পরিচ্ছেদঃ ৭২. রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি অহীর সুচনা
৩০০। আবূ তাহির আহমাদ ইবনু আমর ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু সারহ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ওহীর সূচনা হয়েছিল সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে। আর তিনি যে স্বপ্নই দেখতেন, তা প্রভাত জ্যোতির মত সুষ্পষ্টরুপে সত্যে পরিণত হতো। তাঁর কাছে একাকী থাকা প্রিয় হয়ে পড়ে এবং তারপর তিনি হেরা গুহায় নির্জনে কাটাতে থাকেন। আপন পরিবারের কাছে ফিরে আসার পুর্ব পর্যন্ত সেখানে তিনি একাধারে বেশ কয়েক রাত ইবাদতে মগ্ন থাকতেন এবং এর জন্য কিছু খাদ্য-সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে যেতেন। তারপর তিনি খাদীজার কাছে ফিরে যেতেন এবং আরও কয়েকদিনের জন্য অনুরুপ খাদ্য-সামগ্রী সঙ্গে নিয়ে আসতেন। তিনি হেরা গুহায় যখন ইবাদতে রত ছিলেন, তঁখন তাঁর কাছে ফেরেশতা আসলেন। বললেনঃ পড়ুন! তিনি(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ আমি তো পড়তে জানিনা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তখন ফেরেশতা আমাকে জড়িয়ে ধরে এমন চাপ দিলেন যে, আমার খুবই কষ্ট হয়।
তারপর আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেনঃ পড়ুন! -আমি বললাম, আমি তো পড়তে সক্ষম নই। তারপর আমাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং দ্বিতীয়বারও এমন জোরে চাপ দিলেন যে, আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে। পরে ছেড়ে দিয়ে বললেনঃ পড়ুন! আমি বললাম আমি তো পড়তে পারি না। এরপর আবার আমাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং তৃতীয়বারও এমন জোরে চাপ দিলেন যে, আমার খুবই কষ্ট হল। এরপর আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেনঃ পড়ুন! আপনার প্রতিপালকের নামে, করেছেন; সৃষ্টি করেছেন মানুষকে আলাক হতে। পড়ুন! আর আপনার প্রতিপালক মহিমান্বিত, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।” (৯৬ঃ ১-৫)।
এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ওহী নিয়ে ফিরে এলেন। তার স্কন্ধের পেশিগুলো কাপছিল। খাদীজা (রাঃ)-এর কাছে এসে বললেনঃ তোমরা আমাকে চাঁদরাবৃত কর, তোমরা আমাকে চাদরাবৃত -কর, তোমরা আমাকে চাদরাবৃত কর। তাঁরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে চাদর দিয়ে ঢেকে দিলেন। অবশেষে তার ভীতি দূর হল। এরপর খাদীজা (রাঃ) কে সকল ঘটনা উল্লেখ করে বললেনঃ খাদীজা, আমার কি হল? আমি আমার নিজের উপর আশঙ্কা করছি। খাদীজা (রাঃ) বললেন না, কখনো তা হবে না; বরং সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আল্লাহর কসম! তিনি কখনো আপনাকে অপমানিত করবেন না। আল্লাহর কসম! আপনি স্বজনদের খোজখবর রাখেন, সত্য কথা বলেন, দুঃখীদের দুঃখ নিবারণ করেন, দরিদ্রদের বাঁচার ব্যবস্থা করেন, অতিথির সেবা করেন এবং প্রকৃতি দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য করেন।
এরপর খাদীজা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে ওরাকা ইবনু নাওফাল ইবনু আসা’দ ইবনু আবদুল উযযা-এর কাছে নিয়ে আসেন। ওরাকা হলেন খাদীজা (রাঃ)-এর চাচাত ভাই। ইনি জাহিলিয়াতের যুগে খৃষ্টানধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি আরবী লিখতে জানতেন এবং ইনজীল কিতাবের আরবী অনুবাদ করতেন। তিনি ছিলেন বৃদ্ধ এবং দূষ্টিশক্তিহীন হয়ে পড়েছিলেন। খাদীজা (রাঃ) তাঁকে বললেনঃ চাচা, (সম্মানার্থে চাচা বলে সম্মোধন করেছিলেন। অন্য রেওয়ায়েতে ’হে চাচাত ভাই’ এ কথার উল্লেখ রয়েছে) আপনার ভ্রাতুষ্পূত্র কি বলছে শুনুন তো! ওরাকা ইবনু নাওফাল বললেন, হে ভ্রাতুষ্পূত্র! কি দেখেছিলেন? রাসুল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যা দেখেছিলেন, সবকিছু বিবৃত করলেন।
