পরিচ্ছেদঃ ১২/৪১. দুনিয়ার চাকচিক্য থেকে যা বেরিয়ে আসবে সে ব্যাপারে ভয় করা।

৬২৫. আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য যমীনের বরকতসমূহ প্রকাশিত করে দেবেন, আমি তোমাদের জন্য এ ব্যাপারেই সর্বাধিক আশংকা করছি। জিজ্ঞেস করা হলো, যমীনের বরকতসমূহ কী? তিনি বললেনঃ দুনিয়ার জাঁকজমক। তখন এক ব্যক্তি তার কাছে বললেন, ভাল কি মন্দ নিয়ে আসবে? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছুক্ষণ নীরব থাকলেন, যদ্দরুন আমরা ধারণা করলাম যে, এখন তার উপর (ওয়াহয়ী) নাযিল হচ্ছে। এরপর তিনি তাঁর কপাল থেকে ঘাম মুছে জিজ্ঞেস করলেন, প্রশ্নকারী কোথায়? সে বলল, আমি। আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, যখন এটি প্রকাশ পেল, তখন আমরা প্ৰশ্নকারীর প্রশংসা করলাম। রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ভাল একমাত্ৰ ভালকেই বয়ে আনে। নিশ্চয়ই এ ধনদৌলত সবুজ শ্যামল সুমিষ্টি। অবশ্যি বসন্ত যে সবজি উৎপাদন করে, তা ভক্ষণকারী পশুকে মত্যর মুখে ঠেলে দেয় অথবা নিকটে করে দেয়, তবে যে প্রাণী পেট ভরে খেয়ে সূর্যমুখী হয়ে জাবর কাটে, মল-মূত্র ত্যাগ করে এবং পুনঃ খায় (এর অবস্থা ভিন্ন)। এ পৃথিবীর ধনদৌলত দ্ৰুপ সুমিষ্ট। যে ব্যক্তি তা সৎভাবে গ্রহণ করবে এবং সৎকাজে ব্যয় করবে, তা তার খুবই সাহায্যকারী হবে। আর যে তা অন্যায়ভাবে গ্রহণ করবে, তার অবস্থা হবে ঐ ব্যক্তির মত যে খেতে থাকে আর পরিতৃপ্ত হয় না।

تخوف ما يخرج من زهرة الدنيا

حديث أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أَكْثَرَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ مَا يُخْرِجُ اللهُ لَكُمْ مِنْ بَرَكَاتِ الأَرْضِ قِيلَ: وَمَا بَرَكَات الأَرْضِ قَالَ: زَهْرَة الدُّنْيَا فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: هَلْ يَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ فَصَمَتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ يُنْزَلُ علَيْهِ، ثُمَّ جَعَلَ يَمْسَحُ عَنْ جَبِينِهِ، فَقَالَ: أَيْنَ السَّائِلُ قَالَ: أَنَا قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: لَقَدْ حَمِدْنَاهُ حِينَ طَلَعَ ذلِكَ، قَال: لاَ يَأْتِي الْخَيْرُ إِلاَّ بِالْخَيْرِ، إِنَّ هذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ، وَإِنَّ كُلَّ مَا أَنْبَتَ الرَّبِيعُ يَقْتُلُ حَبَطًا أَوْ يُلِمُّ، إِلاَّ آكِلَةَ الْخَضِرَةِ، أَكَلَتْ، حَتَّى إِذَا امْتَدَّتْ خَاصِرَتَاهَا اسْتَقْبَلَتِ الشَمْسَ فَاجْتَرَّتْ وَثَلَطَتْ وَبَالَتْ، ثُمَّ عَادَتْ فَأَكَلَتْ؛ وَإِنَّ هذَا الْمَالَ حُلْوَةٌ، مَنْ أَخَذَهُ بِحَقِّهِ، وَوَضَعَهُ فِي حَقِّهِ فَنِعْمَ الْمَعُونَةُ هُوَ؛ وَمَنْ أَخَذَهُ بِغَيْرِ حَقِّهِ كَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ

حديث ابي سعيد، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان اكثر ما اخاف عليكم ما يخرج الله لكم من بركات الارض قيل: وما بركات الارض قال: زهرة الدنيا فقال له رجل: هل ياتي الخير بالشر فصمت النبي صلى الله عليه وسلم، حتى ظننا انه ينزل عليه، ثم جعل يمسح عن جبينه، فقال: اين الساىل قال: انا قال ابو سعيد: لقد حمدناه حين طلع ذلك، قال: لا ياتي الخير الا بالخير، ان هذا المال خضرة حلوة، وان كل ما انبت الربيع يقتل حبطا او يلم، الا اكلة الخضرة، اكلت، حتى اذا امتدت خاصرتاها استقبلت الشمس فاجترت وثلطت وبالت، ثم عادت فاكلت؛ وان هذا المال حلوة، من اخذه بحقه، ووضعه في حقه فنعم المعونة هو؛ ومن اخذه بغير حقه كان كالذي ياكل ولا يشبع

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১২/ যাকাত (كتاب الزكاة)

পরিচ্ছেদঃ ১২/৪১. দুনিয়ার চাকচিক্য থেকে যা বেরিয়ে আসবে সে ব্যাপারে ভয় করা।

৬২৬. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে বসলেন এবং আমরা তার আশেপাশে বসলাম। তিনি বললেনঃ আমার পরে আমাদের ব্যাপারে আমি যা আশঙ্কা করছি তা হলো এই যে দুনিয়ার চাকচিক্য ও সৌন্দর্য (ধন-সম্পদ) আমাদের সামনে খুলে দেয়া হবে। এক সাহাবী বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কল্যাণ কি কখনাে অকল্যাণ বয়ে আনে? এতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব হলেন। প্রশ্নকারীকে বলা হলো, তোমার কী হয়েছে? তুমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে কথা বলছ, কিন্তু তিনি তোমাকে জওয়াব দিচ্ছেন না? তখন আমরা অনুভব করলাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর ওয়াহী নাযিল হচ্ছে।

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি তাঁর ঘাম মুছলেন এবং বললেনঃ প্রশ্নকারী কোথায়? যেন তার প্রশ্নকে প্রশংসা করে বললেন, কল্যাণ কখনাে অকল্যাণ বয়ে আনে না । অবশ্য বসন্ত মৌসুম যে ঘাস উৎপন্ন করে তা সবটুকুই সুস্বাদু ও কল্যাণকর বটে তবে অনেক সময় হয়ত (ভােজনকারী প্রাণীর) জীবন নাশ করে অথবা তাকে মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে যায়। তবে ঐ তৃণভােজী জন্তু, যে পেট ভরে খাওয়ার পর সূর্যের তাপ গ্রহণ করে এবং মল ত্যাগ করে, প্রস্রাব করে এবং পুনরায় চলে (সেই মৃত্যু থেকে রক্ষা পায় তেমনি) এই সম্পদ হলো আকর্ষণীয় সুস্বাদু। কাজেই সে-ই ভাগ্যবান মুসলিম, যে এই সম্পদ থেকে মিসকীন, ইয়াতীম ও মুসাফিরকে দান করে অথবা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেরূপ বলেছেন, আর যে ব্যক্তি এই সম্পদ অন্যায়ভাবে উপার্জন করে, সে ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে খেতে থাকে এবং তার পেট ভরে না। কিয়ামত দিবসে ঐ সম্পদ তার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিবে।

تخوف ما يخرج من زهرة الدنيا

حديث أَبِي سَعِيدٍ الْخدْرِيِّ رضي الله عنه، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَلَسَ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى الْمِنْبَرِ وَجَلَسْنَا حَوْلَهُ، فَقَالَ: إِنِّي مِمَّا أَخَافُ عَلَيْكُمْ مِنْ بَعْدِي مَا يُفْتَحُ عَلَيْكُمْ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا وَزِينَتِهَا فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ أَوَ يَأْتِي الْخَيْرُ بِالشَّرِّ فَسَكَتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقِيلَ لَهُ: مَا شَأْنُكَ تُكَلِّمُ النَبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلاَ يُكَلِّمُكَ فَرَأَيْنَا أَنَّهُ يُنْزَلُ عَلَيْهِ قَالَ فَمَسَحَ عَنْهُ الرُّحَضَاءَ، فَقَالَ: أَيْنَ السَّائِلُ وَكَأَنَّهُ حَمِدَهُ؛ فَقَالَ: إِنَّهُ لاَ يَأْتِي [ص: 224] الْخَيْرُ بِالشَّرِّ، وَإِنَّ مِمَّا يُنْبِتُ الرَّبِيعُ يَقْتُلُ أَو يُلِمُّ، إِلاَّ آكِلَةَ الْخَضْرَاءِ، أَكَلَتْ حَتَّى إِذَا اْمتَدَّتْ خَاصِرَتَاهَا اسْتَقْبَلَتْ عَيْنَ الشَّمْسِ، فَثَلَطَت وَبَالَتْ وَرَتَعَتْ، وَإِنَّ هذَا الْمَالَ خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ، فَنِعْمَ صَاحِبُ الْمُسْلِمِ مَا أَعْطَى مِنْهُ الْمِسْكِينَ وَالْيَتِيمَ وَابْنَ السَّبِيلِ أَوْ كَمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَإِنَّهُ مَنْ يَأْخُذُهُ بِغَيْرِ حَقِّهِ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلاَ يَشْبَعُ، وَيَكُونُ شَهِيدًا عَلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

حديث ابي سعيد الخدري رضي الله عنه، ان النبي صلى الله عليه وسلم جلس ذات يوم على المنبر وجلسنا حوله، فقال: اني مما اخاف عليكم من بعدي ما يفتح عليكم من زهرة الدنيا وزينتها فقال رجل: يا رسول الله او ياتي الخير بالشر فسكت النبي صلى الله عليه وسلم فقيل له: ما شانك تكلم النبي صلى الله عليه وسلم ولا يكلمك فراينا انه ينزل عليه قال فمسح عنه الرحضاء، فقال: اين الساىل وكانه حمده؛ فقال: انه لا ياتي [ص: 224] الخير بالشر، وان مما ينبت الربيع يقتل او يلم، الا اكلة الخضراء، اكلت حتى اذا امتدت خاصرتاها استقبلت عين الشمس، فثلطت وبالت ورتعت، وان هذا المال خضرة حلوة، فنعم صاحب المسلم ما اعطى منه المسكين واليتيم وابن السبيل او كما قال النبي صلى الله عليه وسلم: وانه من ياخذه بغير حقه كالذي ياكل ولا يشبع، ويكون شهيدا عليه يوم القيامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
১২/ যাকাত (كتاب الزكاة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে