পরিচ্ছেদঃ অযু ব্যতীত নামায কবুল হয়না
১১১) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যার হদছ হয়ে গেছে (অযু ছুটে গেছে) সে ব্যক্তি পুনরায় অযু না করা পর্যন্ত তার নামায কবুল হবেনা। হাজরামাওতের অধিবাসী এক লোক আবু হুরায়রাকে জিজ্ঞেস করলঃ হদছ কাকে বলে? উত্তরে আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ পায়খানার রাস্তা দিয়ে হাওয়া বের হওয়া।
باب لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ
১১১ـ عَنْ أَبَي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ لا تُقْبَلُ صَلاةُ مَنْ أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ. قَالَ رَجُلٌ مِنْ حَضْرَمَوْتَ: مَا الْحَدَثُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ؟ قَالَ: فُسَاءٌ أَوْ ضُرَاطٌ. (بخارى:১৩৫)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৩২
No Salat (prayer) Is Accepted Without Ablution (i.e, To Remove, The Small Hadith By Ablution Or The Big Hadith By Taking A Bath)
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "The prayer of a person who does Hadath (passes urine, stool or wind) is not accepted till he performs the ablution." A person from Hadaramout asked Abu Huraira, "What is 'Hadath'?" Abu Huraira replied, " 'Hadath' means the passing of wind."
পরিচ্ছেদঃ অযুর ফজীলত
১১২) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, আমার উম্মতকে কিয়ামতের দিন যখন ডাকা হবে তখন অযুর নিদর্শন স্বরূপ তাদের কপাল ও হাত-পা চকচক করতে থাকবে। সুতরাং যে চায় তার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে, সে যেন তা বাড়িয়ে নেয়।
باب فَضْلِ الْوُضُوءِ، وَالْغُرُّ الْمُحَجَّلُونَ مِنْ آثَارِ الْوُضُوءِ
১১২ـ وَعَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ يَقُولُ إِنَّ أُمَّتِي يُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ غُرًّا مُحَجَّلِينَ مِنْ آثارِ الْوُضُوءِ، فَمَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يُطِيلَ غُرَّتَهُ فَلْيَفْعَلْ. (بخارى:১৩৬)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৩৩
The Superiority Of Ablution. And Al-ghurr-ul-muhajjalun (the Parts Of The Body Of The Muslims Washed In Ablution Will Shine On The Day Of Ressurrection And The Angels Will Call Them By That Name) From The Traces Of Ablution
Abu Huraira. He perform ablution and said, "I heard the Prophet (ﷺ) saying, "On the Day of Resurrection, my followers will be called "Al-Ghurr-ul- Muhajjalun" from the trace of ablution and whoever can increase the area of his radiance should do so (i.e. by performing ablution regularly).' "
পরিচ্ছেদঃ অযু ছুটে যাওয়ার সন্দেহ হলেই অযু করতে হবেনা। যতক্ষণ না অযু ছুটে যাওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস হয়
১১৩) আব্দুল্লাহ ইবনে যায়েদ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন, যার নামাযের মধ্যে অযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ হয়। তিনি বললেনঃ সে নামায ছাড়বেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত সে শব্দ না শুনবে অথবা গন্ধ না পাবে।
باب لاَ يَتَوَضَّأُ مِنَ الشَّكِّ حَتَّى يَسْتَيْقِنَ
১১৩ـ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ يَزِيْدِ الأَنْصَارِيِّ: أَنَّهُ شَكَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ الرَّجُلَ الَّذِي يُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهُ يَجِدُ الشَّيْءَ فِي الصَّلاةِ، فَقَالَ لا يَنْفَتِلْ أَوْ لا يَنْصَرِفْ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحاً. (بخارى:১৩৭)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৩৪
One should not repeat ablution if in doubt unless and until he is convinced (that he has lost his ablution by having Hadath)
Narrated `Abbad bin Tamim:
My uncle asked Allah's Messenger (ﷺ) about a person who imagined to have passed wind during the prayer. Allah' Apostle replied: "He should not leave his prayers unless he hears sound or smells something."
পরিচ্ছেদঃ হালকাভাবে অযু করা
১১৪) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিদ্রা গেলেন। নিদ্রার কারণে নাকের আওয়াজ বের হতে লাগল। অতঃপর জাগ্রত হয়ে অযু না করেই তিনি নামায আদায় করলেন। হাদীছের বর্ণনাকারী কখনও বলেছেনঃ তিনি চিৎ হয়ে শুয়ে নিদ্রা গেলেন। নিদ্রার কারণে নাক থেকে আওয়াজ বের হতে লাগল। অতঃপর তিনি উঠে নামায আদায় করলেন।
টিকাঃ ইমাম বুখারী এখানে অযু না করা দ্বারা ভালভাবে অযু না করার অর্থ নিয়েছেন।
باب التَّخْفِيفِ فِي الْوُضُوءِ
১১৪ـ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ نَامَ حَتَّى نَفَخَ، ثُمَّ صَلَّى وَ لَمْ يَتَوَضَأْ، وَرُبَّمَا قَالَ اضْطَجَعَ حَتَّى نَفَخَ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى . (بخارى:১৩৮)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৩৫
To perform a light ablution
Ibn `Abbas said, "The Prophet (ﷺ) slept till he snored and then prayed (or probably lay till his breath sounds were heard and then got up and prayed)."
পরিচ্ছেদঃ পরিপূর্ণরূপে অযু করা
১১৫) উসামা বিন যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরাফা থেকে ফেরার পথে যখন পাহাড়ী রাস্তায় আসলেন, তখন সেখানে বাহন থেকে নেমে পেশাব করলেন। অতঃপর অযু করলেন। তবে পরিপূর্ণরূপে অযু করেন নি। উসামা বলেনঃ আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! নামাযের সময় হয়েছে। তিনি বললেনঃ নামায তোমার সামনে। অতঃপর তিনি বাহনে আরোহন করলেন। মুযদালিফায় গিয়ে তিনি বাহন থেকে নামলেন এবং পরিপূর্ণরূপে অযু করলেন। অতঃপর নামাযের একামাত দেয়া হল। প্রথমে তিনি মাগরিবের নামায আদায় করলেন। সেখানে প্রত্যেকেই আপন আপন উট বসালো। অতঃপর ইশার নামাযের একামত দেয়া হল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদেরকে নিয়ে ইশার নামায আদায় করলেন। ইশা এবং মাগরিবের নামাযের মাঝখানে কোন সুন্নাত বা নফল নামায পড়েন নি।
باب إِسْبَاغِ الْوُضُوءِ
১১৫ـ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ رَضِيَ الله عًنْهُمَا قَالَ: دَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ مِنْ عَرَفَةَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالشِّعْبِ نَزَلَ فَبَالَ، ثُمَّ تَوَضَّأَ وَلَمْ يُسْبِغِ الْوُضُوءَ. فَقُلْتُ: الصَّلاةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَقَالَ الصَّلاةُ أَمَامَكَ. فَرَكِبَ فَلَمَّا جَاءَ الْمُزْدَلِفَةَ نَزَلَ فَتَوَضَّأَ، فَأَسْبَغَ الْوُضُوءَ، ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلاةُ، فَصَلَّى الْمَغْرِبَ، ثُمَّ أَنَاخَ كُلُّ إِنْسَانٍ بَعِيرَهُ فِي مَنْزِلِهِ، ثُمَّ أُقِيمَتِ الْعِشَاءُ فَصَلَّى، وَلَمْ يُصَلِّ بَيْنَهُمَا.(بخارى:১৩৯)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৩৬
The completion (or perfection) of ablution (one should wash all the parts perfectly)
Narrated Usama bin Zaid:
Allah's Messenger (ﷺ) proceeded from `Arafat till when he reached the mountain pass, he dismounted, urinated and then performed ablution but not a perfect one. I said to him, ("Is it the time for) the prayer, O Allah's Messenger (ﷺ)?" He said, "The (place of) prayer is ahead of you." He rode till when he reached Al-Muzdalifa, he dismounted and performed ablution and a perfect one, The (call for) Iqama was pronounced and he led the Maghrib prayer. Then everybody made his camel kneel down at its place. Then the Iqama was pronounced for the `Isha' prayer which the Prophet (ﷺ) led and no prayer was offered in between the two . prayers (`Isha' and Maghrib).
পরিচ্ছেদঃ উভয় হাত দ্বারা এক অঞ্জলি পানি নিয়ে মুখমণ্ডল
ধৌত করা
১১৬) একদা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা তিনি অযু করলেন। তিনি মুখমণ্ডল ধৌত করলেন। প্রথমে এক অঞ্জলি পানি নিয়ে তা দ্বারা কুলি করলেন এবং নাকেও কিছু দিয়ে নাকের ভিতরের অংশ পরিস্কার করলেন। অতঃপর আরো এক অঞ্জলি পানি নিয়ে এরূপ করলেন। অর্থাৎ এক হাত অন্য হাতের সাথে মিলালেন এবং তা দ্বারা মুখমণ্ডল ধৌত করলেন। তারপর এক অঞ্জলি পানি নিয়ে ডান হাত ধৌত করলেন এবং আরো এক অঞ্জলি পানি নিয়ে তা দ্বারা বাম হাত ধৌত করলেন। অতঃপর মাথা মাসেহ করলেন। তারপর এক অঞ্জলি পানি নিয়ে ডান পায়ে ঢেলে দিলেন এবং তা ধৌত করলেন। তারপর এক অঞ্জলি পানি নিয়ে বাম পায়ে ঢেলে তা ধৌত করলেন। পরিশেষে বললেনঃ এভাবেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অযু করেছেন।
باب غَسْلِ الْوَجْهِ بِالْيَدَيْنِ مِنْ غَرْفَةٍ وَاحِدَةٍ
১১৬ـ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّهُ تَوَضَّأَ فَغَسَلَ وَجْهَهُ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ فَمَضْمَضَ بِهَا وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ فَجَعَلَ بِهَا هَكَذَا، أَضَافَهَا إِلَى يَدِهِ الأُخْرَى فَغَسَلَ بِهَا وَجْهَهُ، ثمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُمْنَى، ثمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ فَغَسَلَ بِهَا يَدَهُ الْيُسْرَى ثمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثمَّ أَخَذَ غَرْفَةً مِنْ مَاءٍ فَرَشَّ عَلَى رِجْلِهِ الْيُمْنَى حَتَّى غَسَلَهَا، ثمَّ أَخَذَ غَرْفَةً أُخْرَى فَغَسَلَ بِهَا رِجْلَهُ يَعْنِي الْيُسْرَى، ثمَّ قَالَ: هَكَذَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ يَتَوَضَّأُ.
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৩৭
To wash the face with both hands by a handful of water
Narrated `Ata' bin Yasar:
Ibn `Abbas performed ablution and washed his face (in the following way): He ladled out a handful of water, rinsed his mouth and washed his nose with it by putting in water and then blowing it out. He then, took another handful (of water) and did like this (gesturing) joining both hands, and washed his face, took another handful of water and washed his right forearm. He again took another handful of water and washed his left forearm, and passed wet hands over his head and took another handful of water and poured it over his right foot (up to his ankles) and washed it thoroughly and similarly took another handful of water and washed thoroughly his left foot (up to the ankles) and said, "I saw Allah's Messenger (ﷺ) performing ablution in this way."
পরিচ্ছেদঃ পেশাব-পায়খানা করার জন্য বসার পূর্বে যা বলবে
১১৭) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন শৌচাগারে প্রবেশ করতেন তখন এই দু’আ পাঠ করতেনঃ
أللَّهُمَّ إنِّيْ أعُوْذُبِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَباَئِثِ
‘‘হে আল্লাহ্! আমি তোমার নিকট আশ্রয় কামনা করি যাবতীয় দুষ্ট জিন ও জিন্নী থেকে’’।
باب مَا يَقُولُ عِنْدَ الْخَلاَءِ
১১৭ـ عن أَنَسٍ قال: كَانَ النَّبِيُّ إِذَا دَخَلَ الْخَلاءَ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ.
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৩৯
What to say while going to the lavatory (water closet)
Narrated Anas:
Whenever the Prophet (ﷺ) went to answer the call of nature, he used to say, "Allah-umma inni a`udhu bika minal khubuthi wal khaba'ith i.e. O Allah, I seek Refuge with You from all offensive and wicked things (evil deeds and evil spirits).
পরিচ্ছেদঃ শৌচাগারে (টয়লেটে) পানি রাখা
১১৮) আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শৌচাগারে প্রবেশ করলেন। আর আমি সেখানে অযুর পানি রেখে দিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (শৌচকার্য শেষ করে বাইরে এসে) বললেনঃ কে অযুর পানি রেখেছে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সংবাদ দেয়া হলে আমার জন্য এই দু’আ করলেনঃ হে আল্লাহ! তাঁকে দ্বীনের জ্ঞান দান করো।
باب وَضْعِ الْمَاءِ عِنْدَ الْخَلاَءِ
১১৮ـ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا: أَنَّ النَّبِيَّ دَخَلَ الْخَلاءَ، قَالَ: فَوَضَعْتُ لَهُ وَضُوءًا، فَقَالَ مَنْ وَضَعَ هَذَا؟ فَأُخْبِرَ، فَقَالَ اللَّهُمَّ فَقِّهْهُ فِي الدِّينِ. (بخارى:১৪৩)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৪০
Providing water at lavatories (for washing the private parts after answering the call of nature)
Narrated Ibn `Abbas:
Once the Prophet (ﷺ) entered a lavatory and I placed water for his ablution. He asked, "Who placed it?" He was informed accordingly and so he said, "O Allah! Make him (Ibn `Abbas) a learned scholar in religion (Islam).
পরিচ্ছেদঃ পেশাব-পায়খানা করার সময় কিবলামুখী হওয়া যাবেনা
১১৯) আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন পায়খানা করতে যাবে, তখন সে যেন কিবলামুখী হয়ে এবং কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে না বসে। তোমরা পূর্ব দিকে কিংবা পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে।
টিকাঃ তোমরা পূর্ব দিকে কিংবা পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে। কথাটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাবাসীদেরকে লক্ষ্য করে বলেছেন। কারণ মদীনা থেকে কিবলা দক্ষিণ দিকে। তাই মদীনাবাসীগণ যদি পূর্ব বা পশ্চিম দিকে ফিরে পায়খানা করে তাহলে কিবলা সামনে বা পিছনে হবেনা। কিন্তু দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অধিবাসীদের কিবলা যেহেতু পশ্চিম দিকে তাই তারা যদি উত্তর বা দক্ষিণ দিকে ফিরে বসে, তবে কিবলা সামনে বা পিছনে হবেনা।
উপরোক্ত বিধান ফাঁকা মাঠে পেশাব-পায়খানার সময় প্রযোজ্য। তবে চার দেয়ালে ঘেরা জায়গার মধ্যে হলে তাতে কোন অসুবিধা নেই। যা অপর হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। তবে التقوى فوق الفتوى অর্থাৎ তাকওয়া ফতোয়ার উপরে- এই নীতি অনুযায়ী উক্ত অবস্থায়ও কিবলাকে সামনে বা পিছনে না রাখা যে উত্তম কাজ- এতে কোন সন্দেহ নেই। এ কথার প্রমাণ ঐ হাদীছে রয়েছে, যেখানে বিধর্মীর এলাকায় কিবলার দিকে মুখ করে প্রস্ত্তত বাথরুমে একটু হেলে গিয়ে বসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখানে তাদের কথাটি স্মরণ করিয়ে দেয়া ভাল মনে করছি। সুতরাং কিবলার দিকে, কুরআনের দিকে এবং যে কোন সম্মানী ব্যক্তি ও বস্ত্তর দিকে পা প্রসারিত না করা ও একাকী হলেও লজ্জার অংশ না খোলা যে উত্তম- এ কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
باب لاَ تُسْتَقْبَلُ الْقِبْلَةُ بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ إِلاَّ عِنْدَ الْبِنَاءِ جِدَارٍ أَوْ نَحْوِهِ
১১৯ـ عَنْ أَبِي أَيُّوبِ الانْصَارِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ إِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْغَائِطَ فَلا يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَلا يُوَلِّهَا ظَهْرَهُ، شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا. (بخارى:১৪৪)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৪২
While urinating or defecating, never face the Qiblah except when you are screened by a building or a wall or something like that
Narrated Abu Aiyub Al-Ansari:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "If anyone of you goes to an open space for answering the call of nature he should neither face nor turn his back towards the Qibla; he should either face the east or the west."
পরিচ্ছেদঃ দুইটি ইটের উপর বসে প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূর্ণ করা
১২০) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ লোকেরা বলতঃ তোমরা যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণে বসবে, তখন কিবলামুখী হয়ে বসবেনা। এমন কি বায়তুল মাকদিসের দিকেও নয়। ইবনে উমার (রাঃ) বলেনঃ একদা আমি আমাদের কোন একটি ঘরের ছাদের উপর উঠলাম। তখন দেখলাম, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বায়তুল মাকদিসকে সামনে রেখে দু’টি ইটের উপর বসে পায়খানা করছেন।
টিকাঃ মদীনাবাসীগণ বায়তুল মাকদিসকে সামনে রাখলে কাবাঘর পিছনে পড়ে। সে হিসাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাবা ঘরকে পিছনে রেখে হাজত পূর্ণ করছিলেন। যা ইবনে উমার (রাঃ) ঘরের ছাদে উঠে প্রত্যক্ষ করেছেন। বাহ্যিক দৃষ্টিতে আবু আইয়্যুব আনসারীর হাদীছ এবং ইবনে উমারের হাদীছের মধ্যে দন্দ্ব পরিলক্ষিত হয়। মূলতঃ উভয় হাদীছের মধ্যে কোন দন্দ্ব নেই। ইবনে উমার (রাঃ) সম্ভবতঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেয়ালে ঘেরা স্থানে পায়খানা করতে দেখেছিলেন। দেয়ালে ঘেরা জায়গার মধ্যে কিবলামুখী হয়ে কিংবা কিবলাকে পিছনে রেখে হাজত পূর্ণ করাতে কোন অসুবিধা নেই।
باب مَنْ تَبَرَّزَ عَلَى لَبِنَتَيْنِ
১২০ـ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ الله عَنْهُمَا قَالَ: إِنَّ نَاسًا يَقُولُونَ: إِذَا قَعَدْتَ عَلَى حَاجَتِكَ فَلا تَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ وَلا بَيْتَ الْمَقْدِسِ، لَقَدِ ارْتَقَيْتُ يَوْمًا عَلَى ظَهْرِ بَيْتٍ لَنَا فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ عَلَى لَبِنَتَيْنِ مُسْتَقْبِلا بَيْتَ الْمَقْدِسِ.
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৪২
Defecating while sitting over two bricks
Narrated `Abdullah bin `Umar:
People say, "Whenever you sit for answering the call of nature, you should not face the Qibla or Baitul-Maqdis (Jerusalem)." I told them. "Once I went up the roof of our house and I saw Allah's Apostle answering the call of nature while sitting on two bricks facing Baitul-Maqdis (Jerusalem) (but there was a screen covering him. ' (Fath-al-Bari, Page 258, Vol. 1).
পরিচ্ছেদঃ প্রাকৃতিক প্রয়োজন মেটাতে মহিলাদের ঘর থেকে বের হওয়া
১২১) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র স্ত্রীগণ প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করতে রাতের বেলা খালি ময়দানের দিকে বের হতেন। ময়দানটি ছিল খুবই প্রশস্ত। উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রায়ই বলতেনঃ হে আল্লাহর নবী! আপনার স্ত্রীগণকে পর্দার আদেশ করুন। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা করতেন না। কোন এক রাতে ইশার সময় তাঁর স্ত্রী সাওদা বিনতে যাম্আ (রাঃ) ঘর থেকে বের হলেন। তিনি ছিলেন একজন লম্বা মহিলা। উমার (রাঃ) তাঁকে দেখে ডাক দিয়ে বললেনঃ হে সাওদা! আমি আপনাকে চিনে ফেলেছি। উমারের উদ্দেশ্য ছিল, যাতে তাড়াতাড়ি পর্দার আয়াত নাযিল হয়ে যায়। এ ঘটনার পরই পর্দার আয়াত নাযিল হয়।
باب خُرُوجِ النِّسَاءِ إِلَى الْبَرَازِ
১২১ـ عَنْ عَائِشَةَ : أَنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ كُنَّ يَخْرُجْنَ بِاللَّيْلِ إِذَا تَبَرَّزْنَ إِلَى الْمَنَاصِعِ، وَهُوَ صَعِيدٌ أَفْيَحُ، فَكَانَ عُمَرُ يَقُولُ لِلنَّبِيّ: احْجُبْ نِسَاءَكَ، فَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ يَفْعَلُ، فَخَرَجَتْ سَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ، زَوْجُ النَّبِيِّ لَيْلَةً مِنَ اللَّيَالِي عِشَاءً، وَكَانَتِ امْرَأَةً طَوِيلَةً، فَنَادَاهَا عُمَرُ: أَلا قَدْ عَرَفْنَاكِ يَا سَوْدَةُ، حِرْصًا عَلَى أَنْ يَنْزِلَ الْحِجَابُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ الْحِجَابِ. (بخارى:১৪৬)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৪৩
The going out of women for answering the call of nature
Narrated `Aisha:
The wives of the Prophet (ﷺ) used to go to Al-Manasi, a vast open place (near Baqi` at Medina) to answer the call of nature at night. `Umar used to say to the Prophet (ﷺ) "Let your wives be veiled," but Allah's Apostle did not do so. One night Sauda bint Zam`a the wife of the Prophet (ﷺ) went out at `Isha' time and she was a tall lady. `Umar addressed her and said, "I have recognized you, O Sauda." He said so, as he desired eagerly that the verses of Al-Hijab (the observing of veils by the Muslim women) may be revealed. So Allah revealed the verses of "Al-Hijab" (A complete body cover excluding the eyes).
পরিচ্ছেদঃ পানি দিয়ে শৌচকার্য করা
১২২) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণে বের হতেন, তখন আমি এবং একজন বালক তাঁর পেছনে পেছনে যেতাম। আমাদের সাথে থাকত পানির পাত্র।
আনাস (রাঃ) হতে অন্য বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেনঃ আমাদের সাথে থাকত পানির পাত্র এবং একটি লাঠি। তিনি পানি দিয়ে শৌচকার্য করতেন।
টিকাঃ পাঠক প্রশ্ন করতে পারেন, লাঠি দিয়ে তখন তিনি কী করতেন? উত্তরে বলা যেতে পারে লাঠি দিয়ে শক্ত মাটি নরম করে তাতে পেশাব করতেন। যাতে পেশাবের ছিটা শরীরে না লাগে।
باب حَمْلِ الْعَنَزَةِ مَعَ الْمَاءِ فِي الاِسْتِنْجَاءِ
১২২ـ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قال: كَانَ النَّبِيُّ إِذَا خَرَجَ لِحَاجَتِهِ أَجِيءُ أَنَا وَغُلامٌ مَعَنَا إِدَاوَةٌ مِنْ مَاءٍ و في روايةٍ: مِنْ مَاءٍ وَ عَنَزَةٍ، يَسْتَنْجِيْ بِالْمَاءِ. (بخارى: ১৫২)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৪৭
To carry an 'Anaza (spear-headed stick) along with the water for washing the private parts after answering the call of nature.
Narrated Anas bin Malik:
Whenever Allah's Messenger (ﷺ) went to answer the call of nature, I along with another boy used to carry a tumbler full of water (for cleaning the private parts) and a short spear (or stick).
পরিচ্ছেদঃ ডান হাতে ইস্তেনজা (শৌচকার্য) করা নিষেধ
১২৩) আবু কাতাদাহ হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন কিছু পান করবে, তখন যেন পান পাত্রে নিঃশ্বাস না ছাড়ে এবং যখন পায়খানা করতে যাবে তখন যেন ডান হাতে পুরুষাঙ্গ স্পর্শ না করে এবং ডান হাত দিয়ে শৌচকাজ না করে।
باب النَّهْىِ عَنْ الاِسْتِنْجَاءِ، بِالْيَمِينِ
১২৩ـ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ إِذَا شَرِبَ أَحَدُكُمْ فَلا يَتَنَفَّسْ فِي الانَاءِ، وَإِذَا أَتَى الْخَلاءَ فَلا يَمَسَّ ذَكَرَهُ بِيَمِينِهِ وَلا يَتَمَسَّحْ بِيَمِينِهِ. (بخارى:১৫৩)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৫০
It is forbidden to clean the private parts with the right hand
Narrated Abu Qatada:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whenever anyone of you drinks water, he should not breathe in the drinking utensil, and whenever anyone of you goes to a lavatory, he should neither touch his penis nor clean his private parts with his right hand."
পরিচ্ছেদঃ পাথর দিয়ে ইস্তেনজা (পবিত্রতা অর্জন) করা
১২৪) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে বের হলেন, তখন আমি তাঁর পেছনে চললাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অভ্যাস ছিল, তিনি ডান-বাম দিকে তাকাতেন না। আমি তাঁর নিকট পৌঁছলে তিনি বললেনঃ আমার জন্য ইস্তেনজার ঢিলা সংগ্রহ কর। অথবা এরূপ কিছু শব্দ বললেন। তিনি আরো বললেনঃ হাড্ডি এবং গোবর নিওনা। আমি আমার কাপড়ের এক পার্শ্বে জড়িয়ে কয়েকটি পাথর নিয়ে আসলাম। পাথরগুলো তাঁর পাশে রেখে চলে গেলাম। প্রয়োজন পূরণ করে তিনি পাথরগুলো দ্বারা ইস্তেনজা করলেন।
باب الاِسْتِنْجَاءِ بِالْحِجَارَةِ
১২৪ـ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: اتَّبَعْتُ النَّبِيَّ وَخَرَجَ لِحَاجَتِهِ فَكَانَ لا يَلْتَفِتُ، فَدَنَوْتُ مِنْهُ، فَقَالَ ابْغِنِي أَحْجَارًا أَسْتَنْفِضْ بِهَا أَوْ نَحْوَهُ وَلا تَأْتِنِي بِعَظْمٍ وَلا رَوْث. فَأَتَيْتُهُ بِأَحْجَارٍ بِطَرَفِ ثيَابِي، فَوَضَعْتُهَا إِلَى جَنْبِهِ وَأَعْرَضْتُ عَنْهُ، فَلَمَّا قَضَى أَتْبَعَهُ بِهِنَّ.(بخارى:১৫৫)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৫২
To clean the private parts with stones
Narrated Abu Huraira:
I followed the Prophet (ﷺ) while he was going out to answer the call of nature. He used not to look this way or that. So, when I approached near him he said to me, "Fetch for me some stones for ' cleaning the privates parts (or said something similar), and do not bring a bone or a piece of dung." So I brought the stones in the corner of my garment and placed them by his side and I then went away from him. When he finished (from answering the call of nature) he used, them.
পরিচ্ছেদঃ গোবর দিয়ে ইস্তেনজা করা নিষেধ
১২৫) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শৌচাগারে গেলেন। তিনি আমাকে তিনটি পাথর সংগ্রহ করতে বললেন। আমি দু’টি পাথর পেলাম। অনুসন্ধান করেও তৃতীয় পাথর পেলাম না। তাই একটি গোবর পেয়ে তা নিয়ে আসলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাথর দু’টি গ্রহণ করলেন এবং গোবরটি ফেলে দিলেন এবং বললেনঃ এটি নাপাক।
باب لاَ يُسْتَنْجَى بِرَوْثٍ
১২৫ـ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: أَتَى النَّبِيُّ الْغَائِطَ، فَأَمَرَنِي أَنْ آتِيَهُ بِثلاثةِ أَحْجَارٍ، فَوَجَدْتُ حَجَرَيْنِ، وَالْتَمَسْتُ الثالِث فَلَمْ أَجِدْهُ، فَأَخَذْتُ رَوْثةً فَأَتَيْتُهُ بِهَا، فَأَخَذَ الْحَجَرَيْنِ وَأَلْقَى الرَّوْثةَ، وَقَالَ هَذَا رِكْسٌ.
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৫৩
Do not clean the private parts with dung
Narrated `Abdullah:
The Prophet (ﷺ) went out to answer the call of nature and asked me to bring three stones. I found two stones and searched for the third but could not find it. So took a dried piece of dung and brought it to him. He took the two stones and threw away the dung and said, "This is a filthy thing."
পরিচ্ছেদঃ অযুর অঙ্গগুলো একবার একবার ধৌত করা
১২৬) আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অযুর অঙ্গগুলো একবার একবার করে ধৌত করেছেন।
باب الْوُضُوءِ مَرَّةً مَرَّةً
১২৬ـ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: تَوَضَّأَ النَّبِيُّ مَرَّةً مَرَّةً. (بخاري:১৫৭)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৫৪
The washing of the body parts (i.e., the parts which are washed in ablution) once only while performing ablution
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) performed ablution by washing the body parts only once.
পরিচ্ছেদঃ অযুর অঙ্গগুলো দু’বার করে ধৌত করা
১২৭) আব্দুল্লাহ বিন যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অযুর অঙ্গগুলো দু’বার করে ধৌত করেছেন।
باب الْوُضُوءِ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ
১২৭ـ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ الأنصاري: أَنَّ النَّبِيَّ تَوَضَّأَ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ. (بخاري:১৫৮)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৫৪
The washing of the body parts twice while performing ablution
Narrated `Abdullah bin Zaid:
The Prophet (ﷺ) performed ablution by washing the body parts twice.
পরিচ্ছেদঃ অযুর অঙ্গগুলো তিনবার করে ধৌত করা
১২৮) উছমান বিন আফ্ফান (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি একদা তাঁর গোলামকে অযুর পাত্র আনতে বললেন। অতঃপর তিনি তিনবার উভয় হাতে পানি ঢেলে তা ধৌত করলেন। তারপর ডান হাত পানির পাত্রে ঢুকিয়ে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। অতঃপর তিনবার মুখমণ্ডল ধৌত করলেন। এরপর দু’হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধৌত করলেন (প্রথমে ডান হাত অতঃপর বাম হাত)। (আবার নতুন করে দু’হাত ভিজিয়ে তা দ্বারা) মাথা মাসেহ্ করলেন। অতঃপর দু’পা টাখনুসহ তিনবার ধৌত করলেন। তারপর বললেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার অযুর ন্যায় অযু করে দু’রাকআত নামায পড়বে এবং মনে অন্য কিছুর কল্পনা করবেনা তার অতীত জীবনের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
باب الْوُضُوءِ ثَلاَثًا ثَلاَثًا
১২৮ـ عن عُثمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَنَّهُ دَعَا بِإِنَاءٍ فَأَفْرَغَ عَلَى كَفَّيْهِ ثلاث مِرَارٍ فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَمِينَهُ فِي الانَاءِ فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثلاثاً وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثلاث مِرَارٍ، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاثَ مِرَارٍ إِلَى الْكَعْبَيْنِ، ثُمَّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ لا يُحَدِّث فِيهِمَا نَفْسَهُ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ. (بخارى:১৫৯)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৫৬
The washing of the parts thrice while performing ablution
Narrated Humran:
(the slave of 'Uthman) I saw 'Uthman bin 'Affan asking for a tumbler of water (and when it was brought) he poured water over his hands and washed them thrice and then put his right hand in the water container and rinsed his mouth, washed his nose by putting water in it and then blowing it out. then he washed his face and forearms up to the elbows thrice, passed his wet hands over his head and washed his feet up to the ankles thrice. Then he said, "Allah's Messenger (ﷺ) said 'If anyone performs ablution like that of mine and offers a two-rak'at prayer during which he does not think of anything else (not related to the present prayer) then his past sins will be forgiven.' "
পরিচ্ছেদঃ অযুর অঙ্গগুলো তিনবার করে ধৌত করা
১২৯) অপর বর্ণনায় এসেছে, একদা উছমান (রাঃ) বললেনঃ আমি তোমাদেরকে একটি হাদীছ শুনাবো। কুরআন মাজীদের এই আয়াতটি যদি না থাকত তাহলে আমি তোমাদেরকে হাদীছটি শুনাতাম না। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করবে এবং নামায আদায় করবে তার উক্ত নামায এবং পরবর্তী নামাযের মধ্যবর্তী সময়ের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। উরওয়া বলেনঃ আয়াতটি হলঃ
﴿إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنْزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى مِنْ بَعْدِ مَا بَيَّنَّاهُ لِلنَّاسِ فِي الْكِتَابِ أُولَئِكَ يَلْعَنُهُمُ اللَّهُ وَيَلْعَنُهُمُ اللَّاعِنُونَ إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا وَأَصْلَحُوا وَبَيَّنُوا فَأُولَئِكَ أَتُوبُ عَلَيْهِمْ وَأَنَا التَّوَّابُ الرَّحِيمُ﴾
‘‘আমি যেসব সুস্পষ্ট দলীল-প্রমাণ এবং হেদায়াতের কথা নাযিল করেছি, পবিত্র কুরআনে মানুষের জন্য বর্ণনা করার পরও যারা তা গোপন করবে, আল্লাহ তাদেরকে লা’নত করবেন এবং লা’নতকারীগণও লা’নত করবেন। তবে যারা তাওবা করে এবং নাযিলকৃত বিষয়গুলো বর্ণনা করে দেয় সে সমস্ত লোকের তাওবা আমি কবূল করি। আমি তাওবা কবুলকারী পরম দয়ালু’’। (সূরা বাকারাঃ ১৫৯-১৬০)
باب الْوُضُوءِ ثَلاَثًا ثَلاَثًا
وَفِيْ رِوَايَةٍ أَنَّ عُثْمَان قَالَ: أَلا أُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا لَوْلا آيَةٌ مَا حَدَّثْتُكُمُوهُ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ يَقُولُ لا يَتَوَضَّأُ رَجُلٌ فيُحْسِنُ وُضُوءَهُ وَيُصَلِّي الصَّلاةَ إِلا غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الصَّلاةِ حَتَّى يُصَلِّيَهَا. قَالَ عُرْوَةُ: الآيَةَ: ﴿إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنْزَلْنَا مِنَ الْبَيِّنَاتِ﴾ (بخارى:১৬০)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৫৬
The washing of the parts thrice while performing ablution
After performing the ablution 'Uthman said, "I am going to tell you a Hadith which I would not have told you, had I not been compelled by a certain Holy Verse (the sub narrator 'Urwa said:
This verse is: "Verily, those who conceal the clear signs and the guidance which we have sent down...)" (2:159). I heard the Prophet (ﷺ) saying, 'If a man performs ablution perfectly and then offers the compulsory congregational prayer, Allah will forgive his sins committed between that (prayer) and the (next) prayer till he offers it.
পরিচ্ছেদঃ অযুতে নাক পরিষ্কার করা
১৩০) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি অযু করবে সে যেন নাক ঝেড়ে নেয় আর যে ঢিলা ব্যবহার করবে সে যেন বেজোড় সংখ্যায় ঢিলা ব্যবহার করে।
باب الاِسْتِنْثَارِ فِي الْوُضُوءِ
১৩০ـ عن أَبَي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ أَنَّهُ قَالَ مَنْ تَوَضَّأَ فَلْيَسْتَنْثِرْ وَمَنِ اسْتَجْمَرَ فَلْيُوتِرْ (بحارى:১৬১)
ইসলামিক সেন্টারঃ ১৫৭
The cleaning of the nose by putting water in it and then blowing it out during ablution
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever performs ablution should clean his nose with water by putting the water in it and then blowing it out, and whoever cleans his private parts with stones should do it with odd number of stones."