পরিচ্ছেদঃ ১৫৬৬. ইয়াতীম ও ওয়ারীসদের অংশীদারিত্ব

২৩৩২। আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ আমিরী ওয়াইসী ও লাইস (রহঃ) ... উরওয়া ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি একবার আয়িশা (রাঃ) কে আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আর যদি তোমরা আশংকা কর যে, ইয়াতীম বালিকাদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না তাহলে অন্য মহিলাদের মধ্য থেকে তোমাদের পছন্দ মত দু’জন বা তিনজন কিংবা চারজনকে বিয়ে করতে পারবে (৪ঃ ৩) এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমার ভাগিনা! এ হচ্ছে সেই ইয়াতীম মেয়ের কথা, যে অভিভাবকের আশ্রয়ে থাকে এবং তার সম্পদে অংশীদার হয়। এদিক মেয়ের ধন-রূপে মুগ্ধ হয়ে তার অভিভাব মহরানার ব্যাপারে সুবিচার না করে অর্থাৎ অন্য কেউ যে পরিমাণ মহরানা দিতে রাযী হত, তা না দিয়েই তাকে বিয়ে করতে চাইত। তাই প্রাপ্য মহরানা আদায়ের মাধ্যমে সুবিচার না করা পর্যন্ত তাদেরকে আশ্রিতা ইয়াতীম বালিকাদের বিয়ে করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং পছন্দমত অন্য মহিলাদেরকে বিয়ে করতে বলা হয়েছে।

উরওয়া বলেন, ’আয়িশা (রাঃ) বলেছেন, পরে সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট (মহিলাদের সম্পর্কে) ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করলেন তখন আল্লাহ তা’আলা আয়াত নাযিল করেন। তারা আপনর নিকট মহিলাদের সম্পর্কে ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করে, আল্লাহ্‌ই তাদের সম্পর্কে তোমাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আর ইয়াতিম মেয়ে সম্পর্কে কিতাব থেকে তোমাদেরকে পাঠ করে শোনান হয় যে, তাদের জন্য যা বিধিবদ্ধ রয়েছে, তা তোমরা তাদের দাও না অথচ তাদের তোমরা বিয়ে করতে চাও। (৪ঃ ১২৭)।

يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِবলে আল্লাহ তা’আলা পূর্বোক্ত আয়াতের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে- আর যদি তোমরা আশংকা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি সুবিচর করতে পারবে না, তাহলে অন্য নারীদের মধ্যে থেকে তোমাদের পছন্দ মত দু’জন বা তিনজন কিংবা চারজন বিয়ে করতে পারবে। ’আয়িশা (রাঃ) বলেন, আর অপর আয়াতে আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ এর মর্ম হল ধন ও রূপের স্বল্পতা হেতু তোমাদের আশ্রিতা ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি তোমাদের অনাগ্রহ। তাই ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি অনাগ্রহ সত্ত্বেও শুধু ধন-রূপের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তাদের বিয়ে করতে নিষেধ করা হয়েছে। অবশ্য ন্যায়সঙ্গত মহরানা আদায় করে বিয়ে করতে পারে

باب شَرِكَةِ الْيَتِيمِ وَأَهْلِ الْمِيرَاثِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعَامِرِيُّ الأُوَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ عَنْ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى ‏(‏وَإِنْ خِفْتُمْ‏)‏ إِلَى ‏(‏وَرُبَاعَ‏)‏‏.‏ فَقَالَتْ يَا ابْنَ أُخْتِي هِيَ الْيَتِيمَةُ تَكُونُ فِي حَجْرِ وَلِيِّهَا تُشَارِكُهُ فِي مَالِهِ، فَيُعْجِبُهُ مَالُهَا وَجَمَالُهَا، فَيُرِيدُ وَلِيُّهَا أَنْ يَتَزَوَّجَهَا بِغَيْرِ أَنْ يُقْسِطَ فِي صَدَاقِهَا، فَيُعْطِيهَا مِثْلَ مَا يُعْطِيهَا غَيْرُهُ، فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوهُنَّ إِلاَّ أَنْ يُقْسِطُوا لَهُنَّ وَيَبْلُغُوا بِهِنَّ أَعْلَى سُنَّتِهِنَّ مِنَ الصَّدَاقِ، وَأُمِرُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا طَابَ لَهُمْ مِنَ النِّسَاءِ سِوَاهُنَّ‏.‏ قَالَ عُرْوَةُ قَالَتْ عَائِشَةُ ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ اسْتَفْتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَ هَذِهِ الآيَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏(‏وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاءِ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ‏)‏ وَالَّذِي ذَكَرَ اللَّهُ أَنَّهُ يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ الآيَةُ الأُولَى الَّتِي قَالَ فِيهَا ‏(‏وَإِنْ خِفْتُمْ أَنْ لاَ تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ‏)‏ قَالَتْ عَائِشَةُ وَقَوْلُ اللَّهِ فِي الآيَةِ الأُخْرَى ‏(‏وَتَرْغَبُونَ أَنْ تَنْكِحُوهُنَّ‏)‏ يَعْنِي هِيَ رَغْبَةُ أَحَدِكُمْ لِيَتِيمَتِهِ الَّتِي تَكُونُ فِي حَجْرِهِ، حِينَ تَكُونُ قَلِيلَةَ الْمَالِ وَالْجَمَالِ، فَنُهُوا أَنْ يَنْكِحُوا مَا رَغِبُوا فِي مَالِهَا وَجَمَالِهَا مِنْ يَتَامَى النِّسَاءِ إِلاَّ بِالْقِسْطِ مِنْ، أَجْلِ رَغْبَتِهِمْ عَنْهُنَّ‏.‏

حدثنا عبد العزيز بن عبد الله العامري الاويسي، حدثنا ابراهيم بن سعد، عن صالح، عن ابن شهاب، اخبرني عروة، انه سال عاىشة ـ رضى الله عنها ـ وقال الليث حدثني يونس عن ابن شهاب قال اخبرني عروة بن الزبير انه سال عاىشة ـ رضى الله عنها ـ عن قول الله تعالى ‏(‏وان خفتم‏)‏ الى ‏(‏ورباع‏)‏‏.‏ فقالت يا ابن اختي هي اليتيمة تكون في حجر وليها تشاركه في ماله، فيعجبه مالها وجمالها، فيريد وليها ان يتزوجها بغير ان يقسط في صداقها، فيعطيها مثل ما يعطيها غيره، فنهوا ان ينكحوهن الا ان يقسطوا لهن ويبلغوا بهن اعلى سنتهن من الصداق، وامروا ان ينكحوا ما طاب لهم من النساء سواهن‏.‏ قال عروة قالت عاىشة ثم ان الناس استفتوا رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد هذه الاية فانزل الله ‏(‏ويستفتونك في النساء‏)‏ الى قوله ‏(‏وترغبون ان تنكحوهن‏)‏ والذي ذكر الله انه يتلى عليكم في الكتاب الاية الاولى التي قال فيها ‏(‏وان خفتم ان لا تقسطوا في اليتامى فانكحوا ما طاب لكم من النساء‏)‏ قالت عاىشة وقول الله في الاية الاخرى ‏(‏وترغبون ان تنكحوهن‏)‏ يعني هي رغبة احدكم ليتيمته التي تكون في حجره، حين تكون قليلة المال والجمال، فنهوا ان ينكحوا ما رغبوا في مالها وجمالها من يتامى النساء الا بالقسط من، اجل رغبتهم عنهن‏.‏


Narrated `Urwa bin Az-Zubair:

That he had asked `Aisha about the meaning of the Statement of Allah: "If you fear that you shall not Be able to deal justly With the orphan girls, then Marry (Other) women of your choice Two or three or four." (4.3) She said, "O my nephew! This is about the orphan girl who lives with her guardian and shares his property. Her wealth and beauty may tempt him to marry her without giving her an adequate Mahr (bridal-money) which might have been given by another suitor. So, such guardians were forbidden to marry such orphan girls unless they treated them justly and gave them the most suitable Mahr; otherwise they were ordered to marry any other woman." `Aisha further said, "After that verse the people again asked the Prophet (about the marriage with orphan 'girls), so Allah revealed the following verses:-- 'They ask your instruction Concerning the women. Say: Allah Instructs you about them And about what is Recited unto you In the Book, concerning The orphan girls to whom You give not the prescribed portions and yet whom you Desire to marry..." (4.127) What is meant by Allah's Saying:-- 'And about what is Recited unto you is the former verse which goes:-- 'If you fear that you shall not Be able to deal justly With the orphan girls, then Marry (other) women of your choice.' (4.3) `Aisha said, "Allah's saying in the other verse:--'Yet whom you desire to marry' (4.127) means the desire of the guardian to marry an orphan girl under his supervision when she has not much property or beauty (in which case he should treat her justly). The guardians were forbidden to marry their orphan girls possessing property and beauty without being just to them, as they generally refrain from marrying them (when they are neither beautiful nor wealthy).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৩৯/ অংশীদারিত্ব (كتاب الشركة) 39/ Partnership