পরিচ্ছেদঃ ১. ফারাইয (সংক্রান্ত ইলম) শিক্ষা করা সম্পর্কে
২৮৮৮. মুওয়াররিক আল ইজলী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: ’তোমরা ফারাইয, ভাষা ও সুন্নাহসমূহ (হাদীস) শিক্ষা করবে যেভাবে তোমরা কুর’আন শিক্ষা করে থাক।’[1]
بَاب فِي تَعْلِيمِ الْفَرَائِضِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا عَاصِمٌ عَنْ مُوَرِّقٍ الْعِجْلِيِّ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ تَعَلَّمُوا الْفَرَائِضَ وَاللَّحْنَ وَالسُّنَنَ كَمَا تَعَلَّمُونَ الْقُرْآنَ
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৫৯ নং ৯৯৭৫, ১১/২৩৬ নং ১১০৯১; সাঈদ ইবনু মাসসূর, আস সুনান নং ১; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২০৯।
পরিচ্ছেদঃ ১. ফারাইয (সংক্রান্ত ইলম) শিক্ষা করা সম্পর্কে
২৮৮৯. ইবরাহীম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: ’তোমরা ফারাইয শিক্ষা করবে কেননা, তা তোমাদের দীনের (গুরুত্বপূর্ণ) অংশবিশেষ।’[1]
بَاب فِي تَعْلِيمِ الْفَرَائِضِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ قَالَ عُمَرُ تَعَلَّمُوا الْفَرَائِضَ فَإِنَّهَا مِنْ دِينِكُمْ
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৩৪ নং ১১০৮১; সাঈদ ইবনু মাসসূর, আস সুনান নং ২; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২০৯।
পরিচ্ছেদঃ ১. ফারাইয (সংক্রান্ত ইলম) শিক্ষা করা সম্পর্কে
২৮৯০. ইবনু শিহাব (যুহুরী) রাহি: হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যদি উছমান ও যাইদ (এ দুই ফারাইয পণ্ডিত একসাথে) কোন সময় মৃত্যু বরণ করতো, তবে ফারাইযের জ্ঞান বিলুপ্ত হয়ে যেতো। লোকদের উপর এমন যুগ এসে গেছে যখন এ দু’জন ব্যতীত আর কেউই ফারাইযের জ্ঞান রাখে না।’[1]
بَاب فِي تَعْلِيمِ الْفَرَائِضِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا يُوسُفُ الْمَاجِشُونُ قَالَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ لَوْ هَلَكَ عُثْمَانُ وَزَيْدٌ فِي بَعْضِ الزَّمَانِ لَهَلَكَ عِلْمُ الْفَرَائِضِ لَقَدْ أَتَى عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ وَمَا يَعْلَمُهَا غَيْرُهُمَا
তাখরীজ: বাইহাকী, ফারাইয ৬/২১০; ফাসাওয়ী, মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ১/৪৮৬ সহীহ সনদে।
পরিচ্ছেদঃ ১. ফারাইয (সংক্রান্ত ইলম) শিক্ষা করা সম্পর্কে
২৮৯১. আব্দুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’তোমরা ফারাইয ও কুর’আন শিক্ষা করবে; কেননা, অচিরেই এমন হবে যে, কোনো লোক এ জ্ঞানের মুখাপেক্ষী হবে যা সে ইত:পূর্বে শিক্ষা করেছিল অথবা, সে এমন লোকদের মধ্যে অবস্থান করবে যারা (তা) জানে না।’[1]
بَاب فِي تَعْلِيمِ الْفَرَائِضِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ عَنْ الْقَاسِمِ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ وَالْفَرَائِضَ فَإِنَّهُ يُوشِكُ أَنْ يَفْتَقِرَ الرَّجُلُ إِلَى عِلْمٍ كَانَ يَعْلَمُهُ أَوْ يَبْقَى فِي قَوْمٍ لَا يَعْلَمُونَ
তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ৯/২১১ নং ৮৯২৬; ইবনু আবী শাইবা ১১/২৩৫ নং ১১০৮৭; সাঈদ ইবনু মানসূর, আস সুনান নং ৩ (যে কুরআন শিখে সে যেন ফারাইযও শিখে।’) সনদ সহীহ। আগের ও পরের আছার দু’টি দেখুন।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৭২৩২ তে।
পরিচ্ছেদঃ ১. ফারাইয (সংক্রান্ত ইলম) শিক্ষা করা সম্পর্কে
২৮৯২. আবী খলীল হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ মূসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: ’যে ব্যক্তি কুরআন শিখল কিন্তু ফারাইয শিখল না, তার উপমা হলো ঐ বুরনুস (এক প্রকার টুপি)-এর মতো যাতে কোনো মুখ (তথা মুখ বের করার জায়গা) নেই।’[1]
بَاب فِي تَعْلِيمِ الْفَرَائِضِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَبِي مُسْلِمٍ عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ قَالَ قَالَ أَبُو مُوسَى مَنْ عَلِمَ الْقُرْآنَ وَلَمْ يَعْلَمْ الْفَرَائِضَ فَإِنَّ مَثَلَهُ مَثَلُ الْبُرْنُسِ لَا وَجْهَ لَهُ أَوْ لَيْسَ لَهُ وَجْهٌ
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৩৪ নং ১১০৮২; হাফিজ (ইবনু হাজার আসকালানী), যাহরুল ফিরদাউস ৪/৬৮।
অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন ইবনু আবী শাইবা, আমছালুল হাদীস নং ৪৯ তে আবী হুরাইরার সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম r হতে: “যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে কিন্তু ফারাইয শেখে না, তার উপমা হলো সেই ব্যক্তির মতো যার মাথা নেই।” তবে ইবনু মাঈন এ হাদীসের রাবী ইসহাক ইবনু নাজীহ সম্পর্কে বলেন: সে মিথ্যাবাদী, আল্লাহর শত্রু, নিকৃষ্ট লোক।’
পরিচ্ছেদঃ ১. ফারাইয (সংক্রান্ত ইলম) শিক্ষা করা সম্পর্কে
২৮৯৩. ইবরাহীম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (তাবিঈ’) আলকামাহকে বললাম, আমি জানি না, আমি আপনাকে (ফারাইযের) কোন্ বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব। তখন তিনি বললেন: তোমার সম্পদশালী প্রতিবেশীদের (নিকটাত্মীয়দের) সম্পর্কে।[1]
بَاب فِي تَعْلِيمِ الْفَرَائِضِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ قُلْتُ لِعَلْقَمَةَ مَا أَدْرِي مَا أَسْأَلُكَ عَنْهُ قَالَ أَمِتْ جِيرَانَكَ
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৩৬ নং ১১০৯০; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২০৯; সেখানে আছে, তোমার সম্পদশালী প্রতিবেশীদের (নিকটাত্মীয়দের) সম্পর্কে, যারা একের পর অন্যে তাতে ওয়ারীস হবে।’
পরিচ্ছেদঃ ১. ফারাইয (সংক্রান্ত ইলম) শিক্ষা করা সম্পর্কে
২৮৯৪. আব্দুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’তোমরা ফারাইয, তালাক্ব ও হাজ্জ (এর বিধি-বিধান) শিক্ষা করবে; কেননা, তা তোমাদের দীনের (গুরুত্বপূর্ণ) অংশবিশেষ।’[1]
بَاب فِي تَعْلِيمِ الْفَرَائِضِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ طَلْحَةَ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ الْوَلِيدِ الْهَمْدَانِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ تَعَلَّمُوا الْفَرَائِضَ وَالطَّلَاقَ وَالْحَجَّ فَإِنَّهُ مِنْ دِينِكُمْ
তাখরীজ: বাইহাকী, ফারাইয ৬/২০৯। আগের ও পরের আছার আছার গুলি দেখুন।
পরিচ্ছেদঃ ১. ফারাইয (সংক্রান্ত ইলম) শিক্ষা করা সম্পর্কে
২৮৯৫. কাছীর হাসান (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ’তারা কুরআন, ফারাইয ও মানাসিক (হাজ্জ) শিক্ষার ব্যাপারে উত্সাহ দিতেন।[1]
بَاب فِي تَعْلِيمِ الْفَرَائِضِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ كَثِيرٍ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ كَانُوا يُرَغِّبُونَ فِي تَعْلِيمِ الْقُرْآنِ وَالْفَرَائِضِ وَالْمَنَاسِكِ
তাখরীজ: আমি এ আছারটি এটি কোথাও পাইনি।
পরিচ্ছেদঃ ১. ফারাইয (সংক্রান্ত ইলম) শিক্ষা করা সম্পর্কে
২৮৯৬. আবী উবাইদাহ হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যে কুর’আন পাঠ করে, সে যেন ফারাইয শিক্ষা করে; নচেত, যদি তিনি কোনো বেদুইনের সাথে সাক্ষাত করেন, আর সে তাঁকে বলে, ইয়া মুহাজির! আপনি কি কুরআন পাঠ করেন? আর যদি তিনি জবাব দেন, হাঁ। তবে সে আবার জিজ্ঞাসা করে, ফারাইয শিখেছেন? তখন যদি তিনি বলেন, হাঁ। তবে তো বড়ই ভাল। কিন্তু যদি তিনি বলেন: না, তবে সে বলবে, হে মুহাজির, তাহলে আমাদের উপর আপনার শ্রেষ্ঠত্ব কিসের?’[1]
بَاب فِي تَعْلِيمِ الْفَرَائِضِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فَلْيَتَعَلَّمْ الْفَرَائِضَ فَإِنْ لَقِيَهُ أَعْرَابِيٌّ قَالَ يَا مُهَاجِرُ أَتَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَإِنْ قَالَ نَعَمْ قَالَ تَفْرِضُ فَإِنْ قَالَ نَعَمْ فَهُوَ زِيَادَةٌ وَخَيْرٌ وَإِنْ قَالَ لَا قَالَ فَمَا فَضْلُكَ عَلَيَّ يَا مُهَاجِرُ
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/৩৩৩ নং ১১০৮০; তাবারাণী, কাবীর ৯/১৬১-১৬২ নং ৮৭৪২; হাকিম ৪/৩৩৩; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২০৯। আগের আছার সমূহও দেখুন।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৭২৩১ তে।
পরিচ্ছেদঃ ১. ফারাইয (সংক্রান্ত ইলম) শিক্ষা করা সম্পর্কে
২৮৯৭. মুসলিম (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মাসরূক্ব (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা কি ফারাইযে দক্ষ ছিলেন? তিনি বললেন, সেই সত্তার কসম, যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই! আমি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শ্রেষ্ঠ সাহাবীগণকে দেখেছি, তাঁরা তাঁকে ফারাইয সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন।”[1]
بَاب فِي تَعْلِيمِ الْفَرَائِضِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ قَالَ سَأَلْنَا مَسْرُوقًا كَانَتْ عَائِشَةُ تُحْسِنُ الْفَرَائِضَ قَالَ وَالَّذِي لَا إِلَهَ غَيْرُهُ لَقَدْ رَأَيْتُ الْأَكَابِرَ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ يَسْأَلُونَهَا عَنْ الْفَرَائِضِ
তাখরীজ: ফাসাওয়ী, মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ১/৪৮৯; ইবনু আবী শাইবা ১১/২৩৪ নং ১১০৮৪, ১১০৮৫।
পরিচ্ছেদঃ ২. যে ব্যক্তিকে তার নিজ পিতা ব্যতীত অন্যের দিকে সম্বন্ধিত করে ডাকা হয়
২৮৯৮. আবূ ’উসমান [নাহদী (রহ.)] হতে বর্ণিত। শু’বাহ বলেন, হাদীসটি সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে, যিনি আল্লাহর পথে গিয়ে সর্বপ্রথম তীর নিক্ষেপ করেছিলেন এবং আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকেও বর্ণিত, যিনি তায়িফ (অবরোধকালে) তায়িফের দুর্গ হতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসেছিলেন। তাঁরা দু’জনেই বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি জেনে শুনে অন্যকে নিজের পিতা বলে দাবী করে, তার জন্য জান্নাত হারাম।”[1]
باب مَنْ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ شُعْبَةُ هَذَا أَوَّلُ مَنْ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَهَذَا تَدَلَّى مِنْ حِصْنِ الطَّائِفِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّهُمَا حَدَّثَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ غَيْرُ أَبِيهِ فَالْجَنَّةُ عَلَيْهِ حَرَامٌ
