পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামীদের খাদ্য।

২৫৮৭. আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) ....... আবুদ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জাহান্নামবাসীদের উপর ক্ষুধা চাপিয়ে দেওয়া হবে। তারা যে আযাবে ছিল ক্ষুধাও এর বরাবর (আযাব) হয়ে দাঁড়াবে। তারা কাতর হয়ে (আল্লাহর কাছে) ফরিয়াদ করতে থাকবে। তখন দারী’ (কণ্টকাকীর্ণ একজাতীয় বিষাক্ত গুল্ম) খাদ্য দিয়ে তাদের এই ফরিয়াদের জওয়াব দেওয়া হবে। যা তাদেরকে পুষ্টও করবে না এবং তাদের ক্ষুধাও নিবারণ করবে না। আবার তারা ফরিয়াদ করবে। অনন্তর তাদেরকে এমন খাদ্য দেওয়া হবে যা গলায় আটকে যাবে। তখন তারা দুনিয়াতে পানি খেয়ে গলার আটকা দূর করার কথা স্মরণ করবে। তাই তারা পানির জন্য ফরিয়াদ করবে। লোহার আঁকশী দিয়ে তাদের ফুটন্ত পানি দেওয়া হবে। তাদের মুখের নিকটবর্তী হওয়া মাত্র তা তাদের চেহারা দগ্ধ করে ফেলবে। পেটে প্রবিষ্ট হওয়া মাত্র পেটে নাড়ি-ভুঁড়ি যা কিছু আছে সব গলিয়ে ছিন্ন-ভিন্ন করে ফেলবে। তারা বলবে, (নিজেরা নিজেরা) যাও জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়কদেরকে ডাক। জাহান্নামের তত্ত্বাবধায়কগণ বলবেনঃ তোমাদের কাছে কি সুস্পষ্ট প্রমাণসহ রাসূলগণের আগমন হয়নি?

তারা বলবেঃ অবশ্যই হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়কগণ বলবেনঃ ডাকতে থাক, কাফিরদের ডাক তো নিষ্ফল হওয়া ব্যতিরেকে কিছুই নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারা (নিজেরা নিজেরা) বলবে যাও (জাহান্নামের প্রধান রক্ষক) মালিককে ডাক। তারা বলবেঃ হে মালিক, তোমার প্রভু যেন আমাদের মওত দিয়ে দেয়।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তখন তাদের জওয়াব দেওয়া হবেঃ না, এখানেই তোমাদের অবস্থান করতে হবে। আ’মাশ (রহঃ) বলেন, আমি অবহিত হয়েছি যে তাদের এই ডাক ও মালিকের জওয়াব প্রদানের মাঝে হবে এক হাজার বছরের ব্যবধান।

এরপর তারা (পরস্পর) বলবেঃ চল, তোমাদের পরওয়ারদিগারকে ডাক। যেহেতু তোমাদের পরওয়ারদিগারের চেয়ে উত্তম কেউ নেই। তারা বলবেঃ আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের উপর প্রবল হয়ে গেছে। আমরা তো ছিলাম পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়। হে পরওয়ারদিগার, এখান থেকে আমাদের বের করে নিন। আমরা যদি পুনরায় নাফরমানী করি তবে অবশ্যই আমরা জালিম হব। তাদের জওয়াব দেওয়া হবেঃ এখানেই তোমরা লাঞ্ছনার মধ্যে বসবাস করবে, কোন কথা বলবে না। তখন থেকেই এরা সব কল্যাণের আশা থেকে নিরাশ হয়ে যাবে। আর তারা এই ধ্বংসের কারণে আফসোস সহকারে গাধার ন্যায় চিৎকার দিতে থাকবে। যঈফ, মিশকাত ৫৬৮৬, তা’লীকুর রাগীব ৪/২৩৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৮৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) বলেনঃ বর্ণনাকারীগণ হাদীসটি মারফু’ রূপে বর্ণনা করেননি। হাদীসটি আ’মাশ-শিমর ইবন আতিয়্যা-শাহর ইবন হাওশাব-উম্মুদ দারদা-আবুদ দারদা (রাঃ) সূত্রে তাঁর উক্তি হিসাবে বর্ণিত হয়েছে। এটি মারফূ’ নয়। হাদীস বিশেষজ্ঞগণের মতে কুতবা ইবন আবদুল-আযীয ছিকাহ বা নির্ভরযোগ্য রাবী।

بَابُ مَا جَاءَ فِي صِفَةِ طَعَامِ أَهْلِ النَّارِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا قُطْبَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يُلْقَى عَلَى أَهْلِ النَّارِ الْجُوعُ فَيَعْدِلُ مَا هُمْ فِيهِ مِنَ الْعَذَابِ فَيَسْتَغِيثُونَ فَيُغَاثُونَ بِطَعَامٍ مِنْ ضَرِيعٍ لاَ يُسْمِنُ وَلاَ يُغْنِي مِنْ جُوعٍ فَيَسْتَغِيثُونَ بِالطَّعَامِ فَيُغَاثُونَ بِطَعَامٍ ذِي غُصَّةٍ فَيَذْكُرُونَ أَنَّهُمْ كَانُوا يُجِيزُونَ الْغُصَصَ فِي الدُّنْيَا بِالشَّرَابِ فَيَسْتَغِيثُونَ بِالشَّرَابِ فَيُرْفَعُ إِلَيْهِمُ الْحَمِيمُ بِكَلاَلِيبِ الْحَدِيدِ فَإِذَا دَنَتْ مِنْ وُجُوهِهِمْ شَوَتْ وُجُوهَهُمْ فَإِذَا دَخَلَتْ بُطُونَهُمْ قَطَّعَتْ مَا فِي بُطُونِهِمْ فَيَقُولُونَ ادْعُوا خَزَنَةَ جَهَنَّمَ فَيَقُولُونَ أَلَمْ تَكُ تَأْتِيكُمْ رُسُلُكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا بَلَى ‏.‏ قَالُوا فَادْعُوا وَمَا دُعَاءُ الْكَافِرِينَ إِلاَّ فِي ضَلاَلٍ ‏.‏ قَالَ فَيَقُولُونَ ادْعُوا مَالِكًا فَيَقُولُونَ‏:‏ ‏(‏يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ ‏)‏ قَالَ فَيُجِيبُهُمْ‏:‏ ‏(‏إِنَّكُمْ مَاكِثُونَ ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ الأَعْمَشُ نُبِّئْتُ أَنَّ بَيْنَ دُعَائِهِمْ وَبَيْنَ إِجَابَةِ مَالِكٍ إِيَّاهُمْ أَلْفَ عَامٍ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَيَقُولُونَ ادْعُوا رَبَّكُمْ فَلاَ أَحَدَ خَيْرٌ مِنْ رَبِّكُمْ فَيَقُولُونَ‏:‏ ‏(‏رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا وَكُنَّا قَوْمًا ضَالِّينَ * رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْهَا فَإِنْ عُدْنَا فَإِنَّا ظَالِمُونَ ‏)‏ قَالَ فَيُجِيبُهُمْ‏:‏ ‏(‏اخْسَؤُوا فِيهَا وَلاَ تُكَلِّمُونِ ‏)‏ قَالَ فَعِنْدَ ذَلِكَ يَئِسُوا مِنْ كُلِّ خَيْرٍ وَعِنْدَ ذَلِكَ يَأْخُذُونَ فِي الزَّفِيرِ وَالْحَسْرَةِ وَالْوَيْلِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَالنَّاسُ لاَ يَرْفَعُونَ هَذَا الْحَدِيثَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى إِنَّمَا نَعْرِفُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ شِمْرِ بْنِ عَطِيَّةَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ قَوْلَهُ وَلَيْسَ بِمَرْفُوعٍ ‏.‏ وَقُطْبَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ هُوَ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ ‏.‏

حدثنا عبد الله بن عبد الرحمن، اخبرنا عاصم بن يوسف، حدثنا قطبة بن عبد العزيز، عن الاعمش، عن شمر بن عطية، عن شهر بن حوشب، عن ام الدرداء، عن ابي الدرداء، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يلقى على اهل النار الجوع فيعدل ما هم فيه من العذاب فيستغيثون فيغاثون بطعام من ضريع لا يسمن ولا يغني من جوع فيستغيثون بالطعام فيغاثون بطعام ذي غصة فيذكرون انهم كانوا يجيزون الغصص في الدنيا بالشراب فيستغيثون بالشراب فيرفع اليهم الحميم بكلاليب الحديد فاذا دنت من وجوههم شوت وجوههم فاذا دخلت بطونهم قطعت ما في بطونهم فيقولون ادعوا خزنة جهنم فيقولون الم تك تاتيكم رسلكم بالبينات قالوا بلى ‏.‏ قالوا فادعوا وما دعاء الكافرين الا في ضلال ‏.‏ قال فيقولون ادعوا مالكا فيقولون‏:‏ ‏(‏يا مالك ليقض علينا ربك ‏)‏ قال فيجيبهم‏:‏ ‏(‏انكم ماكثون ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ قال الاعمش نبىت ان بين دعاىهم وبين اجابة مالك اياهم الف عام ‏.‏ قال ‏"‏ فيقولون ادعوا ربكم فلا احد خير من ربكم فيقولون‏:‏ ‏(‏ربنا غلبت علينا شقوتنا وكنا قوما ضالين * ربنا اخرجنا منها فان عدنا فانا ظالمون ‏)‏ قال فيجيبهم‏:‏ ‏(‏اخسووا فيها ولا تكلمون ‏)‏ قال فعند ذلك يىسوا من كل خير وعند ذلك ياخذون في الزفير والحسرة والويل ‏"‏ ‏.‏ قال عبد الله بن عبد الرحمن والناس لا يرفعون هذا الحديث ‏.‏ قال ابو عيسى انما نعرف هذا الحديث عن الاعمش عن شمر بن عطية عن شهر بن حوشب عن ام الدرداء عن ابي الدرداء قوله وليس بمرفوع ‏.‏ وقطبة بن عبد العزيز هو ثقة عند اهل الحديث ‏.‏


Abu Ad-Darda' narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"The inhabitants of the Fire will suffer from a hunger equal to the punishment they experience, so they will seek relief, and be given to eat of Dari; which will neither nourish nor avail against hunger. So they will (again) seek food to relieve (their hunger), and they will be given to eat of a food that causes one to choke. Then they will remember that they used remedy for choking in the world by drinking something. So they will seek relief from drink. Then they will be given Hamim with meat hooks, so when it comes toward their faces it melts their faces, and when it enters their insides it cuts up what is inside of them. So (some of them) say: 'Call the keepers of Hell' so they say: Did there not come to you your Messengers with clear signs? They say: 'Yes!' They say: 'Then call as you like.' And the invocation of the disbelievers is nothing but in vain." He said: "They will say: 'Call Malik.' So they say: O Malik! Let your Lord make an end of us!'" He said: "So he answers them: Verily you shall abide forever. Al-A'mash said: "I was informed that there is a thousand years between their calling him, and Malik's answering them." He said: "They say: 'Call your Lord, for there is none better than your Lord.' So they will say: Our Lord! Our wretchedness over came us, and we were (an) erring people. Our Lord! Bring us out of this. If we ever return (to evil), indeed we shall be wrong doers."He said: "So the reply to them is: You remain in it in ignominy! And do not speak to Me." He said: "So with that, they loose hope of any good, and with that they are taken to moaning, despair and severe ruin."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪২/ জাহান্নামের বিবরণ (كتاب صفة جهنم عن رسول الله ﷺ) 42/ The Book on the Description of Hellfire

পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামীদের খাদ্য।

২৫৮৮. সুওয়ায়দ ইবন নাসর (রহঃ) ...... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত।(‏وَهُمْ فِيهَا كَالِحُونَ‏) তারা তথায় থাকবে বীভৎস চেহারায় (মুমিনূন ২৩ঃ ১০৪) প্রসঙ্গে তিনি বলেছেনঃ তাদের চেহারা অগ্নিদগ্ধ হবে। উপরের ঠোঁটটি কুঁকড়ে মাথার মাঝ পর্যন্ত চলে যাবে আর নিচের ঠোঁটটি ঝুলে পড়ে নাভিতে গিয়ে বাড়ি খাবে। যঈফ, মিশকাত ৫৬৮৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৮৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। রাবী আবুল হায়ছামের নাম হল সুলায়মান ইবন আমর ইবন আবদুল উতওয়ারী (রহঃ)। তিনি আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর তত্ত্বাবধানে ইয়াতীম হিসাবে লালিত-পালিত হয়েছেন।

بَابُ مَا جَاءَ فِي صِفَةِ طَعَامِ أَهْلِ النَّارِ

حَدَّثَنَا سُوَيْدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَزِيدَ أَبِي شُجَاعٍ، عَنْ أَبِي السَّمْحِ، عَنْ أَبِي الْهَيْثَمِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ‏:‏ ‏(‏وَهُمْ فِيهَا كَالِحُونَ‏)‏ قَالَ ‏"‏ تَشْوِيهِ النَّارُ فَتَقَلَّصُ شَفَتُهُ الْعُلْيَا حَتَّى تَبْلُغَ وَسَطَ رَأْسِهِ وَتَسْتَرْخِي شَفَتُهُ السُّفْلَى حَتَّى تَضْرِبَ سُرَّتَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَأَبُو الْهَيْثَمِ اسْمُهُ سُلَيْمَانُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَبْدٍ الْعُتْوَارِيُّ وَكَانَ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏

حدثنا سويد، اخبرنا عبد الله بن المبارك، عن سعيد بن يزيد ابي شجاع، عن ابي السمح، عن ابي الهيثم، عن ابي سعيد الخدري، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال‏:‏ ‏(‏وهم فيها كالحون‏)‏ قال ‏"‏ تشويه النار فتقلص شفته العليا حتى تبلغ وسط راسه وتسترخي شفته السفلى حتى تضرب سرته ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏ وابو الهيثم اسمه سليمان بن عمرو بن عبد العتواري وكان يتيما في حجر ابي سعيد ‏.‏


Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that the Prophet (s.a.w) said:
"And therein they will grimace in displace lips. -He will be grilled by the Fire until his upper lip is folded up reaching the middle of his head, And his bottom lip pains down, until it hits his navel."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪২/ জাহান্নামের বিবরণ (كتاب صفة جهنم عن رسول الله ﷺ) 42/ The Book on the Description of Hellfire

পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামীদের খাদ্য।

২৫৮৯. সুওয়ায়দ ইবন নাসর (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ্ ইবন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথার খুলির দিকে ইশারা করলেন, বললেনঃ এর অনুরূপ শীশা যদি আসমান থেকে যমীনে ছুঁড়ে ফেলা হয় তবে রাত্রি হওয়ার আগেই তা যমীনে পৌঁছে যাবে। অথচ এতদুভয়ের ব্যবধান হল পাঁচশ’ বছরের পথ। কিন্তু যদি জাহান্নামের জিঞ্জীরের মাথা থেকে এটিকে নিক্ষেপ করা হয় তবে এর গোড়া পর্যন্ত বা এর গহ্বর পর্যন্ত পৌঁছার আগেই চল্লিশ বছর ধরে রাত দিন তা নিচে পড়তেই থাকবে।

যঈফ, মিশকাত ৫৬৮৮, তা’লীকুর রাগীব ৪/২৩২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৮৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটির সনদ হাসান সহীহ। রাবী সাঈদ ইবন ইয়াযীদ মিসর নিবাসী। লায়ছ ইবন সা’দ প্রমুখ ইমাম তার কাছ থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন।

بَابُ مَا جَاءَ فِي صِفَةِ طَعَامِ أَهْلِ النَّارِ

حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي السَّمْحِ، عَنْ عِيسَى بْنِ هِلاَلٍ الصَّدَفِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِي، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لَوْ أَنَّ رُصَاصَةً مِثْلَ هَذِهِ وَأَشَارَ إِلَى مِثْلِ الْجُمْجُمَةِ أُرْسِلَتْ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الأَرْضِ وَهِيَ مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ لَبَلَغَتِ الأَرْضَ قَبْلَ اللَّيْلِ وَلَوْ أَنَّهَا أُرْسِلَتْ مِنْ رَأْسِ السِّلْسِلَةِ لَصَارَتْ أَرْبَعِينَ خَرِيفًا اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ قَبْلَ أَنْ تَبْلُغَ أَصْلَهَا أَوْ قَعْرَهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِسْنَادُهُ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَسَعِيدُ بْنُ يَزِيدَ هُوَ مِصْرِيٌّ وَقَدْ رَوَى عَنْهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ ‏.‏

حدثنا سويد بن نصر، اخبرنا عبد الله، اخبرنا سعيد بن يزيد، عن ابي السمح، عن عيسى بن هلال الصدفي، عن عبد الله بن عمرو بن العاصي، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لو ان رصاصة مثل هذه واشار الى مثل الجمجمة ارسلت من السماء الى الارض وهي مسيرة خمسماىة سنة لبلغت الارض قبل الليل ولو انها ارسلت من راس السلسلة لصارت اربعين خريفا الليل والنهار قبل ان تبلغ اصلها او قعرها ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث اسناده حسن صحيح ‏.‏ وسعيد بن يزيد هو مصري وقد روى عنه الليث بن سعد وغير واحد من الاىمة ‏.‏


'Abdullah bin 'Amr bin Al-'As narrated that the Messenger of Allah said:
"If a pellet like this one, and he pointed to one like Al-jumjumah were to be dropped from the heavens to the earth – and it is the distance of traveling five hundred years it would reach the earth before the night-fall. But if it were dropped from the top of the chain it would travel for forty years, day and night, before it would reach its foundation or bottom.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৪২/ জাহান্নামের বিবরণ (كتاب صفة جهنم عن رسول الله ﷺ) 42/ The Book on the Description of Hellfire
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে