পরিচ্ছেদঃ ১. উত্তম আমলের বর্ণনা
৪৯৮৪. আবু আবদুর রহমান আহমদ ইবন শুআয়ব (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করা হলোঃ কোন আমল উত্তম? তিনি বললেনঃ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা।
ذِكْرُ أَفْضَلِ الْأَعْمَالِ
حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَحْمَدُ بْنُ شُعَيْبٍ مِنْ لَفْظِهِ قَالَ أَنْبَأَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ قَالَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ الْإِيمَانُ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ
It was narrated from Abu Hurairah that:
The Messenger of Allah [SAW] was asked: "Which deed is best?" "He said: Faith in Allah [SWT] and His messenger [SAW]."
পরিচ্ছেদঃ ১. উত্তম আমলের বর্ণনা
৪৯৮৫. হারূন ইবন আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন হাবাশী খাসআমী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করা হলোঃ কোন আমল উত্তম? তিনি বললেনঃ এমন ঈমান, যাতে কোন সন্দেহ নেই এবং এমন জিহাদ, যাতে কোন খিয়ানত নেই, আর মককূল হজ্জ।
ذِكْرُ أَفْضَلِ الْأَعْمَالِ
أَخْبَرَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ عَنْ عَلِيٍّ الْأَزْدِيِّ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُبْشِيٍّ الْخَثْعَمِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ فَقَالَ إِيمَانٌ لَا شَكَّ فِيهِ وَجِهَادٌ لَا غُلُولَ فِيهِ وَحَجَّةٌ مَبْرُورَةٌ
It was narrated from Abdullah bin Hubshi Al-Khath'ami that:
The Prophet [SAW] was asked: "Which deed is best?" He said: "Faith in which there is no doubt, Jihad in which there is no Ghulul, and Hajjatun Mabrur."
পরিচ্ছেদঃ ২. ঈমানের স্বাদ
৪৯৮৬. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকে সে ঈমানের স্বাদ ও মিষ্টতা পেয়ে যায়; (১) যার নিকট আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল অন্য সব কিছু অপেক্ষা বেশি প্রিয়; (২) যে আল্লাহর জন্য ভালবাসা রাখে এবং আল্লাহর জন্য শত্রুতা পোষণ করে; (৩) আর যদি ভয়াবহ আগুন প্রজ্জ্বলিত করা হয়, তবে তাতে প্রবেশ করা তার নিকট আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা অপেক্ষা বেশি পসন্দনীয় হয়।
طَعْمُ الْإِيمَانِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَنْبَأَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ بِهِنَّ حَلَاوَةَ الْإِيمَانِ وَطَعْمَهُ أَنْ يَكُونَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَأَنْ يُحِبَّ فِي اللَّهِ وَأَنْ يَبْغُضَ فِي اللَّهِ وَأَنْ تُوقَدَ نَارٌ عَظِيمَةٌ فَيَقَعَ فِيهَا أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يُشْرِكَ بِاللَّهِ شَيْئًا
It was narrated that Anas bin Malik said:
"The messenger of Allah [SAW] said: 'There are three things, whoever attains them will find therein the sweetness of faith: When Allah [SWT], the Mighty and Sublime, and His Messenger [SAW] are dearer to him than all else; when he loves for the sake of Allah [SWT] and hates for the sake of Allah [SWT]; and when a huge fire be lit and he fall into it, than associate anything with Allah [SWT].'"
পরিচ্ছেদঃ ৩. ঈমানের মিষ্টতা
৪৯৮৭. সুওয়ায়দ ইন নসর (রহঃ) ... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকবে; সে ঈমানের মিষ্টতা পাবে; ১. যে কাউকে ভালবাসলে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তাকে ভালবাসবে; ২. আল্লাহ্ এবং আল্লাহর রাসূল তার কাছে অন্য সবকিছুর চাইতে বেশি প্রিয় হবে এবং ৩. আল্লাহ্ তাকে কুফর হতে পরিত্রাণ করার পর পুনঃ কুফরীতে ফিরে যাওয়ার চেয়ে অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হওয়া তার নিকট পছন্দনীয় হবে।
حَلَاوَةُ الْإِيمَانِ
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يُحَدِّثُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلَاوَةَ الْإِيمَانِ مَنْ أَحَبَّ الْمَرْءَ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَمَنْ كَانَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَمَنْ كَانَ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الْكُفْرِ بَعْدَ أَنْ أَنْقَذَهُ اللَّهُ مِنْهُ
It was narrated that Qatadah said:
"I heard Anas bin Malik narrating that the Prophet [SAW] said: 'There are three things, whoever attains them will find therein a sweetness of faith: When he loves a person, and only loves him for the sake of Allah [SWT]; when Allah [SWT] and His Messenger [SAW] are dearer to him than all else; and when he would prefer to be thrown into the fire rather to go back to the disbelief from which Allah [SWT] has saved him.'
পরিচ্ছেদঃ ৪. ইসলামের স্বাদ
৪৯৮৮. আলী ইবন হুজুর (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকবে, সে ইসলামের মিষ্টতা উপলব্ধি করবে; ১. আল্লাহ্ এবং আল্লাহর রাসূল তার নিকট অন্য সমস্ত কিছু হতে প্রিয় হবে; ২. সে কাউকে ভালবাসলে তাকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই ভালবাসবে; ৩. আর সে কুফরীতে ফিরে যাওয়াকে ঐরূপই ঘৃণা করবে, যেরূপ সে অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হওয়াকে ঘৃণা করে।
حَلَاوَةُ الْإِسْلَامِ
أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ بِهِنَّ حَلَاوَةَ الْإِسْلَامِ مَنْ كَانَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَمَنْ أَحَبَّ الْمَرْءَ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ وَمَنْ يَكْرَهُ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الْكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُلْقَى فِي النَّارِ
It was narrated from Anas that :
The Prophet [SAW] said: "There are three things, whoever attains them will find therein the sweetness of Islam: When Allah [SWT] and His Messenger [SAW] are dearer to him than all else; when he loves a person and only loves him for the sake of Allah [SWT]; and when he would hate to go back to disbelief as much as he would hate to be thrown into the fire."
পরিচ্ছেদঃ ৫. ইসলামের পরিচয়
৪৯৮৯. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি আগমন করলেন, যার কাপড় অত্যধিক সাদা ছিল এবং চুল অধিক কাল ছিল। বুঝা যাচ্ছিল না যে, তিনি সফর হতে এসেছেন; আর আমাদের মধ্যে কেউ তাকে চিনতে পারছিল না। তিনি নিজ হাঁটুদ্বয় তাঁর হাঁটুদ্বয়ের সাথে লাগিয়ে বসলেন, তাঁর হস্তদ্বয় তাঁর উভয় উরুর উপর রাখলেন এবং বললেনঃ হে মুহাম্মদ! আমাকে বলুন, ইসলাম কি? তিনি বললেনঃ এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, আর মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল এবং সালাত আদায় করা, যাকাত দেওয়া, রমযানের রোযা রাখা ও পথ খরচের সামর্থ্য থাকলে হজ্জ করা। সে লোকটি বললোঃ আপনি সত্যই বলেছেন। আমরা আশ্চর্যান্বিত হলাম যে, তিনি প্রশ্ন করলেন এবং বললেনঃ আপনি সত্য বলেছেন।
এরপর তিনি বললেন, ঈমান কী, আমাকে বলুন? তিনি বললেনঃ বিশ্বাস স্থাপন করা আল্লাহর উপর, ফিরিশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ, কিয়ামত দিবস এবং নিয়তির ভাল-মন্দের উপর বিশ্বাস। তিনি বললেনঃ আপনি সত্য বলেছেন।
তারপর বললেনঃ ইহসান কি? তিনি বললেনঃ এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, যেন তুমি আল্লাহকে দেখছাে, যদি তুমি তাকে না দেখতে পাও, তবে তিনি তোমরা তোমাকে দেখছেন।
তারপর বললেনঃ কিয়ামত কখন হবে? তিনি বললেনঃ যার নিকট প্রশ্ন করা হচ্ছে তিনি প্রশ্নকারী হতে অধিক জ্ঞাত নন। সে ব্যক্তি বললোঃ কিয়ামতের নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করুন। তিনি বললেনঃ দাসী তার মুনিবকে প্রসব করবে, নগ্ন পদ, বিবস্ত্র, গরীব, বকরীর রাখালরা বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে।
উমর (রাঃ) বলেন, আমি তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম, পরে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে উমর! তুমি কি অবগত আছ, এই প্রশ্নকারী ব্যক্তি কে? আমি বললামঃ আল্লাহ্ এবং আল্লাহর রাসূলই সমধিক অবগত। তিনি বললেনঃ তিনি ছিলেন জিবরীল (আঃ), তিনি তোমাদেরকে তোমাদের দীন শিক্ষা দিতে এসেছিলেন।
بَاب نَعْتِ الْإِسْلَامِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ قَالَ أَنْبَأَنَا كَهْمَسُ بْنُ الْحَسَنِ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ يَعْمَرَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ إِذْ طَلَعَ عَلَيْنَا رَجُلٌ شَدِيدُ بَيَاضِ الثِّيَابِ شَدِيدُ سَوَادِ الشَّعَرِ لَا يُرَى عَلَيْهِ أَثَرُ السَّفَرِ وَلَا يَعْرِفُهُ مِنَّا أَحَدٌ حَتَّى جَلَسَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْنَدَ رُكْبَتَيْهِ إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَوَضَعَ كَفَّيْهِ عَلَى فَخِذَيْهِ ثُمَّ قَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي عَنْ الْإِسْلَامِ قَالَ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ إِنْ اسْتَطَعْتَ إِلَيْهِ سَبِيلًا قَالَ صَدَقْتَ فَعَجِبْنَا إِلَيْهِ يَسْأَلُهُ وَيُصَدِّقُهُ ثُمَّ قَالَ أَخْبِرْنِي عَنْ الْإِيمَانِ قَالَ أَنْ تُؤْمِنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَالْقَدَرِ كُلِّهِ خَيْرِهِ وَشَرِّهِ قَالَ صَدَقْتَ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ الْإِحْسَانِ قَالَ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ السَّاعَةِ قَالَ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ بِهَا مِنْ السَّائِلِ قَالَ فَأَخْبِرْنِي عَنْ أَمَارَاتِهَا قَالَ أَنْ تَلِدَ الْأَمَةُ رَبَّتَهَا وَأَنْ تَرَى الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ الْعَالَةَ رِعَاءَ الشَّاءِ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ قَالَ عُمَرُ فَلَبِثْتُ ثَلَاثًا ثُمَّ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا عُمَرُ هَلْ تَدْرِي مَنْ السَّائِلُ قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّهُ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَام أَتَاكُمْ لِيُعَلِّمَكُمْ أَمْرَ دِينِكُمْ
'Abdullah bin 'Umar said:
"Umar bin Al-Khattab told me: 'While we were with the Messenger of Allah [SAW] one day, a man appeared before us whose clothes were exceedingly white and whose hair was exceedingly black. We could see no signs of travel on him, but none of us knew him. He came and sat before the Messenger of Allah [SAW], putting his knees against his, and placing his hands on his thighs, then he said: "O Muhammad, tell me about Islam." He said: "It is to bear witness that there is none worthy of worship except Allah [SWT] and that Muhammad [SAW] is the Messenger of Allah, to establish the Salah, to give Zakah, to fast Ramadan, and to perform Hajj to the House if you are able to bear the journey." He said: "You have spoken the truth." And we were amazed by his asking him, and then saying, "You have spoken the truth".
Then he said: "Tell me about Faith." He said: "It is to believe in Allah [SWT] , His Angels, His Books, His Messengers, the Last Day, and in the Divine Decree, its good and its bad." He said: "You have spoken the truth." He said: "Tell me about Al-Ihsan." He said: "It is to worship Allah [SWT] as if you can see Him, for although you cannot see Him, He can see you." He said: "Tell me about the Hour." He said: "The one who is asked about it does not know more about it than the one who is asking." He said: "Then tell me about its signs." He said: "When a slave woman gives birth to her mistress, when you see the barefoot, naked, destitute shepherds competing in making tall buildings.'" 'Umar said: 'Three (days) passed, then the Messenger of Allah [SAW] said to me: "O 'Umar, do you know who the questioner was?" I said: "Allah and His Messenger know best." He said: "That was Jibril, peace be upon him, who came to you to teach you your religion."
পরিচ্ছেদঃ ৬. ঈমান ও ইসলামের বিবরণ
৪৯৯০. মুহাম্মদ ইবন কুদামা (রহঃ) ... আবু হুরায়রা এবং আবু যর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে বসতেন; নবাগত লোক এসে তাকে চিনতে পারত না যতক্ষণ না জিজ্ঞাসা করতো। আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তাঁর জন্য একটি বসার স্থান নির্মাণের জন্য অনুমতি চাইলাম। যাতে নবাগত লোক তাঁকে সহজে চিনতে পারে। আমরা তাঁর জন্য মাটির একটি উঁচু স্থান তৈরি করলাম। তিনি তার উপর উপবেশন করতেন।
একদা আমরা বসা ছিলাম, আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্থানে উপবিষ্ট ছিলেন। এমন সময় এক নবাগত ব্যক্তির আগমন হলো, যার মুখমণ্ডল সকলের চেয়ে সুন্দর ছিল এবং যার শরীরের সুগন্ধি ছিল সকলের চেয়ে উত্তম। তাঁর বস্ত্রে একটু ময়লাও ছিল না। সে ব্যক্তি বিছানার কিনারা হতে সালাম করে বললেনঃ হে মুহাম্মদ! আপনাকে সালাম। তিনি তাঁর সালামের উত্তর দিলে তিনি বললেনঃ আমি কি নিকটে আসবাে? তিনি বললেনঃ আস। এভাবে কয়েকবার বললেন, তিনিও কয়েকবার উত্তরে বললেন, হ্যাঁ, নিকটে আস। এমনকি তিনি নিকটে এসে নিজ হাত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাঁটুর উপর রাখলেন এবং বললেনঃ হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্বন্ধে বলুন।
তিনি বললেনঃ ইসলাম হলো তুমি আল্লাহ্ তা’আলার ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না, সালাত কায়েম করবে এবং যাকাত আদায় করবে, কা’বা শরীফের হজ্জ করবে এবং রমযানের রোযা রাখবে। তিনি বললেনঃ আমি যদি এটা করি, তবে কি আমি মুসলিম হয়ে যাব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সে ব্যক্তি বললেন, আপনি সত্যই বলেছেন। ঐ ব্যক্তির ’আপনি সত্য বলেছেন’ বাক্য শুনে আমাদের বিস্ময় জাগল।
এরপর বললেনঃ হে মুহাম্মদ! আমাকে বলুন, ঈমান কি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের, নবীগণের এবং কিতাবের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং কদরে বিশ্বাস করা। তিনি বললেনঃ আমি যদি এরূপ করি, তবে কি আমি মুমিন হয়ে যাব? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। তখন সে বলল, আপনি সত্যই বলেছেন।
এরপর তিনি বললেনঃ হে মুহাম্মদ! আমাকে বলুন, ইহসান কি? তিনি বললেনঃ তুমি এমনভাবে ইবাদত করবে, যেন তুমি আল্লাহ্ তা’আলাকে দেখছাে। কেননা যদিও তুমি তাঁকে দেখছাে না, তিনি তোমরা তোমাকে দেখছেন। তিনি বললেনঃ আপনি সত্যই বলেছেন।
তিনি আবার বললেনঃ হে মুহাম্মদ! কিয়ামত কবে হবে? তিনি কিছু বললেন না, বরং মাথা নিচু করলেন। লোকটি আবারও সেই প্রশ্ন করলেন কিন্তু তিনি তাকে কোন উত্তর দিলেন না। আবারও প্রশ্ন করলেন কিন্তু এবারও তিনি তাকে কোন উত্তর দিলেন না, অতঃপর তিনি মাথা উঠিয়ে বললেনঃ তুমি যার নিকট জিজ্ঞাসা করছে, তিনি প্রশ্নকারী হতে অধিক জ্ঞাত নন। কিন্তু এর অনেক আলামত রয়েছে। তুমি তা জানতে পার। যখন তুমি দেখবে পশুপালের রাখালরা সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মাণ করবে, আর তুমি দেখবে, নগ্ন পদ ও নগ্ন দেহ লোকেরা ভূখণ্ডের বাদশাহ হবে, আরো তুমি দেখবে যে, দাসী তার মালিককে প্রসব করবে, তখন মনে করবে যে, কিয়ামত নিকটবর্তী।
পাঁচটি বস্তু আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ অবগত নয়। এরপর তিনি إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ হতে اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ পর্যন্ত পাঠ করলেন। এরপর তিনি বললেনঃ ঐ সত্তার কসম! যিনি মুহাম্মদকে সত্য সহকারে পথ প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতারূপে প্রেরণ করেছেন, আমি তাকে তোমাদের চাইতে অধিক জানি না। তিনি ছিলেন জিবরীল (আঃ) যিনি দিহইয়া কালবীর রূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
صِفَةُ الْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ عَنْ جَرِيرٍ عَنْ أَبِي فَرْوَةَ عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي ذَرٍّ قَالَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَجْلِسُ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ أَصْحَابِهِ فَيَجِيءُ الْغَرِيبُ فَلَا يَدْرِي أَيُّهُمْ هُوَ حَتَّى يَسْأَلَ فَطَلَبْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَجْعَلَ لَهُ مَجْلِسًا يَعْرِفُهُ الْغَرِيبُ إِذَا أَتَاهُ فَبَنَيْنَا لَهُ دُكَّانًا مِنْ طِينٍ كَانَ يَجْلِسُ عَلَيْهِ وَإِنَّا لَجُلُوسٌ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَجْلِسِهِ إِذْ أَقْبَلَ رَجُلٌ أَحْسَنُ النَّاسِ وَجْهًا وَأَطْيَبُ النَّاسِ رِيحًا كَأَنَّ ثِيَابَهُ لَمْ يَمَسَّهَا دَنَسٌ حَتَّى سَلَّمَ فِي طَرَفِ الْبِسَاطِ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا مُحَمَّدُ فَرَدَّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ أَدْنُو يَا مُحَمَّدُ قَالَ ادْنُهْ فَمَا زَالَ يَقُولُ أَدْنُو مِرَارًا وَيَقُولُ لَهُ ادْنُ حَتَّى وَضَعَ يَدَهُ عَلَى رُكْبَتَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي مَا الْإِسْلَامُ قَالَ الْإِسْلَامُ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ وَلَا تُشْرِكَ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمَ الصَّلَاةَ وَتُؤْتِيَ الزَّكَاةَ وَتَحُجَّ الْبَيْتَ وَتَصُومَ رَمَضَانَ قَالَ إِذَا فَعَلْتُ ذَلِكَ فَقَدْ أَسْلَمْتُ قَالَ نَعَمْ قَالَ صَدَقْتَ فَلَمَّا سَمِعْنَا قَوْلَ الرَّجُلِ صَدَقْتَ أَنْكَرْنَاهُ قَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي مَا الْإِيمَانُ قَالَ الْإِيمَانُ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَالْكِتَابِ وَالنَّبِيِّينَ وَتُؤْمِنُ بِالْقَدَرِ قَالَ فَإِذَا فَعَلْتُ ذَلِكَ فَقَدْ آمَنْتُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ قَالَ صَدَقْتَ قَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي مَا الْإِحْسَانُ قَالَ أَنْ تَعْبُدَ اللَّهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تَرَاهُ فَإِنَّهُ يَرَاكَ قَالَ صَدَقْتَ قَالَ يَا مُحَمَّدُ أَخْبِرْنِي مَتَى السَّاعَةُ قَالَ فَنَكَسَ فَلَمْ يُجِبْهُ شَيْئًا ثُمَّ أَعَادَ فَلَمْ يُجِبْهُ شَيْئًا ثُمَّ أَعَادَ فَلَمْ يُجِبْهُ شَيْئًا وَرَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ مَا الْمَسْئُولُ عَنْهَا بِأَعْلَمَ مِنْ السَّائِلِ وَلَكِنْ لَهَا عَلَامَاتٌ تُعْرَفُ بِهَا إِذَا رَأَيْتَ الرِّعَاءَ الْبُهُمَ يَتَطَاوَلُونَ فِي الْبُنْيَانِ وَرَأَيْتَ الْحُفَاةَ الْعُرَاةَ مُلُوكَ الْأَرْضِ وَرَأَيْتَ الْمَرْأَةَ تَلِدُ رَبَّهَا خَمْسٌ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا اللَّهُ إِنَّ اللَّهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ إِلَى قَوْلِهِ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ ثُمَّ قَالَ لَا وَالَّذِي بَعَثَ مُحَمَّدًا بِالْحَقِّ هُدًى وَبَشِيرًا مَا كُنْتُ بِأَعْلَمَ بِهِ مِنْ رَجُلٍ مِنْكُمْ وَإِنَّهُ لَجِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَام نَزَلَ فِي صُورَةِ دِحْيَةَ الْكَلْبِيِّ
It was narrated that Abu Hurairah and Abu Dharr said:
"The Messenger of Allah [SAW] would sit among his Companions and if a stranger came, he would not know which of them was he (the Prophet [SAW]) until he asked. So we suggested to the Messenger of Allah [SAW] that we should make a dais for him so that any stranger would know him if he came to him. So we built for him a bench made of clay on which he used to sit. (One day) we were sitting and the Messenger of Allah [SAW] was sitting in his spot, when a man came along who was the most handsome and good-smelling of all people, and it was as if no dirt had ever touched his garments. He came near the edge of the rug and greeted him, saying: 'Peace be upon you, O Muhammad!' He returned the greeting, and he said: 'Shall I come closer, O Muhammad?' He came a little closer, and he kept telling him to come closer, until he put his hands on the knees of the Messenger of Allah [SAW].
He said: 'O Muhammad, tell me, what is Islam?' He said: 'Islam means to worship Allah and not associate anything with Him; to establish Salah, to pay Zakah, to perform Hajj to the House, and to fast Ramadan.' He said: 'If I do that, will I have submitted (be a Muslim)?' He said: 'Yes.' He said: 'You have spoken the truth,' we found it odd. He said: 'O Muhammad, tell me, what is faith?' He said: 'To believe in Allah [SWT], His Angels, the Book, the Prophets, and to believe in the Divine Decree.' He said: 'If I do that, will I have believed?' The Messenger of Allah [SAW] said: 'Yes.' He said: 'You have spoken the truth.' He said: 'O Muhammad, tell me, what is Al-Ihsan?' He said: 'To worship Allah [SWT] as if you can see Him, for although you cannot see Him, He can see you.' He said: 'You have spoken the truth.' He said: 'O Muhammad, tell me about the Hour.' He lowered his head and did not answer.
Then he repeated the question, and he did not answer. Then he repeated the question (a third time) and he did not answer. Then he raised his head and said: 'The one who is being asked does not know more than the one who is asking. But it has signs, by which it may be known. When you see the herdsmen competing in building tall buildings, when you see the barefoot and naked ruling the Earth, when you see a woman giving birth to her mistress. Five things which no one knows except Allah [SWT]. Verily, Allah, with Him (alone) is the knowledge of the Hour up to His saying: 'Verily, Allah is All-Knower, All-Aware (of things).' Then he said: 'No, by the One who sent Muhammad with the truth, with guidance and glad tidings, I did not know him more than any man among you. That was Jibril, peace be upon you, who came down in the form of Dihyah Al-Kalbi.'
পরিচ্ছেদঃ ৭. আল্লাহর বাণী (قَالَتْ الْأَعْرَابُ آمَنَّا قُلْ لَمْ تُؤْمِنُوا وَلَكِنْ قُولُوا أَسْلَمْنَا) এর বাখা।
৪৯৯১. মুহাম্মদ ইবন মুহাম্মদ ইবন আবদুল আ’লা (রহঃ) ... সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতিপয় লোককে কিছু দান করলেন; আর তাদের মধ্যে এক লোককে কিছুই দিলেন না। সাদ (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি অমুক, অমুককে দান করলেন কিন্তু অমুককে দান করলেন না, অথচ সে মু’মিন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অথবা সে মুসলিম। সা’দ (রাঃ) কথাটি তিনবার পুনরাবৃত্তি করলেন। আর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনবারই বললেন, অথবা সে মুসলিম। পরে তিনি বললেনঃ আমি কোন কোন লোককে দান করি, আর কাউকে দান করি না, অথচ সে আমার নিকট তাদের চেয়ে অধিক প্রিয়, এই ভয়ে যে, তাদেরকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
تَأْوِيلُ قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَتْ الْأَعْرَابُ آمَنَّا قُلْ لَمْ تُؤْمِنُوا وَلَكِنْ قُولُوا أَسْلَمْنَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ وَهُوَ ابْنُ ثَوْرٍ قَالَ مَعْمَرٌ وَأَخْبَرَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ أَعْطَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رِجَالًا وَلَمْ يُعْطِ رَجُلًا مِنْهُمْ شَيْئًا قَالَ سَعْدٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْطَيْتَ فُلَانًا وَفُلَانًا وَلَمْ تُعْطِ فُلَانًا شَيْئًا وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ مُسْلِمٌ حَتَّى أَعَادَهَا سَعْدٌ ثَلَاثًا وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ أَوْ مُسْلِمٌ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي لَأُعْطِي رِجَالًا وَأَدَعُ مَنْ هُوَ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْهُمْ لَا أُعْطِيهِ شَيْئًا مَخَافَةَ أَنْ يُكَبُّوا فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ
It was narrated from 'Amir bin Sa'd bin Abi Waqqas that his father said:
"The Prophet [SAW] gave a share (of some spoils of war) to some men and not to others. Sa'd said: 'O Messenger of Allah [SAW], you gave to so-and-so and so-and-so, but you did not give anything to so-and-so, and he is a believer.' The Prophet [SAW] said: 'Or a Muslim,' until Sa'd had repeated it three times, and the Prophet [SAW] said: 'I give to some men, and leave those who are dearer to me, without giving them anything, lest (the former) be thrown into Hell on their faces.'"
পরিচ্ছেদঃ ৭. আল্লাহর বাণী (قَالَتْ الْأَعْرَابُ آمَنَّا قُلْ لَمْ تُؤْمِنُوا وَلَكِنْ قُولُوا أَسْلَمْنَا) এর বাখা।
৪৯৯২. আমর ইবন মানসূর (রহঃ) ... সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু মাল বণ্টন করলেন। তিনি কতিপয় লোককে দিলেন, আর অপর কতককে দিলেন না। আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি অমুক অমুককে দান করলেন, অমুককে দান করলেন না, অথচ সেও মু’মিন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : মু’মিন বলো না, বরং বলো মুসলিম। এরপর রাবী ইবন শিহাব (রহঃ) এই আয়াত (قَالَتْ الْأَعْرَابُ آمَنَّا) অর্থঃ “বেদুঈনগণ বলে, আমরা ঈমান এনেছি। বল, তোমরা ঈমান আননি; বরং তোমরা বল আমরা ইসলাম গ্রহণ (বাহ্যিক আনুগত্য প্রকাশ) করেছি” (হুজুরাতঃ ১৪)। তিলাওয়াত করলেন।
تَأْوِيلُ قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَتْ الْأَعْرَابُ آمَنَّا قُلْ لَمْ تُؤْمِنُوا وَلَكِنْ قُولُوا أَسْلَمْنَا
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ قَالَ حَدَّثَنَا سَلَّامُ بْنُ أَبِي مُطِيعٍ قَالَ سَمِعْتُ مَعْمَرًا عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ سَعْدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسَمَ قَسْمًا فَأَعْطَى نَاسًا وَمَنَعَ آخَرِينَ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْطَيْتَ فُلَانًا وَمَنَعْتَ فُلَانًا وَهُوَ مُؤْمِنٌ قَالَ لَا تَقُلْ مُؤْمِنٌ وَقُلْ مُسْلِمٌ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ قَالَتْ الْأَعْرَابُ آمَنَّا
It was narrated from Sa'd that :
The Messenger of Allah [SAW] distributed (some spoils of war) and gave to some people but withheld from others. I said: "O Messenger of Allah, you gave to so-and-so and so-and-so, and you withheld from so-and-so, who is a beliver." He said: "Do not say 'a believer,' say 'a Muslim.'" Ibn Shihab (one of the narrators) said: The Bedouins say: "We believe".
পরিচ্ছেদঃ ৭. আল্লাহর বাণী (قَالَتْ الْأَعْرَابُ آمَنَّا قُلْ لَمْ تُؤْمِنُوا وَلَكِنْ قُولُوا أَسْلَمْنَا) এর বাখা।
৪৯৯৩. কুতায়বা (রহঃ) ... বিশর ইবন সুহায়ম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আইয়ামে তাশরীকে এই কথা ঘোষণা করতে বললেন যে, জান্নাতে শুধু মু’মিনই প্রবেশ করবে।
تَأْوِيلُ قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ قَالَتْ الْأَعْرَابُ آمَنَّا قُلْ لَمْ تُؤْمِنُوا وَلَكِنْ قُولُوا أَسْلَمْنَا
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ عَمْرٍو عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ عَنْ بِشْرِ بْنِ سُحَيْمٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهُ أَنْ يُنَادِيَ أَيَّامَ التَّشْرِيقِ أَنَّهُ لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ إِلَّا مُؤْمِنٌ وَهِيَ أَيَّامُ أَكْلٍ وَشُرْبٍ
It was narrated from Bishr bin Suhaim that:
The Prophet [SAW] commanded him to call out on the days of At-Tashriq that no one would enter Paradise except a believer, and that these were the days of eating and drinking.
পরিচ্ছেদঃ ৮. মুমিনের পরিচয়
৪৯৯৪. কুতায়বা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিম ঐ ব্যাক্তি যার হাত ও রসনা হতে অন্য মানুষ নিরাপদ থাকে। আর মু’মিন ঐ ব্যক্তি যার থেকে অন্য লোক নিজের জান ও মালকে নিরাপদ মনে করে।
صِفَةُ الْمُؤْمِنِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ الْقَعْقَاعِ بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ النَّاسُ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ وَالْمُؤْمِنُ مَنْ أَمِنَهُ النَّاسُ عَلَى دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দাবি অনুযায়ী এটা প্রমাণিত হয় যে, মুসলিম ব্যক্তি যেন সকল প্রকারের আমানত রক্ষা করে এবং আদান-প্রদান বা দেওয়া-নেওয়ার সময় সর্বদা সততা বজায় রাখে। এবং প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক নিজেকে পরিচালিত করে। আর মানুষের জান ও মানের প্রতি জুলুম বা অন্যায় আচরণ না করে।
২। প্রকৃতপক্ষে মুসলিম ব্যক্তি হলো সেই ব্যক্তি, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করে। এবং মানুষের অধিকারগুলির সংরক্ষণ করে। আর তাদেরকে কোন প্রকার কষ্ট দেওয়া হতে বিরত থাকে এবং তাদের প্রতি জুলুম করা হতে বিরত থাকে। সুতরাং তারা তার অমঙ্গল ও অন্যায় আচরণ থেকে সব সময় নিরাপদে থাকে।
৩। এ ইহাদীসটি প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তির একটি প্রকাশ্য ও বাস্তব পরিচয় পেশ করেছে। আর সেই পরিচয় হলো এই যে, সকল জাতির মানব সমাজ তার অমঙ্গল থেকে নিরাপত্তায় থাকবে। অনুরূপভাবে প্রকৃত মুসলিম ব্যক্তির একটি গুপ্ত পরিচয়ও পেশ করেছে। আর সেই পরিচয় হলো এই যে, সকল জাতির মানব সমাজের জান ও মাল তার অশান্তি ও অকল্যাণ থেকে নিরাপদে থাকবে।
It was narrated from Abu Hurairah that:
The Messenger of Allah [SAW] said: "The Muslim is the one from whose tongue and hand the people are safe, and the believer is the one from whom the people's lives and wealth are safe."
পরিচ্ছেদঃ ৯. মুসলিমের পরিচয়
৪৯৯৫. আমর ইবন আলী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ মুসলিম ঐ ব্যক্তি, যার হাত ও রসনা হতে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে, আর মুহাজির ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহর নিষিদ্ধ বস্তু থেকে দূরে থাকে।
صِفَةُ الْمُسْلِمِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَامِرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ وَالْمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ مَا نَهَى اللَّهُ عَنْهُ
It was narrated that 'Abdullah bin 'Amr said:
"I heard the Messenger of Allah [SAW] say: "The Muslim is the one from whose tongue and hand the Muslims are safe, and the Muhajir is the one who forsakes (Hajara) that which Allah has forbidden to him."
পরিচ্ছেদঃ ৯. মুসলিমের পরিচয়
৪৯৯৬. হাফস ইবন উমর (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে আমাদের ন্যায় সালাত আদায় করে, আর আমাদের কিবলার দিকে মুখ করে এবং আমাদের যবেহকৃত পশু খায়, সে মুসলিম।
صِفَةُ الْمُسْلِمِ
أَخْبَرَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ مَنْصُورِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ مَيْمُونِ بْنِ سِيَاهٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ صَلَّى صَلَاتَنَا وَاسْتَقْبَلَ قِبْلَتَنَا وَأَكَلَ ذَبِيحَتَنَا فَذَلِكُمْ الْمُسْلِمُ
It was narrated that Anas said:
"The Messenger of Allah [SAW] said: 'Whoever prays as we pray, turns to face the same Qiblah as us and eats our slaughtered animals, that is a Muslim.'
পরিচ্ছেদঃ ১০. ব্যক্তির ইসলামের উৎকৃষ্টতা
৪৯৯৭. আহমাদ ইবন মুআল্লা (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন ব্যক্তি উত্তমরূপে ইসলাম গ্রহণ করে, তখন আল্লাহ্ তা’আলা তার ঐ সকল সৎকর্ম লিখে নেন, যা সে পূর্বে করেছিল আর তার সেই সকল পাপ মুছে ফেলেন যাতে অতীতে লিপ্ত হয়েছিল। এরপর তার হিসাব এইভাবে লিখিত হয় যে, তার প্রত্যেক নেকীর পরিবর্তে দশ হতে সাতশত গুণ পর্যন্ত সওয়াব লেখা হয়। আর প্রত্যেক পাপ শুধু অতটুকুই লেখা হয়, যা সে করে, যদি না আল্লাহ্ তা’আলা ক্ষমা করেন।
حُسْنُ إِسْلَامِ الْمَرْءِ
أَخْبَرَنِي أَحْمَدُ بْنُ الْمُعَلَّى بْنِ يَزِيدَ قَالَ حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ صَالِحٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَسْلَمَ الْعَبْدُ فَحَسُنَ إِسْلَامُهُ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ كُلَّ حَسَنَةٍ كَانَ أَزْلَفَهَا وَمُحِيَتْ عَنْهُ كُلُّ سَيِّئَةٍ كَانَ أَزْلَفَهَا ثُمَّ كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ الْقِصَاصُ الْحَسَنَةُ بِعَشْرَةِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ وَالسَّيِّئَةُ بِمِثْلِهَا إِلَّا أَنْ يَتَجَاوَزَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ عَنْهَا
It was narrated that Abu Sa'eed Al-Khudri said:
"The Messenger of Allah [SAW] said: 'If a person accepts Islam, such that his Islam is good, Allah will decree reward for every good deed that he did before, and every bad deed that he did before will be erased. Then after that will come the reckoning; each good deed will be rewarded ten times up to seven hundred times. And each bad deed will be recorded as it is, unless Allah, the Mighty and Sublime, forgives it.'"
পরিচ্ছেদঃ ১১. কোন্ ইসলাম শ্রেষ্ঠ
৪৯৯৮. সাঈদ ইবন ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ উমাবী (রহঃ) ... আবু মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন্ ইসলাম উত্তম? তিনি বললেনঃ যার রসনা ও হাত হতে অন্য মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে।
أَيُّ الْإِسْلَامِ أَفْضَلُ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ الْأُمَوِيُّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو بُرْدَةَ وَهَوَ بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ الْإِسْلَامِ أَفْضَلُ قَالَ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ
It was narrated that Abu Musa said:
"I said: 'O Messenger of Allah, whose Islam is most virtuous?' He said: 'The one from whose tongue and hand the Muslims are safe.'
পরিচ্ছেদঃ ১২. কোন ইসলাম ভাল
৪৯৯৯. কুতায়বা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলোঃ কোন্ ইসলাম (অর্থাৎ ইসলামের কোন কর্ম) ভাল? তিনি বললেনঃ খাদ্য দান করা, পরিচিত অপরিচিত সকলকে সালাম করা।
أَيُّ الْإِسْلَامِ خَيْرٌ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ الْإِسْلَامِ خَيْرٌ قَالَ تُطْعِمُ الطَّعَامَ وَتَقْرَأُ السَّلَامَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ
It was narrated from 'Abdullah bin 'Amr that:
A man asked the Messenger of Allah [SAW]: "What quality of Islam is best?" He said: "To feed (the poor) and to say the Salam to whomever one knows and whomever one does not know."
পরিচ্ছেদঃ ১৩. ইসলামের বুনিয়াদ কয়টি
৫০০০. মুহাম্মদ ইবন আবদুল্লাহ ইবন আম্মার (রহঃ) ... ইবন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি তাঁকে বললোঃ আপনি কি যুদ্ধ করেন না? তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ ইসলাম পাঁচটি বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত, এই কথার সাক্ষ্য দান করা যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, সালাত আদায় করা, যাকাত দেওয়া, রমযানের রোযা রাখা এবং হজ্জ করা।
عَلَى كَمْ بُنِيَ الْإِسْلَامُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمَّارٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْمُعَافَى يَعْنِي ابْنَ عِمْرَانَ عَنْ حَنْظَلَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَجُلًا قَالَ لَهُ أَلَا تَغْزُو قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ بُنِيَ الْإِسْلَامُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَالْحَجِّ وَصِيَامِ رَمَضَانَ
It was narrated from Ibn 'Umar that:
A man said to him: "Why don't you go out and fight?" He said: "I heard the Messenger of Allah [SAW] say: 'Islam is built on five (pillars): Testimony that there is none worthy of worship except Allah, establishing Salah, giving Zakah, Hajj, and fasting Ramadan.'
পরিচ্ছেদঃ ১৪. ইসলামের উপর বায়আত গ্রহণ করা
৫০০১. কুতায়বা (রহঃ) ... উবাদা ইবন সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা এক মজলিসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ছিলাম। তিনি বললেন, তোমরা আমার নিকট একথার উপর বায়আত কর যে, তোমরা আল্লাহ্ তা’আলার সাথে কাউকে শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না। তিনি তাদের সামনে এতদসংক্রান্ত পূর্ণ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন। তারপর বললেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এটা রক্ষা করবে, আল্লাহর নিকট তার প্রতিদান রয়েছে। আর যদি কেউ এর কোন একটি অপরাধ করে ফেলে, আর আল্লাহ্ তা’আলা পৃথিবীতে তা ঢেকে রাখেন, তবে আখিরাতে তা আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। তিনি ইচ্ছা করলে ক্ষমা করবেন, আর ইচ্ছা করলে শাস্তি দেবেন।
الْبَيْعَةُ عَلَى الْإِسْلَامِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلَانِيِّ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَجْلِسٍ فَقَالَ تُبَايِعُونِي عَلَى أَنْ لَا تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلَا تَسْرِقُوا وَلَا تَزْنُوا قَرَأَ عَلَيْهِمْ الْآيَةَ فَمَنْ وَفَّى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَمَنْ أَصَابَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَسَتَرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فَهُوَ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ
It was narrated that 'Ubadah bin As-Samit said:
"We were with the Prophet [SAW] in a gathering and he said: 'Give me your pledge that you will not associate anything with Allah, you will not steal and you will not have unlawful sexual relations'- and then he recited the Verse to them. 'Whoever among you fulfills this pledge, his reward will be with Allah, and whoever commits any of those actions and Allah, the Mighty and Sublime, conceals him, it is up to Allah: If He wills, He will punish him, and if He wills, He will forgive him."
পরিচ্ছেদঃ ১৫. কখন লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হবে
৫০০২. মুহাম্মদ ইবন হাতিম ইবন নু’আয়ম (রহঃ) ... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে লোকের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। যদি তারা এই সাক্ষ্য দেয় এবং আমাদের কিবলার দিকে মুখ করে, আমাদের যবেহকৃত পশু খায়, আমাদের ন্যায় সালাত আদায় করে, তখন তাদের জান মাল আমাদের উপর হারাম হয়ে যাবে, তবে এর হক ব্যতীত। তখন অন্যান্য মুসলিমের যে প্রাপ্য রয়েছে তাদের জন্যও তা রয়েছে। আর এদের উপর যে দায়-দায়িত্ব বর্তায়; তাদের উপরও তা বর্তাবে।
عَلَى مَا يُقَاتِلُ النَّاسَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ نُعَيْمٍ قَالَ أَنْبَأَنَا حِبَّانُ قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ فَإِذَا شَهِدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَاسْتَقْبَلُوا قِبْلَتَنَا وَأَكَلُوا ذَبِيحَتَنَا وَصَلَّوْا صَلَاتَنَا فَقَدْ حَرُمَتْ عَلَيْنَا دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ إِلَّا بِحَقِّهَا لَهُمْ مَا لِلْمُسْلِمِينَ وَعَلَيْهِمْ مَا عَلَيْهِمْ
It was narrated from Anas bin Malik that:
The Messenger of Allah [SAW] said: "I have been commanded to fight the people until they bear witness that there is none worthy of worship except Allah and that Muhammad is the Messenger of Allah. If they bear witness that there is none worthy of worship except Allah and that Muhammad is the Messenger of Allah, they turn to face the same Qiblah as us, they eat our slaughtered animals, and they pray as we pray; then their blood and their wealth are forbidden to us, except for a right that is due, and they have the same rights and duties as the Muslims."
পরিচ্ছেদঃ ১৬. ঈমানের শাখা-প্রশাখার বর্ণনা
৫০০৩. মুহাম্মাদ ইবন আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঈমানের সত্তরটিরও বেশি শাখা রয়েছে। লজ্জা-শরমও ঈমানের একটি শাখা।
ذِكْرُ شُعَبِ الْإِيمَانِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ قَالَ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ وَهُوَ ابْنُ بِلَالٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْإِيمَانُ بِضْعٌ وَسَبْعُونَ شُعْبَةً وَالْحَيَاءُ شُعْبَةٌ مِنْ الْإِيمَانِ
It was narrated from Abu Hurairah that:
The Prophet (ﷺ) said: "Faith has seventy odd branches and modesty (Al-Haya') is a branch of faith."