পরিচ্ছেদঃ সূর্যগ্রহণের নামায
৫৫৩) আবু বাকরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট অবস্থান করছিলাম। এ সময় সূর্যগ্রহণ শুরু হল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঠে চাদর টানতে টানতে মসজিদে প্রবেশ করলেন। আমরাও প্রবেশ করলাম। তিনি আমাদেরকে নিয়ে দু’রাকআ’ত নামায আদায় করলেন। ততক্ষণে সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেনঃ নিশ্চয়ই কারো মৃত্যুর কারণে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয়না। সুতরাং তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগহণ লাগতে দেখবে তখন নামায আদায় কর এবং আল্লাহর কাছে দু’আ কর। যতক্ষণ না তোমাদের থেকে উহা (অন্ধকার) উঠিয়ে নেয়া হয়।
আবু বাকরার অপর বর্ণনায় এসেছে, সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে ভয় দেখান।
باب الصَّلاَةِ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ
৫৫৩ـ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: كُنَّا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ فَانْكَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَقَامَ النَّبِيُّ يَجُرُّ رِدَاءَهُ حَتَّى دَخَلَ الْمَسْجِدَ، فَدَخَلْنَا، فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ حَتَّى انْجَلَتِ الشَّمْسُ، فَقَالَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لا يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَصَلُّوا وَادْعُوا حَتَّى يُكْشَفَ مَا بِكُمْ. وَفِيْ رِوَايَةٍ عَنْهُ قَالَ: قَالَ وَلكِنَّ الله تَعَالى يُخَوِّفُ بِهِمَا عِبَادَهُ.
As-Salat (the prayer) during a solar eclipse
Narrated Abu Bakra:
We were with Allah's Messenger (ﷺ) when the sun eclipsed. Allah's Messenger (ﷺ) stood up dragging his cloak till he entered the Mosque. He led us in a two-rak`at prayer till the sun (eclipse) had cleared. Then the Prophet (p.b.u.h) said, "The sun and the moon do not eclipse because of someone's death. So whenever you see these eclipses pray and invoke (Allah) till the eclipse is over."
পরিচ্ছেদঃ সূর্যগ্রহণের নামায
৫৫৪) সূর্য গ্রহণের হাদীছ সহীহ বুখারীতে অনেকবার বর্ণিত হয়েছে। মুগীরা বিন শু’বা (রাঃ) হতে এক বর্ণনায় এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যামানায় যেদিন তাঁর পুত্র ইবরাহীম ইন্তেকাল করলেন, সে দিন সূর্যগ্রহণ হল। এতে লোকেরা বলতে লাগলঃ ইবরাহীম মৃত্যু বরণ করার কারণে সূর্যগ্রহণ লেগেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেনঃ কারো মৃত্যু ও জন্মের কারণে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ হয়না। তোমরা যখন চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ লাগতে দেখবে তখন নামায আদায় করবে এবং আল্লাহর কাছে দু’আ করবে।
باب الصَّلاَةِ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ
৫৫৪ـ وتكرر حديث الكسوف كثيرا فََفِيْ رِوَايَةٍ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ، فَقَالَ النَّاسُ: كَسَفَتِ الشَّمْسُ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لا يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلا لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ فَصَلُّوا وَادْعُوا اللَّهَ
As-Salat (the prayer) during a solar eclipse
Narrated Al-Mughira bin Shu`ba:
"The sun eclipsed in the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ) on the day when (his son) Ibrahim died. So the people said that the sun had eclipsed because of the death of Ibrahim. Allah's Messenger (ﷺ) said, "The sun and the moon do not eclipse because of the death or life (i.e. birth) of someone. When you see the eclipse pray and invoke Allah."
পরিচ্ছেদঃ সূর্যগ্রহণের সময় সাদকাহ করা
৫৫৫) আয়েশা (রাঃ) হতে এক বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে একদা সূর্যগ্রহণ হলে তিনি লোকদেরকে নিয়ে নামায আদায় করলেন। তিনি দাঁড়িয়ে লম্বা কিয়াম করলেন। তারপর লম্বা করে রুকূ করলেন। পুনরায় দাঁড়িয়ে লম্বা কিয়াম করলেন। তবে প্রথমবারের চেয়ে কম দেরী করলেন। তিনি পুনরায় রুকূ করলেন। তবে প্রথম রুকূর চেয়ে এবার রুকূ সংক্ষেপ করলেন। তারপর তিনি দীর্ঘ সিজদা করলেন। অতঃপর প্রথম রাকআতের ন্যায় দ্বিতীয় রাকআত আদায় করে নামায শেষ করলেন। ইতিমধ্যেই সূর্যগ্রহণ শেষ হয়ে গেল। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। প্রথমে তিনি আল্লাহর প্রশংসা এবং তাঁর গুণগান বর্ণনা করলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ সূর্য এবং চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম নিদর্শন। কারো মৃত্যু ও জন্ম গ্রহণের কারণে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ হয়না। যখন চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ লাগতে দেখ তখন আল্লাহর কাছে দু’আ কর, তাকবীর পাঠ কর, নামায আদায় কর এবং সাদকা কর। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ ‘‘হে উম্মাতে মুহাম্মাদ! আল্লাহর শপথ! আল্লাহর কোন বান্দা বা বান্দীর ব্যভিচারে আল্লাহর চেয়ে অধিক ক্রোধান্বিত ও আত্মসম্ভ্রমী আর কেউ হতে পারেনা। হে উম্মতে মুহাম্মাদ! আল্লাহর শপথ! আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে তাহলে হাসতে কম, কাঁদতে বেশী’’।
باب الصَّدَقَةِ فِي الْكُسُوفِ
৫৫৫ـ وَفِيْ رِوَايَةٍ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ الله عَنْهَا قَالَتْ: خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ بِالنَّاسِ ،فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ، ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ، ثُمَّ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ، وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ، ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ، وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ، ثُمَّ سَجَدَ فَأَطَالَ السُّجُودَ، ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ مِثْلَ مَا فَعَلَ فِي الأُولَى، ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدِ انْجَلَتِ الشَّمْسُ، فَخَطَبَ النَّاسَ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لا يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ، وَلا لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَادْعُوا اللَّهَ وَكَبِّرُوا وَصَلُّوا وَتَصَدَّقُوا. ثُمَّ قَالَ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ وَاللَّهِ مَا مِنْ أَحَدٍ أَغْيَرُ مِنَ اللَّهِ أَنْ يَزْنِيَ عَبْدُهُ أَوْ تَزْنِيَ أَمَتُهُ، يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ وَاللَّهِ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً وَلبَكَيْتُمْ كَثِيرًا.
To give Sadaqa during the eclipse
Narrated `Aisha:
In the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) the sun eclipsed, so he led the people in prayer, and stood up and performed a long Qiyam, then bowed for a long while. He stood up again and performed a long Qiyam but this time the period of standing was shorter than the first. He bowed again for a long time but shorter than the first one, then he prostrated and prolonged the prostration. He did the same in the second rak`a as he did in the first and then finished the prayer; by then the sun (eclipse) had cleared. He delivered the Khutba (sermon) and after praising and glorifying Allah he said, "The sun and the moon are two signs against the signs of Allah; they do not eclipse on the death or life of anyone. So when you see the eclipse, remember Allah and say Takbir, pray and give Sadaqa." The Prophet then said, "O followers of Muhammad! By Allah! There is none who has more ghaira (selfrespect) than Allah as He has forbidden that His slaves, male or female commit adultery (illegal sexual intercourse). O followers of Muhammad! By Allah! If you knew that which I know you would laugh little and weep much.
পরিচ্ছেদঃ আস্সালাতু জামিআহ বলে সূর্যগ্রহণের নামাযের ঘোষণা দেয়া
৫৫৬) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যামানায় যখন সূর্যগ্রহণ হল তখন এ মর্মে ঘোষণা দেয়া হল যে, আস্সালাতু জামিআতুন্।
টিকাঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর যুগে জামাআতের সাথে সূর্যগ্রহণের নামাযের ঘোষণা দেয়া হত। মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে একদিন আমি মসজিদে নববীতে অবস্থান করছিলাম। তখন সূর্যগ্রহণ লাগলে মসজিদের মুআযযিনের কণ্ঠে الصلاة جامعة বাক্যটি উচ্চারণ করতে শুনেছি। আলহামদু লিল্লাহ। এখনও মদীনাতে সুন্নাতী আমলগুলো বিদ্যমান রয়েছে।
باب النِّدَاءِ بِالصَّلاَةُ جَامِعَةٌ فِي الْكُسُوفِ
৫৫৬ـ عَنْ عَبْدِاللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّه عَنْهُمَا قَالَ: لَمَّا كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ نُودِيَ: إِنَّ الصَّلاةَ جَامِعَةٌ
Making a loud announcement of As-Salat (the prayer) in congregation for eclipse
Narrated `Abdullah bin `Amr:
"When the sun eclipsed in the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ) an announcement was made that a prayer was to be offered in congregation."
পরিচ্ছেদঃ সূর্যগ্রহণের সময় কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা
৫৫৭) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা জনৈক ইহুদী মহিলা আগমণ করে কিছু সাহায্য প্রার্থনা করল। তখন সে আয়েশা (রাঃ)কে বললঃ আল্লাহ আপনাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন। আয়েশা (রাঃ) পরবর্তীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেনঃ কবরে কি মানুষের আযাব হবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনাকারী অবস্থায় বললেনঃ হ্যাঁ, আযাব হবে। অতঃপর আয়েশা (রাঃ) সূর্যগ্রহণের হাদীছটি উল্লেখ করলেন। হাদীছের শেষাংশে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করার আদেশ দিলেন।
باب التَّعَوُّذِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي الْكُسُوفِ
৫৫৭ ـ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ الله عَنْهَا، زَوْجِ النَّبِيِّ : أَنَّ يَهُودِيَّةً جَاءَتْ تَسْأَلُهَا، فَقَالَتْ لَهَا: أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ. فَسَأَلَتْ عَائِشَةُ رَضِي اللَّه عَنْهَا رَسُولَ اللَّهِ : أيُعَذَّبُ النَّاسُ في قُبُورِهم؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ عَائِذًا بِاللَّهِ مِنْ ذَلِكَ ثُمَّ ذَكَرَتْ حَدِيثَ الْكُسُوْفِ ثُمَّ قَالَتْ فِيْ آخِرِهِ: ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَتَعَوَّذُوا مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ. (بخارى:১০৪৯)
To seek refuge with Allah from the torment in the grave during eclipse
Narrated `Amra bint `Abdur-Rahman:
A Jewess came to ask `Aisha (the wife of the Prophet) about something. She said to her, "May Allah give you refuge from the punishment of the grave." So `Aisha ' asked Allah's Messenger (ﷺ) "Would the people be punished in their graves?" Allah's Messenger (ﷺ) after seeking refuge with Allah from the punishment of the grave (and thus replied in the affirmative). And then he (ﷺ) ordered the people to seek refuge with Allah from the punishment of the grave.
পরিচ্ছেদঃ জামআতের সাথে সূর্যগ্রহণের নামায আদায় করা
৫৫৮) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি সূর্যগ্রহণের নামায সম্পর্কে দীর্ঘ হাদীছটি উল্লেখ করলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনাকে দেখলামঃ আপনি এখানে দাঁড়িয়ে একটি বস্ত্ত ধরছেন। তারপর দেখলাম পিছনে সরে আসছেন। তিনি বললেনঃ আমি জান্নাত প্রত্যক্ষ করলাম এবং জান্নাতের এক গুচ্ছ ফল ধরতে উদ্যত হলাম। আমি যদি সেটি নিয়ে আসতাম তাহলে তোমরা তা থেকে কিয়ামত পর্যন্ত খেতে পারতে। অনুরূপভাবে আমাকে জাহান্নামও দেখানো হল। আজকের মত ভয়ানক দৃশ্য আমি আর কখনও দেখিনি। আমি জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসীকেই দেখলাম মহিলা। তারা বললঃ কি কারণে হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ তাদের কুফরী (নিয়ামত অস্বীকার) করার কারণে। বলা হল তারা কি আল্লাহকে অস্বীকার করে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তারা স্বামীর অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং তাঁর নিয়ামত অস্বীকার করে। তুমি যদি তাদের কারো আজীবন অনুগ্রহ কর অতঃপর তোমার নিকট থেকে অপছন্দনীয় কিছু প্রত্যক্ষ করে, তখন সে বলে থাকে আমি কোন দিন তোমার নিকট থেকে কল্যাণ দেখতে পাইনি।
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ جَمَاعَةً
৫৫৮ـ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا ذَكَرَ حَدِيْثَ الْكُسُوْفِ بِطُوْلِهِ ثُمَّ قَالَ: رَأَيْنَاكَ تَنَاوَلْتَ شَيْئًا فِي مَقَامِكَ، ثُمَّ رَأَيْنَاكَ كَعْكَعْتَ؟ فقَالَ إِنِّي رَأَيْتُ الْجَنَّةَ، فَتَنَاوَلْتُ عُنْقُودًا وَلَوْ أَصَبْتُهُ لأَكَلْتُمْ مِنْهُ مَا بَقِيَتِ الدُّنْيَا، وَأُرِيتُ النَّارَ، فَلَمْ أَرَ مَنْظَرًا كَالْيَوْمِ قَطُّ أَفْظَعَ، وَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا النِّسَاءَ. قَالُوا: بِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ بِكُفْرِهِنَّ. قِيلَ: يَكْفُرْنَ بِاللَّهِ؟ قَالَ يَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ، وَيَكْفُرْنَ الإِحْسَانَ، لَوْ أَحْسَنْتَ إِلَى إِحْدَاهُنَّ الدَّهْرَ كُلَّهُ، ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا، قَالَتْ: مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ. (بخارى:১০৫২)
To offer the Eclipse Salat (prayer) in congregation
Narrated `Abdullah bin `Abbas:
The people say, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We saw you taking something from your place and then we saw you retreating." The Prophet (ﷺ) replied, "I saw Paradise and stretched my hands towards a bunch (of its fruits) and had I taken it, you would have eaten from it as long as the world remains. I also saw the Hell-fire and I had never seen such a horrible sight. I saw that most of the inhabitants were women." The people asked, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Why is it so?" The Prophet (ﷺ) replied, "Because of their ungratefulness." It was asked whether they are ungrateful to Allah. The Prophet said, "They are ungrateful to their companions of life (husbands) and ungrateful to good deeds. If you are benevolent to one of them throughout the life and if she sees anything (undesirable) in you, she will say, 'I have never had any good from you.' "
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি সূর্যগ্রহণের সময় দাস মুক্ত করাকে পছন্দ করে
৫৫৯) আসমা বিনতে আবু বকর (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্যগ্রহণের সময় দাস মুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন।
باب مَنْ أَحَبَّ الْعَتَاقَةَ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ
৫৫৯ ـ عَنْ أَسْمَاءَ رضي الله عنها قَالَتْ: لَقَدْ أَمَرَ النَّبِيُّ بِالْعَتَاقَةِ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ
Manumision (of slaves) during the solar eclipse
Narrated Asma:
No doubt the Prophet (ﷺ) ordered people to manumit slaves during the solar eclipse.
পরিচ্ছেদঃ সূর্যগ্রহণের সময় যিকির করা
৫৬০) আবু মুসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা সূর্যগ্রহণ হল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দন্ডায়মান হলেন। তিনি কিয়ামত সংঘটিত হয়ে যাওয়ার ভয় করছিলেন। তিনি মসজিদে আগমণ করলেন। তিনি এত লম্বা কিয়াম, রুকূ এবং সিজদা করলেন যা আমি তাঁকে আর কখনও এরূপ করতে দেখিনি। তিনি বললেনঃ এ সমস্ত নিদর্শন কারো জন্ম গ্রহণ বা মৃত্যু বরণ করার কারণে প্রেরিত হয় না; বরং আল্লাহ তাআলা এগুলোর মাধ্যমে তাঁর বান্দাদেরকে ভয় দেখিয়ে থাকেন। তোমরা যখন কোন নিদর্শন দেখতে পাবে তখন তোমরা আল্লাহর যিকির, তাঁর নিকট দু’আ করা এবং তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনার দিকে ধাবিত হও।
باب الذِّكْرِ فِي الْكُسُوفِ
৫৬০ـ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: خَسَفَتِ الشَّمْسُ، فَقَامَ النَّبِيُّ فَزِعًا، يَخْشَى أَنْ تَكُونَ السَّاعَةُ، فَأَتَى الْمَسْجِدَ، فَصَلَّى بِأَطْوَلِ قِيَامٍ وَرُكُوعٍ وَسُجُودٍ رَأَيْتُهُ قَطُّ يَفْعَلُهُ، وَقَالَ هَذِهِ الآيَاتُ الَّتِي يُرْسِلُ اللَّهُ، لا تَكُونُ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلا لِحَيَاتِهِ، وَلَكِنْ يخَوِّفُ اللَّهُ بِهِ عِبَادَهُ فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ، فَافْزَعُوا إِلَى ذِكْرِهِ وَدُعَائِهِ وَاسْتِغْفَارِهِ.
To remember Allah during the eclipse
Narrated Abu Musa:
The sun eclipsed and the Prophet (ﷺ) got up, being afraid that it might be the Hour (i.e. Day of Judgment). He went to the Mosque and offered the prayer with the longest Qiyam, bowing and prostration that I had ever seen him doing. Then he said, "These signs which Allah sends do not occur because of the life or death of somebody, but Allah makes His worshipers afraid by them. So when you see anything thereof, proceed to remember Allah, invoke Him and ask for His forgiveness."
পরিচ্ছেদঃ সূর্যগ্রহণের নামাযে উঁচু আওয়াজে কিরাআত পাঠ করা
৫৬১) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সূর্যগ্রহণের নামাযে উঁচু আওয়াজে কিরাআত পাঠ করেছেন। কিরাআত পাঠ শেষে আল্লাহু আকবার বলে রুকূতে গমণ করলেন। রুকূ হতে মাথা উঠিয়ে বললেনঃ ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ রাব্বানা ওয়া লাকাল হাম্দ। অতঃপর তিনি সূর্যগ্রহণের নামাযে দ্বিতীয়বার কিরাআত পাঠ করা শুরু করলেন এবং চারটি রুকূ এবং চারটি সিজদার মাধ্যমে দু’রাকআত নামায পূর্ণ করলেন।
باب الْجَهْرِ بِالْقِرَاءَةِ فِي الْكُسُوفِ
৫৬১ـ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّه عَنْهَا قَالَتْ: جَهَرَ النَّبِيُّ فِي صَلاةِ الْخُسُوفِ بِقِرَاءَتِهِ، فَإِذَا فَرَغَ مِنْ قِرَاءَتِهِ كَبَّرَ فَرَكَعَ، وَإِذَا رَفَعَ مِنَ الرَّكْعَةِ قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ. ثُمَّ يُعَاوِدُ الْقِرَاءَةَ فِي صَلاةِ الْكُسُوفِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ. (بخارى: ১০৬৫)
To recite aloud in the eclipse Salat
Narrated `Aisha:
The Prophet (p.b.u.h) recited (the Qur'an) aloud during the eclipse prayer and when he had finished the eclipse prayer he said the Takbir and bowed. When he stood straight from bowing he would say "Sami 'allahu liman hamidah Rabbana wa laka l-hamd." And he would again start reciting. In the eclipse prayer there are four bowing and four prostrations in two rak`at.