পরিচ্ছেদঃ ১৫/৪৩. সাফা এবং মারওয়ায় সাঈ (দৌড়াদৌড়ি) করা হজ্জের রুকন- এটা পালন না করলে হজ্জ বিশুদ্ধ না হওয়ার বর্ণনা।

৮০২. ’উরওয়াহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বাল্যকালে একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে বললাম, আল্লাহর বাণীঃ “সাফা ও মারওয়াহ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কা’বা গৃহের হজ্জ কিংবা ’উমরাহ সম্পন্ন করে এ দুটির মধ্যে সায়ী করতে চায়, তার কোন গুনাহ্ নেই”- (আল-বাকারাহঃ ১৫৮)। তাই সাফা-মারওয়ার সায়ী না করা আমি কারো পক্ষে অপরাধ মনে করি না। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, বিষয়টি এমন নয়। কেননা, তুমি যেমন বলছ, ব্যাপারটি তেমন হলে আয়াতটি অবশ্যই এমন হতঃ “সাফা ও মারওয়াহ্ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কা’বা গৃহের হজ্জ কিংবা উমরাহ সম্পন্ন করে এ দু’টির মধ্যে সায়ী করে, তার কোন পাপ নেই”- (আল-বাকারাঃ ১৫৮)। অর্থাৎ এ দু’টির মাঝে তাওয়াফ করলে কোন পাপ নেই। এ আয়াত তো আনসারদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। কেননা তারা মানাতের জন্য ইহরাম বাঁধত। আর মানাত কুদায়দের সামনে ছিল। তাই আনসাররা সাফা-মারওয়া তাওয়াফ করতে দ্বিধাবোধ করত। এরপর ইসলামের আবির্ভাবের পর তারা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেনঃ ’সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কাবা গৃহের হজ্জ কিংবা ’উমরাহ করতে চায় তার জন্য এ দুটির মধ্যে সায়ী করায় কোন গুনাহ্ নেই।

بيان أن السعى بين الصفا والمروة ركن لا يصح الحج إِلا به

حديث عَائِشَةَ عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّهُ قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ حَدِيثُ السِّنِّ: أَرَأَيْتِ قَوْلَ اللهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا) فَلاَ أُرَى عَلَى أَحَدٍ شَيْئًا أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا فَقَالَتْ عَائِشَةُ: كَلاَّ، لَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولُ كَانَتْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا إِنَّمَا أُنْزِلَتْ هذِهِ الآيَة فِي الأَنْصَارِ كَانُوا يُهِلُّونَ لِمَنَاةَ، وَكَانَتْ مَنَاةُ حَذْوَ قُدَيْدٍ، وَكَانُوا يَتَحَرَّجُونَ أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ سَأَلُوا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذلِكَ، فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا)

حديث عاىشة عن عروة، انه قال: قلت لعاىشة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم، وانا يومىذ حديث السن: ارايت قول الله تبارك وتعالى (ان الصفا والمروة من شعاىر الله فمن حج البيت او اعتمر فلا جناح عليه ان يطوف بهما) فلا ارى على احد شيىا ان لا يطوف بهما فقالت عاىشة: كلا، لو كانت كما تقول كانت فلا جناح عليه ان لا يطوف بهما انما انزلت هذه الاية في الانصار كانوا يهلون لمناة، وكانت مناة حذو قديد، وكانوا يتحرجون ان يطوفوا بين الصفا والمروة، فلما جاء الاسلام سالوا رسول الله صلى الله عليه وسلم عن ذلك، فانزل الله تعالى (ان الصفا والمروة من شعاىر الله فمن حج البيت او اعتمر فلا جناح عليه ان يطوف بهما)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)

পরিচ্ছেদঃ ১৫/৪৩. সাফা এবং মারওয়ায় সাঈ (দৌড়াদৌড়ি) করা হজ্জের রুকন- এটা পালন না করলে হজ্জ বিশুদ্ধ না হওয়ার বর্ণনা।

৮০৩. উরওয়াহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম যে, মহান আল্লাহর এ বাণী সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? সাফা ও মারওয়াহ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। কাজেই যে কেউ কা’বা ঘরে হাজ্জ বা উমরাহ সম্পন্ন করে, এ দু’টির মাঝে যাতায়াত করলে তার কোন দোষ নেই। (আল-বাকারাঃ ১৫৮) (আমার ধারণা যে) সাফা মারওয়ার মাঝে কেউ সাঈ না করলে তার কোন দোষ নেই। তখন তিনি [’আয়িশাহ (রাঃ)] বললেন, ওহে বোনপো! তুমি যা বললে, তা ঠিক নয়। কেননা, যা তুমি তাফসীর করলে, যদি আয়াতের মর্ম তা-ই হতো, তাহলে আয়াতের শব্দ বিন্যাস এভাবে হতো (لاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَتَطَوَّفَ بِهِمَا) দু’টোর মাঝে সাঈ না করায় কোন দোষ নেই।

কিন্তু আয়াতটি আনসারদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে, যারা ইসলাম গ্রহণের পূর্বে মুশাল্লাল নামক স্থানে স্থাপিত মানাত নামের মূর্তির পূজা করত, তার নামেই তারা ইহরাম বাঁধত। সে মূর্তির নামে যারা ইহরাম বাঁধত তারা সাফা-মারওয়াহ সাঈ করাকে দোষাবহ মনে করত। ইসলাম গ্রহণের পর তাঁরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! পূর্বে আমরা সাফা ও মারওয়া সাঈ করাকে দোষাবহ মনে করতাম (এখন কী করবো?) এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তা’আলা (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ) অবতীর্ণ করেন।

’আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, (সাফা ও মারওয়ার মাঝে) উভয় পাহাড়ের মাঝে সাঈ করা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিধান দিয়েছেন। কাজেই কারো পক্ষে এ দু’য়ের সাঈ পরিত্যাগ করা ঠিক নয়। (রাবী বলেন) এ বছর আবু বাকার ইবনু ’আবদুর রহমান (রাঃ)-কে ঘটনাটি জানালাম। তখন তিনি বললেন, আমি তো এ কথা শুনিনি, তবে ’আয়িশাহ্ (রাঃ) ব্যতীত বহু ’আলিমকে উল্লেখ করতে শুনেছি যে, মানাতের নামে যারা ইহরাম বাঁধত তারা সকলেই সাফা ও মারওয়া সায়ী করত, যখন আল্লাহ কুরআনে বাইতুল্লাহ তাওয়াফের কথা উল্লেখ করলেন, কিন্তু সাফা ও মারওয়ার আলোচনা তাতে হলো না, তখন সাহাবাগণ বলতে লাগলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা সাফা ও মারওয়া সাঈ করতাম, এখন দেখি আল্লাহ কেবল বাইতুল্লাহ তাওয়াফের কথা অবতীর্ণ করেছেন, সাফার উল্লেখ করেননি। কাজেই সাফা ও মারওয়ার মাঝে সায়ী করলে আমাদের দোষ হবে কি?

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেন (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ) আবু বাকর (রাঃ) আরো বলেন, আমি শুনতে পেয়েছি, আয়াতটি দু’ প্ৰকার লোকদের উভয়ের প্রতি লক্ষ্য করেই অবতীর্ণ হয়েছে, অর্থাৎ যারা জাহিলী যুগে সাফা ও মারওয়া সাঈ করা হতে বিরত থাকতেন, আর যারা তৎকালে সায়ী করত বটে, কিন্তু ইসলাম গ্রহণের পর সায়ী করার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তাঁদের দ্বিধার কারণ ছিল আল্লাহ বাইতুল্লাহ তাওয়াফের নির্দেশ দিয়েছেন, কিন্তু সাফা ও মারওয়ার কথা উল্লেখ করেননি? অবশেষে বাইতুল্লাহ তাওয়াফের কথা আলোচনা করার পর আল্লাহ সাফা ও মারওয়া সাঈ করার কথা উল্লেখ করেন।

بيان أن السعى بين الصفا والمروة ركن لا يصح الحج إِلا به

حديث عَائِشَةَ عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ، فَقُلْتُ لَهَا: أَرَأَيْتِ قَوْلَ اللهِ تَعَالَى (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا) فَوَاللهِ مَا عَلَى أَحَدٍ جُنَاحٌ أَنْ لاَ يَطُوفَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ قَالَتْ: بِئْسَ مَا قُلْتَ يَا ابْنَ أُخْتِى، إِنَّ هذِهِ الآيَةَ لَوْ كَانَتْ كَمَا أَوَّلْتَهَا عَلَيْهِ كَانَتْ لاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَتَطَوَّفَ بِهِمَا وَلكِنَّهَا أُنْزِلَتْ فِي الأَنْصَارِ؛ كَانُوا قَبْلَ أَنْ يُسْلِمُوا يُهِلُّونَ لِمَنَاةَ الطَّاغِيَةِ الَّتِي كَانُوا يَعْبُدُونَهَا عِنْدَ الْمُشَلَّلِ، فَكَانَ مَنْ أَهَلَّ يَتَحَرَّجُ أَنْ يَطَّوَّفَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَلَمَّا أَسْلَمُوا سَأَلُوا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنْ ذلِكَ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّا كُنَّا نَتَحَرَّجُ أَنْ نَطُوفَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ) الآيَةَ قَالَتْ عَائِشَةُ، وَقَدْ سَنَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الطَّوَافَ بَيْنَهُمَا، فَلَيْسَ َلأحَدٍ أَنْ يَتْرُكَ الطَّوَافَ بَيْنَهُمَا

(قَالَ الزُّهْرِيُّ، رَاوِي الْحَدِيثِ) ثُمَّ أَخْبَرْتُ أَبَا بَكْرِ ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمنِ، فَقَالَ: إِنَّ هذَا لَعِلْمٌ مَا كُنْتُ سَمِعْتُهُ، وَلَقَدْ سَمِعْتُ رِجَالاً مَنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَذْكُرُونَ أَنَّ النَّاسَ، إِلاَّ مَنْ ذَكَرَتْ عَائِشَةُ، مَمَّنْ كَانَ يُهِلُّ بِمَنَاةَ، كَانُوا يَطُوفُونَ كُلُّهُمْ، بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، فَلَمَّا ذَكَرَ اللهُ تَعَالَى الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ، وَلَمْ يَذْكُر الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ فِي الْقُرْآنِ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ كُنَّا نَطُوفُ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَإِنَّ اللهَ أَنْزَلَ الطَّوَافَ بِالْبَيتِ فَلَمْ يَذْكُرِ الصَّفَا، فَهَلْ عَلَيْنَا مِنْ حَرَجٍ أَنْ نَطَّوَّفَ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ) الآيَةَ
قَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَأَسْمَعُ هذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِي الْفَرِيقَيْنِ كِلَيْهِمَا: فِي الَّذِينَ كَانُوا يَتَحَرَّجُونَ أَنْ يَطُوفُوا بِالْجَاهِلَيَّةِ بِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ، وَالَّذِينَ يَطُوفُونَ ثُمَّ تَحَرَّجُوا أَنْ يَطُوفُوا بِهِمَا فِي الإِسْلاَمِ، مِنْ أَجْلِ أَنَّ اللهَ تَعَالَى أَمَرَ بِالطَّوَافِ بِالْبَيْتِ، وَلَمْ يَذْكُرِ الصَّفَا حَتَّى ذَكَرَ ذلِكَ بَعْدَمَا ذَكَرَ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ

حديث عاىشة عن عروة، قال: سالت عاىشة، فقلت لها: ارايت قول الله تعالى (ان الصفا والمروة من شعاىر الله فمن حج البيت او اعتمر فلا جناح عليه ان يطوف بهما) فوالله ما على احد جناح ان لا يطوف بالصفا والمروة قالت: بىس ما قلت يا ابن اختى، ان هذه الاية لو كانت كما اولتها عليه كانت لا جناح عليه ان لا يتطوف بهما ولكنها انزلت في الانصار؛ كانوا قبل ان يسلموا يهلون لمناة الطاغية التي كانوا يعبدونها عند المشلل، فكان من اهل يتحرج ان يطوف بالصفا والمروة، فلما اسلموا سالوا رسول الله صلى الله عليه وسلم، عن ذلك، قالوا: يا رسول الله انا كنا نتحرج ان نطوف بين الصفا والمروة، فانزل الله تعالى (ان الصفا والمروة من شعاىر الله) الاية قالت عاىشة، وقد سن رسول الله صلى الله عليه وسلم الطواف بينهما، فليس لاحد ان يترك الطواف بينهما (قال الزهري، راوي الحديث) ثم اخبرت ابا بكر ابن عبد الرحمن، فقال: ان هذا لعلم ما كنت سمعته، ولقد سمعت رجالا من اهل العلم يذكرون ان الناس، الا من ذكرت عاىشة، ممن كان يهل بمناة، كانوا يطوفون كلهم، بالصفا والمروة، فلما ذكر الله تعالى الطواف بالبيت، ولم يذكر الصفا والمروة في القران، قالوا: يا رسول الله كنا نطوف بالصفا والمروة، وان الله انزل الطواف بالبيت فلم يذكر الصفا، فهل علينا من حرج ان نطوف بالصفا والمروة فانزل الله تعالى (ان الصفا والمروة من شعاىر الله) الاية قال ابو بكر: فاسمع هذه الاية نزلت في الفريقين كليهما: في الذين كانوا يتحرجون ان يطوفوا بالجاهلية بالصفا والمروة، والذين يطوفون ثم تحرجوا ان يطوفوا بهما في الاسلام، من اجل ان الله تعالى امر بالطواف بالبيت، ولم يذكر الصفا حتى ذكر ذلك بعدما ذكر الطواف بالبيت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)

পরিচ্ছেদঃ ১৫/৪৩. সাফা এবং মারওয়ায় সাঈ (দৌড়াদৌড়ি) করা হজ্জের রুকন- এটা পালন না করলে হজ্জ বিশুদ্ধ না হওয়ার বর্ণনা।

৮০৪. আসিম (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বললাম, আপনারা কি সাফা ও মারওয়া সাঈ করতে অপছন্দ করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। কেননা তা ছিল জাহিলী যুগের নিদর্শন। অবশেষে মহান আল্লাহ অবতীর্ণ করেন ও “নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শন। কাজেই হাজ্জ বা উমরাহকারীদের জন্য এ দুইয়ের মধ্যে সাঈ করায় কোন দোষ নেই”- (আল-বাকারাঃ ১৫৮)।

بيان أن السعى بين الصفا والمروة ركن لا يصح الحج إِلا به

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه عَنْ عَاصِمٍ، قَالَ: قُلْتُ َلانَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَكُنْتُمْ تَكْرَهُونَ السَّعْيَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ قَالَ: نَعَمْ َلأَنَّهَا كَانَتْ مِنْ شَعَائِرِ الْجَاهِلَيَّةِ، حَتَّى أَنْزَلَ اللهُ (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا)

حديث انس بن مالك رضي الله عنه عن عاصم، قال: قلت لانس بن مالك، اكنتم تكرهون السعي بين الصفا والمروة قال: نعم لانها كانت من شعاىر الجاهلية، حتى انزل الله (ان الصفا والمروة من شعاىر الله فمن حج البيت او اعتمر فلا جناح عليه ان يطوف بهما)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসিম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৫/ হজ্জ (كتاب الحج)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে