পরিচ্ছেদঃ ১. ইতিকাফের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত-তিনি বলিয়াছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা ইতিকাফে থাকা অবস্থায় তাহার শির আমার দিকে ঝুঁকাইয়া দিতেন, আমি তাহার চুল চিরুনি দিয়া আঁচড়াইয়া দিতাম। আর তিনি হাজতে-ইনসানী (পায়খানা-প্রস্রাবের আবশ্যক) ব্যতীত গৃহে প্রবেশ করিতেন না।
بَاب ذِكْرِ الْاعْتِكَافِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اعْتَكَفَ يُدْنِي إِلَيَّ رَأْسَهُ فَأُرَجِّلُهُ وَكَانَ لَا يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Urwa ibn az- Zubayr from Amra bint Abd ar-Rahman that A'isha, the wife of the Prophet, may Allah bless him and grant him peace, said,"When the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, did itikaf he would bring his head near to me and I would comb it. He would only go into the house to relieve himself."
পরিচ্ছেদঃ ১. ইতিকাফের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ২. আমরা বিন্ত আবদুর রহমান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, আয়েশা (রাঃ) যখন ইতিকাফ করিতেন, তখন তিনি রোগীর অবস্থা জিজ্ঞাসা করিতে গমন করিতেন না; কিন্তু চলার পথে না দাঁড়াইয়া জিজ্ঞাসা করিয়া নিতেন।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ইতিকাফকারী কোন প্রয়োজনে মসজিদের বাহিরে যাইবে না এবং কোন কারণে বাহিরও হইবে না। আর কাহাকে সাহায্যও করিবে না। কিন্তু যদি হাজতে-ইনসানীর (প্ৰস্ৰাব-পায়খানা) জন্য বাহির হয় তাহা বৈধ হইবে। আর যদি কাহারো আবশ্যকের জন্য বাহির হওয়া জায়েয হইত তবে রোগীর অবস্থা দেখা, জানাযার নামায পড়া ও উহার অনুগমন তাহার জন্য সর্বাগ্রে বৈধ হইত (কিন্তু সেগুলির জন্যও বাহির হওয়া নিষেধ)।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন, মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ইতিকাফকারী (প্রকৃত) ইতিকাফকারী হইবে না যতক্ষণ যেসব বস্তু হইতে তাহার পরহেয করিতে হয় সেইসব হইতে সে পরহিয না করিবে (যথা রোগী দেখিতে যাওয়া, জানাযার নামায পড়া, হাজতে-ইনসানী ব্যতীত গৃহে প্রবেশ করা)।
بَاب ذِكْرِ الْاعْتِكَافِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ إِذَا اعْتَكَفَتْ لَا تَسْأَلُ عَنْ الْمَرِيضِ إِلَّا وَهِيَ تَمْشِي لَا تَقِفُ
قَالَ مَالِك لَا يَأْتِي الْمُعْتَكِفُ حَاجَتَهُ وَلَا يَخْرُجُ لَهَا وَلَا يُعِينُ أَحَدًا إِلَّا أَنْ يَخْرُجَ لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ وَلَوْ كَانَ خَارِجًا لِحَاجَةِ أَحَدٍ لَكَانَ أَحَقَّ مَا يُخْرَجُ إِلَيْهِ عِيَادَةُ الْمَرِيضِ وَالصَّلَاةُ عَلَى الْجَنَائِزِ وَاتِّبَاعُهَا قَالَ مَالِك لَا يَكُونُ الْمُعْتَكِفُ مُعْتَكِفًا حَتَّى يَجْتَنِبَ مَا يَجْتَنِبُ الْمُعْتَكِفُ مِنْ عِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَالصَّلَاةِ عَلَى الْجَنَائِزِ وَدُخُولِ الْبَيْتِ إِلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ
Yahya related to me from Malik from Ibn Shihab from Amra bint Abd ar-Rahman that when A'isha was doing itikaf she would only ask after sick people if she was walking and not if she was standing still.
Malik said, "A person doing itikaf should not carry out obligations of his, nor leave the mosque for them, nor should he help anyone. He should only leave the mosque to relieve himself. If he were able to go out to do things for people, visiting the sick, praying over the dead and following funeral processions would be the things with the most claim on his coming out."
Malik said, "A person doing itikaf is not doing itikaf until he avoids what some one doing itikaf should avoid, namely, visiting the sick, praying over the dead, and entering houses, except to relieve himself."
পরিচ্ছেদঃ ১. ইতিকাফের বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৩. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে প্রশ্ন করিলেন, এক ব্যক্তি সম্পর্কে যে ইতিকাফ করিতেছে, সে কি তাহার প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজনে (গৃহের) ছাদের নিচে প্রবেশ করিতে পারবে? তিনি বলিলেনঃ হ্যাঁ, ইহাতে কোন ক্ষতি নাই।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ আমাদের নিকট যাহাতে কোন ইখতেলাফ নাই তাহা এই যে, যে সকল মসজিদে জুম’আর নামায পড়া হয়, সেই সকল মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরূহ নহে। আর আমি মনে করি না যে, যে সকল মসজিদে জুম’আর নামায পড়া হয় না, সেই সকল মসজিদে ইতিকাফকে তিনি (মালিক র.) মাকরূহ বলিয়াছেন। ব্যাপার হইল এই যে, ইতিকাফকারী যে মসজিদে ইতিকাফ করিতেছে উহা হইতে বাহির হইবে অথবা জুম’আ ছাড়িয়া দিবে, সেই জন্য তিনি মাকরুহ বলিয়াছেন। তাহার মতে, যদি এইরূপ মসজিদ হয় যাহাতে জুম’আ পড়া হয় না এবং ইতিকাফকারীর উপর সেই মসজিদ ছাড়া অন্য কোন মসজিদে জুম’আতে যাওয়া ওয়াজিব না হয় তবে সেই মসজিদে ইতিকাফ করিতে কোন দোষ নাই। কারণ আল্লাহ্ তা’আলা ইরশাদ করিয়াছেন, (وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ) অর্থাৎ তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় তাহদের সহিত (স্ত্রী) মিলিত হইও না। (বাকারাঃ ১৮৭) ইহাতে সাধারণভাবে সকল মসজিদকে উদ্দেশ্য করা হইয়াছে এবং কোন মসর্জির্দকে আল্লাহ নির্দিষ্ট করিয়া দেন নাই।
মালিক (রহঃ) বলেন, এইজন্যই ইতিকাফকারীর পক্ষে জুম’আ অনুষ্ঠিত হয় না সেইরূপ মসজিদে ইতিকাফ করা জায়েয হইবে, যদি মসজিদ হইতে বাহির হইয়া জুম’আ মসজিদে যাওয়া তাহার উপর ওয়াজিব না হয়।
মালিক (রহঃ) বলেন, যে মসজিদে ইতিকাফ করিয়াছে (ইতিকাফকারী) সেই মসজিদেই রাত্রি যাপন করিবে, তবে যদি তাহার তাবু মসজিদের চত্বরের কোন চত্বরে হয়।
মালিক (রহঃ) বলেন, আমি শুনি নাই, ইতিকাফকারী রাত্রি যাপন করার জন্য কোন কিছু নির্মাণ করিবে কিন্তু তাহার রাত্রি যাপন হইবে মসজিদে অথবা মসজিদের চত্বরে। মসজিদ ব্যতীত অন্যত্র রাত্রি যাপন সে করিবে না, ইহার প্রমাণ হইল আয়েশা (রাঃ)-এর উক্তি- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইতিকাফ করিতেন তখন হাজতে-ইনসানী ছাড়া গৃহে প্রবেশ করতেন না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কেউ মসজিদের ছাদের উপর ইতিকাফ করিবে না এবং সাওমাআতেও (صومعه মিনার) না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইতিকাফকারী যেই রাত্রে ইতিকাফের ইচ্ছা করিয়াছে, সেই রাত্রির সূর্যাস্তের পূর্বে ইতিকাফের স্থানে প্রবেশ করিবে, যাহাতে যেই রাত্রে ইতিকাফ করবে, সেই রাত্রির প্রথম অংশকে সে ইতিকাফ দ্বারা মুবারকবাদ জানাইতে পারে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইতিকাফকারী নিজের ইতিকাফে মশগুল থাকিবে, ইতিকাফ ভিন্ন তিজারত বা অন্যকিছুর দিকে যেই সবের প্রতি মশগুল হওয়া যায় মনোযোগী হইবে না। ইতিকাফকারীর পক্ষে তাহার কোন আসবাব অথবা পরিবারের উপকারী ও উপযোগী কোন কাজ, তাহার মাল বিক্রয় অথবা অন্য কোন কাজ যাহা তাহাকে ব্যতিব্যস্ত করে না (এই জাতীয়) নিজের কোন আবশ্যকে নির্দেশ দেওয়াতে কোন ক্ষতি নাই। ইহাতে কোন দোষ নাই, যদি তিনি ছোটখাট কাজের জন্য কোন ব্যক্তিকে সেই কার্য সমাধা করিতে নির্দেশ দেন।
মালিক (রহঃ) বলেন, কোন আহলে ইলম কর্তৃক ইতিকাফে কোন শর্ত আরোপ করিতে আমি শুনি নাই। ইতিকাফ অন্যান্য আমলের মত একটি আমল; যথা নামায, রোযা, হজ্জ এবং অন্যান্য যাহা এই সকল আমলের অনুরূপ এবং যাহা উহাদের মধ্যে ফরয অথবা নফল। (শরীয়তের) এই সকল আমলের মত ইতিকাফও একটি আমল। যে ব্যক্তি ইহার কোন আমলে প্রবেশ করিবে, সে প্রতিষ্ঠিত সুন্নত মুতাবিক আমল করিবে। মুসলিমগণ যে তরীকায় চলিয়াছেন সেই তরীকা ছাড়া উহাতে নূতন কোন পন্থা আবিষ্কার করার অধিকার তাহার নাই। না কোন শর্ত আরোপ করিবে, না কোন বিদ’আত সৃষ্টি করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ইতিকাফ করিয়াছেন, উহা হইতে মুসলিমরা ইতিকাফের সুন্নত অবগত হইয়াছেন।
ইয়াহইয়া (রহঃ) বলেন- মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ইতিকাফ এবং মসজিদে অবস্থান এক সমান। আর গ্রাম ও শহরের লোকের ইতিকাফ এক সমান (আহকামের ব্যাপারে)।
بَاب ذِكْرِ الْاعْتِكَافِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ الرَّجُلِ يَعْتَكِفُ هَلْ يَدْخُلُ لِحَاجَتِهِ تَحْتَ سَقْفٍ فَقَالَ نَعَمْ لَا بَأْسَ بِذَلِكَ
قَالَ مَالِك الْأَمْرُ عِنْدَنَا الَّذِي لَا اخْتِلَافَ فِيهِ أَنَّهُ لَا يُكْرَهُ الْاعْتِكَافُ فِي كُلِّ مَسْجِدٍ يُجَمَّعُ فِيهِ وَلَا أُرَاهُ كُرِهَ الْاعْتِكَافُ فِي الْمَسَاجِدِ الَّتِي لَا يُجَمَّعُ فِيهَا إِلَّا كَرَاهِيَةَ أَنْ يَخْرُجَ الْمُعْتَكِفُ مِنْ مَسْجِدِهِ الَّذِي اعْتَكَفَ فِيهِ إِلَى الْجُمُعَةِ أَوْ يَدَعَهَا فَإِنْ كَانَ مَسْجِدًا لَا يُجَمَّعُ فِيهِ الْجُمُعَةُ وَلَا يَجِبُ عَلَى صَاحِبِهِ إِتْيَانُ الْجُمُعَةِ فِي مَسْجِدٍ سِوَاهُ فَإِنِّي لَا أَرَى بَأْسًا بِالْاعْتِكَافِ فِيهِ لِأَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ فَعَمَّ اللَّهُ الْمَسَاجِدَ كُلَّهَا وَلَمْ يَخُصَّ شَيْئًا مِنْهَا قَالَ مَالِك فَمِنْ هُنَالِكَ جَازَ لَهُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِي الْمَسَاجِدِ الَّتِي لَا يُجَمَّعُ فِيهَا الْجُمُعَةُ إِذَا كَانَ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يَخْرُجَ مِنْهُ إِلَى الْمَسْجِدِ الَّذِي تُجَمَّعُ فِيهِ الْجُمُعَةُ قَالَ مَالِك وَلَا يَبِيتُ الْمُعْتَكِفُ إِلَّا فِي الْمَسْجِدِ الَّذِي اعْتَكَفَ فِيهِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ خِبَاؤُهُ فِي رَحَبَةٍ مِنْ رِحَابِ الْمَسْجِدِ وَلَمْ أَسْمَعْ أَنَّ الْمُعْتَكِفَ يَضْرِبُ بِنَاءً يَبِيتُ فِيهِ إِلَّا فِي الْمَسْجِدِ أَوْ فِي رَحَبَةٍ مِنْ رِحَابِ الْمَسْجِدِ وَمِمَّا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ لَا يَبِيتُ إِلَّا فِي الْمَسْجِدِ قَوْلُ عَائِشَةَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا اعْتَكَفَ لَا يَدْخُلُ الْبَيْتَ إِلَّا لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ وَلَا يَعْتَكِفُ فَوْقَ ظَهْرِ الْمَسْجِدِ وَلَا فِي الْمَنَارِ يَعْنِي الصَّوْمَعَةَ وَقَالَ مَالِك يَدْخُلُ الْمُعْتَكِفُ الْمَكَانَ الَّذِي يُرِيدُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهِ قَبْلَ غُرُوبِ [ ص: 245 ] الشَّمْسِ مِنْ اللَّيْلَةِ الَّتِي يُرِيدُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهَا حَتَّى يَسْتَقْبِلَ بِاعْتِكَافِهِ أَوَّلَ اللَّيْلَةِ الَّتِي يُرِيدُ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهَا وَالْمُعْتَكِفُ مُشْتَغِلٌ بِاعْتِكَافِهِ لَا يَعْرِضُ لِغَيْرِهِ مِمَّا يَشْتَغِلُ بِهِ مِنْ التِّجَارَاتِ أَوْ غَيْرِهَا وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَأْمُرَ الْمُعْتَكِفُ بِضَيْعَتِهِ وَمَصْلَحَةِ أَهْلِهِ وَأَنْ يَأْمُرَ بِبَيْعِ مَالِهِ أَوْ بِشَيْءٍ لَا يَشْغَلُهُ فِي نَفْسِهِ فَلَا بَأْسَ بِذَلِكَ إِذَا كَانَ خَفِيفًا أَنْ يَأْمُرَ بِذَلِكَ مَنْ يَكْفِيهِ إِيَّاهُ قَالَ مَالِك لَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَذْكُرُ فِي الْاعْتِكَافِ شَرْطًا وَإِنَّمَا الْاعْتِكَافُ عَمَلٌ مِنْ الْأَعْمَالِ مِثْلُ الصَّلَاةِ وَالصِّيَامِ وَالْحَجِّ وَمَا أَشْبَهَ ذَلِكَ مِنْ الْأَعْمَالِ مَا كَانَ مِنْ ذَلِكَ فَرِيضَةً أَوْ نَافِلَةً فَمَنْ دَخَلَ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ فَإِنَّمَا يَعْمَلُ بِمَا مَضَى مِنْ السُّنَّةِ وَلَيْسَ لَهُ أَنْ يُحْدِثَ فِي ذَلِكَ غَيْرَ مَا مَضَى عَلَيْهِ الْمُسْلِمُونَ لَا مِنْ شَرْطٍ يَشْتَرِطُهُ وَلَا يَبْتَدِعُهُ وَقَدْ اعْتَكَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَرَفَ الْمُسْلِمُونَ سُنَّةَ الْاعْتِكَافِ قَالَ مَالِك وَالْاعْتِكَافُ وَالْجِوَارُ سَوَاءٌ وَالْاعْتِكَافُ لِلْقَرَوِيِّ وَالْبَدَوِيِّ سَوَاءٌ
Yahya related to me from Malik that he had asked Ibn Shihab whether someone doing itikaf could go into a house to relieve himself, and he said, "Yes, there is no harm in that."
Malik said, "The situation that we are all agreed upon here is that there is no disapproval of anyone doing itikaf in a mosque where jumua is held. The only reason I see for disapproving of doing itikaf in a mosque where jumua is not held is that the man doing itikaf would have to leave the mosque where he was doing itikaf in order to go to jumua, or else not go there at all. If, however, he is doing itikaf in a mosque where jumua is not held, and he does not have to go to jumua in any other mosque, then I see no harm in him doing itikaf there, because Allah, the Blessed and Exalted, says, 'While you are doing itikaf in mosques,' and refers to all mosques in general, without specifying any particular kind."
Malik continued, "Accordingly, it is permissiblefor a man to do itikaf in a mosque where jumua is not held if he does not have to leave it to go to a mosque where jumua is held."
Malik said, "A person doing itikaf should spend the night only in the mosque where he is doing itikaf, except if his tent is in one of the courtyards of the mosque. I have never heard that someone doing itikaf can put up a shelter anywhere except in the mosque itself or in one of the courtyards of the mosque.
Part of what shows that he must spend the night in the mosque is the saying of A'isha, 'When the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was doing itikaf, he would only go into the house to relieve himself.' Nor should he do itikaf on the roof of the mosque or in the minaret."
Malik said, "The person who is going to do itikaf should enter the place where he wishes to do itikaf before the sun sets on the night when he wishes to begin his itikaf, so that he is ready to begin the itikaf at the beginning of the night when he is going to start his itikaf. A person doing itikaf should be occupied with his itikaf, and not turn his attention to other things which might occupy him, such as trading or whatever. There is no harm, however, if some one doing itikaf tells some one to do something for him regarding his estate, or the affairs of his family, or tells someone to sell some property of his, or something else that does not occupy him directly. There is no harm in him arranging for someone else to do that for him if it is a simple matter."
Malik said, "I have never heard any of the people of knowledge mentioning any modification as far as how to do itikaf is concerned. Itikaf is an act of ibada like the prayer, fasting, the hajj, and such like acts, whether they are obligatory or voluntary. Anyone who begins doing any of these acts should do them according to what has come down in the sunna. He should not start doing anything in them that the muslims have not done, whether it is a modification that he imposes on others, or one that he begins doing himself. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, practised itikaf, and the muslims know what the sunna of itikaf is."
Malik said, "Itikaf and jiwar are the same, and Itikaf is the same for a village-dweller as it is for a nomad."
পরিচ্ছেদঃ ২. যাহা ছাড়া ইতিকাফ হয় না
রেওয়ায়ত ৪. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, কাসিম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ও আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ)-এর মাওলা নাফি’ (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ইতিকাফ জায়েয নহে রোযা ব্যতীত, কারণ কুরআনে ইরশাদ হইয়াছেঃ
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ وَلاَ تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ
আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাত্রির কৃষ্ণ রেখা হইতে উষার শুভ্র রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। অতঃপর নিশাগমন পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। তোমরা মসজিদে ইতিকাফৱত অবস্থায় তাহাদের সহিত সঙ্গত হইও না। (বাকারাঃ ১৮৭)
আল্লাহ্ তা’আলা ইতিকাফের উল্লেখ করিয়াছেন রোযার সহিত। মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা অনুরূপ। রোযা ব্যতীত ইতিকাফ হয় না।
بَاب مَا لَا يَجُوزُ الْاعْتِكَافُ إِلَّا بِهِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ وَنَافِعًا مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَا لَا اعْتِكَافَ إِلَّا بِصِيَامٍ بِقَوْلِ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فِي كِتَابِهِ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمْ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنْ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنْ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ فَإِنَّمَا ذَكَرَ اللَّهُ الْاعْتِكَافَ مَعَ الصِّيَامِ قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا اعْتِكَافَ إِلَّا بِصِيَامٍ
Yahya related to me from Malik that he had heard that al-Qasim ibn Muhammad and Nafi, the mawla of Abdullah ibn Umar said, "You cannot do itikaf unless you are fasting, because of what Allah, the Blessed and Exalted, says in His Book, 'And eat and drink until the white thread becomes clear to you from the black thread of dawn, then complete the fast until night-time, and do not have intercourse with them while you are doing itikaf in mosques,' (Sura 2 ayat 187). Allah only mentions itikaf together with fasting."
Malik said, "That is what we go by here."
পরিচ্ছেদঃ ৩. ই‘তিকাফকারীর ঈদের উদ্দেশ্যে গমন
রেওয়ায়ত ৫. সুমাই (রহঃ) হইতে বর্ণিত- আবু বকর ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) ইতিকাফ করিতেন এবং তিনি স্বীয় প্রয়োজনে মালিক ইবন ওয়ালিদ (রহঃ)-এর গৃহে ছাদওয়ালা একটি বদ্ধ হুজরায় গমন করিতেন, অতঃপর তিনি ঈদের জামাআতে মুসলিমদের সাথে উপস্থিত হওয়ার পূর্বে ইতিকাফ হইতে বাহির হইতেন না।
بَاب خُرُوجِ الْمُعْتَكِفِ لِلْعِيدِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ زِيَاد بْن عَبْد الرَّحْمَنِ قَالَ حَدَّثَنَا مَالِك عَنْ سُمَيٍّ مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ اعْتَكَفَ فَكَانَ يَذْهَبُ لِحَاجَتِهِ تَحْتَ سَقِيفَةٍ فِي حُجْرَةٍ مُغْلَقَةٍ فِي دَارِ خَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ ثُمَّ لَا يَرْجِعُ حَتَّى يَشْهَدَ الْعِيدَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ
Yahya related to me that Ziyad ibn Abd ar-Rahman said, "Malik related to us from Sumayy, the mawla of Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman, that Abu Bakr ibn Abd ar-Rahman was once doing itikaf and he would go out to relieve himself in a closed room under a roofed passage in Khalid ibn Walid's house. Otherwise he did not leave his place of itikaf until he went to pray at the Id with the muslims."
পরিচ্ছেদঃ ৩. ই‘তিকাফকারীর ঈদের উদ্দেশ্যে গমন
রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রহঃ) হইতে যিয়াদ (রহঃ) বর্ণনা করেন- তিনি কিন্তু আহলে ইলমকে দেখিয়াছেন, তাহারা রমযানের শেষ দশ দিন যখন ইতিকাফ করিতেন তখন মুসলিমদের সহিত ঈদুল ফিতরে হাজির না হওয়া পর্যন্ত তাহাদের পরিজনের নিকট ফিরিতেন না।
মালিক (রহঃ) বলেন, জ্ঞান ও গুণের অধিকারী আমার পূর্ববর্তী মনীষিগণের নিকট হইতে আমার নিকট ইহা পৌছিয়াছে যে, যখন তাহারা ইতিকাফ করিতেন তখন অনুরূপ করিতেন। এই ব্যাপারে আমি যাহা শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট পছন্দনীয়।
بَاب خُرُوجِ الْمُعْتَكِفِ لِلْعِيدِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ زِيَاد عَنْ مَالِك أَنَّهُ رَأَى بَعْضَ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا اعْتَكَفُوا الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ لَا يَرْجِعُونَ إِلَى أَهَالِيهِمْ حَتَّى يَشْهَدُوا الْفِطْرَ مَعَ النَّاسِ قَالَ زِيَاد قَالَ مَالِك وَبَلَغَنِي ذَلِكَ عَنْ أَهْلِ الْفَضْلِ الَّذِينَ مَضَوْا وَهَذَا أَحَبُّ مَا سَمِعْتُ إِلَيَّ فِي ذَلِكَ
Yahya related to me from Ziyad from Malik that he saw some of the people of knowledge who, when they did itikaf in the last ten days of Ramadan, would not go back to their families until they had attended the Id al-Fitr with everybody.
Ziyad said that Malik said, "I heard this from the people of excellence who have passed away, and it is what I like most out of what I have heard about the matter."
পরিচ্ছেদঃ ৪. ইতিকাফ কাযা করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৭. আমরাহ বিনত আবদুর রহমান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করিতে মনস্থ করিলেন। অতঃপর যে স্থানে তিনি ইতিকাফ করিবার মনস্থ করিয়াছিলেন সেই স্থানে গমন করিলে (সেখানে) কয়েকটি তাবু দেখিতে পাইলেন। (ইহ) আয়েশা (রাঃ)-এর তাবু, ইহা হাফসা (রাঃ)-এর তাবু এবং ইহা যায়নব (রাঃ)-এর তাবু। তিনি তাবু সম্পর্কে জানিয়া উহাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করিলেন। তাহাকে বলা হইল, ইহা আয়েশা, ইহা হাফসা এবং ইহা যায়নব (রাঃ)-এর তাবু। তারপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ এই সকলের দ্বারা তাহারা কি পুণ্যের নিয়ত করিয়াছেন? অতঃপর তিনি ফিরিয়া গেলেন এবং ইতিকাফ করিলেন না। পরে তিনি শাওয়াল মাসের দশ দিন ইতিকাফ করিলেন।
যিয়াদ (রহঃ) বলেনঃ মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হইল সেই ব্যক্তি সম্পর্কে যে রমযানের শেষের দশদিনে ইতিকাফের উদ্দেশ্যে মসজিদে প্রবেশ করিয়াছে, অতঃপর একদিন অথবা দুইদিন অবস্থান করার পর পীড়িত হইয়া পড়ে এবং মসজিদ হইতে বাহির হয়, সে সুস্থ হইলে অবশিষ্ট দিনের ইতিকাফ করা তাহার উপর ওয়াজিব হইবে কি? কিংবা উহার কাযা তাহার উপর আদৌ ওয়াজিব হইবে না। ইহা তাহার উপর ওয়াজিব হইলে কোন মাসে সে ইতিকাফ করিবে? উত্তরে মালিক (রহঃ) বলেনঃ সুস্থ হইয়া গেলে রমযান বা গর-রমযানে তাহার উপর যে ইতিকাফ ওয়াজিব হইয়াছে উহা কাযা করিবে।
আমার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার রমযানে ইতিকাফ করার মনস্থ করিলেন। পরে তিনি মত পাল্টাইলেন এবং ইতিকাফ করিলেন না। অতঃপর রমযান অতিবাহিত হইলে শাওয়াল মাসে দশ দিন ইতিকাফ করিলেন।
নফল ইতিকাফকারী ও যাহার উপর ইতিকাফ ওয়াজিব হালাল ও হারামের বিষয়ে উভয়ের হুকুম এক অর্থাৎ যাহা হালাল উভয়ের জন্য হালাল এবং যাহা হারাম উভয়ের জন্য হারাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইতিকাফ ছিল নফল ইতিকাফ– এইরূপই আমার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ যেই স্ত্রীলোক ইতিকাফ করে এবং ইতিকাফে থাকিতে তাহার হায়েয (ঋতুস্রাব) হয়, সেই স্ত্রীলোক নিজ গৃহে ফিরিয়া যাইবে। তারপর যখন পাক হইবে সেই মুহুর্তে মসজিদে উপস্থিত হইবে। ইহাতে বিলম্ব করিবে না। অতঃপর তাহার ইতিকাফের যে কয়দিন পূর্বে অতিবাহিত হইয়াছে উহা বাদ দিয়া বাকি দিনগুলি ইতিকাফ করবে।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ অনুরূপ যে স্ত্রীলোকের উপর একাধারে দুই মাসের রোযা ওয়াজিব তাহার যদি ঋতুস্রাব হয়, তৎপর পাক হয়, তবে সে যে রোযা পূর্বে রাখিয়াছিল উহার উপর ভিত্তি করিয়া বাকি রোযা রাখিবে। উহাতে বিলম্ব করিবে না।
بَاب قَضَاءِ الْاعْتِكَافِ
حَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ أَنْ يَعْتَكِفَ فَلَمَّا انْصَرَفَ إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي أَرَادَ أَنْ يَعْتَكِفَ فِيهِ وَجَدَ أَخْبِيَةً خِبَاءَ عَائِشَةَ وَخِبَاءَ حَفْصَةَ وَخِبَاءَ زَيْنَبَ فَلَمَّا رَآهَا سَأَلَ عَنْهَا فَقِيلَ لَهُ هَذَا خِبَاءُ عَائِشَةَ وَحَفْصَةَ وَزَيْنَبَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آلْبِرَّ تَقُولُونَ بِهِنَّ ثُمَّ انْصَرَفَ فَلَمْ يَعْتَكِفْ حَتَّى اعْتَكَفَ عَشْرًا مِنْ شَوَّالٍ
وَسُئِلَ مَالِك عَنْ رَجُلٍ دَخَلَ الْمَسْجِدَ لِعُكُوفٍ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَأَقَامَ يَوْمًا أَوْ يَوْمَيْنِ ثُمَّ مَرِضَ فَخَرَجَ مِنْ الْمَسْجِدِ أَيَجِبُ عَلَيْهِ أَنْ يَعْتَكِفَ مَا بَقِيَ مِنْ الْعَشْرِ إِذَا صَحَّ أَمْ لَا يَجِبُ ذَلِكَ عَلَيْهِ وَفِي أَيِّ شَهْرٍ يَعْتَكِفُ إِنْ وَجَبَ عَلَيْهِ ذَلِكَ فَقَالَ مَالِك يَقْضِي مَا وَجَبَ عَلَيْهِ مِنْ عُكُوفٍ إِذَا صَحَّ فِي رَمَضَانَ أَوْ غَيْرِهِ وَقَدْ بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرَادَ الْعُكُوفَ فِي رَمَضَانَ ثُمَّ رَجَعَ فَلَمْ يَعْتَكِفْ حَتَّى إِذَا ذَهَبَ رَمَضَانُ اعْتَكَفَ عَشْرًا مِنْ شَوَّالٍ وَالْمُتَطَوِّعُ فِي الْاعْتِكَافِ فِي رَمَضَانَ وَالَّذِي عَلَيْهِ الْاعْتِكَافُ أَمْرُهُمَا وَاحِدٌ فِيمَا يَحِلُّ لَهُمَا وَيَحْرُمُ عَلَيْهِمَا وَلَمْ يَبْلُغْنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ اعْتِكَافُهُ إِلَّا تَطَوُّعًا قَالَ مَالِك فِي الْمَرْأَةِ إِنَّهَا إِذَا اعْتَكَفَتْ ثُمَّ حَاضَتْ فِي اعْتِكَافِهَا إِنَّهَا تَرْجِعُ إِلَى بَيْتِهَا فَإِذَا طَهُرَتْ رَجَعَتْ إِلَى الْمَسْجِدِ أَيَّةَ سَاعَةٍ طَهُرَتْ ثُمَّ تَبْنِي عَلَى مَا مَضَى مِنَ اعْتِكَافِهَا وَمِثْلُ ذَلِكَ الْمَرْأَةُ يَجِبُ عَلَيْهَا صِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ فَتَحِيضُ ثُمَّ تَطْهُرُ فَتَبْنِي عَلَى مَا مَضَى مِنْ صِيَامِهَا وَلَا تُؤَخِّرُ ذَلِكَ
Ziyad related to me from Malik from Ibn Shihab from Amra bint Abd ar-Rahman from A'isha that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, once wanted to do itikaf, and when he went off to the place where he wanted to do itikaf he found some tents there, which were A'isha's tent, Hafsa's tent, and Zaynab's tent. When he saw them he asked about them and someone told him that they were the tents of A'isha, Hafsa and Zaynab. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Do you think them devout?" Then he left, and did not do itikaf until Shawwal, when he then did it for ten days.
Malik was asked whether someone who went into a mosque to do itikaf for the last ten days of Ramadan and stayed there for a day or two but then became ill and left the mosque, had to do itikaf for the number of days that were left from the ten, or not, and if he did have to do so, then what month should he do it in, and he replied, "He should make up whatever he has to do of the itikaf when he recovers, whether in Ramadan or otherwise. I have heard that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, once wanted to do itikaf in Ramadan, but then came back without having done so, and then when Ramadan had gone, he did itikaf for ten days in Shawwal.
Some one who does itikaf voluntarily in Ramadan and some one who has to do itikaf are in the same position regarding what is halal for them and what is haram. I have not heard that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, ever did itikaf other than voluntarily."
Malik said, that if a woman did itikaf and then menstruated during her itikaf, she went back to her house, and, when she was pure again she returned to the mosque, at whatever time it was that she became pure. She then continued her itikaf from where she left off. This was the same situation as with a woman who had to fast two consecutive months, and who menstruated and then became pure. She then continued the fast from where she had left off and did not delay doing so.
পরিচ্ছেদঃ ৪. ইতিকাফ কাযা করা প্রসঙ্গ
রেওয়ায়ত ৮. ইবন শিহাব (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফের অবস্থায় হাজতে ইনসানীর জন্য গৃহে প্রবেশ করিতেন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইতিকাফকারী মাতাপিতার জানাযা এবং তাহারা ব্যতীত অন্য কাহারো জানাযায় শরীক হওয়ার জন্য বাহির হইবে না।
بَاب قَضَاءِ الْاعْتِكَافِ
وَحَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَذْهَبُ لِحَاجَةِ الْإِنْسَانِ فِي الْبُيُوتِ
قَالَ مَالِك لَا يَخْرُجُ الْمُعْتَكِفُ مَعَ جَنَازَةِ أَبَوَيْهِ وَلَا مَعَ غَيْرِهَا
Ziyad related to me from Malik from Ibn Shihab that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to go to relieve himself in houses.
Malik said, "Someone doing itikaf should not leave for his parents' funeral or for anything else."
পরিচ্ছেদঃ ৫. ইতিকাফ অবস্থায় বিবাহ করা
মালিক (রহঃ) বলেন, ইতিকাফকারীর পক্ষে নিকাহ (অর্থাৎ আকদ করতে কোন ক্ষতি নাই যাহাতে সহবাস করা না হয়। ইতিকাফকারী মহিলাকেও বিবাহ করা যায় সহবাস ব্যতীত কেবল খিতবার (প্রস্তাবের) মাধ্যমে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইতিকাফকারীর জন্য তাহার স্ত্রীদের সহিত দিবসে যাহা হারাম রাত্রিতেও তাহা হারাম।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন ব্যক্তির জন্য ইতিকাফে থাকা অবস্থায় তাহার স্ত্রীকে স্পর্শ (সহবাস) করা হালাল নহে এবং চুমু খাওয়া ইত্যাদি দ্বারা স্ত্রীকে উপভোগ করিবে না।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ ইতিকাফকারী পুরুষ ও স্ত্রীলোক উভয়ের জন্য ইতিকাফ অবস্থায় নিকাহ করা মাকরূহ বলিতে আমি কাহাকেও শুনি নাই যতক্ষণ সহবাস না করা হয়। আর রোযাদারের জন্য রোযা অবস্থায় বিবাহ করা মাকরূহ নহে। ইতিকাফকারীর বিবাহ করা এবং মুহরিম-এর (যিনি হজ্জ ও উমরার উদ্দেশ্যে, ইহরাম করিয়াছেন) বিবাহ করার মধ্যে পার্থক্য এই যে, মুহরিম পানাহার করিতে পরিবে, রোগী দেখিতে যাইতে পরিবে এবং জানাযায় উপস্থিত হইতে পারবে, তবে খোশবু ব্যবহার করিতে পারবে না। আর ইতিকাফকারীর পুরুষ ও স্ত্রীলোক তাহারা উভয়ে তৈল ব্যবহার করিতে পারিবে, খোশবু ব্যবহার করিতে পরিবে। তাহারা প্রত্যেকে চুল কাটিতে পারবে কিন্তু জানাযায় শরীক হইতে পারবে না। জানাযার নামায পড়িতে পারবে না। আর তাহারা রোগী দেখিতে যাইতে পারিবে না। তাই বিবাহের ব্যাপারে উভয়ের (মুহরিম ও ইতিকাফকারী) হুকুম ভিন্ন ভিন্ন।
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুহরিম, ইতিকাফকারী এবং রোযাদারের বিবাহের ব্যাপারে ইহা পূর্ববর্তীদের নীতি ছিল।
بَاب النِّكَاحِ فِي الْاعْتِكَافِ
قَالَ مَالِك لَا بَأْسَ بِنِكَاحِ الْمُعْتَكِفِ نِكَاحَ الْمِلْكِ مَا لَمْ يَكُنْ الْمَسِيسُ وَالْمَرْأَةُ الْمُعْتَكِفَةُ أَيْضًا تُنْكَحُ نِكَاحَ الْخِطْبَةِ مَا لَمْ يَكُنْ الْمَسِيسُ وَيَحْرُمُ عَلَى الْمُعْتَكِفِ مِنْ أَهْلِهِ بِاللَّيْلِ مَا يَحْرُمُ عَلَيْهِ مِنْهُنَّ بِالنَّهَارِ قَالَ يَحْيَى قَالَ زِيَاد قَالَ مَالِك وَلَا يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يَمَسَّ امْرَأَتَهُ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ وَلَا يَتَلَذَّذُ مِنْهَا بِقُبْلَةٍ وَلَا غَيْرِهَا وَلَمْ أَسْمَعْ أَحَدًا يَكْرَهُ لِلْمُعْتَكِفِ وَلَا لِلْمُعْتَكِفَةِ أَنْ يَنْكِحَا فِي اعْتِكَافِهِمَا مَا لَمْ يَكُنْ الْمَسِيسُ فَيُكْرَهُ وَلَا يُكْرَهُ لِلصَّائِمِ أَنْ يَنْكِحَ فِي صِيَامِهِ وَفَرْقٌ بَيْنَ نِكَاحِ الْمُعْتَكِفِ وَنِكَاحِ الْمُحْرِمِ أَنَّ الْمُحْرِمَ يَأْكُلُ وَيَشْرَبُ وَيَعُودُ الْمَرِيضَ وَيَشْهَدُ الْجَنَائِزَ وَلَا يَتَطَيَّبُ وَالْمُعْتَكِفُ وَالْمُعْتَكِفَةُ يَدَّهِنَانِ وَيَتَطَيَّبَانِ وَيَأْخُذُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا مِنْ شَعَرِهِ وَلَا يَشْهَدَانِ الْجَنَائِزَ وَلَا يُصَلِّيَانِ عَلَيْهَا وَلَا يَعُودَانِ الْمَرِيضَ فَأَمْرُهُمَا فِي النِّكَاحِ مُخْتَلِفٌ وَذَلِكَ الْمَاضِي مِنْ السُّنَّةِ فِي نِكَاحِ الْمُحْرِمِ وَالْمُعْتَكِفِ وَالصَّائِمِ
Malik said, "There is no harm in someone who is in itikaf entering into a marriage contract as long as there is no physical relationship. A woman in itikaf may also be betrothed as long as there is no physical relationship. What is haram for someone in itikaf in relation to his womenfolk during the day is haram for him during the night."
Yahya said that Ziyad said that Malik said, "It is not halal for a man to have intercourse with his wife while he is in itikaf, nor for him to take pleasure in her by kissing her, or whatever. However, I have not heard anyone disapproving of a man, or woman, in itikaf getting married as long as there is no physical relationship. Marriage is not disapproved of for someone fasting."
"There is, however, a distinction between the marriage of someone in itikaf and that of someone who is muhrim, in that some one who is muhrim can eat, drink, visit the sick and attend funerals, but cannot put on perfume, whilst a man or woman in itikaf can put on oil and perfume and groom their hair, but cannot attend funerals or pray over the dead or visit the sick. Thus their situations with regard to marriage are different."
"This is the sunna as it has come down to us regarding marriage for those who are muhrim, doing itikaf, or fasting.
পরিচ্ছেদঃ ৬. লাইলাতুল কদর-এর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৯. আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের মাঝের দশদিন ইতিকাফ করিতেন। তাহার ইতিকাফের বর্ণনা এই-এক বৎসর তিনি ইতিকাফ করিলেন, অতঃপর যখন একুশের রাত্রি উপস্থিত হইল, সেই রাত্রির ফজরে ইতিকাফ হইতে বাহির হইলেন। তিনি ফরমাইলেনঃ যে ব্যক্তি আমার সাথে ইতিকাফ করিয়াছে, সে যেন শেষের দশ দিনও ইতিকাফ করে। আমি এই রাত্রিতে শবে-কদর মালুম করিয়াছি। তারপর আমাকে উহা ভুলাইয়া দেওয়া হইয়াছে। আমি সেই রাত্রির ভোরবেলা আমাকে পানি ও কাদামাটিতে সিজদা করিতে অনুভব করিয়াছি। তাই তোমরা উহা তালাশ কর শেষের দশদিনে এবং উহার সন্ধান কর প্রতি বিজোড় রাত্রে।
আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, সেই রাত্রিতে বৃষ্টিপাত হয়, আর মসজিদ (তখন) খেজুরের ডালের। তাই বৃষ্টির পানি চুয়াইয়া মেঝেতে পড়িয়াছিল। আবু সাঈদ (রাঃ) বলেনঃ আমার দুই নয়ন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখিয়াছে। তিনি একুশে রাত্রির ফজরের নামায পড়িয়া ফিরিলেন (এই অবস্থায় যে) তাহার ললাট ও নাকে পানি ও কাদামাটির নিশান রহিয়াছে।
بَاب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
حَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْحَارِثِ التَّيْمِيِّ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الْوُسُطَ مِنْ رَمَضَانَ فَاعْتَكَفَ عَامًا حَتَّى إِذَا كَانَ لَيْلَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ وَهِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي يَخْرُجُ فِيهَا مِنْ صُبْحِهَا مِنْ اعْتِكَافِهِ قَالَ مَنْ اعْتَكَفَ مَعِيَ فَلْيَعْتَكِفْ الْعَشْرَ الْأَوَاخِرَ وَقَدْ رَأَيْتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ ثُمَّ أُنْسِيتُهَا وَقَدْ رَأَيْتُنِي أَسْجُدُ مِنْ صُبْحِهَا فِي مَاءٍ وَطِينٍ فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ وَالْتَمِسُوهَا فِي كُلِّ وِتْرٍ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ فَأُمْطِرَتْ السَّمَاءُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ وَكَانَ الْمَسْجِدُ عَلَى عَرِيشٍ فَوَكَفَ الْمَسْجِدُ قَالَ أَبُو سَعِيدٍ فَأَبْصَرَتْ عَيْنَايَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْصَرَفَ وَعَلَى جَبْهَتِهِ وَأَنْفِهِ أَثَرُ الْمَاءِ وَالطِّينِ مِنْ صُبْحِ لَيْلَةِ إِحْدَى وَعِشْرِينَ
Yahya related to me from Malik from Yazid ibn Abdullah ibn al- Hadi from Muhammad ibn Ibrahim al-Harith at-Taymi from Abu Salama ibn Abd ar-Rahman that Abu Said al-Khudri said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, used to do itikaf in the middle ten days of Ramadan. One year he was doing itikaf and then, when it came to the night of the twenty-first, which was the night before the morning when he would normally have finished his itikaf, he said, 'Whoever has done i'tikaf with me should continue doing itikaf for the last ten days. I saw a certain night and then I was made to forget it. I saw myself prostrating the following morning in water and clay. Look for it in the last ten days, and look for it on the odd days.' "
Abu Said continued, "The sky poured with rain that night and the mosque had a roof (made of palm fronds) and the mosque was soaked. With my own eyes I saw the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, leave with traces of water and clay on his forehead and nose, in the morning after the night of the twenty- first."
পরিচ্ছেদঃ ৬. লাইলাতুল কদর-এর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১০. উরওয়াহ ইবন যুবায়র (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ রমযানের শেষ দশদিনে তোমরা শবে-কদরের সন্ধান কর।
بَاب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَحَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ
Ziyad related to me from Malik from Hisham ibn Urwa from his father that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Search for Laylat al-Qadr in the last ten days of Ramadan."
পরিচ্ছেদঃ ৬. লাইলাতুল কদর-এর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১১. আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত-তোমরা রমযানের শেষের সাত দিনে শবে-কদরের অনুসন্ধান কর।
بَاب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَحَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي السَّبْعِ الْأَوَاخِرِ
Ziyad related to me from Malik from Abdullah ibn Dinar from Abdullah ibn Umar that the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said. "Search for Laylat al-Qadr in the last seven days."
পরিচ্ছেদঃ ৬. লাইলাতুল কদর-এর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১২. আবদুল্লাহ ইবন উনায়স জুহানী (রাঃ) হইতে বর্ণিত- তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে আরজ করিলেনঃ আমি এমন এক ব্যক্তি যাহার বাড়ি অনেক দূরে অবস্থিত, তাই আমাকে আপনি একটি রাত বলিয়া দিন যে রাত্রে আমি (ইবাদতের জন্য এই মসজিদে) আগমন করিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাহাকে বলিলেনঃ তুমি রমযানের তেইশে রাত্রে আগমন কর।
بَاب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَحَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُنَيْسٍ الْجُهَنِيَّ قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي رَجُلٌ شَاسِعُ الدَّارِ فَمُرْنِي لَيْلَةً أَنْزِلُ لَهَا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْزِلْ لَيْلَةَ ثَلَاثٍ وَعِشْرِينَ مِنْ رَمَضَانَ
Ziyad related to me from Malik from Abu'n Nadr, the mawla of Umar ibn Ubaydullah, that Abdullah ibn Unays al-Juhani said to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, "Messenger of Allah, I am a man whose house is a long way away. Tell me one night so that I can stop my journey for it." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Stop on the twenty-third night of Ramadan."
পরিচ্ছেদঃ ৬. লাইলাতুল কদর-এর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১৩. আনাস ইবন মালিক (রাঃ) বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহির হইয়া আমাদের নিকট আসিলেন, অতঃপর বলিলেনঃ আমাকে অবশ্য এই রাত্রিটি (শবে-কদর) রমযানে দেখান হইয়াছে, হঠাৎ দুইজন লোক বিতর্কে লিপ্ত হইল, ফলে উহা (আমার স্মৃতি হইতে) তুলিয়া নেওয়া হয়। অতঃপর তোমরা উহাকে তালাশ কর নবম, সপ্তম ও পঞ্চম রাত্রে।
بَاب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَحَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّهُ قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ فَقَالَ إِنِّي أُرِيتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ فِي رَمَضَانَ حَتَّى تَلَاحَى رَجُلَانِ فَرُفِعَتْ فَالْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالْخَامِسَةِ
Ziyad related to me from Malik from Humayd at-Tawil that 'Anas ibn Malik said, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, came out to us in Ramadan and said, 'I was shown a certain night in Ramadan and then two men abused each other and it was taken away. Look for it on the ninth and the seventh and the fifth.' "
পরিচ্ছেদঃ ৬. লাইলাতুল কদর-এর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১৪. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদের মধ্যে কিছু লোককে লাইলাতুল কদর স্বপ্নে দেখানো হয় শেষের সাত রাত্রে। তারপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেনঃ আমি মনে করি তোমাদের স্বপ্ন শেষের সাতদিনের ব্যাপারে পরস্পর মুয়াফিক (সামঞ্জস্যপূর্ণ) হইয়াছে। অতঃপর যে উহাকে (লাইলাতুল কুদর) তালাশ করে, সে যেন শেষের সাত দিনে উহাকে তালাশ করে।
بَاب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَحَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْمَنَامِ فِي السَّبْعِ الْأَوَاخِرِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَإِنِّي أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِي السَّبْعِ الْأَوَاخِرِ فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا فِي السَّبْعِ الْأَوَاخِرِ
Ziyad related to me from Malik from Nafi from Ibn 'Umar that some of the companions of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, were shown Laylat al-Qadr in their sleep during the last seven days. The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "I see that your visions agree about the last seven days, so whoever is searching for it should do so in the last seven days."
পরিচ্ছেদঃ ৬. লাইলাতুল কদর-এর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১৫. মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য আহলে ইলমকে বলিতে শুনিয়াছেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাহার পূর্ববর্তী লোকদের আয়ু দেখান হয়। অথবা উহা হইতে যতটুকু আল্লাহ চাহিয়াছেন তাহা দেখান হয়। ফলে তিনি যেন তাহার উম্মতের আয়ুকে সংক্ষিপ্ত মনে করিলেন যাহার কারণে আমলের দিক দিয়া তাহারা পূর্ববর্তী ব্যক্তিদের সমপর্যায়ে পৌছিতে সক্ষম হইবে না। অতঃপর আল্লাহ্ তাহাকে হাজার মাস হইতে উত্তম লাইলাতুল কদর প্রদান করেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَحَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ مَنْ يَثِقُ بِهِ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرِيَ أَعْمَارَ النَّاسِ قَبْلَهُ أَوْ مَا شَاءَ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ فَكَأَنَّهُ تَقَاصَرَ أَعْمَارَ أُمَّتِهِ أَنْ لَا يَبْلُغُوا مِنْ الْعَمَلِ مِثْلَ الَّذِي بَلَغَ غَيْرُهُمْ فِي طُولِ الْعُمْرِ فَأَعْطَاهُ اللَّهُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ
Ziyad related to me from Malik that he had heard a man he trusted of the people of knowledge say, "The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, was shown the lifespans of the people (who had gone) before him, or what Allah willed of that, and it was as if the lives of the people of his community had become too short for them to be able to do as many good actions as others before them had been able to do with their long lives, so Allah gave him Laylat al- Qadr, which is better than a thousand months."
পরিচ্ছেদঃ ৬. লাইলাতুল কদর-এর বর্ণনা
রেওয়ায়ত ১৬. মালিক (রহঃ) বলেন, তাহার নিকট সংবাদ পৌছিয়াছে যে, সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) বলিতেনঃ যে ব্যক্তি শবে-কদরের ইশার নামাযে উপস্থিত হইয়াছে, সে উহার (শবে-কদর) অংশ প্রাপ্ত হইয়াছে।
بَاب مَا جَاءَ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَحَدَّثَنِي زِيَاد عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ كَانَ يَقُولُ مَنْ شَهِدَ الْعِشَاءَ مِنْ لَيْلَةِ الْقَدْرِ فَقَدْ أَخَذَ بِحَظِّهِ مِنْهَا
Ziyad related to me from Malik that he had heard that Said ibn al-Musayyab used to say, "Whoever is present at isha on Laylat al-Qadr has taken his portion from it."