পরিচ্ছেদঃ ২৯০৬. ব্যাখ্যা প্রদানকারীদের সম্পর্কে যা বর্ণনা করা হয়েছে
৬৪৬৭। আবু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হিশাম ইবনু হাকীম (রাঃ) কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় সূরা ফুরকান পড়তে শুনেছি। আমি তার পড়ার প্রতি কর্ণপাত করলাম, (আমি লক্ষ্য করলাম) যে, তিনি এর অনেক গুলো অক্ষর এমন পদ্ধতিতে পড়ছেন, যে পদ্ধতিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পড়ান নি। ফলে আমি তাকে সালাত (নামায/নামাজ) এর মাঝেই আক্রমন করতে উদ্যত হলাম। কিন্তু সালাম ফিরানো পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। সালাম ফিরানোর পর আমি তাকে তার চাঁদর দিয়ে অথবা বললেন, আমার চাঁদর দিয়ে জড়িয়ে নিলাম। আর বললাম, তোমাকে এ সুরা কে পড়িয়েছে? তিনি বললেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পড়িয়েছেন। আমি তাকে বললাম, তুমি মিথ্যা বলছ। আল্লাহর কসম! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এ সূরা পড়িয়েছেন যা তোমাকে পড়তে শুনেছি।
তারপর আমি তাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট টেনে নিয়ে গেলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি এ ব্যাক্তিকে সূরা ফুরকান এরূপ অক্ষর দিয়ে পড়তে শুনেছি যা আপনি আমাকে পড়াননি। আর আপনি তো আমাকে সূরা ফুরকান পড়িয়েছেন। তিনি বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে উমর! তাকে ছেড়ে দাও। (আর বললেন) হে হিশাম! তুমি পড় তো। হিশাম তার কাছে এভাবেই পড়লেন, যেভাবে তাকে তা পড়তে আমি শুনেছিলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এভাবেই নাযিল করা হয়েছে এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে উমর! তুমিও পড়। আমি পড়লাম। তখন তিনি বললেনঃ এভাবেও নাযিল করা হয়েছে। অতঃপর তিনি বললেনঃ এ কুরআন সাত (রকমে কিরাআতের দিক দিয়ে) ভাষায় নাযিল করা হয়েছে। তাই যে পদ্ধতিতেই সহজ হবে সে পদ্ধতিতেই তোমরা তা পড়বে।
باب مَا جَاءَ فِي الْمُتَأَوِّلِينَ
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدٍ الْقَارِيَّ، أَخْبَرَاهُ أَنَّهُمَا، سَمِعَا عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ سَمِعْتُ هِشَامَ بْنَ حَكِيمٍ، يَقْرَأُ سُورَةَ الْفُرْقَانِ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَمَعْتُ لِقِرَاءَتِهِ، فَإِذَا هُوَ يَقْرَؤُهَا عَلَى حُرُوفٍ كَثِيرَةٍ لَمْ يُقْرِئْنِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَذَلِكَ، فَكِدْتُ أُسَاوِرُهُ فِي الصَّلاَةِ فَانْتَظَرْتُهُ حَتَّى سَلَّمَ، ثُمَّ لَبَّبْتُهُ بِرِدَائِهِ أَوْ بِرِدَائِي فَقُلْتُ مَنْ أَقْرَأَكَ هَذِهِ السُّورَةَ قَالَ أَقْرَأَنِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُلْتُ لَهُ كَذَبْتَ فَوَاللَّهِ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَقْرَأَنِي هَذِهِ السُّورَةَ الَّتِي سَمِعْتُكَ تَقْرَؤُهَا. فَانْطَلَقْتُ أَقُودُهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي سَمِعْتُ هَذَا يَقْرَأُ بِسُورَةِ الْفُرْقَانِ عَلَى حُرُوفٍ لَمْ تُقْرِئْنِيهَا، وَأَنْتَ أَقْرَأْتَنِي سُورَةَ الْفُرْقَانِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرْسِلْهُ يَا عُمَرُ، اقْرَأْ يَا هِشَامُ ". فَقَرَأَ عَلَيْهِ الْقِرَاءَةَ الَّتِي سَمِعْتُهُ يَقْرَؤُهَا. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَكَذَا أُنْزِلَتْ ". ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اقْرَأْ يَا عُمَرُ ". فَقَرَأْتُ فَقَالَ " هَكَذَا أُنْزِلَتْ ". ثُمَّ قَالَ " إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ أُنْزِلَ عَلَى سَبْعَةِ أَحْرُفٍ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ ".
'Umar bin Al-Khattab said:
I heard Hisham bin Al-Hakim reciting Surat Al-Furqan during the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ). I listened to his recitation and noticed that he recited it in several different ways which Allah's Messenger (ﷺ) had not taught me. So I was about to jump over him during his Salat (prayer) but I waited till he finished his Salat (prayer) whereupon I put, either his upper garment or my upper garment around his neck and seized him by it and asked him, "Who has taught you this Surah?" He replied: "Allah's Messenger (ﷺ) has taught it to me." I said (to him), "You have told a lie! By Allah, Allah's Messenger (ﷺ) has taught me this Surah which I have heard you reciting." So I dragged him to the Allah's Messenger (ﷺ). I said: "O Allah's Messenger I have heard this man reciting Surat Al-Furqan in a way in which you have not taught me, and you did teach me Surah Al-Furqan." On that Allah's Messenger (ﷺ) said, "O 'Umar, release him! Recite, O Hisham". So Hisham recited before him in the way as I heard him reciting. Allah's Messenger (ﷺ) said, "It has been revealed like this." Then Allah's Messenger (ﷺ) said, "Recite, O 'Umar" So recited it. The Prophet (ﷺ) said, "It has been revealed like this." And then he added, "This Qur'an has been revealed to be recited in seven different ways, so recite it whichever way is easier for you."
পরিচ্ছেদঃ ২৯০৬. ব্যাখ্যা প্রদানকারীদের সম্পর্কে যা বর্ণনা করা হয়েছে
৬৪৬৮। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবদল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, য়খন এ আয়াত নাযিল হলঃ যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে জুলুম দ্বারা কলুষিত করেনি (৬ঃ ৮২), তখন তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবাদের জন্য গুরুতর মনে হল। তারা বলল, আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে তার ঈমানকে জুলুম দ্বারা কলুষিত করে না? তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা যেভাবে ধারণা করছ তা তেমন নয়। বরং এটা হচ্ছে তুদ্রূপ যেমন লুকমান (আলাইহিস সালাম) তার পুত্রকে বলেছিলেনঃ হে বৎস! আল্লাহর সাথে কোন শরীক করো না। শিরক তো চরম জুলম (সীমালংঘন) (৩১ঃ ১৩)।
باب مَا جَاءَ فِي الْمُتَأَوِّلِينَ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا وَكِيعٌ، ح حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، رضى الله عنه قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ (الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ) شَقَّ ذَلِكَ عَلَى أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالُوا أَيُّنَا لَمْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ كَمَا تَظُنُّونَ. إِنَّمَا هُوَ كَمَا قَالَ لُقْمَانُ لاِبْنِهِ (يَا بُنَىَّ لاَ تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ)".
Narrated `Abdullah:
When the Verse:--'Those who believe and did not confuse their belief with wrong (worshipping others besides Allah).' (6.82) was revealed, it was hard on the companions of the Prophet (ﷺ) and they said, "Who among us has not wronged (oppressed) himself?" Allah's Messenger (ﷺ) said, "The meaning of the Verse is not as you think, but it is as Luqman said to his son, 'O my son! Join not in worship others with Allah, Verily! Joining others in worship with Allah is a great wrong indeed.'" (31.13)
পরিচ্ছেদঃ ২৯০৬. ব্যাখ্যা প্রদানকারীদের সম্পর্কে যা বর্ণনা করা হয়েছে
৬৪৬৯। আবদান (রহঃ) ... ইতবান ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যূষে আমার কাছে আগমন করলেন। তখন এক ব্যাক্তি বলল, মালিক ইবনু দুখশুন কোথায়? আমাদের এক ব্যাক্তি বলল, সে তো মুনাফিক; সে আল্লাহ ও তার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ভালোবাসে না। তা শুনে রাসুলাল্লাহ বললেনঃ তোমরা কি এ কথা বলনি যে, সে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে। তারা বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ যে কোন বান্দা কিয়ামতের দিন ঐ কথা নিয়ে উপস্থিত হবে, আল্লাহ তার উপর জাহান্নাম হারাম করে দিবেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْمُتَأَوِّلِينَ
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي مَحْمُودُ بْنُ الرَّبِيعِ، قَالَ سَمِعْتُ عِتْبَانَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ غَدَا عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَجُلٌ أَيْنَ مَالِكُ بْنُ الدُّخْشُنِ فَقَالَ رَجُلٌ مِنَّا ذَلِكَ مُنَافِقٌ لاَ يُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ تَقُولُوهُ يَقُولُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ يَبْتَغِي. بِذَلِكَ وَجْهَ اللَّهِ ". قَالَ بَلَى. قَالَ " فَإِنَّهُ لاَ يُوَافَى عَبْدٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِهِ إِلاَّ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ النَّارَ ".
Narrated `Itban bin Malik:
Once Allah's Messenger (ﷺ) came to me in the morning, and a man among us said, "Where is Malik bin Ad- Dukhshun?" Another man from us replied, "He is a hypocrite who does not love Allah and His Apostle." The Prophet (ﷺ) said, "Don't you think that he says: None has the right to be worshipped but Allah, only for Allah's sake?" They replied, "Yes" The Prophet (ﷺ) said, "Nobody will meet Allah with that saying on the Day of Resurrection, but Allah will save him from the Fire."
পরিচ্ছেদঃ ২৯০৬. ব্যাখ্যা প্রদানকারীদের সম্পর্কে যা বর্ণনা করা হয়েছে
৬৪৭০। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... জনৈক রাবী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক কারণে আবূ আবদুর রহমান ও হিব্বান ইবনু আতিয়্যার মাঝে ঝগড়া বাঁধে। আবু আবদুর রহমান হিব্বান কে বললেন, আমি অবশ্যই জানি যে, কোন বিষয়টি আপনার সাথীকে রক্তপাতে দুঃসাহসী করে তুলেছে। সাথী, অর্থাৎ আলী (রাঃ) সে বলল, সে কি! তোমার পিতা জীবিত না থাকুক। আবু আবদুর রহমান বলল, তা আলী (রাঃ) কে বলতে শুনেছি। হিববান বলল, সে কি? আবু আবদুর রহমান বলল, যুবায়র, আবূ মারছাদ এবং আমাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠালেন। আমরা সকলেই অশ্বারোহী ছিলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা রওয়ায়ে হাজ পর্যন্ত যাবে। আবূ সালামা (রহঃ) বলেন, আবূ আওয়ানা (রহঃ) অনুরূপই বলেছেন। তথায় একজন মহিলা রয়েছে, যার কাছে হাতিব ইবনু আবূ বালতাআ (রাঃ) এর তরফ থেকে (মক্কার) মুশরিকদের কাছে প্রেরিত একখানা চিঠি আছে। তোমরা তাকে আমার কাছে নিয়ে আসবে।
আমরা আমাদের ঘোড়ায় চড়ে রওনা দিলাম। অবশেষে আমরা তাকে ঐ স্থানেই পেলাম, যে স্থানের কথা আমাদেরকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন। সে তার উটে চলছে। আবূ বালতাআ (রাঃ) মক্কাবাসীদের কাছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দিকে রওনা হওয়া সম্পর্কিত সংবাদ জানিয়ে পত্র লিখেছেন। আমরা বললাম, তোমার সাথে যে পত্র রয়েছে তা কোথায়? সে বলল, আমার সাথে কোন পত্র নেই। আমরা তার উটকে বসালাম এবং তার হাওদায় খোঁজাখুজি করলাম। কিন্তু কিছুই পেলাম না। তখন আমার সঙ্গী দু’জন বলল, তার সাথে তো আমরা কোন পত্র দেখছি না। আমি বললাম, আমরা অবশ্যই জানি যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিথ্যা বলেননি।
তারপর আলী (রাঃ) এই বলে কসম করে বললেনঃ ঐ সত্তার কসম! যার নামে কসম করা হয়! অবশ্যই তোমাকে চিঠি বের করে দিতে হবে। নতুবা তোমাকে উলঙ্গ করে ছাড়ব। তখন সে তার চাদর বাঁধা কোমরের প্রতি নিবিষ্ট হল এবং (সেখান থেকে) পত্রটি বের করে দিল। তারা পত্রটি নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলেন। তখন উমর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! সে আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও মুমিনদের সাথে খিয়ানত করেছে। আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই।
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে হাতিব! এ কাজে তোমাকে কিসে প্রবৃত্ত করেছে? তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি কেন আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান রাখব না। আসল কথা হচ্ছে, আমি চাচ্ছিলাম যে, কাওমের (মক্কাবাসী) প্রতি আমার কিছুটা অনুগ্রহ সূচক কাজ হোক যার বদৌলতে আমার পরিবারবর্গ ও মাল সম্পদ রক্ষা পায়। আপনার সাথীদের প্রত্যেকেরই সেখানে স্বগোত্রীয় এমন লোক রয়েছে, যাদের মাধ্যমে আল্লাহ তার পরিবারবর্গ ও মাল সম্পদ রক্ষার ব্যবস্থা করবেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে ঠিকই বলেছে। সুতরাং তোমরা তার সম্পর্কে ভালো ছাড়া মন্দ কোন মন্তব্য করো না।
বর্ণনাকারী বলেন, উমর (রাঃ) পূনরায় বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! সে আল্লাহ, তার রাসুল ও মুমিনদের সাথে খিয়ানত করেছে। আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই। তিনি বললেনঃ সে কি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নয়? তুমি কি করে জানোবে? আল্লাহ তাদের প্রতি লক্ষ্য করে বলেছেনঃ তোমরা যা ইচ্ছা তা কর। তোমাদের জন্য জান্নাত নির্ধারিত করে ফেলেছি। এ কথা শুনে উমর (রাঃ)-এর চক্ষুযুগল অশ্রুসিক্ত হয়ে গেল এবং তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই সর্বাধিক জ্ঞাত।
আবু আবদুল্লাহ [বুখারী (রহঃ)] বলেন,خاخ বিশুদ্ধতম। তবে আবু আওয়ানা (রহঃ) অনুরূপ حاج বলেছেন। আবু আবদুল্লাহ [বুখারী (রহঃ)] বলেছেন خاج বিকৃতি। আর এটি একটি স্থানের নাম। হুশায়ম (রহঃ) خاخ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْمُتَأَوِّلِينَ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ فُلاَنٍ، قَالَ تَنَازَعَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَحِبَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ فَقَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ لِحِبَّانَ لَقَدْ عَلِمْتُ الَّذِي جَرَّأَ صَاحِبَكَ عَلَى الدِّمَاءِ يَعْنِي عَلِيًّا. قَالَ مَا هُوَ لاَ أَبَا لَكَ قَالَ شَىْءٌ سَمِعْتُهُ يَقُولُهُ. قَالَ مَا هُوَ قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالزُّبَيْرَ وَأَبَا مَرْثَدٍ وَكُلُّنَا فَارِسٌ قَالَ " انْطَلِقُوا حَتَّى تَأْتُوا رَوْضَةَ حَاجٍ ـ قَالَ أَبُو سَلَمَةَ هَكَذَا قَالَ أَبُو عَوَانَةَ حَاجٍ ـ فَإِنَّ فِيهَا امْرَأَةً مَعَهَا صَحِيفَةٌ مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى الْمُشْرِكِينَ فَأْتُونِي بِهَا ". فَانْطَلَقْنَا عَلَى أَفْرَاسِنَا حَتَّى أَدْرَكْنَاهَا حَيْثُ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَسِيرُ عَلَى بَعِيرٍ لَهَا، وَكَانَ كَتَبَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ بِمَسِيرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِمْ. فَقُلْنَا أَيْنَ الْكِتَابُ الَّذِي مَعَكِ قَالَتْ مَا مَعِي كِتَابٌ. فَأَنَخْنَا بِهَا بَعِيرَهَا، فَابْتَغَيْنَا فِي رَحْلِهَا فَمَا وَجَدْنَا شَيْئًا. فَقَالَ صَاحِبِي مَا نَرَى مَعَهَا كِتَابًا. قَالَ فَقُلْتُ لَقَدْ عَلِمْنَا مَا كَذَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ حَلَفَ عَلِيٌّ وَالَّذِي يُحْلَفُ بِهِ لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لأُجَرِّدَنَّكِ. فَأَهْوَتْ إِلَى حُجْزَتِهَا وَهْىَ مُحْتَجِزَةٌ بِكِسَاءٍ فَأَخْرَجَتِ الصَّحِيفَةَ، فَأَتَوْا بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ خَانَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ. دَعْنِي فَأَضْرِبَ عُنُقَهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا حَاطِبُ مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ ". قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَالِي أَنْ لاَ أَكُونَ مُؤْمِنًا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَلَكِنِّي أَرَدْتُ أَنْ يَكُونَ لِي عِنْدَ الْقَوْمِ يَدٌ، يُدْفَعُ بِهَا عَنْ أَهْلِي وَمَالِي، وَلَيْسَ مِنْ أَصْحَابِكَ أَحَدٌ إِلاَّ لَهُ هُنَالِكَ مِنْ قَوْمِهِ مَنْ يَدْفَعُ اللَّهُ بِهِ عَنْ أَهْلِهِ وَمَالِهِ. قَالَ " صَدَقَ، لاَ تَقُولُوا لَهُ إِلاَّ خَيْرًا ". قَالَ فَعَادَ عُمَرُ فَقَالَ يَا رَسُولُ اللَّهِ قَدْ خَانَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ، دَعْنِي فَلأَضْرِبَ عُنُقَهُ. قَالَ " أَوَلَيْسَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ، وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ أَوْجَبْتُ لَكُمُ الْجَنَّةَ ". فَاغْرَوْرَقَتْ عَيْنَاهُ فَقَالَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ.
Narrated:
Abu `Abdur-Rahman and Hibban bin 'Atiyya had a dispute. Abu `Abdur-Rahman said to Hibban, "You know what made your companions (i.e. `Ali) dare to shed blood." Hibban said, "Come on! What is that?" `Abdur-Rahman said, "Something I heard him saying." The other said, "What was it?" `AbdurRahman said, "`Ali said, Allah's Messenger (ﷺ) sent for me, Az-Zubair and Abu Marthad, and all of us were cavalry men, and said, 'Proceed to Raudat-Hajj (Abu Salama said that Abu 'Awana called it like this, i.e., Hajj where there is a woman carrying a letter from Hatib bin Abi Balta'a to the pagans (of Mecca). So bring that letter to me.' So we proceeded riding on our horses till we overtook her at the same place of which Allah's Messenger (ﷺ) had told us. She was traveling on her camel. In that letter Hatib had written to the Meccans about the proposed attached of Allah's Messenger (ﷺ) against them. We asked her, "Where is the letter which is with you?' She replied, 'I haven't got any letter.' So we made her camel kneel down and searched her luggage, but we did not find anything. My two companions said, 'We do not think that she has got a letter.' I said, 'We know that Allah's Messenger (ﷺ) has not told a lie.'" Then `Ali took an oath saying, "By Him by Whom one should swear! You shall either bring out the letter or we shall strip off your clothes." She then stretched out her hand for her girdle (round her waist) and brought out the paper (letter). They took the letter to Allah's Messenger (ﷺ). `Umar said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! (Hatib) has betrayed Allah, His Apostle and the believers; let me chop off his neck!" Allah's Messenger (ﷺ) said, "O Hatib! What obliged you to do what you have done?" Hatib replied, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Why (for what reason) should I not believe in Allah and His Apostle? But I intended to do the (Mecca) people a favor by virtue of which my family and property may be protected as there is none of your companions but has some of his people (relatives) whom Allah urges to protect his family and property." The Prophet (ﷺ) said, "He has said the truth; therefore, do not say anything to him except good." `Umar again said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! He has betrayed Allah, His Apostle and the believers; let me chop his neck off!" The Prophet (ﷺ) said, "Isn't he from those who fought the battle of Badr? And what do you know, Allah might have looked at them (Badr warriors) and said (to them), 'Do what you like, for I have granted you Paradise?' " On that, `Umar's eyes became flooded with tears and he said, "Allah and His Apostle know best."