পরিচ্ছেদঃ ১৫/২৬. বাধা প্রাপ্ত ব্যক্তি ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাবে এবং হজ্জে কিরানের বৈধতা।
৭৭১. আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। (মক্কাহ মুকাররামায়) গোলযোগ চলাকালে উমরাহ’র নিয়ত করে তিনি যখন মক্কাহর দিকে রওয়ানা হলেন, তখন বললেন, বাইতুল্লাহ হতে যদি আমি বাধাপ্রাপ্ত হই তাহলে তাই করব যা করেছিলাম আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে। তাই তিনি ’উমরাহ্’র ইহরাম বাধলেন। কারণ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও হুদাইবিয়ার বছর উমরাহ্’র ইহরাম বেঁধেছিলেন। অতঃপর ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) নিজের ব্যাপারে ভেবে চিন্তে বললেন, উভয়টিই (হাজ্জ ও উমরাহ) এক রকম। এরপর তিনি তাঁর সাথীদের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, উভয়টি তো একই রকম। আমি আমাদের সাক্ষী করে বলছি, আমি আমার উপর ’উমরাহ্’র সাথে হাজ্জকে ওয়াজিব করে নিলাম। তিনি উভয়টির জন্য একই তাওয়াফ করলেন এবং এটাই তাঁর পক্ষ হতে যথেষ্ট মনে করেন, আর তিনি কুরবানীর পশু সঙ্গে নিয়েছিলেন।
جواز التحلل بالإحصار وجواز القران
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ؛ قَالَ: حِينَ خَرَجَ إِلَى مَكةَ مُعْتَمِرًا فِي الْفِتْنَةِ: إِنْ صُدِدْتُ عَنِ الْبَيْتِ صَنَعْنَا كَمَا صَنَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَهَلَّ بِعُمْرَةٍ مِنْ أَجْلِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ ثُمَّ إِنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ نَظَرَ فِي أَمْرِهِ فَقَالَ: مَا أَمْرُهُمَا إِلاَّ وَاحِدٌ فَالْتَفَتَ إِلَى أَصْحَابِهِ، فَقَالَ: مَا أَمْرُهُمَا إِلاَّ وَاحِدٌ، أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ الْحَجَّ مَعَ الْعُمْرَةِ ثُمَّ طَافَ لَهُمَا طَوَافًا وَاحِدًا، وَرَأَى أَنَّ ذلِكَ مُجْزِيًا عَنْهُ وَأَهْدَى
পরিচ্ছেদঃ ১৫/২৬. বাধা প্রাপ্ত ব্যক্তি ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাবে এবং হজ্জে কিরানের বৈধতা।
৭৭২. ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। যে বছর হাজ্জাজ ইনু ইউসুফ ’আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাঃ)-এর সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য মক্কায় আসেন, ঐ বছর ইবনু ’উমার (রাঃ) হাজ্জের এরাদা করেন। তখন তাকে বলা হলো, (বিবদমান দু’ দল) মানুষের মধ্যে যুদ্ধ হতে পারে। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে যে, আপনাকে তারা বাধা দিবে। তিনি বললেন, “নিশ্চয়ই আমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে” (সূরা আহযাব ২১)। কাজেই এমন কিছু হলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা করেছিলেন আমিও তাই করব।
আমি আমাদের সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি ’উমরাহ’র সংকল্প করলাম। এরপর তিনি বের হলেন এবং বায়দার উঁচু অঞ্চলে পৌছার পর তিনি বললেন, হাজ্জ ও “উমরাহ’র বিধান একই, আমি তোমাদের সাক্ষী করে বলছি, আমি ’উমরাহ’র সঙ্গে হজ্জেরও নিয়্যাত করলাম এবং তিনি কুদায়দ হতে ক্রয় করা একটি হাদী পাঠালেন, এর অতিরিক্ত কিছু করেননি। এরপর তিনি কুরবানী করেননি এবং ইহরামও ত্যাগ করেন নি এবং মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটা কোনটাই করেননি। অবশেষে কুরবানীর দিন এলে তিনি কুরবানী করলেন, মাথা মুণ্ডালেন। তাঁর অভিমত হলো, প্রথম তাওয়াফ-এর মাধ্যমেই তিনি হাজ্জ ও উমরাহ উভয়ের তাওয়াফ সেরে নিয়েছেন। ইবনু ’উমার (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনই করেছেন।
جواز التحلل بالإحصار وجواز القران
حديث ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ أَرَادَ الْحَجَّ عَامَ نَزَلَ الْحَجَّاجُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ، فَقِيلَ لَهُ: إِنَّ النَّاسَ كَائِنٌ بَيْنَهُمْ قِتَالٌ وَإِنَّا نَخَافُ أَنْ يَصُدُّوكَ، فَقَالَ: (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ) إِذًا أَصْنَعُ كَمَا صَنَعَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِنِّي أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ عُمْرَةً ثُمَّ خَرَجَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِظَاهِرِ الْبَيْدَاءِ، قَالَ: مَا شَأْنُ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ إِلاَّ وَاحِدٌ، أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ حَجًّا مَعَ عُمْرَتِي وَأَهْدَى هَدْيًا اشْتَرَاهُ بِقُدَيْدٍ، وَلَمْ يَزِدْ عَلَى ذلِكِ، فَلَمْ يَنْحَرْ وَلَمْ يَحِلَّ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ، وَلَمْ يَحْلِقْ وَلَمْ يُقَصِّرْ حَتَّى كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ فَنَحَرَ وَحَلَقَ، وَرَأَى أَنْ قَدْ قَضى طَوافَ الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ بِطَوَافِهِ الأَوَّلِ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: كَذلِكَ فَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