পরিচ্ছেদঃ ২০৯৭. উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) এর আলোচনা
৩৪৬৪। কুতায়বা ইবনু সাইদ (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মাখযুম গোত্রের এক মহিলার চুরির ঘটনায় কুরাইশগণ ভীষণভাবে চিন্তিত হয়ে পড়ল। তারা পরস্পরকে বলাবলি করতে লাগল, রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয় পাত্র উসামা ইবনু যায়েদ ব্যতীত কে আর তাঁর নিকট (সুপারিশ করার) সাহস করবে?
باب ذِكْرُ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها أَنَّ قُرَيْشًا، أَهَمَّهُمْ شَأْنُ الْمَخْزُومِيَّةِ، فَقَالُوا مَنْ يَجْتَرِئُ عَلَيْهِ إِلاَّ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، حِبُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.
Narrated 'Aisha:
The people of the Quraish tribe were worried about the Makhzumiya woman. They said. "Nobody dare speak to him (i.e. the Prophet (ﷺ) ) except Usama bin Zaid as he is the most beloved to Allah's Messenger (ﷺ)."
পরিচ্ছেদঃ ২০৯৭. উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) এর আলোচনা
৩৪৬৫। আলী (রহঃ) ... আয়িশা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মাখযুম গোত্রের জনৈকা মহিলা চুরি করেছিল। তখন তারা বলল, দেখত, এ ব্যাপারে কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে কথা বলতে পারবে? কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ-ই কথা বলার সাহস করতে করল না। উসামা (রাঃ) এ ব্যাপারে তাঁর সাথে আলোচনা করলেন। তখন তিনি বললেন, বনী ইসরাইল তাদের সভ্রান্ত পরিবারের কেউ চুরি করলে তাকে (বিচার না করে) ছেড়ে দিত। এবং দূর্বল কেউ চুরি করলে তার হাত কেটে দিত। (আমার কন্যা) ফাতিমা (রাঃ) (চুরির অপরাধে দোষিণী) হলেও (আল্লাহ্ তাঁর হিফাযত করুন) তবে অবশ্যই আমি তাঁর হাত কেটে ফেলতাম।
باب ذِكْرُ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ ذَهَبْتُ أَسْأَلُ الزُّهْرِيَّ عَنْ حَدِيثِ الْمَخْزُومِيَّةِ، فَصَاحَ بِي، قُلْتُ لِسُفْيَانَ فَلَمْ تَحْتَمِلْهُ عَنْ أَحَدٍ قَالَ وَجَدْتُهُ فِي كِتَابٍ كَانَ كَتَبَهُ أَيُّوبُ بْنُ مُوسَى عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها أَنَّ امْرَأَةً مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ سَرَقَتْ، فَقَالُوا مَنْ يُكَلِّمُ فِيهَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَجْتَرِئْ أَحَدٌ أَنْ يُكَلِّمَهُ، فَكَلَّمَهُ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ، فَقَالَ " إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانَ إِذَا سَرَقَ فِيهِمُ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ، وَإِذَا سَرَقَ الضَّعِيفُ قَطَعُوهُ، لَوْ كَانَتْ فَاطِمَةُ لَقَطَعْتُ يَدَهَا ".
Aisha
said, "A woman from Bani Makhzumiya committed a theft and the people said, 'Who can intercede with the Prophet (ﷺ) for her?' So nobody dared speak to him (i.e. the Prophet) but Usama bin Zaid spoke to him. The Prophet said, 'If a reputable man amongst the children of Bani Israel committed a theft, they used to forgive him, but if a poor man committed a theft, they would cut his hand. But I would cut even the hand of Fatima (i.e. the daughter of the Prophet) if she committed a theft."
পরিচ্ছেদঃ ২০৯৭. উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) এর আলোচনা
৩৪৬৬। হাসান ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু দিনার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) এক ব্যাক্তিকে দেখতে পেলেন যে, মসজিদের এক কোণে তার কাপড় টেনে নিচ্ছে, তিনি বললেন, দেখতো লোকটি কে? সে যদি আমার নিকট থাকত (তবে আমি তাকে সদুপদেশ দান করতাম) তখন একজন তাঁকে বলল, হে আবূ আবদুর রহমান, আপনি কি তাকে চিনতে পেরেছেন। তিনি উসামা (রাঃ) এর পুত্র মুহাম্মদ। এ কথা শুনে ইবনু উমর (রাঃ) মাথা নীচু করে দু’হাত মাটি আঁচড়াতে লাগলেন এবং বললেন, রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দেখলে নিশ্চয়ই আদর করতেন।
باب ذِكْرُ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ
حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبَّادٍ، يَحْيَى بْنُ عَبَّادٍ حَدَّثَنَا الْمَاجِشُونُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، قَالَ نَظَرَ ابْنُ عُمَرَ يَوْمًا وَهْوَ فِي الْمَسْجِدِ إِلَى رَجُلٍ يَسْحَبُ ثِيَابَهُ فِي نَاحِيَةٍ مِنَ الْمَسْجِدِ فَقَالَ انْظُرْ مَنْ هَذَا لَيْتَ هَذَا عِنْدِي. قَالَ لَهُ إِنْسَانٌ أَمَا تَعْرِفُ هَذَا يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ هَذَا مُحَمَّدُ بْنُ أُسَامَةَ، قَالَ فَطَأْطَأَ ابْنُ عُمَرَ رَأْسَهُ، وَنَقَرَ بِيَدَيْهِ فِي الأَرْضِ، ثُمَّ قَالَ لَوْ رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَحَبَّهُ.
Narrated `Abdullah bin Dinar:
One day Ibn `Umar, while in the Mosque, looked at a man who was dragging his clothes while walking in one of the corners of the Mosque He said, "See who is that. I wish he was near to me." Somebody then said (to Ibn `Umar), "Don't you know him, O Abu `Abdur-Rahman? He is Muhammad bin Usama." On that Ibn `Umar bowed his head and dug the earth with his hands and then, said, "If Allah's Messenger (ﷺ) saw him, he would have loved him."
পরিচ্ছেদঃ ২০৯৭. উসামা ইবন যায়দ (রাঃ) এর আলোচনা
৩৪৬৭। মূসা ইবনু ইসমাইল (রহঃ) ... উসামা ইবনু যায়েদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বর্ণনা করেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে এবং হাসান (রাঃ) কে এক সাথে (কোলে) তুলে নিতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ্! তুমি এদের ভালবাস। আমিও এদেরকে ভালবাসি। মু’আইয (রহঃ) উসামা (রাঃ) এর আযাদকৃত গোলাম (হারামালা) (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন সে আবদুল্লাহ ইবনু উমরের (রাঃ) এর সঙ্গে ছিল। তখন (উসামা (রাঃ) এর বৈপত্রিয়) ভাই হাজ্জাজ ইবনু আয়মান (মসজিদে) প্রবেশ করল, এবং সালাত (নামায/নামাজ) রুকু ও সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করেনি। ইবনু উমর (রাঃ) তাকে বললেন, সালাত (নামায/নামাজ) পুনরায় আদায় কর। যখন সে চলে গেল তখন ইবনু উমর (রাঃ) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, এ ব্যাক্তি কে? আমি বললাম, হাজ্জাজ ইবনু আয়মন ইবনু উম্মে আয়মন। ইবনু উমর (রাঃ) বললেন, রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি তাকে দেখতেন তবে স্নেহ করতেন।
তারপর এ পরিবারের প্রতি রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কত ভালবাসা ছিল তা বর্ণনা করতে লাগালেন এবং উম্মে আয়মানের সন্তানদের কথাও বললেন। আবূ আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন আমার কোন কোন সাথী আরো বলেছেন যে উম্মে আয়মন (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শিশুকালে কোলে নিয়েছেন। হাজ্জাজ ইবনু আয়মন ইবনু উম্মে আয়মন (রহঃ) আর আয়মান ছিলেন উসামা (রহঃ) এ বৈপিত্রীয় ভাই হাজ্জাজ হলেন এক আনসারী ব্যাক্তি। ইবনু উমর (রাঃ) তাকে দেখলেন যে সালাত রুকু সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করছেন না। তখন তিনি তাকে বললেন, পুনরায় সালাত (নামায/নামাজ) আদায় কর। আবূ আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন সুলায়মান ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) ... হারামালা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ছিলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ধাত্রী।
হাদিস নং - ৩৭৩৫, ৩৭৩৬ ও ৩৭৩৭
باب ذِكْرُ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ ـ رضى الله عنهما ـ حَدَّثَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَأْخُذُهُ وَالْحَسَنَ فَيَقُولُ " اللَّهُمَّ أَحِبَّهُمَا فَإِنِّي أُحِبُّهُمَا ".
وَقَالَ نُعَيْمٌ عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي مَوْلًى، لأُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ. أَنَّ الْحَجَّاجَ بْنَ أَيْمَنَ ابْنِ أُمِّ أَيْمَنَ،، وَكَانَ، أَيْمَنُ ابْنُ أُمِّ أَيْمَنَ أَخَا أُسَامَةَ لأُمِّهِ، وَهْوَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ، فَرَآهُ ابْنُ عُمَرَ لَمْ يُتِمَّ رُكُوعَهُ وَلاَ سُجُودَهُ فَقَالَ أَعِدْ.
قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ وَحَدَّثَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ نَمِرٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ، مَوْلَى أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ بَيْنَمَا هُوَ مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ إِذْ دَخَلَ الْحَجَّاجُ بْنُ أَيْمَنَ فَلَمْ يُتِمَّ رُكُوعَهُ وَلاَ سُجُودَهُ، فَقَالَ أَعِدْ. فَلَمَّا وَلَّى قَالَ لِي ابْنُ عُمَرَ مَنْ هَذَا قُلْتُ الْحَجَّاجُ بْنُ أَيْمَنَ ابْنِ أُمِّ أَيْمَنَ. فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ لَوْ رَأَى هَذَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَحَبَّهُ، فَذَكَرَ حُبَّهُ وَمَا وَلَدَتْهُ أُمُّ أَيْمَنَ. قَالَ وَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَصْحَابِي عَنْ سُلَيْمَانَ وَكَانَتْ حَاضِنَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Usama bin Zaid:
That the Prophet (ﷺ) used to take him (i.e. Usama) and Al-Hassan (in his lap) and say: "O Allah! Love them, as I love them."
The freed slave of Usama bin Zaid said,
"Al-Hajjaj bin Aiman bin Um Aiman and Aiman Ibn Um Aiman was Usama's brother from the maternal side, and he was one of the Ansar. He was seen by Ibn 'Umar not performing his bowing and prostrations in a perfect manner. So Ibn 'Umar told him to repeat his prayer.
Harmala, the freed slave of Usama bin Zaid said
that while he was in the company of 'Abdullah bin 'Umar, Al-Hajjaj bin Aiman came in and (while praying) he did not perform his bowing and prostrations properly. So Ibn 'Umar told him to repeat his prayer. When he went away, Ibn 'Umar asked me, "Who is he?" I said, "Al-Hajjaj bin Um Aiman." Ibn 'Umar said, "If Allah's Messenger (ﷺ) saw him, he would have loved him." Then Ibn 'Umar mentioned the love of the Prophet (ﷺ) for the children of Um Aiman. Sulaiman said that Um Aiman was one of the nurses of the Prophet.