পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৩৪. হাস্‌সান বিন সাবিত (রাঃ)-এর মর্যাদা।

১৬১৬. সাঈদ ইনু মুসাইয়্যাব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ’উমার (রাঃ) মসজিদে নববীতে আগমন করেন, তখন হাস্‌সান ইবনু সাবিত (রাঃ) কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। তখন তিনি বললেন, এখানে আপনার চেয়ে উত্তম ব্যক্তির উপস্থিতিতেও আমি কবিতা আবৃত্তি করতাম। অতঃপর তিনি আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ)-এর দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি। আপনি কি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, তুমি আমার পক্ষ হতে জবাব দাও। হে আল্লাহ! আপনি তাকে রুহুল কুদুস (জিবরীল) দ্বারা সাহায্য করুন। তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ।

فضائل حسان بن ثابت رضي الله عنه

حديث حَسَّانِ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ سَعِيدٍ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ: مَرَّ عُمَرُ فِي الْمَسْجِدِ وَحَسَّانُ يُنْشِدُ، فَقَالَ: كُنْتُ أُنْشِدُ فِيهِ، وِفِيهِ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْكَ ثُمَّ الْتَفَت إِلَى أَبِي هُرَيْرَةَ، فَقَالَ: أَنْشُدُكَ بِاللهِ أَسَمِعْتَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: أَجِبْ عَنِّي، اللهُمَّ أَيِّدْهُ بِرُوحِ الْقُدُسِ قَالَ: نَعَمْ

حديث حسان بن ثابت عن سعيد بن المسيب، قال: مر عمر في المسجد وحسان ينشد، فقال: كنت انشد فيه، وفيه من هو خير منك ثم التفت الى ابي هريرة، فقال: انشدك بالله اسمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: اجب عني، اللهم ايده بروح القدس قال: نعم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৩৪. হাস্‌সান বিন সাবিত (রাঃ)-এর মর্যাদা।

১৬১৭. বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাস্‌সান (রাঃ)-কে বলেছেন, তুমি তাদের কুৎসা বর্ণনা কর অথবা তাদের কুৎসার জবাব দাও। তোমার সঙ্গে জিবরীল (আঃ) আছেন।

فضائل حسان بن ثابت رضي الله عنه

حديث الْبَرَاءِ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحَسَّانَ: اهْجُهُمْ أَوْ هَاجِهِمْ وَجِبرِيلُ مَعَكَ

حديث البراء رضي الله عنه، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم لحسان: اهجهم او هاجهم وجبريل معك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৩৪. হাস্‌সান বিন সাবিত (রাঃ)-এর মর্যাদা।

১৬১৮. ’উরওয়াহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর সম্মুখে হাসসান (রাঃ)-কে তিরস্কার করতে উদ্যত হলে, তিনি আমাকে বললেন, তাকে গালি দিও না। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরফ হতে কবিতার মাধ্যমে শত্রুর কথার আঘাত প্রতিহত করত।

فضائل حسان بن ثابت رضي الله عنه

حديث عَائِشَةَ عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ: ذَهَبْتُ أَسُبُّ حَسَّانَ عِنْدَ عَائِشَةَ، فَقَالَتْ: لاَ تَسُبُّهُ، فَإِنَّهُ كَانَ يُنَافِحُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حديث عاىشة عن عروة، قال: ذهبت اسب حسان عند عاىشة، فقالت: لا تسبه، فانه كان ينافح عن النبي صلى الله عليه وسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৩৪. হাস্‌সান বিন সাবিত (রাঃ)-এর মর্যাদা।

১৬১৯. মাসরূক (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তাঁর কাছে হাস্‌সান ইবনু সাবিত (রাঃ) তাঁকে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনাচ্ছেন। তিনি আয়িশাহ (রাঃ)-এর প্রশংসায় বলছেন,

তিনি সতী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও জ্ঞানবতী, তাঁর প্রতি কোন সন্দেহই আরোপ করা যায় না।

তিনি অভুক্ত থাকেন, তবুও অনুপস্থিত লোকদের মাংস খান না (অর্থাৎ গীবত করেন না)।

এ কথা শুনে ’আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, কিন্তু আপনি তো এরূপ নন। মাসরূক (রহঃ) বলেছেন যে, আমি ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে বললাম যে, আপনি কেন তাকে আপনার কাছে আসার অনুমতি দেন? অথচ আল্লাহ তা’আলা বলছেন, তাদের মধ্যে যে এ ব্যাপারে প্রধান ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্য আছে কঠিন শাস্তি। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, অন্ধত্ব থেকে কঠিনতর শাস্তি আর কী হতে পারে? তিনি তাঁকে আরো বলেন যে, হাস্‌সান ইবনু সাবিত (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষাবলম্বন করে কাফিরদের সঙ্গে মুকাবালা করতেন অথবা কাফিরদের বিপক্ষে নিন্দাপূর্ণ কবিতা রচনা করতেন।

فضائل حسان بن ثابت رضي الله عنه

حديث عَائِشَةَ عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ: دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ، وَعِنْدَهَا حَسَّان بْنُ ثَابِتٍ، يُنْشِدُهَا شِعْرًا، يُشَبِّبُ بِأَبْيَاتٍ لَهُ، وَقَالَ
حَصَانٌ رَزَانٌ مَا تُزَنُّ بِرِيبَةٍ وَتُصْبِحُ غَرْثَى مِنْ لُحُومِ الْغَوَافِلِ
فَقَالَتْ لَهُ عَائِشَةُ: لكِنَّكَ لَسْتَ كَذلِكَ قَالَ
مَسْرُوقٌ: فَقلْتُ لَهَا لِمَ تَأْذَنِي لَهُ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْكِ وَقَدْ قَالَ اللهُ تَعَالَى (وَالَّذِي تَوَلَّى كِبْرَهُ مِنْهُمْ لَهُ عَذَابٌ عَظِيمٌ) فَقَالَتْ: وَأَيُّ عَذَابٍ أَشَدُّ مِنَ الْعَمى قَالَتْ لَهُ: إِنَّهُ كَانَ يُنَافِحُ، أَوْ يُهَاجِي عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حديث عاىشة عن مسروق، قال: دخلنا على عاىشة، وعندها حسان بن ثابت، ينشدها شعرا، يشبب بابيات له، وقال حصان رزان ما تزن بريبة وتصبح غرثى من لحوم الغوافل فقالت له عاىشة: لكنك لست كذلك قال مسروق: فقلت لها لم تاذني له ان يدخل عليك وقد قال الله تعالى (والذي تولى كبره منهم له عذاب عظيم) فقالت: واي عذاب اشد من العمى قالت له: انه كان ينافح، او يهاجي عن رسول الله صلى الله عليه وسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৩৪. হাস্‌সান বিন সাবিত (রাঃ)-এর মর্যাদা।

১৬২০. আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাস্‌সান (রাঃ) কবিতার ছন্দে মুশরিকদের নিন্দা করতে অনুমতি চাইলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার বংশকে কিভাবে তুমি আলাদা করবে? হাস্‌সান (রাঃ) বললেন, আমি তাদের মধ্য হতে এমনভাবে আপনাকে আলাদা করে নিব যেমনভাবে আটার খামির হতে চুলকে আলাদা করে নেয়া হয়।

فضائل حسان بن ثابت رضي الله عنه

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: اسْتَأْذَنَ حَسَّانُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هِجَاءِ الْمُشْرِكِينَ قَالَ: كَيْفَ بِنَسَبِي فَقَالَ حَسَّانٌ: لأَسُلَّنَّكَ مِنْهُمْ كَمَا تُسَلُّ الشَّعَرَةُ مِنَ الْعَجِينِ

حديث عاىشة، قالت: استاذن حسان النبي صلى الله عليه وسلم في هجاء المشركين قال: كيف بنسبي فقال حسان: لاسلنك منهم كما تسل الشعرة من العجين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে