পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৪৪। আবূ কামিল আল-জাহাদারী, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কোন মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল? তিনি বললেন, মাসজিদুল হারাম (কা’বাগৃহ)। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, অতঃপর কোনটি। তিনি বললেন, মাসজিদুল আক্বসা (বায়তুল মুকাদ্দাস)। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এই দুটির মধ্যে কালের ব্যবধান কতটূকু? তিনি বললেন, চল্লিশ বছর। তবে যেখানেই সালাতের ওয়াক্ত হবে, সেখানেই সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নিবে। সেটিই মসজিদ।
حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ مَسْجِدٍ وُضِعَ فِي الأَرْضِ أَوَّلُ قَالَ " الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ " . قُلْتُ ثُمَّ أَىٌّ قَالَ " الْمَسْجِدُ الأَقْصَى " . قُلْتُ كَمْ بَيْنَهُمَا قَالَ " أَرْبَعُونَ سَنَةً وَأَيْنَمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ فَصَلِّ فَهُوَ مَسْجِدٌ " . وَفِي حَدِيثِ أَبِي كَامِلٍ " ثُمَّ حَيْثُمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ فَصَلِّهْ فَإِنَّهُ مَسْجِدٌ " .
Abu Dharr reported:
I said: Messenger of Allah, which mosque was set up first on the earth? He said: Al-Masjid al-Haram (the sacred). I (again) said: Then which next? He said: It was the Masjid Aqsa. I (again) said: How long the space of time (between their setting up)? He (the Holy Prophet) said: It was forty years. And whenever the time comes for prayer, pray there, for that is a mosque; and in the hadith transmitted by Abu Kamil (the words are):" Whenever time comes for prayer, pray, for that is a mosque (for you)."
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৪৫। আর্লী ইবনু হুজর আস সা’দী (রহঃ) ... ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদ আত তায়মী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে মসজিদের আঙ্গিনায় কুরআন পাঠ করে শোনাতাম। আমি যখন সিজদার আয়াত পড়তাম, তখন তিনি সিজদা করতেন। আমি তাঁকে বললাম, হে পিতা, আপনি কি রাস্তায় সিজদা করছেন? তিনি বললেন, আমি আবূ যার (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলতেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলাম, কোন মাসজিদটি দুনিয়ায় সর্ব প্রথম স্থাপিত? তিনি বললেন, মাসজিদুল হারাম। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, মসজিদুল আকসা। আমি জিজ্ঞেস করলাম এ দুটির মধ্যে কত বছরের ব্যবধান? তিনি বললেন, চল্লিশ বছরের। তবে সারা দুনিয়াই তোমার জন্য মাসজিদ। যেখানেই সালাত (নামায/নামাজ)-এর ওয়াক্ত হবে সেখানেই তুমি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নিবে।
حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ التَّيْمِيِّ، قَالَ كُنْتُ أَقْرَأُ عَلَى أَبِي الْقُرْآنَ فِي السُّدَّةِ فَإِذَا قَرَأْتُ السَّجْدَةَ سَجَدَ فَقُلْتُ لَهُ يَا أَبَتِ أَتَسْجُدُ فِي الطَّرِيقِ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ يَقُولُ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَوَّلِ مَسْجِدٍ وُضِعَ فِي الأَرْضِ قَالَ " الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ " . قُلْتُ ثُمَّ أَىٌّ قَالَ " الْمَسْجِدُ الأَقْصَى " . قُلْتُ كَمْ بَيْنَهُمَا قَالَ " أَرْبَعُونَ عَامًا ثُمَّ الأَرْضُ لَكَ مَسْجِدٌ فَحَيْثُمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ فَصَلِّ " .
Ibrahim b. Yazid al-Tayml reported:
I used to read the Qur'an with my father in the vestibule (before the door of the mosque). When I recited the ayat (verses) concerning prostration, he prostrated himself. I said to him: Father, do you prostrate yourself in the path? He said: I heard Abu Dharr saying: I asked the Messenger of Allah (ﷺ) about the mosque that was first set up on the earth. He said: Masjid Harim. I said: Then which next? He said: The Masjid al-Aqsa. I said: How long is the space of time between the two? He said: Forty years. He (then) further said: The earth is a mosque for you, so wherever you are at the time of prayer, pray there.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৪৬। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে পাঁচটি জিনিস দেয়া হয়েছে, যা পূর্ববর্তী কাউকে দেয়া হয়নিঃ
১. প্রত্যেক নবীকে বিশেষ ভাবে তার গোত্রের প্রতি পাঠানো হয়েছে, আর আমাকে পাঠানো হয়েছে লাল-কাল সবার প্রতি
২. আমার জন্য গনীমতের মাল হালাল করা হয়েছে আমার পূর্ববর্তীকারও জন্য তা হালাল ছিল না;
৩. আমার জন্য সমগ্র ভূপৃষ্ঠ পবিত্র, পবিত্রকারী ও মসজিদ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে সুতরাং যেখানে যার সালাতের ওয়াক্ত হবে, সেখানে সে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নিবে
৪. আমাকে রো’ব বা প্রবল প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে, যা এক মাসের ব্যবধান থেকে অনুভূত হয়;
৫. আর আমাকে সুপারিশ করার অনুমতি দান করা হয়েছে।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ يَزِيدَ الْفَقِيرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ قَبْلِي كَانَ كُلُّ نَبِيٍّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ خَاصَّةً وَبُعِثْتُ إِلَى كُلِّ أَحْمَرَ وَأَسْوَدَ وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَلَمْ تُحَلَّ لأَحَدٍ قَبْلِي وَجُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ طَيِّبَةً طَهُورًا وَمَسْجِدًا فَأَيُّمَا رَجُلٍ أَدْرَكَتْهُ الصَّلاَةُ صَلَّى حَيْثُ كَانَ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ بَيْنَ يَدَىْ مَسِيرَةِ شَهْرٍ وَأُعْطِيتُ الشَّفَاعَةَ " .
Jabir b. 'Abdullah al-Ansari reported:
The Prophet (ﷺ) said: I have been conferred upon five (things) which were not granted to anyone before me (and these are): Every apostle wassent particularly to his own people, whereas I have been sent to all the red and the black the spoils of war have been made lawful for me, and these were never made lawful to anyone before me, and the earth has been made sacred and pure and mosque for me, so whenever the time of prayer comes for any one of you he should pray whenever he is, and I have been supported by awe (by which the enemy is overwhelmed) from the distance (which one takes) one month to cover and I have been granted intercession.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৪৭। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا سَيَّارٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ الْفَقِيرُ، أَخْبَرَنَا جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ . فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
Jabir b. 'Abdullah related that the Messenger of Allah (ﷺ) said, and he related like this.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৪৮। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তিনটি জিনিস দ্বারা অন্যদের উপর আমাদের মর্যাদা দান করা হয়েছে ১. আমাদের (সালাত (নামায/নামাজ)-এর) কাতারগুলোকে ফেরেশতাদের কাতারের ন্যায় করা হয়েছে এবং ২. আমাদের জন্য সমগ্র ভূমন্ডলকে মসজিদ বানানো হয়েছে। আর তার মাটিকে করা হয়েছে আমাদের জন্য পবিত্রকারী, যখন আমরা পানি না পাই। তিনি আরও একটি বিষয় উল্লেখ করেছেন করেছেন (যা আমি ভুলে গিয়েছি)।
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " فُضِّلْنَا عَلَى النَّاسِ بِثَلاَثٍ جُعِلَتْ صُفُوفُنَا كَصُفُوفِ الْمَلاَئِكَةِ وَجُعِلَتْ لَنَا الأَرْضُ كُلُّهَا مَسْجِدًا وَجُعِلَتْ تُرْبَتُهَا لَنَا طَهُورًا إِذَا لَمْ نَجِدِ الْمَاءَ " . وَذَكَرَ خَصْلَةً أُخْرَى .
Hudhaifa reported:
The Messenger of Allah (may peace be npon him) said: We have been made to excel (other) people in three (things): Our rows have been made like the rows of the angels and the whole earth has been made a mosque for us, and its dust has been made a purifier for us in case water is not available. And he mentioned another characteristic too
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৪৯। আবূ করায়ব মুহাম্মদ ইবনুল আলা (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ طَارِقٍ، حَدَّثَنِي رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِهِ .
Hudhaifa reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said like this.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫০। ইয়াহইয়া ইবনু আইউব, কুতায়বা ইবনু সাঈদ আলী হুজর (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে ছয়টি জিনিস দ্বারা অন্য নবীদের (নবীদের) উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে ১. আমাকে ব্যাপক তথ্যপূর্ণ ও অর্থবহ বাণী দান করা হয়েছে; ২. আমাকে প্রবল প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে; ৩. আমার জন্য গনিমতের মাল হালাল করা হয়েছে; ৪. আমার জন্য মাটিকে পবিত্রকারী ও মসজিদ বানানো হয়েছে; ৫. আমাকে সমগ্র সৃষ্টিজগতের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে; ৬. আমার দ্বারা নবীদের সীল মোহর (নবুওয়াতের সমাপ্তি) করা হয়েছে।
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فُضِّلْتُ عَلَى الأَنْبِيَاءِ بِسِتٍّ أُعْطِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَجُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ طَهُورًا وَمَسْجِدًا وَأُرْسِلْتُ إِلَى الْخَلْقِ كَافَّةً وَخُتِمَ بِيَ النَّبِيُّونَ " .
Abu Huraira reported that the Messenger of Allah (may peace be upon hlmg) said:
I have been given superiority over the other prophets in six respects: I have been given words which are concise but comprehensive in meaning; I have been helped by terror (in the hearts of enemies): spoils have been made lawful to me: the earth has been made for me clean and a place of worship; I have been sent to all mankind and the line of prophets is closed with me.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫১। আবূ তাহির ও হারামালা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি ব্যাপক তথ্যপূর্ণ ও অর্থবহ বাণীসহ প্রেরিত হয়েছি। আমি প্রবল প্রভাবদ্বারা সাহায প্রাপ্ত হয়েছি। আমি একবার নিদ্রিত ছিলাম, তখন বিশ্ব ধনভাণ্ডারের চাবি আমার হাতে দেওয়া হয়েছিল। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে গেছেন, আর তোমরা ঐ গুলো বের করছ।
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بُعِثْتُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الأَرْضِ فَوُضِعَتْ فِي يَدَىَّ " . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَذَهَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنْتُمْ تَنْتَثِلُونَهَا .
Abu Huraira reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: I have been commissioned with words which are concise but comprehensive in meaning; I have been helped by terror (in the hearts of enemies): and while I was asleep I was brought the keys of the treasures of the earth which were placed in my hand. And Abfi Huraira added: The Messenger of Allah (ﷺ) has left (for his heavenly home) and you are now busy in getting them.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫২। হাজিব ইবনুল ওয়ালীদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি ইউনুস কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
وَحَدَّثَنَا حَاجِبُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، عَنِ الزُّبَيْدِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ، وَأَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ . مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ .
Abu Huraira reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying a hadith like that of Yunus.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫৩। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، وَأَبِي، سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
This hadith has been narratted by Abu Huraira by another chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫৪। আবূ তাহির (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে প্রবল প্রভাব দ্বারা শত্রুর বিরুদ্ধে সাহায্য করা হয়েছে এবং ব্যাপক তথ্যপূর্ণ ও অর্থবহ বাণী দান করা হয়েছে। একবার আমি যখন নিদ্রিত ছিলাম, তখন জগতের ধন-ভাণ্ডারের চাবি আমাকে দেওয়া হয় এবং তা আমার দুই হাতে রাখা হয়।
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي يُونُسَ، مَوْلَى أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ عَلَى الْعَدُوِّ وَأُوتِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَبَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الأَرْضِ فَوُضِعَتْ فِي يَدَىَّ " .
Abu Huraira reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: I have been helped by terror (in the heart of the enemy) ; I have been given words which are concise but comprehensive in meaning; and while I was asleep I was brought the keys of the treasures of the earth which were placed in my hand.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
১০৫৫। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ... হাম্মম ইবনু মুনাব্বিহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কতিপয় হাদীস বর্ণনা করেন এবং বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি প্রবল প্রভাব দ্বারা সাহায্যপ্রাপ্ত হয়েছি এবং ব্যাপক তথ্যপূর্ণ ও অর্থবহ বাণী প্রদত্ত হয়েছি।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، حَدَّثَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، قَالَ هَذَا مَا حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ أَحَادِيثَ مِنْهَا وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَأُوتِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ " .
Hammam b. Munabbih reported:
That is what Abu Huraira reported to us from the Messenger of Allah (ﷺ) and he narrated (some) ahadith one of which is that the Messenger of Allah (ﷺ) said: I have been helped by terror (in the hearts of enemies) and I have been given words which are concise but comprehensive in meaning.
পরিচ্ছেদঃ ১. মসজিদে নববীর প্রতিষ্ঠা
১০৫৬। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও শায়বান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আগমন করলেন এবং মদিনার উচ্চ এলাকার এক মহল্লায় অবতরণ করলেন। যাকে আমর ইবনু আওফ গোত্রের মহল্লা বলা হয়। সেখানে তিনি চৌদ্দ রাত্রি অবস্থান করলেন। তারপর তিনি নাজ্জার গোত্রের নেতৃবৃন্দকে খবর পাঠালেন। তারা তরবারি ঝূলিয়ে এলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি যেন এখনও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখতে পাচ্ছি। তিনি তাঁর সাওয়ারীর ওপর এবং আবূ বকর (রাঃ) তাঁর পিছনে আর নাজ্জার গোত্রের নেতৃবৃন্দ তাঁর চতুর্দিকে ছিলেন।
অবশেষে তিনি আবূ আইউবের গৃহ প্রাঙ্গণে অবতরণ করলেন। আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেখানেই সালাতের ওয়াক্ত হতো, সেখানেই সালাত আদায় করে নিতেন। বকরীর বাথানেও তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। তারপর তাঁকে মসজিদ নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন নাজ্জার গোত্রের প্রধানদের খবর দিলেন। তারা এলো। তিনি তাদের বললেন, হে বানূ নাজ্জার! তোমাদের এই বাগান খানি আমার নিকট বিক্রি কর। তারা বললেন, আল্লাহর কসম! আমরা তার মূল্য একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাই।
আনাস (রাঃ) বলেন, ঐ বাগনটিতে কি ছিল তা আমি বলছি খেজুরগাছ, মুশরিকদের কবর ও পূরাতন ঘর দুয়ারের ভগ্নাবশেষ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশে খেজুর গাছ কেটে দেয়া হলো, কবরগুলো খুড়ে ফেলা হলো এবং ধ্বংসাবশেষ সমান করে দেয়া হল।
আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর কিবলার দিকে খেজুর গাছের সারিবদ্ধ থাম দেওয়া হল এবং দুই পাশে পাথর স্থাপন করা হল। নির্মাণ কাজের সময় সাহাবা-ই- কিরাম রাজায’ (উৎসাহোদ্দীপক শ্লোক) আবৃতি করছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে আবৃতি করছিলেন। তারা বলছিলেনاللَّهُمَّ إِنَّهُ لاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُ الآخِرَهْ فَانْصُرِ الأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ হে আল্লাহ! আখিরাতের কল্যাণই প্রকৃত কল্যান। সূতরাং আনসার ও মুহাজিরদেরকে আপনি সাহায্য করুন।
باب ابْتِنَاءِ مَسْجِدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَشَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الْوَارِثِ، - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ الضُّبَعِيِّ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدِمَ الْمَدِينَةَ فَنَزَلَ فِي عُلْوِ الْمَدِينَةِ فِي حَىٍّ يُقَالُ لَهُمْ بَنُو عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ . فَأَقَامَ فِيهِمْ أَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً ثُمَّ إِنَّهُ أَرْسَلَ إِلَى مَلإِ بَنِي النَّجَّارِ فَجَاءُوا مُتَقَلِّدِينَ بِسُيُوفِهِمْ - قَالَ - فَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى رَاحِلَتِهِ وَأَبُو بَكْرٍ رِدْفُهُ وَمَلأُ بَنِي النَّجَّارِ حَوْلَهُ حَتَّى أَلْقَى بِفِنَاءِ أَبِي أَيُّوبَ - قَالَ - فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي حَيْثُ أَدْرَكَتْهُ الصَّلاَةُ وَيُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ ثُمَّ إِنَّهُ أَمَرَ بِالْمَسْجِدِ قَالَ فَأَرْسَلَ إِلَى مَلإِ بَنِي النَّجَّارِ فَجَاءُوا فَقَالَ " يَا بَنِي النَّجَّارِ ثَامِنُونِي بِحَائِطِكُمْ هَذَا " . قَالُوا لاَ وَاللَّهِ لاَ نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلاَّ إِلَى اللَّهِ . قَالَ أَنَسٌ فَكَانَ فِيهِ مَا أَقُولُ كَانَ فِيهِ نَخْلٌ وَقُبُورُ الْمُشْرِكِينَ وَخِرَبٌ . فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالنَّخْلِ فَقُطِعَ وَبِقُبُورِ الْمُشْرِكِينَ فَنُبِشَتْ وَبِالْخِرَبِ فُسُوِّيَتْ - قَالَ - فَصَفُّوا النَّخْلَ قِبْلَةً وَجَعَلُوا عِضَادَتَيْهِ حِجَارَةً - قَالَ - فَكَانُوا يَرْتَجِزُونَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَهُمْ وَهُمْ يَقُولُونَ اللَّهُمَّ إِنَّهُ لاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُ الآخِرَهْ فَانْصُرِ الأَنْصَارَ وَالْمُهَاجِرَهْ
Anas b. Malik reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) came to Medina and stayed in the upper part of Medina for fourteen nights with a tribe called Banu 'Amr b 'Auf. He then sent for the chiefs of Banu al-Najir, and they came with swords around their inecks. He (the narrator) said: I perceive as if I am seeing the Messenger of Allah (ﷺ) on his ride with Abu Bakr behind him and the chiefs of Banu al-Najjar around him till he alighted in the courtyard of Abu Ayyub. He (the narrator) said: The Messenger of Allah (ﷺ) said prayer when the time came for prayer, and he prayed in the fold of goats and sheep. He then ordered mosques to be built and sent for the chiefs of Banu al-Najjar, and they came (to him). He (the Holy Prophet) said to them: O Banu al-Najjar, sell these lands of yours to me. They said: No, by Allah. we would not demand their price, but (reward) from the Lord. Anas said: There (in these lands) were trees and graves of the polytheists, and ruins. The Messenger of Allah (may peace he upon him) ordered that the trees should be cut, and the graves should be dug out, and the ruins should be levelled. The trees (were thus) placed in rows towards the qibla and the stones were set on both sides of the door, and (while building the mosque) they (the Companions) sang rajaz verses along with the Messenger of Allah (ﷺ): O Allah: there is no good but the good of the next world, So help the Ansar and the Muhajirin.
পরিচ্ছেদঃ ১. মসজিদে নববীর প্রতিষ্ঠা
১০৫৭। উবায়দুল্লাহ ইবনু মু’আয আল-অম্বারী (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদ তৈরি হওয়ার পূর্বে বকরীর বাথানে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন।
باب ابْتِنَاءِ مَسْجِدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي أَبُو التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ قَبْلَ أَنْ يُبْنَى الْمَسْجِدُ .
Anas reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to pray in the folds of the sheep and goats before the mosque was built.
পরিচ্ছেদঃ ১. মসজিদে নববীর প্রতিষ্ঠা
১০৫৮। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনিও উপরোক্তরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب ابْتِنَاءِ مَسْجِدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسًا، يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِهِ .
Abu al-Tiyyah reported:
I heard from Anas a narration like this from the Messenger of Allah (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ২. বায়তুল মুকাদ্দাস হতে কা’বার দিকে কিবলা পরিবর্তন
১০৫৯। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... বারা ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বায়তুল মূকাদ্দাসের দিকে মুখ করে ষোল মাস পর্যন্ত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছি। অবশেষে সূরা বাকারার এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়ঃ وَحَيْثُمَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ (অর্থাৎ তোমরা যেখানেই থাক, তোমাদের চেহারা কা’বার দিকে কর)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করার পর আয়াতটি নাযিল হয়। এরপর একজন সাহাবী চলে গেলেন পথিমধ্যে একদল আনসারকে সালাত আদায় করতে দেখলেন। তিনি তাঁদেরকে এ বিষয় অবহিত করলেন, তারা তাদের চেহারা বায়তুল্লাহর দিকে ফিরিয়ে নিলেন।
باب تَحْوِيلِ الْقِبْلَةِ مِنَ الْقُدْسِ إِلَى الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا حَتَّى نَزَلَتِ الآيَةُ الَّتِي فِي الْبَقَرَةِ ( وَحَيْثُمَا كُنْتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ) فَنَزَلَتْ بَعْدَ مَا صَلَّى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَمَرَّ بِنَاسٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَهُمْ يُصَلُّونَ فَحَدَّثَهُمْ فَوَلَّوْا وُجُوهَهُمْ قِبَلَ الْبَيْتِ .
Al-Bara' b. 'Azib reported:
I said prayer with the Apostle (ﷺ) turning towards Bait-ul-Maqdis for sixteen months till this verse of Surah Baqara wis revealed:" And wherever you are turn your faces towards it" (ii. 144). This verse was revealed when the Apostle (ﷺ) had said prayer. A person amongst his people passed by the people of Ansar as they were engaged in prayer. He narrated to them (this command of Allah) and they turned their faces towards the Ka'ba.
পরিচ্ছেদঃ ২. বায়তুল মুকাদ্দাস হতে কা’বার দিকে কিবলা পরিবর্তন
১০৬০। মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না ও আবূ বকর ইবনু খাল্লাদ (রহঃ) ... বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ষোল অথবা সতের মাস বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছি। অতঃপর আমাদেরকে কা’বার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়।
باب تَحْوِيلِ الْقِبْلَةِ مِنَ الْقُدْسِ إِلَى الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ جَمِيعًا عَنْ يَحْيَى، - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، - عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يَقُولُ صَلَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ شَهْرًا أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا ثُمَّ صُرِفْنَا نَحْوَ الْكَعْبَةِ .
Abu Ishaq reported:
I heard al-Bara' saying: We prayed with the Messenger of Allah (ﷺ) (with our faces) towards Bait-ul-Maqdis for sixteen months or seventeen months. Then we were made to change (our direction) towards the Ka'ba.
পরিচ্ছেদঃ ২. বায়তুল মুকাদ্দাস হতে কা’বার দিকে কিবলা পরিবর্তন
১০৬১। শায়বান ইবনু ফাররূখ ও কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা কুবাতে ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিল, ইতিমধ্যে একজন লোক এসে বলল, এ রাত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে এবং কাবার দিকে মুখ করবার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। অতএব, তোমরাও কাবার দিকে মুখ করে দাঁড়াও। তাদের চেহারা ছিল তখন সিরিয়ার দিকে। অতঃপর তারা কা’বার দিকে ঘূরে গেলেন।
باب تَحْوِيلِ الْقِبْلَةِ مِنَ الْقُدْسِ إِلَى الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ بَيْنَمَا النَّاسُ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ بِقُبَاءٍ إِذْ جَاءَهُمْ آتٍ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ اللَّيْلَةَ . وَقَدْ أُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ فَاسْتَقْبِلُوهَا . وَكَانَتْ وُجُوهُهُمْ إِلَى الشَّامِ فَاسْتَدَارُوا إِلَى الْكَعْبَةِ .
Ibn 'Umar reported:
As the people were praying at Quba' a man came to them and said: It has been revealed to file Messenger of Allah (ﷺ) during the night and he has been directed to turn towards the Ka'ba. So turn towards it. Their faces were towards Syria and they turned round towards Ka'ba.
পরিচ্ছেদঃ ২. বায়তুল মুকাদ্দাস হতে কা’বার দিকে কিবলা পরিবর্তন
১০৬২। সুওয়ায়দ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকজন ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিল, ইতিমধ্যে একজন লোক তাদের কাছে আসলো। পরবর্তী অংশ মালিকের হাদীসের অনুরুপ।
باب تَحْوِيلِ الْقِبْلَةِ مِنَ الْقُدْسِ إِلَى الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنِي سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ بَيْنَمَا النَّاسُ فِي صَلاَةِ الْغَدَاةِ إِذْ جَاءَهُمْ رَجُلٌ . بِمِثْلِ حَدِيثِ مَالِكٍ .
Ibn 'Umar reported:
As the people were engaged in the morning prayer a man came to them. The rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ ২. বায়তুল মুকাদ্দাস হতে কা’বার দিকে কিবলা পরিবর্তন
১০৬৩। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। অতঃপর এ আয়াতটি নাযিল হলঃقَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ "আকাশের দিকে তোমার বারবার তাকানোকে আমি প্রায়ই লক্ষ্য করি। সুতরাং তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি, যা তুমি পছন্দ কর। অতএব, তুমি মাসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরাও"। অতঃপর সালামা গোত্রের একজন লোক যাচ্ছিল। সে দেখল, লোকেরা ফজরের সালাতের রুকুতে আছে এবং তাঁরা এক রাক’আত আদায় করেছে, সে উচ্চস্বরে বললো, ওহে, কিবলা বদলে গেছে, তখন তাঁরা ঐ অবস্থায়ই কিবলার দিকে ফিরে গেল।
باب تَحْوِيلِ الْقِبْلَةِ مِنَ الْقُدْسِ إِلَى الْكَعْبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَنَزَلَتْ ( قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ) فَمَرَّ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سَلِمَةَ وَهُمْ رُكُوعٌ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ وَقَدْ صَلَّوْا رَكْعَةً فَنَادَى أَلاَ إِنَّ الْقِبْلَةَ قَدْ حُوِّلَتْ . فَمَالُوا كَمَا هُمْ نَحْوَ الْقِبْلَةِ .
Anas reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to pray towards Bait-ul-Maqdis, that it was revealed (to him):" Indeed We see the turning of the face to heaven, wherefore We shall assuredly cause thee to turn towards Qibla which shall please thee. So turn thy face towards the sacred Mosque (Ka'ba)" (ii. 144). A person from Banu Salama was going; (he found the people) in ruk'u (while) praying the dawn prayer and they had said one rak'ah. He said in a loud voice: Listen! the Qibla has been changed and they turned towards (the new) Qibla (Ka'ba) in that very state.