনাকে করেছেন, আপনার দেহে আত্মা ফুকেছেন, আপনাকে সিজদা করার জন্য ফেরেশতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা আপনাকে সিজদাও করেছেন। সুতরাং আপনি আমাদের জন্য প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করুন, যেন তিনি আমাদেরকে এ সংকটময় স্থান থেকে মুক্তি দেন। তিনি তাঁর ক্রটির কথা স্মরণ করবেন এবং প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করতে লজ্জাবোধ করবেন। তিনি বলবেন, আমি এর যোগ্য নই। তোমরা নূহের কাছে যাও। তিনি প্রথম রাসুল। আল্লাহ তায়ালা তাঁকেই সর্বপ্রথম রাসুলরুপে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।

তখন সকল মানুষ নূহ (আলাইহিস সালাম) এর কাছে এসে অনুরোধ করবে। তিনিও তার ক্রটির কথা স্মরণ করবেন এবং প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করতে লজ্জাবোধ করবেন। বলবেনঃ আমি এর যোগ্য নই। তোমরা ইবরাহীমের কাছে যাও। তাকে আল্লাহ তা’আলা বন্ধুরুপে গ্রহণ করেছেন। তখন সবাই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনি স্বীয় ক্রটির কথা স্মরণ করবেন এবং প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করতে লজ্জাবোধ করবেন এবং বলবেন, আমি এর যোগ্য নই, তোমরা মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। আল্লাহ তার সাথে কথোপকথন করেছেন। তাঁকে আল্লাহ তাওরাত প্রদান করেছেন। তখন সবাই মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনি তাঁর ক্রটির কথা স্বরণ করবেন এবং প্রতিপালকের কাছে সুপারিশ করতে লজ্জাবোধ করবেন এবং বলবেন, আমি এর উপযুক্ত নই।

তোমরা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও, তিনি আল্লাহ প্রদত্ত “কালিমা”। তখন সবাই ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। বলবেন, আমি তোমাদের এ কাজের যোগ্য নই, তবে তোমরা মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে যাও। তিনি আল্লাহর এমন বান্দা যে, তার পূর্বাপর সকল ক্রটি ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তখন সবাই আমার কাছে আসবে, আর আমি আল্লাহর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করব। আমাকে অনুমতি দেওয়া হবে। তখন আমি তাঁকে দেখামাত্র সিজদাবনত হয়ে যাব। যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা করবেন আমাকে এ অবস্থায় রেখে দিবেন।

তারপর বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা তুলুন, বলুন, আপনার অনুরোধ শোনা হবে, আপনি প্রার্থনা করুন, তা পূর্ণ করা হবে, আপনি শাফা’আত করুন, আপনার শাফাআত কবুল করা হবে। তারপর আমি মাথা তুলব এবং আমার প্রতিপালকের এমন প্রশংসা করব, যা আমার রব আমাকে শিখিয়ে দিবেন। এরপর আমি সুপারিশ করব। আমার জন্য (শাফাআতের) সীমা নির্ধারিত করে দেয়া হবে। সেমতে আমি তাদেরকে জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করে এনে জান্নাতে প্রবেশ করাব। পূনরায় আমি শাফাআতের জন্য আসব এবং সিজদাবনত হব। যতক্ষন আল্লাহ এ অবস্থায় আমাকে রাখতে ইচ্ছা করবেন ততক্ষন রেখে দিবেন। পরে বলা “হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা তুলুন, বলুন, আপনার অনুরোধ শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, তা পূর্ণ করা হরে; সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ কবুল করা হবে।

তারপর আমি মাথা তুলব এবং আমার প্রতিপালকের এমন প্রশংসা করব, যা আমার রব আমাকে শিখিয়ে দিবেন। আমার জন্য (শাফা’আতের) সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। সে মতে আমি এদেরকে জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করে জান্নাতে প্রবেশ করাব। বর্ণনাকারী বলেন, নিশ্চিতভাবে স্মরণ নেই, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয় কিংবা চতূর্থবারে এ কথা উল্লেখ করেছিলেন যে, আমি বলবঃ হে আমার প্রতিপালক! কুরআন যাদেরকে আটকে দিয়েছে (অর্থাৎ কুরআনের আলোকে যারা চিরদিন জাহান্নামে থাকা নির্ধারিত) তারা ছাড়া জাহান্নামে আর কেউ অবশিষ্ট নেই। ইবনু উবায়দ-এর বর্ণনায় রয়েছে (অর্থাৎ তার জন্য চিরদিন জাছান্নামে থাকা অবধারিত)।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ وَمُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْغُبَرِيُّ - وَاللَّفْظُ لأَبِي كَامِلٍ - قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَجْمَعُ اللَّهُ النَّاسَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَهْتَمُّونَ لِذَلِكَ - وَقَالَ ابْنُ عُبَيْدٍ فَيُلْهَمُونَ لِذَلِكَ - فَيَقُولُونَ لَوِ اسْتَشْفَعْنَا عَلَى رَبِّنَا حَتَّى يُرِيحَنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا - قَالَ - فَيَأْتُونَ آدَمَ صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُونَ أَنْتَ آدَمُ أَبُو الْخَلْقِ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ وَأَمَرَ الْمَلاَئِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ اشْفَعْ لَنَا عِنْدَ رَبِّكَ حَتَّى يُرِيحَنَا مِنْ مَكَانِنَا هَذَا ‏.‏ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - فَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ فَيَسْتَحْيِي رَبَّهُ مِنْهَا - وَلَكِنِ ائْتُوا نُوحًا أَوَّلَ رَسُولٍ بَعَثَهُ اللَّهُ - قَالَ - فَيَأْتُونَ نُوحًا صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - فَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ فَيَسْتَحْيِي رَبَّهُ مِنْهَا - وَلَكِنِ ائْتُوا إِبْرَاهِيمَ صلى الله عليه وسلم الَّذِي اتَّخَذَهُ اللَّهُ خَلِيلاً ‏.‏ فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - وَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ فَيَسْتَحْيِي رَبَّهُ مِنْهَا - وَلَكِنِ ائْتُوا مُوسَى صلى الله عليه وسلم الَّذِي كَلَّمَهُ اللَّهُ وَأَعْطَاهُ التَّوْرَاةَ ‏.‏ قَالَ فَيَأْتُونَ مُوسَى - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ - وَيَذْكُرُ خَطِيئَتَهُ الَّتِي أَصَابَ فَيَسْتَحْيِي رَبَّهُ مِنْهَا - وَلَكِنِ ائْتُوا عِيسَى رُوحَ اللَّهِ وَكَلِمَتَهُ ‏.‏ فَيَأْتُونَ عِيسَى رُوحَ اللَّهِ وَكَلِمَتَهُ فَيَقُولُ لَسْتُ هُنَاكُمْ ‏.‏ وَلَكِنِ ائْتُوا مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم عَبْدًا قَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فَيَأْتُونِي فَأَسْتَأْذِنُ عَلَى رَبِّي فَيُؤْذَنُ لِي فَإِذَا أَنَا رَأَيْتُهُ وَقَعْتُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ فَيُقَالُ يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ قُلْ تُسْمَعْ سَلْ تُعْطَهْ اشْفَعْ تُشَفَّعْ ‏.‏ فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَحْمَدُ رَبِّي بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ رَبِّي ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَأُخْرِجُهُمْ مِنَ النَّارِ وَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ ثُمَّ أَعُودُ فَأَقَعُ سَاجِدًا فَيَدَعُنِي مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَدَعَنِي ثُمَّ يُقَالُ ارْفَعْ رَأْسَكَ يَا مُحَمَّدُ قُلْ تُسْمَعْ سَلْ تُعْطَهْ اشْفَعْ تُشَفَّعْ ‏.‏ فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَحْمَدُ رَبِّي بِتَحْمِيدٍ يُعَلِّمُنِيهِ ثُمَّ أَشْفَعُ فَيَحُدُّ لِي حَدًّا فَأُخْرِجُهُمْ مِنَ النَّارِ وَأُدْخِلُهُمُ الْجَنَّةَ - قَالَ فَلاَ أَدْرِي فِي الثَّالِثَةِ أَوْ فِي الرَّابِعَةِ قَالَ - فَأَقُولُ يَا رَبِّ مَا بَقِيَ فِي النَّارِ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ أَىْ وَجَبَ عَلَيْهِ الْخُلُودُ ‏"‏ ‏.‏ - قَالَ ابْنُ عُبَيْدٍ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ قَتَادَةُ أَىْ وَجَبَ عَلَيْهِ الْخُلُودُ ‏.‏

حدثنا ابو كامل، فضيل بن حسين الجحدري ومحمد بن عبيد الغبري - واللفظ لابي كامل - قالا حدثنا ابو عوانة، عن قتادة، عن انس بن مالك، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يجمع الله الناس يوم القيامة فيهتمون لذلك - وقال ابن عبيد فيلهمون لذلك - فيقولون لو استشفعنا على ربنا حتى يريحنا من مكاننا هذا - قال - فياتون ادم صلى الله عليه وسلم فيقولون انت ادم ابو الخلق خلقك الله بيده ونفخ فيك من روحه وامر الملاىكة فسجدوا لك اشفع لنا عند ربك حتى يريحنا من مكاننا هذا ‏.‏ فيقول لست هناكم - فيذكر خطيىته التي اصاب فيستحيي ربه منها - ولكن اىتوا نوحا اول رسول بعثه الله - قال - فياتون نوحا صلى الله عليه وسلم فيقول لست هناكم - فيذكر خطيىته التي اصاب فيستحيي ربه منها - ولكن اىتوا ابراهيم صلى الله عليه وسلم الذي اتخذه الله خليلا ‏.‏ فياتون ابراهيم صلى الله عليه وسلم فيقول لست هناكم - ويذكر خطيىته التي اصاب فيستحيي ربه منها - ولكن اىتوا موسى صلى الله عليه وسلم الذي كلمه الله واعطاه التوراة ‏.‏ قال فياتون موسى - عليه السلام - فيقول لست هناكم - ويذكر خطيىته التي اصاب فيستحيي ربه منها - ولكن اىتوا عيسى روح الله وكلمته ‏.‏ فياتون عيسى روح الله وكلمته فيقول لست هناكم ‏.‏ ولكن اىتوا محمدا صلى الله عليه وسلم عبدا قد غفر له ما تقدم من ذنبه وما تاخر ‏"‏ ‏.‏ قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فياتوني فاستاذن على ربي فيوذن لي فاذا انا رايته وقعت ساجدا فيدعني ما شاء الله فيقال يا محمد ارفع راسك قل تسمع سل تعطه اشفع تشفع ‏.‏ فارفع راسي فاحمد ربي بتحميد يعلمنيه ربي ثم اشفع فيحد لي حدا فاخرجهم من النار وادخلهم الجنة ثم اعود فاقع ساجدا فيدعني ما شاء الله ان يدعني ثم يقال ارفع راسك يا محمد قل تسمع سل تعطه اشفع تشفع ‏.‏ فارفع راسي فاحمد ربي بتحميد يعلمنيه ثم اشفع فيحد لي حدا فاخرجهم من النار وادخلهم الجنة - قال فلا ادري في الثالثة او في الرابعة قال - فاقول يا رب ما بقي في النار الا من حبسه القران اى وجب عليه الخلود ‏"‏ ‏.‏ - قال ابن عبيد في روايته قال قتادة اى وجب عليه الخلود ‏.‏


Anas b Malik reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Allah would gather people on the Day of Resurrection and they would be concerned about it, and Ibn Ubaid said. They would get a Divine inspiration about it, and would say: If we could seek intercession with our Lord, we may be relieved from this predicament of ours. He (the Holy Prophet) said: They would come to Adam andsay, Thou art Adam, the father of mankind. Allah created thee with His own hand and breathed unto thee of His Spirit and commanded the angels and they prostrated before thee. So intercede for us with thy Lords, that He may relieve us from this position of ours. He would say: I am not in a position to do this, and would recall his error, and would fight shy of his Lord on account of that; go to Noah the first messenger (after me) sent by Allah. He (the Holy Prophet) said: So they would come to Noah (peace be upon him). He would say: I am not in a position to do that for you, and recall his fault which he had committed, and would fight shy of his Lord on account of that, (and would say): You better go to Ibrahim (peace be upon him) whom Allah took for a friend. They would come to Ibrahim (peace be upon him) and he would say: I am not in a position to do that for you, and would recall his fault that he had committed and would, therefore, fight shy of his Lord on that account (and would say): You better go to Moses (peace be upon him) with whom Allah conversed and con- ferred Torah upon him. He (the Holy Prophet) said: So they would come to Moses (peace be upon him) He would say: I am not in a position to do that for you, and would recall his fault that he had committed and would fight shy of his Lord on account of that (and would say): You better go to Jesus, the Spirit of Allah and His word He would say: I am not in a position to do that for you; you better go to Muhammad (ﷺ), a servant whose former and later sins have been forgiven. He (the narrator) said: The Messenger or Allah (ﷺ) observed: So they would come to me and I would ask the permission of my Lord and it would be granted to me, and when I would see Him, I would fall down in prostration, and He (Allah) would leave me thus as long as He would wish, and then it would be said: O Muhammad, raise your head, say and you would be heard; ask and it would be granted; intercede and intercession would be accepted. Then I would raise my head and extrol my Lord with the praise which my Lord would teach me. I shall then inter- cede, but a limit would be set for me I would bring them out from the Fire and make them enter Paradise (according to the limit). I shall return then ard fall down in pros- tration and Allah would leave me (in that position) as long as He would wish to leave me it would be said: Rise, O Muhammad, say and you would be heard; ask and it would be conferred; intercede and intercession would be granted. I would raise my head and extrol my Lord with praise that He would teach me. I would theft intercede and a limit would be set for me. I would bring them out of the Fire (of Hell) and make them enter Paradise. He (the narrator) said: I do not remember whether he (the Holy Prophet) said at tLe third time or at the fourth time: O my Lord, none has been left in the Fire, but thise restrained by the Holy Qur'an, i e. those who were eternally doomed. Ibn Ubaid said in a narration: Qatada observed: whose everlasting stay was imperative".


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৭২। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না ও মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ কিয়ামতের দিন মুমিনগণ (হাশরের ময়দানে) একত্র হবে। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানে يُلْهَمُونَ শব্দ ব্যবহার করেছেন। তারপর বর্ণনাকারী পূর্বোল্লিখিত আবূ আওয়ানার হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেন। তবে এ হাদীসে বলা হয়েছে যে, এরপর আমি চতুর্থবার এসে বলবঃ হে প্রভূ! আর কেউ অবশিষ্ট নেই, কেবল তারাই আছে, যাদেরকে কুরআন আটকে রেখেছে।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَجْتَمِعُ الْمُؤْمِنُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَهْتَمُّونَ بِذَلِكَ أَوْ يُلْهَمُونَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ أَبِي عَوَانَةَ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ ‏"‏ ثُمَّ آتِيهِ الرَّابِعَةَ - أَوْ أَعُودُ الرَّابِعَةَ - فَأَقُولُ يَا رَبِّ مَا بَقِيَ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا محمد بن المثنى، ومحمد بن بشار، قالا حدثنا ابن ابي عدي، عن سعيد، عن قتادة، عن انس، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يجتمع المومنون يوم القيامة فيهتمون بذلك او يلهمون ذلك ‏"‏ ‏.‏ بمثل حديث ابي عوانة وقال في الحديث ‏"‏ ثم اتيه الرابعة - او اعود الرابعة - فاقول يا رب ما بقي الا من حبسه القران ‏"‏ ‏.‏


Anas reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: The believers would gather on the Day of Resurrection, and they would be concerned about it, or would be made mindful of it (i. e. the trjuble for it), (and the remaining part of the hadith w, ) uld be narrated) like the one transmitted by Abu Uwana, and he said in the hadith: Then I would come for the fourth time, or I would return the fourth time, and would say: O my Lord, no one has been left but he whom the Holy Qur'an has restrained.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৭৩। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তা’আলা মুমিন বান্দাদেরকে একত্র করবেন। বর্ণনাকারী পূর্বোক্ত হাদীসদ্বয়ের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। তবে এ রেওয়ায়েতে চতুর্থবারের ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (চতুর্থবারে) তারপর আমি বলবঃ হে প্রতিপালক! আর কেউ অবশিষ্ট নেই, তবে তারাই আছে, যাদেরকে পবিত্র কুরআন আটকে রেখেছে। অর্থাৎ যাদের ব্যাপারে চিরকালের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে গেছে।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ يَجْمَعُ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُلْهَمُونَ لِذَلِكَ ‏"‏ بِمِثْلِ حَدِيثِهِمَا وَذَكَرَ فِي الرَّابِعَةِ ‏"‏ فَأَقُولُ يَا رَبِّ مَا بَقِيَ فِي النَّارِ إِلاَّ مَنْ حَبَسَهُ الْقُرْآنُ أَىْ وَجَبَ عَلَيْهِ الْخُلُودُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، حدثنا معاذ بن هشام، قال حدثني ابي، عن قتادة، عن انس بن مالك، ان نبي الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ يجمع الله المومنين يوم القيامة فيلهمون لذلك ‏"‏ بمثل حديثهما وذكر في الرابعة ‏"‏ فاقول يا رب ما بقي في النار الا من حبسه القران اى وجب عليه الخلود ‏"‏ ‏.‏


Anas b. Malik reported:
The Prophet of Allah (may peace be, upon him) said: Allah will gather the believers on the Day of Resurrection and they would be made mindful of it; and the rest (of the hadith) is like the one narrated above; and then he mentioned the fourth time: And I (the Holy Prophet) would say: O my Lord, no one is left in the Fire except he whom the Qur'an has restrained, i e. eternally doomed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৭৪। মুহাম্মাদ ইবনু মিনহাল আয যারীর, আবূ গাসসান আল মিসমাঈ ও মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ ঐ ব্যাক্তিকেও জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করে আনা হবে, যে বলেছে “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং তার অন্তরে একটি যবের পরিমাণ ঈমান অবশিষ্ট আছে। এরপর তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে, যে বলেছে, “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং তার অন্তরে সামান্য একটি গমের পরিমাণ ঈমান অবশিষ্ট আছে। এরপর তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করে আনা হবে, যে বলেছে “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই” আর তার অন্তরে অণু পরিমাণ ঈমান অবশিষ্ট আছে।

ইবনু মিনহাল তাঁর বর্ণনায় উল্লেখ করেন যে, ইয়াযীদ (রহঃ) বলেছেন, এরপর আমি শু’বার সাথে সাক্ষাৎ করে তাঁকে এ হাদীস শোনলাম। তখন তিনি বললেন, আমাদেরকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন কাতাদা (রহঃ), আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সূত্রে। তবে শু’বা الذَّرَّةِ (অনু) শব্দের স্থলে ذُرَةً (ভুট্ট্রা) বর্ণনা করেছেন। ইয়াযীদ (রহঃ) বলেন, আবূ বিসতাম এতে তাসহীফ (এক শব্দ স্থলে অন্য শব্দ ব্যবহার) করেছেন।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِنْهَالٍ الضَّرِيرُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، وَهِشَامٌ، صَاحِبُ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، - وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ - قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ شَعِيرَةً ثُمَّ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ بُرَّةً ثُمَّ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنَ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ ذَرَّةً ‏"‏ ‏.‏ زَادَ ابْنُ مِنْهَالٍ فِي رِوَايَتِهِ قَالَ يَزِيدُ فَلَقِيتُ شُعْبَةَ فَحَدَّثْتُهُ بِالْحَدِيثِ فَقَالَ شُعْبَةُ حَدَّثَنَا بِهِ قَتَادَةُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالْحَدِيثِ ‏.‏ إِلاَّ أَنَّ شُعْبَةَ جَعَلَ مَكَانَ الذَّرَّةِ ذُرَةً قَالَ يَزِيدُ صَحَّفَ فِيهَا أَبُو بِسْطَامٍ ‏.‏

وحدثنا محمد بن منهال الضرير، حدثنا يزيد بن زريع، حدثنا سعيد بن ابي عروبة، وهشام، صاحب الدستواىي عن قتادة، عن انس بن مالك، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ح وحدثني ابو غسان المسمعي، ومحمد بن المثنى، قالا حدثنا معاذ، - وهو ابن هشام - قال حدثني ابي، عن قتادة، حدثنا انس بن مالك، ان النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ يخرج من النار من قال لا اله الا الله وكان في قلبه من الخير ما يزن شعيرة ثم يخرج من النار من قال لا اله الا الله وكان في قلبه من الخير ما يزن برة ثم يخرج من النار من قال لا اله الا الله وكان في قلبه من الخير ما يزن ذرة ‏"‏ ‏.‏ زاد ابن منهال في روايته قال يزيد فلقيت شعبة فحدثته بالحديث فقال شعبة حدثنا به قتادة عن انس بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم بالحديث ‏.‏ الا ان شعبة جعل مكان الذرة ذرة قال يزيد صحف فيها ابو بسطام ‏.‏


Anas b. Malik reported:
Verily the Apostle (ﷺ) said: He who professed: There is no god but Allah, would be brought out of the Fire even though he has in his heart virtue equal to the weight of a barley grain. Then he who professed: There is no god but Allah, would come out of the Fire, even though he has in his heart virtue equal to the weight of a wheat grain. He would then bring out from the Fire he who professed: There is no god but Allah, even though he has in his heart virtue equal to the weight of an atom. Ibn Minhal has made an addition (of these words) in his narration: Yazid said: I met Shu'ba and narrated to him this hadith. Shu'ba said: Qatada transmitted to us this hadith from Anas b. Malik who heard it from the Messenger of Allah (ﷺ) with this alteration that he substituted the word Zurra (grain) in place of Zarra (atom). Yazid said: Abu Bistam has made a change in it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৭৫। আবূ রাবী আল আতাকী, সাঈদ ইবনু মানসূর (রহঃ) ... মা’বাদ ইবনু হিলাল আল আনাযী (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমরা আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) এর সঙ্গে আলোচনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি এবং সুপারিশকারী হিসাবে সাবিতকে সাথে নিয়ে যাই। বর্ণনাকারী বলেন, আমরা যখন আনাসের কাছে গিয়ে পৌছি, তখন তিনি সালাতুদ্দোহা আদায় করছিলেন। সাবিত (রাঃ) প্রার্থনা করলেন, অনুমতি হল। আমরা আনাস (রাঃ) এর মজলিসে প্রবেশ করলাম। আনাস (রাঃ) সাবিতকে চৌকিতে তাঁর পাশে বসালেন। তারপর সাবিত (রাঃ) আনাস (রাঃ) কে বললেন, হে আবূ হামযা! আপনার এ বাসরী ভাইয়েরা আপনার কাছ থেকে শাফাআত বিষয়ক হাদীস জানতে চাচ্ছে।

তখন আনাস (রাঃ) বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ কিয়ামতের দিন মানুষ বিপর্যন্ত অবস্থায় এদিক-সেদিক ছুটাছুটি করতে থাকবে। অবশেষে সবাই আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে এসে বসবে, আপনার বংশধরদের জন্য সুপারিশ করুন। তিনি বলবেনঃ আমি এর উপযুক্ত নই, বরং তোমরা ইবরাহীমের কাছে যাও। কেননা তিনি আল্লাহর বন্ধু।

সবাই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসলে, তিনি বলবেনঃ আমি এর যোগ্য নই, তবে তোমরা মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। কেননা তিনি আল্লাহর সাথে কথোপকথনকারী। তখন সকলে তার কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি এর উপযুক্ত নই, তবে তোমরা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। তিনি আল্লাহ প্রদত্ত রুহ ও তাঁর কালিমা। এরপর তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। তিনি বলবেনঃ আমি এর যোগ্য নই, তবে তোমরা মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে যাও। এরপর তারা আমার কাছে আসবে। আমি বলবঃ ’আমিই এর জন্য, আমি যাচ্ছি। অনন্তর আমি আমার পরওয়ারদিগারের অনুমতি প্রার্থনা করব। আমাকে অনুমতি দেওয়া হবে। আমি তাঁর সন্মুখে দাঁড়াব এবং এমন প্রশংসাসূচক বাক্যে তার প্রশংসা করতে থাকব, যা তখনই আল্লাহ আমার প্রতি ইলহাম করবেন; এখন আমি তা বর্ণনা করতে পারছি না।

এরপর আমি সিজদায় লুটিয়ে পড়ব। আমাকে বলা হবেঃ হে মুহাম্মাদ! বলুন, আপনার কথা শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, কবুল করা হবে; শাফা’আত করুন, আপনার শাফা’আত গ্রহণ করা হবে। তখন আমি বলবঃ হে পরওয়ারদিগার, ’উাম্মাতী” ’উম্মাতী’ (আমার উম্মাত, আমার উম্মাত)। এরপর আমাকে বলা হবেঃ চলূন, যার অন্তরে গম বা যবের পরিমাণও ঈমান অবশিষ্ট পাবেন তাকে জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করে আনুন। আমি যাব এবং তদনূসারে উদ্ধার করব।

পূনরায় আমার পরওয়ারদিগারের নিকটে ফিরে যাব এবং পূর্বানুরুপ প্রশংসাসূচক বাক্যে তার প্রশংসা করব, এরপর আমি সিজদায় লূটিয়ে পড়ব। আমাকে বলা হবেঃ হে মুহাম্মাদ! মাথা তুলুন, বলুন, আপনার কথা শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, কবুল করা হবে; সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ গৃহীত হবে। তখন আমি বলবঃ হে পরওয়ারদিগার! উম্মাতী , উম্মাতী আমার উম্মাত (আমার উম্মাত, আমার উম্মাত)। আল্লাহ বলবেনঃ যান, যে ব্যাক্তির অন্তরে একটি সরিষার দানা পরিমাণ ঈমানও অবশিষ্ট থাকবে, তাকেও জাহান্নাম থেকে মুক্ত করুন।

এরপর আমি যাব এবং তাদের উদ্ধার করে আনব। পূনরায় আমি পরওয়ারদিগারের নিকটে ফিরে যাব এবং পৃর্বানূরুপ প্রশংসাসূচক বাক্যে তাঁর প্রশংসা করব। এরপর আমি সিজদায় লূঁটিয়ে পড়ব। আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! মাথা তুলুন, বলুন, আপনার কথা শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, কবুল করা হবে; শাফাআত করুন, শাফা’আত গৃহীত হবে। আমি বলবঃ হে পরওয়ারদিগার! উম্মাতী, উম্মাতী (আমার উম্মাত, আমার উম্মাত)। আল্লাহ বলবেন, যান, যে ব্যাক্তির অন্তরে সরিষার দানার চেয়েও আরো আরো কম পরিমাণ ঈমান পারেন, তাকেও জাহান্নাম থেকে মুক্ত করুন। এরপর আমি যাব এবং তাদের উদ্ধার করে আনব।

বর্ণনাকারী বলেন, আনাস (রাঃ) এ পর্যন্ত আমাদেরকে বলেছেন। এরপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে পথ চলতে শুরু করলাম। এভাবে যখন “জাব্বান” এলাকায় পৌছলাম, তখন নিজেরা বললাম, আমরা যদি হানান বসরীর সাথে সাক্ষাৎ করতাম এবং তাঁকে সালাম পেশ করতাম, কতই না ভাল হতো! সে সময় তিনি আবূ খলীফার ঘরে আত্মগোপন করেছিলেন। আমরা তাঁর বাড়িতে গেলাম এবং তাঁকে সালাম পের্শ করলাম। আমরা তাঁকে বললাম, আবূ সাঈদ! আমরা আপনার ভাই আবূ হামযার নিকট থেকে আসছি। আজ তিনি আমাদেরকে শাফা’আত সম্পর্কে এমন একটি হাদীস শুনিয়েছেন, যা আর কখনও শুনিনি। তিনি বললেন, আচ্ছা শোনাও তো? তখন আমরা তাঁকে হাদীসটি শোনালাম। তারপর তিনি বললেন, আরও বল। আমরা বললাম, এর চেয়ে বেশি কিছু তো আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেননি। তখন তিনি বললেন, আনাস (রাঃ) আমাদের কাছে আজ থেকে বিশ বছর পূর্বে যখন তিনি সুস্থ-সবল ছিলেন, তখন এ হাদীসটি শুনিয়েছেন। কিন্তু আজ তোমাদের কাছে কিছু ছেড়ে দিয়েছেন মনে হচ্ছে। জানিনা, তিনি তা ভুলে গেছেন, না তোমরা এর উপর ভরসা করে আমলের ব্যাপারে শিথিলতা প্রদর্শন করবে, আশংকায় তিনি তা বর্ণনা করাটা পছন্দ করেননি।

আমরা বললাম আমাদের তা বর্ণনা করুন। তিনি ঈষৎ হেসে উত্তর করলেন, মানূষ তো খুব ত্বরাপ্রিয়। তোমাদের তা বর্ণনা করব বলেই তো এর উল্লেখ করলাম। তারপর তিনি হাদীসটির অবশিষ্ট অংশ এরুপ বর্ণনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এরপর আমি পুনরায় আমার পরওয়ারদিগারের কাছে ফিরে আসব এবং চতুর্থবারও উক্তরুপ প্রশংসাসূচক বাক্যে তাঁর প্রশংসা করব। এরপর আমি সিজদায় লূটিয়ে পড়ব। আমাকে বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! আপনার মাথা তুলুন, আপনার কথা শোনা হবে; প্রার্থনা করুন, তা কবুল করা হবে; সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ গৃহীত হবে।

আমি বলবঃ হে পরওয়ারদিগার! আমাকে সেসব মানুষের জন্য অনুমতি দিন, যারা “আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই” একথা স্বীকার করেছে। আল্লাহ বলবেনঃ না, এটা আপনার দায়িত্বে নয়; বরং আমার ইজ্জত, প্রতিপত্তি, মহত্ত্ব ও পরাক্রমশীলতার কসম! আমি নিজেই অবশ্য এদের মুক্তি দেব, যারা একথার স্বীকৃতি দিয়েছে যে, “আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই”। হাদীসটি শেষ করে বর্ণনাকারী বলেন, আমি এ কথার সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হাসান আমাদেরকে হাদীসটি আনাস (রাঃ) থেকে শুনেছেন বলে বর্ণনা করেছেন। অবশ্য আমার বিশ্বাস তিনি এ কথা বলেছেন যে, বিশ বছর পূর্বে যখন তিনি পূর্ণ সুস্থ-সবল ছিলেন।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا مَعْبَدُ بْنُ هِلاَلٍ الْعَنَزِيُّ، ح وَحَدَّثَنَاهُ سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا مَعْبَدُ بْنُ هِلاَلٍ الْعَنَزِيُّ، قَالَ انْطَلَقْنَا إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ وَتَشَفَّعْنَا بِثَابِتٍ فَانْتَهَيْنَا إِلَيْهِ وَهُوَ يُصَلِّي الضُّحَى فَاسْتَأْذَنَ لَنَا ثَابِتٌ فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ وَأَجْلَسَ ثَابِتًا مَعَهُ عَلَى سَرِيرِهِ فَقَالَ لَهُ يَا أَبَا حَمْزَةَ إِنَّ إِخْوَانَكَ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ يَسْأَلُونَكَ أَنْ تُحَدِّثَهُمْ حَدِيثَ الشَّفَاعَةِ ‏.‏ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ مَاجَ النَّاسُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ لَهُ اشْفَعْ لِذُرِّيَّتِكَ ‏.‏ فَيَقُولُ لَسْتُ لَهَا وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِإِبْرَاهِيمَ - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - فَإِنَّهُ خَلِيلُ اللَّهِ ‏.‏ فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُ لَسْتُ لَهَا وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِمُوسَى - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - فَإِنَّهُ كَلِيمُ اللَّهِ ‏.‏ فَيُؤْتَى مُوسَى فَيَقُولُ لَسْتُ لَهَا وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِعِيسَى - عَلَيْهِ السَّلاَمُ - فَإِنَّهُ رُوحُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ ‏.‏ فَيُؤْتَى عِيسَى فَيَقُولُ لَسْتُ لَهَا وَلَكِنْ عَلَيْكُمْ بِمُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم فَأُوتَى فَأَقُولُ أَنَا لَهَا ‏.‏ فَأَنْطَلِقُ فَأَسْتَأْذِنُ عَلَى رَبِّي فَيُؤْذَنُ لِي فَأَقُومُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَأَحْمَدُهُ بِمَحَامِدَ لاَ أَقْدِرُ عَلَيْهِ الآنَ يُلْهِمُنِيهِ اللَّهُ ثُمَّ أَخِرُّ لَهُ سَاجِدًا فَيُقَالُ لِي يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ وَقُلْ يُسْمَعْ لَكَ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَقُولُ رَبِّ أُمَّتِي أُمَّتِي ‏.‏ فَيُقَالُ انْطَلِقْ فَمَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ بُرَّةٍ أَوْ شَعِيرَةٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجْهُ مِنْهَا ‏.‏ فَأَنْطَلِقُ فَأَفْعَلُ ثُمَّ أَرْجِعُ إِلَى رَبِّي فَأَحْمَدُهُ بِتِلْكَ الْمَحَامِدِ ثُمَّ أَخِرُّ لَهُ سَاجِدًا فَيُقَالُ لِي يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ وَقُلْ يُسْمَعْ لَكَ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ ‏.‏ فَأَقُولُ أُمَّتِي أُمَّتِي ‏.‏ فَيُقَالُ لِي انْطَلِقْ فَمَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجْهُ مِنْهَا ‏.‏ فَأَنْطَلِقُ فَأَفْعَلُ ثُمَّ أَعُودُ إِلَى رَبِّي فَأَحْمَدُهُ بِتِلْكَ الْمَحَامِدِ ثُمَّ أَخِرُّ لَهُ سَاجِدًا فَيُقَالُ لِي يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ وَقُلْ يُسْمَعْ لَكَ وَسَلْ تُعْطَهْ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أُمَّتِي أُمَّتِي ‏.‏ فَيُقَالُ لِي انْطَلِقْ فَمَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ أَدْنَى أَدْنَى أَدْنَى مِنْ مِثْقَالِ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجْهُ مِنَ النَّارِ فَأَنْطَلِقُ فَأَفْعَلُ ‏"‏ ‏.‏ هَذَا حَدِيثُ أَنَسٍ الَّذِي أَنْبَأَنَا بِهِ فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِ فَلَمَّا كُنَّا بِظَهْرِ الْجَبَّانِ قُلْنَا لَوْ مِلْنَا إِلَى الْحَسَنِ فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ وَهُوَ مُسْتَخْفٍ فِي دَارِ أَبِي خَلِيفَةَ - قَالَ - فَدَخَلْنَا عَلَيْهِ فَسَلَّمْنَا عَلَيْهِ فَقُلْنَا يَا أَبَا سَعِيدٍ جِئْنَا مِنْ عِنْدِ أَخِيكَ أَبِي حَمْزَةَ فَلَمْ نَسْمَعْ مِثْلَ حَدِيثٍ حَدَّثَنَاهُ فِي الشَّفَاعَةِ قَالَ هِيهِ ‏.‏ فَحَدَّثْنَاهُ الْحَدِيثَ ‏.‏ فَقَالَ هِيهِ ‏.‏ قُلْنَا مَا زَادَنَا ‏.‏ قَالَ قَدْ حَدَّثَنَا بِهِ مُنْذُ عِشْرِينَ سَنَةً وَهُوَ يَوْمَئِذٍ جَمِيعٌ وَلَقَدْ تَرَكَ شَيْئًا مَا أَدْرِي أَنَسِيَ الشَّيْخُ أَوْ كَرِهَ أَنْ يُحَدِّثَكُمْ فَتَتَّكِلُوا ‏.‏ قُلْنَا لَهُ حَدِّثْنَا ‏.‏ فَضَحِكَ وَقَالَ خُلِقَ الإِنْسَانُ مِنْ عَجَلٍ مَا ذَكَرْتُ لَكُمْ هَذَا إِلاَّ وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُحَدِّثَكُمُوهُ ‏"‏ ثُمَّ أَرْجِعُ إِلَى رَبِّي فِي الرَّابِعَةِ فَأَحْمَدُهُ بِتِلْكَ الْمَحَامِدِ ثُمَّ أَخِرُّ لَهُ سَاجِدًا فَيُقَالُ لِي يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ وَقُلْ يُسْمَعْ لَكَ وَسَلْ تُعْطَ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ ‏.‏ فَأَقُولُ يَا رَبِّ ائْذَنْ لِي فِيمَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ قَالَ لَيْسَ ذَاكَ لَكَ - أَوْ قَالَ لَيْسَ ذَاكَ إِلَيْكَ - وَلَكِنْ وَعِزَّتِي وَكِبْرِيَائِي وَعَظَمَتِي وَجِبْرِيَائِي لأُخْرِجَنَّ مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَشْهَدُ عَلَى الْحَسَنِ أَنَّهُ حَدَّثَنَا بِهِ أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ أُرَاهُ قَالَ قَبْلَ عِشْرِينَ سَنَةً وَهُوَ يَوْمَئِذٍ جَمِيعٌ ‏.‏

حدثنا ابو الربيع العتكي، حدثنا حماد بن زيد، حدثنا معبد بن هلال العنزي، ح وحدثناه سعيد بن منصور، - واللفظ له - حدثنا حماد بن زيد، حدثنا معبد بن هلال العنزي، قال انطلقنا الى انس بن مالك وتشفعنا بثابت فانتهينا اليه وهو يصلي الضحى فاستاذن لنا ثابت فدخلنا عليه واجلس ثابتا معه على سريره فقال له يا ابا حمزة ان اخوانك من اهل البصرة يسالونك ان تحدثهم حديث الشفاعة ‏.‏ قال حدثنا محمد صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ اذا كان يوم القيامة ماج الناس بعضهم الى بعض فياتون ادم فيقولون له اشفع لذريتك ‏.‏ فيقول لست لها ولكن عليكم بابراهيم - عليه السلام - فانه خليل الله ‏.‏ فياتون ابراهيم فيقول لست لها ولكن عليكم بموسى - عليه السلام - فانه كليم الله ‏.‏ فيوتى موسى فيقول لست لها ولكن عليكم بعيسى - عليه السلام - فانه روح الله وكلمته ‏.‏ فيوتى عيسى فيقول لست لها ولكن عليكم بمحمد صلى الله عليه وسلم فاوتى فاقول انا لها ‏.‏ فانطلق فاستاذن على ربي فيوذن لي فاقوم بين يديه فاحمده بمحامد لا اقدر عليه الان يلهمنيه الله ثم اخر له ساجدا فيقال لي يا محمد ارفع راسك وقل يسمع لك وسل تعطه واشفع تشفع فاقول رب امتي امتي ‏.‏ فيقال انطلق فمن كان في قلبه مثقال حبة من برة او شعيرة من ايمان فاخرجه منها ‏.‏ فانطلق فافعل ثم ارجع الى ربي فاحمده بتلك المحامد ثم اخر له ساجدا فيقال لي يا محمد ارفع راسك وقل يسمع لك وسل تعطه واشفع تشفع ‏.‏ فاقول امتي امتي ‏.‏ فيقال لي انطلق فمن كان في قلبه مثقال حبة من خردل من ايمان فاخرجه منها ‏.‏ فانطلق فافعل ثم اعود الى ربي فاحمده بتلك المحامد ثم اخر له ساجدا فيقال لي يا محمد ارفع راسك وقل يسمع لك وسل تعطه واشفع تشفع فاقول يا رب امتي امتي ‏.‏ فيقال لي انطلق فمن كان في قلبه ادنى ادنى ادنى من مثقال حبة من خردل من ايمان فاخرجه من النار فانطلق فافعل ‏"‏ ‏.‏ هذا حديث انس الذي انبانا به فخرجنا من عنده فلما كنا بظهر الجبان قلنا لو ملنا الى الحسن فسلمنا عليه وهو مستخف في دار ابي خليفة - قال - فدخلنا عليه فسلمنا عليه فقلنا يا ابا سعيد جىنا من عند اخيك ابي حمزة فلم نسمع مثل حديث حدثناه في الشفاعة قال هيه ‏.‏ فحدثناه الحديث ‏.‏ فقال هيه ‏.‏ قلنا ما زادنا ‏.‏ قال قد حدثنا به منذ عشرين سنة وهو يومىذ جميع ولقد ترك شيىا ما ادري انسي الشيخ او كره ان يحدثكم فتتكلوا ‏.‏ قلنا له حدثنا ‏.‏ فضحك وقال خلق الانسان من عجل ما ذكرت لكم هذا الا وانا اريد ان احدثكموه ‏"‏ ثم ارجع الى ربي في الرابعة فاحمده بتلك المحامد ثم اخر له ساجدا فيقال لي يا محمد ارفع راسك وقل يسمع لك وسل تعط واشفع تشفع ‏.‏ فاقول يا رب اىذن لي فيمن قال لا اله الا الله ‏.‏ قال ليس ذاك لك - او قال ليس ذاك اليك - ولكن وعزتي وكبرياىي وعظمتي وجبرياىي لاخرجن من قال لا اله الا الله ‏"‏ ‏.‏ قال فاشهد على الحسن انه حدثنا به انه سمع انس بن مالك اراه قال قبل عشرين سنة وهو يومىذ جميع ‏.‏


Ma'bad b. Hilal al 'Anazi reported:
We went to Anas b. Malik through Thabit and reached there (his house) while he was offering the forenoon prayer. Thabit sought permission for us and we entered, and he seated Thabit with him on his bedstead. He (Thabit) said to him (Anas b. Malik): O Abu Hamza (kunya of Anas b. Malik), your brothers from among the inhabitants of Basra ask you to narrate to them the hadith of intercession. He said: Muhammad (ﷺ) narrated to us: When it would be the Day of Resurrection, some of the people would rush to one another in bewilderment. They would come to Adam and say: Intercede (with your Lord) for your progeny. He would say: I am not fit to do this, but go to Ibrabim (peace be upon him) for he is the Friend of Allah. They would come to Ibrahim, but he would say: I am not fit to do this, but go to Moses, for he is Allah's Interlocutor. They would come to Moses, but he would say: I am not fit to do this, but you should go to Jesus, for he is the Spirit of Allah and His word. They would come to Jesus, and he would say, I am not fit to do this; you better go to Muhammad (ﷺ). They would come to me, and I would say: I am in a position to do that, I would go and ask the permission of my Lord and it would be granted to me. I would then stand before Him and would extol Him with praises which I am not able to do now, but with which Allah would inspire me, then I would fall in prostration and it would be said to me: O Muhammad, raise thy head, and say and it would be listened to; ask and it would be granted, intercede and it would be accepted. I shall say: My Lord, my people, my people It would be said: Go, and bring forth from it (Hell) him who has in his heart faith equal to the weight of a wheat grain or a barley seed. I would go and do that; then I would return to my Lord and extol Him with those praises (taught to me by Allah), then I would fall in prostration. It would be said to me: O Muhammad, raise your head, and say and it would be heard; ask and it would be granted; intercede and intercession would be accepted. So I would say: My people. my people. It would be said to me: Go and take out from it (Hell) him who has in his heart faith equal to the weight of a mustard seed. I would go and do that. I would again return to my Lord and extol Him with those praises. I would then fall in prostration. It would be said to me: O Muhammad, raisevour head: say, and you would be listened to; ask and it would be granted; intercede and intercession would be accepted. I would say: My Lord, my people, my people. It would be said to me: Go, and bring out of the Fire him who has in his heart as much faith as the smallest, smallest, smallest grain of mustard seed. I would go and do that. This is the hadith which Anas narrated to us. We went out of his (house) and when we reached the upper part of Jabban (graveyard) we said: Would that we meet Hasan and salute him and he was hiding in the house of Abu Khalifa. He (Ma'bad b. Hilal, the narrator) said: We went to him and greeted him and we said: O Abu Sa'id, we come from your brother Abu Hamza (kunya of Anas), and we have never heard a hadith like this relating to intercession, which he has narrated to us. He said: Narrate it, we narrated the hadith. He said: Narrate it (still further). We said: He did not (narrate it) before us more than this. He said: He (Anas) had narrated it to us twenty years back, when he was strong and healthy. He has in fact missed something. I cannot make out whether the old man has forgotten or he has (intentionally) avoided to narrate it to you lest you should rely (absolutely) upon it (and abandon doing good deeds). We said to him: Relate that to us, and he laughed and said: There is haste in the nature of man. I did not make mention of it to you but for the fact that I wanted to narrate that to you (and added that the Prophet said): I would then return to my Lord for the fourth time and extol Him with these praises. I would then fall in prostration. It would be said to me: O Muhammad, raise your head: say and it will be listened to; ask and it will be granted; intercede and intercession would be accepted. I would say: O my Lord, permit me regarding him who professed: There is no god but Allah. He (the Lord) would say: That is not for thee or that is not what lies with thee, but by My Honour, Glory, Greatness and Might, I would certainly take him out who professed it: There is no god but Allah. He (the narrator, Ma'bad) said: I hear testimony to the fact that the hadith transmitted to us-by Hasan was heard by him from Anas b. Malik and I can see that he reported it twenty years back, when he was hale and hearty.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মা'বাদ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৭৬। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘরে কিছু মাংস (হাদিয়া) এল, তার সামনে সামনের রান পেশ করা হলো। (ছাগলের) মাংস তার কাছে খুবই পছন্দনীয় ছিল। এরপর তিনি তা থেকে এক কামড় গ্রহণ করলেন। তারপর বললেন, কিয়ামত দিবসে আমিই হব সকল মানুষের সর্দার। তা কিভাবে তোমরা জানো? কিয়ামত দিবসে যখন আল্লাহ তা’আলা শুরু থেকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত সকল মানুষকে একই মাঠে এমনভাবে জমায়েত করবেন যে, একজনের আহবান সকলে শুনতে পাবে, একজনের আহবান সকলকে দেখতে পাবে। সূর্য নিকটবতী হবে। মানুষ অসহনীয় ও চরম দুঃখ-কটূ ও পেরেশানীতে নিপতিত হবে। নিজেরা পরস্পর বলাবলি করবে, কী দুর্দশায় তোমরা আছ, দেখছ না? কী অবস্থায় তোমরা পৌছেছ উপলব্ধি করছ না? এমন কাউকে দেখছ না, যিনি তোমাদের পরওয়ারদিগারের কাছে তোমাদের জন্য সুপারিশ করবেন?

তারপর একজন আরেকজনকে বলবে, চল, আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাই। অনন্তর তারা আদম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে এবং বলবে, হে আদম! আপনি মানবকুলের পিতা, আল্লাহ- স্বহস্তে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনার দেহে রুহ ফুকে দিয়েছেন। আপনাকে সিজদা করার জন্য ফেরেশতাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন; তাঁরা আপনাকে সিজদা করেছে। আপনি দেখছেন না আমরা কি কষ্টে আছি? আপনি দেখছেন না আমরা কষ্টের কোন সীমায় পৌছেছি? আদম (আলাইহিস সালাম) উত্তরে বলবেনঃ আজ পরওয়ারদিগার এত বেশি ক্রোধাম্বিত আছেন যা পূর্বে কখনো হননি, আর পরেও কখনও হবেন না। তিনি আমাকে একটি বৃক্ষের ফল খেতে নিষেধ করেছিলেন, আর আমি সেই নিষেধ লঙ্ঘন করে ফেলেছি, ’নাফসী’, নাফসী’, আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান। তোমরা অন্য কারো কাছে গিয়ে চেষ্টা কর, তোমরা নূহের কাছে যাও।

তখন তারা নূহ (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে; বলবে, হে নূহ! আপনি আমাদের প্রথম রাসুল। আল্লাহ আপনাকে “চির কৃতজ্ঞ বান্দা” বলে উপাধি দিয়েছেন। আপনার পরুওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি? অ্যমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে পৌছেছে? নূহ (আলাইহিস সালাম) বলবেনঃ আজ আমার পরওয়ারদিগার এত ক্রোধানিত আছেন যে এমন পূর্বেও কখনো হননি আর কখনও হবেন না। আমাকে তিনি একটি দুঁআ কবুলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আর তা আমি আমার জাতির বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে ফেলেছি ’নাফসী’, ’নাফসী’, (আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান) তোমরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও।

তখন তারা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। বলবে, হে ইবরাহীম! আপনি আল্লাহর নবী পৃথিবীবাসীর মধ্যে আপনি আল্লাহর খলীল ও অন্তরঙ্গ বন্ধু। আপনি আপনার পরওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে পৌছেছে? ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে বলবেনঃ আল্লাহ আজ এতই ক্রোধানিত আছেন যে, পূর্বে এমন কখনও হন নাই আর পরেও কখনও হবেন না। তিনি তাঁর কিছুঁ বহ্যিক অসত্য কথনের বিষয় উল্লেখ করবেন। বলবেন, -’নাফসী”, ’নাফসী’ (আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান) তোমরা অন্য কারো কাছে যাও। মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও।

তারা মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে, বলবে, হে মূসা! আপনি আল্লাহর রাসুল, আপনাকে তিনি তাঁর রিসালাত ও কালাম দিয়ে মানুষের উপর মর্যাদা দিয়েছেন। আপনার পরওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে পৌছেছে? মূসা (আলাইহিস সালাম) তাদেরকে বলবেনঃ আজ আল্লাহ এতই ক্রোধানিত অবস্থায় আছেন যে, পূর্বে এমন কখনো হন নাই আর পরেও কখনো হবেন না। আমি তার হুকুমের পূর্বে এক ব্যাক্তিকে হত্যা করে ফেলেছিলাম। ’নাফসী’, ’নাফসী’ (আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান) তোমরা ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর কাছে যাও।

তারা ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে এবং বলবে, হে ঈসা! আপনি আল্লাহর রাসূল, দোলনায় অবস্থানকালেই আপনি মানুষের সাথে বাক্যালাপ করেছেন, আপনি আল্লাহর দেওয়া বানী, যা তিনি মারইয়ামের গর্ভে ঢেলে দিয়েছিলেন, আপনি তাঁর দেওয়া আত্মা। সুতরাং আপনার পরওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদের অবস্থা কোন অবস্থায় পৌছেছে? ঈসা (আলাইহিস সালাম) বলবেনঃ আজ আল্লাহ তা’আলা এতই ক্রোধান্বিত অবস্থায় আছেন যে, এরুপ না পূর্বে কখনও হয়েছেন, আর না পরে কখনো হবেন। উল্লেখ্য, তিনি কোন অপরাধের কথা উল্লেখ করবেন না। তিনি বলবেন, ’নাফসী’, ’নাফসী’ (আজ আমার চিন্তায় আমি পেরেশান) তোমরা জন্য কারো কাছে যাও।

মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে যাও। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তখন তারা আমার কাছে আসবে এবং বলবে, হে মুহাম্মাদ! আপনি আল্লাহর রাসুল, শেষ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আল্লাহ আপনার পূর্বাপর সকল ক্রটি ক্ষমা করে দিয়েছেন। আপনি আপনার পরওয়ারদিগারের কাছে আমাদের জন্য সুপারিশ করুন। দেখছেন না, আমরা কোন অবস্থায় আছি এবং আমাদের অবস্থা কোন পর্যায়ে পৌছেছে? তখন আমি সুপারিশের জন্য যাব এবং আরশের নিচে এসে পরওয়ারদিগারের উদ্দেশে সিজদাবনত হব। আল্লাহ আমার অন্তরকে সূপ্রশস্ত করে দিবেন এবং সর্বোত্তম প্রশংসা ও হামদ জ্ঞাপনের ইলহাম করবেন, যা ইতিপূর্বে কাউকেই দেয়া হয়নি। এরপর আল্লাহ বলবেন, হে মুহাম্মাদ! মাথা উত্তোলন করুন, প্রার্থনা করুন, আপনার প্রার্থনা কবুল করা হবে। সুপারিশ করুন, আপনার সুপারিশ “গ্রহণ করা হবে”।

অনন্তর আমি। মাথা তুলব। বলবঃ হে পরওয়ারদিগার! উম্মাতী, উম্মাতী, (আমার উাম্মাত, আমার উম্মাত, এদেরকে মুক্তি দান করুন)। আল্লাহ বলবেন, হে মুহাম্মদ! আপনার উম্মতের যাদের উপর কোন হিসাব নেই, তাদেরকে জান্নাতের ডান দরজা দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দিন। অবশ্য অন্য তোরণ দিয়েও অন্যান্য লোকের সঙ্গে তারা প্রবেশ করতে পারবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ শপথ সে সত্তার, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, জান্নাতের দুই চৌকাঠের মধ্যকার দূরত্ব মক্কার ও হাজরের দূরত্বের মত; অথবা বর্ণনাকারী বলেন, মক্কা ও বসরার দূরত্বের মত।*

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، - وَاتَّفَقَا فِي سِيَاقِ الْحَدِيثِ إِلاَّ مَا يَزِيدُ أَحَدُهُمَا مِنَ الْحَرْفِ بَعْدَ الْحَرْفِ - قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا بِلَحْمٍ فَرُفِعَ إِلَيْهِ الذِّرَاعُ وَكَانَتْ تُعْجِبُهُ فَنَهَسَ مِنْهَا نَهْسَةً فَقَالَ ‏ "‏ أَنَا سَيِّدُ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَهَلْ تَدْرُونَ بِمَ ذَاكَ يَجْمَعُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ فَيُسْمِعُهُمُ الدَّاعِي وَيَنْفُذُهُمُ الْبَصَرُ وَتَدْنُو الشَّمْسُ فَيَبْلُغُ النَّاسَ مِنَ الْغَمِّ وَالْكَرْبِ مَا لاَ يُطِيقُونَ وَمَا لاَ يَحْتَمِلُونَ فَيَقُولُ بَعْضُ النَّاسِ لِبَعْضٍ أَلاَ تَرَوْنَ مَا أَنْتُمْ فِيهِ أَلاَ تَرَوْنَ مَا قَدْ بَلَغَكُمْ أَلاَ تَنْظُرُونَ مَنْ يَشْفَعُ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ فَيَقُولُ بَعْضُ النَّاسِ لِبَعْضٍ ائْتُوا آدَمَ ‏.‏ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُو الْبَشَرِ خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ وَأَمَرَ الْمَلاَئِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى إِلَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ آدَمُ إِنَّ رَبِّي غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنَّهُ نَهَانِي عَنِ الشَّجَرَةِ فَعَصَيْتُهُ نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى نُوحٍ ‏.‏ فَيَأْتُونَ نُوحًا فَيَقُولُونَ يَا نُوحُ أَنْتَ أَوَّلُ الرُّسُلِ إِلَى الأَرْضِ وَسَمَّاكَ اللَّهُ عَبْدًا شَكُورًا اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ لَهُمْ إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنَّهُ قَدْ كَانَتْ لِي دَعْوَةٌ دَعَوْتُ بِهَا عَلَى قَوْمِي نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى إِبْرَاهِيمَ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَيَأْتُونَ إِبْرَاهِيمَ فَيَقُولُونَ أَنْتَ نَبِيُّ اللَّهِ وَخَلِيلُهُ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى إِلَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ لَهُمْ إِبْرَاهِيمُ إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلاَ يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ ‏.‏ وَذَكَرَ كَذَبَاتِهِ نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى مُوسَى ‏.‏ فَيَأْتُونَ مُوسَى صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُونَ يَا مُوسَى أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ فَضَّلَكَ اللَّهُ بِرِسَالاَتِهِ وَبِتَكْلِيمِهِ عَلَى النَّاسِ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ لَهُمْ مُوسَى صلى الله عليه وسلم إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَإِنِّي قَتَلْتُ نَفْسًا لَمْ أُومَرْ بِقَتْلِهَا نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى عِيسَى صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَيَأْتُونَ عِيسَى فَيَقُولُونَ يَا عِيسَى أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ وَكَلَّمْتَ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَلِمَةٌ مِنْهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ فَاشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَيَقُولُ لَهُمْ عِيسَى صلى الله عليه وسلم إِنَّ رَبِّي قَدْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَنْ يَغْضَبَ بَعْدَهُ مِثْلَهُ - وَلَمْ يَذْكُرْ لَهُ ذَنْبًا - نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي اذْهَبُوا إِلَى مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم فَيَأْتُونِّي فَيَقُولُونَ يَا مُحَمَّدُ أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ وَخَاتَمُ الأَنْبِيَاءِ وَغَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ اشْفَعْ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ أَلاَ تَرَى مَا قَدْ بَلَغَنَا فَأَنْطَلِقُ فَآتِي تَحْتَ الْعَرْشِ فَأَقَعُ سَاجِدًا لِرَبِّي ثُمَّ يَفْتَحُ اللَّهُ عَلَىَّ وَيُلْهِمُنِي مِنْ مَحَامِدِهِ وَحُسْنِ الثَّنَاءِ عَلَيْهِ شَيْئًا لَمْ يَفْتَحْهُ لأَحَدٍ قَبْلِي ثُمَّ يُقَالُ يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ سَلْ تُعْطَهْ اشْفَعْ تُشَفَّعْ ‏.‏ فَأَرْفَعُ رَأْسِي فَأَقُولُ يَا رَبِّ أُمَّتِي أُمَّتِي ‏.‏ فَيُقَالُ يَا مُحَمَّدُ أَدْخِلِ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِكَ مَنْ لاَ حِسَابَ عَلَيْهِ مِنَ الْبَابِ الأَيْمَنِ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ وَهُمْ شُرَكَاءُ النَّاسِ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ مِنَ الأَبْوَابِ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّ مَا بَيْنَ الْمِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ لَكَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَهَجَرٍ أَوْ كَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَبُصْرَى ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، ومحمد بن عبد الله بن نمير، - واتفقا في سياق الحديث الا ما يزيد احدهما من الحرف بعد الحرف - قالا حدثنا محمد بن بشر حدثنا ابو حيان عن ابي زرعة عن ابي هريرة قال اتي رسول الله صلى الله عليه وسلم يوما بلحم فرفع اليه الذراع وكانت تعجبه فنهس منها نهسة فقال ‏ "‏ انا سيد الناس يوم القيامة وهل تدرون بم ذاك يجمع الله يوم القيامة الاولين والاخرين في صعيد واحد فيسمعهم الداعي وينفذهم البصر وتدنو الشمس فيبلغ الناس من الغم والكرب ما لا يطيقون وما لا يحتملون فيقول بعض الناس لبعض الا ترون ما انتم فيه الا ترون ما قد بلغكم الا تنظرون من يشفع لكم الى ربكم فيقول بعض الناس لبعض اىتوا ادم ‏.‏ فياتون ادم فيقولون يا ادم انت ابو البشر خلقك الله بيده ونفخ فيك من روحه وامر الملاىكة فسجدوا لك اشفع لنا الى ربك الا ترى الى ما نحن فيه الا ترى الى ما قد بلغنا فيقول ادم ان ربي غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله ولن يغضب بعده مثله وانه نهاني عن الشجرة فعصيته نفسي نفسي اذهبوا الى غيري اذهبوا الى نوح ‏.‏ فياتون نوحا فيقولون يا نوح انت اول الرسل الى الارض وسماك الله عبدا شكورا اشفع لنا الى ربك الا ترى ما نحن فيه الا ترى ما قد بلغنا فيقول لهم ان ربي قد غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله ولن يغضب بعده مثله وانه قد كانت لي دعوة دعوت بها على قومي نفسي نفسي اذهبوا الى ابراهيم صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فياتون ابراهيم فيقولون انت نبي الله وخليله من اهل الارض اشفع لنا الى ربك الا ترى الى ما نحن فيه الا ترى الى ما قد بلغنا فيقول لهم ابراهيم ان ربي قد غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله ولا يغضب بعده مثله ‏.‏ وذكر كذباته نفسي نفسي اذهبوا الى غيري اذهبوا الى موسى ‏.‏ فياتون موسى صلى الله عليه وسلم فيقولون يا موسى انت رسول الله فضلك الله برسالاته وبتكليمه على الناس اشفع لنا الى ربك الا ترى الى ما نحن فيه الا ترى ما قد بلغنا فيقول لهم موسى صلى الله عليه وسلم ان ربي قد غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله ولن يغضب بعده مثله واني قتلت نفسا لم اومر بقتلها نفسي نفسي اذهبوا الى عيسى صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فياتون عيسى فيقولون يا عيسى انت رسول الله وكلمت الناس في المهد وكلمة منه القاها الى مريم وروح منه فاشفع لنا الى ربك الا ترى ما نحن فيه الا ترى ما قد بلغنا فيقول لهم عيسى صلى الله عليه وسلم ان ربي قد غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله ولن يغضب بعده مثله - ولم يذكر له ذنبا - نفسي نفسي اذهبوا الى غيري اذهبوا الى محمد صلى الله عليه وسلم فياتوني فيقولون يا محمد انت رسول الله وخاتم الانبياء وغفر الله لك ما تقدم من ذنبك وما تاخر اشفع لنا الى ربك الا ترى ما نحن فيه الا ترى ما قد بلغنا فانطلق فاتي تحت العرش فاقع ساجدا لربي ثم يفتح الله على ويلهمني من محامده وحسن الثناء عليه شيىا لم يفتحه لاحد قبلي ثم يقال يا محمد ارفع راسك سل تعطه اشفع تشفع ‏.‏ فارفع راسي فاقول يا رب امتي امتي ‏.‏ فيقال يا محمد ادخل الجنة من امتك من لا حساب عليه من الباب الايمن من ابواب الجنة وهم شركاء الناس فيما سوى ذلك من الابواب والذي نفس محمد بيده ان ما بين المصراعين من مصاريع الجنة لكما بين مكة وهجر او كما بين مكة وبصرى ‏"‏ ‏.‏


Abu Huraira reported:
Meat was one day brought to the Messenger of Allah (ﷺ) and a foreleg was offered to him, a part which he liked. He sliced with his teeth a piece out of it and said: I shall be the leader of mankind on the Day of Resurrection. Do you know why? Allah would gather in one plain the earlier and the later (of the human race) on the Day of Resurrection. Then the voice of the proclaimer would be heard by all of them and the eyesight would penetrate through all of them and the sun would come near. People would then experience a degree of anguish, anxiety and agony which they shall not be able to bear and they shall not be able to stand. Some people would say to the others: Don you see in which trouble you are? Don't you see what (misfortune) has overtaken you? Why don't you find one who should intercede for you with your Lord? Some would say to the others: Go to Adam. And they would go to Adam and say: O Adam, thou art the father of mankind. Allah created thee by His own Hand and breathed in thee of His spirit and ordered the angels to prostrate before thee. Intercede for us with thy Lord Don't you see in what (trouble) we are? Don't you see what (misfortune) has overtaken us? Adam would say: Verily, my Lord is angry, to an extent to which He had never been angry before nor would He be angry afterward. Verily, He forbade me (to go near) that tree and I disobeyed Him. I am concerned with my own self. Go to someone else; go to Noah. They would come to Noah and would say: O Noah, thou art the first of the Messengers (sent) on the earth (after Adam), and Allah named thee as a" Grateful Servant," intercede for us with thy Lord. Don't you see in what (trouble) we are? Don't you see what (misfortune) has overtaken us? He would say: Verily, my Lord is angry today as He had never been angry before, and would never be angry afterwards. There had emanated a curse from me with which I cursed my people. I am concerned with only myself, I am concerned only with myself; you better go to Ibrahim (peace be upon him). They would go to Ibrahim and say: Thou art the apostle of Allah and His Friend amongst the inhabitants of the earth; intercede for us with thy Lord. Don't you see in which (trouble) we are? Don't you see what (misfortune) has overtaken us? Ibrahim would say to them: Verily, my Lord is today angry as He had never been angry before and would never be angry afterwards. and (Ibrahim) would mention his lies (and then say): I am concerned only with myself, I am concerned only with myself. You better go to someone else: go to Moses. They would come to Moses (peace be upon him) and say: O Moses, thou art Allah's messenger, Allah blessed thee with His messengership and His conversation amongst people. Intercede for us with thy Lord. Don't you see in what (trouble) we are? Don't you see what (misfortune) has overtaken us? Moses (peace be upon him) would say to them: Verily. my Lord is angry as He had never been angry before and would never be angry afterwards. I, in fact, killed a person whom I had not been ordered to kill. I am concerned with myself, I am concerned with myself. You better go to Jesus (peace be upon him). They would come to Jesus and would say: O Jesus, thou art the messenger of Allah and thou conversed with people in the cradle, (thou art) His Word which I-Ie sent down upon Mary. and (thou art) the Spirit from Him; so intercede for us with thy Lord. Don't you see (the trouble) in which we are? Don't you see (the misfortune) that has overtaken us? Jesus (peace be upon him) would say: Verily, my Lord is angry today as He had never been angry before or would ever be angry afterwards. He mentioned no sin of his. (He simply said: ) I am concerned with myself, I am concerned with myself; you go to someone else: better go to Muhammad (ﷺ). They would come to me and say: O Mahammad, thou art the messenger of Allah and the last of the apostles. Allah has pardoned thee all thy previous and later sins. Intercede for us with thy Lord; don't you see in which (trouble) we are? Don't you see what (misfortune) has overtaken us? I shall then set off and come below the Throne and fall down prostrate before my Lord; then Allah would reveal to me and inspire me with some of His Praises and Glorifications which He had not revealed to anyone before me. He would then say: Muhammad, raise thy head; ask and it would be granted; intercede and intercession would be accepted I would then raise my head and say: O my Lord, my people, my people. It would be said: O Muhammad, bring in by the right gate of Paradise those of your people who would have no account to render. They would share with the people some other door besides this door. The Prophet then said: By Him in Whose Hand is the life of Muhammad, verify the distance between two door leaves of the Paradise is as great as between Mecca and Hajar, or as between Mecca and Busra.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৭৭। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেঁন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সম্মুখে সারীদ ও মাংসের একটি পেয়ালা পেশ করা হলে তিনি তা থেকে মাংসের একটি বাহু নিয়ে এক কামড় গ্রহণ করলেন। আর বকরীর গোশতের মধ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে বাহু অধিকতর পছন্দনীয় ছিল। তিনি ইরশাদ করলেনঃ কিয়ামতের দিন আমি হব সকল মানুষের সর্দার। এরপর আরেক কামড় গ্রহণ করে বললেনঃ কিয়ামতের দিন আমি হব সকল মানুষের সর্দার। তিনি যখন দেখলেন সাহাবীগণ কোন প্রশ্ন করছেন না, তখন নিজেই বললেন, তোমরা কেন জিজ্ঞাসা করছ না যে তা কেমন করে হবে? সাহাবীগন বললেন, বলুন হে আল্লাহর রাসুল! তা কিভাবে হবে? রাসুলুল্লাহ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উত্তর করলেনঃ হাশরের ময়দানে সকল মানুষ আল্লাহর সম্মুখে উপস্থিত হবে। অবশিষ্টাংশ আবূ হায়্যান ... আবূ যুর’আ সূত্রে বর্ণিত হাদীসেরই অনুরূপ।

তবে এ হাদীসে ইবরাহিম (আলাইহিস সালাম) প্রসঙ্গে তিনি নক্ষত্র সম্পর্কে বলেছিলেন, এটি আমার প্রতিপালক; দেব—দেবীর সম্পর্কে বলেছিলেন, "বরঞ্চ এদের বড়টাই তো হত্যা করেছে ও আমি অসুস্থ"-এ কথা অতিরিক্ত আছে। শপথ সে সত্তার, যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ, জান্নাতের দু’চৌকাঠের মধ্যকার দূরত্ব মক্কা ও হাজরের দূরত্বের মত বা হাজর ও মক্কার দুরত্বের মত, কোনটি বলেছেন আমি জানিনা।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ وُضِعَتْ بَيْنَ يَدَىْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَصْعَةٌ مِنْ ثَرِيدٍ وَلَحْمٍ فَتَنَاوَلَ الذِّرَاعَ وَكَانَتْ أَحَبَّ الشَّاةِ إِلَيْهِ فَنَهَسَ نَهْسَةً فَقَالَ ‏"‏ أَنَا سَيِّدُ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ نَهَسَ أُخْرَى فَقَالَ ‏"‏ أَنَا سَيِّدُ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ‏"‏ ‏.‏ فَلَمَّا رَأَى أَصْحَابَهُ لاَ يَسْأَلُونَهُ قَالَ ‏"‏ أَلاَ تَقُولُونَ كَيْفَهْ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا كَيْفَهْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ يَقُومُ النَّاسُ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ ‏"‏ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي حَيَّانَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ وَزَادَ فِي قِصَّةِ إِبْرَاهِيمَ فَقَالَ وَذَكَرَ قَوْلَهُ فِي الْكَوْكَبِ هَذَا رَبِّي ‏.‏ وَقَوْلَهُ لآلِهَتِهِمْ بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا ‏.‏ وَقَوْلَهُ إِنِّي سَقِيمٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ إِنَّ مَا بَيْنَ الْمِصْرَاعَيْنِ مِنْ مَصَارِيعِ الْجَنَّةِ إِلَى عِضَادَتَىِ الْبَابِ لَكَمَا بَيْنَ مَكَّةَ وَهَجَرٍ أَوْ هَجَرٍ وَمَكَّةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَ ‏.‏

وحدثني زهير بن حرب، حدثنا جرير، عن عمارة بن القعقاع، عن ابي زرعة، عن ابي هريرة، قال وضعت بين يدى رسول الله صلى الله عليه وسلم قصعة من ثريد ولحم فتناول الذراع وكانت احب الشاة اليه فنهس نهسة فقال ‏"‏ انا سيد الناس يوم القيامة ‏"‏ ‏.‏ ثم نهس اخرى فقال ‏"‏ انا سيد الناس يوم القيامة ‏"‏ ‏.‏ فلما راى اصحابه لا يسالونه قال ‏"‏ الا تقولون كيفه ‏"‏ ‏.‏ قالوا كيفه يا رسول الله قال ‏"‏ يقوم الناس لرب العالمين ‏"‏ ‏.‏ وساق الحديث بمعنى حديث ابي حيان عن ابي زرعة وزاد في قصة ابراهيم فقال وذكر قوله في الكوكب هذا ربي ‏.‏ وقوله لالهتهم بل فعله كبيرهم هذا ‏.‏ وقوله اني سقيم ‏.‏ قال ‏"‏ والذي نفس محمد بيده ان ما بين المصراعين من مصاريع الجنة الى عضادتى الباب لكما بين مكة وهجر او هجر ومكة ‏"‏ ‏.‏ قال لا ادري اى ذلك قال ‏.‏


It is reported on the authority of Abu Huraira that there was placed before the Messenger of Allah a cup of soft bread, soup and meat. He took part of the foreleg which he liked most. He sliced (with his teeth) a slice (out of that) and said:
I would be the leader of mankind on the Day of Resurrection. He then sliced (that meat) for the second time and said: I am the leader of mankind on the Day of Resurrection. When he saw that his companions did not ask him (about this assertion) he said: Why don't you say: How would that be? They said: How would be it, Messenger of Allah? He said: People would stand before the Lord of the worlds. And the rest of the hadith was narrated like the one transmitted by Abu Hayyan, on the authority of Abu Zur'a, and in the story of Ibrahim, this addition was made. He said and made mention of his words with regard to the star: This is my Lord. And his words with regard to their gods: But the big among them has done that. And his words: I am ailing. He (the Holy Prophet) said: By Him in Whose Hand is the life of Muhammad, the distance between two leaves of the door from their supporting frames is as the distance between Mecca and Hajar or Hajar and Mecca. I do not remember how he said it (whether Mecca and Hajar or Hajar and Mecca).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৭৮ মুহাম্মাদ ইবনু তারীফ ইবনু খলীফা আল-বাজালী ও আবূ মালিক (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আল্লাহ তা’আলা সকল মানুষকে একত্র করবেন। মুমিনগণ দাঁড়িয়ে থাকবে। জান্নাত তাদের নিকটবতী করা হবে। অবশেষে সবাই আদমের কাছে এসে বলবে, আমাদের জন্য জান্নাত খুলে দেওয়ার প্রার্থনা করুন। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেন, তোমাদের পিতা আদমের পদন্থলনের কারনেই আমাদেরকে জান্নাত হতে বের করে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং আমি এর যোগ্য নই। তোমরা আমার পুত্র ইব্রাহীমের কাছে যাও। তিনি আল্লাহর বন্ধু।

[এরপর সবাই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এর কাছে এলে] তিনি বলবেনঃ না, আমিও এর যোগ্য নই, আমি আল্লাহর বন্ধু ছিলাম বটে, তবে তা ছিল অন্তরাল থেকে। তোমরা মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে যাও। কারণ তিনি আল্লাহর সাথে সরাসরি বাক্যালাপ করতেন। সবাই মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে আসবে। বলবেনঃ আমিও এর যোগ্য নই; বরং তোমরা ঈসার কাছে যাও। আল্লাহর দেওয়া কালিমা ও রুহ। সবাই তাঁর কাছে আসলে তিনি বলবেনঃ আমিও তার উপযুক্ত নই। তখন সকলে মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে আসবে। তিনি দু’আর নিমিত্তে দাড়াবেন এবং তাঁকে অনুমতি প্রদান করা হবে। আমানতকারী আত্নীয়তার সম্পর্ক পুলসিরাতের ডানে-বামে এসে দাঁড়াবে। আর তোমাদের প্রথম দলটি এ সিরাত বিদ্যুৎ গতিতে পার হয়ে যাবে।

সাহাবী বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনার জন্য আমার পিতামাতা উৎসর্গ হউক। আমাকে বলে দিন “বিদ্যুৎ গতির ন্যায়” কথাটির অর্থ কি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আকাশের বিদ্যুৎ চমক কি কখনো দেখনি? চক্ষের পলকে এখান থেকে সেখানে চলে যায় আবার ফিরে আসে। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এর পরবর্তী দলগুলি যথাক্রমে বায়ুর বেগে, পাখির গতিতে, তারপর লম্বা দৌড়ের গতিতে পার হয়ে! যাবে। প্রত্যেকেই তার আমল হিসাবে তা অতিক্রম করবে। আর তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে অবস্থায় পুলসিরাতের উপর দাঁড়িয়ে এ দুআ করতে থাকবেঃ আল্লাহ এদেরকে নিরাপদে পৌছে দিন, এদেরকে নিরাপদে পৌছে দিন, এদেরকে নিরাপদে পৌছে দিন। এরুপে মানুষের আমল মানুষকে চলতে অক্ষম করে দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত তারা এ সিরাত অতিক্রম করতে থাকবে।

শেষে এক ব্যাক্তিকে দেখা যাবে, সে নিতম্বের উপর ভর করে পথ অতিক্রম করছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেনঃ সিরাতের উভয় পার্শের ঝূলান থাকবে কাঁটাযুক্ত লৌহশলাকা। এরা আল্লাহর নির্দেশত্রুমে চিহ্নিত পাপীদেরকে পাকড়াও করবে। তন্মধ্যে কাউকে তো ক্ষত-বিক্ষত করেই ছেড়ে দিবে; সে নাজাত পাবে। আর কতক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে জাহান্নামের গর্ভে নিক্ষিপ্ত হবে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, শপথ সে সত্তার, যার হাতে আবূ হুরায়রার প্রাণ। জেনে রাখ, জাহান্নামের গভীরতা সত্তর খারীফ (অর্থাৎ সত্তর হাজার বছরের পথ তুল্য। )

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَرِيفِ بْنِ خَلِيفَةَ الْبَجَلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مَالِكٍ الأَشْجَعِيُّ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَأَبُو مَالِكٍ عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالاَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَجْمَعُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى النَّاسَ فَيَقُومُ الْمُؤْمِنُونَ حَتَّى تُزْلَفَ لَهُمُ الْجَنَّةُ فَيَأْتُونَ آدَمَ فَيَقُولُونَ يَا أَبَانَا اسْتَفْتِحْ لَنَا الْجَنَّةَ ‏.‏ فَيَقُولُ وَهَلْ أَخْرَجَكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ إِلاَّ خَطِيئَةُ أَبِيكُمْ آدَمَ لَسْتُ بِصَاحِبِ ذَلِكَ اذْهَبُوا إِلَى ابْنِي إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ اللَّهِ - قَالَ - فَيَقُولُ إِبْرَاهِيمُ لَسْتُ بِصَاحِبِ ذَلِكَ إِنَّمَا كُنْتُ خَلِيلاً مِنْ وَرَاءَ وَرَاءَ اعْمِدُوا إِلَى مُوسَى صلى الله عليه وسلم الَّذِي كَلَّمَهُ اللَّهُ تَكْلِيمًا ‏.‏ فَيَأْتُونَ مُوسَى صلى الله عليه وسلم فَيَقُولُ لَسْتُ بِصَاحِبِ ذَلِكَ اذْهَبُوا إِلَى عِيسَى كَلِمَةِ اللَّهِ وَرُوحِهِ ‏.‏ فَيَقُولُ عِيسَى صلى الله عليه وسلم لَسْتُ بِصَاحِبِ ذَلِكَ ‏.‏ فَيَأْتُونَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَيَقُومُ فَيُؤْذَنُ لَهُ وَتُرْسَلُ الأَمَانَةُ وَالرَّحِمُ فَتَقُومَانِ جَنَبَتَىِ الصِّرَاطِ يَمِينًا وَشِمَالاً فَيَمُرُّ أَوَّلُكُمْ كَالْبَرْقِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي أَىُّ شَىْءٍ كَمَرِّ الْبَرْقِ قَالَ ‏"‏ أَلَمْ تَرَوْا إِلَى الْبَرْقِ كَيْفَ يَمُرُّ وَيَرْجِعُ فِي طَرْفَةِ يْنٍ ثُمَّ كَمَرِّ الرِّيحِ ثُمَّ كَمَرِّ الطَّيْرِ وَشَدِّ الرِّجَالِ تَجْرِي بِهِمْ أَعْمَالُهُمْ وَنَبِيُّكُمْ قَائِمٌ عَلَى الصِّرَاطِ يَقُولُ رَبِّ سَلِّمْ سَلِّمْ حَتَّى تَعْجِزَ أَعْمَالُ الْعِبَادِ حَتَّى يَجِيءَ الرَّجُلُ فَلاَ يَسْتَطِيعُ السَّيْرَ إِلاَّ زَحْفًا - قَالَ - وَفِي حَافَتَىِ الصِّرَاطِ كَلاَلِيبُ مُعَلَّقَةٌ مَأْمُورَةٌ بِأَخْذِ مَنْ أُمِرَتْ بِهِ فَمَخْدُوشٌ نَاجٍ وَمَكْدُوسٌ فِي النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ وَالَّذِي نَفْسُ أَبِي هُرَيْرَةَ بِيَدِهِ إِنَّ قَعْرَ جَهَنَّمَ لَسَبْعُونَ خَرِيفًا ‏.‏

حدثنا محمد بن طريف بن خليفة البجلي، حدثنا محمد بن فضيل، حدثنا ابو مالك الاشجعي، عن ابي حازم، عن ابي هريرة، وابو مالك عن ربعي، عن حذيفة، قالا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يجمع الله تبارك وتعالى الناس فيقوم المومنون حتى تزلف لهم الجنة فياتون ادم فيقولون يا ابانا استفتح لنا الجنة ‏.‏ فيقول وهل اخرجكم من الجنة الا خطيىة ابيكم ادم لست بصاحب ذلك اذهبوا الى ابني ابراهيم خليل الله - قال - فيقول ابراهيم لست بصاحب ذلك انما كنت خليلا من وراء وراء اعمدوا الى موسى صلى الله عليه وسلم الذي كلمه الله تكليما ‏.‏ فياتون موسى صلى الله عليه وسلم فيقول لست بصاحب ذلك اذهبوا الى عيسى كلمة الله وروحه ‏.‏ فيقول عيسى صلى الله عليه وسلم لست بصاحب ذلك ‏.‏ فياتون محمدا صلى الله عليه وسلم فيقوم فيوذن له وترسل الامانة والرحم فتقومان جنبتى الصراط يمينا وشمالا فيمر اولكم كالبرق ‏"‏ ‏.‏ قال قلت بابي انت وامي اى شىء كمر البرق قال ‏"‏ الم تروا الى البرق كيف يمر ويرجع في طرفة ين ثم كمر الريح ثم كمر الطير وشد الرجال تجري بهم اعمالهم ونبيكم قاىم على الصراط يقول رب سلم سلم حتى تعجز اعمال العباد حتى يجيء الرجل فلا يستطيع السير الا زحفا - قال - وفي حافتى الصراط كلاليب معلقة مامورة باخذ من امرت به فمخدوش ناج ومكدوس في النار ‏"‏ ‏.‏ والذي نفس ابي هريرة بيده ان قعر جهنم لسبعون خريفا ‏.‏


It is narrated on the authority of Abu Huraira and Hudhaifa that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
Allah, the Blessed and Exalted, would gather people. The believers would stand till the Paradise would be brought near them. They would come to Adam and say: O our father, open for us the Paradise. He would say: What turned ye out from the Paradise was the sin of your father Adam. I am not in a position to do that; better go to my son Ibrahim, the Friend of Allah. He (the Holy Prophet) said: He (Ibrahim) would say: I am not in a position to do that. Verily I had been the Friend (of Allah) from beyond, beyond; you better approach Moses (peace be upon him) with whom Allah conversed. They would come to Moses (peace be upon him), but he would say: I am not in a position to do that; you better go to Jesus, the Word of Allah and His Spirit. Jesus (peace be upon him) would say: I am not in a position to do that. So they would come to Muhammad (ﷺ). He would then be permitted (to open the door of Paradise). Trustworthiness and kinship would be despatched, and these would stand on the right and left of the Path and the first of you would pass with (the swiftness) of lightning. He (the narrator) said: I said, O thou who art far dearer to me than my father and my mother I which thing is like the passing of lightning? He said: Have you not seen lightning, how it passes and then comes back within the twinkling of an eye? Then (they would pass) like the passing of the wind, then like the passing of a bird, and the hastening of persons would be according to their deeds, and your Apostle would be standing on the Path saying: Save, O my Lord, save. (The people would go on passing) till the deeds of the servants would be failing in strength, till a man would come who would find it hard to go along (that Path) but crawlingly. He (the narrator) said: And on the sides of the Path hooks would be suspended ready to catch anyone whom these would be required (to catch). There would be those who would somehow or other succeed in trasversing that Path and some would be piled up in Hell. By Him in Whose Hand is the life of Abu Huraira it would take one seventy years to fathom the depth of Hell.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith

পরিচ্ছেদঃ ৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী

৩৭৯। কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আমি প্রথম ব্যাক্তি যে জান্নাত সম্পর্কে আল্লাহর কাছে শাফা’আত করব। নবীগণের মধ্যে আমার অনুসারীর সংখ্যাই হবে সবচেয়ে বেশি।

باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا ‏‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الْمُخْتَارِ بْنِ فُلْفُلٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَنَا أَوَّلُ النَّاسِ يَشْفَعُ فِي الْجَنَّةِ وَأَنَا أَكْثَرُ الأَنْبِيَاءِ تَبَعًا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، واسحاق بن ابراهيم، قال قتيبة حدثنا جرير، عن المختار بن فلفل، عن انس بن مالك، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ انا اول الناس يشفع في الجنة وانا اكثر الانبياء تبعا ‏"‏ ‏.‏


Anas b. Malik reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: I would be the first among people to intercede in the Paradise and amongst the apostles I would have the largest following (on the Day of Resurrection).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ কিতাবুল ঈমান (كتاب الإيمان) 1/ The Book of Faith
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »