পরিচ্ছেদঃ সালাতুল খাওফ (ভয়কালীন) নামায
৫১৬) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে নজদ এলাকার দিকে কোন এক যুদ্ধে বের হলাম। সেখানে গিয়ে আমরা শত্রুবাহিনীর মুখোমুখি হয়ে তাদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য কাতারবন্দী হলাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে নামায পড়ার জন্য দাঁড়ালেন। একদল লোক তাঁর সাথে নামাযে দাঁড়াল এবং অপর একটি দল শত্রুর মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। যারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে নামাযে দাঁড়ালেন তাদেরকে নিয়ে তিনি একটি রুকূ করলেন এবং দু’টি সিজদা করলেন (এক রাকআত নামায আদায় করলেন)। নামায শেষে এই দলটি ঐ লোকদের স্থানে চলে গেল যারা এখনও নামায পড়েনি। তারা এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে যোগ দিলে তিনি তাদেরকে নিয়ে একটি রুকূ করলেন এবং দু’টি সিজদাহ করলেন (আর এক রাকআত নামায আদায় করলেন)। অতঃপর সালাম ফিরালেন। তারপর সকলেই দাঁড়িয়ে একটি করে রুকূ করলেন এবং দু’টি করে সিজদাহ করলেন। (বাকী এক রাকআত নামায আদায় করলেন)
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ
৫১৬ـ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّه عَنْهمَا قَالَ: غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ قِبَلَ نَجْدٍ، فَوَازَيْنَا الْعَدُوَّ، فَصَافَفْنَا لَهُمْ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ يُصَلِّي لَنَا، فَقَامَتْ طَائِفَةٌ مَعَهُ تُصَلِّي وَأَقْبَلَتْ طَائِفَةٌ عَلَى الْعَدُوِّ، وَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ بِمَنْ مَعَهُ وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ انْصَرَفُوا مَكَانَ الطَّائِفَةِ الَّتِي لَمْ تُصَلِّ، فَجَاءُوْا فَرَكَعَ رَسُولُ اللَّهِ بِهِمْ رَكْعَةً وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ، فَقَامَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ فَرَكَعَ لِنَفْسِهِ رَكْعَةً وَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ.(بخارى:৯৪২)
The Salat-ul-Khauf
Narrated Abdullah bin `Umar:
He said, 'I took part in a holy battle with Allah's Messenger (ﷺ) I in Najd. We faced the enemy and arranged ourselves in rows. Then Allah's Messenger (ﷺ) stood up to lead the prayer and one party stood to pray with him while the other faced the enemy. Allah's Messenger (ﷺ) and the former party bowed and performed two prostrations. Then that party left and took the place of those who had not prayed. Allah's Messenger (ﷺ) prayed one rak`a (with the latter) and performed two prostrations and finished his prayer with Taslim. Then everyone of them bowed once and performed two prostrations individually.'
পরিচ্ছেদঃ পায়ে হেঁটে ও আরোহী অবস্থায় ভয়কালীন নামায পড়া
৫১৭) ইবনে উমার (রাঃ) হতে এক বর্ণনায় এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ শত্রু সংখ্যা (ভয়) যদি অধিক হয় তাহলে পায়ে (হাঁটা অবস্থায়) দাঁড়িয়ে এবং আরোহী অবস্থায় নামায আদায় করবে।
টিকাঃ শত্রু সংখ্যা যদি প্রচুর হয় এবং ভয় যদি এত বেশী হয় যে, পূর্বোক্ত নিয়মে নামায পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে চলন্ত অবস্থায় এবং আরোহী অবস্থায় অর্থাৎ যেভাবেই সম্ভব হয়, নামায আদায় করবে।
باب صَلاَةِ الْخَوْفِ رِجَالاً وَرُكْبَانًا رَاجِلٌ قَائِمٌ
৫১৭ـ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا-في رواية- قال عَنِ النَّبِيِّ : وَإِنْ كَانُوا أَكْثَرَ مِنْ ذَلِكَ فَلْيُصَلُّوا قِيَامًا وَرُكْبَانًا
The Salat-ul-Khauf while standing or riding
Narrated Ibn `Umar:
Ibn `Umar added, "The Prophet (ﷺ) said, 'If the number of the enemy is greater than the Muslims, they can pray while standing or riding (individually).' "
পরিচ্ছেদঃ শত্রুকে ধাওয়াকারী অবস্থায় এবং শত্রু কর্তৃক ধাওয়াকৃত হয়ে আরোহী অবস্থায় ইঙ্গিতের মাধ্যমে নামায আদায় করা
৫১৮) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, আহযাবের (খন্দকের) যুদ্ধ হতে ফেরত এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বলেনঃ বনী কুরায়যায় না গিয়ে কেউ যেন আসরের নামায না পড়ে। কোন কোন লোক রাস্তায় থাকতেই আসরের নামাযের সময় হয়ে গেল। কতিপয় লোক বললঃ সেখানে যাওয়ার পূর্বে আমরা নামায আদায় করবোনা। আবার কেউ বললঃ আমরা নামায পড়ে নিব। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উদ্দেশ্য এ ছিলনা যে, নামাযের সময় শেষ হয়ে গেলেও আমরা নামায থেকে বিরত থাকবো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে তারা যখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেন তখন তিনি কাউকে দোষারোপ করেন নি।
টিকাঃ উক্ত হাদীছ দ্বারা মতানৈক্য করা সাব্যস্ত হয়না। তবে কোন বিষয়ে আলেমদের মতানৈক্য হয়ে যেতে পারে। সেখানে যদি উদ্দেশ্য সৎ হয় এবং পক্ষপাতিত্বমুক্ত মনোভাব থাকে তাহলে উভয় পক্ষই মুজতাহিদ বলে গণ্য হবেন। সুতরাং এহেন ঘটনা থেকে ইজতেহাদী মতানৈক্য সাব্যস্ত হয়; কিন্তু আদৌ মাজহাবী দলাদলী সাব্যস্ত হয়না। (আল্লাহই ভাল জানেন)
بَابُ صَلاَةِ الطَّالِبِ وَالْمَطْلُوبِ رَاكِبًا وَإِيمَاءً
৫১৮ـ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ لَنَا لَمَّا رَجَعَ مِنَ الأَحْزَابِ لا يُصَلِّيَنَّ أَحَدٌ الْعَصْرَ إِلاَّ فِي بَنِي قُرَيْظَةَ. فَأَدْرَكَ بَعْضَهُمُ الْعَصْرُ فِي الطَّرِيقِ، فَقَالَ بَعْضُهُمْ: لا نُصَلِّي حَتَّى نَأْتِيَهَ، وَقَالَ بَعْضُهُمْ: بَلْ نُصَلِّي، لَمْ يُرَدْ مِنَّا ذَلِكَ، فَذُكِرَ لِلنَّبِيِّ ، فَلَمْ يُعَنِّفْ وَاحِدًا مِنْهُمْ. (بخارى:৯৪৬)
The chaser and the chased can offer Salat (prayer) while riding , and by signs
Narrated Ibn `Umar:
When the Prophet (ﷺ) returned from the battle of Al-Ahzab (The confederates), he said to us, "None should offer the 'Asr prayer but at Bani Quraiza." The 'Asr prayer became due for some of them on the way. Some of them decided not to offer the Salat but at Bani Quraiza while others decided to offer the Salat on the spot and said that the intention of the Prophet (ﷺ) was not what the former party had understood. And when that was told to the Prophet (ﷺ) he did not blame anyone of them.