ওরাকা বললেন, এ তো সে সংবাদবাহক যাকে আল্লাহ মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে প্রেরণ করেছিলেন। হায়! আমি যদি সে সময় যুবক থাকতাম, হায়! আমি যদি সে সময় জীবিত থাকতাম, যখন আপনার জাতিগোষ্ঠী আপনাকে দেশ থেকে বের করে দিবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সত্যি কি আমাকে তারা বের করে দিবে? ওরাকা বললেন, হ্যাঁ। যে ব্যাক্তিই আপনার মত কিছু (নবুওয়াত ও রিসালাত নিয়ে আগমন করেছে, তাঁর সঙ্গেই এরুপ দুশমনী করা হয়েছে। আর আমি যদি আপনার সে যুগ পাই, তবে আপনাকে অবশ্যই পূর্ণ সহযোগিতা করব।
باب بَدْءِ الْوَحْىِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ أَوَّلُ مَا بُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْوَحْىِ الرُّؤْيَا الصَّادِقَةَ فِي النَّوْمِ فَكَانَ لاَ يَرَى رُؤْيَا إِلاَّ جَاءَتْ مِثْلَ فَلَقِ الصُّبْحِ ثُمَّ حُبِّبَ إِلَيْهِ الْخَلاَءُ فَكَانَ يَخْلُو بِغَارِ حِرَاءٍ يَتَحَنَّثُ فِيهِ - وَهُوَ التَّعَبُّدُ - اللَّيَالِيَ أُولاَتِ الْعَدَدِ قَبْلَ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى أَهْلِهِ وَيَتَزَوَّدُ لِذَلِكَ ثُمَّ يَرْجِعُ إِلَى خَدِيجَةَ فَيَتَزَوَّدُ لِمِثْلِهَا حَتَّى فَجِئَهُ الْحَقُّ وَهُوَ فِي غَارِ حِرَاءٍ فَجَاءَهُ الْمَلَكُ فَقَالَ اقْرَأْ . قَالَ " مَا أَنَا بِقَارِئٍ - قَالَ - فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدَ ثُمَّ أَرْسَلَنِي فَقَالَ اقْرَأْ . قَالَ قُلْتُ مَا أَنَا بِقَارِئٍ - قَالَ - فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّانِيَةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدَ ثُمَّ أَرْسَلَنِي فَقَالَ اقْرَأْ . فَقُلْتُ مَا أَنَا بِقَارِئٍ فَأَخَذَنِي فَغَطَّنِي الثَّالِثَةَ حَتَّى بَلَغَ مِنِّي الْجَهْدَ ثُمَّ أَرْسَلَنِي . فَقَالَ ( اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ * خَلَقَ الإِنْسَانَ مِنْ عَلَقٍ * اقْرَأْ وَرَبُّكَ الأَكْرَمُ * الَّذِي عَلَّمَ بِالْقَلَمِ * عَلَّمَ الإِنْسَانَ مَا لَمْ يَعْلَمْ) " . فَرَجَعَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَرْجُفُ بَوَادِرُهُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى خَدِيجَةَ فَقَالَ " زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي " . فَزَمَّلُوهُ حَتَّى ذَهَبَ عَنْهُ الرَّوْعُ ثُمَّ قَالَ لِخَدِيجَةَ " أَىْ خَدِيجَةُ مَا لِي " . وَأَخْبَرَهَا الْخَبَرَ قَالَ " لَقَدْ خَشِيتُ عَلَى نَفْسِي " . قَالَتْ لَهُ خَدِيجَةُ كَلاَّ أَبْشِرْ فَوَاللَّهِ لاَ يُخْزِيكَ اللَّهُ أَبَدًا وَاللَّهِ إِنَّكَ لَتَصِلُ الرَّحِمَ وَتَصْدُقُ الْحَدِيثَ وَتَحْمِلُ الْكَلَّ وَتَكْسِبُ الْمَعْدُومَ وَتَقْرِي الضَّيْفَ وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ . فَانْطَلَقَتْ بِهِ خَدِيجَةُ حَتَّى أَتَتْ بِهِ وَرَقَةَ بْنَ نَوْفَلِ بْنِ أَسَدِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى وَهُوَ ابْنُ عَمِّ خَدِيجَةَ أَخِي أَبِيهَا وَكَانَ امْرَأً تَنَصَّرَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَكَانَ يَكْتُبُ الْكِتَابَ الْعَرَبِيَّ وَيَكْتُبُ مِنَ الإِنْجِيلِ بِالْعَرَبِيَّةِ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَكْتُبَ وَكَانَ شَيْخًا كَبِيرًا قَدْ عَمِيَ . فَقَالَتْ لَهُ خَدِيجَةُ أَىْ عَمِّ اسْمَعْ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ . قَالَ وَرَقَةُ بْنُ نَوْفَلٍ يَا ابْنَ أَخِي مَاذَا تَرَى فَأَخْبَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَبَرَ مَا رَآهُ فَقَالَ لَهُ وَرَقَةُ هَذَا النَّامُوسُ الَّذِي أُنْزِلَ عَلَى مُوسَى صلى الله عليه وسلم يَا لَيْتَنِي فِيهَا جَذَعًا يَا لَيْتَنِي أَكُونُ حَيًّا حِينَ يُخْرِجُكَ قَوْمُكَ . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَوَمُخْرِجِيَّ هُمْ " . قَالَ وَرَقَةُ نَعَمْ لَمْ يَأْتِ رَجُلٌ قَطُّ بِمَا جِئْتَ بِهِ إِلاَّ عُودِيَ وَإِنْ يُدْرِكْنِي يَوْمُكَ أَنْصُرْكَ نَصْرًا مُؤَزَّرًا " .
A'isha, the wife of the Messenger of Allah (ﷺ), reported:
The first (form) with which was started the revelation to the Messenger of Allah was the true vision in sleep. And he did not see any vision but it came like the bright gleam of dawn. Thenceforth solitude became dear to him and he used to seclude himself in the cave of Hira', where he would engage in tahannuth (and that is a worship for a number of nights) before returning to his family and getting provisions again for this purpose. He would then return to Khadija and take provisions for a like period, till Truth came upon him while he was in the cave of Hira'. There came to him the angel and said: Recite, to which he replied: I am not lettered. He took hold of me [the Apostle said] and pressed me, till I was hard pressed; thereafter he let me off and said: Recite. I said: I am not lettered. He then again took hold of me and pressed me for the second time till I was hard pressed and then let me off and said: Recite, to which I replied: I am not lettered. He took hold of me and pressed me for the third time, till I was hard pressed and then let me go and said: Recite in the name of your Lord Who created, created man from a clot of blood. Recite. And your most bountiful Lord is He Who taught the use of pen, taught man what he knew not (al-Qur'an, xcvi. 1-4). Then the Prophet returned therewith, his heart was trembling, and he went to Khadija and said: Wrap me up, wrap me up! So they wrapped him till the fear had left him. He then said to Khadija: O Khadija! what has happened to me? and he informed her of the happening, saying: I fear for myself. She replied: It can't be. Be happy. I swear by Allah that He shall never humiliate you. By Allah, you join ties of relationship, you speak the truth, you bear people's burden, you help the destitute, you entertain guests, and you help against the vicissitudes which affect people. Khadija then took him to Waraqa b. Naufal b. Asad b. 'Abd al-'Uzza, and he was the son of Khadija's uncle, i. e., the brother of her father. And he was the man who had embraced Christianity in the Days of Ignorance (i. e. before Islam) and he used to write books in Arabic and, therefore, wrote Injil in Arabic as God willed that he should write. He was very old and had become blind Khadija said to him: O uncle! listen to the son of your brother. Waraqa b. Naufal said: O my nephew! what did you see? The Messenger of Allah (ﷺ), then, informed him what he had seen, and Waraqa said to him: It is namus that God sent down to Musa. Would that I were then (during your prophetic career) a young man. Would that I might be alive when your people would expel you! The Messenger of Allah (ﷺ) said: Will they drive me out? Waraqa said: Yes. Never came a man with a like of what you have brought but met hostilities. If I see your day I shall help you wholeheartedly.
পরিচ্ছেদঃ ৭২. রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি অহীর সুচনা
৩০১। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ওহীর সুচনা হয়েছিল... এরপর বর্ণনাকারী ইউনুস বর্ণিত হাদীসের অনুরুপই বর্ণনা করেন। তবে তিনি لاَ يُحْزِنُكَ اللَّهُ أَبَدًا (অর্থাৎ আল্লাহ তায়াআলা আপনাকে কখনো অপমানিত করবেন না) এর স্থলে لاَ يُحْزِنُكَ اللَّهُ অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা কখনো আপনাকে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করবেন না উল্লেখ করেছেন এবং অন্যত্র أَىِ ابْنَ عَمِّ বলেছেন।
باب بَدْءِ الْوَحْىِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، قَالَ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ أَوَّلُ مَا بُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْوَحْىِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ . غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَوَاللَّهِ لاَ يُحْزِنُكَ اللَّهُ أَبَدًا . وَقَالَ قَالَتْ خَدِيجَةُ أَىِ ابْنَ عَمِّ اسْمَعْ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ .
This hadith has been narrated on the authority of 'A'isha with another chain of narrators like one transmitted by Yunus, i. e. the first thing with which the revelation was initiated with the Messenger of Allah (ﷺ) except the words:
By Allah, Allah would never humiliate you, and Khadija said: O son of my uncle! Listen to the son of your brother.
পরিচ্ছেদঃ ৭২. রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি অহীর সুচনা
৩০২। আবদুল মালিক ইবনু শুয়াইব ইবনু লাইস (রহঃ) ... উম্মুল মূমিনীন আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে ... এ রেওয়ায়েতে فَرَجَعَ إِلَى خَدِيجَةَ يَرْجُفُ فُؤَادُهُ [রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কম্পিত হৃদয়ে খাদিজা (রাঃ)-এব কাছে ফিরে এলেন...] একথার উল্লেখ রয়েছে। এরপর রাবী ইউনুস ও মা’মারের অনুরুপ বর্ননা করেন, তবে أَوَّلُ مَا بُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْوَحْىِ الرُّؤْيَا الصَّادِقَةُ “রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে ওহীর সুচনা হয়েছিল সত্য স্বপ্নের মাধ্যমে।” এ কথার উল্লেখ করেননি। অন্যদিকে فَوَاللَّهِ لاَ يُخْزِيكَ اللَّهُ أَبَدًا (আল্লাহর শপথ, তিনি কখনো আপনাকে অপমানিত করবেন না) এতটুকু ইউনুসের অনুরুপ বর্ণনা কঁরেছেন। আর খাদীজার সম্বোধন এভাবে উল্লেখ করেছেন أَىِ ابْنَ عَمِّ اسْمَعْ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ (চাচাত ভাই! শুন তো আপনার ভাতিজা কি বলছেন)
باب بَدْءِ الْوَحْىِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ سَمِعْتُ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، يَقُولُ قَالَتْ عَائِشَةُ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَرَجَعَ إِلَى خَدِيجَةَ يَرْجُفُ فُؤَادُهُ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمِثْلِ حَدِيثِ يُونُسَ وَمَعْمَرٍ وَلَمْ يَذْكُرْ أَوَّلَ حَدِيثِهِمَا مِنْ قَوْلِهِ أَوَّلُ مَا بُدِئَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْوَحْىِ الرُّؤْيَا الصَّادِقَةُ . وَتَابَعَ يُونُسَ عَلَى قَوْلِهِ فَوَاللَّهِ لاَ يُخْزِيكَ اللَّهُ أَبَدًا . وَذَكَرَ قَوْلَ خَدِيجَةَ أَىِ ابْنَ عَمِّ اسْمَعْ مِنِ ابْنِ أَخِيكَ .
This hadith has been reported from 'A'isha by another chain of transmitters and the words are:
He (the Holy Prophet) came to Khadija an his heart was trembling. The rest of the hadith has been narrated like one transmitted by Yunus and Ma'mar, but the first part is not mentioned, i. e. the first thing with which was started the revelation to the Prophet was the true vision. And these words like those transmitted by Yunus are mentioned thus: By Allah, Allah would never humiliate you. And there is also a mention of the words of Khadija: O son of my uncle! Listen to the son of your brother.
পরিচ্ছেদঃ ৭২. রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি অহীর সুচনা
৩০৩। আবূ তাহির (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ ওহীর বিরতি প্রসঙ্গে পরস্পর কথাবার্তা বলছিলেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওহীর বিরতি বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন যে, আমি পথ চলছিলাম, সে মুহূর্তে আকাশ হতে একটি শব্দ শুনে মাথা ভুলে তাকালাম, দেখি, সেই হেরা গুহায় যে ফেরেশতা আমার কাছে এসেছিলেন সে ফেরেশতা যমীন ও আসমানের মধ্যস্থলে কুরসীর উপর বসে আছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এ দেখে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। আর জলদি বাড়ি ফিরে এসে বলতে লাগলামঃ আমাকে বস্ত্রাচ্ছাদিত কর, আমাকে বস্ত্রাচ্ছাদিত কর। তারা আমায় বস্ত্রাচ্ছাদিত করল। এরপর এ আয়াত অবতীর্ণ হলঃ (অর্থ) “হে বস্ত্রাচ্ছাদিত, উঠূন! সতর্কবানী প্রচার করুন, আপনার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন, আপনার পরিচ্ছেদ পবিত্র রাখুন এবং অপবিত্রতা হতে দুরে থাকুন” (৭৪ঃ ১-৫)।
এখানে الرُّجْزَ অপবিত্রতা الأَوْثَانُ বলে প্রতিমাকে-বোঝানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তারপর ধারাবাহিকভাবে ওর্হীর অবতরণ আরম্ভ হয়।
باب بَدْءِ الْوَحْىِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ حَدَّثَنِي يُونُسُ، قَالَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيَّ، - وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُحَدِّثُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يُحَدِّثُ عَنْ فَتْرَةِ الْوَحْىِ - قَالَ فِي حَدِيثِهِ " فَبَيْنَا أَنَا أَمْشِي سَمِعْتُ صَوْتًا مِنَ السَّمَاءِ فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَإِذَا الْمَلَكُ الَّذِي جَاءَنِي بِحِرَاءٍ جَالِسًا عَلَى كُرْسِيٍّ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ " قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فَجُئِثْتُ مِنْهُ فَرَقًا فَرَجَعْتُ فَقُلْتُ زَمِّلُونِي زَمِّلُونِي . فَدَثَّرُونِي فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى ( يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ * قُمْ فَأَنْذِرْ * وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ * وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ * وَالرُّجْزَ فَاهْجُرْ) وَهِيَ الأَوْثَانُ قَالَ ثُمَّ تَتَابَعَ الْوَحْىُ .
Jabir b. 'Abdullah al-Ansari who was one of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) reportedThe Messenger of Allah (ﷺ) told about the intermission of revelation and narrated While I was walking I heard a voice from the sky, and raising my head I saw the angel who had come to me in Hira', sitting on a Throne between heaven and earth I was terror-stricken on that account and came back (to my family) and said:
Wrap me up, wrap me up! So they wrapped me up, and the Blessed and Most Exalted Allah sent down:" You who are shrouded, arise and deliver warning, your Lord magnify, your clothes cleanse, and defilement shun," and" defilement" means idols; and then the revelation was followed continuously.
পরিচ্ছেদঃ ৭২. রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি অহীর সুচনা
৩০৪। আবদুল মালিক ইবনু শু’আইব ইবনু লাইস (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ তারপর কিছুদিন যাবত আমার প্রতি ওহীর অবতরণ বন্ধ ছিল। পরে একদিন আমি পথ চলছিলাম...। এরপর রাবী ইউনূস বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে উকায়ল خشيت এর স্থলে فَجُثِثْتُ مِنْهُ فَرَقًا حَتَّى هَوَيْتُ إِلَى الأَرْضِ (তাকে দেখে আমি প্রচণ্ড ভয় পেলাম, এমনকি আমি মাটিতে পড়ে গেলাম) বর্ণনা করেছেন। তিনি আরো বলেন তিনি বর্ণনা করেছেন ثُمَّ حَمِيَ الْوَحْىُ بَعْدُ وَتَتَابَعَ (অতঃপর অহী নিয়মিত হয়ে গেল ও ক্রমাগত নাযিল হতে থাকল)
باب بَدْءِ الْوَحْىِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ اللَّيْثِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " ثُمَّ فَتَرَ الْوَحْىُ عَنِّي فَتْرَةً فَبَيْنَا أَنَا أَمْشِي " ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ " فَجُثِثْتُ مِنْهُ فَرَقًا حَتَّى هَوَيْتُ إِلَى الأَرْضِ " . قَالَ وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَالرُّجْزُ الأَوْثَانُ قَالَ ثُمَّ حَمِيَ الْوَحْىُ بَعْدُ وَتَتَابَعَ
It is narrated on the authority of Jabir b. Abdullah that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) says:
The wahi was intermitted for me for a small span of time and while I was walking, and then the hadith like the one narrated by Yunus was transmitted but with the exception of these words: I was terror-stricken till I fell on the ground. Abu Salama said: Defilement means idols. After this the revelation was speeded up and followed rapidly.
পরিচ্ছেদঃ ৭২. রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি অহীর সুচনা
৩০৫। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ... যুহুরি (রহঃ) থেকে ইউনুস বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে বর্ণনাকারী এ হাদীসে উল্লেখ করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ এরপর আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ (অর্থ) “হে বস্ত্রাচ্ছাদিত ... এবং অপবিত্রতা থেকে দুরে থাকুন”। (৭৪ঃ ১-৫) এ আয়াতটি সালাত (নামায/নামাজ) ফরয হওয়ার পূর্বেই নাযিল হয়। الرُّجْزَ অর্থ الأَوْثَانُ (প্রতিমা) এবং মা’মার এ হাদীসে উকায়লের মতো خشيت স্থলে جُئِثْت বর্ণনা করেন।
باب بَدْءِ الْوَحْىِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِ يُونُسَ وَقَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى ( يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ) إِلَى قَوْلِهِ ( وَالرُّجْزَ فَاهْجُرْ) قَبْلَ أَنْ تُفْرَضَ الصَّلاَةُ - وَهِيَ الأَوْثَانُ - وَقَالَ " فَجُثِثْتُ مِنْهُ " . كَمَا قَالَ عُقَيْلٌ
This hadith, the like of one narrated by Yunus has also been transmitted by Ma'mar on the authority of al-Zuhri who narrated:
Allah the Most Glorious and Exalted revealed this:" You who are shrouded, arise and deliver warning, your Lord magnify, your clothes cleanse and defilement shun," before making the prayer obligatory. I felt terror-stricken as narrated by Uqail.
পরিচ্ছেদঃ ৭২. রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি অহীর সুচনা
৩০৬। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... ইয়াহইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি আবূ সালামাকে জিজ্ঞেস করলাম, কুরআনের কোন আয়াতটি সর্বপ্রথম অবতীর্ন হায়ছে? তিনি বললেন,يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ (৭৪ঃ ১-৫)। আমি বললাম اقْرَأْ (৯৬ঃ ১-৫)। তিনি বললেন, আমিও জাবির ইবনু আবদুল্লাহকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কুরআনের কোন আয়াতর্টি প্রথম অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি বলেছেন,يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ আমি বললাম, اقْرَأْ? জাবির (রাঃ) বললেন, আমি তোমাদের তাই বর্ণনা করছি, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের যা বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেনঃ আমি একমাস হেরা গুহায় অবস্থান করি। অবস্থান শেষে আমি নিচে নেমে এলাম। উপত্যকার মাঝখানে যখন পৌছলাম তখন আমাকে ডাকা হল।
আমি সামনে পেছনে ডানে-বায়ে তাকালাম, কাউকে দেখলাম না। তারপর আমাকে ডাকা হল, তখনো কাউকে দেখতে পেলাম না। পূনঃ আমাকে ডাকা হল। আমি তাকালাম, দেখি সে ফেরেশতা অর্থাৎ জিবরীল (আলাইহিস সালাম) শূন্যে একটি কুরসীর উপর উপবিষ্ট। আমার প্রবল কম্পন শুরু হল। অনন্তর খাদীজার কাছে আসলাম। বললাম তোমরা আমাকে বস্ত্রাচ্ছাদিত করো। তারা আমাকে চাঁদর দিয়ে ঢেকে দিল। আমার উপর পানি ঢালল। অনন্তর আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! উঠূন, সতর্কবানী প্রচার করুন, আপনার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন, আপনার পরিচ্ছদ পবিত্র রাখুন।” (৭৪ঃ ১-৪)
باب بَدْءِ الْوَحْىِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى، يَقُولُ سَأَلْتُ أَبَا سَلَمَةَ أَىُّ الْقُرْآنِ أُنْزِلَ قَبْلُ قَالَ يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ . فَقُلْتُ أَوِ اقْرَأْ . فَقَالَ سَأَلْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ أَىُّ الْقُرْآنِ أُنْزِلَ قَبْلُ قَالَ يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ . فَقُلْتُ أَوِ اقْرَأْ قَالَ جَابِرٌ أُحَدِّثُكُمْ مَا حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " جَاوَرْتُ بِحِرَاءٍ شَهْرًا فَلَمَّا قَضَيْتُ جِوَارِي نَزَلْتُ فَاسْتَبْطَنْتُ بَطْنَ الْوَادِي فَنُودِيتُ فَنَظَرْتُ أَمَامِي وَخَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمَالِي فَلَمْ أَرَ أَحَدًا ثُمَّ نُودِيتُ فَنَظَرْتُ فَلَمْ أَرَ أَحَدًا ثُمَّ نُودِيتُ فَرَفَعْتُ رَأْسِي فَإِذَا هُوَ عَلَى الْعَرْشِ فِي الْهَوَاءِ - يَعْنِي جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ - فَأَخَذَتْنِي رَجْفَةٌ شَدِيدَةٌ فَأَتَيْتُ خَدِيجَةَ فَقُلْتُ دَثِّرُونِي . فَدَثَّرُونِي فَصَبُّوا عَلَىَّ مَاءً فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (يَا أَيُّهَا الْمُدَّثِّرُ * قُمْ فَأَنْذِرْ * وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ * وَثِيَابَكَ فَطَهِّرْ) " .
Yahya reported:
I asked Abu Salama what was revealed first from the Qur'an. He said:" 0, the shrouded one." I said: Or" Recite." Jabir said: I am narrating to you what was narrated to us by the Messenger of Allah (ﷺ). He said: I stayed in Hira' for one month and when my stay was completed, I come down and went into the heart of the valley. Somebody called me aloud. I looked in front of me, behind me, on the right of my side and on my left, but I did not see any body. I was again called and I looked about but saw nothing. I was called again and raised my head, and there on the Throne in the open atmosphere he, i. e. Gabriel (peace be upon him) was sitting. I began to tremble on account of fear. I came to Khadija and said: Wrap me up. They wrapped me up and threw water on me and Allah, the Exalted and Glorious, sent down this: you who are shrouded! arise and deliver warning, your Lord magnify, your clothes cleanse."
পরিচ্ছেদঃ ৭২. রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি অহীর সুচনা
৩০৭। মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... ইয়াহইয়া ইবনু কাসীর (রহঃ) থেকে পূর্ব বর্ণিত সনদে বর্ননা করেছেন। তবে তিনি এ কথা উল্লেখ করেছেনঃ ’সে ফিরিশতা, আসমান যমীনের মাঝখানে একটি কুরসীর উপর উপবিষ্ট’।
باب بَدْءِ الْوَحْىِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ " فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ عَلَى عَرْشٍ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ " .
Yahya b Abi Kathir has reported this hadith with the same chain of transmitters and narrated:
And there he was sitting on the Throne between the heaven and the earth.