পরিচ্ছেদঃ ৪৪/১২. উম্মুল মুমিনীন খাদীজাহ (রাঃ)-এর মর্যাদা।

১৫৭৩. আলী (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, সমগ্র নারীদের মধ্যে ইমরানের কন্যা মারইয়াম হলেন সর্বোত্তম আর নারীদের সেরা হলেন খাদীজাহ (রাঃ)।

فضائل خديجة أم المؤمنين رضي الله تعالى عنها

حديث عَلِيٍّ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقولُ: خَيْرُ نِسَائِهَا مَرْيَمُ ابْنَةُ عِمْرَانَ، وَخَيْرُ نِسَائِهَا خَدِيجَةُ

حديث علي رضي الله عنه، قال: سمعت النبي صلى الله عليه وسلم، يقول: خير نساىها مريم ابنة عمران، وخير نساىها خديجة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/১২. উম্মুল মুমিনীন খাদীজাহ (রাঃ)-এর মর্যাদা।

১৫৭৪. আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ব্যতীত আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে ’আয়িশাহর মর্যাদা সব মহিলার উপর এমন, যেমন সারীদের (মাংসের সুরুয়ায় ভিজা রুটির) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের উপর।

فضائل خديجة أم المؤمنين رضي الله تعالى عنها

حديث أَبِي مُوسى رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَمَلَ مِنَ الرِّجَالِ كَثِيرٌ، وَلَمْ يَكْمُلْ مِنَ النِّسَاءِ إِلاَّ آسِيَةُ امْرَأَة فِرْعَوْنَ، وَمَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ وَإِنَّ فَضْلَ عَائِشَةَ عَلَى النسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ

حديث ابي موسى رضي الله عنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: كمل من الرجال كثير، ولم يكمل من النساء الا اسية امراة فرعون، ومريم بنت عمران وان فضل عاىشة على النساء كفضل الثريد على ساىر الطعام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/১২. উম্মুল মুমিনীন খাদীজাহ (রাঃ)-এর মর্যাদা।

১৫৭৫. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, জিবরীল (আঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ঐ যে খাদীজাহ একটি পাত্র হাতে নিয়ে আসছেন। ঐ পাত্রে তরকারী, অথবা খাদ্যদ্রব্য অথবা পানীয় ছিল। যখন তিনি পৌছে যাবেন তখন তাঁকে তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ হতে এবং আমার পক্ষ থেকেও সালাম জানাবেন আর তাঁকে জান্নাতের এমন একটি ভবনের খোশ খবর দিবেন যার অভ্যন্তর ভাগ ফঁকা-মোতি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে থাকবে না কোন প্রকার শোরগোল; কোন প্রকার দুঃখ-ক্লেশ।

فضائل خديجة أم المؤمنين رضي الله تعالى عنها

حديث أَبِي هرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: أَتَى جِبْرِيلُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ هذِهِ خَدِيجَةُ قَدْ أَتَتْ مَعَهَا إنَاءٌ فِيهِ إِدَامٌ أَوْ طَعَامٌ أَوْ شَرَابٌ فَإِذَا هِيَ أَتَتْكَ فَاقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلاَمَ مِنْ رَبِّهَا وَمِنِّي، وَبَشِّرْهَا بِبَيْتٍ فِي الْجنَّةِ مِنْ قَصَبٍ، لاَ صَخَبَ فِيهِ وَلاَ نَصَبَ

حديث ابي هريرة رضي الله عنه، قال: اتى جبريل النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: يا رسول الله هذه خديجة قد اتت معها اناء فيه ادام او طعام او شراب فاذا هي اتتك فاقرا عليها السلام من ربها ومني، وبشرها ببيت في الجنة من قصب، لا صخب فيه ولا نصب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/১২. উম্মুল মুমিনীন খাদীজাহ (রাঃ)-এর মর্যাদা।

১৫৭৬. ইসমাঈল (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু আবু আউফা (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদীজাহ (রাঃ)-কে জান্নাতের খোশ খবর দিয়েছিলেন কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। এমন একটি ভবনের খোশ খবর দিয়েছিলেন, যে ভবনটি তৈরি করা হয়েছে এমন মোতী দ্বারা যার ভিতরদেশ ফাকা। আর সেখানে থাকবে না শোরগোল, কোন প্রকার ক্লেশ ও দুঃখ।

فضائل خديجة أم المؤمنين رضي الله تعالى عنها

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى عَنْ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: قلْتُ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى رضي الله عنه: بَشَّرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَدِيجَةَ قَالَ: نَعَمْ بِبَيْتٍ مِنْ قَصَبٍ، لاَ صَخَبَ فِيهِ وَلاَ نَصَبَ

حديث عبد الله بن ابي اوفى عن اسماعيل، قال: قلت لعبد الله بن ابي اوفى رضي الله عنه: بشر النبي صلى الله عليه وسلم خديجة قال: نعم ببيت من قصب، لا صخب فيه ولا نصب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইসমা‘ঈল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/১২. উম্মুল মুমিনীন খাদীজাহ (রাঃ)-এর মর্যাদা।

১৫৭৭. আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্য কোন স্ত্রীর প্রতি এতটুকু ঈর্ষা করিনি যতটুকু খাদীজাহ (রাঃ)-এর প্রতি করেছি। অথচ আমি তাকে দেখিনি। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কথা বেশি সময় আলোচনা করতেন। কোন কোন সময় বকরী যবহ করে গোতের পরিমাণ বিবেচনায় হাড়-মাংসকে ছোট ছোট টুকরা করে হলেও খাদীজাহ (রাঃ)-এর বান্ধবীদের ঘরে পৌছে দিতেন। আমি কোন সময় ঈর্ষা ভরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতাম, মনে হয়, খাদীজাহ (রাঃ) ছাড়া দুনিয়াতে যেন আর কোন নারী নাই। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন, হ্যাঁ। তিনি এমন ছিলেন, এমন ছিলেন, তার গর্ভে আমার সন্তানাদি জন্মেছিল।

فضائل خديجة أم المؤمنين رضي الله تعالى عنها

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: مَا غِرْتُ عَلَى أَحَدٍ مِنْ نِسَاءِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا غِرْتُ عَلَى خَدِيجَةَ، وَمَا رَأْيْتُهَا وَلكِنْ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكْثِر ذِكْرَهَا وَرُبَّمَا ذَبَحَ الشَّاةَ ثُمَّ يُقَطِّعُهَا أَعْضَاءً، ثُمَّ يَبْعَثُهَا فِي صَدَائِقِ خَدِيجَةَ؛ فَرُبَّمَا قُلْتُ لَهُ: كَأَنَّهُ لَمْ يَكنْ فِي الدُّنْيَا امْرَأَةٌ إِلاَّ خَدِيجَةُ فَيَقُولُ: إِنَّهَا كَانَتْ، وَكَانَتْ، وَكَانَ لِي مِنْهَا وَلَدٌ

حديث عاىشة، قالت: ما غرت على احد من نساء النبي صلى الله عليه وسلم، ما غرت على خديجة، وما رايتها ولكن كان النبي صلى الله عليه وسلم يكثر ذكرها وربما ذبح الشاة ثم يقطعها اعضاء، ثم يبعثها في صداىق خديجة؛ فربما قلت له: كانه لم يكن في الدنيا امراة الا خديجة فيقول: انها كانت، وكانت، وكان لي منها ولد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/১২. উম্মুল মুমিনীন খাদীজাহ (রাঃ)-এর মর্যাদা।

১৫৭৮. ’আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খাদীজার বোন হালা বিনতে খুয়াইলিদ (একদিন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য অনুমতি চাইলেন। (দু’বোনের গলার স্বর ও অনুমতি চাওয়ার ভঙ্গি একই রকম ছিল বলে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদীজার অনুমতি চাওয়ার কথা মনে করে হতচকিত হয়ে পড়েন। তারপর (প্ৰকৃতিস্থ হয়ে) তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! এতো দেখছি হালা! ’আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেন, এতে আমার ভারী ঈৰ্ষা হলো। আমি বললাম, কুরাইশদের বুড়ীদের মধ্য থেকে এমন এক বুড়ীর কথা আপনি আলোচনা করেন যার দাঁতের মাড়ির লাল বর্ণটাই শুধু বাকি রয়ে গিয়েছিল, যে শেষ হয়ে গেছে কত কাল আগে। তার পরিবর্তে আল্লাহ তো আপনাকে তার চেয়েও উত্তম উত্তম স্ত্রী দান করেছেন।

فضائل خديجة أم المؤمنين رضي الله تعالى عنها

حديث عَائِشَةَ، قَالَتِ: اسْتَأْذَنَتْ هَالَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ، أُخْتُ خَدِيجَةَ، عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَعَرَف اسْتِئْذَانَ خَدِيجَةَ، فَارْتَاعَ لِذلِكَ، فَقَالَ: اللهُمَّ هَالَة قَالَتْ: فَغِرْتُ فَقُلْتُ: مَا تَذْكُرُ مِنْ عَجُوزٍ مِنْ عَجَائِزِ قرَيْشٍ، حَمْرَاءَ الشِّدْقَيْنِ، هَلَكَتْ فِي الدَّهْرِ، قَدْ أَبْدَلَكَ اللهُ خَيْرًا مِنْهَا

حديث عاىشة، قالت: استاذنت هالة بنت خويلد، اخت خديجة، على رسول الله صلى الله عليه وسلم فعرف استىذان خديجة، فارتاع لذلك، فقال: اللهم هالة قالت: فغرت فقلت: ما تذكر من عجوز من عجاىز قريش، حمراء الشدقين، هلكت في الدهر، قد ابدلك الله خيرا منها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৪৪/ সাহাবাগণের মর্যাদা (كتاب فضائل الصحابة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে