পরিচ্ছেদঃ ১. জিহাদের জন্য উৎসাহ প্রদান
وَأَنزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ وَلَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ
অর্থঃ তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি, মানুষকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য যাহা তাহাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হইয়াছিল, যাহাতে উহারা চিন্তা করে। (সূরা আন-নাহলঃ ৪৪)
রেওয়ায়ত ১. আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ আল্লাহর পথে জিহাদরত ব্যক্তি যতদিন বাড়ি ফিরিয়া না আসে ততদিন তাহার উদাহরণ হইল এমন এক ব্যক্তি, যে ক্লান্তিহীনভাবে অনবরত রোযা রাখে এবং নামায পড়ে।
بَاب التَّرْغِيبِ فِي الْجِهَادِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَثَلُ الْمُجَاهِدِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ الصَّائِمِ الْقَائِمِ الدَّائِمِ الَّذِي لَا يَفْتُرُ مِنْ صَلَاةٍ وَلَا صِيَامٍ حَتَّى يَرْجِعَ
Yahya related to me from Malik from Abu'z-Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said "Someone who does jihad in the way of Allah is like someone who fasts and prays constantly and who does not slacken from his prayer and fasting until he returns."
পরিচ্ছেদঃ ১. জিহাদের জন্য উৎসাহ প্রদান
রেওয়ায়ত ২. আবু হুরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করে আর শুধুমাত্র জিহাদ এবং আল্লাহর কথার উপর অপরিসীম আস্থাই তাহাকে বাড়ি হইতে বাহির করিয়া নিয়া আসে, আল্লাহ তা’আলা ঐ ব্যক্তির জিম্মাদার হইয়া যান। হয় তাহাকে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করাইবেন অথবা সওয়াব ও গনীমতের সম্পদসহ তাহাকে বাড়ি ফিরাইয়া আনিবেন।
بَاب التَّرْغِيبِ فِي الْجِهَادِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَكَفَّلَ اللَّهُ لِمَنْ جَاهَدَ فِي سَبِيلِهِ لَا يُخْرِجُهُ مِنْ بَيْتِهِ إِلَّا الْجِهَادُ فِي سَبِيلِهِ وَتَصْدِيقُ كَلِمَاتِهِ أَنْ يُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ أَوْ يَرُدَّهُ إِلَى مَسْكَنِهِ الَّذِي خَرَجَ مِنْهُ مَعَ مَا نَالَ مِنْ أَجْرٍ أَوْ غَنِيمَةٍ
Yahya related to me from Malik from Abu'z Zinad from al-Araj from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Allah guarantees either the Garden or a safe return to his home with whatever he has obtained of reward or booty, for the one who does jihad in His way, if it is solely jihad and trust in his promise that brings him out of his house."
পরিচ্ছেদঃ ১. জিহাদের জন্য উৎসাহ প্রদান
রেওয়ায়ত ৩. আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, ঘোড়া তিন ধরনের। একজনের জন্য ইহা সওয়াবের, আর একজনের জন্য ইহা ঢালস্বরূপ এবং আর একজনের জন্য ইহা গুনাহর কারণ হইয়া থাকে। ইহা সওয়াবের কারণ হয় ঐ ব্যক্তির জন্য, যে ব্যক্তি ইহাকে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের নিয়তে লালন-পালন করে। কোন চারণক্ষেত্রে বা বাগানে ইহাকে দীর্ঘ রজ্জুর সাহায্যে খুঁটির সঙ্গে বাঁধিয়া রাখে। যতদূর পর্যন্ত এই ঘোড়াটি ঘাস খাইবে তাহার আমলনামায় সওয়াব লেখা হইবে। ঘোড়াটি যদি রজ্জু ছিড়িয়া আরো দূরে চলিয়া যায়, তবে ইহার প্রতিটি পদক্ষেপ এবং বিষ্ঠার বিনিময়ে সওয়াব লেখা হইবে। কোন নদীর কাছে গিয়া যদি ইহা পানি পান করে, তবে মালিক ইচ্ছা করিয়া পানি পান না করানো সত্ত্বেও ইহার সওয়াব লেখা হইবে। আর ইহা ঢালস্বরূপ হইল ঐ ব্যক্তির জন্য, যে ব্যক্তি ইহাকে উপার্জনের এবং পরমুখাপেক্ষী না হওয়ার উদ্দেশ্যে লালন-পালন করে এবং ইহার যাকাত আদায় করে। আর পাপের কারণ হইল ঐ ব্যক্তির জন্য, যে অহংকার ও রিয়াকারী এবং মুসলিমদের সহিত শত্রুতা করার উদ্দেশ্যে ইহাকে লালন-পালন করে। গাধা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হইলে তিনি বলিলেনঃ এই সম্পর্কে আমার উপর নিম্নের এই স্বয়ংসম্পূর্ণ আয়াতটি ব্যতীত অন্য কোন হুকুম অবতীর্ণ হয় নাই। আয়াতটি হইল এইঃ
(فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ)
অর্থঃ সামান্য পরিমাণ নেক আমল করিলে তাহাও সে দেখিতে পাইবে আর সামান্য পরিমাণ মন্দ আমল করিলে তাহাও সে দেখিতে পাইবে । (সূরা যিলযালঃ ৭-৮)
بَاب التَّرْغِيبِ فِي الْجِهَادِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْخَيْلُ لِرَجُلٍ أَجْرٌ وَلِرَجُلٍ سِتْرٌ وَعَلَى رَجُلٍ وِزْرٌ فَأَمَّا الَّذِي هِيَ لَهُ أَجْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَأَطَالَ لَهَا فِي مَرْجٍ أَوْ رَوْضَةٍ فَمَا أَصَابَتْ فِي طِيَلِهَا ذَلِكَ مِنْ الْمَرْجِ أَوْ الرَّوْضَةِ كَانَ لَهُ حَسَنَاتٌ وَلَوْ أَنَّهَا قُطِعَتْ طِيَلَهَا ذَلِكَ فَاسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ كَانَتْ آثَارُهَا وَأَرْوَاثُهَا حَسَنَاتٍ لَهُ وَلَوْ أَنَّهَا مَرَّتْ بِنَهَرٍ فَشَرِبَتْ مِنْهُ وَلَمْ يُرِدْ أَنْ يَسْقِيَ بِهِ كَانَ ذَلِكَ لَهُ حَسَنَاتٍ فَهِيَ لَهُ أَجْرٌ وَرَجُلٌ رَبَطَهَا تَغَنِّيًا وَتَعَفُّفًا وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللَّهِ فِي رِقَابِهَا وَلَا فِي ظُهُورِهَا فَهِيَ لِذَلِكَ سِتْرٌ وَرَجُلٌ رَبَطَهَا فَخْرًا وَرِيَاءً وَنِوَاءً لِأَهْلِ الْإِسْلَامِ فَهِيَ عَلَى ذَلِكَ وِزْرٌ وَسُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْحُمُرِ فَقَالَ لَمْ يُنْزَلْ عَلَيَّ فِيهَا شَيْءٌ إِلَّا هَذِهِ الْآيَةُ الْجَامِعَةُ الْفَاذَّةُ فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ
Yahya related to me from Malik from Zayd ibn Aslam from Abu Salih as-Samman from Abu Hurayra that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Horses are a reward for one man, a protection for another, a burden for another. The one who has them as a reward is the one who dedicates them for use in the way of Allah, and tethers them in a meadow or grassland. Whatever the horse enjoys of the grassland or meadow in the length of its tether are good deeds for him. If it breaks its tether and goes over a hillock or two, its tracks and droppings are good deeds for him. If it crosses a river and drinks from it while he did not mean to allow it to drink it, that counts as good deeds for him, and the horse is a reward for him.
Another man uses his horse to gain self reliance and up- standingness and does not forget Allah's right on their necks and backs (i.e. he does not ill treat or over-work them). Horses are a protection for him .
Another man uses them out of pride to show them off and in hostility to the people of Islam. They are a burden on that man."
The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was asked about donkeys, and he said, "Nothing has been revealed to me about them except this single all- inclusive ayat, 'Whoever does an atom of good will see it, and whoever does an atom of evil, will see it.' " (Sura 99 Ayats 7,8) .
পরিচ্ছেদঃ ১. জিহাদের জন্য উৎসাহ প্রদান
রেওয়ায়ত ৪. আত ইবন ইয়াসার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ সর্বোচ্চ মর্যাদার আধকারী ব্যক্তির কথা তোমাদেরকে বলিব কি? যে ব্যক্তি স্বীয় ঘোড়ার লাগাম হাতে নিয়া আল্লাহর রাহে জিহাদে লিপ্ত থাকে, সেই ব্যক্তি হইল সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি। অতঃপর সর্বোচ্চ মর্যাদা হইল ঐ ব্যক্তির যে ইবাদতে লিপ্ত হইয়া থাকে আর কাহাকেও তাহার সহিত শরীক করে নাই।
بَاب التَّرْغِيبِ فِي الْجِهَادِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ الْأَنْصَارِيِّ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ النَّاسِ مَنْزِلًا رَجُلٌ آخِذٌ بِعِنَانِ فَرَسِهِ يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ النَّاسِ مَنْزِلًا بَعْدَهُ رَجُلٌ مُعْتَزِلٌ فِي غُنَيْمَتِهِ يُقِيمُ الصَّلَاةَ وَيُؤْتِي الزَّكَاةَ وَيَعْبُدُ اللَّهَ لَا يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا
Yahya related to me from Abdullah ibn Abd ar-Rahman ibn Mamar al- Ansari that Ata ibn Yasar said that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Shall I tell you who has the best degree among people? A man who takes the rein of his horse to do jihad in the way of Allah. Shall I tell you who has the best degree among people after him? A man who lives alone with a few sheep, performs the prayer, pays the zakat, and worships Allah without associating anything with him."
পরিচ্ছেদঃ ১. জিহাদের জন্য উৎসাহ প্রদান
রেওয়ায়ত ৫. উবাদা ইবন সামিত (রাঃ) বলেন, সচ্ছল ও অসচ্ছল সকল অবস্থায় এবং সুখে ও দুঃখে কথা শোনার, আনুগত্য প্রদর্শন করার, উপযুক্ত মুসলিম প্রশাসকদের সহিত বিবাদ না করার, সকল স্থানে সত্য বলার এবং আল্লাহর কাজে নিন্দুকের নিন্দ গ্রাহ্য না করার উপরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের হাতে আমরা বায়’আত করিয়াছি।
بَاب التَّرْغِيبِ فِي الْجِهَادِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَادَةُ بْنُ الْوَلِيدِ بْنِ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ بَايَعْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ فِي الْيُسْرِ وَالْعُسْرِ وَالْمَنْشَطِ وَالْمَكْرَهِ وَأَنْ لَا نُنَازِعَ الْأَمْرَ أَهْلَهُ وَأَنْ نَقُولَ أَوْ نَقُومَ بِالْحَقِّ حَيْثُمَا كُنَّا لَا نَخَافُ فِي اللَّهِ لَوْمَةَ لَائِمٍ
Yahya related to me from Malik that Yahya ibn Said said, ''Ubada ibn al-Walid ibn Ubada ibn as-Samit informed me from his father that his grandfather (Ubada) said, 'We made a contract with the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, to hear and obey in ease and hardship, enthusiasm and reluctance, and not to dispute with people in authority and to speak or establish the truth wherever we were without worrying about criticism.'"
পরিচ্ছেদঃ ১. জিহাদের জন্য উৎসাহ প্রদান
রেওয়ায়ত ৬. যাইদ ইবন আসলাম (রাঃ) বর্ণনা করেন-আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রাঃ) রোমক বাহিনীর শক্তিমত্তা ও নিজেদের আশংকাজনক অবস্থার কথা উল্লেখ করিয়া উমর বিন খাত্তাব (রাঃ)-এর নিকট পত্র লিখিলে উমর (রাঃ) উত্তরে লিখিয়াছিলেন, হামদ ও সালাতের পর। জানিয়া রাখুন, মুমিনের উপর যখনই কোন বিপদ আসুক না কেন আল্লাহ তাহা দূরীভূত করিয়া দেন। মনে রাখিবেন, একবারের কষ্ট কখনো দুইবারের সুখ ও আরামের উপর প্রাধান্য লাভ করিতে পারে না। আল্লাহ তা’আলা কুরআনুল করীমে ইরশাদ করেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
অর্থাৎ, ওহে মু’মিনগণ, তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং প্রতিরক্ষায় দৃঢ় হইয়া থাক আর আল্লাহকে ভয় কর, যাহাতে তোমরা সফলকাম হইতে পার। (আলে ইমরানঃ ২০০)
بَاب التَّرْغِيبِ فِي الْجِهَادِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ قَالَ كَتَبَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ يَذْكُرُ لَهُ جُمُوعًا مِنْ الرُّومِ وَمَا يَتَخَوَّفُ مِنْهُمْ فَكَتَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّهُ مَهْمَا يَنْزِلْ بِعَبْدٍ مُؤْمِنٍ مِنْ مُنْزَلِ شِدَّةٍ يَجْعَلْ اللَّهُ بَعْدَهُ فَرَجًا وَإِنَّهُ لَنْ يَغْلِبَ عُسْرٌ يُسْرَيْنِ وَأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ فِي كِتَابِهِ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اصْبِرُوا وَصَابِرُوا وَرَابِطُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
Yahya related to me from Malik that Zayd ibn Aslam had said that Ubayda ibn al-Jarrah had written to Umar ibn al-Khattab mentioning to him a great array of Byzantine troops and the anxiety they were causing him. Umar ibn al-Khattab wrote in reply to him, "Whatever hardship befalls a believing slave, Allah will make an opening for him after it, and a hardship will not overcome two eases. Allah the Exalted says in His Book, 'O you who trust, be patient, and vie in patience; be steadfast and fear Allah, perhaps you will profit.' " (Sura 3 ayat 200).
পরিচ্ছেদঃ ২. শক্রর দেশে কুরআনুল করীম লইয়া যাওয়া নিষিদ্ধ
রেওয়ায়ত ৭. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) বলিয়াছেনঃ শত্রুর দেশে কুরআন লইয়া যাইতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই নিষেধাজ্ঞার কারণ হইল, শত্রুরা যেন কুরআন শরীফের অবমাননা করার সুযোগ না পায়।
بَاب النَّهْيِ عَنْ أَنْ يُسَافَرَ بِالْقُرْآنِ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُسَافَرَ بِالْقُرْآنِ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ قَالَ مَالِك وَإِنَّمَا ذَلِكَ مَخَافَةَ أَنْ يَنَالَهُ الْعَدُوُّ
Yahya related to me from Malik from Nafi that Abdullah ibn Umar said that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade travelling with a Qur'an in the land of the enemy. Malik commented, "That is out of fear that the enemy will get hold of it."
পরিচ্ছেদঃ ৩. যুদ্ধে নারী ও শিশু হত্যার উপর নিষেধাজ্ঞা
রেওয়ায়ত ৮. আবদুর রহমান ইবন কা’ব (রাঃ) বলেন, ইবন আবুল হুকাইককে যাহারা হত্যা করিতে গিয়াছিলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাহাদিগকে নারী ও শিশু হত্যা করিতে নিষেধ করিয়া দিয়াছিলেন। ইবন কা’ব বলেন, ঐ কার্যে নিয়োজিতদের একজন বলিয়াছেনঃ ইবন আবুল হুকাইকের স্ত্রী চিৎকার করিয়া আমাদের তৎপরতা ফাঁস করিয়া দিয়াছিল। আমি তাহাকে হত্যা করার জন্য তলওয়ার উঠাইয়াছিলাম। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের নিষেধাজ্ঞা মনে পড়িতেই আবার নামাইয়া ফেলিয়াছিলাম। আর তাহা না হইলে তাহাকেও সেখানে শেষ করিয়া আসিতাম।
بَاب النَّهْيِ عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ فِي الْغَزْوِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ ابْنٍ لِكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبٍ أَنَّهُ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِينَ قَتَلُوا ابْنَ أَبِي الْحُقَيْقِ عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ قَالَ فَكَانَ رَجُلٌ مِنْهُمْ يَقُولُ بَرَّحَتْ بِنَا امْرَأَةُ ابْنِ أَبِي الْحُقَيْقِ بِالصِّيَاحِ فَأَرْفَعُ السَّيْفَ عَلَيْهَا ثُمَّ أَذْكُرُ نَهْيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَكُفُّ وَلَوْلَا ذَلِكَ اسْتَرَحْنَا مِنْهَا
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab that a son of Kab ibn Malik (Malik believed that ibn Shihab said it was Abd ar-Rahman ibn Kab) said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, forbade those who fought ibn Abi Huqayq (a treacherous jew from Madina) to kill women and children. He said that one of the men fighting had said, 'The wife of ibn Abi Huqayq began screaming and I repeatedly raised my sword against her. Then I would remember the prohibition of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, so I would stop. Had it not been for that, we would have been rid of her.'
পরিচ্ছেদঃ ৩. যুদ্ধে নারী ও শিশু হত্যার উপর নিষেধাজ্ঞা
রেওয়ায়ত ৯. ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম কোন এক যুদ্ধে একজন স্ত্রীলোককে নিহত অবস্থায় পড়িয়া থাকিতে দেখিতে পাইয়া এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেন এবং যুদ্ধে নারী ও শিশুহত্যা নিষিদ্ধ করেন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ فِي الْغَزْوِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ امْرَأَةً مَقْتُولَةً فَأَنْكَرَ ذَلِكَ وَنَهَى عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ
Yahya related to me from Malik from Nafi from Ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, saw the corpse of a woman who had been slain in one of the raids, and he disapproved of it and forbade the killing of women and children.
পরিচ্ছেদঃ ৩. যুদ্ধে নারী ও শিশু হত্যার উপর নিষেধাজ্ঞা
রেওয়ায়ত ১০. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) বর্ণিত-আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) সিরিয়ায় এক সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করিয়াছিলেন। উক্ত বাহিনীর এক-চতুর্থাংশের অধিনায়ক ছিলেন ইয়াযিদ ইবন আবূ সুফিয়ান (রাঃ)। বিদায়ের সময় তিনি তাহার সঙ্গে কিছুদূর পদব্রজে গমন করেন। তখন ইয়াযিদ (রাঃ) বলিলেন, আমীরুল মু’মিনীন হয় আপনি সওয়ারীতে আরোহণ করিয়া চলুন, না হয় আমি নামিয়া পড়ি এবং আমিও হাটিয়া চলি। আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) বলিলেনঃ তুমিও হাঁটিয়া চলিতে পার না আর আমিও সওয়ার হইতে পারিব না। আমার এই হাটাকে আমি আল্লাহর পথে কদম ফেলা বলিয়া বিশ্বাস করি। অতঃপর তিনি আরো বলিলেন, সেখানে কিছু এমন ধরনের লোক তুমি দেখিবে যাহারা নিজেদেরকে আল্লাহর ধ্যানে নিবেদিত বলিয়া মনে করে (অর্থাৎ খৃষ্টান পদ্রী)। তাহাদিগকে তাহদের অবস্থায় ছাড়িয়া দিও। কিছু এমন লোক দেখিবে যাহারা মধ্যভাগে মাথা মুন্ডন করে (তৎকালে অগ্নি উপাসকদের এই রীতি ছিল।) তাহাদিগকে সেখানেই তলোয়ার দিয়া উড়াইয়া দিবে। দশটি বিষয়ে তোমাকে আমি বিশেষ উপদেশ দিতেছি। উহার প্রতি লক্ষ্য রাখিও । নারী, শিশু ও বৃদ্ধদিগকে হত্যা করিবে না। ফলন্ত বৃক্ষ কাটিও না, আবাদ ভূমিকে ধ্বংস করিও না, খাওয়ার উদ্দেশ্যে ভিন্ন বকরী বা উট হত্যা করিও না, মৌমাছির মৌচাক পোড়াইয়া দিও না অথবা পানিতে ডুবাইয়া দিও না, গনীমত বা যুদ্ধলব্ধ মাল হইতে কিছু চুরি করিও না, হতোদ্যম বা ভীরু হইও না।
بَاب النَّهْيِ عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ فِي الْغَزْوِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ بَعَثَ جُيُوشًا إِلَى الشَّامِ فَخَرَجَ يَمْشِي مَعَ يَزِيدَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ وَكَانَ أَمِيرَ رُبْعٍ مِنْ تِلْكَ الْأَرْبَاعِ فَزَعَمُوا أَنَّ يَزِيدَ قَالَ لِأَبِي بَكْرٍ إِمَّا أَنْ تَرْكَبَ وَإِمَّا أَنْ أَنْزِلَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ مَا أَنْتَ بِنَازِلٍ وَمَا أَنَا بِرَاكِبٍ إِنِّي أَحْتَسِبُ خُطَايَ هَذِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ قَالَ لَهُ إِنَّكَ سَتَجِدُ قَوْمًا زَعَمُوا أَنَّهُمْ حَبَّسُوا أَنْفُسَهُمْ لِلَّهِ فَذَرْهُمْ وَمَا زَعَمُوا أَنَّهُمْ حَبَّسُوا أَنْفُسَهُمْ لَهُ وَسَتَجِدُ قَوْمًا فَحَصُوا عَنْ أَوْسَاطِ رُءُوسِهِمْ مِنْ الشَّعَرِ فَاضْرِبْ مَا فَحَصُوا عَنْهُ بِالسَّيْفِ وَإِنِّي مُوصِيكَ بِعَشْرٍ لَا تَقْتُلَنَّ امْرَأَةً وَلَا صَبِيًّا وَلَا كَبِيرًا هَرِمًا وَلَا تَقْطَعَنَّ شَجَرًا مُثْمِرًا وَلَا تُخَرِّبَنَّ عَامِرًا وَلَا تَعْقِرَنَّ شَاةً وَلَا بَعِيرًا إِلَّا لِمَأْكَلَةٍ وَلَا تَحْرِقَنَّ نَحْلًا وَلَا تُغَرِّقَنَّهُ وَلَا تَغْلُلْ وَلَا تَجْبُنْ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that Abu Bakr as-Siddiq was sending armies to ash-Sham. He went for a walk with Yazid ibn Abi Sufyan who was the commander of one of the battalions. It is claimed that Yazid said to Abu Bakr, "Will you ride or shall I get down?" Abu Bakrsaid, "I will not ride and you will not get down. I intend these steps of mine to be in the way of Allah."
Then Abu Bakr advised Yazid, "You will find a people who claim to have totally given themselves to Allah. Leave them to what they claim to have given themselves. You will find a people who have shaved the middle of their heads, strike what they have shaved with the sword.
"I advise you ten things:
Do not kill women or children or an aged, infirm person. Do not cut down fruit-bearing trees. Do not destroy an inhabited place. Do not slaughter sheep or camels except for food. Do not burn bees and do not scatter them. Do not steal from the booty, and do not be cowardly."
পরিচ্ছেদঃ ৩. যুদ্ধে নারী ও শিশু হত্যার উপর নিষেধাজ্ঞা
রেওয়ায়ত ১১. মালিক (রহঃ) জ্ঞাত হইয়াছেন, উমর ইবন আবদুল আযীয (রহঃ) তাহার জনৈক শাসনকর্তাকে লিখিয়াছিলেন, আমি জানিতে পারিয়াছি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হিওয়া সাল্লাম যখন কোন দিকে সৈন্যদল প্রেরণ করিতেন তখন তাহাদিগকে উপদেশ দিয়া বলিতেনঃ তোমরা আল্লাহর নামে আল্লাহরই পথে জিহাদ করিয়া যাও। যাহারা আল্লাহকে অস্বীকার করিয়াছে, কুফরী করিয়াছে, তাহদের বিরুদ্ধেই তোমরা এই জিহাদ করিতেছ। খেয়ানত করিও না, ওয়াদা ভঙ্গ করিও না, কাহারো নাক-কান কাটিয়া বিকৃত করিও না, শিশু ও নারীদিগকে হত্যা করিও না। অন্য সেনাদল ও বাহিনীকেও এই কথাগুলি শুনাইয়া দিও। আল্লাহ তোমাদের উপর শান্তি বর্ষণ করুন, তোমাদিগকে নিরাপদে রাখুন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ قَتْلِ النِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ فِي الْغَزْوِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ كَتَبَ إِلَى عَامِلٍ مِنْ عُمَّالِهِ أَنَّهُ بَلَغَنَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا بَعَثَ سَرِيَّةً يَقُولُ لَهُمْ اغْزُوا بِاسْمِ اللَّهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ تُقَاتِلُونَ مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ لَا تَغُلُّوا وَلَا تَغْدِرُوا وَلَا تُمَثِّلُوا وَلَا تَقْتُلُوا وَلِيدًا وَقُلْ ذَلِكَ لِجُيُوشِكَ وَسَرَايَاكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَالسَّلَامُ عَلَيْكَ
Yahya related to me from Malik that he had heard that Umar ibn Abd al-Aziz wrote to one of his governors, "It has been passed down to us that when the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, sent out a raiding party, he would say to them, 'Make your raids in the name of Allah in the way of Allah. Fight whoever denies Allah. Do not steal from the booty, and do not act treacherously. Do not mutilate and do not kill children.' Say the same to your armies and raiding parties, Allah willing. Peace be upon you."
পরিচ্ছেদঃ ৪. নিরাপত্তা চুক্তি প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১২. মালিক (রহঃ) কুফার জনৈক ব্যক্তি হইতে বর্ণনা করেন-উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) জনৈক সেনাধ্যক্ষকে লিখিয়াছিলেন, জানিতে পারিলাম, অনারব কাফেরদের মধ্যে কেহ যুদ্ধ বন্ধ করিয়া পাহাড়ে আশ্রয় নিলে তোমাদের কেহ তাহাকে ডাকিয়া বলে, “তোমার কোন ভয় নাই”, পরে হাতের মুঠায় পাইয়া আবার তাহাকে হত্যা করিয়া ফেলে। যাহার হাতে আমার প্রাণ তাহার কসম, সত্যই যদি কাহাকেও আমি কোনদিন এমন (ওয়াদা ভঙ্গ) করিতে দেখিতে পাই, তবে তাহার গর্দান উড়াইয়া দিব।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি সম্পর্কে আলিমগণ একমত নহেন এবং ইহার উপর আমল নাই।
মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল- ইশারা ইঙ্গিতে যদি কেহ কাহাকে আমান বা নিরাপত্তা প্রদান করে, তবে কি তাহা গ্রহণযোগ্য হইবে? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, আমি মনে করি সৈন্যদিগকে যেন বলিয়া দেওয়া হয় যে, ইশারা করিয়া যাহাকে নিরাপত্তা প্রদান করা হইয়াছে তাহাকে যেন হত্যা না করে। কারণ আমার মতে ইশারাও ভাষার মতোই। আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) বলিয়াছেনঃ যে জাতি চুক্তি ভঙ্গ করে, সেই জাতির উপর শক্ৰ চাপাইয়া দেওয়া হয়।
بَاب مَا جَاءَ فِي الْوَفَاءِ بِالْأَمَانِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ كَتَبَ إِلَى عَامِلِ جَيْشٍ كَانَ بَعَثَهُ إِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ رِجَالًا مِنْكُمْ يَطْلُبُونَ الْعِلْجَ حَتَّى إِذَا أَسْنَدَ فِي الْجَبَلِ وَامْتَنَعَ قَالَ رَجُلٌ مَطْرَسْ يَقُولُ لَا تَخَفْ فَإِذَا أَدْرَكَهُ قَتَلَهُ وَإِنِّي وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا أَعْلَمُ مَكَانَ وَاحِدٍ فَعَلَ ذَلِكَ إِلَّا ضَرَبْتُ عُنُقَهُ قَالَ يَحْيَى سَمِعْت مَالِك يَقُولُ لَيْسَ هَذَا الْحَدِيثُ بِالْمُجْتَمَعِ عَلَيْهِ وَلَيْسَ عَلَيْهِ الْعَمَلُ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الْإِشَارَةِ بِالْأَمَانِ أَهِيَ بِمَنْزِلَةِ الْكَلَامِ فَقَالَ نَعَمْ وَإِنِّي أَرَى أَنْ يُتَقَدَّمَ إِلَى الْجُيُوشِ أَنْ لَا تَقْتُلُوا أَحَدًا أَشَارُوا إِلَيْهِ بِالْأَمَانِ لِأَنَّ الْإِشَارَةَ عِنْدِي بِمَنْزِلَةِ الْكَلَامِ وَإِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ قَالَ مَا خَتَرَ قَوْمٌ بِالْعَهْدِ إِلَّا سَلَّطَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ الْعَدُوَّ
Yahya related to me from Malik from a man of Kufa that Umar ibn al-Khattab wrote to a lieutenant of an army which he had sent out, "I have heard that it is the habit of some of your men to chase an unbeliever till he takes refuge in a high place. Then one man tells him in Persian not to be afraid, and when he comes up to him, he kills him. By He in whose hand my self is, if I knew someone who had done that, I would strike off his head."
Yahya said, I heard Malik say, "This tradition is not unanimously agreed upon, so one does not act on it."
Malik when asked whether safe conduct promised by gesture had the same status as that promised by speech, said, "Yes. I think that one can request an army not to kill someone by gesturing for safe conduct, because as far as I am concerned, gesture has the same status as speech. I have heard that Abdullah ibn Abbas said, 'There is no people who betray a pledge, but that Allah gives their enemies power over them.' "
পরিচ্ছেদঃ ৫. যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে দান করিল তাহার কি হুকুম
রেওয়ায়ত ১৩. নাফি’ (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) জিহাদের উদ্দেশ্যে যদি কিছু দিতেন, তবে বলিতেনঃ ওয়াদি-এর কুরায় যখন পৌছিবে তখন ইহা তোমার।
بَاب الْعَمَلِ فِيمَنْ أَعْطَى شَيْئًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا أَعْطَى شَيْئًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ إِذَا بَلَغْتَ وَادِيَ الْقُرَى فَشَأْنَكَ بِهِ
Yahya related to me from Malik from Nafi that when Abdullah ibn Umar gave something in the way of Allah, he would say to its owner, "When you reach Wadi'l-Qura, (on the outskirts of Madina) then it is your affair."
পরিচ্ছেদঃ ৫. যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে দান করিল তাহার কি হুকুম
রেওয়ায়ত ১৪. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) হইতে বর্ণিত-সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলিতেন, কাহাকেও যদি জিহাদের উদ্দেশ্যে কোন কিছু দেওয়া হয় আর ঐ ব্যক্তি জিহাদের স্থানে পৌছিয়া যায়, তবে উহা তাহার হইয়া যাইবে।
মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল-কেহ যদি জিহাদ করার মানত করে আর তাহার পিতামাতা বা তাহাদের কোন একজন যদি তাহাকে জিহাদে যাইতে নিষেধ করে তবে সে কি করিবে? তিনি বলিলেনঃ আমার মতে মাতাপিতার অবাধ্যতা করা উচিত নহে এবং আপাতত জিহাদ আরেক বৎসর পর্যন্ত মওকুফ করিয়া রাখিবে, জিহাদের উপকরণসমূহও হেফাজত করিয়া রাখিবে।
নষ্ট হইয়া পড়ার আশংকা দেখা দিলে সে এইগুলি বিক্রি করিয়া মূল্য সংরক্ষণ করিয়া রাখিবে, যাহাতে সে আগামী বৎসর ইহা দ্বারা পুনরায় অস্ত্র ক্রয় করিতে পারে। তবে সে যদি সম্পদশালী হয় এবং ইচ্ছা মত অস্ত্র ক্রয় করার শক্তি যদি তাহার থাকে তাহা হইলে ঐ অস্ত্র যাহা ইচ্ছা তাহাই করিতে পারে।
بَاب الْعَمَلِ فِيمَنْ أَعْطَى شَيْئًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ كَانَ يَقُولُ إِذَا أُعْطِيَ الرَّجُلُ الشَّيْءَ فِي الْغَزْوِ فَيَبْلُغُ بِهِ رَأْسَ مَغْزَاتِهِ فَهُوَ لَهُ
وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ أَوْجَبَ عَلَى نَفْسِهِ الْغَزْوَ فَتَجَهَّزَ حَتَّى إِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْرُجَ مَنَعَهُ أَبَوَاهُ أَوْ أَحَدُهُمَا فَقَالَ لَا يُكَابِرْهُمَا وَلَكِنْ يُؤَخِّرُ ذَلِكَ إِلَى عَامٍ آخَرَ فَأَمَّا الْجِهَازُ فَإِنِّي أَرَى أَنْ يَرْفَعَهُ حَتَّى يَخْرُجَ بِهِ فَإِنْ خَشِيَ أَنْ يَفْسُدَ بَاعَهُ وَأَمْسَكَ ثَمَنَهُ حَتَّى يَشْتَرِيَ بِهِ مَا يُصْلِحُهُ لِلْغَزْوِ فَإِنْ كَانَ مُوسِرًا يَجِدُ مِثْلَ جَهَازِهِ إِذَا خَرَجَ فَلْيَصْنَعْ بِجَهَازِهِ مَا شَاءَ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that Said ibn al-Musayyab used to say, "When a man is given something to use in a military expedition, and he brings it to the battlefield, it is his."
Malik was asked about a man who pledged himself to go on a military campaign, equipped himself,and when he wanted to go out, one or both of his parents prevented him. He said, "He should not contradict them. Let him put it off for another year. As for the equipment, I think that he should store it until he needs it. If he fears that it will spoil, let him sell it and keep its price so that he can readily buy what is needed fora military expedition. If he is well-to-do, he will find the like of his equipment when he goes out, so let him do what he likes with his equipment."
পরিচ্ছেদঃ ৬. যুদ্ধে প্রাপ্ত নফল প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১৫. নাফি’ (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন, নজদ এলাকার দিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম একটি সেনাদল প্রেরণ করিয়াছিলেন। আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-ও ইহাতে শরীক ছিলেন। গনীমত হিসাবে অনেক উট ধরা পড়ে। প্রত্যেকেই বারটি বা এগারটি করিয়া উট প্রাপ্ত হন এবং প্রত্যেককেই আরো একটি করিয়া নফল (হিস্যাতিরিক্ত) দেওয়া হয়।[1]
بَاب جَامِعِ النَّفْلِ فِي الْغَزْوِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ سَرِيَّةً فِيهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قِبَلَ نَجْدٍ فَغَنِمُوا إِبِلًا كَثِيرَةً فَكَانَ سُهْمَانُهُمْ اثْنَيْ عَشَرَ بَعِيرًا أَوْ أَحَدَ عَشَرَ بَعِيرًا وَنُفِّلُوا بَعِيرًا بَعِيرًا
Yahya related to me from Malik from Nafi from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, sent a raiding party which included Abdullah ibn Umar near Najd. They plundered many camels and their portions were twelve or eleven camels each. They divided it up camel by camel.
পরিচ্ছেদঃ ৬. যুদ্ধে প্রাপ্ত নফল প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ১৬. ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ (রহঃ) বর্ণনা করেন, তিনি সাঈদ-ইবন মুসায়্যাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, জিহাদের মালে গনীমত বন্টন করার সময় একটি উট দশটি বকরীর সমান বলিয়া গণ্য করা হইত।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ জিহাদে যদি কেহ মজুর হিসাবে শরীক হয় আর অন্য মুজাহিদের সহিত সেও যদি যুদ্ধে উপস্থিত থাকে ও যুদ্ধ করে, আর সে আযাদ ব্যক্তি হয়, তবে গনীমত হইতে তাহাকেও হিস্যা প্রদান করা হইবে। আর যদি সে যুদ্ধে শরীক না হয় তবে সে হিস্যা পাইবে না। মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমি মনে করি, স্বাধীন ব্যক্তি যাহারা যুদ্ধে শরীক হয় তাহারা ব্যতীত অন্য কাহারও জন্য গনীমতের অংশ বরাদ্দ হইবে না।
بَاب جَامِعِ النَّفْلِ فِي الْغَزْوِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ يَقُولُ كَانَ النَّاسُ فِي الْغَزْوِ إِذَا اقْتَسَمُوا غَنَائِمَهُمْ يَعْدِلُونَ الْبَعِيرَ بِعَشْرِ شِيَاهٍ
قَالَ مَالِك فِي الْأَجِيرِ فِي الْغَزْوِ إِنَّهُ إِنْ كَانَ شَهِدَ الْقِتَالَ وَكَانَ مَعَ النَّاسِ عِنْدَ الْقِتَالِ وَكَانَ حُرًّا فَلَهُ سَهْمُهُ وَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَا سَهْمَ لَهُ وَأَرَى أَنْ لَا يُقْسَمَ إِلَّا لِمَنْ شَهِدَ الْقِتَالَ مِنْ الْأَحْرَارِ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said that he heard Said ibn al-Musayyab say, "When people in military expeditions divided the spoils, they made a camel equal to ten sheep."
Malik said about the paid labourer in military expeditions, "If he is present at the battle and is with the people in the battle and he is a free man, he has his share. If he is not present, he has no share."
Malik summed up, "I think that the booty is only divided among free men who have been present at the battle. "
পরিচ্ছেদঃ ৭. যে ধরনের সম্পদে এক-পঞ্চমাংশ আদায় করা ওয়াজিব নহে
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুসলিম দেশে সমুদ্রর তীরে যদি কোন (শত্রুদেশের) কাফের পাওয়া যায়, আর যদি সে বলেঃ আমরা ব্যবসায়ী লোক, পানির টানে এই দিকে আসিয়া পড়িয়াছি। আর মুসলিমদের নিকট ঐ বিবৃতি বিশ্বাসযোগ্য না হয় বরং তাহার অবস্থাদৃষ্টে ধারণা হয় যে, জাহাজ ভাঙ্গিয়া যাওয়ায় বা পানির জন্য সে মুসলিমদের বিনানুমতিতেই এইখানে নামিয়া আসিয়াছে, তবে এই ব্যক্তির ব্যাপারটি দেশের শাসনকর্তার ইখতিয়ারাধীন হইবে। যে ব্যক্তি তাহাকে গ্রেফতার করিয়াছে, সে তাহার সম্পত্তির এক-পঞ্চমাংশ পাইবে না।
بَاب مَا لَا يَجِبُ فِيهِ الْخُمُسُ
قَالَ مَالِك فِيمَنْ وُجِدَ مِنْ الْعَدُوِّ عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ بِأَرْضِ الْمُسْلِمِينَ فَزَعَمُوا أَنَّهُمْ تُجَّارٌ وَأَنَّ الْبَحْرَ لَفِظَهُمْ وَلَا يَعْرِفُ الْمُسْلِمُونَ تَصْدِيقَ ذَلِكَ إِلَّا أَنَّ مَرَاكِبَهُمْ تَكَسَّرَتْ أَوْ عَطِشُوا فَنَزَلُوا بِغَيْرِ إِذْنِ الْمُسْلِمِينَ أَرَى أَنَّ ذَلِكَ لِلْإِمَامِ يَرَى فِيهِمْ رَأْيَهُ وَلَا أَرَى لِمَنْ أَخَذَهُمْ فِيهِمْ خُمُسًا
Malik said about enemy soldiers who were found on the seashore of a Muslim land, and they claimed that they were merchants and that the sea had driven them ashore, while the Muslims were not able to verify any of that except that their ships were damaged, or they were thirsty and had disembarked without the permission of the Muslims, "I think that it is up to the imam to give his opinion about them, and I do not think that the tax of one fifth is taken from them."
পরিচ্ছেদঃ ৮. এক-পঞ্চমাংশ আলাদা করার পূর্বে গনীমত হইতে যে সমস্ত জিনিস আহার করা যায়
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুসলিমগণ শত্রুর দেশে খাদ্যদ্রব্য পাইলে বন্টনের পূর্বে তাহা আহার করিতে পারে। ইহাতে দোষের কিছু নাই।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ উট, গরু, বকরীকে আমি খাদ্যসামগ্রীর অন্তর্গত মনে করি, দুশমনের দেশে প্রবেশ করিলে মুসলিমগণ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের মতো এই সবও খাইতে পারে। এমন বস্তু যাহা আহার না করিয়া বণ্টনের জন্য একত্র করিলে সেনাদের কষ্ট হয় তাহা প্রয়োজনানুসারে ন্যায়নীতির সহিত ব্যবহার করা যাইতে পারে। তবে বাড়িতে নিয়া যাওয়ার জন্য সঞ্চয় করিয়া রাখা জায়েয নহে।
মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল-কেহ যদি কাফেরদের দেশে আহারযোগ্য কিছু পাইয়া উহা খাইয়া ফেলে এবং অবশিষ্ট খাদ্য বাড়ি নিয়া আসে বা পথে বিক্রয় করিয়া পয়সা নিয়া নেয় তবে কি হইবে? তিনি বলিলেন, জিহাদে লিপ্ত থাকা অবস্থায় যদি বিক্রয় করে, তবে উহা গনীমতের মালের সহিত সংযুক্ত হইবে। বাড়ি চলিয়া আসিলে উহা খাওয়া বা উহার মূল্য স্বীয় কাজে ব্যবহার করা জায়েয আছে যদি সামান্য এবং মামুলি ধরনের (যেমন মাংস, রুটি ইত্যাদি) জিনিস হয়।
بَاب مَا يَجُوزُ لِلْمُسْلِمِينَ أَكْلُهُ قَبْلَ الْخُمُسِ
قَالَ مَالِك لَا أَرَى بَأْسًا أَنْ يَأْكُلَ الْمُسْلِمُونَ إِذَا دَخَلُوا أَرْضَ الْعَدُوِّ مِنْ طَعَامِهِمْ مَا وَجَدُوا مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ قَبْلَ أَنْ تَقَعَ الْمَقَاسِمُ قَالَ مَالِك وَأَنَا أَرَى الْإِبِلَ وَالْبَقَرَ وَالْغَنَمَ بِمَنْزِلَةِ الطَّعَامِ يَأْكُلُ مِنْهُ الْمُسْلِمُونَ إِذَا دَخَلُوا أَرْضَ الْعَدُوِّ كَمَا يَأْكُلُونَ مِنْ الطَّعَامِ وَلَوْ أَنَّ ذَلِكَ لَا يُؤْكَلُ حَتَّى يَحْضُرَ النَّاسُ الْمَقَاسِمَ وَيُقْسَمَ بَيْنَهُمْ أَضَرَّ ذَلِكَ بِالْجُيُوشِ فَلَا أَرَى بَأْسًا بِمَا أُكِلَ مِنْ ذَلِكَ كُلِّهِ عَلَى وَجْهِ الْمَعْرُوفِ وَلَا أَرَى أَنْ يَدَّخِرَ أَحَدٌ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا يَرْجِعُ بِهِ إِلَى أَهْلِهِ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يُصِيبُ الطَّعَامَ فِي أَرْضِ الْعَدُوِّ فَيَأْكُلُ مِنْهُ وَيَتَزَوَّدُ فَيَفْضُلُ مِنْهُ شَيْءٌ أَيَصْلُحُ لَهُ أَنْ يَحْبِسَهُ فَيَأْكُلَهُ فِي أَهْلِهِ أَوْ يَبِيعَهُ قَبْلَ أَنْ يَقْدَمَ بِلَادَهُ فَيَنْتَفِعَ بِثَمَنِهِ قَالَ مَالِك إِنْ بَاعَهُ وَهُوَ فِي الْغَزْوِ فَإِنِّي أَرَى أَنْ يَجْعَلَ ثَمَنَهُ فِي غَنَائِمِ الْمُسْلِمِينَ وَإِنْ بَلَغَ بِهِ بَلَدَهُ فَلَا أَرَى بَأْسًا أَنْ يَأْكُلَهُ وَيَنْتَفِعَ بِهِ إِذَا كَانَ يَسِيرًا تَافِهًا
Malik said, "I do not see that there is any harm in the Muslims eating whatever food they come across in enemy territory before the spoils are divided."
Malik said, "I think that any camels, cattle and sheep (taken as booty) are considered as food which the Muslims can eat in enemy territory. If they could not be eaten until the people had gathered for the division and the spoils had been distributed among them, that would be harmful for the army. I do not see any objection to eating such things within acceptable limits. I do not think, however, that anyone should store up any of it to take back to his family."
Malik was asked whether it was proper for a man who obtained food in enemy territory and ate some of it and made provision so that there was some of it left over to keep and eat with his family, or to sell before he had come to his country and make use of its price. He said, "If he sells it while he is on a military expedition, I think that he should put its price into the booty of the Muslims. If he takes it back to his country, I see no objection to his eating it and using it if it is a small insignificant thing."
পরিচ্ছেদঃ ৯. গনীমতের মাল হইতে বন্টনের পূর্বে যাহা ফিরাইয়া দেওয়া হয়
রেওয়ায়ত ১৭. মালিক (রহঃ) জ্ঞাত হইয়াছেন যে, আবদুল্লাহ ইবন (রাঃ)-এর একজন গোলাম ঘোড়াসহ পলাইয়া কাফেরদের হাতে পড়িয়া গিয়াছিল। পরে উহা গনীমতের মাল হিসাবে পুনরায় মুসলিমদের হস্তগত হয়। তখন বন্টনের পূর্বেই ’আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)-কে এইগুলি ফিরাইয়া দেওয়া হইয়াছিল।
ইয়াহইয়া মালিক (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন যে, কাফেরদের হাতে মুসলিমদের কোন কিছু পাওয়া গেলে বন্টনের পূর্বে উহা পূর্ব মালিকের নিকট প্রত্যর্পণ করা হইবে। বন্টন হইয়া গেলে আর উহা প্রত্যর্পণ করা হইবে না।
মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল, কোনো মুসলিমের উম্মু ওয়ালাদ যদি কাফেররা লইয়া যায়, পরে গনীমত হিসাবে যদি পুনরায় উহা মুসলিমদের হস্তগত হয়, তবে কি করা হইবে? তিনি বলিলেন, বন্টনের পূর্বে উহাকে কোনরূপে বিনিময় ব্যতিরেকে পূর্ব মালিকের নিকই ফিরাইয়া দেওয়া হইবে। আমার মতে বন্টনের পর মালিক ইচ্ছ করলে মূল দিয়া উহা কেনিয়া বাইতে পারিবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোনো মুসলিমের উম্মে ওয়ালাদ[1] দাসীকেও যদি কাফেরগণ ছিনাইয়া লইয়া যায়, পরে সে গনীমতের মাল হিসাবে হস্তগত হয়, আর বন্টন হইয়া যাওয়ার পরে যদি মালিক তাহাকে চিনিতে পারে, তবুও তাহাকে দাসী বানান যইবে না। আমি মনে করি, তখন সরকারের কর্তব্য হইবে তাহার ফিদয়া আদায় করিয়া তাহার মালিকের নিকট প্রত্যর্পণ করা। মালিক (রহঃ) বলেনঃ সরকার যদি এইরূপ না করে তবে পূর্ব মালিক তাহার ফিদয়া আদায় করিয়া তাহাকে মুক্ত করিয়া লইয়া যাইবে। বন্টনের পর যাহার ভাগে সে পড়িয়াছিল তাহার জন্য তাহাকে দাসী বানান বা তাহার সহিত যৌন মিলন জায়েয নহে। উম্মে ওয়ালাদ আযাদ দাসীর মতোই। উম্মে ওয়ালাদ যদি কাহাকেও আঘাত করিয়া যখমী করিয়া ফেলে তবে মালিকের উপর ফিদয়া আদায় করিয়া তাহাকে মুক্ত করিয়া দেওয়া মালিকের উপর জরুরী। তাহাকে মুক্ত না করিয়া ঐ অবস্থায় রাখিয়া দেওয়া এবং তাহাকে পুনরায় দাসী বানান ও তাহার সহিত যৌন সম্ভোগ কোনক্রমেই জায়েয হইবে না।
মালিক (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হইয়াছিল, কেহ কোন মুসলিমকে মুক্ত করিয়া আনার উদ্দেশ্যে বা ব্যবসা করিতে কাফেরদের অঞ্চলে গেল আর সেখানে আযাদ ও ক্রীতদাস উভয় ধরনের মানুষ ক্রয় করিয়া নিয়া আসিল বা কাফেরগণ তাহাকে হিবা হিসাবে দান করিল। এখন এই ব্যক্তির বিষয়ে কি হুকুম হইবে? তিনি বলিলেন, আযাদ ব্যক্তিকে ক্রয় করিয়া নিয়া আসিলে তাহাকে ক্রীতদাস বানান যাইবে না। আর তাহার মূল্য তখন ঋণ হিসাবে ধরা হইবে। হিবা হিসাবে নিয়া আসিয়া থাকিলে ঐ ব্যক্তি আযাদ হিসাবেই বহাল থাকিবে আর আনয়নকারী ব্যক্তি কিছুই পাইবে না। তবে হিবার বিনিময়ে সে সেখানে কোন কিছু আদায় করিয়া থাকিলে তৎপরিমাণ টাকা দিয়া তাহাকে ক্রয় করিয়া আনিল। আর ঐ ব্যক্তি যদি কোন দাস ক্রয় করিয়া আনে, তবে পূর্ব মালিকের ইখতিয়ার থাকিবে। ইচ্ছা করিলে মূল্য আদায় করিয়া তাহাকে সে নিয়া যাইতে পারবে আর ইচ্ছা করিলে তাহাকে ঐ ব্যক্তির নিকট ছাড়িয়াও দিতে পারিবে।হিবা হিসাবে পাইয়া থাকিলে পূর্ব মালিক তাহাকে এমনিই নিয়া যাইতে পারবে। হিবার বিনিময়ে কিছু ব্যয় করিয়া থাকিলে তৎপরিমাণ টাকা আদায় করিয়া তবে পূর্ব মালিক তাহাকে নিতে পারবে।
بَاب مَا يُرَدُّ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ الْقَسْمُ مِمَّا أَصَابَ الْعَدُوُّ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدًا لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَبَقَ وَأَنَّ فَرَسًا لَهُ عَارَ فَأَصَابَهُمَا الْمُشْرِكُونَ ثُمَّ غَنِمَهُمَا الْمُسْلِمُونَ فَرُدَّا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ تُصِيبَهُمَا الْمَقَاسِمُ قَالَ وَسَمِعْت مَالِك يَقُولُ فِيمَا يُصِيبُ الْعَدُوُّ مِنْ أَمْوَالِ الْمُسْلِمِينَ إِنَّهُ إِنْ أُدْرِكَ قَبْلَ أَنْ تَقَعَ فِيهِ الْمَقَاسِمُ فَهُوَ رَدٌّ عَلَى أَهْلِهِ وَأَمَّا مَا وَقَعَتْ فِيهِ الْمَقَاسِمُ فَلَا يُرَدُّ عَلَى أَحَدٍ وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ حَازَ الْمُشْرِكُونَ غُلَامَهُ ثُمَّ غَنِمَهُ الْمُسْلِمُونَ قَالَ مَالِك صَاحِبُهُ أَوْلَى بِهِ بِغَيْرِ ثَمَنٍ وَلَا قِيمَةٍ وَلَا غُرْمٍ مَا لَمْ تُصِبْهُ الْمَقَاسِمُ فَإِنْ وَقَعَتْ فِيهِ الْمَقَاسِمُ فَإِنِّي أَرَى أَنْ يَكُونَ الْغُلَامُ لِسَيِّدِهِ بِالثَّمَنِ إِنْ شَاءَ قَالَ مَالِك فِي أُمِّ وَلَدِ رَجُلٍ مِنْ الْمُسْلِمِينَ حَازَهَا الْمُشْرِكُونَ ثُمَّ غَنِمَهَا الْمُسْلِمُونَ فَقُسِمَتْ فِي الْمَقَاسِمِ ثُمَّ عَرَفَهَا سَيِّدُهَا بَعْدَ الْقَسْمِ إِنَّهَا لَا تُسْتَرَقُّ وَأَرَى أَنْ يَفْتَدِيَهَا الْإِمَامُ لِسَيِّدِهَا فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ فَعَلَى سَيِّدِهَا أَنْ يَفْتَدِيَهَا وَلَا يَدَعُهَا وَلَا أَرَى لِلَّذِي صَارَتْ لَهُ أَنْ يَسْتَرِقَّهَا وَلَا يَسْتَحِلَّ فَرْجَهَا وَإِنَّمَا هِيَ بِمَنْزِلَةِ الْحُرَّةِ لِأَنَّ سَيِّدَهَا يُكَلَّفُ أَنْ يَفْتَدِيَهَا إِذَا جَرَحَتْ فَهَذَا بِمَنْزِلَةِ ذَلِكَ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُسَلِّمَ أُمَّ وَلَدِهِ تُسْتَرَقُّ وَيُسْتَحَلُّ فَرْجُهَا وَسُئِلَ مَالِك عَنْ الرَّجُلِ يَخْرُجُ إِلَى أَرْضِ الْعَدُوِّ فِي الْمُفَادَاةِ أَوْ لِتِجَارَةٍ فَيَشْتَرِيَ الْحُرَّ أَوْ الْعَبْدَ أَوْ يُوهَبَانِ لَهُ فَقَالَ أَمَّا الْحُرُّ فَإِنَّ مَا اشْتَرَاهُ بِهِ دَيْنٌ عَلَيْهِ وَلَا يُسْتَرَقُّ وَإِنْ كَانَ وُهِبَ لَهُ فَهُوَ حُرٌّ وَلَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الرَّجُلُ أَعْطَى فِيهِ شَيْئًا مُكَافَأَةً فَهُوَ دَيْنٌ عَلَى الْحُرِّ بِمَنْزِلَةِ مَا اشْتُرِيَ بِهِ وَأَمَّا الْعَبْدُ فَإِنَّ سَيِّدَهُ الْأَوَّلَ مُخَيَّرٌ فِيهِ إِنْ شَاءَ أَنْ يَأْخُذَهُ وَيَدْفَعَ إِلَى الَّذِي اشْتَرَاهُ ثَمَنَهُ فَذَلِكَ لَهُ وَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يُسْلِمَهُ أَسْلَمَهُ وَإِنْ كَانَ وُهِبَ لَهُ فَسَيِّدُهُ الْأَوَّلُ أَحَقُّ بِهِ وَلَا شَيْءَ عَلَيْهِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ الرَّجُلُ أَعْطَى فِيهِ شَيْئًا مُكَافَأَةً فَيَكُونُ مَا أَعْطَى فِيهِ غُرْمًا عَلَى سَيِّدِهِ إِنْ أَحَبَّ أَنْ يَفْتَدِيَهُ
Yahya related to me from Malik that it reached him that a slave of Abdullah ibn Umar escaped and one of his horses wandered off, and the idol worshippers seized them. Then the Muslims recaptured them, and they were returned to Abdullah ibn Umar, before the division of the spoils took place.
I heard Malik say about muslim property that had been seized by the enemy, "If it is noticed before the distribution, then it is returned to itsowner. Whatever has already been distributed is not returned to anyone."
Malik, when asked about a man whose young male slave was taken by the idol worshippers and then the Muslims re-captured him, said, "The owner is more entitled to him without having to pay his price or value or having to incur any loss before the distribution takes place. If the distribution has already taken place then I think that the slave belongs to his master for his price if the master wants him back."
Regarding an umm walad of a Muslim man who has been taken by the idol worshippers and then recaptured by the Muslims and allotted in the distribution of spoils and then recognised by her master after the distribution, Malik said, "She is not to be enslaved. I think that the Imam should pay a ransom for her for her master. If he does not do it, then her master must pay a ransom for her and not leave her. I do not think that she should be made a slave by whoever takes her and intercourse with her is not halal. She is in the position of a free woman because her master would be required to pay compensation if she injured somebody and so she is in the same position (as a wife). He must not leave the mother of his son to be enslaved nor may intercourse with her be made halal."
Malik was asked about a man who went to enemy territory to pay ransom or to trade, and he bought a free man or a slave, or they were given to him. He said, "As for the free man, the price he buys him for is a debt against the man and he is not made a slave. If the captive is given to him freely, he is free and owes nothing unless the man gave something in recompense for him. That is a debt against the free man, the same as if a ransom had been paid for him. As for a slave, his former master can choose to take him back and pay his price to the man who bought him or he can choose to leave him, as he wishes. If he was given to the man, the former master is more entitled to him, and he owes nothing for him unless the man gave something for him in recompense. Whatever he gave for him is a loss against the master if he wants him back."
পরিচ্ছেদঃ ১০. নফল হিসাবে কোন সৈনিককে অস্ত্রশস্ত্র প্রদান করা
রেওয়ায়ত ১৮. আবু কাতাদা ইবন রিবয়ী (রাঃ) বর্ণনা করেন- হুনায়ন যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের সহিত আমরা বাহির হইলাম। প্রচণ্ড চাপে মুসলিমগণ হটিয়া আসেন। কোন এক কাফের সৈন্যকে তখন জনৈক মুসলিম সৈন্যের উপর জয়ী হইয়া যাইতেছে দেখিয়া পিছন হইতে আমি ঐ কাফের সৈন্যটির ঘাড়ে তলওয়ারের এক কোপ বসাইলাম। সে তখন দৌড়াইয়া আমাকে ধরিয়া এমন চাপ দিল যে, আমার মৃত্যুর স্বাদ অনুভূত হইতে লাগিল। শেষে সে মৃত্যুর কোলে ঢলিয়া পড়িল। পরে উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) এর সহিত আমার সাক্ষাত হইল। আমি বলিলাম, মানুষের একি হইল! তিনি বলিলেনঃ আল্লাহর হুকুম। শেষে মুসলিম সৈন্যগণ আবার ময়দানে ফিরিয়া আসিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই সময় ঘোষণা করিলেনঃ সাক্ষী পেশ করিতে পারিলে যে তাহাকে হত্যা করিয়াছে তাহার আসবাবপত্র সে-ই পাইবে।
আবু কাতাদা বলেনঃ এই ঘোষণা শুনিয়া আমি দাঁড়াইলাম এবং বলিলাম, আমার জন্য কে সাক্ষ্য দেবে? এই কথা বলিয়া আমি বসিয়া পড়িলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম পুনরায় ঐ কথা ঘোষণা করিলেন।
আমি আবার দাঁড়াইলাম এবং বলিলামঃ আমার জন্য কে সাক্ষ্য দিবে? এই কথা বলিয়া আমি বসিয়া পড়িলাম। তৃতীয়বার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এই কথা ঘোষণা করিলেন। আমিও উঠিয়া দাঁড়াইলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলিলেনঃ আবূ কাতাদা, তোমার কি হইল? সমস্ত ঘটনা তখন আমি তাহাকে বিবৃত করিলাম। তখন এক ব্যক্তি উঠিয়া বলিলেনঃ হে আল্লাহর রাসূল, ইনি সত্যিই বলিয়াছেন। ঐ নিহত কাফেরটির আসবাবপত্র আমার নিকট আছে। আপনি তাহাকে রাজী করাইয়া ঐ আসবাবপত্র আমাকে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। আবু বকর (রাঃ) তখন বলিলেন, আল্লাহর কসম, কখনো নয়। আপনি এমন কাজ করার ইচ্ছাও করিবেন না। আল্লাহর ব্যাঘ্ৰসমূহ হইতে কোন এক ব্যাঘ্ৰ আল্লাহ ও তাহার রাসূলের পক্ষে লড়াই করিবে আর তুমি আসবাবপত্র নিয়া যাইবে, তাহা হইতে পারে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বলিলেন, আবু বকর যখার্থই বলিয়াছেন। আবূ কাতাদাকে ঐ আসবাবপত্র দিয়া দাও। শেষে ঐ ব্যক্তি উহা আমাকে দিয়া দিলেন। উহা হইতে একটি বর্ম বিক্রয় করিয়া বনু সালিমা মহল্লায় একটা বাগান ক্রয় করিয়া ফেলিলাম। ইসলম গ্রহণ করার পর এই সম্পত্তিটুকু আমি লাভ করিতে পারিয়াছিলাম।
بَاب مَا جَاءَ فِي السَّلَبِ فِي النَّفَلِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ بْنِ رِبْعِيٍّ أَنَّهُ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ حُنَيْنٍ فَلَمَّا الْتَقَيْنَا كَانَتْ لِلْمُسْلِمِينَ جَوْلَةٌ قَالَ فَرَأَيْتُ رَجُلًا مِنْ الْمُشْرِكِينَ قَدْ عَلَا رَجُلًا مِنْ الْمُسْلِمِينَ قَالَ فَاسْتَدَرْتُ لَهُ حَتَّى أَتَيْتُهُ مِنْ وَرَائِهِ فَضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ عَلَى حَبْلِ عَاتِقِهِ فَأَقْبَلَ عَلَيَّ فَضَمَّنِي ضَمَّةً وَجَدْتُ مِنْهَا رِيحَ الْمَوْتِ ثُمَّ أَدْرَكَهُ الْمَوْتُ فَأَرْسَلَنِي قَالَ فَلَقِيتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ فَقُلْتُ مَا بَالُ النَّاسِ فَقَالَ أَمْرُ اللَّهِ ثُمَّ إِنَّ النَّاسَ رَجَعُوا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ قَالَ فَقُمْتُ ثُمَّ قُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِي ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ مَنْ قَتَلَ قَتِيلًا لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ قَالَ فَقُمْتُ ثُمَّ قُلْتُ مَنْ يَشْهَدُ لِي ثُمَّ جَلَسْتُ ثُمَّ قَالَ ذَلِكَ الثَّالِثَةَ فَقُمْتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا لَكَ يَا أَبَا قَتَادَةَ قَالَ فَاقْتَصَصْتُ عَلَيْهِ الْقِصَّةَ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ الْقَوْمِ صَدَقَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَسَلَبُ ذَلِكَ الْقَتِيلِ عِنْدِي فَأَرْضِهِ عَنْهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لَا هَاءَ اللَّهِ إِذًا لَا يَعْمِدُ إِلَى أَسَدٍ مِنْ أُسْدِ اللَّهِ يُقَاتِلُ عَنْ اللَّهِ وَرَسُولِهِ فَيُعْطِيكَ سَلَبَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَدَقَ فَأَعْطِهِ إِيَّاهُ فَأَعْطَانِيهِ فَبِعْتُ الدِّرْعَ فَاشْتَرَيْتُ بِهِ مَخْرَفًا فِي بَنِي سَلِمَةَ فَإِنَّهُ لَأَوَّلُ مَالٍ تَأَثَّلْتُهُ فِي الْإِسْلَامِ
Yahya related to me from Malik from Yahya ibn Said from Amr ibn Kathir ibn Aflah from Abu Muhammad, the mawla of Abu Qatada that Abu Qatada ibn Ribi said, "We went out with the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, in the year of Hunayn. When the armies met, the Muslims were put in disarray. I saw a man from the idol worshippers who had got the better of one of the Muslims, so I circled round and came up behind him, and struck him with a sword on his shoulder-blade. He turned to me and grabbed me so hard that I felt the smell of death in it. Then death overcame him, and he let go of me."
He continued, "I met Umar ibn al-Khattab and said to him, 'What's going on with the people?' He replied, 'The Command of Allah.' Then the people took hold of the battle and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Whoever has killed one of the dead and can prove it, can strip him of his personal effects.' I stood up and said, 'Who will testify for me?' and then I sat down. The Messenger of Allah repeated, 'Whoever has killed one of the dead and can prove it, can strip him of his personal effects.' I stood up and said, 'Who will testify for me?' then I sat down. Then he repeated his statement a third time, so I stood up, and the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'What's the matter with you, Abu Qatada?' So I related my story to him. A man said, 'He has spoken the truth, Messenger of Allah. I have the effects of that slain person with me, so give him compensation for it, Messenger of Allah.'
Abu Bakr said, 'No, by Allah! He did not intend that one of the lions of Allah should fight for Allah and His Messenger and then give you his spoils.' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'He has spoken the truth, hand it over to him.' He gave it to me, and I sold the breast-plate and I bought a garden in the area of the Banu Salima with the money. It was my first property, and I acquired it in Islam."