পরিচ্ছেদঃ ১. বিসমিল্লাহ পাঠ সম্পর্কে
৮৫৯(১). আবুল কাসেম আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ)। থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ আল্লাহর প্রশংসা ব্যতীত আরম্ভ করা হলে তা অসম্পূর্ণ (কম বরকতপূর্ণ)।
এই হাদীস কেবল কুররা (রহঃ)-ই আয-যুহরী-আবু সালামা-আবু হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এই হাদীস অন্যরা আয-যুহরী-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন। কুররা (রহঃ) হাদীসশাস্ত্রে শক্তিশালী নন। এই হাদীস সাদাকা (রহঃ)-মুহাম্মাদ ইবনে সাঈদ-আয-যুহরী-আবদুর রহমান ইবনে কা’ব ইবনে মালেক-তার পিতা-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এই হাদীস সহীহ নয়। সাদাকা ও মুহাম্মাদ ইবনে সাঈদ উভয়ে হাদীসশাস্ত্রে দুর্বল। এ হাদীস মুরসাল হওয়াই যথার্থ।
قُرِئَ عَلَى أَبِي الْقَاسِمِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ - وَأَنَا أَسْمَعُ - حَدَّثَكُمْ دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ ، ثَنَا الْوَلِيدُ ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ ، عَنْ قُرَّةَ ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " كُلُّ أَمْرٍ ذِي بَالٍ لَا يُبْدَأُ فِيهِ بِحَمْدِ اللَّهِ أَقْطَعُ " . تَفَرَّدَ بِهِ قُرَّةُ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَأَرْسَلَهُ غَيْرُهُ عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، وَقُرَّةُ لَيْسَ بِقَوِيٍّ فِي الْحَدِيثِ . وَرَوَاهُ صَدَقَةُ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . وَلَا يَصِحُّ الْحَدِيثُ ، . وَصَدَقَةُ وَمُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ ضَعِيفَانِ ، وَالْمُرْسَلُ هُوَ الصَّوَابُ
পরিচ্ছেদঃ ১. বিসমিল্লাহ পাঠ সম্পর্কে
৮৬০(২). আবু তালিব আল-হাফেজ আহমাদ ইবনে নাসর (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ আল্লাহর যিকির ব্যতীত আরম্ভ করা হলে (তা) অসম্পূর্ণ।
حَدَّثَنِي أَبُو طَالِبٍ الْحَافِظُ أَحْمَدُ بْنُ نَصْرٍ ، ثَنَا هِلَالُ بْنُ الْعَلَاءِ ، ثَنَا عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ ، نَا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ ، عَنْ قُرَّةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " كُلُّ أَمْرٍ ذِي بَالٍ لَا يُبْدَأُ فِيهِ بِذِكْرِ اللَّهِ أَقْطَعُ
পরিচ্ছেদঃ ২. ফরয নামাযসমূহ এবং তা পাঁচ ওয়াক্ত
৮৬১(১). আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলল, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর কতো ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন? তিনি বলেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামায। সে জিজ্ঞেস করলো, এগুলোর আগে-পরে কি কিছু আছে? তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন। অতঃপর সে আল্লাহর শপথ করে বলল যে, সে এগুলোতে কিছু কম-বেশি করবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সে সত্য বলে থাকলে জান্নাতে যাবে।
بَابُ الصَّلَوَاتِ الْفَرَائِضِ وَأَنَّهُنَّ خَمْسٌ
نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ ، ثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ ، نَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ ، عَنْ أَخِيهِ : خَالِدِ بْنِ قَيْسٍ ، عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : قَالَ رَجُلٌ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : كَمِ افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَى عِبَادِهِ مِنَ الصَّلَوَاتِ ؟ قَالَ : " خَمْسُ صَلَوَاتٍ " . ، قَالَ : هَلْ قَبْلَهُنَّ أَوْ بَعْدَهُنَّ شَيْءٌ ؟ قَالَ : " افْتَرَضَ اللَّهُ عَلَى عِبَادِهِ صَلَوَاتٍ خَمْسًا " . فَحَلَفَ الرَّجُلُ بِاللَّهِ لَا يَزِيدُ عَلَيْهِنَّ وَلَا يَنْقُصُ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " إِنْ صَدَقَ دَخَلَ الْجَنَّةَ
পরিচ্ছেদঃ ৩. নামাযসমূহের তালিম দেওয়া এবং এজন্য প্রহার করার নির্দেশ এবং সতরের সীমা যা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক
৮৬২(১). ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... আবদুল মালেক ইবনুর রুবাই ইবনে সাবুরা (রহঃ) থেকে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের সন্তানগণ সাত বছর বয়সে পদার্পণ করলে তাদের বিছানা পৃথক করে দাও এবং তারা দশ বছর বয়সে পদার্পণ করলে নামাযের জন্য (তা না পড়লে) তাদের দৈহিক শাস্তি দাও।
بَابُ الْأَمْرِ بِتَعْلِيمِ الصَّلَوَاتِ وَالضَّرْبِ عَلَيْهَا وَحَدِّ الْعَوْرَةِ الَّتِي يَجِبُ سَتْرُهَا
حَدَّثَنَا ابْنُ صَاعِدٍ ، نَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، وَثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ رُمَيْسٍ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الدَّقِيقِيُّ ، قَالَا : نَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ ، نَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ جَدِّهِ ، رَفَعَهُ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " إِذَا بَلَغَ أَوْلَادُكُمْ سَبْعَ سِنِينَ ، فَفَرِّقُوا بَيْنَ فُرُشِهِمْ ، وَإِذَا بَلَغُوا عَشْرَ سِنِينَ ، فَاضْرِبُوهُمْ عَلَى الصَّلَاةِ
পরিচ্ছেদঃ ৩. নামাযসমূহের তালিম দেওয়া এবং এজন্য প্রহার করার নির্দেশ এবং সতরের সীমা যা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক
৮৬৩(২). মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আমর ইবনে শুআইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের শিশুদের সাত বছর বয়সে নামাযের (পড়ার) নির্দেশ দাও। তারা দশ বছর বয়সে পদার্পণ করলে নামাযের জন্য (তা না পড়লে) তাদের দৈহিক শাস্তি দাও এবং তাদের বিছানা পথক করে দাও। আর তোমাদের কেউ নিজের দাসকে বা নিজের শ্রমিককে তার দাসীর সঙ্গে বিবাহ দিলে সে যেন তার নাভির নিচ থেকে হাঁটুর উপর পর্যন্ত অঙ্গের প্রতি না তাকায়। কারণ নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত সতর (অবশ্য আবরণীর অঙ্গ)।
بَابُ الْأَمْرِ بِتَعْلِيمِ الصَّلَوَاتِ وَالضَّرْبِ عَلَيْهَا وَحَدِّ الْعَوْرَةِ الَّتِي يَجِبُ سَتْرُهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ زَاجٌ ، نَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ ، أَنَا أَبُو حَمْزَةَ الصَّيْرَفِيُّ وَهُوَ سَوَّارُ بْنُ دَاوُدَ ، نَا عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ جَدِّهِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " مُرُوا صِبْيَانَكُمْ بِالصَّلَاةِ لِسَبْعٍ ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا لِعَشْرٍ ، وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ ، وَإِذَا زَوَّجَ أَحَدُكُمْ عَبْدَهُ أَمَتَهُ أَوْ أَجِيرَهُ ، فَلَا يَنْظُرُ إِلَى مَا دُونَ السُّرَّةِ وَفَوْقَ الرُّكْبَةِ ، فَإِنَّ مَا تَحْتَ السُّرَّةِ إِلَى الرُّكْبَةِ مِنَ الْعَوْرَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৩. নামাযসমূহের তালিম দেওয়া এবং এজন্য প্রহার করার নির্দেশ এবং সতরের সীমা যা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক
৮৬৪(৩). ইউসুফ ইবনে ইয়াকূব ইবনে ইসহাক ইবনে বাহলুল (রহঃ) ... আমর ইবনে শুআইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের শিশুদের সাত বছর বয়সে (পৌছলে) নামায পড়ার নির্দেশ দাও। তারা দশ বছর বয়সে পদার্পণ করলে (নামায পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য) তাদের দৈহিক শাস্তি দাও এবং তাদের বিছানা (তোমাদের থেকে) পৃথক করে দাও। আর তোমাদের কেউ তার দাসকে বা শ্রমিককে বিবাহ করালে সে যেন তার (স্ত্রীর) হাঁটু ও নাভির মধ্যবর্তী অঙ্গ না দেখে। কারণ নাভি ও হাঁটুর মধ্যবর্তী অঙ্গ লজ্জাস্থানের অন্তর্ভুক্ত।
بَابُ الْأَمْرِ بِتَعْلِيمِ الصَّلَوَاتِ وَالضَّرْبِ عَلَيْهَا وَحَدِّ الْعَوْرَةِ الَّتِي يَجِبُ سَتْرُهَا
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ بُهْلُولٍ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ حَبِيبٍ الشَّيْلَمَانِيُّ ، نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ ، نَا سَوَّارٌ أَبُو حَمْزَةَ ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ جَدِّهِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " مُرُوا صِبْيَانَكُمْ بِالصَّلَاةِ فِي سَبْعِ سِنِينَ ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا فِي عَشْرٍ ، وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ ، وَإِذَا زَوَّجَ الرَّجُلُ مِنْكُمْ عَبْدَهُ أَوْ أَجِيرَهُ ، فَلَا يَرَيَنَّ مَا بَيْنَ رُكْبَتِهِ وَسُرَّتِهِ ؛ فَإِنَّ مَا بَيْنَ سُرَّتِهِ وَرُكْبَتِهِ مِنْ عَوْرَتِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৩. নামাযসমূহের তালিম দেওয়া এবং এজন্য প্রহার করার নির্দেশ এবং সতরের সীমা যা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক
৮৬৫(৪). ইসমাঈল ইবনে মুহাম্মাদ আস-সাফফার (রহঃ) ... আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হাঁটু লজ্জাস্থানের অংশ।
আবুল জুনূব (রহঃ) হাদীসশাস্ত্রে দুর্বল।
بَابُ الْأَمْرِ بِتَعْلِيمِ الصَّلَوَاتِ وَالضَّرْبِ عَلَيْهَا وَحَدِّ الْعَوْرَةِ الَّتِي يَجِبُ سَتْرُهَا
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُحَمَّدٍ الصَّفَّارُ ، ثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ ، نَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْجَبُّلِيُّ الضَّرَّابُ - رَفِيقُ يَحْيَى بْنِ مَعِينٍ - ، نَا النَّضْرُ بْنُ مَنْصُورٍ الْفَزَارِيُّ ، نَا أَبُو الْجَنُوبِ - قَالَ مُوسَى : وَاسْمُهُ : عُقْبَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ - قَالَ : سَمِعْتُ عَلِيًّا - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - يَقُولُ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " الرُّكْبَةُ مِنَ الْعَوْرَةِ " . أَبُو الْجَنُوبِ ضَعِيفٌ
পরিচ্ছেদঃ ৩. নামাযসমূহের তালিম দেওয়া এবং এজন্য প্রহার করার নির্দেশ এবং সতরের সীমা যা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক
৮৬৬(৫). ইউসুফ ইবনে ইয়াকূব ইবনে ইসহাক ইবনে বাহলুল (রহঃ) ... আবু আইউব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ হাঁটুদ্বয়ের উপর থেকে নাভির নিচ পর্যন্ত লজ্জাস্থানের অংশ (সতর)।
بَابُ الْأَمْرِ بِتَعْلِيمِ الصَّلَوَاتِ وَالضَّرْبِ عَلَيْهَا وَحَدِّ الْعَوْرَةِ الَّتِي يَجِبُ سَتْرُهَا
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ بُهْلُولٍ ، نَا جَدِّي ، نَا أَبِي ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ رَاشِدٍ ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ كَثِيرٍ ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ ، قَالَ : سَمِعْتُ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " مَا فَوْقَ الرُّكْبَتَيْنِ مِنَ الْعَوْرَةِ ، وَمَا أَسْفَلَ مِنَ السُّرَّةِ مِنَ الْعَوْرَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৩. নামাযসমূহের তালিম দেওয়া এবং এজন্য প্রহার করার নির্দেশ এবং সতরের সীমা যা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক
৮৬৭(৬). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সাত বছর বয়সে তোমাদের শিশুদের নামায পড়ার নির্দেশ দাও এবং তেরো বছর বয়সে পদার্পণ করলে নামাযের জন্য (না পড়ার অপরাধে) তাদের দৈহিক শাস্তি দাও।
بَابُ الْأَمْرِ بِتَعْلِيمِ الصَّلَوَاتِ وَالضَّرْبِ عَلَيْهَا وَحَدِّ الْعَوْرَةِ الَّتِي يَجِبُ سَتْرُهَا
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ ، ثَنَا دَاوُدُ بْنُ الْمُحَبَّرِ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُثَنَّى ، عَنْ ثُمَامَةَ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " مُرُوهُمْ بِالصَّلَاةِ لِسَبْعِ سِنِينَ ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا لِثَلَاثَ عَشْرَةَ
পরিচ্ছেদঃ ৪. তাদের জীবন ও সম্পদে হস্তক্ষেপ করা হারাম যদি তারা দুই কালেমার সাক্ষ্য দেয় এবং নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়
৮৬৮(১). উসমান ইবনে আহমাদ আদ-দাকাক (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমি যেন মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি যাবত না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল এবং নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়। অতঃপর আমার উপর তাদের রক্ত ও সম্পদে হস্তক্ষেপ করা হারাম করা হয়েছে এবং তাদের (কার্যাবলীর) হিসাব-নিকাশ গ্রহণ মহামহিম আল্লাহর দায়িত্বে।
আবু জাফর আর-রাযী এই হাদীস ইউনুস-আল-হাসান -আবু হুরায়রা (রাঃ)-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইমরান আল-কাত্তানও এই হাদীস মা’মার-আয-যুহরী-আনাস (রাঃ)- আবু বাকর (রাঃ)-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
بَابُ تَحْرِيمِ دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ ؛ إِذَا يَشْهَدُوا بِالشَّهَادَتَيْنِ ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ الدَّقَّاقُ ، ثَنَا حَنْبَلُ بْنُ إِسْحَاقَ ، نَا عَفَّانُ ، ثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ ، ثَنَا سَعِيدُ بْنُ كَثِيرِ بْنِ عُبَيْدٍ ، حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ ، ثُمَّ قَدْ حُرِّمَ عَلَيَّ دِمَاؤُهُمْ وَأَمْوَالُهُمْ وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ - عَزَّ وَجَلَّ - " . وَكَذَلِكَ رَوَاهُ أَبُو جَعْفَرٍ الرَّازِيُّ ، عَنْ يُونُسَ ، عَنِ الْحَسَنِ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . وَكَذَلِكَ قَالَ عِمْرَانُ الْقَطَّانُ ، عَنْ مَعْمَرٍ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ أَنَسٍ ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - نَحْوَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪. তাদের জীবন ও সম্পদে হস্তক্ষেপ করা হারাম যদি তারা দুই কালেমার সাক্ষ্য দেয় এবং নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়
৮৬৯(২). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমি যেন মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি যাবত না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। যখন তারা সাক্ষ্য দিলো যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল এবং তারা আমাদের নামাযের ন্যায় নামায পড়লো, আমাদের কিবলার অনুসরণ করলো এবং আমাদের যবেহকৃত পশুর মাংস আহার করলো (অর্থাৎ মুসলিম হলো), তখন আমাদের জন্য তাদের সম্পদ ও তাদের রক্তে (জীবনে) হস্তক্ষেপ করা হারাম, কিন্তু তার (দীন ইসলামের) অধিকারের ক্ষেত্র ব্যতীত (অর্থাৎ অপরাধ করলে শাস্তিভোগ করতে হবে)। আর তারা মুসলিমদের সমান অধিকার ভােগ করবে এবং মুসলিমদের সমান কর্তব্য তাদের উপর বর্তাবে।
بَابُ تَحْرِيمِ دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ ؛ إِذَا يَشْهَدُوا بِالشَّهَادَتَيْنِ ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ الْمُشْرِكِينَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، فَإِذَا شَهِدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، وَصَلَّوْا صَلَاتَنَا ، وَاسْتَقْبَلُوا قِبْلَتَنَا ، وَأَكَلُوا ذَبَائِحَنَا ، حُرِّمَتْ عَلَيْنَا أَمْوَالُهُمْ وَدِمَاؤُهُمْ إِلَّا بِحَقِّهَا ، وَلَهُمْ مَا لِلْمُسْلِمِ ، وَعَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُسْلِمِ
পরিচ্ছেদঃ ৪. তাদের জীবন ও সম্পদে হস্তক্ষেপ করা হারাম যদি তারা দুই কালেমার সাক্ষ্য দেয় এবং নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়
৮৭০(৩). আলী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুবাশশির (রহঃ) ... আনাস ইবনে মালেক (রাঃ)-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
بَابُ تَحْرِيمِ دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ ؛ إِذَا يَشْهَدُوا بِالشَّهَادَتَيْنِ ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُبَشِّرٍ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ ، ثَنَا يَعْمُرُ بْنُ بِشْرٍ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ ، أَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - نَحْوَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪. তাদের জীবন ও সম্পদে হস্তক্ষেপ করা হারাম যদি তারা দুই কালেমার সাক্ষ্য দেয় এবং নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়
৮৭১(৪). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
بَابُ تَحْرِيمِ دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ ؛ إِذَا يَشْهَدُوا بِالشَّهَادَتَيْنِ ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ السُّلَمِيُّ ، ثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ ، ثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أَنَسٍ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - نَحْوَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪. তাদের জীবন ও সম্পদে হস্তক্ষেপ করা হারাম যদি তারা দুই কালেমার সাক্ষ্য দেয় এবং নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়
৮৭২(৫). ইব্রাহীম ইবনে আহমাদ আল-কারমীসীনী (রহঃ) ... আনাস (রাঃ)-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
بَابُ تَحْرِيمِ دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ ؛ إِذَا يَشْهَدُوا بِالشَّهَادَتَيْنِ ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ
نَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَحْمَدَ الْقِرْمِيسِينِيُّ ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ الْعَنْسِيُّ ، حَدَّثَنِي جَدِّي الْهَيْثَمُ بْنُ مَرْوَانَ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى بْنِ سُمَيْعٍ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أَنَسٍ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - نَحْوَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪. তাদের জীবন ও সম্পদে হস্তক্ষেপ করা হারাম যদি তারা দুই কালেমার সাক্ষ্য দেয় এবং নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়
৮৭৩(৬). ইবনে খাল্লাদ (রহঃ) ... মুহাম্মাদ ইবনে ঈসা ইবনে সুমাই (রহঃ) থেকে তার সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
بَابُ تَحْرِيمِ دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ ؛ إِذَا يَشْهَدُوا بِالشَّهَادَتَيْنِ ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ
حَدَّثَنَا ابْنُ خَلَّادٍ ، نَا الْمَعْمَرِيُّ ، نَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى بْنِ سُمَيْعٍ ، بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪. তাদের জীবন ও সম্পদে হস্তক্ষেপ করা হারাম যদি তারা দুই কালেমার সাক্ষ্য দেয় এবং নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়
৮৭৪(৭)। মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ ইবনুল হাসান (রহঃ) ... ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে—আমি যেন মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি যাবত না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, নামায কায়েম করে এবং যাকাত দেয়। এ কাজগুলো করলে তারা আমার হস্তক্ষেপ থেকে তাদের রক্ত (জীবন) ও তাদের সম্পদ রক্ষা করলো। তবে দীন ইসলামের অধিকারের ক্ষেত্র ব্যতীত (অর্থাৎ অপরাধ করলে শাস্তিভােগ করতে হবে)। আর তাদের কৃতকর্মের প্রকৃত হিসাব-নিকাশ মহামহিম আল্লাহর উপর ন্যস্ত।
بَابُ تَحْرِيمِ دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ ؛ إِذَا يَشْهَدُوا بِالشَّهَادَتَيْنِ ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ الْحَسَنِ ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ هَاشِمٍ ، ثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ أَبُو إِسْحَاقَ ، حَدَّثَنِي حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ ، نَا شُعْبَةُ ، عَنْ وَاقِدِ بْنِ مُحَمَّدٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يَشْهَدُوا أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ ، فَإِذَا فَعَلُوا ذَلِكَ عَصَمُوا مِنِّي دِمَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ إِلَّا بِحَقِّ الْإِسْلَامِ ، وَحِسَابُهُمْ عَلَى اللَّهِ - عَزَّ وَجَلَّ
পরিচ্ছেদঃ ৪. তাদের জীবন ও সম্পদে হস্তক্ষেপ করা হারাম যদি তারা দুই কালেমার সাক্ষ্য দেয় এবং নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়
৮৭৫(৮). আহমাদ ইবনে ইউসুফ ইবনে খাল্লাদ (রহঃ) ... ইবরাহীম ইবনে আরআরা (রহঃ) থেকে তার সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
بَابُ تَحْرِيمِ دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ ؛ إِذَا يَشْهَدُوا بِالشَّهَادَتَيْنِ ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ خَلَّادٍ ، نَا الْمَعْمَرِيُّ ، نَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَرْعَرَةَ ، بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪. তাদের জীবন ও সম্পদে হস্তক্ষেপ করা হারাম যদি তারা দুই কালেমার সাক্ষ্য দেয় এবং নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয়
৮৭৬(৯). ইবনে খাল্লাদ (রহঃ) ... মু’আয ইবনে জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমাকে মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাবত না তারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং সাক্ষ্য দেয় (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল)... পূর্বোক্ত হাদীসের হুবহু অনুরূপ।
بَابُ تَحْرِيمِ دِمَائِهِمْ وَأَمْوَالِهِمْ ؛ إِذَا يَشْهَدُوا بِالشَّهَادَتَيْنِ ، وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ
حَدَّثَنَا ابْنُ خَلَّادٍ ، نَا الْمَعْمَرِيُّ ، نَا مَنْصُورُ بْنُ أَبِي مُزَاحِمٍ ، ثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَهْرَامَ ، نَا شَهْرُ بْنُ حَوْشَبٍ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ ، عَنْ حَدِيثِ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ؛ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " أُمِرْتُ أَنْ أُقَاتِلَ النَّاسَ حَتَّى يُقِيمُوا الصَّلَاةَ ، وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ ، وَيَشْهَدُوا .... " . مِثْلَهُ سَوَاءً
পরিচ্ছেদঃ ৫. আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর আযান এবং এ সম্পর্কে বিভিন্নরূপ রিওয়ায়াত
৮৭৭(১). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনে মুহায়রীয (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ইয়াতীম হিসেবে আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন, যখন তাকে তিনি সিরিয়ায় পাঠান। তিনি বলেন, আমি আবু মাহযুরা (রাঃ)-কে বললাম, হে চাচাজান! আমি সিরিয়া যাচ্ছি। আমি আশংকা করছি, তথায় আমি আপনার আযান সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবো। অতএব আমাকে অবহিত করুন । তিনি বলেন, হাঁ। আমি একদল লোকের সঙ্গে সফরে বের হলাম। আমরা হুনায়েনের পথে ছিলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুনায়েন যুদ্ধশেষে প্রত্যাবর্তন করছিলেন। আমরা পথিমধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সাক্ষাত করলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুয়াযযিন নামাযের আযান দিলেন। রাবী বলেন, আমরা মুয়াযযিনের আযানের শব্দ শুনলাম। তখন আমরা (তাদের থেকে দূরে ছিলাম। আমরা হাসি-ঠাট্টাচ্ছলে উচ্চস্বরে তার আযানের প্রতিধ্বনি করলাম।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই শব্দ শুনলেন। তিনি আমাদেরকে তাঁর সামনে উপস্থিত হতে ডেকে পাঠালেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাদের মধ্যে কার উচ্চ কণ্ঠস্বর শুনেছি? দলের সবাই আমার দিকে ইশারা করলো এবং সত্যায়ন করলো। তিনি তাদের সকলকে বিদায় দিলেন, কিন্তু আমাকে রেখে দিলেন। তিনি বললেনঃ তুমি দাঁড়িয়ে নামাযের আযান দাও। অতএব আমি দাঁড়ালাম। তখন আমার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অমনোপূত লাগলো।
আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে দাঁড়ালাম এবং তিনি নিজেই আমাকে আযান শিক্ষা দিলেন। তিনি বলেন, তুমি বলো, আল্লাহু আকবার (আল্লাহ মহান) আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার। আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু (আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই), আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ (আমি সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল), আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ। তারপর তিনি আমাকে বললেনঃ পুনরায় তোমার উচ্চস্বরে বলো। তারপর তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি বলো, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, হায়্যা আলাস সালাহ (নামাযের জন্য এসো), হায়্যা আলাস সালাহ, হায়্যা আলাল ফালাহ (কল্যাণের দিকে এসো) হায়্যা আলাল ফালাহ। আল্লাহু আকবার। আল্লাহু আকবার। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
আমি আযান শেষ করলে পর তিনি আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে একটি থলে দিলেন যাতে রুপা ছিলো। তারপর তিনি নিজের হাত আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর মাথার সম্মুখভাগে রাখলেন, এবং তা তার মুখমণ্ডলে, তার বুকে ও তার কাঁধে বুলালেন, এমনকি তাঁর হাত আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর নাভি পর্যন্ত পৌঁছালেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তোমার মধ্যে এবং তোমার উপর বরকত নাযিল করুন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে মক্কায় আযান দেওয়ার জন্য নিয়োগ দিন। তিনি বলেন, আমি তোমাকে এ ব্যাপারে নিয়োগ দিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাপারে আমার সমস্ত অপছন্দনীয় বিষয় দূর হলো এবং তৎপরিবর্তে তাঁর প্রতি ভালোবাসা আমার অন্তরে ঠাই নিলো।
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমেল (মক্কার শাসক) আত্তাব ইবনে উসাইদ (রাঃ)-এর নিকট গেলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নির্দেশ মোতাবেক নামাযের আযান দিলাম। ইবনে জুরাইজ (রহঃ) বলেন, আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর বংশের যার সাথে আমার দেখা হয়েছে তিনি আমাকে ইবনে মুহাইরীয (রহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ অবহিত করেছেন। এটা আর-রাবী (রহঃ) বর্ণিত হাদীস এবং তার বর্ণিত পাঠ এখানে উধৃত করা হলো।
بَابٌ : فِي ذِكْرِ أَذَانِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِيهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا أَبُو حُمَيْدٍ الْمِصِّيصِيُّ ، ثَنَا حَجَّاجٌ ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، ح : وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، وَأَبُو أُمَيَّةَ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ ، وَغَيْرُهُمْ ، قَالُوا : حَدَّثَنَا رَوْحٌ ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، ح : وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ ، ثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ ، ثَنَا الشَّافِعِيُّ ، ثَنَا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُوَرَةَ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَيْرِيزٍ أَخْبَرَهُ - وَكَانَ يَتِيمًا فِي حِجْرِ أَبِي مَحْذُورَةَ - حِينَ جَهَّزَهُ إِلَى الشَّامِ - قَالَ : فَقُلْتُ لِأَبِي مَحْذُورَةَ : أَيْ عَمِّ ، إِنِّي خَارِجٌ إِلَى الشَّامِ ، وَإِنِّي أَخْشَى أَنْ أُسْأَلَ عَنْ تَأْذِينِكَ ؟ فَأَخْبِرْنِي . قَالَ : نَعَمْ ، خَرَجْتُ فِي نَفَرٍ ، فَكُنَّا فِي بَعْضِ طَرِيقِ حُنَيْنٍ ، فَقَفَلَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنْ حُنَيْنٍ ، فَلَقِينَا رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فِي بَعْضِ الطَّرِيقِ ، فَأَذَّنَ مُؤَذِّنُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِالصَّلَاةِ ، فَقَالَ : فَسَمِعْنَا صَوْتَ الْمُؤَذِّنِ وَنَحْنُ مُتَنَكِّبُونَ فَصَرَخْنَا نَحْكِيهِ ، وَنَسْتَهْزِئُ بِهِ ، فَسَمِعَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - الصَّوْتَ ، فَأَرْسَلَ إِلَيْنَا إِلَى أَنْ وَقَفْنَا بَيْنَ يَدَيْهِ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " أَيُّكُمُ الَّذِي سَمِعْتُ صَوْتَهُ قَدِ ارْتَفَعَ ؟ " . فَأَشَارَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ إِلَيَّ ، وَصَدَقُوا ، فَأَرْسَلَ كُلَّهُمْ وَحَبَسَنِي ، فَقَالَ : " قُمْ فَأَذِّنْ بِالصَّلَاةِ " . فَقُمْتُ وَلَا شَيْءَ أَكْرَهُ إِلَيَّ مِنَ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، وَمَا يَأْمُرُنِي بِهِ ، فَقُمْتُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَأَلْقَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - التَّأْذِينَ هُوَ بِنَفْسِهِ ، فَقَالَ : " قُلِ : اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ " ثُمَّ قَالَ لِيَ : " ارْجِعْ فَامْدُدْ مِنْ صَوْتِكَ " . ثُمَّ قَالَ لِيَ : " قُلْ : أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ " . ثُمَّ دَعَانِي حِينَ قَضَيْتُ التَّأْذِينَ ، وَأَعْطَانِي صُرَّةً فِيهَا شَيْءٌ مِنْ فِضَّةٍ ، ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ عَلَى نَاصِيَةِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، ثُمَّ أَمَرَّهَا عَلَى وَجْهِهِ ، ثُمَّ أَمَرَّ بَيْنَ ثَدْيَيْهِ ، ثُمَّ عَلَى كَبِدِهِ ، حَتَّى بَلَغَتْ يَدُهُ سُرَّةَ أَبِي مَحْذُورَةَ ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " بَارَكَ اللَّهُ فِيكَ ، وَبَارَكَ عَلَيْكَ " . فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، مُرْنِي بِالتَّأْذِينِ بِمَكَّةَ . فَقَالَ : " قَدْ أَمَرْتُكَ بِهِ " وَذَهَبَ كُلُّ شَيْءٍ كَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - مِنْ كَرَاهِيَةٍ ، وَعَادَ ذَلِكَ كُلُّهُ مَحَبَّةً لِلنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَقَدِمْتُ عَلَى عَتَّابِ بْنِ أَسِيدٍ عَامِلِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَذَّنْتُ بِالصَّلَاةِ عَنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ : فَأَخْبَرَنِي مَنْ أَدْرَكْتُ مِنْ آلِ أَبِي مَحْذُورَةَ عَلَى نَحْوِ مَا أَخْبَرَنِي ابْنُ مُحَيْرِيزٍ . هَذَا حَدِيثُ الرَّبِيعِ وَلَفْظُهُ
পরিচ্ছেদঃ ৫. আবু মাহযুরা (রাঃ)-এর আযান এবং এ সম্পর্কে বিভিন্নরূপ রিওয়ায়াত
৮৭৮(২). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... আশ-শাফিঈ (রহঃ) বলেন, আমি ইবরাহীম ইবনে আবদুল আযীয ইবনে আবদুল মালেক ইবনে আবু মাহযুরার সাক্ষাত পেলাম। তিনি ইবনে মুহাইরীয (রহঃ)-এর বর্ণনার অনুরূপ আযান দেন। আমি তাকে তার পিতা-ইবনে মুহাইরীয-আবু মাহয়ূরা (রাঃ)-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে ইবনে জুরাইজ (রহঃ)-এর বর্ণনার অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি।
আমি তাকে ইকামত দিতে শুনেছি। তিনি বলেন, আল্লাহু আকবার আল্লাহ আকবার, আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ, হায়্যা আলাস-সালাহ, হায়্যা আলাল-ফালাহ, কাদ কামাতিস সালাহ কাদ কামাতিস সালাহ। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। আমার ধারণা যে, তিনি আযানের বর্ণনার অনুরূপ ইকামতের বর্ণনা দিয়েছেন।
بَابٌ : فِي ذِكْرِ أَذَانِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِيهِ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا الرَّبِيعُ ، ثَنَا الشَّافِعِيُّ ، قَالَ : وَأَدْرَكْتُ إِبْرَاهِيمَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي مَحْذُورَةَ ، يُؤَذِّنُ كَمَا حَكَى ابْنُ مُحَيْرِيزٍ ، وَسَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ ، عَنْ أَبِي مَحْذُورَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِمَعْنَى مَا حَكَى ابْنُ جُرَيْجٍ ، وَسَمِعْتُهُ يُقِيمُ فَيَقُولُ : اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ ، قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ ، قَدْ قَامَتِ الصَّلَاةُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، اللَّهُ أَكْبَرُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ " . وَأَحْسَبُهُ يَحْكِي الْإِقَامَةَ خَبَرًا كَمَا يَحْكِي الْأَذَانَ