পরিচ্ছেদঃ ১. অসুস্থতার কারণে মুমিনের গুনাহ ক্ষমা হয়
৩০৮৯। আল-খুদর গোত্রের তীরন্দাজ ’আমির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নুফাইলী বলেন, শব্দটি ’খাদরি’ নয়, বরং খুদর, তবে ব্যবহারে তা প্রচলিত হয়ে গেছে। ’আমির বলেন, আমি আমাদের শহরেই ছিলাম। এমন সময় ’আমরা কিছু পতাকা উড্ডীন দেখতে পেয়ে লোকদের জিজ্ঞেস করি, এসব কি? তারা বললো, এগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পতাকা। আমি তাঁর নিকট আসলাম। তখন তিনি একটি গাছের নীচে তাঁর জন্য বিছানো একটি কম্বলের উপর বসা ছিলেন। তাঁর চারপাশে তাঁর সাহাবীগণও বসা ছিলেন। আমি তাদের কাছে বসলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি বললেনঃ মু’মিন ব্যক্তি যখন অসুস্থ হয়, অতঃপর আল্লাহ তাকে রোগমুক্ত দেন, এটা তার অতীতের গুনাহের জন্য কাফফারা স্বরূপ এবং তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শিক্ষণীয়।
পক্ষান্তরে কোনো মুনাফিক অসুস্থ হওয়ার পর তাকে তা থেকে মুক্তি দেয়া হলে সে এমন উটের মতো যাকে তার মালিক শক্ত করে বেঁধে আবার ছেড়ে দিলো। কিন্তু সে কিছুই বুঝলো না, তার মালিক তাকে কেনই বা শক্ত করে বাঁধলো আর কেনই বা ছেড়ে দিলো। তাঁর আশপাশে বসা লোকদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহর রাসূর! কিসের অসুস্থতা? আল্লাহর শপথ! আমি তো কখনো অসুস্থ হইনি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি আমাদের এখান থেকে উঠে যাও, কারণ তুমি আমাদের দলভুক্ত নও।
বর্ণনাকারী বলেন, ’আমরা তাঁর কাছে বসা। এমতাবস্থায় তাঁর কাছে এক ব্যক্তি আসলো। তার গায়ে কম্বল জড়ানো এবং তার হাতে কিছু একটা ছিলো। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাকে দেখতে পেয়েই আপনার কাছে উপস্থিত হলাম। গাছপালার মধ্য দিয়ে পথ অতিক্রম করার সময় আমি পাখির বাচ্চার আওয়াজ শুনতে পাই। আমি সেগুলো ধরে আমার কম্বলের মধ্যে রাখি। বাচ্চাগুলোর মা এসে আমার উপর চক্কর দিতে লাগলো। আমি বাচ্চাগুলোকে তাদের মায়ের জন্য কম্বলের মধ্য থেকে বের করে দিলাম। পাখিটি এসে বাচ্চাগুলোর সাথে মিলিত হলো। আমি সবগুলোকে আমার কম্বল দিয়ে লেপটিয়ে ধরে ফেললাম। এখন সবগুলো পাখি আমার সাথে রয়েছে।
তিনি বললেনঃ সেগুলো বের করে রাখো। সুতরাং আমি বের করলাম। কিন্তু মা পাখিটা বাচ্চাদের রেখে যেতে চাইলো না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের বললেনঃ বাচ্চাদের প্রতি মা পাখিটার মায়ায় তোমরা কি আশ্চর্যবোধ করছো না! তারা বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহ রাসূল! তিনি বললেনঃ সেই সত্তার শপথ, যিনি আমাকে সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন! বাচ্চাদের প্রতি মা পাখিটার যে মায়া রয়েছে, আল্লাহ অবশ্যই তাঁর বান্দাদের প্রতি আরো অধিক মমতাময়ী। তুমি যেখান থেকে বাচ্চাগুলোকে ধরে এনেছো মা-সহ তাদেরকে সেখানে রেখে আসো। সুতরাং সে পাখিগুলো সেখানে রেখে এলো।[1]
بَابُ الْأَمْرَاضِ الْمُكَفِّرَةِ لِلذُّنُوبِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ، يُقَالُ لَهُ: أَبُو مَنْظُورٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَمِّي، عَنْ عَامِرٍ الرَّامِ، أَخِي الْخَضِرِ - قَالَ أَبُو دَاوُدَ: قَالَ النُّفَيْلِيُّ: هُوَ الْخَضِرُ، وَلَكِنْ كَذَا قَالَ - قَالَ: إِنِّي لَبِبِلَادِنَا إِذْ رُفِعَتْ لَنَا رَايَاتٌ وَأَلْوِيَةٌ، فَقُلْتُ: مَا هَذَا؟ قَالُوا: هَذَا لِوَاءُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ تَحْتَ شَجَرَةٍ قَدْ بُسِطَ لَهُ كِسَاءٌ، وَهُوَ جَالِسٌ عَلَيْهِ، وَقَدِ اجْتَمَعَ إِلَيْهِ أَصْحَابُهُ، فَجَلَسْتُ إِلَيْهِمْ، فَذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَسْقَامَ، فَقَالَ: إِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا أَصَابَهُ السَّقَمُ، ثُمَّ أَعْفَاهُ اللَّهُ مِنْهُ، كَانَ كَفَّارَةً لِمَا مَضَى مِنْ ذُنُوبِهِ، وَمَوْعِظَةً لَهُ فِيمَا يَسْتَقْبِلُ، وَإِنَّ الْمُنَافِقَ إِذَا مَرِضَ ثُمَّ أُعْفِيَ كَانَ كَالْبَعِيرِ، عَقَلَهُ أَهْلُهُ، ثُمَّ أَرْسَلُوهُ فَلَمْ يَدْرِ لِمَ عَقَلُوهُ، وَلَمْ يَدْرِ لِمَ أَرْسَلُوهُ فَقَالَ رَجُلٌ مِمَّنْ حَوْلَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَمَا الْأَسْقَامُ؟ وَاللَّهِ مَا مَرِضْتُ قَطُّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قُمْ عَنَّا، فَلَسْتَ مِنَّا، فَبَيْنَا نَحْنُ عِنْدَهُ إِذْ أَقْبَلَ رَجُلٌ عَلَيْهِ كِسَاءٌ، وَفِي يَدِهِ شَيْءٌ قَدِ الْتَفَّ عَلَيْهِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي لَمَّا رَأَيْتُكَ أَقْبَلْتُ إِلَيْكَ فَمَرَرْتُ بِغَيْضَةِ شَجَرٍ فَسَمِعْتُ فِيهَا أَصْوَاتَ فِرَاخِ طَائِرٍ، فَأَخَذْتُهُنَّ فَوَضَعْتُهُنَّ فِي كِسَائِي، فَجَاءَتْ أُمُّهُنَّ فَاسْتَدَارَتْ عَلَى رَأْسِي، فَكَشَفْتُ لَهَا عَنْهُنَّ فَوَقَعَتْ عَلَيْهِنَّ، مَعَهُنَّ فَلَفَفْتُهُنَّ بِكِسَائِي، فَهُنَّ أُولَاءِ مَعِي، قَالَ: ضَعْهُنَّ عَنْكَ فَوَضَعْتُهُنَّ، وَأَبَتْ أُمُّهُنَّ إِلَّا لُزُومَهُنَّ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ: أَتَعْجَبُونَ لِرُحْمِ أُمِّ الْأَفْرَاخِ فِرَاخَهَا؟ قَالُوا: نَعَمْ، يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: فَوَالَّذِي بَعَثَنِي بِالْحَقِّ، لَلَّهُ أَرْحَمُ بِعِبَادِهِ مِنْ أُمِّ الْأَفْرَاخِ بِفِرَاخِهَا، ارْجِعْ بِهِنَّ حَتَّى تَضَعَهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَخَذْتَهُنَّ وَأُمُّهُنَّ مَعَهُنَّ فَرَجَعَ بِهِنَّ
ضعيف
Narrated Amir ar-Ram:
We were in our country when flags and banners were raised. I said: What is this?
The (the people) said: This is the banner of the Messenger of Allah (ﷺ). So I came to him. He was (sitting) under a tree. A sheet of cloth was spread for him and he was sitting on it. His Companions were gathered around him. I sat with them.
The Messenger of Allah (ﷺ) mentioned illness and said: When a believer is afflicted by illness and Allah cures him of it, it serves as an atonement for his previous sins and a warning to him for the future.
But when a hypocrite becomes ill and is then cured, he is like a camel which has been tethered and then let loose by its owners, but does not know why they tethered it and why they let it loose.
A man from among those around him asked: Messenger of Allah, what are illnesses? I swear by Allah, I never fell ill.
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Get up and leave us. You do not belong to our number. When we were with him, a man came to him. He had a sheet of cloth and something in his hand.
He turned his attention to him and said: Messenger of Allah, when I saw you, I turned towards you. I saw a group of trees and heard the sound of fledglings. I took them and put them in my garment. Their mother then came and began to hover round my head. I showed them to her, and she fell on them. I wrapped them with my garment. They are now with me.
He said: Put them away from you. So I put them away, but their mother stayed with them.
The Messenger of Allah (ﷺ) said to his companions: Are you surprised at the affection of the mother for her young?
They said: Yes, Messenger of Allah. He said: I swear by Him Who has sent me with the Truth, Allah is more affectionate to His servants than a mother to her young ones. Take them back put them and where you took them from when their mother should have been with them. So he took them back.
পরিচ্ছেদঃ ১. অসুস্থতার কারণে মুমিনের গুনাহ ক্ষমা হয়
৩০৯০। মুহাম্মাদ ইবনু খালিদ (রহঃ) থেকে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (দাদা) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য লাভ করেছেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কোনো ব্যক্তির জন্য বিনাশ্রমে আল্লাহর পক্ষ থেকে মর্যাদার আসন নির্ধারিত হলে আল্লাহ তার দেহ, সম্পদ অথবা সন্তানকে বিপদগ্রস্ত করেন। অতঃপর সে তাতে ধৈর্য ধারণ করলে শেষ পর্যন্ত বরকতময় মহান আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত উক্ত মর্যাদার স্তরে উপনীত হয়।[1]
بَابُ الْأَمْرَاضِ الْمُكَفِّرَةِ لِلذُّنُوبِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ مَهْدِيٍّ الْمِصِّيصِيُّ الْمَعْنَى، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو الْمَلِيحِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ خَالِدٍ - قَالَ أَبُو دَاوُدَ: قَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَهْدِيٍّ السَّلَمِيُّ - عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ - وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا سَبَقَتْ لَهُ مِنَ اللَّهِ مَنْزِلَةٌ، لَمْ يَبْلُغْهَا بِعَمَلِهِ ابْتَلَاهُ اللَّهُ فِي جَسَدِهِ، أَوْ فِي مَالِهِ، أَوْ فِي وَلَدِهِ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: زَادَ ابْنُ نُفَيْلٍ: ثُمَّ صَبَّرَهُ عَلَى ذَلِكَ - ثُمَّ اتَّفَقَا - حَتَّى يُبْلِغَهُ الْمَنْزِلَةَ الَّتِي سَبَقَتْ لَهُ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى
صحيح
Narrated Muhammad ibn Khalid as-Sulami:
on his father's authority said his grandfather reported: He was a Companion of the Messenger of Allah (ﷺ) said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: When Allah has previously decreed for a servant a rank which he has not attained by his action, He afflicts him in his body, or his property or his children.
Abu Dawud said: Ibn Nufail added in his version: "He then enables him to endure that." The agreed version goes: "So that He may bring him to the rank previously decreed from him by Allah."
পরিচ্ছেদঃ ২. কোনো ব্যক্তি সৎকাজে অভ্যস্ত হলে পরবর্তীতে অসুস্থতা বা সফরের কারণে তা করতে বাধাগ্রস্ত হলে
৩০৯১। আবূ মূসা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একবার দুইবার নয়, বহুবার বলতে শুনেছিঃ কোনো বান্দা নেক কাজ করলে এবং পরে রোগ বা সফর তাকে সে কাজ থেকে বিরত রাখলে তার আমলনামায় সুস্থ ও আবাসে অবস্থানকালে তার কৃত সৎ আমলের ন্যায় সওয়াব লেখা হবে।[1]
بَابٌ إِذَا كَانَ الرَّجُلُ يَعْمَلُ عَمَلًا صَالِحًا فَشَغَلَهُ عَنْهُ مَرَضٌ أَوْ سَفَرٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، وَمُسَدَّدٌ الْمَعْنَى قَالَا: حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ السَّكْسَكِيِّ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرَ مَرَّةٍ، وَلَا مَرَّتَيْنِ يَقُولُ: إِذَا كَانَ الْعَبْدُ يَعْمَلُ عَمَلًا صَالِحًا، فَشَغَلَهُ عَنْهُ مَرَضٌ، أَوْ سَفَرٌ، كُتِبَ لَهُ كَصَالِحِ مَا كَانَ يَعْمَلُ، وَهُوَ صَحِيحٌ مُقِيمٌ
حسن
Narrated Abu Musa:
I heard the Prophet (ﷺ) many times say: When a servant of Allah is accustomed to do a good work, then becomes ill or goes on journey, what was accustomed to do when he was well and staying at home will be recorded for him.
পরিচ্ছেদঃ ৩. মহিলা রোগীর সেবা করা
৩০৯২। উম্মুল আলা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে আসলেন। তিনি বললেনঃ হে আলার মা! সুসংবাদ গ্রহণ করো, আগুন যেভাবে সোনা-রূপার ময়লা দূর করে দেয় তদ্রুপ মহান আল্লাহ কোনো মুসলিমের রোগের দ্বারা তার গুনাহসমূহ দূর করে দেন।[1]
بَابُ عِيَادَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ بَكَّارٍ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ أُمِّ الْعَلَاءِ، قَالَتْ: عَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا مَرِيضَةٌ، فَقَالَ: أَبْشِرِي يَا أُمَّ الْعَلَاءِ، فَإِنَّ مَرَضَ الْمُسْلِمِ يُذْهِبُ اللَّهُ بِهِ خَطَايَاهُ، كَمَا تُذْهِبُ النَّارُ خَبَثَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ
صحيح
Narrated Umm al-Ala:
The Messenger of Allah (ﷺ) visited me while I was sick. He said: Be glad, Umm al-Ala' for Allah removes the sins of a Muslim for his illness as fire removes the dross of gold and silver.
পরিচ্ছেদঃ ৩. মহিলা রোগীর সেবা করা
৩০৯৩। ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! মহান আল্লাহর কিতাবের সবচেয়ে কঠোর আয়াতটি আমি অবশ্যই অবহিত আছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ হে ’আয়িশাহ! সেটি কোন্ আয়াত? তিনি বললেনঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’কেউ পাপ করলে তার প্রতিফল সেই পাবে এবং সে আল্লাহর বিপক্ষে কোনো বন্ধু ও সাহায্যকারী পাবে না।’’[সূরা আন-নিসাঃ ১২৩]
তিনি বললেনঃ হে ’আয়িশাহ! তুমি কি জনো, কোনো মুসলিম যখন বিপদগ্রস্ত বা নির্যাতিত হয়, এতে তার আমলের মন্দ দিকগুলো দূরীভূত হয়ে যায়। যে ব্যক্তির হিসাব নেয়া হবে সে মারা পড়বে বা শাস্তি পাবে। ’আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, আল্লাহ কি বলেননি, ’’যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে তার হিসাব সহজে গ্রহণ করা হবে।’’[সূরা আল-ইনশিকাক্বঃ ৮] তিনি বললেনঃ হে ’আয়িশাহ এর অর্থ আমল পেশ করা।[1]
بَابُ عِيَادَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، ح وحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ - قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ بَشَّارٍ - عَنْ أَبِي عَامِرٍ الْخَزَّازِ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي لَأَعْلَمُ أَشَدَّ آيَةٍ فِي الْقُرْآنِ؟ قَالَ: أَيَّةُ آيَةٍ يَا عَائِشَةُ؟، قَالَتْ: قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى: (مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ) [النساء: ١٢٣]، قَالَ: أَمَا عَلِمْتِ يَا عَائِشَةُ، أَنَّ الْمُؤْمِنَ تُصِيبُهُ النَّكْبَةُ، أَوِ الشَّوْكَةُ فَيُكَافَأُ بِأَسْوَإِ عَمَلِهِ وَمَنْ حُوسِبَ عُذِّبَ قَالَتْ: أَلَيْسَ اللَّهُ يَقُولُ: (فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا) [الانشقاق: ٨]، قَالَ: ذَاكُمُ الْعَرْضُ، يَا عَائِشَةُ مَنْ نُوقِشَ الْحِسَابَ عُذِّبَ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهَذَا لَفْظُ ابْنِ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ
ضعيف الإسناد لكن شطر من حوسب عذب الخ صحيح
Narrated 'Aishah:
I said: Messenger of Allah, I know the severest verse in the Qur'an. He asked: What is that verse. A'ishah? She replied: Allah's words: "If anyone does evil, he will be requited for it." He said: Do you know A'ishah, that when a believer is afflicted with a calamity or a thorn, it serves as an atonement for his evil deed. He who is called to account will be punished. She said: Does Allah not say: "He truly will recieve an easy reckoning." He said: This is the presentation, A'ishah. If anyone criticized in reckoning, he will be punished.
Abu Dawud said: This is the version of Ibn Bashshar. He said: Ibn Abi Mulaikah narrated to us.