তাখরীজ: বুখারী, ফারাইয ৬৭৬৬, ৬৭৬৭; মুসলিম, ঈমান ৬৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭০০, ৭০৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৫, ৪১৬।
এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ৮/৭২৫ নং ৬১৫৫; ১৪/১৪৬-১৪৭; আরো দেখুন, গত ২৫৭২ (অনুবাদে ) নং হাদীসটি।
পরিচ্ছেদঃ ২. যে ব্যক্তিকে তার নিজ পিতা ব্যতীত অন্যের দিকে সম্বন্ধিত করে ডাকা হয়
২৮৯৯. মা’মার (রহঃ) আবূ বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ’নিজেকে কোনো অজ্ঞাত বংশের বলে দাবী করা আল্লাহর প্রতি কুফরী’র শামিল এবং (নিজ) বংশের সাথে সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করাও আল্লাহর প্রতি কুফরী’র শামিল, যদিও তা নীচ-হীন হয়।’[1]
باب مَنْ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ قَالَ كُفْرٌ بِاللَّهِ ادِّعَاءٌ إِلَى نَسَبٍ لَا يُعْرَفُ وَكُفْرٌ بِاللَّهِ تَبَرُّؤٌ مِنْ نَسَبٍ وَإِنْ دَقَّ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৩৫২ তে।
সংযোজনী: ইবনু আবী শাইবা ৮/৭২৬ নং ৬১৬০; খতীব, তারীখ বাগদাদ ৩/১৪৪; তাবারাণী, আওসাত নং ৮৫৭০; ইবনু আদী, আল কামিল ৭/১৭১০।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস হতে, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৩৫০ তে।
পরিচ্ছেদঃ ২. যে ব্যক্তিকে তার নিজ পিতা ব্যতীত অন্যের দিকে সম্বন্ধিত করে ডাকা হয়
২৯০০. আবী ওয়াইল (রহঃ) সূত্রে ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতেও এর অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]
باب مَنْ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ زَكَرِيَّا أَبِي يَحْيَى قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ يُحَدِّثُ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ نَحْوًا مِنْهُ
তাখরীজ: আমার ধারণা, সাহাবী ছিলেন আবী মাসউদ আল বাদরী। আর এ হাদীসটি হলো ঐ হাদীস যা আবী মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেছেন, তাবারাণী, কাবীর ১৭/২৬১ নং ৭১৯ তে।
পরিচ্ছেদঃ ২. যে ব্যক্তিকে তার নিজ পিতা ব্যতীত অন্যের দিকে সম্বন্ধিত করে ডাকা হয়
২৯০১. কাইস ইবনু আবী হাযিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বাইয়াত হওয়ার উদ্দেশ্যে এলাম। কিন্তু যখন এলাম, ততদিনে তিনি ওফাত লাভ করেছেন। আর তখন তাঁর অবস্থানে আবী বাকর দণ্ডায়মান ছিলেন। তিনি দীর্ঘ প্রশংসা করলেন এবং প্রচুর পরিমাণে কান্নাকাটি করলেন। এরপর তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “নিজ বংশ হীন-নীচ হলেও তা পরিত্যাগ করা এবং নিজেকে কোনো অজ্ঞাত বংশের বলে দাবী করা আল্লাহর প্রতি কুফরী’ করার শামিল।”[1]
باب مَنْ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ السَّلُولِيُّ عَنْ جَعْفَرٍ الْأَحْمَرِ عَنْ السَّرِيِّ بْنِ إِسْمَعِيلَ عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُبَايِعَهُ فَجِئْتُ وَقَدْ قُبِضَ وَأَبُو بَكْرٍ قَائِمٌ فِي مَقَامِهِ فَأَطَابَ الثَّنَاءَ وَأَكْثَرَ الْبُكَاءَ فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ كُفْرٌ بِاللَّهِ انْتِفَاءٌ مِنْ نَسَبٍ وَإِنْ دَقَّ وَادِّعَاءُ نَسَبٍ لَا يُعْرَفُ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ৩৫২ তে।
সংযোজনী: তাবারাণী, আওসাত নং ২৮৩৯ এ সনদের চেয়েও অধিক দুর্বল সনদে; আরও দেখুন, এ বাবের অন্যান্য হাদীস বিশেষভাবে পরবর্তী হাদীসটি। এবং দারুকুতনী, আল ইলাল ১/২৫৪।
পরিচ্ছেদঃ ২. যে ব্যক্তিকে তার নিজ পিতা ব্যতীত অন্যের দিকে সম্বন্ধিত করে ডাকা হয়
২৯০২. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যদি কোনো ব্যক্তি তার পিতা ব্যতীত অন্য কাউকে পিতা দাবী করে অথবা কোনো দাস তার মনিব- যে তাকে মুক্ত করেছে, তাকে ব্যতীত অন্য কাউকে ওলী বা অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে, এমন ব্যক্তির উপর কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর লা’নত, তাঁর মালাইকা’ ও পুরো মানবজাতির লা’নত। তার কোনো ফরয বা নফল ইবাদত কবুল হবে না।”[1]
باب مَنْ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ بَهْرَامَ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّمَا رَجُلٍ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ وَالِدِهِ أَوْ تَوَلَّى غَيْرَ مَوَالِيهِ الَّذِينَ أَعْتَقُوهُ فَإِنَّ عَلَيْهِ لَعْنَةَ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ لَا يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلَا عَدْلٌ
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৪০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৭ এবং মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২১৭ তে।
সংযোজনী: ইবনু আবী শাইবা ৮/৭২৭ নং ৬১৬২ সহীহ সনদে।
পরিচ্ছেদঃ ৩. স্বামী ও মা-বাবা এবং স্ত্রী ও মা-বাবার অংশ সম্পর্কে
২৯০৩. ইবরাহীম (রহঃ) হতে, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন উমার আমাদের নিয়ে কোনো পথে চলতেন, তখন আমরা সে পথকে সহজসাধ্য পেতাম। তিনি স্বামী ও স্বামীর পিতা-মাতার অংশ সম্পর্কে বলেছেন: স্বামী অর্ধেক সম্পদ পাবে। আর আর মা পাবেন অবশিষ্ট সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ।[1]
باب فِي زَوْجٍ وَأَبَوَيْنِ وَامْرَأَةٍ وَأَبَوَيْنِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ كَانَ عُمَرُ إِذَا سَلَكَ بِنَا طَرِيقًا وَجَدْنَاهُ سَهْلًا وَإِنَّهُ قَالَ فِي زَوْجٍ وَأَبَوَيْنِ لِلزَّوْجِ النِّصْفُ وَلِلْأُمِّ ثُلُثُ مَا بَقِيَ
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৩৯ নং ১১১০০; সাঈদ ইবনু মানসূর, আস সুনান নং ৮০৭।
আমাদের বক্তব্য হলো: তবে হাদীসটি সহীহ। সাঈদ ইবনু মানসূর, আস সুনান নং ৬; ইবনু আবী শাইবা ১১/২৩৬ নং ১১১০৪, ১১১০৮ সনদ সহীহ; আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ ১৯০১৫; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২২৮ অপর একটি সহীহ সনদে।
পরিচ্ছেদঃ ৩. স্বামী ও মা-বাবা এবং স্ত্রী ও মা-বাবার অংশ সম্পর্কে
২৯০৪. ইয়াযিদ আর রিশক থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব (রহঃ)-কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম যে তার স্ত্রী ও পিতা-মাতা রেখে মৃত্যু বরণ করেছে। তখন তিনি বলেন, যাইদ ইবনু ছাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তা চার ভাগে ভাগ করতেন।[1]
باب فِي زَوْجٍ وَأَبَوَيْنِ وَامْرَأَةٍ وَأَبَوَيْنِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا يَزِيدُ الرِّشْكُ قَالَ سَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ عَنْ رَجُلٍ تَرَكَ امْرَأَتَهُ وَأَبَوَيْهِ فَقَالَ قَسَّمَهَا زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ مِنْ أَرْبَعَةٍ
তাখরীজ: বাইহাকী, ফারাইয ৬/২২৮; ইবনু আবী শাইবা ১১/২৩৮ নং ১১০৯৮; আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ ১৯০২১।এটি এসেছে ২৯১২ তেও।
তাহক্বীক্ব: এর সনদ ইনকিতা’ বা বিচ্ছিন্নতার কারণে যয়ীফ। ইবরাহীম নাখঈ’ আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সাক্ষাত লাভ করেননি। তবে হাদীসটি সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৩৯ নং ১১১০০; সাঈদ ইবনু মানসূর, আস সুনান নং ৮০৭।
আমাদের বক্তব্য হলো: তবে হাদীসটি সহীহ। সাঈদ ইবনু মানসূর, আস সুনান নং ৬; ইবনু আবী শাইবা ১১/২৩৬ নং ১১১০৪, ১১১০৮ সনদ সহীহ; আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ ১৯০১৫; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২২৮ অপর একটি সহীহ সনদে।
পরিচ্ছেদঃ ৩. স্বামী ও মা-বাবা এবং স্ত্রী ও মা-বাবার অংশ সম্পর্কে
২৯০৫. আবীল মুহাল্লাব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, স্ত্রী ও পিতা-মাতা অংশ সম্পর্কে উছমান ইবনু আফফান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, স্ত্রী পাবে এক চতুর্থাংশ আর বাকী সম্পদের এক তৃতীয়াংশ পাবে মা, (বাকী দুই তৃতীয়াংশ পাবে পিতা)।[1]
باب فِي زَوْجٍ وَأَبَوَيْنِ وَامْرَأَةٍ وَأَبَوَيْنِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ قَالَ فِي امْرَأَةٍ وَأَبَوَيْنِ لِلْمَرْأَةِ الرُّبُعُ وَلِلْأُمِّ ثُلُثُ مَا بَقِيَ
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৩৮ নং ১১০৯৭; আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ ১৯০১৪; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২২৮।
পরিচ্ছেদঃ ৩. স্বামী ও মা-বাবা এবং স্ত্রী ও মা-বাবার অংশ সম্পর্কে
২৯০৬. (অপর সনদে) আবীল মুহাল্লাব থেকে বর্ণিত, উছমান ইবনু আফফান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, মোট চার অংশ থেকে স্ত্রী পাবে এক চতুর্থাংশ, আর বাকী সম্পদের এক তৃতীয়াংশ পাবে মা, দুই তৃতীয়াংশ পাবে পিতা।[1]
باب فِي زَوْجٍ وَأَبَوَيْنِ وَامْرَأَةٍ وَأَبَوَيْنِ
حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْمُهَلَّبِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَنَّهُ قَالَ لِلْمَرْأَةِ الرُّبُعُ سَهْمٌ مِنْ أَرْبَعَةٍ وَلِلْأُمِّ ثُلُثُ مَا بَقِيَ سَهْمٌ وَلِلْأَبِ سَهْمَانِ
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
পরিচ্ছেদঃ ৩. স্বামী ও মা-বাবা এবং স্ত্রী ও মা-বাবার অংশ সম্পর্কে
২৯০৭. উমাইর ইবনু সাঈদ থেকে বর্ণিত, তিনি হারিছ আল আ’ওয়ার (রহঃ) কে (মৃতব্যক্তির) স্ত্রী ও পিতা-মাতা (এর প্রাপ্য অংশ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি উছমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্যের অনুরূপই বলেন।[1]
باب فِي زَوْجٍ وَأَبَوَيْنِ وَامْرَأَةٍ وَأَبَوَيْنِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ عُمَيْرِ بْنِ سَعِيدٍ أَنَّهُ سَأَلَ الْحَارِثَ الْأَعْوَرَ عَنْ امْرَأَةٍ وَأَبَوَيْنِ فَقَالَ مِثْلَ قَوْلِ عُثْمَانَ
তাখরীজ: বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৮৮; সাঈদ ইবনু মানসূর, আস সুনান নং ১৭।