পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৪৮-(১/৫২০) আবূ কামিল আল জাহদারী, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... আবূ যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! পৃথিবীতে কোন মসজিদটি সর্বপ্রথম নির্মিত হয়েছিল? তিনি বললেন, মসজিদুল হারাম। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি (মাসজিদটি)। তিনি বললেন, আল মাসজিদুল আকসা বা বায়তুল মাকদিস। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এ দু’টি মসজিদের নির্মাণকালের মধ্যে ব্যবধান কত? তিনি বললেন, চল্লিশ বছর। (তিনি আরো বললেন) যে স্থানেই সালাতের সময় উপস্থিত হবে, তুমি সেখানেই সালাত আদায় করে নিবে। কারণ সে জায়গাটাও মাসজিদ।
আবূ কামিল বর্ণিত হাদীসে আছে, তাই যেখানেই সালাতের সময় হবে তুমি সেখানেই সালাত আদায় করে নিবে। কারণ সেটিও মাসজিদ। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১০৪২, ইসলামিক সেন্টার ১০৫২)
حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ مَسْجِدٍ وُضِعَ فِي الأَرْضِ أَوَّلُ قَالَ " الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ " . قُلْتُ ثُمَّ أَىٌّ قَالَ " الْمَسْجِدُ الأَقْصَى " . قُلْتُ كَمْ بَيْنَهُمَا قَالَ " أَرْبَعُونَ سَنَةً وَأَيْنَمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ فَصَلِّ فَهُوَ مَسْجِدٌ " . وَفِي حَدِيثِ أَبِي كَامِلٍ " ثُمَّ حَيْثُمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ فَصَلِّهْ فَإِنَّهُ مَسْجِدٌ " .
Abu Dharr reported:
I said: Messenger of Allah, which mosque was set up first on the earth? He said: Al-Masjid al-Haram (the sacred). I (again) said: Then which next? He said: It was the Masjid Aqsa. I (again) said: How long the space of time (between their setting up)? He (the Holy Prophet) said: It was forty years. And whenever the time comes for prayer, pray there, for that is a mosque; and in the hadith transmitted by Abu Kamil (the words are):" Whenever time comes for prayer, pray, for that is a mosque (for you)."
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৪৯-(২/...) আলী ইবনু হুজর আস সা’দী (রহঃ) ..... ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদ আত তায়মী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে "সাদ্দাহ" অর্থাৎ- মসজিদের দরজার বাইরে কুরআন মাজীদ পাঠ করে শুনাতাম। আমি সাজদার আয়াত পড়লে তিনি তখন সিজদা করতেন। আমি তাকে বলতাম, আব্বাজান! আপনি রাস্তায় সিজদা করছেন? তিনি বলতেন, আমি আবূ যার কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পৃথিবীতে নির্মিত সর্বপ্রথম মসজিদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, মসজিদুল হারাম (সর্বপ্রথম নির্মিত হয়েছিল) আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোন মসজিদ (নির্মিত হয়েছিল?) তিনি বললেন, মসজিদুল আকসা। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, এ দুটি মসজিদের (নির্মিত কাজের) মধ্যে কতদিনের ব্যবধান? তিনি বললেন, চল্লিশ বছর। এছাড়া গোটা পৃথিবীই তো মসজিদ। সুতরাং যেখানেই সালাতের সময় হবে সেখানেই সালাত আদায় করে নিবে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৪৩, ইসলামীক সেন্টার ১০৫৩)
حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ التَّيْمِيِّ، قَالَ كُنْتُ أَقْرَأُ عَلَى أَبِي الْقُرْآنَ فِي السُّدَّةِ فَإِذَا قَرَأْتُ السَّجْدَةَ سَجَدَ فَقُلْتُ لَهُ يَا أَبَتِ أَتَسْجُدُ فِي الطَّرِيقِ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ يَقُولُ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَوَّلِ مَسْجِدٍ وُضِعَ فِي الأَرْضِ قَالَ " الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ " . قُلْتُ ثُمَّ أَىٌّ قَالَ " الْمَسْجِدُ الأَقْصَى " . قُلْتُ كَمْ بَيْنَهُمَا قَالَ " أَرْبَعُونَ عَامًا ثُمَّ الأَرْضُ لَكَ مَسْجِدٌ فَحَيْثُمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ فَصَلِّ " .
Ibrahim b. Yazid al-Tayml reported:
I used to read the Qur'an with my father in the vestibule (before the door of the mosque). When I recited the ayat (verses) concerning prostration, he prostrated himself. I said to him: Father, do you prostrate yourself in the path? He said: I heard Abu Dharr saying: I asked the Messenger of Allah (ﷺ) about the mosque that was first set up on the earth. He said: Masjid Harim. I said: Then which next? He said: The Masjid al-Aqsa. I said: How long is the space of time between the two? He said: Forty years. He (then) further said: The earth is a mosque for you, so wherever you are at the time of prayer, pray there.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫০-(৩/৫২১) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আল আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে এমন পাঁচটি বিশেষ মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য দান করা হয়েছে যা অন্য কোন নবীকে দেয়া হয়নি। প্রত্যেক নবীকে শুধু তার কওমের জন্য পাঠানো হতো। কিন্তু আমাকে সাদা ও কালো সবার জন্য নবী করে পাঠানো হয়েছে। আমার জন্য গনীমাত বা যুদ্ধলব্ধ অর্থ-সম্পদ হালাল করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমার পূর্বে আর কারো (কোন নবীর) জন্য তা হালাল ছিল না। আমার জন্য গোটা পৃথিবী পাক-পবিত্র ও মসজিদ করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং সালাতের সময় হলে যে কোন লোক যে কোন স্থানে সালাত আদায় করে নিতে পারে। আমাকে একমাসের পথের দূরত্ব পর্যন্ত অত্যন্ত শান শাওকাত সহকারে (শত্রুও অন্তর ভীতি দ্বারা) সাহায্য করা হয়েছে। আর আমাকে শাফা’আতের সুযোগ দান করা হয়েছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৪৪ ইসলামীক সেন্টার ১০৫৪)
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ يَزِيدَ الْفَقِيرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ قَبْلِي كَانَ كُلُّ نَبِيٍّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ خَاصَّةً وَبُعِثْتُ إِلَى كُلِّ أَحْمَرَ وَأَسْوَدَ وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَلَمْ تُحَلَّ لأَحَدٍ قَبْلِي وَجُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ طَيِّبَةً طَهُورًا وَمَسْجِدًا فَأَيُّمَا رَجُلٍ أَدْرَكَتْهُ الصَّلاَةُ صَلَّى حَيْثُ كَانَ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ بَيْنَ يَدَىْ مَسِيرَةِ شَهْرٍ وَأُعْطِيتُ الشَّفَاعَةَ " .
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১- নিশ্চয় মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে কতকগুলি বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছেন। উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে থেকে এখানে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হলো:
ক। ভীতিগ্রস্ত হওয়ার প্রভাব: ভয় লাগা, ডর করা, আশঙ্কা করা। সুতরাং মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর অনিষ্টকারীদের অন্তরে নিক্ষেপ করেন ভয় ভীতি। তাই আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর মধ্যে এবং তাঁর অনিষ্টকারীদের মধ্যে এক মাসের রাস্তা অতিক্রম করার দূরত্ব ও ব্যবধান থাকলেও তারা তাঁর ভয়ে ভীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই বিষয়টি আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর মৃত্যুবরণ করার পর তাঁর অনুসারী উম্মতের জন্য নির্ধারিত রয়েছে।
খ। মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে অন্য একটি বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছেন। আর সেই বৈশিষ্ট্যটি হলো প্রকৃতপক্ষে সকল জাতির মানব সমাজের মধ্যে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর মুসলিম উম্মতের জন্য। সুতরাং মুসলিম জাতির জন্য জমিনকে নামাজ পড়ার স্থান ও পবিত্রতার্জনের উপায় করা হয়েছে। তাই কোনো মুসলিম ব্যক্তির যখন নামাজ পড়ার সময় হয়ে যাবে, তখন সে পানি না পেলে তায়াম্মুম করে নিবে এবং যে স্থানে থাকবে সেই স্থানেই সে নামাজ পড়ে নিবে। কেননা সেই স্থানই তার নামাজ পড়ার জায়গা। তবে যে সব জায়গাতে নামাজ পড়া জায়েজ নয়, সেই সব জায়গাতে নামাজ পড়া চলবে না, যেমন:- অপবিত্র জায়গা, কবরস্থান, রাস্তা, আবর্জনা নিক্ষেপ করার স্থান, জীবজন্তু জবাই করার স্থান ইত্যাদি; কেননা এই সব জায়গাতে তো নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে নামাজ জামাআতের সহিত পড়ার বিধানটি নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু সফরের কারণে কিংবা অসুস্থতা বা বৃষ্টির কারণে অথবা অন্য কোনো বৈধ অজুহাতের কারণে মানুষ যে স্থানে থাকবে সেই স্থানেই নামাজ পড়ে নিবে।
গ। মহান আল্লাহ মহা অনুগ্রহ করে মুসলিম জাতির জন্য ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক গানীমাতের মাল (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ) হালাল ও বৈধ করেছেন।
ঘ। মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে সকল জাতির মানব সমাজের প্রতি প্রেরণ করেছেন। সুতরাং প্রকৃত ইসলামের একটি বৈশিষ্ট্য হলো এই যে, ইসলামের বার্তা সার্বজনীন বিশ্বধর্মের বার্তা; অতএব এই পৃথিবীর বুকে কেয়ামত বা মহা প্রলয় সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত ইসলামই হলো একটি আন্তর্জাতিক বিশ্বধর্ম। এবং এই ধর্ম সমস্ত প্রকারের মানুষের জন্য প্রযোজ্য আর সকল যুগের জন্য উপযোগী । তাই এই ধর্ম হলো একটি যুগোপযোগী ধর্ম।
ঙ। পরকালে সমস্ত মানুষের মঙ্গলার্থে মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে ব্যাপকভাবে সুপারিশ করার বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছেন। সেই কেয়ামতের দিনে হাশরের ময়দানে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত মানুষকে মহান আল্লাহ একই স্থানে একত্রিত করবেন। সমস্ত মানুষ যখন সেই কঠিন ভয়ানক দিনে এবং ভীষণ সমস্যার স্থানে অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে অশান্তির মধ্যে থাকবে, তখন আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সকল মানুষের নিষ্পত্তি ও ফয়সালার জন্য মহান আল্লাহর কাছে মহা সুপারিশ করবেন। এবং যেই স্থানে আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] মহান আল্লাহর কাছে এই মহা সুপারিশ করবেন, সেই স্থানের নামটি হলো মাকাম মাহমূদ। এই পবিত্র মাকাম মাহমূদ স্থানের প্রতিশ্রুতি মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে প্রদান করেছেন।
২- বিশ্বনাবী মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কে এবং মুসলিম জাতিকে মহান আল্লাহ উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি প্রদান করেছেন; তাই মুসলিম ব্যক্তির প্রতি একটি অপরিহার্য বিষয় হলো এই যে, সে যেন পরাক্রমশালী মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে।
Jabir b. 'Abdullah al-Ansari reported:
The Prophet (ﷺ) said: I have been conferred upon five (things) which were not granted to anyone before me (and these are): Every apostle wassent particularly to his own people, whereas I have been sent to all the red and the black the spoils of war have been made lawful for me, and these were never made lawful to anyone before me, and the earth has been made sacred and pure and mosque for me, so whenever the time of prayer comes for any one of you he should pray whenever he is, and I have been supported by awe (by which the enemy is overwhelmed) from the distance (which one takes) one month to cover and I have been granted intercession.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫১-(.../...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) আমাদেরকে জানিয়েছেন, নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ... অতঃপর তিনি উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৪৫, ইসলামীক সেন্টার ১০৫৪)
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا سَيَّارٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ الْفَقِيرُ، أَخْبَرَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ . فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
Jabir b. 'Abdullah related that the Messenger of Allah (ﷺ) said, and he related like this.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫২-(৪/৫২২) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ)...... হুযায়ফাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্য সব লোকের চেয়ে তিনটি বিষয়ে আমাদেরকে (উম্মাতে মুহাম্মাদীকে) মর্যাদা দান করা হয়েছে। আমাদের (সালাতের) কাতার বা সারি মালাকগণের (ফেরেশতাগণের) কাতার বা সারির মতো করা হয়েছে। সমগ্র পৃথিবী আমাদের জন্য মসজিদ করে দেয়া হয়েছে। আর পানি না পেলে পৃথিবীর মাটিকে আমাদের পবিত্রতা অর্জনের উপকরণ করে দেয়া হয়েছে। এরপর তিনি আরেকটি বিষয়ও উল্লেখ করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৪৬, ইসলামীক সেন্টার ১০৫৫)
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فُضِّلْنَا عَلَى النَّاسِ بِثَلاَثٍ جُعِلَتْ صُفُوفُنَا كَصُفُوفِ الْمَلاَئِكَةِ وَجُعِلَتْ لَنَا الأَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدًا وَجُعِلَتْ تُرْبَتُهَا لَنَا طَهُورًا إِذَا لَمْ نَجِدِ الْمَاءَ " . وَذَكَرَ خَصْلَةً أُخْرَى .
Hudhaifa reported:
The Messenger of Allah (may peace be npon him) said: We have been made to excel (other) people in three (things): Our rows have been made like the rows of the angels and the whole earth has been made a mosque for us, and its dust has been made a purifier for us in case water is not available. And he mentioned another characteristic too
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫৩-(.../...) আবূ কুরায়ব মুহাম্মদ ইবনু ’আলা (রহঃ) ..... হুযায়ফাহ (রাযিঃ) এর মাধ্যমে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন ..... এরপর এ কথা বলে তিনি পূর্ব বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৪৭, ইসলামীক সেন্টার ১০৫৬)
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ، حَدَّثَنِي رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ .
Hudhaifa reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said like this.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫৪-(৫/৫২৩) ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব, কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ ও আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্য সব নবীদের চাইতে আমাকে ছয়টি বিশেষ মর্যাদা দান করা হয়েছে। আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থবোধক কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আমাকে অত্যন্ত প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে। আমার জন্য গনীমাতের (যুদ্ধলব্ধ) অর্থ হালাল করা হয়েছে। আমার জন্য গোটা পৃথিবীর ভূমি বা মাটি পবিত্রতা হাসিলকার এবং মসজিদ করা হয়েছে। আমাকে সমগ্র সৃষ্টির জন্য (নবী করে) পাঠানো হয়েছে। আর আমাকে দিয়ে নবীদের আগমন-ধারা সমাপ্ত করা হয়েছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৪৮, ইসলামীক সেন্টার ১০৫৭)
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فُضِّلْتُ عَلَى الأَنْبِيَاءِ بِسِتٍّ أُعْطِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَجُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ طَهُورًا وَمَسْجِدًا وَأُرْسِلْتُ إِلَى الْخَلْقِ كَافَّةً وَخُتِمَ بِيَ النَّبِيُّونَ " .
Abu Huraira reported that the Messenger of Allah (may peace be upon hlmg) said:
I have been given superiority over the other prophets in six respects: I have been given words which are concise but comprehensive in meaning; I have been helped by terror (in the hearts of enemies): spoils have been made lawful to me: the earth has been made for me clean and a place of worship; I have been sent to all mankind and the line of prophets is closed with me.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫৫-(৬/...) আবুত ত্বহির ও হারমালাহ্ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থবোধক কথা বলার ক্ষমতা দিয়ে পাঠানো হয়েছে। আমাকে অত্যন্ত প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে। একদিন ঘুমের মাঝে স্বপ্নে আমার কাছে পৃথিবীর ধন-ভাণ্ডারের চাবিসমূহ এনে আমার হাতে দেয়া হলো। আবূ হুরায়রাহ ..... (এর ব্যাখ্যা করে) বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো বিদায় নিয়ে চলে গিয়েছেন আর তোমরা তা আহরণ* করে চলেছ। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৪৯ ইসলামীক সেন্টার ১০৫৮)
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بُعِثْتُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الأَرْضِ فَوُضِعَتْ فِي يَدَىَّ " . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنْتُمْ تَنْتَثِلُونَهَا .
Abu Huraira reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: I have been commissioned with words which are concise but comprehensive in meaning; I have been helped by terror (in the hearts of enemies): and while I was asleep I was brought the keys of the treasures of the earth which were placed in my hand. And Abfi Huraira added: The Messenger of Allah (ﷺ) has left (for his heavenly home) and you are now busy in getting them.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫৬-(.../...) হাজিব ইবনুল ওয়ালীদ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, অতঃপর ইউনুস বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৫০, ইসলামীক সেন্টার ১০৫৯)
وَحَدَّثَنَا حَاجِبُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ . مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ .
Abu Huraira reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying a hadith like that of Yunus.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫৭-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ)-এর মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৫১, ইসলামীক সেন্টার, ১০৬০)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
This hadith has been narratted by Abu Huraira by another chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫৮-(৭/...) আবুত তহির (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমাকে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রবল প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে। আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ ব্যাপক অর্থবোধক কথা বলার ক্ষমতা দান করা হয়েছে। আর একদিন ঘুমের মাঝে স্বপ্নে আমার কাছে পৃথিবীর ধন-ভণ্ডারের চাবিসমূহ এনে আমার হাতে দেয়া হয়েছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৫২, ইসলামীক সেন্টার ১০৬১)
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي يُونُسَ، مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ عَلَى الْعَدُوِّ وَأُوتِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَبَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الأَرْضِ فَوُضِعَتْ فِي يَدَىَّ " .
Abu Huraira reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: I have been helped by terror (in the heart of the enemy) ; I have been given words which are concise but comprehensive in meaning; and while I was asleep I was brought the keys of the treasures of the earth which were placed in my hand.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫৯-(৮/...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... হাম্মাদ ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) বর্ণনা করেন। আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) ..... রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কিছু সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করে আমাদের শুনালেন। তার মধ্যে একটি হাদীস হলো, তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে প্রবল প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে। আর আমাকে সংক্ষিপ্ত ব্যাপক অর্থবোধক কথা বলার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৫৩, ইসলামীক সেন্টার, ১০৬২)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَأُوتِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ " .
Hammam b. Munabbih reported:
That is what Abu Huraira reported to us from the Messenger of Allah (ﷺ) and he narrated (some) ahadith one of which is that the Messenger of Allah (ﷺ) said: I have been helped by terror (in the hearts of enemies) and I have been given words which are concise but comprehensive in meaning.
পরিচ্ছেদঃ ১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাসজিদ নির্মাণ
১০৬০-(৯/৫২৪) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও শায়বান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদীনায় আগমন করলেন, মাদিনার উচ্চভূমিতে বানী ’আমর ইবনু আওফ গোত্রের এলাকায় অবতরণ করলেন, এবং সেখানে চৌদ্দ রাত অবস্থান করলেন। অতঃপর তিনি বানী নাজ্জার গোত্রের লোকজনকে ডেকে পাঠালেন তারা সবাই (খোলা) তরবারিসহ আগমন করলো। হাদীসের বর্ণনাকারী আনাস বলেন, আমি যেন রসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তার সওয়ারী বা বাহনের উপর দেখতে পাচ্ছি। আবূ বকর তার পিছনে বসে আছেন এবং বানী নাজারের লোকজন তাকে ঘিরে আছে। অবশেষে তিনি আবূ আইয়ুবের (আনসারী) বাড়ীর আঙ্গিনায় অবতরণ করলেন।
বর্ণনাকারী আনাস বলেছেন, সালাতের সময় হলেই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করে নিতেন। এমনকি তিনি বকরীর খোয়াড়েও সালাত আদায় করতেন। পরে তিনি মসজিদ নির্মাণ করতে আদিষ্ট হলে বানী নাজ্জার গোত্রের নেতৃস্থানীয় লোকদের ডেকে পাঠালেন। তারা উপস্থিত হলে তিনি তাদেরকে লক্ষ্য করে বললেন, হে বানী নাজ্জার! তোমরা তোমাদের এ বাগানটি অর্থের বিনিময়ে আমার কাছে বিক্রি করো। তারা বললো না, আল্লাহর শপথ, আমরা আল্লাহর নিকট ছাড়া আপনার কাছে এর মূল্য দাবী করব না। আনাস বলেন, ঐ বাগানটিতে যা ছিল তা আমি বর্ণনা করছি, ঐ বাগানে ছিল খেজুর গাছ, মুশরিকদের কিছু কবর এবং কিছু ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তুপ।
অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশে খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলা হলো, মুশরিকদের কবরগুলো খুঁড়ে ফেলা হলো এবং ধ্বংসাবশেষগুলো মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হলো। তারা (কর্তিত) খেজুর গাছের গুড়িসমূহ কিবলার দিকে সারি করে রাখল এবং দরজার দু’পাশে পাথর স্থাপন করল। আনাস ইবনু মালিক বর্ণনা করেছেন। এসব কাজ করার সময় তারা একসুরে কবিতা আবৃত্তি করছিল। আর তাদের সাথে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একস্থানে কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। তারা বলছিল, "হে আল্লাহ! আখিরাতের কল্যাণ ছাড়া প্রকৃত কোন কল্যাণ নেই। তুমি আনসার ও মুহাজিরদের সাহায্য করো।" (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৫৪, ইসলামীক সেন্টার ১০৬৩)
باب ابْتِنَاءِ مَسْجِدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَشَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ، - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ الضُّبَعِيِّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَنَزَلَ فِي عُلْوِ الْمَدِينَةِ فِي حَىٍّ يُقَالُ لَهُمْ بَنُو عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ . فَأَقَامَ فِيهِمْ أَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً ثُمَّ إِنَّهُ أَرْسَلَ إِلَى مَلإِ بَنِي النَّجَّارِ فَجَاءُوا مُتَقَلِّدِينَ بِسُيُوفِهِمْ - قَالَ - فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى رَاحِلَتِهِ وَأَبُو بَكْرٍ رِدْفُهُ وَمَلأُ بَنِي النَّجَّارِ حَوْلَهُ حَتَّى أَلْقَى بِفِنَاءِ أَبِي أَيُّوبَ - قَالَ - فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي حَيْثُ أَدْرَكَتْهُ الصَّلاَةُ وَيُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ ثُمَّ إِنَّهُ أَمَرَ بِالْمَسْجِدِ قَالَ فَأَرْسَلَ إِلَى مَلإِ بَنِي النَّجَّارِ فَجَاءُوا فَقَالَ " يَا بَنِي النَّجَّارِ ثَامِنُونِي بِحَائِطِكُمْ هَذَا " . قَالُوا لاَ وَاللَّهِ لاَ نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلاَّ إِلَى اللَّهِ . قَالَ أَنَسٌ فَكَانَ فِيهِ مَا أَقُولُ كَانَ فِيهِ نَخْلٌ وَقُبُورُ الْمُشْرِكِينَ وَخِرَبٌ . فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّخْلِ فَقُطِعَ وَبِقُبُورِ الْمُشْرِكِينَ فَنُبِشَتْ وَبِالْخِرَبِ فُسُوِّيَتْ - قَالَ - فَصَفُّوا النَّخْلَ قِبْلَةً وَجَعَلُوا عِضَادَتَيْهِ حِجَارَةً - قَالَ - فَكَانُوا يَرْتَجِزُونَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَهُمْ وَهُمْ يَقُولُونَ اللَّهُمَّ إِنَّهُ لاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُ الآخِرَهْ فَانْصُرِ الأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ
Anas b. Malik reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) came to Medina and stayed in the upper part of Medina for fourteen nights with a tribe called Banu 'Amr b 'Auf. He then sent for the chiefs of Banu al-Najir, and they came with swords around their inecks. He (the narrator) said: I perceive as if I am seeing the Messenger of Allah (ﷺ) on his ride with Abu Bakr behind him and the chiefs of Banu al-Najjar around him till he alighted in the courtyard of Abu Ayyub. He (the narrator) said: The Messenger of Allah (ﷺ) said prayer when the time came for prayer, and he prayed in the fold of goats and sheep. He then ordered mosques to be built and sent for the chiefs of Banu al-Najjar, and they came (to him). He (the Holy Prophet) said to them: O Banu al-Najjar, sell these lands of yours to me. They said: No, by Allah. we would not demand their price, but (reward) from the Lord. Anas said: There (in these lands) were trees and graves of the polytheists, and ruins. The Messenger of Allah (may peace he upon him) ordered that the trees should be cut, and the graves should be dug out, and the ruins should be levelled. The trees (were thus) placed in rows towards the qibla and the stones were set on both sides of the door, and (while building the mosque) they (the Companions) sang rajaz verses along with the Messenger of Allah (ﷺ): O Allah: there is no good but the good of the next world, So help the Ansar and the Muhajirin.
পরিচ্ছেদঃ ১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাসজিদ নির্মাণ
১০৬১-(১০/...) উবায়দুল্লাহ ইবনু মু’আয আল আম্বারী (রহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মসজিদ নির্মাণের পূর্বে বকরীর খোয়াড়েও সালাত আদায় করতেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৫৫, ইসলামীক সেন্টার ১০৬৪)
باب ابْتِنَاءِ مَسْجِدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي أَبُو التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ قَبْلَ أَنْ يُبْنَى الْمَسْجِدُ .
Anas reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to pray in the folds of the sheep and goats before the mosque was built.
পরিচ্ছেদঃ ১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাসজিদ নির্মাণ
১০৬২-(.../...) ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপরে বর্ণিত হাদীসটির বিষয়বস্তুর অনুরূপ করতেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৫৬, ইসলামীক সেন্টার ১০৬৪)
باب ابْتِنَاءِ مَسْجِدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
Abu al-Tiyyah reported:
I heard from Anas a narration like this from the Messenger of Allah (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ২. বায়তুল মুকাদ্দাস হতে কাবার দিকে কিবলাহ্ পরিবর্তন
১০৬৩-(১১/৫২৫) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... বারা ইবনু আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কুরআন মাজীদের আয়াত “ওয়া হায়সু মা কুনতুম ফাওয়াল্লু উজুহাকুম শাত্বরাহ্” (অর্থাৎ- এখন যেখানেই তোমরা অবস্থান করো না কেন, ঐ (কা’বাহ ঘরের) দিকে মুখ করে সালাত আদায় করো) অবতীর্ণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আমরা ষোল মাস যাবৎ বায়তুল মাকদিসের দিকে মুখ করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সালাত আদায় করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায়ের পর এ আয়াত অবতীর্ণ হলো। তখন সবার মধ্য হতে জনৈক ব্যক্তি উঠে রওয়ানা হলো। সে সালাতরত একদল আনসারের নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় তাদের কাছে হাদীসটি বর্ণনা করলেন। তারা সবাই (সালাতরত অবস্থায়ই) মুখ ফিরিয়ে বায়তুল্লাহ বা কাবাহ ঘরের দিকে করে নিলো। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৫৭, ইসলামীক সেন্টারঃ ১০৬৫)
باب تَحْوِيلِ الْقِبْلَةِ مِنَ الْقُدْسِ إِلَى الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا حَتَّى نَزَلَتِ الآيَةُ الَّتِي فِي الْبَقَرَةِ ( وَحَيْثُمَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ) فَنَزَلَتْ بَعْدَ مَا صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَمَرَّ بِنَاسٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَهُمْ يُصَلُّونَ فَحَدَّثَهُمْ فَوَلَّوْا وُجُوهَهُمْ قِبَلَ الْبَيْتِ .
Al-Bara' b. 'Azib reported:
I said prayer with the Apostle (ﷺ) turning towards Bait-ul-Maqdis for sixteen months till this verse of Surah Baqara wis revealed:" And wherever you are turn your faces towards it" (ii. 144). This verse was revealed when the Apostle (ﷺ) had said prayer. A person amongst his people passed by the people of Ansar as they were engaged in prayer. He narrated to them (this command of Allah) and they turned their faces towards the Ka'ba.
পরিচ্ছেদঃ ২. বায়তুল মুকাদ্দাস হতে কাবার দিকে কিবলাহ্ পরিবর্তন
১০৬৪-(১২/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও আবূ বকর ইবনু খল্লাদ (রহঃ) ..... বারা ইবনু আযিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। আমরা বায়তুল মাকদিসের দিকে মুখ করে ষোল কিংবা সতের মাস পর্যন্ত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পিছনে সালাত আদায় করেছি। এরপর আমাদেরকে কা’বার দিকে মুখ ফিরিয়ে দেয়া হয়। অর্থাৎ- ষোল কিংবা সতের মাস পরে আমরা কা’বার দিকে মুখ করে সালাত আদায়ের নির্দেশ লাভ করি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৫৮, ইসলামীক সেন্টার ১০৬৬)
باب تَحْوِيلِ الْقِبْلَةِ مِنَ الْقُدْسِ إِلَى الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى، - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، - عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ صَلَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا ثُمَّ صُرِفْنَا نَحْوَ الْكَعْبَةِ .
Abu Ishaq reported:
I heard al-Bara' saying: We prayed with the Messenger of Allah (ﷺ) (with our faces) towards Bait-ul-Maqdis for sixteen months or seventeen months. Then we were made to change (our direction) towards the Ka'ba.
পরিচ্ছেদঃ ২. বায়তুল মুকাদ্দাস হতে কাবার দিকে কিবলাহ্ পরিবর্তন
১০৬৫-(১৩/৫২৬) শায়বান ইবনু ফাররূখ, কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) [শব্দাবলী তার] ..... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, কুবা নামক মসজিদে লোকজন ফজরের সালাত আদায় করছিল। ঠিক তখনই একজন আগন্তুক এসে তাদেরকে বলল, আজ রাতে কা’বার দিকে মুখ ফিরিয়ে সালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর একটি আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। তখন তাদের (মসজিদে কুবায় সালাত আদায়কারী মুসল্লীদের) মুখ ছিল শামের (বায়তুল মাকদিস বা মসজিদে আকসার, যা বর্তমানে ফিলিস্তনে অবস্থিত) দিকে। অতঃপর (সালাতরত অবস্থায়) তারা কা’বার দিকে ঘুরে দাঁড়ালো। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৫৯, ইসলামীক সেন্টার ১০৬৭)
باب تَحْوِيلِ الْقِبْلَةِ مِنَ الْقُدْسِ إِلَى الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ بَيْنَمَا النَّاسُ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ بِقُبَاءٍ إِذْ جَاءَهُمْ آتٍ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ اللَّيْلَةَ . وَقَدْ أُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ فَاسْتَقْبِلُوهَا . وَكَانَتْ وُجُوهُهُمْ إِلَى الشَّامِ فَاسْتَدَارُوا إِلَى الْكَعْبَةِ .
Ibn 'Umar reported:
As the people were praying at Quba' a man came to them and said: It has been revealed to file Messenger of Allah (ﷺ) during the night and he has been directed to turn towards the Ka'ba. So turn towards it. Their faces were towards Syria and they turned round towards Ka'ba.
পরিচ্ছেদঃ ২. বায়তুল মুকাদ্দাস হতে কাবার দিকে কিবলাহ্ পরিবর্তন
১০৬৬-(১৪/...) সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ইবনু উমার ও আবদুল্লাহ ইবনু দীনার এর মাধ্যমে ’আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, লোকজন ফজরের সালাত আদায় করছিল। ঠিক তখন একজন সেখানে এসে হাজির হলো ... এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি মালিক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বিষয়বস্তু রর্ণনা করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৬০, ইসলামীক সেন্টার ১০৬৮)
باب تَحْوِيلِ الْقِبْلَةِ مِنَ الْقُدْسِ إِلَى الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ بَيْنَمَا النَّاسُ فِي صَلاَةِ الْغَدَاةِ إِذْ جَاءَهُمْ رَجُلٌ . بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ .
Ibn 'Umar reported:
As the people were engaged in the morning prayer a man came to them. The rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ ২. বায়তুল মুকাদ্দাস হতে কাবার দিকে কিবলাহ্ পরিবর্তন
১০৬৭-(১৫/৫২৭) আবূ বকর ইবনু শায়বাহ (রহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল মাকদিসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করতেন। তারপর এক সময় এ আয়াত অবতীর্ণ হলোقَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ "আমি বার বার তোমাকে আসমানের দিকে তাকানো দেখছিলাম। এখন আমি তোমাকে তোমার পছন্দনীয় কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিলাম। সুতরাং তুমি তোমার মুখ মসজিদে হারামের দিকে ফিরিয়ে নাও"- (সূরাহ আল বাকারাহ ২ঃ ১৩৩)। এরপর জনৈক ব্যক্তি ভোরবেলা বানী সালামাহ গোত্রের এলাকা দিয়ে অতিক্রম করছিল। সে দেখতে পেলো তারা ফাজর সালাতের এক রাকাআত আদায় করেছে এবং দ্বিতীয় রাকাআতে রুকু’রত আছে। তখন সে ডেকে বলল, কিবলাহ কিন্তু পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে। (এ কথা শুনার পর) তারা সালাতরত অবস্থায়ই (নতুন) কিবলার দিকে ঘুরে গেল। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১০৬১, ইসলামীক সেন্টার ১০৬৯)
باب تَحْوِيلِ الْقِبْلَةِ مِنَ الْقُدْسِ إِلَى الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَنَزَلَتْ ( قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ) فَمَرَّ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَلِمَةَ وَهُمْ رُكُوعٌ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ وَقَدْ صَلَّوْا رَكْعَةً فَنَادَى أَلاَ إِنَّ الْقِبْلَةَ قَدْ حُوِّلَتْ . فَمَالُوا كَمَا هُمْ نَحْوَ الْقِبْلَةِ .
Anas reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to pray towards Bait-ul-Maqdis, that it was revealed (to him):" Indeed We see the turning of the face to heaven, wherefore We shall assuredly cause thee to turn towards Qibla which shall please thee. So turn thy face towards the sacred Mosque (Ka'ba)" (ii. 144). A person from Banu Salama was going; (he found the people) in ruk'u (while) praying the dawn prayer and they had said one rak'ah. He said in a loud voice: Listen! the Qibla has been changed and they turned towards (the new) Qibla (Ka'ba) in that very state.