পরিচ্ছেদঃ ৪. রোগী দেখতে যাওয়া
৩০৯৪। উসামাহ ইবনু যায়িদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, (মুনাফিক সর্দার) ’আব্দুল্লাহ ইবনু উবাই মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখতে যান। তিনি তার কাছে প্রবেশ করে তার চেহারায় মৃত্যু ছাপ দেখে বললেনঃ আমি তোমাকে ইয়াহুদীদেরকে ভালোবাসতে নিষেধ করতাম। ’আব্দুল্লাহ বললো, তাদের প্রতি আস’আদ ইবনু যুরারাহ বিদ্বেষ পোষণ করে কি পেয়েছে? ’আব্দুল্লাহ ইবনু উবাই মারা গেলে তার ছেলে ’আব্দুল্লাহ (রাঃ) এসে বললেন, হে আল্লাহর নবী! ’আব্দুল্লাহ ইবনু উবাই মারা গেছে। তাকে কাফন দেয়ার জন্য আপনার একটি জামা দিন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর গায়ের চাঁদরটি খুলে তাকে দিলেন।[1]
بَابٌ فِي الْعِيَادَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَيٍّ، فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ عَرَفَ فِيهِ الْمَوْتَ، قَالَ: قَدْ كُنْتُ أَنْهَاكَ عَنْ حُبِّ يَهُودَ قَالَ: فَقَدْ أَبْغَضَهُمْ سَعْدُ بْنُ زُرَارَةَ فَمَهْ فَلَمَّا مَاتَ أَتَاهُ ابْنُهُ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَيّ، قَدْ مَاتَ فَأَعْطِنِي قَمِيصَكَ أُكَفِّنْهُ فِيهِ، فَنَزَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَمِيصَهُ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهُ
ضعيف الإسناد لكن قصة القميص صحيحة
Narrated Usamah b. Zaid:
The Messenger of Allah (ﷺ) went out to visit 'Abd Allah b. Ubayy during his illness of which he died. When he entered upon him, he realised death on him. He said: I used to forbid you from the love of Jews. He ('Abd Allah) said: As'ad b. Zurarah hated them. So what (the benefited) ? When he died, his son came and said: Prophet of Allah, 'Abd Allah b. Ubayy has died, give me your shirt, so that I shroud him in it. The Messenger of Allah (ﷺ) took off his shirt and gave it to him.
পরিচ্ছেদঃ ৫. অমুসলিম রোগী দেখা
৩০৯৫। আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। এক ইয়াহুদী যুবক অসুস্থ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখতে যান। তিনি তার মাথার কাছে বসে বললেনঃ তুমি ইসলাম গ্রহণ করো। সে তার পিতার দিকে তাকালো। সেও তার মাথার কাছেই বসা ছিলো। তার পিতা তাকে বললো, আবুল কাসিমের কথা মেনে নাও। সে ইসলাম গ্রহণ করলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখান থেকে উঠে আসার সময় বললেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাকে আমার মাধ্যমে দোযখ থেকে মুক্তি দিলেন।[1]
بَابٌ فِي عِيَادَةِ الذِّمِّيِّ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ يَعْنِي ابْنَ زَيْدٍ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ غُلَامًا، مِنَ الْيَهُودِ كَانَ مَرِضَ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُهُ فَقَعَدَ عِنْدَ رَأْسِهِ، فَقَالَ لَهُ: أَسْلِمْ فَنَظَرَ إِلَى أَبِيهِ، وَهُوَ عِنْدَ رَأْسِهِ، فَقَالَ لَهُ أَبُوهُ: أَطِعْ أَبَا الْقَاسِمِ فَأَسْلَمَ، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ يَقُولُ: الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنْقَذَهُ بِي مِنَ النَّارِ
صحيح
Narrated Anas :
A young Jew became ill. The Prophet (ﷺ) went to visit him. He sat down by his head and said to him: Accept Islam. He looked at his father who was beside him near his head, and he said: Obey Abu al-Qasim. So he accepted Islam, and the Prophet (ﷺ) stood up saying: Praise be to Allah Who has saved him through me from Hell.
পরিচ্ছেদঃ ৬. পায়ে হেঁটে রোগী দেখতে যাওয়া
৩০৯৬। জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়ে হেঁটে আমাকে দেখতে আসেন। তিনি খচ্চর বা তুর্কী ঘোড়ায় চড়ে আসেননি।[1]
بَابُ الْمَشْيِ فِي الْعِيَادَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي لَيْسَ بِرَاكِبِ بَغْلٍ وَلَا بِرْذَوْنٍ
صحيح
Narrated Jabir:
The Prophet (ﷺ) would visit me (during my illness) riding neither a mule nor a pony.
পরিচ্ছেদঃ ৭. উযূ করে রোগী দেখতে যাওয়া ফযীলত
৩০৯৭। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ উত্তমরূপে উযূ করে নেকীর আশায় তার কোনো (অসুস্থ) মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে তাকে জাহান্নাম থেকে সত্তর খারীফ (সত্তর বছর) পথ দূরে রাখা হবে। আমি (সাবিত আল-বানানী) আবূ হামযাহকে জিজ্ঞেস করি, খারীফ শব্দের তাৎপর্য কি? তিনি বললেন, বছর। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, বাসরার মুহাদ্দিসগণ শুধু ’উযু করে রোগী দেখার, অংশটুকু বর্ণনা করেছেন।[1]
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِيَادَةِ عَلَى وُضُوءٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَوْفٍ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ رَوْحِ بْنِ خُلَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دَلْهَمٍ الْوَاسِطِيُّ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ الْوُضُوءَ، وَعَادَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ مُحْتَسِبًا بُوعِدَ مِنْ جَهَنَّمَ، مَسِيرَةَ سَبْعِينَ خَرِيفًا قُلْتُ: يَا أَبَا حَمْزَةَ، وَمَا الْخَرِيفُ؟ قَالَ: الْعَامُ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَالَّذِي تَفَرَّدَ بِهِ الْبَصْرِيُّونَ مِنْهُ الْعِيَادَةُ وَهُوَ مُتَوَضِّئٌ
ضعيف
Narrated Anas ibn Malik:
The Prophet (ﷺ) said: If anyone performs ablution well and pays a visit to his (sick) Muslim brother seeking his reward from Allah, he will be removed a distance of seventy years (kharif) from Hell. I asked: What is kharif, Abu Hamzah? He replied: A year.
Abu Dawud said: Only the people of Basrah have narrated the tradition on visiting the sick after performing ablution.
পরিচ্ছেদঃ ৭. উযূ করে রোগী দেখতে যাওয়া ফযীলত
৩০৯৮। আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, কেউ বিকাল বেলা কোনো রোগীকে দেখতে গেলে সত্তর হাজার ফিরিশতা তার সাথে রওয়ানা হয় এবং তারা তার জন্য ভোর হওয়া পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে থাকে। উপরন্তু তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান তৈরী করা হয়। আর কোনো ব্যক্তি দিনের প্রথমভাগে রোগী দেখতে গেলে তার সাতেও সত্তর হাজার ফিরিশতা রওয়ানা হয় এবং তারা সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। তাকেও জান্নাতে একটি বাগান দেয়া হয়।[1]
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِيَادَةِ عَلَى وُضُوءٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: مَا مِنْ رَجُلٍ يَعُودُ مَرِيضًا مُمْسِيًا، إِلَّا خَرَجَ مَعَهُ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ يَسْتَغْفِرُونَ لَهُ حَتَّى يُصْبِحَ، وَكَانَ لَهُ خَرِيفٌ فِي الْجَنَّةِ، وَمَنْ أَتَاهُ مُصْبِحًا، خَرَجَ مَعَهُ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ يَسْتَغْفِرُونَ لَهُ حَتَّى يُمْسِيَ، وَكَانَ لَهُ خَرِيفٌ فِي الْجَنَّةِ
صحيح موقوف
Narrated 'Ali:
If a man visits a patient in the evening, seventy thousand angels come along with him seeking forgiveness from Allah for him till the morning, and he will have a garden in the Paradise.
পরিচ্ছেদঃ ৭. উযূ করে রোগী দেখতে যাওয়া ফযীলত
৩০৯৯। আলী (রাঃ) থেকে এ সনদেও উপরের হাদীসটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে বর্ণিত। কিন্তু এতে ’খারীফ’ শব্দের উল্লেখ নেই।[1]
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِيَادَةِ عَلَى وُضُوءٍ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَعْنَاهُ لَمْ يَذْكُرِ الْخَرِيفَ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَاهُ مَنْصُورٌ، عَنِ الْحَكَمِ، كَمَا رَوَاهُ شُعْبَةُ
صحيح مرفوع
The tradition mentioned above has also been transmitted by 'Ali from the Prophet (ﷺ) through a different chain of narrators to the same effect. This version does not mention the word "garden" (khartf).
Abu Dawud said:
This tradition has been narrated by Mansur from al-Hakkam as narrated by Shu'bah.
পরিচ্ছেদঃ ৭. উযূ করে রোগী দেখতে যাওয়া ফযীলত
৩১০০। আবূ জাফর ’আব্দুল্লাহ ইবনু নাফি’ (রহঃ) বলেন, একদা আল-হাসান ইবনু আলী (রাঃ) অসুস্থ হলে তাকে আবূ মূসা (রাঃ) দেখতে আসেন। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসের বর্ণনা শু’বাহ (রহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ হাদীসের সনদসূত্র নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত মারফূ করা হয়েছে, তবে এটি যথার্থ নয়।[1]
بَابٌ فِي فَضْلِ الْعِيَادَةِ عَلَى وُضُوءٍ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَافِعٍ، قَالَ: وَكَانَ نَافِعٌ غُلَامُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، قَالَ: جَاءَ أَبُو مُوسَى، إِلَى الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، يَعُودُهُ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَسَاقَ مَعْنَى حَدِيثِ، شُعْبَةَ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: أُسْنِدَ هَذَا عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ صَحِيحٍ
صحيح مرفوع
Narrated Abu Ja'far 'Abd Allah b. Nafi', the slave of al-Hasan b. 'Ali:
Abu Musa paid a sick visit to al-Hasan b. 'Ali.
Abu Dawud said: He narrated the tradition to the same effect as narrated by Shu'bah.
Abu Dawud said: This tradition has been transmitted by 'Ali from the Prophet (ﷺ) without any sound manner.
পরিচ্ছেদঃ ৮. বারবার রোগী দেখা
৩১০১। ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন এক ব্যক্তির নিক্ষিপ্ত তীরে সা’দ ইবনু মু’আয (রাঃ) আঘাতপ্রাপ্ত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য মসজিদের ভেতর একটি তাঁবু টানালেন। যেন তিনি কাছ থেকে তাকে দেখতে পারেন।[1]
بَابٌ فِي الْعِيَادَةِ مِرَارًا
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: لَمَّا أُصِيبَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ يَوْمَ الْخَنْدَقِ، رَمَاهُ رَجُلٌ فِي الْأَكْحَلِ فَضَرَبَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْمَةً فِي الْمَسْجِدِ لِيَعُودَهُ مِنْ قَرِيبٍ
صحيح
Narrated 'Aishah:
When Sa'd b. Mu'adh suffered affliction on the day of Trench (i.e. the battle of Trench) a man shot an arrow in the vein of his hand. The Messenger of Allah (ﷺ) pitched a tent for him the mosque so that he might visit him from near.
পরিচ্ছেদঃ ৯. চক্ষু রোগীকে দেখতে যাওয়া
৩১০২। যায়িদ ইবনু আরকাম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমার চোখে ব্যথা হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে আসেন।[1]
بَابٌ فِي الْعِيَادَةِ مِنَ الرَّمَدِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ: عَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ وَجَعٍ كَانَ بِعَيْنِي
حسن
Narrated Zayd ibn Arqam:
The Messenger of Allah (ﷺ) visited me while I was suffering from pain in my eyes.
পরিচ্ছেদঃ ১০. মহামারী উপদ্রুত এলাকা ত্যাগ করা
৩১০৩। ’আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা কোনো অঞ্চলে প্লেগ-মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কথা শুনলে সেখানে যাবে না। আর যদি কোনো এলাকায় মহামারী ছড়িয়ে পড়ে এবং তোমরাও সেখানে অবস্থান করো, তাহলে সেখান থেকে পালিয়ে এসো না।[1]
بَابُ الْخُرُوجِ مِنَ الطَّاعُونِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ، فَلَا تُقْدِمُوا عَلَيْهِ، وَإِذَا وَقَعَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ يَعْنِي الطَّاعُونَ
صحيح
Narrated 'Abd Allah b. 'Abbas:
That 'Abd al-Rahman b.'Awf said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: When you hear that it is breaking out in a certain territory, do not go there. If it breaks out in the territory you are in, do not go out fleeing away from it. By "it" he referred to the plague.
পরিচ্ছেদঃ ১১. রোগী দেখতে গিয়ে রোগীর সুস্থতা চেয়ে দু‘আ করা
৩১০৪। সা’দ কন্যা ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তার পিতা বলেছেন, আমি মক্কাতে অসুস্থ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে আসেন। তিনি আমার কপালে হাত রাখলেন এবং বুক ও পেট মলে দিলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! সা’দকে রোগমুক্ত করে দিন এবং তার হিজরতকে পূর্ণ করে দিন।[1]
بَابُ الدُّعَاءِ لِلْمَرِيضِ بِالشِّفَاءِ عِنْدَ الْعِيَادَةِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا الْجُعَيْدُ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ سَعْدٍ، أَنَّ أَبَاهَا، قَالَ: اشْتَكَيْتُ بِمَكَّةَ فَجَاءَنِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي، وَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِي، ثُمَّ مَسَحَ صَدْرِي وَبَطْنِي، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ اشْفِ سَعْدًا وَأَتْمِمْ لَهُ هِجْرَتَهُ
صحيح
Narrated 'Aishah daughter of Sa'd:
That her father said: I had a complaint at Mecca. The Messenger of Allah (ﷺ) came to pay a sick-visit to me. He put his hand on my forehead, wiped my chest and belly, and then said: O Allah! heal up Sa'd and complete his immigration.
পরিচ্ছেদঃ ১১. রোগী দেখতে গিয়ে রোগীর সুস্থতা চেয়ে দু‘আ করা
৩১০৫। আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীর সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করো এবং বন্দীকে মুক্ত করো। সুফিয়ান আস-সাওরী (রহঃ) বলেন, ’আল-আনী’ অর্থ বন্দী।[1]
بَابُ الدُّعَاءِ لِلْمَرِيضِ بِالشِّفَاءِ عِنْدَ الْعِيَادَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ كَثِيرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَطْعِمُوا الْجَائِعَ، وَعُودُوا الْمَرِيضَ، وَفُكُّوا الْعَانِيَ قَالَ سُفْيَانُ: وَالْعَانِي الْأَسِيرُ
صحيح
Narrated Abu Musa Al-Ash'ari:
The Messenger of Allah (ﷺ) as saying: Feed the hungry, visit the sick and free the captive. Sufyan said: al-'ani means captive.
পরিচ্ছেদঃ ১২. রোগীকে দেখতে গিয়ে তার জন্য দু‘আ করা
৩১০৬। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি এমন রোগীকে দেখতে গেলো যার অন্তিম সময় আসেনি, সে যেন তার সামনে সাতবার বলেঃ ’আমি মহান আরশের প্রভু মহামহিম আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করছি, তিনি যেন তোমাকে রোগমুক্তি দেন’, তাহলে তাকে নিশ্চয়ই রোগমুক্তি দেয়া হবে।[1]
بَابُ الدُّعَاءِ لِلْمَرِيضِ عِنْدَ الْعِيَادَةِ
حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ أَبُو خَالِدٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ عَادَ مَرِيضًا، لَمْ يَحْضُرْ أَجَلُهُ فَقَالَ عِنْدَهُ سَبْعَ مِرَارٍ: أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ، إِلَّا عَافَاهُ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ الْمَرَضِ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Abbas:
The Prophet (ﷺ) said: If anyone visits a sick whose time (of death) has not come, and says with him seven times: I ask Allah, the Mighty, the Lord of the mighty Throne, to cure you, Allah will cure him from that disease.
পরিচ্ছেদঃ ১২. রোগীকে দেখতে গিয়ে তার জন্য দু‘আ করা
৩১০৭। ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ কোনো রোগীকে দেখতে গেলে সে যেন বলেঃ ’’হে আল্লাহ! আপনার বান্দাকে আরোগ্য দিন যাতে সে আপনার উদ্দেশ্যে শত্রুকে আঘাত হানতে পারে এবং আপনার জন্য জানাযার বা সালাতে শরীক হতে পারে।[1]
بَابُ الدُّعَاءِ لِلْمَرِيضِ عِنْدَ الْعِيَادَةِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ حُيَيِّ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنِ ابْنِ عَمْرٍو، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا جَاءَ الرَّجُلُ يَعُودُ مَرِيضًا، فَلْيَقُلْ: اللَّهُمَّ اشْفِ عَبْدَكَ يَنْكَأُ لَكَ عَدُوًّا، أَوْ يَمْشِي لَكَ إِلَى جَنَازَةٍ "، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَقَالَ ابْنُ السَّرْحِ: إِلَى صَلَاةٍ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Amr ibn al-'As:
The Prophet (ﷺ) said: When a man comes to visit a sick person, he should say: O Allah, cure Thy servant, who may then wreak havoc on an enemy for your sake, or walk at a funeral for your sake.
Abu Dawud said: Ibn As-Sarh (one of the narrators) said: "Ilas-salat (To the Salat)".
পরিচ্ছেদঃ ১৩. মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করা অনুচিত
৩১০৮। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন বিপদে পড়ে মৃত্যু কামনা না করে। বরং সে যেন বলে, ’’হে আল্লাহ! যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর, তখন আমাকে মৃত্যু দিন।’’[1]
بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ تَمَنِّي الْمَوْتِ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلَالٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَدْعُوَنَّ أَحَدُكُمْ بِالْمَوْتِ لِضُرٍّ نَزَلَ بِهِ، وَلَكِنْ لِيَقُلْ: اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي، وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي
صحيح
Narrated Anas:
The Messenger of Allah (ﷺ) as saying: No one of you should wish for death for any calamity that befalls him, but he should say: O Allah! cause me to live so long as my life is better for me ; and cause me to die where death is better for me.