সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি) ৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৪৫

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ رُكُوبِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْبُرَاقَ وَإِتْيَانِهِ عَلَيْهِ بَيْتَ الْمَقْدِسِ مِنْ مَكَّةَ فِي بَعْضِ اللَّيْلِ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বুরাকে আরোহন করা এবং রাতের কোন এক অংশে তার তাঁকে নিয়ে মক্কা হতে বায়তুল মাকদিসে আগমণ করা- এ সম্পর্কিত বর্ণনা:


৪৫. যির ইবনু হুবাইশ (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রাযিঃ) এর নিকট আসলে তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে টেঁকো, তুমি কে? আমি বললাম, আমি যির ইবনু হুবাইশ। আপনি আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাইতুল মাকদিসে নামায আদায় করার ব্যাপারে জানান, যখন তিনি ইসরায় গমণ (নৈশ ভ্রমন) করেছিলেন। তিনি বললেন, না। আমি বললাম, হ্যাঁ তিনি নামায আদায় করেছেন। তিনি বললেন, হে টেকো! একথা তোমাকে কে বলেছে? আমি বললাম, কুরআন। তিনি বললেন: কুরআন?

তারপর তিনি (যির) এই আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ “পবিত্র মহান সেই সত্তা, যিনি এক রাতে তার বান্দাকে মাসজিদুল হারাম হতে দূরবর্তী মসজিদে নিয়ে গেলেন.. নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা”- (সূরা বনী ইসরাঈল ১)। আব্দুল্লাহর কিরায়াতে এরূপই রয়েছে।  হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) বলেন, তুমি কি তাঁকে সেখানে সালাত আদায় করতে দেখেছ? আমি বললাম, না।

হুযাইফাহ্ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি পশু আনা হল। বর্ণনাকারী হাম্মাদ বলেন, আসিম আমার নিকট এর গুণাবলী বর্ণনা করেছেলেন, কিন্তু আমি তা মুখস্ত রাখতে পারিনি।

জীবরীল (আঃ) তাঁকে এর পিঠে আরোহন করালেন এবং একজন অপরজনের আগেপিছে আরোহী হলেন। এরপর সেই রাতে তিনি তাঁর সাথে চলতে লাগলেন। যখন চলতে চলতে বায়তুল মাকদিসে পৌঁছলেন। এরপর তাঁকে আসমান ও জমিনের জিনিসগুলো দেখানো হলো। তারপর তারা দু’জন প্রত্যাবর্তন করেন যেখান থেকে তারা (যাত্রা) শুরু করেছিলেন। কিন্তু তিনি সেখানে সালাত আদায় করেননি। আর তিনি সালাত আদায় করলে তা তোমাদের জন্য (জরুরী) রীতিতে পরিণত হতো।[1]

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ هِشَامٍ الْبَزَّارُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عَاصِمِ بْنِ أَبِي النَّجُودِ عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ قَالَ:
أَتَيْتُ حُذَيْفَةَ فَقَالَ: مَنْ أَنْتَ يَا أَصْلَعُ؟ قُلْتُ: أَنَا زِرُّ بْنُ حُبَيْشٍ حَدِّثْنِي بِصَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِ الْمَقْدِسِ حِينَ أُسرِيَ بِهِ قَالَ: مَنْ أَخْبَرَكَ بِهِ يَا أَصْلَعُ؟ قُلْتُ: الْقُرْآنُ قَالَ: الْقُرْآنُ؟ فَقَرَأْتُ {سُبْحَانَ الذي أسرى بعبده} [الإسراء: 1] مِنَ اللَّيْلِ ـ وَهَكَذَا هِيَ قِرَاءَةُ عَبْدِ اللَّهِ ـ إِلَى قَوْلِهِ: {إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ} [الإسراء: 1] فَقَالَ: هَلْ تَرَاهُ صَلَّى فِيهِ؟ قُلْتُ: لَا , قَالَ: إِنَّهُ أُتي بِدَابَّةٍ – قَالَ حَمَّادٌ: وَصَفَهَا عَاصِمٌ لَا أَحْفَظُ صِفَتَهَا – قَالَ: فَحَمَلَهُ عَلَيْهَا جِبْرِيلُ أَحَدُهُمَا رَدِيفُ صَاحِبِهِ فَانْطَلَقَ مَعَهُ مِنْ لَيْلَتِهِ حَتَّى أَتَى بَيْتَ الْمَقْدِسِ فأُرِيَ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ثُمَّ رَجَعَا عَوْدَهُمَا عَلَى بَدْئِهِمَا فَلَمْ يُصَلِّ فِيهِ وَلَوْ صلى لكانت سنة)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
حسن ـ ((الصحيحة)) (874)؛ لكن قوله: ((فلم يصلِّ .... )) منكرٌ؛ لمخالفته الثابت عنه صلى الله عليه وسلم أنه صلّى ـ ليلتئذٍ ـ إماماً، والصلاة في الأقصى سنةٌ، يشرع شدُّ الرَّحلِ إليه

اخبرنا احمد بن علي بن المثنى حدثنا خلف بن هشام البزار حدثنا حماد بن زيد عن عاصم بن ابي النجود عن زر بن حبيش قال: اتيت حذيفة فقال: من انت يا اصلع؟ قلت: انا زر بن حبيش حدثني بصلاة رسول الله صلى الله عليه وسلم في بيت المقدس حين اسري به قال: من اخبرك به يا اصلع؟ قلت: القران قال: القران؟ فقرات {سبحان الذي اسرى بعبده} [الاسراء: 1] من الليل ـ وهكذا هي قراءة عبد الله ـ الى قوله: {انه هو السميع البصير} [الاسراء: 1] فقال: هل تراه صلى فيه؟ قلت: لا , قال: انه اتي بدابة – قال حماد: وصفها عاصم لا احفظ صفتها – قال: فحمله عليها جبريل احدهما رديف صاحبه فانطلق معه من ليلته حتى اتى بيت المقدس فاري ما في السماوات وما في الارض ثم رجعا عودهما على بدىهما فلم يصل فيه ولو صلى لكانت سنة) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] حسن ـ ((الصحيحة)) (874)؛ لكن قوله: ((فلم يصل .... )) منكر؛ لمخالفته الثابت عنه صلى الله عليه وسلم انه صلى ـ ليلتىذ ـ اماما، والصلاة في الاقصى سنة، يشرع شد الرحل اليه

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ যির ইবন হুবায়শ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৪৬

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ اسْتِصْعَابِ الْبُرَاقِ عِنْدَ إِرَادَةِ رُكُوبِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاهُ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বুরাকে আরোহন করা কঠিন হওয়ার বর্ণনা:


৪৬. আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, যে রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (মিরাজে) ভ্রমণ করানো হয় সে রাতে তার সামনে লাগাম বাধা ও জিনপোষ আটা একটি বোরাক আনা হয়। বোরাক তার পিঠে সাওয়ার হওয়াটা তার জন্য কঠিন করে তুললে জিবরীল (আঃ) তাকে বললেন, তুমি কেন এ রকম আচরণ করছ? অথচ আল্লাহ তা’আলার সমীপে তার চেয়ে বেশি সম্মানিত কেউ কখনো তোমার পিঠে সওয়ার হয়নি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এতে বোরাক ঘেমে উঠে।[1]

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْعَبَّاسِ السَّامِيُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ:
(أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى الله عليه وسلم أُتِيَ بِالْبُرَاقِ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ مُسْرَجًا مُلْجَمًا لِيَرْكَبَهُ فَاسْتَصْعَبَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ: مَا يَحْمِلُكَ عَلَى هَذَا فَوَاللَّهِ مَا رَكِبَكَ أَحَدٌ أَكْرَمَ على الله منه قال: فَارْفَضَّ عَرَقاً)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح الإسناد.

اخبرنا محمد بن عبد الرحمن بن العباس السامي حدثنا احمد بن حنبل حدثنا عبد الرزاق انبانا معمر عن قتادة عن انس: (ان النبي صلى الله عليه وسلم اتي بالبراق ليلة اسري به مسرجا ملجما ليركبه فاستصعب عليه فقال له جبريل: ما يحملك على هذا فوالله ما ركبك احد اكرم على الله منه قال: فارفض عرقا) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح الاسناد.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৪৭

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ جِبْرِيلَ شدَّ الْبُرَاقَ بِالصَّخْرَةِ عِنْدَ إِرَادَةِ الْإِسْرَاءِ

(মে’রাজের) রাতে ভ্রমনের সময় জিবরীল (আঃ) বুরাককে পাথরের সাথে বেধেছিলেন- এর বর্ণনা:


৪৭. আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নৈশ ভ্রমণের রাতে আমরা যখন বাইতুল মাকদিসে পৌঁছলাম, তখন জিবরীল (আঃ) তার আঙ্গুল দিয়ে পাথর ফাটান এবং তার সাথে বোরাককে বাঁধেন।[1]

أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ المتوكل المقرئ حدثنا يحيى بن واضع حَدَّثَنَا الزُّبَيْرُ بْنُ جُنَادَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(لَمَّا كَانَ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي انْتَهَيْتُ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَخَرَقَ جِبْرِيلُ الصَّخْرَةَ بِإِصْبَعِهِ وَشَدَّ بِهَا الْبُرَاقَ) (1).
= [2: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((المشكاة)) (5921/ التحقيق الثاني)، ((الصحيحة)) (3487).
(1) في هامش الأصل ـ بخط الشيخ ـ: ((حسنه الترمذي، وصححه الحاكم والذهبي)).

الحديث: 47 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 174

اخبرنا ابو يعلى حدثنا عبد الرحمن بن المتوكل المقرى حدثنا يحيى بن واضع حدثنا الزبير بن جنادة عن عبد الله بن بريدة عن ابيه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (لما كان ليلة اسري بي انتهيت الى بيت المقدس فخرق جبريل الصخرة باصبعه وشد بها البراق) (1). = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((المشكاة)) (5921/ التحقيق الثاني)، ((الصحيحة)) (3487). (1) في هامش الاصل ـ بخط الشيخ ـ: ((حسنه الترمذي، وصححه الحاكم والذهبي)). الحديث: 47 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 174

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৪৮

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ وَصْفِ الْإِسْرَاءِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ

নৈশ ভ্রমণের (ইসরার) রাতে বায়তুল মাকদিস হতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উর্ধ্ব ভ্রমণের বর্ণনা:


৪৮. মালিক ইবনু সা’সা’ (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে রাতে তাঁকে ভ্রমণ করানো হয়েছে সে রাতের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, এক সময় আমি কা’বা ঘরের হাতিমের অংশে ছিলাম। কখনো কখনো রাবী (কাতাদাহ) বলেছেন, হিজরে শুয়েছিলাম। হঠাৎ একজন আগন্তুক আমার নিকট এলেন এবং আমার এস্থান হতে সে স্থানের মাঝের অংশটি চিরে ফেললেন। রাবী কাতাদাহ বলেন, আনাস (রাঃ) কখনো কাদ্দা (চিরলেন) শব্দ আবার কখনো শাক্কা (বিদীর্ণ) শব্দ বলেছেন। রাবী বলেন, আমি আমার পার্শ্বে বসা জারূদ (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, এ দ্বারা কী বুঝিয়েছেন? তিনি বললেন, কন্ঠাস্থির নিম্নদেশ হতে নাভি পর্যন্ত। কাতাদাহ (রহ.) বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে এ-ও বলতে শুনেছি বুকের উপরিভাগ হতে নাভির নীচ পর্যন্ত। তারপর আগন্তুক আমার হৃদপিন্ড বের করলেন। তারপর আমার নিকট একটি সোনার পাত্র আনা হল যা ঈমান ও হিকমাহ (প্রজ্ঞা) দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। তারপর আমার হৃদপিন্ডটি ধৌত করা হল এবং(ঈমান দ্বারা পরিপূর্ণ করে) যথাস্থানে আবার রেখে দেয়া হল। তারপর সাদা রং এর একটি জন্তু আমার নিকট আনা হল। যা আকারে খচ্চর হতে ছোট ও গাধা হতে বড় ছিল। জারুদ তাকে বলেন, হে আবূ হামযা, এটাই কি বুরাক? আনাস (রাঃ) বললেন, হাঁ। সে একেক কদম রাখে দৃষ্টির শেষ সীমায়। আমাকে তার উপর সাওয়ার করানো হল। তারপর আমাকে নিয়ে জিবরাঈল (আঃ) চললেন। দুনিয়ার (প্রথম) আসমানে নিয়ে এসে দরজা খুলে দিতে বললেন। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হল, কে? তিনি বললেন, জিবরাঈল। আবার জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আবার জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠান হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ। তখন বলা হল, মারহাবা, উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। তারপর আসমানের দরজা খুলে দেয়া হল।

আমি যখন পৌঁছলাম, তখন সেখানে আদম (আঃ)-এর সাক্ষাৎ পেলাম। জিবরাঈল (আঃ) বললেন, ইনি আপনার আদি পিতা আদম (আঃ), আপনি তাঁকে সালাম দিন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন, নেককার পুত্র ও নেককার নবীর প্রতি স্বাগতম। তারপর তিনি উপরের দিকে চলে দ্বিতীয় আসমানে পৌঁছে দরজা খুলে দিতে বললেন, জিজ্ঞেস করা হল কে? তিনি বললেন, জিবরাঈল। জিজ্ঞেস করা হল আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি উত্তর দিলেন, হাঁ। তারপর বলা হল- স্বাগতম! উত্তম আগমনকারীর আগমন ঘটেছে। তারপর খুলে দেয়া হল। যখন সেখানে পৌঁছলাম তখন সেখানে ইয়াহ্ইয়া ও ’ঈসা (আঃ)-এর সাক্ষাৎ পেলাম। তাঁরা দু’জন ছিলেন পরস্পরের খালাত ভাই। তিনি (জিবরাঈল) বললেন, এরা হলেন, ইয়াহ্ইয়া ও ঈসা (আঃ)। তাদের প্রতি সালাম দিন। তখন আমি সালাম দিলাম। তাঁরা জবাব দিলেন, তারপর বললেন, নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি স্বাগতম।

এরপর তিনি আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানের দিকে চললেন, সেখানে পৌঁছে জিবরাঈল বললেন, খুলে দাও। তাঁকে বলা হল কে? তিনি উত্তর দিলেন, জিবরাঈল। জিজ্ঞেস করা হল আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ। বলা হল, তাঁর জন্য স্বাগতম। উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। তারপর দরজা খুলে দেয়া হল। আমি তথায় পৌঁছে ইউসুফ (আঃ)-কে দেখতে পেলাম। জিবরাঈল বললেন, ইনি ইউসুফ (আঃ) আপনি তাঁকে সালাম দিন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম, তিনিও জবাব দিলেন এবং বললেন, নেক্কার ভাই, নেক্কার নবীর প্রতি খোশ-আমদেদ। তারপর জিবরাঈল (আঃ) আমাকে নিয়ে উপর দিকে চললেন এবং চতুর্থ আসমানে পৌঁছলেন। আর দরজা খুলে দিতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হল, আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জিজ্ঞেস করা হল, তাঁকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ। তখন বলা হল, তাঁর প্রতি স্বাগতম। উত্তম আগমনকারীর আগমন ঘটেছে। তখন খুলে দেয়া হল।

আমি ইদ্রীস (আঃ)-এর কাছে পৌঁছলে জিবরাঈল বললেন, ইনি ইদ্রীস (আঃ)। তাঁকে সালাম করুন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনিও জবাব দিলেন। তারপর বললেন, নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি স্বাগতম। এরপর তিনি আমাকে নিয়ে উপর দিকে গিয়ে পঞ্চম আসমানে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হল আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি উত্তর দিলেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জিজ্ঞেস করা হল। তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ। বলা হল, তাঁর প্রতি স্বাগতম। উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। তথায় পৌঁছে হারূন (আঃ)-কে পেলাম। জিবরাঈল বললেন, ইনি হারূন (আঃ) তাঁকে সালাম করুন। আমি তাকে সালাম করলাম; তিনিও জবাব দিলেন, এবং বললেন, নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি স্বাগতম। তারপর আমাকে নিয়ে যাত্রা করে ষষ্ঠ আকাশে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হল, আপনি কে? তিনি বললেন, জিবরাঈল। জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। প্রশ্ন করা হল, তাকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হাঁ। তখন বলা হলো, তাঁর প্রতি স্বাগতম। উত্তম আগন্তুক এসেছেন।

তথায় পৌঁছে আমি মূসা (আঃ)-কে পেলাম। জিবরাঈল (আঃ) বললেন, ইনি মূসা (আঃ)। তাঁকে সালাম দিন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি জবাব দিলেন এবং বললেন, নেক্কার ভাই ও নেক্কার নবীর প্রতি মারহাবা। আমি যখন অগ্রসর হলাম তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, আপনি কিসের জন্য কাঁদছেন? তিনি বললেন, আমি এজন্য কাঁদছি যে, আমার পর একজন যুবককে নবী বানিয়ে পাঠানো হয়েছে, যাঁর উম্মত আমার উম্মত হতে অধিক সংখ্যায় জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারপর জিবরাঈল (আঃ) আমাকে নিয়ে সপ্তম আকাশের দিকে গেলেন এবং দরজা খুলে দিতে বললেন, জিজ্ঞেস করা হল, কে? তিনি উত্তর দিলেন, আমি জিবরাঈল। আবার জিজ্ঞেস করা হল, আপনার সাথে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। জিজ্ঞেস করা হল, তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে কি? তিনি বললেন, হাঁ। বলা হল, তাঁর প্রতি স্বাগতম। উত্তম আগমনকারীর আগমন হয়েছে। আমি সেখানে পৌঁছে ইব্রাহীম (আঃ)-কে দেখতে পেলাম। জিবরাঈল (আঃ) বললেন, ইনি আপনার পিতা। তাঁকে সালাম দিন। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি সালামের জবাব দিলেন এবং বললেন, নেক্কার পুত্র ও নেক্কার নবীর প্রতি স্বাগতম। তারপর আমাকে সিদ্রাতুল মুনতাহা পর্যন্ত উঠানো হল। দেখতে পেলাম, তার ফল ’হাজার’ অঞ্চলের মটকার ন্যায় এবং তার পাতাগুলি হাতির কানের মত। আমাকে বলা হল, এ হল সিদরাতুল মুন্তাহা। সেখানে আমি চারটি নহর দেখতে পেলাম, যাদের দু’টি ছিল অপ্রকাশ্য দু’টি ছিল প্রকাশ্য। তখন আমি জিব্রাঈল (আঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, এ নহরগুলি কী? তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য, দু’টি হল জান্নাতের দু’টি নহর। আর প্রকাশ্য দু’টি হল নীল নদী ও ফুরাত নদী।

তারপর আমার সামনে ’আল-বায়তুল মামুর’ প্রকাশ করা হল। বর্ণনাকারী কাতাদা বলেন: আমাদের নিকট আবূ হুরাইরা থেকে হাসান র. হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বায়তুল মা’মুর দেখেন, যেখানে প্রতিদিন সত্তর হাজার ফিরিশতা সালাত আদায় করে, এরপর আর সেখানে ফিরে আসে না। এরপর তিনি আবার আনাসের হাদীস বর্ণানায় ফিরে আসেন। -“এরপর আমার সামনে একটি শরাবের পাত্র, একটি দুধের পাত্র ও একটি মধুর পাত্র রাখা হল। আমি দুধের পাত্রটি গ্রহণ করলাম। তখন জিবরাঈল বললেন, এ-ই হচ্ছে ফিতরাত। আপনি ও আপনার উম্মতগণ এর উপর প্রতিষ্ঠিত। তারপর আমার উপর দৈনিক ৫০ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হল।

এরপর আমি ফিরে আসলাম। মূসা (আঃ)-এর সম্মুখ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহ্ তা’আলা আপনাকে কী আদেশ করেছেন? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকে দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাতের আদেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বললেন, আপনার উম্মত দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে সমর্থ হবে না। আল্লাহর কসম। আমি আপনার আগে লোকদের পরীক্ষা করেছি এবং বনী ইসরাঈলের হিদায়াতের জন্য কঠোর শ্রম দিয়েছি। তাই আপনি আপনার প্রতিপালকের নিকট ফিরে যান এবং আপনার উম্মতের (বোঝা) হালকা করার জন্য আরয করুন। আমি ফিরে গেলাম। ফলে আমার উপর হতে দশ হ্রাস করে দিলেন। আমি আবার মূসা (আঃ)-এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি আবার আগের মত বললেন, আমি আবার ফিরে গেলাম। ফলে আল্লাহ তা’আলা আরো দশ কমিয়ে দিলেন। ফিরার পথে মূসা (আঃ)-এর নিকট পৌঁছলে, তিনি আবার আগের কথা বললেন, আমি আবার ফিরে গেলাম। আল্লাহ তা’আলা আরো দশ হ্রাস করলেন। আমি মূসা (আঃ)-এর নিকট ফিরে এলাম। তিনি আবার ঐ কথাই বললেন। আমি আবার ফিরে গেলাম। তখন আমাকে প্রতিদিন দশ সালাতের আদেশ দেয়া হয়। আমি মূসা (আঃ) এর নিকট ফিরে এলাম। মূসা (আঃ) ঐ কথাই আগের মত বললেন। আমি আবার ফিরে গেলাম, তখন আমাকে পাঁচ সালাতের আদেশ করা হয়। তারপর মূসা (আঃ) নিকট ফিরে এলাম। তিনি বললেন, আপনাকে কী আদেশ দেয়া হয়েছে। আমি বললাম, আমাকে দৈনিক পাঁচবার সালাত আদায়ের আদেশ দেয়া হয়েছে? মূসা (আঃ) বললেন, আপনার উম্মত দৈনিক পাঁচ সালাত আদায় করতেও সমর্থ হবে না। আপনার পূর্বে আমি লোকদের পরীক্ষা করেছি। বনী ইসরাঈলের হিদায়াতের জন্য কঠোর শ্রম দিয়েছি। আপনি আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং আপনার উম্মতের জন্য আরো সহজ করার আরযি করুন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি আমার রবের নিকট (বারবার) আরজি করেছি, এতে আমি লজ্জাবোধ করছি। আর আমি এতেই সন্তুষ্ট হয়েছি এবং তা মেনে নিয়েছি। এরপর তিনি বললেন, আমি যখন অগ্রসর হলাম, তখন এক ঘোষণাকারী ঘোষণা দিলেন, আমি আমার অবশ্য প্রতিপাল্য নির্দেশ (ফরয) জারি করে দিলাম এবং আমার বান্দাদের উপর হালকা করে দিলাম।[1]

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ الشَّيْبَانِيُّ حَدَّثَنَا هُدْبَةُ بْنُ خَالِدٍ الْقَيْسِيُّ حَدَّثَنَا [ص: 175] هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ: أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدَّثَهُمْ عَنْ لَيْلَةِ أُسْرِيَ بِهِ قَالَ:
(بَيْنَمَا أَنَا فِي الْحَطِيمِ - وَرُبَّمَا قَالَ: فِي الْحِجْرِ - إِذْ أَتَانِي آتٍ فشقَّ مَا بَيْنَ هَذِهِ إِلَى هَذِهِ - فَقُلْتُ لِلْجَارُودِ وَهُوَ إِلَى جَنْبِي: مَا يَعْنِي بِهِ؟ قَالَ: من ثُغْرَة نحره إلى شعرته - فاستخرخ قَلْبِي ثُمَّ أُتيتُ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مَمْلُوءًا إِيمَانًا وَحِكْمَةً فَغُسِلَ قَلْبِي ثُمَّ حُشي ثُمَّ أُتِيتُ بِدَابَّةٍ دُونَ الْبَغْلِ وَفَوْقَ الْحِمَارِ أَبْيَضَ - فَقَالَ لَهُ الْجَارُودُ: هُوَ الْبُرَاقُ يَا أَبَا حَمْزَةَ؟ قَالَ أَنَسٌ: نَعَمْ يَقَعُ خَطْوُهُ عِنْدَ أَقْصَى طَرْفِهِ - فحُملت عَلَيْهِ فَانْطَلَقَ بِي جِبْرِيلُ حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الدُّنْيَا فَاسْتَفْتَحَ فَقِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِيلَ: وَقَدْ أُرسل إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا فِيهَا آدَمُ، فَقَالَ: هَذَا أَبُوكَ آدَمُ، فَسَلَّمَ عَلَيْهِ، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَرَدَّ السَّلَامَ ثُمَّ قَالَ: مَرْحَبًا بِالِابْنِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ ثُمَّ صَعِدَ بِي حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الثَّانِيَةَ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ قِيلَ: وَقَدْ أُرسل إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خلصتُ إِذَا يَحْيَى وَعِيسَى وَهُمَا ابْنَا خَالَةٍ قَالَ: هَذَا يَحْيَى وَعِيسَى فَسَلَّمَ عَلَيْهِمَا فَسَلَّمْتُ فَرَدَّا ثُمَّ قَالَا: مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ ثُمَّ صَعِدَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى الله عليه وسلم قيل: أُرسل إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا يُوسُفُ قَالَ: هَذَا يُوسُفُ فَسَلَّمَ [ص: 176] عَلَيْهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ ثُمَّ قَالَ: مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ ثُمَّ صَعِدَ بِي حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الرَّابِعَةَ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى الله عليه وسلم قيل: أَوَقَدْ أُرسل إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا إِدْرِيسُ قَالَ: هَذَا إِدْرِيسُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ ثُمَّ قَالَ: مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ ثُمَّ صَعِدَ بِي حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الْخَامِسَةَ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِيلَ: وَقَدْ أُرْسِلَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا هَارُونُ قَالَ: هَذَا هَارُونُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ السَّلَامَ ثُمَّ قَالَ: مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ ثُمَّ صَعِدَ بِي حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ السَّادِسَةَ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عليه وسلم قيل: أَوَقَدْ أُرسل إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا مُوسَى قَالَ: هَذَا مُوسَى فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ السَّلَامَ ثُمَّ قَالَ: مَرْحَبًا بِالْأَخِ الصالح والنبي فلما تجاوزت بكى قيل له: با يُبْكِيكَ؟ قَالَ: أَبْكِي لِأَنَّ غُلَامًا بُعِثَ بَعْدِي يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِهِ أَكْثَرُ مِمَّنْ يَدْخُلُهَا مِنْ أُمَّتِي ثُمَّ صَعِدَ بِي حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ السَّابِعَةَ فَاسْتَفْتَحَ قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِيلَ: وَقَدْ أُرسل إِلَيْهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قِيلَ: مَرْحَبًا بِهِ فَنِعْمَ الْمَجِيءُ جَاءَ ففُتح فَلَمَّا خَلَصْتُ إِذَا إِبْرَاهِيمُ قَالَ: هَذَا أَبُوكَ إِبْرَاهِيمُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ السَّلَامَ ثُمَّ قَالَ: [ص: 177] مَرْحَبًا بِالِابْنِ الصَّالِحِ وَالنَّبِيِّ الصَّالِحِ ثُمَّ رُفِعْتُ إِلَى سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى فَإِذَا نَبْقُهَا مِثْلُ قِلَالِ هَجَرَ وَإِذَا وَرَقُهَا مِثْلُ آذَانِ الْفِيَلَةِ قَالَ: هَذِهِ سِدْرَةُ الْمُنْتَهَى وَإِذَا أَرْبَعَةُ أَنْهَارٍ: نَهْرَانِ بَاطِنَانِ وَنَهْرَانِ ظَاهِرَانِ فقلت: ما هذا جِبْرِيلُ؟ قَالَ: أَمَّا الْبَاطِنَانِ فَنَهَرَانِ فِي الْجَنَّةِ وَأَمَّا الظَّاهِرَانِ فَالنِّيلُ وَالْفُرَاتُ ثُمَّ رُفِعَ لِيَ الْبَيْتُ الْمَعْمُورُ)
قَالَ قَتَادَةُ: وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ رَأَى الْبَيْتَ الْمَعْمُورَ وَيَدْخُلُهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ ثُمَّ لَا يَعُودُونَ فِيهِ.
ثُمَّ رَجَعَ إِلَى حَدِيثِ أَنَسٍ:
(ثُمَّ أُتيت بِإِنَاءٍ مِنْ خَمْرٍ وَإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ وَإِنَاءٍ مِنْ عَسَلٍ فَأَخَذْتُ اللَّبَنَ فَقَالَ: هَذِهِ الْفِطْرَةُ أَنْتَ عَلَيْهَا وَأُمَّتُكَ ثُمَّ فُرِضَتْ عَلَيَّ الصَّلَاةُ خَمْسِينَ صَلَاةً فِي كُلِّ يَوْمٍ فَرَجَعْتُ فَمَرَرْتُ عَلَى مُوسَى فَقَالَ: بِمَ أُمِرْتَ؟ قَالَ: أُمِرْتُ بِخَمْسِينَ صَلَاةً كُلَّ يَوْمٍ قَالَ: إِنَّ أُمَّتَكَ لَا تَسْتَطِيعُ خَمْسِينَ صَلَاةً كُلَّ يَوْمٍ وَإِنِّي قَدْ جَرَّبْتُ النَّاسَ قَبْلَكَ وَعَالَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَشَدَّ الْمُعَالَجَةِ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَسَلْهُ التَّخْفِيفَ لِأُمَّتِكَ فَرَجَعْتُ فَوَضَعَ عَنِّي عَشْرًا فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ مِثْلَهُ فَرَجَعْتُ فَوَضَعَ عَنِّي عشراً فرجعت إلى موسى فقال مثله فَوَضَعَ عَنِّي عَشْرًا فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ مِثْلَهُ فَرَجَعْتُ فأُمِرْتُ بِعَشْرِ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ مِثْلَهُ فَرَجَعْتُ فأُمرت بِخَمْسِ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى فَقَالَ: بِمَ أُمِرْتَ؟ قَالَ: أُمِرْتُ بِخَمْسِ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ قَالَ: إِنَّ أُمَّتَكَ لَا تَسْتَطِيعُ خَمْسَ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ وَإِنِّي قَدْ جَرَّبْتُ النَّاسَ قَبْلَكَ [ص: 178] وَعَالَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَشَدَّ الْمُعَالَجَةِ فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فسلهُ التَّخْفِيفَ لِأُمَّتِكَ قَالَ: قُلْتُ: سَأَلْتُ رَبِّي حَتَّى اسْتَحْيَيْتُ لَكِنِّي أَرْضَى وَأُسَلِّمُ فَلَمَّا جَاوَزْتُ نَادَانِي مُنَادٍ: أَمْضَيْتُ فَرِيضَتِي وخَفَّفْتُ عن عبادي)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((تخريج فقه السيرة)) (62): ق.

الحديث: 48 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 174

ذِكْرُ خَبَرٍ أَوْهَمَ عَالَمًا مِنَ النَّاسِ أَنَّهُ مُضَادُّ لِخَبَرِ مَالِكِ بْنِ صَعْصَعَةَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ

اخبرنا الحسن بن سفيان الشيباني حدثنا هدبة بن خالد القيسي حدثنا [ص: 175] همام بن يحيى حدثنا قتادة عن انس بن مالك عن مالك بن صعصعة: ان نبي الله صلى الله عليه وسلم حدثهم عن ليلة اسري به قال: (بينما انا في الحطيم - وربما قال: في الحجر - اذ اتاني ات فشق ما بين هذه الى هذه - فقلت للجارود وهو الى جنبي: ما يعني به؟ قال: من ثغرة نحره الى شعرته - فاستخرخ قلبي ثم اتيت بطست من ذهب مملوءا ايمانا وحكمة فغسل قلبي ثم حشي ثم اتيت بدابة دون البغل وفوق الحمار ابيض - فقال له الجارود: هو البراق يا ابا حمزة؟ قال انس: نعم يقع خطوه عند اقصى طرفه - فحملت عليه فانطلق بي جبريل حتى اتى السماء الدنيا فاستفتح فقيل: من هذا؟ قال: جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد صلى الله عليه وسلم قيل: وقد ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا فيها ادم، فقال: هذا ابوك ادم، فسلم عليه، فسلمت عليه، فرد السلام ثم قال: مرحبا بالابن الصالح والنبي الصالح ثم صعد بي حتى اتى السماء الثانية فاستفتح قيل: من هذا؟ قال: جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد قيل: وقد ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا يحيى وعيسى وهما ابنا خالة قال: هذا يحيى وعيسى فسلم عليهما فسلمت فردا ثم قالا: مرحبا بالاخ الصالح والنبي الصالح ثم صعد بي الى السماء الثالثة فاستفتح قيل: من هذا؟ قال: جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد صلى الله عليه وسلم قيل: ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا يوسف قال: هذا يوسف فسلم [ص: 176] عليه فسلمت عليه فرد ثم قال: مرحبا بالاخ الصالح والنبي الصالح ثم صعد بي حتى اتى السماء الرابعة فاستفتح قيل: من هذا؟ قال: جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد صلى الله عليه وسلم قيل: اوقد ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا ادريس قال: هذا ادريس فسلم عليه فسلمت عليه فرد ثم قال: مرحبا بالاخ الصالح والنبي الصالح ثم صعد بي حتى اتى السماء الخامسة فاستفتح قيل: من هذا؟ قال: جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد صلى الله عليه وسلم قيل: وقد ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا هارون قال: هذا هارون فسلم عليه فسلمت عليه فرد السلام ثم قال: مرحبا بالاخ الصالح والنبي الصالح ثم صعد بي حتى اتى السماء السادسة فاستفتح قيل: من هذا؟ قال جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد صلى الله عليه وسلم قيل: اوقد ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا موسى قال: هذا موسى فسلم عليه فسلمت عليه فرد السلام ثم قال: مرحبا بالاخ الصالح والنبي فلما تجاوزت بكى قيل له: با يبكيك؟ قال: ابكي لان غلاما بعث بعدي يدخل الجنة من امته اكثر ممن يدخلها من امتي ثم صعد بي حتى اتى السماء السابعة فاستفتح قيل: من هذا؟ قال: جبريل قيل: ومن معك؟ قال: محمد صلى الله عليه وسلم قيل: وقد ارسل اليه؟ قال: نعم قيل: مرحبا به فنعم المجيء جاء ففتح فلما خلصت اذا ابراهيم قال: هذا ابوك ابراهيم فسلم عليه فسلمت عليه فرد السلام ثم قال: [ص: 177] مرحبا بالابن الصالح والنبي الصالح ثم رفعت الى سدرة المنتهى فاذا نبقها مثل قلال هجر واذا ورقها مثل اذان الفيلة قال: هذه سدرة المنتهى واذا اربعة انهار: نهران باطنان ونهران ظاهران فقلت: ما هذا جبريل؟ قال: اما الباطنان فنهران في الجنة واما الظاهران فالنيل والفرات ثم رفع لي البيت المعمور) قال قتادة: وحدثنا الحسن عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم انه راى البيت المعمور ويدخله كل يوم سبعون الف ملك ثم لا يعودون فيه. ثم رجع الى حديث انس: (ثم اتيت باناء من خمر واناء من لبن واناء من عسل فاخذت اللبن فقال: هذه الفطرة انت عليها وامتك ثم فرضت علي الصلاة خمسين صلاة في كل يوم فرجعت فمررت على موسى فقال: بم امرت؟ قال: امرت بخمسين صلاة كل يوم قال: ان امتك لا تستطيع خمسين صلاة كل يوم واني قد جربت الناس قبلك وعالجت بني اسراىيل اشد المعالجة فارجع الى ربك فسله التخفيف لامتك فرجعت فوضع عني عشرا فرجعت الى موسى فقال مثله فرجعت فوضع عني عشرا فرجعت الى موسى فقال مثله فوضع عني عشرا فرجعت الى موسى فقال مثله فرجعت فامرت بعشر صلوات كل يوم فرجعت الى موسى فقال مثله فرجعت فامرت بخمس صلوات كل يوم فرجعت الى موسى فقال: بم امرت؟ قال: امرت بخمس صلوات كل يوم قال: ان امتك لا تستطيع خمس صلوات كل يوم واني قد جربت الناس قبلك [ص: 178] وعالجت بني اسراىيل اشد المعالجة فارجع الى ربك فسله التخفيف لامتك قال: قلت: سالت ربي حتى استحييت لكني ارضى واسلم فلما جاوزت ناداني مناد: امضيت فريضتي وخففت عن عبادي) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((تخريج فقه السيرة)) (62): ق. الحديث: 48 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 174 ذكر خبر اوهم عالما من الناس انه مضاد لخبر مالك بن صعصعة الذي ذكرناه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৪৯

পরিচ্ছেদঃ

৪৯. আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে রাত্রে আমার মি’রাজ হয়েছিল সে রাত্রে আমি মূসা (আঃ) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি তার কবরে সালাত[1] আদায় করছিলেন।[2]

[1] সালাত বলতে এখানে শরীয়াহর মুকাল্লিফ হিসেবে সাওয়াবের জন্য সালাত আদায় করছেন- তা উদ্দেশ্য নয়। বরং এখানে নবীদের বারযাখী জিন্দেগী অন্যদের থেকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত, যেমন সাধারণ মৃতের চেয়ে শহীদগণের বিশেষ জীবন রয়েছে বারযাখী জীবনে। এছাড়া, দুনিয়ার সালাতের মতও এ সালাত নয়, বরং তা ফিরিশতাদের তাসবীহ বা জান্নাতী ব্যক্তিদের তাসবীহের মতো। (বিস্তারিত দেখুন, মাজমু’ ফাতোয়া, ইবনু তাইমিয়া ৪/৩৩০; আলবানী, তাওয়াস্সুল, পৃ: ৬০।)

أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(مَرَرْتُ لَيْلَةَ أُسري بِي عَلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((الصحيحة)) (2627): م.

الحديث: 49 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 178

اخبرنا ابو خليفة حدثنا مسدد حدثنا عيسى بن يونس عن سليمان التيمي عن انس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (مررت ليلة اسري بي على موسى عليه السلام يصلي في قبره) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((الصحيحة)) (2627): م. الحديث: 49 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 178

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৫০

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ الْمَوْضِعِ الَّذِي فِيهِ رَأَى الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُوسَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে স্থানে মূসা (আঃ) কে তার কবরে তিনি সালাত আদায় করতে দেখেছিলেন- তার বর্ণনা:


৫০. আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে রাত্রে আমার মি’রাজ হয়েছিল সে রাত্রে আমি মূসা (আঃ) এর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। লাল বালুকা স্তুপের নিকট তার কবরে তিনি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন।[1]

أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا هُدْبَةُ وَشَيْبَانُ قَالَا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(مَرَرْتُ بِمُوسَى لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِي وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي فِي قَبْرِهِ عند الكثيب الأحمر)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: م ـ انظر ما قبله.

[ص: 179]

اخبرنا ابو يعلى حدثنا هدبة وشيبان قالا حدثنا حماد بن سلمة عن ثابت عن انس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (مررت بموسى ليلة اسري بي وهو قاىم يصلي في قبره عند الكثيب الاحمر) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح: م ـ انظر ما قبله. [ص: 179]

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৫১

পরিচ্ছেদঃ

ذِكْرُ وَصْفِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُوسَى وَعِيسَى وَإِبْرَاهِيمَ صَلَوَاتُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ حَيْثُ رَآهُمْ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ

ইসরার রাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মূসা, ঈসা, ইবরাহীম আলাইহিমুস সালাম –কে যেমন দেখেছিলেন, তাঁদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা:

৫১. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ইসরার (মিরাজের) রাতে আমি মূসা (আঃ)-এর দেখা পেয়েছি। তিনি মাথায় লম্বা চুলবিশিষ্ট, যেন শানুআ গোত্রের একজন লোক। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি ’ঈসা (আঃ)-এর দেখা পেয়েছি। তিনি হলেন মাঝারি গড়নের রক্তিম বর্ণবিশিষ্ট, যেন তিনি এই মাত্র হাম্মামখানা থেকে বেরিয়ে এসেছেন।[1] আর আমি ইব্রাহীম (আঃ)-কেও দেখেছি। তাঁর সন্তানদের মধ্যে আমিই আকৃতিতে তার অধিক সদৃশ। অতঃপর আমার সামনে দু’টি পেয়ালা আনা হল। একটিতে দুধ, অপরটিতে শরাব। আমাকে বলা হলো, আপনি যেটি ইচ্ছা গ্রহণ করতে পারেন। আমি দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করলাম (পান করলাম)। তখন আমাকে বলা হলো, আপনাকে ফিতরাত বা স্বভাবধর্মের প্রতি পথ প্রদর্শন করা হয়েছে। জেনে রাখুন, আপনি যদি শরাব গ্রহণ করতেন, তাহলে আপনার উম্মাত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।[2]

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(لَيْلَةَ أُسري بِي لَقِيتُ مُوسَى رَجِلَ الرَّأْسِ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ وَلَقِيتُ عِيسَى فَإِذَا رَجُلٌ أَحْمَرُ كَأَنَّهُ خَرَجَ مِنْ دِيمَاسٍ - يَعْنِي مِنْ حَمَّامٍ - وَرَأَيْتُ إِبْرَاهِيمَ وَأَنَا أَشْبَهُ وَلَدِهِ بِهِ فأُتيت بِإِنَاءَيْنِ: أَحَدُهُمَا خَمْرٌ وَالْآخَرُ لَبَنٌ فَقِيلَ لِي: خُذْ أَيَّهُمَا شِئْتَ فَأَخَذْتُ اللَّبَنَ فَقِيلَ لِي: هُديت الفطرة أما إنك لوأخذت الخمر غوت أمتك)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((تخريج فقه السيرة)): ق.

الحديث: 51 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 182

اخبرنا عبد الله بن محمد الازدي حدثنا اسحاق بن ابراهيم انبانا عبد الرزاق انبانا معمر عن الزهري عن سعيد بن المسيب عن ابي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (ليلة اسري بي لقيت موسى رجل الراس كانه من رجال شنوءة ولقيت عيسى فاذا رجل احمر كانه خرج من ديماس - يعني من حمام - ورايت ابراهيم وانا اشبه ولده به فاتيت باناءين: احدهما خمر والاخر لبن فقيل لي: خذ ايهما شىت فاخذت اللبن فقيل لي: هديت الفطرة اما انك لواخذت الخمر غوت امتك) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((تخريج فقه السيرة)): ق. الحديث: 51 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 182

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৫২

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ قَوْلَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (فَقِيلَ هُدِيتَ الْفِطْرَةَ) أَرَادَ بِهِ: أَنَّ جِبْرِيلَ قَالَ لَهُ ذَلِكَ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “অতঃপর বলা হলো: নিশ্চয়ই আপনাকে ফিতরাত তথা স্বভাবধর্মের প্রতি পথ প্রদর্শন করা হয়েছে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য: জিবরীল আ: তাঁকে একথাটি বলেছিলেন- এ সংক্রান্ত বর্ণনা:

৫২. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইসরার (মি’রাজের) রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মুখে মদ ও দুধের দু’টি পেয়ালা পেশ করা হল। তিনি উভয়টির প্রতি লক্ষ্য করলেন। এরপর দুধের পেয়ালাটি গ্রহণ করেন। তখন জিবরীল (আ.) বললেনঃ যাবতীয় প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি আপনাকে স্বভাবজাত ধর্মের দিকে পথ প্রদর্শন করেছেন। অথচ যদি আপনি শরাব গ্রহণ করতেন তাহলে আপনার উম্মাত পথভ্রষ্ট হয়ে যেত।[1]

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ الْكَلَاعِيُّ بِحِمْصَ حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمَذْحِجِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ عَنِ الزُّبَيْدِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: [ص: 183]
(أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ أُسري بِهِ بِقَدَحَيْنِ مِنْ خَمْرٍ وَلَبَنٍ فَنَظَرَ إِلَيْهِمَا ثُمَّ أَخَذَ اللَّبَنَ فَقَالَ لَهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ: هُديت الفطرة ولو أخذت الخمر غوت أمتك)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح: ق، وهو مختصر الذي قبله.

الحديث: 52 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 182

اخبرنا محمد بن عبيد الله بن الفضل الكلاعي بحمص حدثنا كثير بن عبيد المذحجي حدثنا محمد بن حرب عن الزبيدي عن الزهري عن سعيد بن المسيب انه سمع ابا هريرة يقول: [ص: 183] (اتي رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة اسري به بقدحين من خمر ولبن فنظر اليهما ثم اخذ اللبن فقال له جبريل عليه السلام: هديت الفطرة ولو اخذت الخمر غوت امتك) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح: ق، وهو مختصر الذي قبله. الحديث: 52 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 182

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৫৩

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ وَصْفِ الْخُطَبَاءِ الَّذِينَ يتَّكلون عَلَى الْقَوْلِ دُونَ الْعَمَلِ حَيْثُ رَآهُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসরার (মি’রাজের) রাতে যেসকল আমলহীন কথাসর্বস্ব বক্তাদের দেখেছিলেন, তাদের বিবরণ:

৫৩. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মি’রাজের রাতে আমি বহু লোককে দেখেছি যে, তাদের ঠোঁট আগুনের কাঁচি দ্বারা কাটা হচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে জিবরীল! এরা কারা? জিবরীল (আ.) বললেনঃ এরা আপনার উম্মাতের এমন বক্তাগণ, যারা লোকেদেরকে ভালো কাজের আদেশ করত কিন্তু নিজেদেরকে ভুলে যেত। অর্থাৎ- নিজেরা সৎকাজ করত না। অথচ তারা কিতাব অধ্যয়ন করতো, তবুও কি তারা বুঝতো না?”[1]

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمِنْهَالِ الضَّرِيرُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتُوَائِيُّ حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ ـ خَتَنُ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ ـ عَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ: رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(رَأَيْتُ لَيْلَةَ أُسري بِي رِجَالًا تُقرض شِفَاهُهُمْ بِمَقَارِضَ مِنْ نَارٍ فَقُلْتُ: مَنْ هَؤُلَاءِ يَا جِبْرِيلُ؟ فَقَالَ: الْخُطَبَاءُ مِنْ أُمَّتِكَ يَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَيَنْسَوْنَ أَنْفُسَهُمْ وَهُمْ يتلون الكتاب أفلا يعقلون)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
حسن صحيح - ((الصحيحة)) (291)، ((تخريج فقه السيرة)) (138).

قَالَ الشَّيْخُ: رَوَى هَذَا الْخَبَرَ أَبُو عَتَّابٍ الدَّلَّالُ عَنْ هِشَامٍ عَنِ الْمُغِيرَةِ عَنْ مَالِكِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ ثُمَامَةَ عَنْ أَنَسٍ.
وَوَهِمَ فِيهِ لِأَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ أَتْقَنُ مِنْ مئتين مِنْ مِثْلِ أَبِي عَتَّابٍ وَذَوِيهِ

الحديث: 53 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 183

اخبرنا الحسن بن سفيان حدثنا محمد بن المنهال الضرير حدثنا يزيد بن زريع حدثنا هشام الدستواىي حدثنا المغيرة ـ ختن مالك بن دينار ـ عن مالك بن دينار عن انس بن مالك قال: قال: رسول الله صلى الله عليه وسلم: (رايت ليلة اسري بي رجالا تقرض شفاههم بمقارض من نار فقلت: من هولاء يا جبريل؟ فقال: الخطباء من امتك يامرون الناس بالبر وينسون انفسهم وهم يتلون الكتاب افلا يعقلون) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] حسن صحيح - ((الصحيحة)) (291)، ((تخريج فقه السيرة)) (138). قال الشيخ: روى هذا الخبر ابو عتاب الدلال عن هشام عن المغيرة عن مالك بن دينار عن ثمامة عن انس. ووهم فيه لان يزيد بن زريع اتقن من مىتين من مثل ابي عتاب وذويه الحديث: 53 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 183

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৫৪

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ وَصْفِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَصْرَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فِي الْجَنَّةِ حَيْثُ رَآهُ لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইসরার (মি’রাজের) রাতে উমার ইবনুল খাত্তাব রাযিয়াল্লাহু আনহুর জান্নাতের যে প্রাসাদ দেখেছিলেন, তার বিবরণ:

৫৪. আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মি’রাজের রাতে আমি জান্নাতে প্রবেশ করে তাতে একটি সোনানির্মিত প্রাসাদ প্রত্যক্ষ করলাম। আমি প্রশ্ন করলাম, এ প্রাসাদটি কার জন্য? ফেরেশতারা বললেন, কুরাইশের এক যুবকের জন্য। আমি ধারণা করলাম, আমিই সেই যুবক। আমি প্রশ্ন করলামঃ কে সেই যুবক? ফেরেশতারা বললেন, "উমার ইবনুল খাত্তাব। হে আবূ হাফস! আমি তোমার আত্মসম্মানবোধের কথা জানা না থাকলে আমি তাতে প্রবেশ করতাম। ’উমার (রাঃ) (শুনে) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ!  আমি অন্য যে কারো প্রতি আত্মসম্মানবোধ অনুভব করি, কিন্তু আমি আপনার প্রতি কখনো আত্মসম্মানবোধ দেখাতে পারি না।[1]

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُو نَصْرٍ التَّمَّارُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:
(دَخَلْتُ الْجَنَّةَ فَإِذَا أَنَا بِقَصْرٍ مِنْ ذَهَبٍ فَقُلْتُ: لِمَنْ هَذَا الْقَصْرُ؟ فَقَالُوا: لِفَتًى مِنْ قُرَيْشٍ فَظَنَنْتُ أَنَّهُ لِي قُلْتُ: مَنْ هُوَ؟ قِيلَ: عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَا أَبَا حَفْصٍ لَوْلَا مَا أَعْلَمُ مِنْ غَيْرَتِكَ لَدَخَلْتُهُ) فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ كُنْتُ أَغَارُ عَلَيْهِ فَإِنِّي لَمْ أَكُنْ أَغَارُ عَلَيْكَ!
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((الصحيحة)) (1423).

الحديث: 54 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 184

اخبرنا احمد بن علي بن المثنى حدثنا ابو نصر التمار حدثنا حماد بن سلمة عن ابي عمران الجوني عن انس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (دخلت الجنة فاذا انا بقصر من ذهب فقلت: لمن هذا القصر؟ فقالوا: لفتى من قريش فظننت انه لي قلت: من هو؟ قيل: عمر بن الخطاب يا ابا حفص لولا ما اعلم من غيرتك لدخلته) فقال: يا رسول الله من كنت اغار عليه فاني لم اكن اغار عليك! = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((الصحيحة)) (1423). الحديث: 54 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 184

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৫৫

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ اللَّهَ جَلَّ وَعَلَا أَرَى بَيْتَ الْمَقْدِسِ صَفِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيَنْظُرَ إِلَيْهَا وَيَصِفَهَا لِقُرَيْشٍ لَمَّا كَذَّبَتْهُ بِالْإِسْرَاءِ

যখন  মক্কার কুরাইশরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসরা (মি’রাজ) কে অবিশ্বাস করেছিল, তখন আল্লাহ জাল্লা ওয়া আলা তাঁর বন্ধু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্মুখে বাইতুল মাকদিস কে দেখিয়েছিলেন (তুলে ধরেছিলেন) এবং তিনি তা দেখে দেখে কুরাইশদের সামনে এর বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছিলেন- এ সংক্রান্ত বর্ণনা:

৫৫. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যখন কুরায়শরা (মিরাজের ঘটনায়) আমাকে মিথ্যা সাব্যস্ত করতে লাগল, তখন আমি হিজরে দাঁড়ালাম। আল্লাহ্ তা’আলা বায়তুল মাকদিসকে আমার সামনে উদ্ভাসিত করে দিলেন। আমি তা দেখে দেখে তার সকল নিশানা তাদের বলে দিতে লাগলাম।[1]

أَخْبَرَنَا ابْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَنْبَأَنَا يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ: سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: سَمِعْتُ رسول الله صلى الله عليه وسلم يَقُولُ:
(لَمَّا كَذَّبَتْنِي قُرَيْشٌ قُمْتُ فِي الْحِجْرِ فجلَّى اللَّهُ لِي بَيْتَ الْمَقْدِسِ فَطَفِقْتُ أُخبرهم عن آياته وأنا أنظر)
= [2: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((تخريج فقه السيرة)) (138): ق.

الحديث: 55 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 184

اخبرنا ابن قتيبة حدثنا حرملة بن يحيى حدثنا ابن وهب انبانا يونس عن ابن شهاب حدثني ابو سلمة بن عبد الرحمن قال: سمعت جابر بن عبد الله يقول: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: (لما كذبتني قريش قمت في الحجر فجلى الله لي بيت المقدس فطفقت اخبرهم عن اياته وانا انظر) = [2: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((تخريج فقه السيرة)) (138): ق. الحديث: 55 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 184

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৫৬

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ الْإِسْرَاءَ كَانَ ذَلِكَ بِرُؤْيَةِ عَيْنٍ لَا رُؤْيَةِ نَوْمٍ

ইসরার ঘটনাটি যে ঘুমের মধ্যে (স্বপ্নে) দর্শন নয়, বরং জাগ্রত অবস্থায় স্বচোক্ষে দর্শন- এ সম্পর্কে বর্ণনা :

৫৬. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহ তা’আলার বাণী ’’আর আমি যে দৃশ্য আপনাকে দেখিয়েছি তা কেবল মানুষের পরীক্ষার জন্য’’ (ইসরা/বনী ইসরাঈলঃ ২০) এর তাফসীরে বলেন, এটি হল প্রত্যক্ষভাবে চোখের দেখা যা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সে রাতে দেখানো হয়েছিল, যে রাতে তাঁকে (বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত) ভ্রমণ করানো হয়েছিল।[1]

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْذِرِ بْنِ سَعِيدٍ أَنْبَأَنَا عَلِيُّ بْنُ حَرْبٍ الطَّائِيُّ أَنْبَأَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى:
({وَمَا جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْنَاكَ إِلَّا فِتْنَةً لِلنَّاسِ} [الإسراء: 60] قَالَ:
هِيَ رُؤْيَا عَيْنٍ أُرِيَها رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى الله عليه وسلم ليلة أسري به)
= [64: 3]
[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((ظلال الجنة)) (1/ 201/462): خ.

الحديث: 56 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 185

اخبرنا محمد بن المنذر بن سعيد انبانا علي بن حرب الطاىي انبانا سفيان عن عمرو بن دينار عن عكرمة عن ابن عباس في قوله تعالى: ({وما جعلنا الرويا التي اريناك الا فتنة للناس} [الاسراء: 60] قال: هي رويا عين اريها رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة اسري به) = [64: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((ظلال الجنة)) (1/ 201/462): خ. الحديث: 56 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 185

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৫৭

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَنْ رُؤْيَةِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ جَلَّ وَعَلَا

নাবী মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহামহিম ও গরিয়ান রব্ব কে দেখেছেন- এ মর্মে বর্ণনা:

৫৭. ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রব্বকে প্রত্যক্ষ করেছেন।[1]


قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: مَعْنَى قَوْلِ ابْنِ عَبَّاسٍ: (قَدْ رَأَى مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَبَّهُ) أَرَادَ بِهِ بِقَلْبِهِ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي لَمْ يَصْعَدْهُ أَحَدٌ مِنَ الْبَشَرِ ارْتِفَاعًا فِي الشرف.
আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর এ কথা : নিশ্চয়ই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রব্বকে প্রত্যক্ষ করেছেন’- এর দ্বারা বুঝিয়েছেন তিনি এমন স্থানে অন্তর দিয়ে তাঁকে প্রত্যক্ষ করেছেন, যে সুউচ্চ মর্যাদার আসনে অপর কোন মানুষ কখনো উন্নীত হয়নি।

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرٍو الْمُعَدَّلُ بِوَاسِطَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ:
(قَدْ رَأَى محمد صلى الله عليه وسلم ربه)
= [14: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
حسن صحيح - ((الظلال)) (434 ـ 437 و 439).
الحديث: 57 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 185

اخبرنا احمد بن عمرو المعدل بواسط حدثنا احمد بن سنان القطان حدثنا يزيد بن هارون انبانا محمد بن عمرو عن ابي سلمة عن ابن عباس قال: (قد راى محمد صلى الله عليه وسلم ربه) = [14: 3] [تعليق الشيخ الالباني] حسن صحيح - ((الظلال)) (434 ـ 437 و 439). الحديث: 57 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 185

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৫৮

পরিচ্ছেদঃ

 ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى صِحَّةِ مَا ذَكَرْنَاهُ

আমরা যেসকল বর্ণনা উল্লেখ করেছি তা বিশুদ্ধ হওয়ার দলীলসমুহ:

৫৮. আবদুল্লাহ ইবনু শাকীক আল উকাইলী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূ যার (রাযিঃ)-কে বললাম, যদি আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দেখা পেতাম তাহলে সকল বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করতাম। তিনি বললেন, তুমি তাঁকে কি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতে? আমি বললাম, আমি তাঁকে প্রশ্ন করতাম যে, আপনি কি আপনার রবকে দেখেছেন কি? আবূ যার (রাযিঃ) বললেন, আমি তাঁকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছি। তিনি বলেছেন যে, আমি একটি নূর দেখেছি।”[1]

 আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) বলেন: এর অর্থ তিনি তাঁর রবকে দেখেননি, বরং তিনি একটি নূর দেখেছেন, যা সৃষ্টিকুলের নূর থেকে উর্ধ্বে।

أَخْبَرَنَا أَبُو يَعْلَى حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ الْعُقَيْلِيِّ قَالَ:
قُلْتُ لِأَبِي ذَرٍّ: لَوْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَسَأَلْتُهُ عَنْ كُلِّ شَيْءٍ فَقَالَ: عَنْ أَيِّ شَيْءٍ كُنْتَ تَسْأَلُهُ؟ قَالَ: كُنْتُ أَسْأَلُهُ هَلْ رَأَيْتَ رَبَّكَ؟ فَقَالَ: [ص: 186] سَأَلْتُهُ فَقَالَ:
(رَأَيْتُ نُورًا)
= [14: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((الظلال)) (192/ 441): م.

قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: مَعْنَاهُ أَنَّهُ لَمْ يَرَ رَبَّهُ وَلَكِنْ رَأَى نُورًا عُلْوِيًّا مِنَ الْأَنْوَارِ المخلوقة.
الحديث: 58 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 185

اخبرنا ابو يعلى حدثنا عبيد الله بن عمر القواريري حدثنا معاذ بن هشام عن ابيه عن قتادة عن عبد الله بن شقيق العقيلي قال: قلت لابي ذر: لو رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم لسالته عن كل شيء فقال: عن اي شيء كنت تساله؟ قال: كنت اساله هل رايت ربك؟ فقال: [ص: 186] سالته فقال: (رايت نورا) = [14: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((الظلال)) (192/ 441): م. قال ابو حاتم: معناه انه لم ير ربه ولكن راى نورا علويا من الانوار المخلوقة. الحديث: 58 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 185

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৫৯

পরিচ্ছেদঃ

ذِكْرُ خَبَرٍ أَوْهَمَ مَنْ لَمْ يُحْكِمْ صِنَاعَةَ الْعِلْمِ أَنَّهُ مُضَادُّ لِلْخَبَرِ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ

এমন বর্ণনা, যা ইলমী পারদর্শীতা নেই, এমন লোকদেরকে ভ্রমে নিপতিত করতে পারে, নিশ্চয়ই সেটি বিভ্রান্তিকর, আমাদের নিম্নে বর্ণিত হাদীসের কারণে:


৫৯. আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, “তিনি যা প্রত্যক্ষ করেছেন, তার মন তা অস্বীকার করেনি"- (সূরা নাজমঃ ১১); এ আয়াতটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিবরীল (আঃ)-কে ইয়াকুত (পাথরের কারুকার্যখচিত) কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখেছেন। তিনি আকাশ ও ভুমির মধ্যে অবস্থিত জায়গা পূর্ণ করে রেখেছিলেন।[1]


قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: قَدْ أَمَرَ اللَّهُ تَعَالَى جِبْرِيلَ لَيْلَةَ الْإِسْرَاءِ أَنْ يعلِّم مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا يَجِبُ أَنْ يَعْلَمَهُ كَمَا قَالَ: {عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوى * ذُو مِرَّةٍ فَاسْتَوَى * وَهُوَ بِالْأُفُقِ الْأَعْلَى} [النجم: 5 ـ 7] يُرِيدُ بِهِ جِبْرِيلَ {ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى} [النجم: 8] يُرِيدُ بِهِ جِبْرِيلَ {فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى} [النجم: 9] يُرِيدُ بِهِ جِبْرِيلَ {فَأَوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى} [النجم: 10]: بِجِبْرِيلَ {مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى} [النجم: 11] يُرِيدُ بِهِ رَبَّهُ بِقَلْبِهِ فِي ذَلِكَ الْمَوْضِعِ الشَّرِيفِ وَرَأَى جِبْرِيلَ فِي حُلَّةٍ مِنْ يَاقُوتٍ قَدْ مَلَأَ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ عَلَى [ص: 187] مَا فِي خَبَرِ ابْنِ مَسْعُودٍ الذي ذكرناه

الحديث: 59 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 186

আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) বলেন: ইসরার রাতে আল্লাহ তা’আলা জিবরীল আ: কে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি যেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঐ সকল বিষয় শিক্ষা দেন, যা শিক্ষা দেওয়া জরুরী। যেমন আল্লাহ বলেছেন: “তাকে শিক্ষা দিয়েছে প্রবল শক্তিধর, প্রজ্ঞা সম্পন্ন; সে নিজ আকৃতিতে স্থির হয়েছিল, আর সে ছিল ঊর্ধ্ব দিগন্তে,” (নাজম:৫-৭) এ দ্বারা জিবরীল (আঃ) কে বোঝানো হয়েছে। “তারপর তিনি তার কাছাকাছি হলেন, অতঃপর খুব কাছাকাছি, ফলে তাদের মধ্যে দু ধনুকের ব্যবধান রইল অথবা তারও কম। তখন আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি যা ওহী করার তা ওহী করলেন।” (নাজম: ৮-১০) এর দ্বারাও জিবরীল উদ্দেশ্য। এরপর, “অন্তঃকরণ মিথ্যে মনে করেনি যা সে দেখে ছিল”- এ পবিত্র স্থানে তিনি তাঁর রব্বকে অন্তর দিয়ে (দেখেছিলেন)। আর তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিবরীল (আঃ)-কে ইয়াকুত (পাথরের কারুকার্যখচিত) কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখেছেন। তিনি আকাশ ও ভুমির মধ্যে অবস্থিত জায়গা পূর্ণ করে রেখেছিলেন-যা রয়েছে ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর বর্ণনায়- যা আমরা বর্ণনা করলাম।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صَالِحِ بْنِ ذَرِيحٍ بِعُكْبَرَا حَدَّثَنَا مَسْرُوقُ بْنُ الْمَرْزُبَانِ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى} [النجم: 11] قَالَ:
رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم وَسَلَّمَ جِبْرِيلَ فِي حُلَّةٍ مِنْ يَاقُوتٍ قَدْ ملأ ما بين السماء والأرض
= [14: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((الظلال)) (1/ 191): م

اخبرنا محمد بن صالح بن ذريح بعكبرا حدثنا مسروق بن المرزبان حدثنا ابن ابي زاىدة حدثنا اسراىيل عن ابي اسحاق عن عبد الرحمن بن يزيد عن ابن مسعود في قوله تعالى: {ما كذب الفواد ما راى} [النجم: 11] قال: راى رسول الله صلى الله عليه وسلم وسلم جبريل في حلة من ياقوت قد ملا ما بين السماء والارض = [14: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((الظلال)) (1/ 191): م

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
৬০

পরিচ্ছেদঃ

ذِكْرُ تِعْدَادِ عَائِشَةَ قَوْلَ ابْنِ عَبَّاسٍ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ مِنْ أَعْظَمِ الْفِرْيَةِ

আমাদের বর্ণিত ইবনু আব্বাসের বক্তব্যকে আয়িশা (রাঃ) কর্তৃক বড় অপবাদ গণ্য করার বর্ণনা:

৬০. মাসরূক ইবনু আজদা’ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি বলেছে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রবকে দেখেছেন বা ওহীর কোন একটি বিষয়ও তিনি গোপন করেছেন অথবা আগামীকালে (ভবিষ্যতে ঘটিতব্য) বিষয়ে তিনি জানেন, তাহলে সে আল্লাহর উপর সাংঘাতিক মিথ্যা আরোপ করেছে। তখন তাকে বলা হলো, ইয়া উম্মুল মুমিনীন! তাহলে তিনি কাকে দেখেছিলেন? তিনি বললেন, বরং তিনি  তো জিবরীল (আঃ), যাকে তিনি তার আসল চেহারায় দু’বার দেখেছেনঃ একবার দিগন্ত জুড়ে এবং আরেকবার (তার ছয় শত ডানাসহ) আকাশের দিগন্ত ঢেকে।[1]

আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) বলেন: যারা হাদীসের ব্যাপারে সুগভীর পন্ডিত নয়, তারা কখনো কখনো ভুল বুঝে যে, এ হাদীস দু’টি হয়তো পরস্পর বিরোধী, বস্তুত তা নয়। আল্লাহ জাল্লা ওয়া আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অন্যান্য নবীগণের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। যেমন, তাঁর রবের পক্ষ হতে জিবরীল (আঃ) ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই ধনুকের চেয়েও কম ব্যবধানে পরস্পর নিকটবর্তী হয়েছেন। তখন জিবরীল (আঃ) তাঁকে শিক্ষা দিয়েছেন। এভাবে তিনি তাঁকে তাঁর মনশ্চক্ষু দিয়ে দেখেছেন, যেভাবে তিনি চেয়েছেন।

আর আয়িশা (রাঃ) এর হাদীস ও তার ব্যাখ্যা এই যে, কেই তার নাগাল পায় না’- অর্থাৎ না ঘুমের মধ্যে (স্বপ্নে), আর না জাগ্রত অবস্থায়।

আর আল্লাহর বাণী: “দৃষ্টি তাঁকে উপলব্ধি করতে পারে না”- এর অর্থ: তাঁকে কিয়ামতের দিবসে দেখা যাবে, যখন তাঁকে দেখা যাবে, তখন  দৃষ্টি তাঁকে উপলব্ধি করতে পারবে না। কেননা, ইদরাক’ শব্দটির অর্থ ’উপলব্ধি করা’। আর দর্শন বলতে নজর’ বা দৃষ্টি কে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ কে দেখা যাবে , কিন্তু তার প্রকৃত অবস্থা /প্রকৃতি উপলব্ধি করা যাবে না। কারণ, ইদরাক’ তথা উপলব্ধি মাখলুকের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে, আর আর বান্দা তাঁর রবের দিকে নজর করবে।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ دَاوُدَ بْنَ أَبِي هِنْدٍ حَدَّثَهُ عَنْ عَامِرٍ الشَّعْبِيِّ عَنْ مَسْرُوقِ بْنِ الْأَجْدَعِ أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ تَقُولُ:
أَعْظَمُ الْفِرْيَةِ عَلَى اللَّهِ مَنْ قَالَ: إِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَبَّهُ وَإِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتَمَ شَيْئًا مِنَ الْوَحْيِ وَإِنَّ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْلَمُ مَا فِي غَدٍ قِيلَ: يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ وَمَا رَآهُ؟ قَالَتْ: لَا إِنَّمَا ذَلِكَ جِبْرِيلُ رَآهُ مَرَّتَيْنِ فِي صُورَتِهِ: مَرَّةً ملأ الأفق ومرة ساداً أفق السماء
= [14: 3]

[تعليق الشيخ الألباني]
صحيح - ((الظلال)) ـ أيضاً ـ: ق.

قَالَ أَبُو حَاتِمٍ قَدْ يَتَوَهَّمُ مَنْ لَمْ يُحْكِمْ صِنَاعَةَ الْحَدِيثِ أَنَّ هَذَيْنِ الْخَبَرَيْنِ مُتَضَادَّانِ وَلَيْسَا كَذَلِكَ إِذِ اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا فضَّل رَسُولَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى غَيْرِهِ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ حَتَّى كَانَ جِبْرِيلُ مِنْ رَبِّهِ أَدْنَى مِنْ قَابِ قَوْسَيْنِ وَمُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعَلِّمُه جِبْرِيلُ حِينَئِذٍ فَرَآهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَلْبِهِ (1) كَمَا شَاءَ.

وَخَبَرُ عَائِشَةَ وَتَأْوِيلُهَا أَنَّهُ لَا يُدْرِكُهُ تُرِيدُ بِهِ فِي النَّوْمِ وَلَا فِي الْيَقَظَةِ.
وَقَوْلُهُ {لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ} [الأنعام: 103] فَإِنَّمَا مَعْنَاهُ: لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ يُرى [ص: 188] فِي الْقِيَامَةِ وَلَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ إِذَا رَأَتْهُ لِأَنَّ الْإِدْرَاكَ هُوَ الْإِحَاطَةُ وَالرُّؤْيَةُ هِيَ النَّظَرُ وَاللَّهُ يُرى وَلَا يُدرك كُنْهُهُ لِأَنَّ الْإِدْرَاكَ يَقَعُ عَلَى الْمَخْلُوقِينَ وَالنَّظَرُ يَكُونُ مِنَ الْعَبْدِ رَبَّهُ.
وَخَبَرُ عَائِشَةَ أَنَّهُ لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ فَإِنَّمَا مَعْنَاهُ: لَا تُدْرِكُهُ الْأَبْصَارُ فِي الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ إِلَّا مَنْ يَتَفَضَّلُ عَلَيْهِ مِنْ عِبَادِهِ بِأَنْ يُجعل أَهْلًا لِذَلِكَ وَاسْمُ الدُّنْيَا قَدْ يَقَعُ عَلَى الْأَرَضِينَ وَالسَّمَاوَاتِ وَمَا بَيْنَهُمَا لِأَنَّ هَذِهِ الْأَشْيَاءَ بِدَايَاتٌ خَلَقَهَا اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا لتُكتسب فِيهَا الطَّاعَاتُ لِلْآخِرَةِ الَّتِي بَعْدَ هَذِهِ الْبِدَايَةِ فَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى رَبَّهُ فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي لَا يُطلق عَلَيْهِ اسْمُ الدُّنْيَا لِأَنَّهُ كَانَ مِنْهُ أَدْنَى مِنْ قَابِ قَوْسَيْنِ حَتَّى يَكُونَ خَبَرُ عَائِشَةَ أَنَّهُ لَمْ يَرَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الدُّنْيَا مِنْ غَيْرِ أَنْ يَكُونَ بَيْنَ الْخَبَرَيْنِ تَضَادٌّ أو تهاتر. [ص: 189]

(1) قلت: ثبت - بهذا القيد - عند مسلمٍ (1/ 109ـ 110) من طريقين عن ابن عباس، قال: رآه بقلبه.

الحديث: 60 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 187

اخبرنا محمد بن عبد الله بن محمد بن مخلد حدثنا ابو الربيع حدثنا ابن وهب اخبرني عمرو بن الحارث عن عبد ربه بن سعيد ان داود بن ابي هند حدثه عن عامر الشعبي عن مسروق بن الاجدع انه سمع عاىشة تقول: اعظم الفرية على الله من قال: ان محمدا صلى الله عليه وسلم راى ربه وان محمدا صلى الله عليه وسلم كتم شيىا من الوحي وان محمدا صلى الله عليه وسلم يعلم ما في غد قيل: يا ام المومنين وما راه؟ قالت: لا انما ذلك جبريل راه مرتين في صورته: مرة ملا الافق ومرة سادا افق السماء = [14: 3] [تعليق الشيخ الالباني] صحيح - ((الظلال)) ـ ايضا ـ: ق. قال ابو حاتم قد يتوهم من لم يحكم صناعة الحديث ان هذين الخبرين متضادان وليسا كذلك اذ الله جل وعلا فضل رسوله صلى الله عليه وسلم على غيره من الانبياء حتى كان جبريل من ربه ادنى من قاب قوسين ومحمد صلى الله عليه وسلم يعلمه جبريل حينىذ فراه صلى الله عليه وسلم بقلبه (1) كما شاء. وخبر عاىشة وتاويلها انه لا يدركه تريد به في النوم ولا في اليقظة. وقوله {لا تدركه الابصار} [الانعام: 103] فانما معناه: لا تدركه الابصار يرى [ص: 188] في القيامة ولا تدركه الابصار اذا راته لان الادراك هو الاحاطة والروية هي النظر والله يرى ولا يدرك كنهه لان الادراك يقع على المخلوقين والنظر يكون من العبد ربه. وخبر عاىشة انه لا تدركه الابصار فانما معناه: لا تدركه الابصار في الدنيا وفي الاخرة الا من يتفضل عليه من عباده بان يجعل اهلا لذلك واسم الدنيا قد يقع على الارضين والسماوات وما بينهما لان هذه الاشياء بدايات خلقها الله جل وعلا لتكتسب فيها الطاعات للاخرة التي بعد هذه البداية فالنبي صلى الله عليه وسلم راى ربه في الموضع الذي لا يطلق عليه اسم الدنيا لانه كان منه ادنى من قاب قوسين حتى يكون خبر عاىشة انه لم يره صلى الله عليه وسلم في الدنيا من غير ان يكون بين الخبرين تضاد او تهاتر. [ص: 189] (1) قلت: ثبت - بهذا القيد - عند مسلم (1/ 109ـ 110) من طريقين عن ابن عباس، قال: راه بقلبه. الحديث: 60 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 187

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মাসরূক (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩. কিতাবুল ইসরা [ও মে’রাজ] (الإسراء)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে