পরিচ্ছেদঃ ১৩/১৯. আশুরা বা মহরম মাসের দশ তারিখের সওম।

৬৮৮. আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। জাহিলী যুগে কুরায়শগণ ’আশূরার দিন সওম পালন করত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও পরে এ সওম পালনের নির্দেশ দেন। অবশেষে রমাযানের সিয়াম ফারয হলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যার ইচ্ছে ’আশূরার সিয়াম পালন করবে এবং যার ইচ্ছে সে সওম পালন করবে না।

صوم يوم عاشوراء

حديث عَائِشَةَ، أَنَّ قُرَيْشًا كَانَتْ تَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فِي الْجَاهِلِيَّةِ، ثُمَّ أَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِصِيَامِهِ حَتَّى فُرِضَ رَمَضَانُ، وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ شَاءَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ شَاءَ أَفْطَرَ

حديث عاىشة، ان قريشا كانت تصوم يوم عاشوراء في الجاهلية، ثم امر رسول الله صلى الله عليه وسلم بصيامه حتى فرض رمضان، وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: من شاء فليصمه ومن شاء افطر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/১৯. আশুরা বা মহরম মাসের দশ তারিখের সওম।

৬৮৯. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাহিলী যুগের লোকরা আশুরার সওম পালন করত। এরপর যখন রমাযানের সওমের বিধান নাযিল হল, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যার ইচ্ছে সে আশুরার সওম পালন করবে আর যার ইচ্ছে সে তার সওম পালন করবে না।

صوم يوم عاشوراء

حديث ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: كَانَ عَاشُورَاءُ يَصُومُهُ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ، فَلَمَّا نَزَلَ رَمَضَانُ، قَالَ: مَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ لَمْ يَصُمْهُ

حديث ابن عمر، قال: كان عاشوراء يصومه اهل الجاهلية، فلما نزل رمضان، قال: من شاء صامه ومن شاء لم يصمه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/১৯. আশুরা বা মহরম মাসের দশ তারিখের সওম।

৬৯০. আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁর নিকট আশ’আস আসেন। এ সময় ইবনু মাসউদ (রাঃ) পানাহার করছিলেন। তখন আশ’আস (রাঃ) বললেন, আজ তো আশুরা। তিনি বললেন, রমাযানের (এর সওমের বিধান) নাযিল হওয়ার পূর্বে ’আশুরার সওম পালন করা হত। যখন রমাযানের (এর সওমের বিধান) নাযিল হল তখন তা পরিত্যাগ করা হয়েছে। এসো, তুমিও খাও।

صوم يوم عاشوراء

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ دَخَلَ عَلَيْهِ الأَشْعَثُ وَهُوَ يَطْعَمُ، فَقَالَ: الْيَوْمُ عَاشُورَاء، فَقَالَ: كَانَ يُصَامُ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ رَمَضَانُ، فَلَمَّا نَزَلَ رَمَضَانُ تُرِكَ، فَادْنُ فَكُلْ

حديث عبد الله بن مسعود دخل عليه الاشعث وهو يطعم، فقال: اليوم عاشوراء، فقال: كان يصام قبل ان ينزل رمضان، فلما نزل رمضان ترك، فادن فكل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/১৯. আশুরা বা মহরম মাসের দশ তারিখের সওম।

৬৯১. হুমাইদ ইবনু ’আবদুর রহমান (রহঃ) হতে বর্ণিত। যে বছর মুআবিয়া (রাঃ) হাজ্জ করেন সে বছর আশূরার দিনে (মসজিদে নববীর) মিম্বরে তিনি (রাবী) তাকে বলতে শুনেছেন যে, হে মদীনাবাসীগণ! আমাদের ’আলিমগণ কোথায়? আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আজকে ’আশূরার দিন, আল্লাহ তা’আলা এর সওম আমাদের উপর ফারয করেননি বটে, তবে আমি (আজ) সওম পালন করছি। যার ইচ্ছে সে সওম পালন করুক, যার ইচ্ছে সে পালন না করুক।

صوم يوم عاشوراء

حديث مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَحْمنِ، أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ ابْنَ أَبِي سُفْيَانَ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ، عَامَ حَجَّ، عَلَى الْمِنْبَرِ، يَقُولُ: يَا أَهْلَ الْمَدِينَة أَيْنَ عُلَمَاؤُكُمْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: هذَا يَوْمُ عَاشُورَاءَ، وَلَمْ يُكْتَبْ عَلَيْكُمْ صِيَامُهُ، وَأَنَا صَائمٌ، فَمَنْ شَاءَ فَلْيَصُمْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيُفْطِرْ

حديث معاوية بن ابي سفيان عن حميد بن عبد الرحمن، انه سمع معاوية ابن ابي سفيان، يوم عاشوراء، عام حج، على المنبر، يقول: يا اهل المدينة اين علماوكم سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم، يقول: هذا يوم عاشوراء، ولم يكتب عليكم صيامه، وانا صاىم، فمن شاء فليصم ومن شاء فليفطر

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/১৯. আশুরা বা মহরম মাসের দশ তারিখের সওম।

৬৯২. ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় আগমন করে দেখতে পেলেন যে, ইয়াহুদীগণ ’আশূরার দিনে সওম পালন করে। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ কি ব্যাপার? (তোমরা এ দিনে সওম পালন কর কেন?) তারা বলল, এ অতি উত্তম দিন, এ দিনে আল্লাহ তা’আলা বনী ইসরাঈলকে তাদের শত্রুর কবল হতে নাজাত দান করেন, ফলে এ দিনে মূসা (আঃ) সাওম পালন করেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাদের অপেক্ষা মূসার অধিক নিকটবর্তী, এরপর তিনি এ দিনে সওম পালন করেন এবং সাওম পালনের নির্দেশ দেন।

صوم يوم عاشوراء

حديث ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَة، فَرَأَى الْيَهُودَ تصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ، فَقَالَ: مَا هذَا قَالُوا: هذَا يَوْمٌ صَالِحٌ، هذَا يَوْمُ نَجَّى اللهُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ عَدُوِّهِمْ فَصَامَهُ مُوسى، قَالَ: فَأَنَا أَحَقُّ بِمُوسى مِنْكُمْ فَصَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ

حديث ابن عباس، قال: قدم النبي صلى الله عليه وسلم المدينة، فراى اليهود تصوم يوم عاشوراء، فقال: ما هذا قالوا: هذا يوم صالح، هذا يوم نجى الله بني اسراىيل من عدوهم فصامه موسى، قال: فانا احق بموسى منكم فصامه وامر بصيامه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/১৯. আশুরা বা মহরম মাসের দশ তারিখের সওম।

৬৯৩. আবু মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আশূরার দিনকে ইয়াহুদীগণ ’ঈদ (উৎসবের দিন) মনে করত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সাহাবীগণকে) বললেনঃ তোমরাও এ দিনের সওম পালন কর।

صوم يوم عاشوراء

حديث أَبِي مُوسى رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ يَوْمُ عَاشُورَاءَ تَعُدُّهُ الْيَهُودُ عِيدًا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَصُومُوهُ أَنْتُمْ

حديث ابي موسى رضي الله عنه، قال: كان يوم عاشوراء تعده اليهود عيدا قال النبي صلى الله عليه وسلم: فصوموه انتم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)

পরিচ্ছেদঃ ১৩/১৯. আশুরা বা মহরম মাসের দশ তারিখের সওম।

৬৯৪. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আশূরার দিনের সওমের উপরে অন্য কোন দিনের সমকে প্রাধান্য দিতে দেখিনি এবং এ মাস অর্থাৎ রমযান মাস (এর উপরও অন্য মাসের গুরুত্ব প্রদান করতে দেখিনি)।

صوم يوم عاشوراء

حديث ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَحَرَّى صِيَامَ يَوْم فَضَّلَهُ عَلَى غَيْرِهِ إِلاَّ هذَا الْيَوْمَ، يَوْمَ عَاشُورَاءَ؛ وَهذَا الشَّهْرَ، يَعْنِي شَهْرَ رَمَضَانَ

حديث ابن عباس، قال: ما رايت النبي صلى الله عليه وسلم يتحرى صيام يوم فضله على غيره الا هذا اليوم، يوم عاشوراء؛ وهذا الشهر، يعني شهر رمضان

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১৩/ সওম (كتاب الصيام)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে