পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতুল কুসূফ-এর (সূর্যগ্রহণের নামায) বিবরণ
রেওয়ায়ত ১. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে একবার সূর্যগ্ৰহণ হইল। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের লইয়া নামায পড়িলেন, তিনি নামাযে দাঁড়াইলেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াইলেন। অতঃপর রুকু করিলেন- অনেক দীর্ঘ রুকু। তারপর দাঁড়াইলেন দীর্ঘক্ষণ; কিন্তু প্রথম দাড়ানো আপেক্ষা কম, তারপর রুকু করিলেন; রুকূকে দীর্ঘ করিলেন; তবে ইহা ছিল পূর্বের রুকু অপেক্ষা কম। তারপর পবিত্র শির উঠাইলেন এবং সিজদা করিলেন। অতঃপর দ্বিতীয় রাক’আতেও প্রথম রাকাআতের মত কার্যাদি সম্পন্ন করিলেন; তারপর নামায সমাপ্ত করিলেন। এতক্ষণে সূর্য দীপ্যমান ও উজ্জ্বল হইয়া গিয়াছে। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করিলেন। তিনি (খুতবার প্রথমে) আল্লাহর প্রশংসা ও হামদ বর্ণনা করিলেন এবং বলিলেনঃ সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুইটি নিদর্শন। কোন ব্যক্তির মৃত্যু অথবা জন্মের কারণে উহাদের গ্রহণ হয় না। যখন তোমরা উহা দেখিতে পাও, তখন আল্লাহর নিকট দুআ করবে এবং আল্লাহর তকবীর উচ্চারণ করবে আর সদকা প্রদান করবে। অতঃপর ফরমাইলেনঃ হে উম্মতে মুহাম্মদী। আল্লাহর কসম, তিনি অপেক্ষা অধিক অভিমানী বা ঘৃণাকারী আর কেউ নাই। (আল্লাহ ইহাকে অতি ঘৃণা করেন যে, তাহার কোন বান্দা বা কোন বান্দী ব্যভিচারে লিপ্ত হউক।) হে উম্মতে মুহাম্মদী আল্লাহর কসম, যদি তোমরা অবগত হইতে, যাহা আমি অবগত আছি,তাহা হইলে নিশ্চয় তোমরা কম হাসিতে ও অধিক কাঁদিতে।
بَاب الْعَمَلِ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ خَسَفَتْ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ فَسَجَدَ ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الْآخِرَةِ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدْ تَجَلَّتْ الشَّمْسُ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَا يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَادْعُوا اللَّهَ وَكَبِّرُوا وَتَصَدَّقُوا ثُمَّ قَالَ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ وَاللَّهِ مَا مِنْ أَحَدٍ أَغْيَرَ مِنْ اللَّهِ أَنْ يَزْنِيَ عَبْدُهُ أَوْ تَزْنِيَ أَمَتُهُ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ وَاللَّهِ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلًا وَلَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said, "There was an eclipse of the sun in the time of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, led the people in prayer. He stood, and did so for a long time. Then he went into ruku, and made the ruku long. Then he stood again, and did so for a long time, though not as long as the first time. Then he went into ruku, and made the ruku long, though not as long as thefirst time. Then he rose, and went down into sajda. He then did the same in the second raka, and by the time he had finished the sun had appeared. He then gave a khutba to the people, in which he praised Allah and then said, 'The sun and the moon are two of Allah's signs. They do not eclipse for anyone's death nor for anyone's life. When you see an eclipse, call on Allah and say, "Allah is greater" and give sadaqa.' Then he said, 'O community of Muhammad! ByAllah, there is no-one more jealous than Allah of a male or female slave of his who commits adultery. O community of Muhammad! By Allah, if you knew what I knew, you would laugh little and weep much'."
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতুল কুসূফ-এর (সূর্যগ্রহণের নামায) বিবরণ
রেওয়ায়ত ২. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ একবার সূর্যগ্রহণ হইল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায পড়িলেন এবং তিনি তাহার নামাযে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াইলেন। রাবী বলেনঃ সূরা বাকারা পাঠ করার কাছাকাছি সময় (দাঁড়াইলেন)। তিনি বলেন, অতঃপর লম্বা রুকূ করিলেন। তারপর মাথা উঠাইলেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াইলেন কিন্তু প্রথম দাঁড়ানো অপেক্ষ কম। তারপর লম্বা রুকূ করিলেন, প্রথম রুকু অপেক্ষা কম। অতঃপর তিনি সিজদা করিলেন। তারপর দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াইলেন কিন্তু পূর্বের দাঁড়ানো অপেক্ষা কম। তারপর রুকূ করিলেন, দীর্ঘ রুকূ কিন্তু পূর্বের রুকু অপেক্ষা কম। আবার মাথা তুলিলেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াইলেন, কিন্তু পূর্বের দাঁড়ানো অপেক্ষা কম, তারপর দীর্ঘ রুকূ করিলেন, তবে পূর্বের রুকু অপেক্ষা কম, তারপর সিজদা করিলেন। ইহার পর নামায সমাপ্ত করিলেন। আর ততক্ষণে সূর্য দীপ্যমান ও উজ্জ্বল হইয়া গিয়াছে।
তারপর তিনি বলিলেনঃ সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুইটি নিদর্শন, কোন লোকের মৃত্যু অথবা জন্মের কারণে ইহার গ্রহণ হয় না। যখন তোমরা উহা দেখিতে পাও, তখন সকলে আল্লাহকে স্মরণ করিও। সাহাবীগণ বলিলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! এই জায়গায় আপনাকে আমরা কোন কিছু গ্রহণ করিতে দেখিতে পাইলাম, আবার আপনাকে পিছনে সরিতে দেখিলাম (ইহার তাৎপর্য বুঝাইয়া দিন)। উত্তরে তিনি বলিলেনঃ আমি বেহেশত দেখিতে পাইলাম এবং তথা হইতে একটি আঙ্গুরের ছড়া গ্রহণ করিতে চাহিয়াছিলাম, আমি উহা গ্রহণ করিলে পৃথিবী কায়েম থাকা পর্যন্ত তোমরা উহা হইতে আহার করিতে পারিতে। আর আমি দোযখকেও দেখিতে পাইলাম, যাহার যত ভয়ঙ্কর দৃশ্য আমি কখনও দেখি নাই। আর আমি দেখিতে পাইলাম যে, উহার অধিকাংশ অধিবাসীই নারী। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করিলেনঃ ইহার কারণ কি? হে আল্লাহর রসূল! তিনি বলিলেনঃ তাহাদের কুফরীর কারণে। প্রশ্ন করা হইলঃ তাহারা কি আল্লাহ্ তা’আলার সাথে কুফরী করিয়া থাকে। তিনি বললেনঃ (না, বরং) স্বামীর অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়া থাকে এবং ইহসান অস্বীকার করিয়া বসে। তুমি যদি তাহাদের কাহারও সাথে যুগ যুগ ধরিয়া ইহসান করিতে থাক, অতঃপর সে যদি কোন একদিন তোমার নিকট হইতে তাহার অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তবে বলিবে, আমি কোন মঙ্গল তোমার নিকট হইতে লাভ করি নাই।’
بَاب الْعَمَلِ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ خَسَفَتْ الشَّمْسُ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ مَعَهُ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا نَحْوًا مِنْ سُورَةِ الْبَقَرَةِ قَالَ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوعِ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدْ تَجَلَّتْ الشَّمْسُ فَقَالَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لَا يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلَا لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْنَاكَ تَنَاوَلْتَ شَيْئًا فِي مَقَامِكَ هَذَا ثُمَّ رَأَيْنَاكَ تَكَعْكَعْتَ فَقَالَ إِنِّي رَأَيْتُ الْجَنَّةَ فَتَنَاوَلْتُ مِنْهَا عُنْقُودًا وَلَوْ أَخَذْتُهُ لَأَكَلْتُمْ مِنْهُ مَا بَقِيَتْ الدُّنْيَا وَرَأَيْتُ النَّارَ فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ مَنْظَرًا قَطُّ وَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا النِّسَاءَ قَالُوا لِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ لِكُفْرِهِنَّ قِيلَ أَيَكْفُرْنَ بِاللَّهِ قَالَ وَيَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ وَيَكْفُرْنَ الْإِحْسَانَ لَوْ أَحْسَنْتَ إِلَى إِحْدَاهُنَّ الدَّهْرَ كُلَّهُ ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from Ata ibn Yasar that Abdullah ibn Abbas said, "There was an eclipse of the sun and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, prayed, and the people prayed with him. He stood for a long time, nearly as long as (it takes to recite) Surat al-Baqara (Sura 2), and then went into ruku for a long time. Then he rose and stood for a long time, though less than the first time.Then he went into ruku for a long time, though less than the first time. Then he went down into sajda. Then he stood for a long time, though less than the first time. Then he went into ruku for a long time, though less than the first time. Then he rose and stood for a long time, though less than the firsttime.
Then he went into ruku for a long time, though less than the first time. Then he went down into sajda, and by the time he had finished the sun had appeared. Then he said, 'The sun and the moon are two of Allah's signs. They do not eclipse for anyone's death nor for anyone's life. When you see an eclipse, remember Allah.' They said, 'Messenger of Allah, we saw you reach out for something while you were standing here and then we saw you withdraw.' He said, 'I saw the Garden and I reached out for a bunch of grapes from it, and if I had taken it you would have been able to eat from it for as long as this world lasted. Then I saw the Fire - and I have never seen anything more hideous than what I saw today - and I saw that most of its people were women.' They said, 'Why, Messenger of Allah?' He said, 'Because of their ungratefulness (kufr).'
Someone said, 'Are they ungrateful toAllah?' He said, 'They are ungrateful to their husbands and they are ungrateful for good behaviour (towards them) . Even if you were to behave well towards one of them for a whole lifetime and then she were to see you do something (that she did not like) she would say that she had never seen anything good from you.' "
পরিচ্ছেদঃ ১. সালাতুল কুসূফ-এর (সূর্যগ্রহণের নামায) বিবরণ
রেওয়ায়ত ৩. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একজন ইহুদী রমণী তাহার নিকট ভিক্ষা করিতে আসিল এবং তাঁহাকে, أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ (আল্লাহ্ আপনাকে কবরের আযাব হইতে রক্ষা করুন) বলিয়া দু’আ করিল। তারপর আয়েশা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রশ্ন করিলেনঃ কবরে লোকদিগকে আযাব দেওয়া হইবে কি? (উত্তরে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ আমি উহা হইতে আল্লাহর শরণ লইতেছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন সওয়ারীর পৃষ্ঠে আরোহণ করিলেন। তারপর সূর্যগ্ৰহণ লাগিয়াছে; তিনি চাশতের সময় প্রত্যাবর্তন করিলেন এবং উম্মাহাতুল মু’মিনীনের হুজরাসমূহের পিছন দিকে দাঁড়াইলেন, তারপর তিনি নামাযে দাঁড়াইয়া গেলেন, লোকজনও তাহার পিছনে দাঁড়াইয়া গেল। তারপর তিনি নামাযে দীর্ঘ সময় দাঁড়াইলেন, অতঃপর রুকু করিলেন, দীর্ঘ রুকু, তারপর মাথা তুলিলেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াইলেন, কিন্তু ইহা ছিল প্রথমবার দাঁড়ানো হইতে কম দীর্ঘ। তারপর রুকূ করিলেন অনেক দীর্ঘ, কিন্তু প্রথম রুকু অপেক্ষা কম। তারপর রুকু হইতে মাথা তুলিলেন এবং সিজদা করিলেন, তারপর দীর্ঘসময় দাঁড়াইলেন; কিন্তু ইহা ছিল পূর্বের দাঁড়ানো অপেক্ষা কম দীর্ঘ। অতঃপর দীর্ঘ রুকু করিলেন, কিন্তু সাবেক রুকু অপেক্ষা কম। তারপর মাথা উঠাইলেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াইলেন, কিন্তু প্রথম দাঁড়ানো অপেক্ষা কম। তারপর লম্বা রুকূ করিলেন, আর ইহা ছিল পূর্বের রুকু অপেক্ষা কম। তারপর মাথা তুলিলেন এবং সিজদা করিলেন, তারপর নামায সমাপ্ত করিলেন। তারপর যাহা ইচ্ছা নসীহত করিলেন। অতঃপর সকলকে কবর আযাব হইতে আল্লাহর শরণ লইবার নির্দেশ দিলেন।
بَاب الْعَمَلِ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ يَهُودِيَّةً جَاءَتْ تَسْأَلُهَا فَقَالَتْ أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ فَسَأَلَتْ عَائِشَةُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُعَذَّبُ النَّاسُ فِي قُبُورِهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَائِذًا بِاللَّهِ مِنْ ذَلِكَ ثُمَّ رَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ غَدَاةٍ مَرْكَبًا فَخَسَفَتْ الشَّمْسُ فَرَجَعَ ضُحًى فَمَرَّ بَيْنَ ظَهْرَانَيْ الْحُجَرِ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي وَقَامَ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ فَسَجَدَ ثُمَّ قَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلًا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الْأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ انْصَرَفَ فَقَالَ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَتَعَوَّذُوا مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from 'Amra bint Abd ar-Rahman from A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, that a jewish woman came to beg from her and said, "May Allah give you refuge from the punishment of the grave." So A'isha asked the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, "Are people punished in their graves?", and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, took refuge in Allah from that. Then one morning the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, went out on a journey and there was an eclipse of the sun, and he returned in the late morning and passed through his apartments.
Then he stood and prayed, and the people stood behind him. He stood for a long time, and then went into ruku for a long time. Then he rose and stood for a long time, though less than the first time, and then went into ruku for a long time, though less than the first time. Then he rose, and went down into sajda. Then he stood for a long time, though less than the time before, and then went into ruku for a long time, though less than the time before. Then he rose and stood for a long time, though less than the time before, and then went into ruku for a long time, though less than the time before. Then he rose, and went down into sajda. When he had finished he said what Allah willed him to say, and then he told them to seek protection for themselves from the punishment of the grave."
পরিচ্ছেদঃ ২. সালাতুল-কুসূফ-এর বিশেষ বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৪. আসমা বিনত আবু বকর (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট গেলাম, তখন সূর্যগ্রহণ লাগিয়াছে এবং লোকজন দাঁড়াইয়া নামায পড়িতেছিলেন। আয়েশা (রাঃ)-ও তখন নামাযে দাঁড়াইয়াছিলেন। তখন আমি প্রশ্ন করিলামঃ লোকের কি হইল? (উত্তরে) তিনি আসমানের দিকে ইশারা করিলেন এবং সুবহানাল্লাহ বললেন। আমি বললামঃ ইহা কি একটি নিদর্শন। তিনি শির দ্বারা ইঙ্গিতে বলিলেন, ’হ্যাঁ’ আসমা বলেনঃ অতঃপর আমি দাঁড়াইলাম এমন অবস্থায় যে, সংজ্ঞাহীনতা আমাকে আবৃত করিয়া ফেলিয়াছে এবং আমি মাথায় পানি ঢালিতে আরম্ভ করিলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সানা ও হামদ আদায় করিলেন। তারপর বলিলেনঃ এমন কোন বস্তু নাই যাহা আমি এই মুহুর্তে এই স্থানে দেখি নাই। এমন কি জান্নাত ও দোযখও এখন দেখিয়াছি। ওহী মারফত আমাকে জানানো হইয়াছে- তোমরা কবরে পরীক্ষার সম্মুখীন হইবে দাজ্জালের ফেতনার সদৃশ কিংবা উহার ফেতনার কাছাকাছি। (রাবীর এই বিষয়ে সন্দেহ হইয়াছে) আসমা বলেনঃ তিনি কোনটি বলিয়াছেন তাহা আমার স্মরণ নাই। তোমাদের একজনের নিকট ফেরেশতা আসিবেন এবং তাহাকে বলা হইবে- এই ব্যক্তি অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাপারে তোমার কি জানা আছে? অতঃপর মু’মিন অথবা মুকিন (ইয়াকীনওয়ালা) [আসমা (রাঃ) বলেন] কোনটি বলিয়াছেন- সদৃশ বলিয়াছেন, না কাছাকাছি বলিয়াছেন তাহা আমার স্মরণ নাই- (ফেরেশতার প্রশ্নের উত্তরে) বলিবেনঃ ইনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি আমাদের কাছে হিদায়েত ও নিদর্শনসমূহ লইয়া আগমন করিয়াছেন, তখন আমরা তাহার হিদায়েত ও নিদর্শনসমূহকে মানিয়া নিয়াছি এবং তাহার প্রতি ঈমান আনিয়াছি এবং তাহার পায়রবী করিয়াছি। তখন তাহাকে বলা হইবেঃ তুমি সংলোক, তুমি ভালরূপে ঘুমাও। আমাদের জানা ছিল যে, তুমি ঈমানদার। আর মুনাফিক অথবা মুরতাব (সন্দেহ পোষণকারী) ব্যক্তি আসমা (রাঃ) বলেনঃ কোনটি বলিয়াছেন তাহা আমার স্মরণ নাই, সে বলিবেঃ আমি কিছু জানি না, লোকজনকে যাহা বলিতে শুনিয়াছি তাহাই বলিয়াছি।
بَاب مَا جَاءَ فِي صَلَاةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ أَنَّهَا قَالَتْ أَتَيْتُ عَائِشَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ خَسَفَتْ الشَّمْسُ فَإِذَا النَّاسُ قِيَامٌ يُصَلُّونَ وَإِذَا هِيَ قَائِمَةٌ تُصَلِّي فَقُلْتُ مَا لِلنَّاسِ فَأَشَارَتْ بِيَدِهَا نَحْوَ السَّمَاءِ وَقَالَتْ سُبْحَانَ اللَّهِ فَقُلْتُ آيَةٌ فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا أَنْ نَعَمْ قَالَتْ فَقُمْتُ حَتَّى تَجَلَّانِي الْغَشْيُ وَجَعَلْتُ أَصُبُّ فَوْقَ رَأْسِي الْمَاءَ فَحَمِدَ اللَّهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ مَا مِنْ شَيْءٍ كُنْتُ لَمْ أَرَهُ إِلَّا قَدْ رَأَيْتُهُ فِي مَقَامِي هَذَا حَتَّى الْجَنَّةُ وَالنَّارُ وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيَّ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ مِثْلَ أَوْ قَرِيبًا مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ لَا أَدْرِي أَيَّتَهُمَا قَالَتْ أَسْمَاءُ يُؤْتَى أَحَدُكُمْ فَيُقَالُ لَهُ مَا عِلْمُكَ بِهَذَا الرَّجُلِ فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ أَوْ الْمُوقِنُ لَا أَدْرِي أَيَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ فَيَقُولُ هُوَ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى فَأَجَبْنَا وَآمَنَّا وَاتَّبَعْنَا فَيُقَالُ لَهُ نَمْ صَالِحًا قَدْ عَلِمْنَا إِنْ كُنْتَ لَمُؤْمِنًا وَأَمَّا الْمُنَافِقُ أَوْ الْمُرْتَابُ لَا أَدْرِي أَيَّتَهُمَا قَالَتْ أَسْمَاءُ فَيَقُولُ لَا أَدْرِي سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ شَيْئًا فَقُلْتُهُ
Yahya related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from Fatima bint al Mundhir that Asma bint Abi Bakr as-Siddiq said, "I went to A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, during an eclipse of the sun, and everybody was standing in prayer, and she too was standing praying. I said, 'What is everybody doing?' She pointed towards the sky with her hand and said, 'Glory be to Allah.' I said, 'A sign?' She nodded 'Yes' with her head."
She continued, "I stood until I had almost fainted, and I began to pour water over my head. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, praised Allah and spoke well of Him, and then said, 'There is nothing which I had previously not seen beforehand that I have not now seen while standing - even the Garden and the Fire. It has been revealed to me that you will be tried in your graves with a trial, like, or near to, the trial of the Dajjal (I do not know which one Asma said). Every one of you will have someone who comes to him and asks him, 'What do you know about this man?' A mumin, or one who has certainty (muqin) (I do not know which one Asma said), will say, 'He is Muhammad, the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, who came to us with clear proofs and guidance, and we answered and believed and followed.' He will then be told, 'Sleep in a good state. We know now that you were a mumin.' A hypocrite, however, or one who has doubts (l do not know which one Asma said), will say, 'I do not know, I heard everybody saying something and I said it.' "