পরিচ্ছেদঃ ১৩/৩৫. সওম দাহর (একাধারে এক যুগ) সওম করা ঐ ব্যক্তির জন্য নিষিদ্ধ, যার এর মাধ্যমে ক্ষতি হবে অথবা এর মাধ্যমে অন্যের হক নষ্ট হবে অথবা দু’ ঈদে সওম ভঙ্গ না করা এবং তাশরীকের দিনগুলোতে সওম ভঙ্গ না করা এবং একদিন বিরতি দিয়ে সওম করার ফযীলত।

৭১৪. ’আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আমার সম্পর্কে এ কথা পৌছে যায় যে, আমি বলেছি, আল্লাহর কসম, আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন সওম পালন করব এবং রাতভর সালাত আদায় করব। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করায় আমি বললাম, আপনার উপর আমার পিতা-মাতা কুরবান হােন! আমি এ কথা বলেছি। তিনি বললেনঃ তুমি তো এরূপ করতে সক্ষম হবে না। বরং তুমি সওম পালন কর ও ছেড়েও দাও, (রাতে) সালাত আদায় কর ও নিদ্রাও যাও। তুমি মাসে তিন দিন করে সওম পালন কর, কারণ নেক কাজের ফল তার দশগুণ; এভাবেই সারা বছরের সওম পালন হয়ে যাবে। আমি বললাম, আমি এর থেকে বেশি করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেনঃ তাহলে একদিন সওম পালন কর এবং দু’দিন ছেড়ে দাও। আমি বললাম, আমি এর হতে বেশি করার শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ তাহলে একদিন সওম পালন কর আর একদিন ছেড়ে দাও। এ হল দাউদ (আঃ)-এর সওম এবং এ হল সর্বোত্তম (সওম)। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশি করার সামর্থ্য রাখি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এর চেয়ে উত্তম সওম (রাখার পদ্ধতি) আর নেই।

النهى عن صوم الدهر لمن تضرر به، أو فوت به حقا أو لم يفطر العيدين والتشريق، وبيان تفضيل صوم يوم وإفطار يوم

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرو، قَالَ: أُخْبِرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِّي أَقُولُ، وَاللهِ لأَصُومَنَّ النَّهَارَ وَلأَقُومَنَّ اللَّيْلَ مَا عِشْتُ؛ فَقُلْتُ لَهُ: قَدْ قُلْتُهُ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي قَالَ: فَإِنَّكَ لاَ تَسْتَطِيع ذلِكَ، فَصُمْ وَأَفْطِرْ، وَقُمْ وَنَمْ، وَصُمْ مِنَ الشَّهْرِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ، فَإِنَّ الْحَسَنَةَ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا، وَذلِكَ مِثْلُ صِيَامِ الدَّهْرِ قُلْتُ: إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذلِكَ قَالَ: فَصُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمَيْنِ قُلْتُ: إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذلِكَ قَالَ: فَصُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمًا، فَذَلِكَ صِيَامُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ، وَهُوَ أَفْضَلُ الصِّيَامُ فَقُلْتُ: إِنِّي أُطِيقُ أَفْضَلَ مِنْ ذلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ أَفْضَلَ مِنْ ذلِكَ

حديث عبد الله بن عمرو، قال: اخبر رسول الله صلى الله عليه وسلم اني اقول، والله لاصومن النهار ولاقومن الليل ما عشت؛ فقلت له: قد قلته، بابي انت وامي قال: فانك لا تستطيع ذلك، فصم وافطر، وقم ونم، وصم من الشهر ثلاثة ايام، فان الحسنة بعشر امثالها، وذلك مثل صيام الدهر قلت: اني اطيق افضل من ذلك قال: فصم يوما وافطر يومين قلت: اني اطيق افضل من ذلك قال: فصم يوما وافطر يوما، فذلك صيام داود عليه السلام، وهو افضل الصيام فقلت: اني اطيق افضل من ذلك فقال النبي صلى الله عليه وسلم: لا افضل من ذلك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/৩৫. সওম দাহর (একাধারে এক যুগ) সওম করা ঐ ব্যক্তির জন্য নিষিদ্ধ, যার এর মাধ্যমে ক্ষতি হবে অথবা এর মাধ্যমে অন্যের হক নষ্ট হবে অথবা দু’ ঈদে সওম ভঙ্গ না করা এবং তাশরীকের দিনগুলোতে সওম ভঙ্গ না করা এবং একদিন বিরতি দিয়ে সওম করার ফযীলত।

৭১৫. আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে আবদুল্লাহ! আমি এ সংবাদ পেয়েছি যে, তুমি প্রতিদিন সওম পালন কর এবং সারা রাত সালাত আদায় করে থাক। আমি বললাম, ঠিক (শুনেছেন) হে আল্লাহর রাসূল। তিনি বললেনঃ এরূপ করবে না (বরং মাঝে মাঝে) সওম পালন কর আবার ছেড়েও দাও। (রাতে) সালাত আদায় কর আবার ঘুমাও। কেননা তোমার উপর তোমার শরীরের হাক্ব রয়েছে, তোমার চোখের হাক্ব রয়েছে, তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হাক্ব আছে, তোমার মেহমানের হাক্ব আছে। তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন সওম পালন কর। কেননা নেক ’আমলের বদলে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকী। এভাবে সারা বছরের সওম হয়ে যায়।

আমি (বললাম) আমি এর চেয়েও কঠোর ’আমল করতে সক্ষম। তখন আমাকে আরও কঠিন ’আমলের অনুমতি দেয়া হল। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আরো বেশি শক্তি রাখি। তিনি বললেনঃ তবে আল্লাহর নবী দাউদ (আঃ)-এর সওম পালন কর, এর চেয়ে বেশি করতে যেয়ো না। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর নবী দাউদ (আঃ)-এর সওম কেমন? তিনি বললেনঃ অর্ধেক বছর। রাবী বলেন, ’আবদুল্লাহ (রাঃ) বৃদ্ধ বয়সে বলতেন, আহা! আমি যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদত্ত রুখসত (সহজতর বিধান) কবূল করে নিতাম?

النهى عن صوم الدهر لمن تضرر به، أو فوت به حقا أو لم يفطر العيدين والتشريق، وبيان تفضيل صوم يوم وإفطار يوم

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: [ص: 22] يَا عَبْدَ اللهِ أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَصُومُ النَّهَارَ وَتَقُومُ اللَّيْلَ فَقُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: فَلاَ تَفْعَلْ، صُمْ وَأَفْطِرْ، وَقُمْ وَنَمْ، فَإِنَّ لِجَسَدِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِزَوْجِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ لِزَوْرِكَ عَلَيْكَ حَقًّا، وَإِنَّ بِحَسْبِكَ أَنْ تَصُومَ كُلَّ شَهْرٍ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ، فَإِنَّ لَكَ بِكُلِّ حَسَنَةٍ عَشْرَ أَمْثَالِهَا، فَإِنَّ ذلِكَ صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ فَشَدَّدْتُ فَشُدِّدَ عَلَيَّ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً قَالَ: فَصُمْ صِيَامَ نَبِيِّ اللهِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ، وَلاَ تَزِدْ عَلَيْهِ قُلْتُ: وَمَا كَانَ صِيَامُ نَبِيِّ اللهِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ: نِصْفُ الدَّهْرِ
فَكَانَ عَبْدُ اللهِ يَقُولُ بَعْدَمَا كَبِرَ: يَا لَيْتَنِي قَبِلْتُ رُخْصَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حديث عبد الله بن عمرو بن العاص، قال: قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: [ص: 22] يا عبد الله الم اخبر انك تصوم النهار وتقوم الليل فقلت: بلى يا رسول الله قال: فلا تفعل، صم وافطر، وقم ونم، فان لجسدك عليك حقا، وان لعينك عليك حقا، وان لزوجك عليك حقا، وان لزورك عليك حقا، وان بحسبك ان تصوم كل شهر ثلاثة ايام، فان لك بكل حسنة عشر امثالها، فان ذلك صيام الدهر كله فشددت فشدد علي، قلت: يا رسول الله اني اجد قوة قال: فصم صيام نبي الله داود عليه السلام، ولا تزد عليه قلت: وما كان صيام نبي الله داود عليه السلام قال: نصف الدهر فكان عبد الله يقول بعدما كبر: يا ليتني قبلت رخصة النبي صلى الله عليه وسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/৩৫. সওম দাহর (একাধারে এক যুগ) সওম করা ঐ ব্যক্তির জন্য নিষিদ্ধ, যার এর মাধ্যমে ক্ষতি হবে অথবা এর মাধ্যমে অন্যের হক নষ্ট হবে অথবা দু’ ঈদে সওম ভঙ্গ না করা এবং তাশরীকের দিনগুলোতে সওম ভঙ্গ না করা এবং একদিন বিরতি দিয়ে সওম করার ফযীলত।

৭১৬. আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, এক মাসে কুরআন খতম কর। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে অধিক করার শক্তি রাখি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে প্রতি সাত দিনে একবার খতম করো এবং এর চেয়ে কম সময়ের মধ্যে খতম করো না।

النهى عن صوم الدهر لمن تضرر به، أو فوت به حقا أو لم يفطر العيدين والتشريق، وبيان تفضيل صوم يوم وإفطار يوم

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرو، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اقْرَإِ الْقرْآنَ فِي شَهْرٍ قُلْتُ: إِنِّي أَجِدُ قُوَّةً حَتَّى قَالَ: فَاقْرَأْهُ فِي سَبْعٍ وَلاَ تَزِدْ عَلَى ذَلِكَ

حديث عبد الله بن عمرو، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اقرا القران في شهر قلت: اني اجد قوة حتى قال: فاقراه في سبع ولا تزد على ذلك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/৩৫. সওম দাহর (একাধারে এক যুগ) সওম করা ঐ ব্যক্তির জন্য নিষিদ্ধ, যার এর মাধ্যমে ক্ষতি হবে অথবা এর মাধ্যমে অন্যের হক নষ্ট হবে অথবা দু’ ঈদে সওম ভঙ্গ না করা এবং তাশরীকের দিনগুলোতে সওম ভঙ্গ না করা এবং একদিন বিরতি দিয়ে সওম করার ফযীলত।

৭১৭. আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর ইবনু আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে আবদুল্লাহ্! তুমি অমুক ব্যক্তির মত হয়ো না, সে রাত জেগে ইবাদাত করত, পরে রাত জেগে ইবাদাত করা ছেড়ে দিয়েছে।

النهى عن صوم الدهر لمن تضرر به، أو فوت به حقا أو لم يفطر العيدين والتشريق، وبيان تفضيل صوم يوم وإفطار يوم

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا عَبْدَ اللهِ لاَ تَكُنْ مِثْلَ فُلاَنٍ، كَانَ يَقُومُ اللَّيْلَ فَتَرَكَ قِيَامَ اللَّيْلِ

حديث عبد الله بن عمرو بن العاص، قال: قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم: يا عبد الله لا تكن مثل فلان، كان يقوم الليل فترك قيام الليل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/৩৫. সওম দাহর (একাধারে এক যুগ) সওম করা ঐ ব্যক্তির জন্য নিষিদ্ধ, যার এর মাধ্যমে ক্ষতি হবে অথবা এর মাধ্যমে অন্যের হক নষ্ট হবে অথবা দু’ ঈদে সওম ভঙ্গ না করা এবং তাশরীকের দিনগুলোতে সওম ভঙ্গ না করা এবং একদিন বিরতি দিয়ে সওম করার ফযীলত।

৭১৮, ’আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ সংবাদ পৌছে যে, আমি একটানা সওম পালন করি এবং রাতভর সালাত আদায় করি। এরপর হয়ত তিনি আমার কাছে লোক পাঠালেন অথৱা আমি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করলাম। তিনি বললেনঃ আমি কি এ কথা ঠিক শুনিনি যে, তুমি সওম পালন করতে থাক আর ছাড় না এবং তুমি (রাতভর) সালাত আদায় করতে থাক আর ঘুমাও না? (আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) তুমি সওম পালন কর এবং মাঝে মাঝে তা ছেড়েও দাও। রাতে সালাত আদায় কর এবং নিদ্রাও যাও। কেননা তোমার উপর তোমার চোখের হক রয়েছে এবং তোমার নিজের শরীরের ও তোমার পরিবারের হক তোমার উপর আছে।

’আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, আমি এর চেয়ে বেশি শক্তি রাখি। তিনি [আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেনঃ তাহলে তুমি দাউদ (আঃ)-এর সিয়াম পালন কর। রাবী বলেন, ’আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, তা কিভাবে? তিনি বললেনঃ দাউদ (আঃ) একদিন সওম পালন করতেন, একদিন ছেড়ে দিতেন এবং তিনি (শত্রুর) সম্মুখীন হলে পলায়ন করতেন না। আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর নবী! আমাকে এ শক্তি কে যোগাবে? বর্ণনাকারী ’আত্বা (রহঃ) বলেন, (এ হাদীসে) কিভাবে সব সময়ের সিয়ামের প্রসঙ্গ আসে সে কথাটুকু আমার মনে নেই (অবশ্য) এতটুকু মনে আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’বার এ কথাটি বলেছেন, সব সময়ের সওম কোন সওম নয়।

النهى عن صوم الدهر لمن تضرر به، أو فوت به حقا أو لم يفطر العيدين والتشريق، وبيان تفضيل صوم يوم وإفطار يوم

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: بَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنِّي أَسْرُدُ الصَّوْمَ وَأُصَلِّي اللَّيْلَ، فَإِمَّا أَرْسَلَ إِلَيَّ وَإِمَّا لَقِيتُهُ، فَقَالَ: أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَصُومُ وَلاَ تُفْطِرُ وَتُصَلِّي؛ فَصُمْ وَأَفْطِرْ وَقُمْ وَنَمْ، فَإِنَّ لِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَظًّا، وَإِنَّ لِنَفْسِكَ وَأَهْلِكَ عَلَيْكَ حَظًّا قَالَ: إِنِّي لأَقْوَى لِذلِكَ قَالَ: فَصُمْ صِيَامَ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ: وَكَيْفَ قَالَ: كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا، وَلاَ يَفِرُّ إِذَا لاَقَى قَالَ: مَنْ لِي بِهذِهِ، يَا نَبِيَّ اللهِ قَالَ عَطَاءٌ (أَحَد الرُّوَاة) : لاَ أَدْرِي كَيْفَ ذَكَرَ صِيَامَ الأَبَدِ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ صَامَ مَنْ صَامَ الأَبَدَ مَرَّتَيْنِ

حديث عبد الله بن عمرو، قال: بلغ النبي صلى الله عليه وسلم اني اسرد الصوم واصلي الليل، فاما ارسل الي واما لقيته، فقال: الم اخبر انك تصوم ولا تفطر وتصلي؛ فصم وافطر وقم ونم، فان لعينك عليك حظا، وان لنفسك واهلك عليك حظا قال: اني لاقوى لذلك قال: فصم صيام داود عليه السلام قال: وكيف قال: كان يصوم يوما ويفطر يوما، ولا يفر اذا لاقى قال: من لي بهذه، يا نبي الله قال عطاء (احد الرواة) : لا ادري كيف ذكر صيام الابد قال النبي صلى الله عليه وسلم: لا صام من صام الابد مرتين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/৩৫. সওম দাহর (একাধারে এক যুগ) সওম করা ঐ ব্যক্তির জন্য নিষিদ্ধ, যার এর মাধ্যমে ক্ষতি হবে অথবা এর মাধ্যমে অন্যের হক নষ্ট হবে অথবা দু’ ঈদে সওম ভঙ্গ না করা এবং তাশরীকের দিনগুলোতে সওম ভঙ্গ না করা এবং একদিন বিরতি দিয়ে সওম করার ফযীলত।

৭১৯. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল ’আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি সব সময় সওম পালন কর এবং রাতভর সালাত আদায় করে থাক? আমি বললাম, জী হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি এরূপ করলে চোখ বসে যাবে এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। যে সারা বছর সওম পালন করে সে যেন সওম পালন করে না। মাসে তিন দিন করে সওম পালন করা সারা বছর সওম পালনের সমতুল্য। আমি বললাম, আমি এর চেয়ে বেশি করার সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেনঃ তাহলে তুমি দাউদী সওম পালন কর, তিনি একদিন সওম পালন করতেন আর একদিন ছেড়ে দিতেন এবং যখন শত্ৰুর সম্মুখীন হতেন তখন পলায়ন করতেন না।

النهى عن صوم الدهر لمن تضرر به، أو فوت به حقا أو لم يفطر العيدين والتشريق، وبيان تفضيل صوم يوم وإفطار يوم

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ: قَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّكَ لَتَصُومُ الدَّهْرَ وَتَقُومُ اللَّيْلَ فَقُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: إِنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذَلِكَ، هَجَمَتْ لَهُ الْعَيْنُ، وَنَفِهَتْ لَهُ النَّفْسُ، لاَ صَامَ مَنْ صَامَ الدَّهْرَ، صَوْمُ ثَلاَثَةِ أَيَّامِ صَوْمُ الدَّهْرِ كُلِّهِ قُلْتُ: فَإِنِّي أُطِيقُ أَكْثَرَ مِنْ ذلِكَ قَالَ: فَصُمْ صَوْمَ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ، كَانَ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا، وَلاَ يَفِرُّ إِذَا لاَقَى

حديث عبد الله بن عمرو بن العاص، قال: قال لي النبي صلى الله عليه وسلم: انك لتصوم الدهر وتقوم الليل فقلت: نعم قال: انك اذا فعلت ذلك، هجمت له العين، ونفهت له النفس، لا صام من صام الدهر، صوم ثلاثة ايام صوم الدهر كله قلت: فاني اطيق اكثر من ذلك قال: فصم صوم داود عليه السلام، كان يصوم يوما ويفطر يوما، ولا يفر اذا لاقى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/৩৫. সওম দাহর (একাধারে এক যুগ) সওম করা ঐ ব্যক্তির জন্য নিষিদ্ধ, যার এর মাধ্যমে ক্ষতি হবে অথবা এর মাধ্যমে অন্যের হক নষ্ট হবে অথবা দু’ ঈদে সওম ভঙ্গ না করা এবং তাশরীকের দিনগুলোতে সওম ভঙ্গ না করা এবং একদিন বিরতি দিয়ে সওম করার ফযীলত।

৭২০. আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনু আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার নিকট সর্বাধিক প্রিয় সালাত হল দাউদ (আঃ)-এর সালাত। আর আল্লাহ্ তা’আলার নিকট সর্বাধিক প্রিয় সিয়াম হল দাউদ (আঃ)-এর সিয়াম। তিনি [দাউদ (আঃ)] অর্ধরাত পর্যন্ত ঘুমাতেন, এক তৃতীয়াংশ তাহাজ্জুদ পড়তেন এবং রাতের এক ষষ্ঠাংশ ঘুমাতেন। তিনি একদিন সিয়াম পালন করতেন, একদিন করতেন না।

النهى عن صوم الدهر لمن تضرر به، أو فوت به حقا أو لم يفطر العيدين والتشريق، وبيان تفضيل صوم يوم وإفطار يوم

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لَهُ: أَحَبُّ الصَّلاَةِ إِلَى اللهِ صَلاَةُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ، وَأَحَبُّ الصِّيَامِ إِلَى اللهِ صِيَامُ دَاوُدَ، وَكَانَ يَنَامُ نِصْفَ اللَّيْلِ وَيَقُومُ ثُلُثَهُ وَيَنَامُ سُدُسَهُ، وَيَصُومُ يَوْمًا، وَيُفْطِرُ يَوْمًا

حديث عبد الله بن عمرو بن العاص، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال له: احب الصلاة الى الله صلاة داود عليه السلام، واحب الصيام الى الله صيام داود، وكان ينام نصف الليل ويقوم ثلثه وينام سدسه، ويصوم يوما، ويفطر يوما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/৩৫. সওম দাহর (একাধারে এক যুগ) সওম করা ঐ ব্যক্তির জন্য নিষিদ্ধ, যার এর মাধ্যমে ক্ষতি হবে অথবা এর মাধ্যমে অন্যের হক নষ্ট হবে অথবা দু’ ঈদে সওম ভঙ্গ না করা এবং তাশরীকের দিনগুলোতে সওম ভঙ্গ না করা এবং একদিন বিরতি দিয়ে সওম করার ফযীলত।

৭২১. আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আমার সওমের (সওম পালনের পদ্ধতি সম্পর্কে) আলোচনা করায় তিনি আমার এখানে আগমন করেন। আমি তার জন্য খেজুরের গাছের ছালে পরিপূর্ণ চামড়ার বালিশ (হেলান দিয়ে বসার জন্য) উপস্থিত করলাম। তিনি মাটিতে বসে পড়লেন। বালিশটি তাঁর ও আমার মাঝে পড়ে থাকল। তিনি বললেনঃ প্রতি মাসে তুমি তিন দিন সওম পালন করলে হয় না? আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! (আরো করতে সক্ষম)। তিনি বললেনঃ সাত দিন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! (আরো করতে সক্ষম। তিনি বললেনঃ নয় দিন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! (আরো করতে সক্ষম)। তিনি বললেনঃ এগারো দিন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দাউদ (আঃ) এর সওমের চেয়ে উত্তম সওম আর হয় না। (তা হচ্ছে) অর্ধেক বছর, একদিন সওম পালন কর ও একদিন ছেড়ে দাও।

النهى عن صوم الدهر لمن تضرر به، أو فوت به حقا أو لم يفطر العيدين والتشريق، وبيان تفضيل صوم يوم وإفطار يوم

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو، حَدَّثَ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذُكِرَ لَهُ صَوْمِي، فَدَخَلَ عَلَيَّ، فَأَلْقَيْتُ لَهُ وِسَادَةً مِنْ أَدَمٍ، حَشْوُهَا لِيفٌ، فَجَلَسَ عَلَى الأَرْضِ، وَصَارَتِ الْوِسَادَةُ بَيْنِي وَبَيْنَهُ؛ فَقَالَ: أَمَا يَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ قَالَ، قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: خَمْسًا قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: سَبْعًا قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: تِسْعًا قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ: إِحْدَى عَشْرَةَ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لاَ صَوْمَ فَوْقَ صَوْمِ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ، شَطرَ الدَّهْرِ، صُمْ يَوْمًا وَأَفْطِرْ يَوْمًا

حديث عبد الله بن عمرو، حدث: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم ذكر له صومي، فدخل علي، فالقيت له وسادة من ادم، حشوها ليف، فجلس على الارض، وصارت الوسادة بيني وبينه؛ فقال: اما يكفيك من كل شهر ثلاثة ايام قال، قلت: يا رسول الله قال: خمسا قلت: يا رسول الله قال: سبعا قلت: يا رسول الله قال: تسعا قلت: يا رسول الله قال: احدى عشرة ثم قال النبي صلى الله عليه وسلم: لا صوم فوق صوم داود عليه السلام، شطر الدهر، صم يوما وافطر يوما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে