পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য প্রস্তুত করে দিয়েছি”।

সুরা তাহা

قَالَ عِكْرِمَةُ وَالضَّحَّاكُ بِالنَّبَطِيَّةِ أَيْ طَهْ يَا رَجُلُ يُقَالُ كُلُّ مَا لَمْ يَنْطِقْ بِحَرْفٍ أَوْ فِيهِ تَمْتَمَةٌ أَوْ فَأْفَأَةٌ فَهِيَ عُقْدَةٌ وَقَالَ مُجَاهِدٌ أَلْقَى صَنَعَ أَزْرِي ظَهْرِي فَيَسْحَتَكُمْ يُهْلِكَكُمْ الْمُثْلَى تَأْنِيثُ الْأَمْثَلِ يَقُولُ بِدِينِكُمْ يُقَالُ خُذْ الْمُثْلَى خُذْ الْأَمْثَلَ ثُمَّ ائْتُوا صَفًّا يُقَالُ هَلْ أَتَيْتَ الصَّفَّ الْيَوْمَ يَعْنِي الْمُصَلَّى الَّذِي يُصَلَّى فِيهِ فَأَوْجَسَ فِي نَفْسِهِ خَوْفًا فَذَهَبَتْ الْوَاوُ مِنْ خِيفَةً لِكَسْرَةِ الْخَاءِ فِي جُذُوعِ أَيْ عَلَى جُذُوعِ النَّخْلِ خَطْبُكَ بَالُكَ مِسَاسَ مَصْدَرُ مَاسَّهُ مِسَاسًا لَنَنْسِفَنَّهُ لَنَذْرِيَنَّهُ قَاعًا يَعْلُوهُ الْمَاءُ وَالصَّفْصَفُ الْمُسْتَوِي مِنْ الْأَرْضِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ أَوْزَارًا أَثْقَالًا مِنْ زِينَةِ الْقَوْمِ وَهِيَ الْحُلِيُّ الَّتِي اسْتَعَارُوا مِنْ آلِ فِرْعَوْنَ وَهِيَ الْأَثْقَالُ فَقَذَفْتُهَا فَأَلْقَيْتُهَا أَلْقَى صَنَعَ فَنَسِيَ مُوسَى هُمْ يَقُولُونَهُ أَخْطَأَ الرَّبَّ لَا يَرْجِعُ إِلَيْهِمْ قَوْلًا الْعِجْلُ هَمْسًا حِسُّ الْأَقْدَامِ حَشَرْتَنِي أَعْمَى عَنْ حُجَّتِي وَقَدْ كُنْتُ بَصِيرًا فِي الدُّنْيَا قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ بِقَبَسٍ ضَلُّوا الطَّرِيقَ وَكَانُوا شَاتِينَ فَقَالَ إِنْ لَمْ أَجِدْ عَلَيْهَا مَنْ يَهْدِي الطَّرِيقَ آتِكُمْ بِنَارٍ تُوقِدُونَ وَقَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ أَمْثَلُهُمْ أَعْدَلُهُمْ طَرِيقَةً وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هَضْمًا لَا يُظْلَمُ فَيُهْضَمُ مِنْ حَسَنَاتِهِ عِوَجًا وَادِيًا وَلَا أَمْتًا رَابِيَةً سِيرَتَهَا حَالَتَهَا الْأُولَى النُّهَى التُّقَى ضَنْكًا الشَّقَاءُ هَوَى شَقِيَ بِالْوَادِي الْمُقَدَّسِ الْمُبَارَكِ طُوًى اسْمُ الْوَادِي يَفْرُطُ عُقُوبَةً بِمِلْكِنَا بِأَمْرِنَا مَكَانًا سِوًى مَنْصَفٌ بَيْنَهُمْ يَبَسًا يَابِسًا عَلَى قَدَرٍ مَوْعِدٍ لَا تَنِيَا تَضْعُفَا

ইকরিমা (রহঃ) বলেন, নাবতী ভাষায় طَه এর অর্থ يَارَجُلُ হে ব্যক্তি! যে সকল ব্যক্তি কোন অক্ষর স্পষ্ট উচ্চারণ করতে পারে না অথবা ’তা’ অথবা ’ফা’ উচ্চারণে তোতলামি করে, তাকে عقده বলা হয়। أَزْرِيْ আমার পিঠ। فَيَسْحَتَكُمْ সে তোমাদেরকে ধ্বংস করে দেবে। الْمُثْلٰى এটা الْأَمْثَلِ এর স্ত্রীলিঙ্গ। বলা হয়, خُذِ الْمُثْلٰى - خُذِ الْأَمْثَلَ উত্তম পন্থা অবলম্বন করثُمَّ ااتوا صَفًّا এরপর তোমরা সারিবদ্ধ হয়ে উপস্থিত হও। বলা হয়, ’’তুমি কি আজ সারিতে এসেছ?’’ অর্থাৎ সালাতের নির্ধারিত জায়গায় যেখানে সালাত আদায় করা হয়। فَأَوْجَسَ তিনি অন্তরে গোপন করলেন। خِيْفَةً মূলে خَوْفًا ছিল। অক্ষরটি ’কাসরার’ কারণে وَاوُ টি يَاء দ্বারা পরিবর্তিত হয়েছে। فِيْجُذُوْعِ (খেজুর বৃক্ষের) কান্ডের উপরে। خَطْبُكَ তোমার ব্যাপার। مِسَاسَ স্পর্শ করা, শব্দটি مِسَاسًا-مَاسَّهُ এর মাসদার لَنَنْسِفَنَّهُ অবশ্যই আমি তাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে ছড়িয়ে দিব। قَاعًا এমন জায়গা যার ওপর দিয়ে পানি চলে যায়। الصَّفْصَفُ সমতল ভূমি। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, مِنْزِيْنَةِ الْقَوْمِ অর্থাৎ সে সব অলংকার, যা তারা ফির’আউনের বংশধর হতে ধার করে এনেছিল। فَقَذَفْتُهَا আমি তা নিক্ষেপ করলাম। أَلْقٰى সে তৈরি করল। فَنَسِيَ অর্থাৎ মূসা (আঃ) ভুলে গিয়েছেন। তারা বলতে লাগল, তিনি রবকে চিনতে ভুল করেছেন। لَا يَرْجِعُ إِلَيْهِمْ অর্থাৎ গো বৎস তাদের কথার জওয়াব দিতে পারে না। هَمْسًا পদধ্বনি। حَشَرْتَنِيْ أَعْمٰى আমাকে অন্ধ অবস্থায় উঠালে আমার প্রমাণাদি থেকে كُنْتُ بَصِيْرًا আমার তো দুনিয়ায় চক্ষু ছিল। ইবনু ’উয়াইনাই বলেন, أَمْثَلُهُمْ (জ্ঞানী ব্যক্তি) অর্থাৎ তাদের মধ্যে ন্যায় বিচারক।

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, هَضْمًا এর অর্থ অবিচার করা হবে না যাতে তার পুণ্য বিনষ্ট হয়। عِوَجًا বক্রতা, উপত্যকা أَمْتًا উঁচু ভূমি, টিলা। مِسيرَتَهَا তার অবস্থা। النُّهٰى সংযমী, পরহিজগার। ضَنْعًا দুর্ভাগ্য। هَوَى দুর্ভাগা হওয়া। الْمُقَدَّسِ বারাকাতময় طُوًى একটি উপত্যকার নাম। بِمِلْكِنَا আমাদের নির্দেশে। مَكَانًاسُوًي তাদের মধ্যবর্তী স্থান। يَبَسًا শুষ্ক। عَلٰى قَدَرٍ প্রতিশ্রুতি সময়ে لَاتَنِيَا তোমরা উভয়ে দুর্বল হয়ো না।


৪৩৮১। সালত ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদম (আলাইহিস সালাম) ও মূসা (আলাইহিস সালাম) মিলিত হলেন। মূসা (আলাইহিস সালাম) আদম (আলাইহিস সালাম) কে বললেন, আপনি তো সে ব্যাক্তি মানব জাতিকে কষ্টের মধ্যে ফেলেছেন এবং তাদের জান্নাত থেকে বহিষ্কার করিয়েছেন? আদম (আলাইহিস সালাম) তাকে বললেন, আপনি তো সে ব্যাক্তি আপনাকে আল্লাহ তা’আলা তাঁর রিসালাত এর জন্য মনোনীত করে নিয়েছেন, এবং বাছাই করেছেন আপনাকে নিজের জন্য এবং আপনার উপর তাওরাত নাযিল করেছেন? মূসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, হ্যাঁ। আদম (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনি তাতে অবশ্যই পেয়েছেন যে, আমার সৃষ্টির আগেই আল্লাহ তা’আলা তা আমার জন্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। মূসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, হ্যাঁ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এভাবে আদম (আলাইহিস সালাম) মূসা (আলাইহিস সালাম) এর উপর জয়ী হলেন। الْيَمُّ সমুদ্র।

باب واصطنعتك لنفسي

حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْتَقَى آدَمُ وَمُوسَى، فَقَالَ مُوسَى لآدَمَ أَنْتَ الَّذِي أَشْقَيْتَ النَّاسَ وَأَخْرَجْتَهُمْ مِنَ الْجَنَّةِ قَالَ لَهُ آدَمُ أَنْتَ الَّذِي اصْطَفَاكَ اللَّهُ بِرِسَالَتِهِ، وَاصْطَفَاكَ لِنَفْسِهِ وَأَنْزَلَ عَلَيْكَ التَّوْرَاةَ قَالَ نَعَمْ‏.‏ قَالَ فَوَجَدْتَهَا كُتِبَ عَلَىَّ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَنِي قَالَ نَعَمْ‏.‏ فَحَجَّ آدَمُ مُوسَى ‏"‏‏.‏ الْيَمُّ الْبَحْرُ‏.‏

حدثنا الصلت بن محمد، حدثنا مهدي بن ميمون، حدثنا محمد بن سيرين، عن ابي هريرة، عن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ التقى ادم وموسى، فقال موسى لادم انت الذي اشقيت الناس واخرجتهم من الجنة قال له ادم انت الذي اصطفاك الله برسالته، واصطفاك لنفسه وانزل عليك التوراة قال نعم‏.‏ قال فوجدتها كتب على قبل ان يخلقني قال نعم‏.‏ فحج ادم موسى ‏"‏‏.‏ اليم البحر‏.‏


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Adam and Moses met, and Moses said to Adam "You are the one who made people miserable and turned them out of Paradise." Adam said to him, "You are the one whom Allah selected for His message and whom He selected for Himself and upon whom He revealed the Torah." Moses said, 'Yes.' Adam said, "Did you find that written in my fate before my creation?' Moses said, 'Yes.' So Adam overcame Moses with this argument."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير) 52/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet [pbuh] )