সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) ৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ)
৩৬০৫

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬০৫। ওয়াসিলাহ ইবনুল আসকা’ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ইবরাহীম (আঃ)-এর সন্তানদের মধ্য হতে ইসমাঈল (আঃ)-কে বেছে নিয়েছেন এবং ইসমাঈল-এর বংশে কিনানাহ গোত্রকে বংশ বেছে নিয়েছেন, কিনানাহ গোত্র হতে কুরাইশ বংশকে বেছে নিয়েছেন, কুরাইশ বংশ থেকে হাশিম উপগোত্রকে বেছে নিয়েছেন এবং বানী হাশিম হতে আমাকে বেছে নিয়েছেন।

ইবরাহীম (আঃ)-এর সন্তানদের মধ্য হতে ইসমাঈল (আঃ)-কে বেছে নিয়েছেন" অংশটুকু ব্যতীত হাদীসটি সহীহ। সহীহাহ (৩০২)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا خَلاَّدُ بْنُ أَسْلَمَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُصْعَبٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى مِنْ وَلَدِ إِبْرَاهِيمَ إِسْمَاعِيلَ وَاصْطَفَى مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ بَنِي كِنَانَةَ وَاصْطَفَى مِنْ بَنِي كِنَانَةَ قُرَيْشًا وَاصْطَفَى مِنْ قُرَيْشٍ بَنِي هَاشِمٍ وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا خلاد بن اسلم البغدادي، حدثنا محمد بن مصعب، حدثنا الاوزاعي، عن ابي عمار، عن واثلة بن الاسقع، رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان الله اصطفى من ولد ابراهيم اسماعيل واصطفى من ولد اسماعيل بني كنانة واصطفى من بني كنانة قريشا واصطفى من قريش بني هاشم واصطفاني من بني هاشم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Wathilah bin Al-Asqa':
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Indeed Allah has chosen Isma'il from the children of Ibrahim, and He chose Banu Kinanah from the children of Isma'il, and He chose the Quraish from Banu Kinanah, and He chose Banu Hashim from Quraish, and He chose me from Banu Hashim."


হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ [মিশ্রিত]
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬০৬

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬০৬। ওয়াসিলাহ্ ইবনুল আসক্বা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশধর হতে কিনানাহ গোত্রকে বাছাই করেছেন, কিনানাহ গোত্র হতে কুরাইশকে বাছাই করেছেন, আবার কুরাইশদের মধ্য হতে হাশিমকে বাছাই করেছেন এবং বনু হাশিম হতে আমাকে বাছাই করেছেন।

সহীহঃ সহীহাহ (৩০২), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنِي شَدَّادٌ أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنِي وَاثِلَةُ بْنُ الأَسْقَعِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى كِنَانَةَ مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ وَاصْطَفَى قُرَيْشًا مِنْ كِنَانَةَ وَاصْطَفَى هَاشِمًا مِنْ قُرَيْشٍ وَاصْطَفَانِي مِنْ بَنِي هَاشِمٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن اسماعيل، حدثنا سليمان بن عبد الرحمن الدمشقي، حدثنا الوليد بن مسلم، حدثنا الاوزاعي، حدثني شداد ابو عمار، حدثني واثلة بن الاسقع، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان الله اصطفى كنانة من ولد اسماعيل واصطفى قريشا من كنانة واصطفى هاشما من قريش واصطفاني من بني هاشم ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏


Narrated Wathilah bin Al-Asqa':
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Indeed, Allah chose Kinanah from the children of Isma'il, and He chose Quraish from Kinanah, and He chose Hashim from Quraish, and He chose me from Banu Hashim."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬০৭

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬০৭। আল-আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কুরাইশগণ এক সাথে বসে একে অপরে তাদের বংশমর্যাদা প্রসঙ্গে আলোচনা করে এবং মাটিতে আবর্জনার স্তুপের উপরকার খেজুর গাছের সাথে আপনাকে তুলনা করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা সকল জীব সৃষ্টি করেছেন এবং আমাকে তাদের সব চাইতে ভাল গোত্রে সৃষ্টি করেছেন এবং দুই দলকে তিনি বেছে নেন (ইসহাক ও ইসমাঈল বংশ), তারপর গোত্র ও বংশগুলোকে তিনি বাছাই করেন এবং আমাকে সবচাইতে ভাল বংশে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি ঘরসমূহ বাছাই করেছেন এবং আমাকে সেই ঘরগুলোর মধ্যে সবচাইতে ভাল ঘরে সৃষ্টি করেছেন। অতএব আমি ব্যক্তিসত্তায় তাদের সবচাইতে উত্তম বংশ-খান্দানেও সবার চাইতে উত্তম।

যঈফ, নাকদুল কাত্তানী (৩১-৩২), যঈফা (৩০৭৩)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস হলেন ইবনু নাওফাল।

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى الْقَطَّانُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ قُرَيْشًا جَلَسُوا فَتَذَاكَرُوا أَحْسَابَهُمْ بَيْنَهُمْ فَجَعَلُوا مَثَلَكَ كَمَثَلِ نَخْلَةٍ فِي كَبْوَةٍ مِنَ الأَرْضِ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِي مِنْ خَيْرِهِمْ مِنْ خَيْرِ فِرَقِهِمْ وَخَيْرِ الْفَرِيقَيْنِ ثُمَّ تَخَيَّرَ الْقَبَائِلَ فَجَعَلَنِي مِنْ خَيْرِ قَبِيلَةٍ ثُمَّ تَخَيَّرَ الْبُيُوتَ فَجَعَلَنِي مِنْ خَيْرِ بُيُوتِهِمْ فَأَنَا خَيْرُهُمْ نَفْسًا وَخَيْرُهُمْ بَيْتًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ هُوَ ابْنُ نَوْفَلٍ ‏.‏

حدثنا يوسف بن موسى القطان البغدادي، حدثنا عبيد الله بن موسى، عن اسماعيل بن ابي خالد، عن يزيد بن ابي زياد، عن عبد الله بن الحارث، عن العباس بن عبد المطلب، قال قلت يا رسول الله ان قريشا جلسوا فتذاكروا احسابهم بينهم فجعلوا مثلك كمثل نخلة في كبوة من الارض ‏.‏ فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان الله خلق الخلق فجعلني من خيرهم من خير فرقهم وخير الفريقين ثم تخير القباىل فجعلني من خير قبيلة ثم تخير البيوت فجعلني من خير بيوتهم فانا خيرهم نفسا وخيرهم بيتا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ وعبد الله بن الحارث هو ابن نوفل ‏.‏


Narrated Al-'Abbas bin 'Abdul-Muttalib:
"I said: 'O Messenger of Allah! Indeed the Quraish have sat and spoken between themselves about the best of them, and they made your likeness as that of a palm tree in a wasteland.' So the Prophet (ﷺ) said: 'Indeed, Allah created the creation and made me [from the best of them,] from the best of their categories, and the best of the two categories (Arabs and Non-Arabs), then He chose between the tribes and made me from the best tribe, then He chose between the houses and made me from the best house. So I am the best of them in person and the best of them in house.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬০৮

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬০৮। আল-মুত্তালিব ইবনু আবূ ওয়াদাআ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ আল-আব্বাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে এলেন। মনে হয় তিনি কিছু (কুরাইশদের মন্তব্য) শুনে এসেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে উঠে দাড়িয়ে বললেনঃ আমি কে? সাহাবীগণ বললেন, আপনি আল্লাহর রাসূল, আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তিনি বললেনঃ আমি মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল মুত্তালিব।

আল্লাহ তা’আলা সৃষ্টিকুলকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের মধ্যে সবচাইতে ভাল লোকদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তারপর তিনি তার সৃষ্টিকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন এবং আমাকে তাদের মধ্যকার উত্তম দল হতে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি তাদেরকে কিছু গোত্রে ভাগ করেছেন এবং আমাকে তাদের মধ্যকার ভাল গোত্র হতে সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি তাদেরকে কিছু পরিবারে ভাগ করেছেন এবং আমাকে তাদের মধ্যকার সবচাইতে ভাল পরিবারে ও ভাল ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন।

যঈফ, যঈফা (৩০৭৩)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ أَبِي وَدَاعَةَ، قَالَ جَاءَ الْعَبَّاسُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَأَنَّهُ سَمِعَ شَيْئًا فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ ‏"‏ مَنْ أَنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ عَلَيْكَ السَّلاَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ ثُمَّ جَعَلَهُمْ فِرْقَتَيْنِ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ فِرْقَةً ثُمَّ جَعَلَهُمْ قَبَائِلَ فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ قَبِيلَةً ثُمَّ جَعَلَهُمْ بُيُوتًا فَجَعَلَنِي فِي خَيْرِهِمْ بَيْتًا وَخَيْرِهِمْ نَفْسًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ نَحْوُ حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ عَنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ‏.‏

حدثنا محمود بن غيلان، حدثنا ابو احمد، حدثنا سفيان، عن يزيد بن ابي زياد، عن عبد الله بن الحارث، عن المطلب بن ابي وداعة، قال جاء العباس الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فكانه سمع شيىا فقام النبي صلى الله عليه وسلم على المنبر فقال ‏"‏ من انا ‏"‏ ‏.‏ قالوا انت رسول الله عليك السلام ‏.‏ قال ‏"‏ انا محمد بن عبد الله بن عبد المطلب ان الله خلق الخلق فجعلني في خيرهم ثم جعلهم فرقتين فجعلني في خيرهم فرقة ثم جعلهم قباىل فجعلني في خيرهم قبيلة ثم جعلهم بيوتا فجعلني في خيرهم بيتا وخيرهم نفسا ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ وروي عن سفيان الثوري عن يزيد بن ابي زياد نحو حديث اسماعيل بن ابي خالد عن يزيد بن ابي زياد عن عبد الله بن الحارث عن العباس بن عبد المطلب ‏.‏


Narrated Al-Muttalib bin Abi Wada'ah:
"Al-Abbas came to the Messenger of Allah (ﷺ), and it is as if he heard something, so the Prophet (ﷺ) stood upon the Minbar and said: 'Who am I?' They said: 'You are the Messenger of Allah, upon you be peace.' He said: 'I am Muhammad bin 'Abdullah bin 'Abdul-Muttalib, indeed Allah created the creation, and He put me in the best [group] of them, then He made them into two groups, so He put me in the best group of them, then He made them into tribes, so He put me in the best of them in tribe, then He made them into houses, so He put me in the best of them in tribe and lineage.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬০৯

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬০৯। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, লোকেরা প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার নবুওয়াত কখন অবধারিত হয়েছে? তিনি বললেনঃ যখন আদম (আঃ) তার শরীর ও রুহের মধ্যে ছিল।

সহীহঃ সহীহাহ (১৮৫৬), মিশকাত (৫৭৫৮)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ, আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ)-এর বর্ণনার পরিপ্রেক্ষিতে গারীব। উপর্যুক্ত সনদেই আমরা শুধুমাত্র হাদীসটি অবগত হয়েছি। মাঈসারাহ আল-ফাজর হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।

حَدَّثَنَا أَبُو هَمَّامٍ الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعِ بْنِ الْوَلِيدِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ قَالَ ‏ "‏ وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ مَيْسَرَةَ الْفَجْرِ ‏.‏

حدثنا ابو همام الوليد بن شجاع بن الوليد البغدادي، حدثنا الوليد بن مسلم، عن الاوزاعي، عن يحيى بن ابي كثير، عن ابي سلمة، عن ابي هريرة، قال قالوا يا رسول الله متى وجبت لك النبوة قال ‏ "‏ وادم بين الروح والجسد ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب من حديث ابي هريرة لا نعرفه الا من هذا الوجه ‏.‏ وفي الباب عن ميسرة الفجر ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
"They said: 'O Messenger of Allah (ﷺ)! When was the Prophethood established for you?' He said: 'While Adam was between (being) soul and body.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬১০

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬১০। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দিন লোকদেরকে উঠানো হবে (কবর হতে কিয়ামতের মাঠে) সেদিন আমিই সর্বপ্রথম আত্মপ্রকাশকারী হব। যখন সকল মানুষ আল্লাহ তা’আলার আদালতে একত্র হবে, তখন আমি তাদের ব্যাপারে বক্তব্য উত্থাপন করব। তারা যখন নিরাশ ও হতাশাগ্রস্ত হবে তখন আমিই তাদের সুখবর প্রদানকারী হব। সে দিন প্রশংসার পতাকা আমার হাতেই থাকবে। আমার প্রতিপালকের নিকট আদম-সন্তানদের মধ্যে আমিই সবচাইতে সম্মানিত, এতে গর্বের কিছু নেই।

যঈফ, মিশকাত (৫৭৬৫)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَنَا أَوَّلُ النَّاسِ خُرُوجًا إِذَا بُعِثُوا وَأَنَا خَطِيبُهُمْ إِذَا وَفَدُوا وَأَنَا مُبَشِّرُهُمْ إِذَا أَيِسُوا لِوَاءُ الْحَمْدِ يَوْمَئِذٍ بِيَدِي وَأَنَا أَكْرَمُ وَلَدِ آدَمَ عَلَى رَبِّي وَلاَ فَخْرَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا الحسين بن يزيد الكوفي، حدثنا عبد السلام بن حرب، عن ليث، عن الربيع بن انس، عن انس بن مالك، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ انا اول الناس خروجا اذا بعثوا وانا خطيبهم اذا وفدوا وانا مبشرهم اذا ايسوا لواء الحمد يومىذ بيدي وانا اكرم ولد ادم على ربي ولا فخر ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏


Narrated Anas bin Malik:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I am the first of the people to appear upon their being resurrected, and I am their spokesman whenever they gather, and I am the one that gives them glad tidings whenever they give up hope. And the Banner of Praise will be in my hand that day, and I am the most noble of the children of Adam with my Lord, and I am not boasting."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬১১

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬১১। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমিই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যার জন্য যমিন ফাঁক করা হবে (সবার আগে আমিই কবর হতে উঠবো)। তারপর আমাকে জান্নাতের (একজোড়া) পোশাক পরানো হবে। তারপর আমি আরশের ডান পাশে গিয়ে দাঁড়াব। আমি ছাড়া সৃষ্টিকুলের কেউই সেই জায়গায় দাঁড়াতে পারবে না।

যঈফ, মিশকাত (৫৭৬৬)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ يَزِيدَ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الأَرْضُ فَأُكْسَى الْحُلَّةَ مِنْ حُلَلِ الْجَنَّةِ ثُمَّ أَقُومُ عَنْ يَمِينِ الْعَرْشِ لَيْسَ أَحَدٌ مِنَ الْخَلاَئِقِ يَقُومُ ذَلِكَ الْمَقَامَ غَيْرِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا الحسين بن يزيد، حدثنا عبد السلام بن حرب، عن يزيد ابي خالد، عن المنهال بن عمرو، عن عبد الله بن الحارث، عن ابي هريرة، رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ انا اول من تنشق عنه الارض فاكسى الحلة من حلل الجنة ثم اقوم عن يمين العرش ليس احد من الخلاىق يقوم ذلك المقام غيري ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن غريب صحيح ‏.‏


Narrated Abu Hurairah [may Allah be pleased with him]:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I am the first for whom the earth will be split, and then I will be adorned with garments from the garments of Paradise. Then I will stand at the right of the Throne. No one from the creation will in that place other than I."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬১২

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬১২। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার জন্য তোমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে ওয়াসীলাহ কামনা কর। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ওয়াসীলাহ কি? তিনি বললেনঃ জান্নাতের সবচাইতে উচু স্তর। শুধুমাত্র এক লোকই তা অর্জন করবে। আশা করি আমিই হব সেই ব্যক্তি।

সহীহঃ মিশকাত (৫৭৬৭), মুসলিম (২/৪)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব এবং এর সনদ খুব একটা মাজবুত নয়। কা’ব সুপরিচিত ব্যক্তি নন। লাইস ইবনু আবী সুলাইম ছাড়া আর কেউ তার হতে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমাদের জানা নেই।

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ لَيْثٍ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي سُلَيْمٍ حَدَّثَنِي كَعْبٌ، حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ سَلُوا اللَّهَ لِيَ الْوَسِيلَةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْوَسِيلَةُ قَالَ ‏"‏ أَعْلَى دَرَجَةٍ فِي الْجَنَّةِ لاَ يَنَالُهَا إِلاَّ رَجُلٌ وَاحِدٌ أَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا هُوَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِسْنَادُهُ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ ‏.‏ وَكَعْبٌ لَيْسَ هُوَ بِمَعْرُوفٍ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا رَوَى عَنْهُ غَيْرَ لَيْثِ بْنِ أَبِي سُلَيْمٍ ‏.‏

حدثنا بندار، حدثنا ابو عاصم، حدثنا سفيان الثوري، عن ليث، وهو ابن ابي سليم حدثني كعب، حدثني ابو هريرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ سلوا الله لي الوسيلة ‏"‏ ‏.‏ قالوا يا رسول الله وما الوسيلة قال ‏"‏ اعلى درجة في الجنة لا ينالها الا رجل واحد ارجو ان اكون انا هو ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث غريب اسناده ليس بالقوي ‏.‏ وكعب ليس هو بمعروف ولا نعلم احدا روى عنه غير ليث بن ابي سليم ‏.‏


Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Ask Allah to grant me Al-Wasilah." They said: "O Messenger of Allah! And what is Al-Wasilah?" He said: "The highest level of Paradise. No one will attain it except for one man, and I hope that I am him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬১৩

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬১৩। উবাই ইবনু কাব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (পূর্ববর্তী) নবীগণের মাঝে আমার উপমা সেই লোকের মত যে একটি সুরম্য, সম্পূর্ণ ও সুশোভিত প্রাসাদ নির্মাণ করল, কিন্তু একটি ইটের জায়গা অসম্পূর্ণ রেখে দিল। জনগণ প্রাসাদটি প্রদক্ষিণ করত এবং তাতে অবাক হয়ে বলত, যদি তার নির্মাণকারী ঐ ইটের জায়গাটি পূর্ণ করত। অতএব আমি নবীগণের মাঝে সেই ইটের জায়গার সমতুল্য।

সহীহঃ তাখরীজ ফিকহিস সীরাহ (১৪১), বুখারী ও মুসলিম জাবিরও আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।

একই সনদে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আমিই হব নবীগণের ইমাম (নেতা), তাদের মুখপাত্র এবং তাদের সুপারিশকারী, এতে কোন গর্ব নেই।

হাসানঃ মিশকাত (৫৭৬৮)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنِ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَثَلِي فِي النَّبِيِّينَ كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى دَارًا فَأَحْسَنَهَا وَأَكْمَلَهَا وَأَجْمَلَهَا وَتَرَكَ مِنْهَا مَوْضِعَ لَبِنَةٍ فَجَعَلَ النَّاسُ يَطُوفُونَ بِالْبِنَاءِ وَيَعْجَبُونَ مِنْهُ وَيَقُولُونَ لَوْ تَمَّ مَوْضِعُ تِلْكَ اللَّبِنَةِ وَأَنَا فِي النَّبِيِّينَ مَوْضِعُ تِلْكَ اللَّبِنَةِ ‏"‏ ‏.‏

وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ كُنْتُ إِمَامَ النَّبِيِّينَ وَخَطِيبَهُمْ وَصَاحِبَ شَفَاعَتِهِمْ غَيْرُ فَخْرٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا ابو عامر العقدي، حدثنا زهير بن محمد، عن عبد الله بن محمد بن عقيل، عن الطفيل بن ابى بن كعب، عن ابيه، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ مثلي في النبيين كمثل رجل بنى دارا فاحسنها واكملها واجملها وترك منها موضع لبنة فجعل الناس يطوفون بالبناء ويعجبون منه ويقولون لو تم موضع تلك اللبنة وانا في النبيين موضع تلك اللبنة ‏"‏ ‏.‏ وبهذا الاسناد عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ اذا كان يوم القيامة كنت امام النبيين وخطيبهم وصاحب شفاعتهم غير فخر ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب ‏.‏


Narrated At-Tufail bin Ubayy bin Ka'b:
from his father that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The parable of me and the Prophets is that of a man who built a house, and he built it well, completing it, and beautifying it, but he left a space for one brick. So the people began going around the house amazed at it, saying "If only the space for that brick was filled.' And I am, with regards to the Prophets, in the position of that brick." And with this chain, from the Prophet (ﷺ) that he said: "Upon the Day of Judgement I will be the leader of the Prophets and their spokesman, and the bearer of their intercession, without bragging."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬১৪

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬১৪। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ তোমরা মুআযযিনের আযান যখন শুনবে সে সময় তোমরা তার মতো বলবে, তারপর আমার উপর দরূদ পড়বে। কেননা যে লোক আমার প্রতি একবার দরূদ পড়ে আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি এর বিনিময়ে দশবার দয়া বর্ষণ করেন। তারপর আমার জন্য তোমরা আল্লাহ তা’আলার নিকটে ওয়াসীলাহ প্রার্থনা কর। কেননা ওয়াসীলাহ হল জান্নাতের এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ জায়গা যা আল্লাহ তা’আলার বান্দাদের মাঝে শুধুমাত্র একজনই অর্জন করবে। আশা করি আমিই হব সেই বান্দা। আমার জন্য যে লোক উসীলা প্রার্থনা করল তার জন্য (আমার) সুপারিশ অবধারিত হল।

সহীহঃ ইরওয়া (২৪২), তা’লীক ’আলা বিদাইয়াতিস সূল (২০/৫২), মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইমাম মুহাম্মাদ বুখারী (রাহঃ) বলেন, এই ’আবদুর রহমান ইবনু জুবাইর হলেন কুরাশী ও মিসররিয মদীনাবাসী এবং আবদুর রহমান ইবনু জুবাইর ইবনু নুফাইর হলেন সিরিয়ার অধিবাসী।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، أَخْبَرَنَا كَعْبُ بْنُ عَلْقَمَةَ، سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ جُبَيْرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ ثُمَّ صَلُّوا عَلَىَّ فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَىَّ صَلاَةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ بِهَا عَشْرًا ثُمَّ سَلُوا لِيَ الْوَسِيلَةَ فَإِنَّهَا مَنْزِلَةٌ فِي الْجَنَّةِ لاَ تَنْبَغِي إِلاَّ لِعَبْدٍ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ وَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَنَا هُوَ وَمَنْ سَأَلَ لِيَ الْوَسِيلَةَ حَلَّتْ عَلَيْهِ الشَّفَاعَةُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرٍ هَذَا قُرَشِيٌّ مِصْرِيٌّ مَدَنِيٌّ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ شَامِيٌّ ‏.‏

حدثنا محمد بن اسماعيل، حدثنا عبد الله بن يزيد المقرى، حدثنا حيوة، اخبرنا كعب بن علقمة، سمع عبد الرحمن بن جبير، انه سمع عبد الله بن عمرو، انه سمع النبي صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ اذا سمعتم الموذن فقولوا مثل ما يقول الموذن ثم صلوا على فانه من صلى على صلاة صلى الله عليه بها عشرا ثم سلوا لي الوسيلة فانها منزلة في الجنة لا تنبغي الا لعبد من عباد الله وارجو ان اكون انا هو ومن سال لي الوسيلة حلت عليه الشفاعة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏ قال محمد عبد الرحمن بن جبير هذا قرشي مصري مدني وعبد الرحمن بن جبير بن نفير شامي ‏.‏


Narrated 'Abdullah bin 'Amr:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "If you hear the Muadh-dhin then say as he says. Then send Salat upon me, because whoever sends Salat upon me, Allah will send Salat upon him ten times due to it. Then ask Allah that He gives me Al-Wasilah, because it is a place in Paradise which is not for anyone except for a slave from the slaves of Allah, and I hope that I am him. And whoever asks that I have Al-Wasilah, then (my) intercession will be made lawful for him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬১৫

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬১৫। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন আদম সন্তানদের ইমাম (নেতা) হব, এতে অহংকার নেই। হামদের (আল্লাহ তা’আলার প্রসংসার) পতাকা আমার হাতেই থাকবে, এতেও গর্ব নেই। সে দিন আল্লাহ তা’আলার নবী আদম (আঃ) এবং নবীগণের সকলেই আমার পতাকার নীচে থাকবেন। সর্বপ্রথম আমার জন্যই মাটিকে বিদীর্ণ করা হবে, এতে কোন অহংকার নেই।

সহীহঃ ইবনু মাজাহ (৪৩০৮)-এর কিছু অংশ মুসলিমেও আছে।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসে একটি ঘটনা আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এই সানাদে বর্ণিত আছে যে, আবূ নাজরাহ ইবনু আব্বাস হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ جُدْعَانَ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَنَا سَيِّدُ وَلَدِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَبِيَدِي لِوَاءُ الْحَمْدِ وَلاَ فَخْرَ وَمَا مِنْ نَبِيٍّ يَوْمَئِذٍ آدَمُ فَمَنْ سِوَاهُ إِلاَّ تَحْتَ لِوَائِي وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ تَنْشَقُّ عَنْهُ الأَرْضُ وَلاَ فَخْرَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ بِهَذَا الإِسْنَادِ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا ابن ابي عمر، حدثنا سفيان، عن ابن جدعان، عن ابي نضرة، عن ابي سعيد، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ انا سيد ولد ادم يوم القيامة ولا فخر وبيدي لواء الحمد ولا فخر وما من نبي يومىذ ادم فمن سواه الا تحت لواىي وانا اول من تنشق عنه الارض ولا فخر ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى وفي الحديث قصة وهذا حديث حسن ‏.‏ وقد روي بهذا الاسناد عن ابي نضرة عن ابن عباس عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated Abu Sa'eed:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I am the master of the children of Adam on the Day of Judgement, and I am not boasting. The Banner of Praise will be in my hand, and I am not boasting. There will not be a Prophet on that day, not Adam nor anyone other than him, except that he will be under my banner. And I am the first one for whom the earth will be opened for, and I am not bragging."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬১৬

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬১৬। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু সাহাবী তার প্রতীক্ষায় বসে ছিলেন। রাবী বলেন, তিনি বের হয়ে তাদের নিকট এসে তাদের কথাবার্তা শুনলেন। তাদের কেউ বললেন, বিস্ময়ের বিষয়! আল্লাহ তা’আলা তার সৃষ্টিকুলের মধ্য হতে (একজনকে) নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানিয়েছেন। তিনি ইবরাহীম (আঃ)-কে নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বানিয়েছেন। আরেকজন বললেন, এর চেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হলঃ মূসা আলাইহিস সালাম-এর সাথে তার সরাসরি কথাবার্তা। আরেকজন বললেন, ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর কালিমা ("কুন" (হও) দ্বারা সৃষ্ট) এবং তার দেয়া রূহ। আরেকজন বললেন, আদম আলাইহিস সালাম-কে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকটে বের হয়ে তাদেরকে সালাম করে বললেনঃ আমি তোমাদের কথাবার্তা ও তোমাদের বিস্ময়ের ব্যাপারটা শুনেছি।

নিশ্চয় ইবরাহীম আলাইহিস সালাম আল্লাহ তা’আলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সত্যিই তিনি তাই। মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ তা’আলার সাথে বাক্যালাপকারী, সত্যিই তিনি তাই। ঈসা আলাইহিস সালাম তার রূহ ও কালিমা, সত্যিই তিনি তাই। আর আদম আলাইহিস সালাম-কে আল্লাহ তা’আলা পছন্দ করেছেন, সত্যিই তিনিও তাই। কিন্তু আমি আল্লাহ্ তা’আলার হাবীব (প্রিয় বন্ধু), তাতে কোন গর্ব নেই। কিয়ামত দিবসে আমিই হব প্রশংসার পতাকা বহনকারী তাতে কোন গর্ব নেই। কিয়ামতের দিন আমিই সর্বপ্রথম শাফাআতকারী এবং সর্ব প্রথমে আমার শাফাআতই কুবুল হবে, তাতেও কোন গর্ব নেই। সর্ব প্রথমে আমিই জান্নাতের (দরজার) কড়া নাড়ব। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা আমার জন্য তার দরজা খুলে দিবেন, আমাকেই সর্বপ্রথম জান্নাতে পাঠাবেন এবং আমার সাথে থাকবে গারীব মুমিনগণও, এতেও গর্বের কিছু নেই। আমি আগে ও পরের সকল লোকের মধ্যে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন ও সম্মানিত, এতেও গর্বের কিছু নেই।

যঈফ, মিশকাত (৫৭৬২)

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، حَدَّثَنَا زَمْعَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ وَهْرَامَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ جَلَسَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْتَظِرُونَهُ قَالَ فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا دَنَا مِنْهُمْ سَمِعَهُمْ يَتَذَاكَرُونَ فَسَمِعَ حَدِيثَهُمْ فَقَالَ بَعْضُهُمْ عَجَبًا إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ اتَّخَذَ مِنْ خَلْقِهِ خَلِيلاً اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلاً ‏.‏ وَقَالَ آخَرُ مَاذَا بِأَعْجَبَ مِنْ كَلاَمِ مُوسَى كَلَّمَهُ تَكْلِيمًا وَقَالَ آخَرُ فَعِيسَى كَلِمَةُ اللَّهِ وَرُوحُهُ ‏.‏ وَقَالَ آخَرُ آدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ فَسَلَّمَ وَقَالَ ‏ "‏ قَدْ سَمِعْتُ كَلاَمَكُمْ وَعَجَبَكُمْ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلُ اللَّهِ وَهُوَ كَذَلِكَ وَمُوسَى نَجِيُّ اللَّهِ وَهُوَ كَذَلِكَ وَعِيسَى رُوحُ اللَّهِ وَكَلِمَتُهُ وَهُوَ كَذَلِكَ وَآدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ وَهُوَ كَذَلِكَ أَلاَ وَأَنَا حَبِيبُ اللَّهِ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا حَامِلُ لِوَاءِ الْحَمْدِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ يُحَرِّكُ حِلَقَ الْجَنَّةِ فَيَفْتَحُ اللَّهُ لِيَ فَيُدْخِلُنِيهَا وَمَعِي فُقَرَاءُ الْمُؤْمِنِينَ وَلاَ فَخْرَ وَأَنَا أَكْرَمُ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ وَلاَ فَخْرَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا علي بن نصر بن علي، حدثنا عبيد الله بن عبد المجيد، حدثنا زمعة بن صالح، عن سلمة بن وهرام، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال جلس ناس من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم ينتظرونه قال فخرج حتى اذا دنا منهم سمعهم يتذاكرون فسمع حديثهم فقال بعضهم عجبا ان الله عز وجل اتخذ من خلقه خليلا اتخذ ابراهيم خليلا ‏.‏ وقال اخر ماذا باعجب من كلام موسى كلمه تكليما وقال اخر فعيسى كلمة الله وروحه ‏.‏ وقال اخر ادم اصطفاه الله فخرج عليهم فسلم وقال ‏ "‏ قد سمعت كلامكم وعجبكم ان ابراهيم خليل الله وهو كذلك وموسى نجي الله وهو كذلك وعيسى روح الله وكلمته وهو كذلك وادم اصطفاه الله وهو كذلك الا وانا حبيب الله ولا فخر وانا حامل لواء الحمد يوم القيامة ولا فخر وانا اول شافع واول مشفع يوم القيامة ولا فخر وانا اول من يحرك حلق الجنة فيفتح الله لي فيدخلنيها ومعي فقراء المومنين ولا فخر وانا اكرم الاولين والاخرين ولا فخر ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
that a group of people from the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) sat waiting for him. He said: "Then he came out, such that when he came close to them, he heard them talking, and he heard what they were saying. So some of them said: 'It's amazing that Allah, the Mighty and Sublime, has taken a Khalil (close friend) from His creation. He took Ibrahim as a Khalil.' And some of them said: 'That is not more amazing than speaking to Musa, He spoke to him with real speech.' And some said: 'And 'Eisa is the word of Allah and His Spirit.' And some said: 'Adam was chosen by Allah.' So he (ﷺ) came out upon them and said his Salam, and said: 'I have heard your words, and your amazement that Ibrahim is the Khalil of Allah, and he is such, and that Musa is the one spoken to by Allah, and he is such, and that 'Eisa is the spirit of Allah and His Word, and he is such, and that Adam was chosen by Allah, and he is such. Indeed I am the beloved of Allah and I am not boasting, and I am the carrier of the Banner of Praise on the Day of Judgement, and I am not boasting. And I am the first intercessor, and the first to have intercession accepted from him on the Day of Judgement, and I am not boasting. And I am the first to shake the rings of Paradise (meaning on the gates of Paradise) and so Allah will open it for me and admit me into it. And with me will be the poor people from the believers, and I am not boasting. And I am the most noble among the first ones and the last ones, and I am not boasting."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬১৭

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬১৭। মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ ইবনি আবদিল্লাহ ইবনি সালাম তার পিতা হতে তার দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন (তার দাদা) বলেছেন তাওরাতে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং ঈসা আলাইহিস সালাম-এর গুনাবলী লিখা আছে এবং তাকে (ঈসা আলাইহিস সালাম-কে) তার সাথে দাফন করা হবে। আবূ মাওদুদ বলেন (আইশা (রাঃ) ঘরে কবরের জন্য জায়গা অবশিষ্ট আছে।

যঈফ, মিশকাত (৫৭৭২)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। রাবী আবূ মাওদূদ উসমান ইবনু আয-যাহহাক এরূপ বলেছেন। অবশ্য তিনি আযযাহহাক ইবনু উসমান আল-মাদীনী হিসেবেই পরিচিত।

حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنِي أَبُو مَوْدُودٍ الْمَدَنِيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الضَّحَّاكِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ مَكْتُوبٌ فِي التَّوْرَاةِ صِفَةُ مُحَمَّدٍ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ يُدْفَنُ مَعَهُ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ أَبُو مَوْدُودٍ وَقَدْ بَقِيَ فِي الْبَيْتِ مَوْضِعُ قَبْرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ هَكَذَا قَالَ عُثْمَانُ بْنُ الضَّحَّاكِ وَالْمَعْرُوفُ الضَّحَّاكُ بْنُ عُثْمَانَ الْمَدَنِيُّ ‏.‏

حدثنا زيد بن اخزم الطاىي البصري، حدثنا ابو قتيبة، سلم بن قتيبة حدثني ابو مودود المدني، حدثنا عثمان بن الضحاك، عن محمد بن يوسف بن عبد الله بن سلام، عن ابيه، عن جده، قال مكتوب في التوراة صفة محمد وعيسى ابن مريم يدفن معه ‏.‏ قال فقال ابو مودود وقد بقي في البيت موضع قبر ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب ‏.‏ هكذا قال عثمان بن الضحاك والمعروف الضحاك بن عثمان المدني ‏.‏


Narrated 'Abdullah bin Salam:
"The description of Muhammad is written in the Tawrah, [and the description that] 'Eisa will be buried next to him." (One of the narrators) Abu Mawdud said: "[And] there is a place for a grave left in the house."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬১৮

পরিচ্ছেদঃ ১. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মর্যাদা

৩৬১৮। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দিন হিজরত করে মদীনায় প্রবেশ করেন সেদিন সেখানকার প্রতিটি জিনিস জ্যোতির্ময় হয়ে যায়। তারপর যে দিন তিনি মৃত্যুবরণ করেন সেদিন আবার সেখানকার প্রত্যেকটি বস্তু অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। তার দাফনকার্য আমরা সমাপ্ত করে হাত থেকে ধূলা না ঝাড়তেই আমাদের মনে পরিবর্তন এসে গেল (ঈমানের জোর কমে গেল)।

সহীহঃ ইবনু মাজাহ (১৬৩১)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সহীহ গারীব।

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي دَخَلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ أَضَاءَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَظْلَمَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ وَمَا نَفَضْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الأَيْدِي وَإِنَّا لَفِي دَفْنِهِ حَتَّى أَنْكَرْنَا قُلُوبَنَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا بشر بن هلال الصواف البصري، حدثنا جعفر بن سليمان الضبعي، عن ثابت، عن انس بن مالك، قال لما كان اليوم الذي دخل فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة اضاء منها كل شيء فلما كان اليوم الذي مات فيه اظلم منها كل شيء وما نفضنا عن رسول الله صلى الله عليه وسلم الايدي وانا لفي دفنه حتى انكرنا قلوبنا ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب صحيح ‏.‏


Narrated Anas bin Malik:
"On the day in which the Messenger of Allah (ﷺ) entered Al-Madinah, everything in it was illuminated. Then, on the day in which he died, everything in it was dark. And we did not remove our hands from the Messenger of Allah (ﷺ), while we were burying him because our hearts felt so estranged."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬১৯

পরিচ্ছেদঃ ২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম হওয়া প্রসঙ্গে

৩৬১৯। কাইস ইবনু মাখরামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হস্তী বছরে (আবরাহার বাহিনী ধ্বংসের বছর) জন্মগ্রহণ করি। তিনি বলেন, ইয়াসার ইবনু লাইস গোত্রীয় কুবাস ইবনু আশইয়ামকে উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) প্রশ্ন করেন, আপনি বড় নাকি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম? তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার চাইতে অনেক বড়, তবে আমি তার আগে জন্মগ্রহণ করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাতীর বছর জন্ম গ্রহণ করেছেন। আমার মা আমাকে এমন জায়গায় নিয়ে গেলেন যেখানে গিয়ে আমি পাখিগুলোর (হাতিগুলোর) মলের রং সবুজে বদল হয়ে যেতে দেখেছি।

সনদ দুর্বল

আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাকের সূত্রেই এ হাদীস জেনেছি।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ الْعَبْدِيُّ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْحَاقَ، يُحَدِّثُ عَنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسِ بْنِ مَخْرَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ وُلِدْتُ أَنَا وَرَسُولُ اللَّهِ، صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفِيلِ ‏.‏ وَسَأَلَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ قُبَاثَ بْنَ أَشْيَمَ أَخَا بَنِي يَعْمُرَ بْنِ لَيْثٍ أَأَنْتَ أَكْبَرُ أَمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَكْبَرُ مِنِّي وَأَنَا أَقْدَمُ مِنْهُ فِي الْمِيلاَدِ وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْفِيلِ وَرَفَعَتْ بِي أُمِّي عَلَى الْمَوْضِعِ قَالَ وَرَأَيْتُ خَذْقَ الْفِيلِ أَخْضَرَ مُحِيلاً ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار العبدي، حدثنا وهب بن جرير، حدثنا ابي قال، سمعت محمد بن اسحاق، يحدث عن المطلب بن عبد الله بن قيس بن مخرمة، عن ابيه، عن جده، قال ولدت انا ورسول الله، صلى الله عليه وسلم عام الفيل ‏.‏ وسال عثمان بن عفان قباث بن اشيم اخا بني يعمر بن ليث اانت اكبر ام رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اكبر مني وانا اقدم منه في الميلاد ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل ورفعت بي امي على الموضع قال ورايت خذق الفيل اخضر محيلا ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من حديث محمد بن اسحاق ‏.‏


Narrated Al-Muttalib bin 'Abdullah bin Qais bin Makhramah:
from his father, from his grandfather, that he said: "I and the Messenger of Allah (ﷺ), were born in the Year of the Elephant" - he said: "And 'Uthman bin 'Affan asked Qubath bin Ashyam, the brother of Banu Ya'mar bin Laith - 'Are you greater (in age) or the Messenger of Allah (ﷺ)?'" He said: "The Messenger of Allah (ﷺ) is greater than me, but I have an earlier birthday." He said: "And I saw the defecation of the birds turning green."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬২০

পরিচ্ছেদঃ ৩. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুওয়াতের আবির্ভাব

৩৬২০। আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাযিঃ) বলেনঃ কিছু প্রবীণ কুরাইশসহ আবূ তালিব (ব্যবসার উদ্দেশে) সিরিয়ার দিকে রওয়ানা হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে রওয়ানা হন। তারা (বুহাইরাহ) পাদ্রীর নিকট পৌছে তাদের নিজেদের সওয়ারী থেকে মালপত্র নামাতে থাকে, তখন উক্ত পাদ্রী (গীর্জা থেকে বেরিয়ে) তাদের নিকটে এলেন। অথচ এ কাফিলা এর আগে অনেকবার এখান দিয়ে চলাচল করেছে কিন্তু তিনি কখনও তাদের নিকট (গীর্জা) বেরিয়ে আসেননি বা তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপও করেননি। রাবী বলেন, লোকেরা তাদের বাহন থেকে সামানপত্র নামাতে ব্যস্ত থাকাবস্থায় উক্ত পাদ্ৰী তাদের ভেতরে ঢোকেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর হাত ধরে বলেন, ইনি “সাইয়্যিদুল আলামীন” (বিশ্ববাসীর নেতা), ইনি রাসূল রাব্বিল আলামীন (বিশ্ববাসীর প্রতিপালকের রাসূল) এবং আল্লাহ তা’আলা তাকে রহমাতুল্লিল আলামীন করে (বিশ্ববাসীর জন্য করুণা স্বরূপ) পাঠাবেন।

তখন কুরাইশদের বৃদ্ধ লোকেরা তাকে প্রশ্ন করে, কে আপনাকে জানিয়েছে? তিনি বলেন, যখন তোমরা এ উপত্যকা হতে নামছিলে, (তখন আমি লক্ষ্য করেছি যে,) প্রতিটি গাছ ও পাথর সিজদায় লুটিয়ে পড়ছে। এই দুটি নবী ব্যতীত অন্য কোন সৃষ্টিকে সিজদা করে না। এতদভিন্ন তার ঘারের নীচে আপেল সদৃশ গোলাকার মোহরে নবুওয়াতের সাহায্যে আমি তাকে চিনেছি। খাদ্যদ্রব্যসহ যখন তাদের নিকটে এলেন তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উটের পাল চরাতে গিয়েছিলেন। পাদ্রী বলেন, তোমরা তাকে ডেকে আনার ব্যবস্থা কর। অতএব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে এলেন, তখন একখণ্ড মেঘ তার উপর ছায়া বিস্তার করেছিল এবং কাফিলার লোকেরা যারা তার পূর্বেই এসেছিল তাদেরকে তিনি গাছের ছায়ায় বসা অবস্থায় পেলেন।

তিনি বসলে গাছের ছায়া তার দিকে ঝুকে পড়ে। পাদ্রি বলেন, তোমরা গাছের ছায়ার দিকে লক্ষ্য কর, ছায়াটি তার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। রাবী বলেন, ইত্যবসরে পাদ্রী তাদের মাঝে দাঁড়িয়ে তাদেরকে শপথ দিয়ে বলেছিলেন, তোমরা তাকে নিয়ে রোম সাম্রাজ্যে যেও না। কেননা রূমীয়রা যদি তাকে দেখে তাহলে তাকে চিহ্নগুলোর দ্বারা সনাক্ত করে ফেলবে এবং তাকে মেরে ফেলবে। এমতাবস্থায় পাদ্রী লক্ষ্য করেন যে, রূমের সাতজন লোক তাদের দিকে আসছে। পাদ্রী তাদের দিকে অগ্রসর হয়ে প্রশ্ন করেন, তোমরা কেন এসেছ? তারা বলে, এ মাসে আখিরী যামানার নবীর আগমন ঘটবে। তাই চলাচলের প্রতিটি রাস্তায় লোক পাঠানো হয়েছে, তাই আমাদেরকে আপনাদের পথে পাঠানো হয়েছে।

পাদ্রী রোমীয় নাগরিকদের প্রশ্ন করেন, তোমাদের পেছনে তোমাদের চেয়েও ভাল কোন ব্যক্তি আছে কি (কোন পাদ্রী তোমাদেরকে এই নবীর সংবাদ দিয়েছ কি)? তারা বলল, আপনার এ রাস্তায়ই আমাদেরকে ঐ নবীর আসার খরব দেয়া হয়েছে। পাদ্রী বলেন, তোমাদের কি মত, আল্লাহ তা’আলা যদি কোন কাজ কারার ইচ্ছা করেন তবে কোন মানুষের পক্ষে তা প্রতিহত করা কি সম্ভব? তারা বলল, না (অর্থাৎ শেষ যামানার নবীর আগমন ঘটবেই, কোন মানুষ তা ঠেকাতে পারবে না)।

রাবী বলেন, তারপর তারা তার নিকট আনুগত্যের শপথ করে এবং তার সাহচর্য অবলম্বন করে। তারপর পাদ্রী (কুরাইশ কাফিলাকে) আল্লাহর নামে শপথ করে প্রশ্ন করেন, তোমাদের মধ্যে কে তার অভিভাবক? লোকেরা বলল, আবূ তালিব। পাদ্রী আবূ তালিবকে অবিরতভাবে আল্লাহ তা’আলার নামে শপথ করে তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠাতে বলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত আবূ তালিব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (মক্কায়) ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেন এবং আবূ বকর (রাযিঃ) বিলাল (রাযিঃ)-কে তার সাথে দেন। আর পাদ্রী তাকে পাথেয় হিসেবে কিছু রুটি ও যাইতুনের তৈল দেন।

সহীহ ফিকহুস সীরাহ, দিফা আনিল হাদীসিন নাবাবী (৬২-৭২), মিশকাত (৫৯১৮), তবে বিলালের উল্লেখটুকু মুনকার বলে কথিত।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আমরা শুধু উপরোক্ত সনদসূত্রে এ হাদীস জেনেছি।

حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ أَبُو الْعَبَّاسِ الأَعْرَجُ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ غَزْوَانَ أَبُو نُوحٍ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجَ أَبُو طَالِبٍ إِلَى الشَّامِ وَخَرَجَ مَعَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي أَشْيَاخٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَلَمَّا أَشْرَفُوا عَلَى الرَّاهِبِ هَبَطُوا فَحَلُّوا رِحَالَهُمْ فَخَرَجَ إِلَيْهِمُ الرَّاهِبُ وَكَانُوا قَبْلَ ذَلِكَ يَمُرُّونَ بِهِ فَلاَ يَخْرُجُ إِلَيْهِمْ وَلاَ يَلْتَفِتُ ‏.‏ قَالَ فَهُمْ يَحُلُّونَ رِحَالَهُمْ فَجَعَلَ يَتَخَلَّلُهُمُ الرَّاهِبُ حَتَّى جَاءَ فَأَخَذَ بِيَدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ هَذَا سَيِّدُ الْعَالَمِينَ هَذَا رَسُولُ رَبِّ الْعَالَمِينَ يَبْعَثُهُ اللَّهُ رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ ‏.‏ فَقَالَ لَهُ أَشْيَاخٌ مِنْ قُرَيْشٍ مَا عِلْمُكَ فَقَالَ إِنَّكُمْ حِينَ أَشْرَفْتُمْ مِنَ الْعَقَبَةِ لَمْ يَبْقَ شَجَرٌ وَلاَ حَجَرٌ إِلاَّ خَرَّ سَاجِدًا وَلاَ يَسْجُدَانِ إِلاَّ لِنَبِيٍّ وَإِنِّي أَعْرِفُهُ بِخَاتَمِ النُّبُوَّةِ أَسْفَلَ مِنْ غُضْرُوفِ كَتِفِهِ مِثْلَ التُّفَّاحَةِ ‏.‏ ثُمَّ رَجَعَ فَصَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا فَلَمَّا أَتَاهُمْ بِهِ وَكَانَ هُوَ فِي رِعْيَةِ الإِبِلِ قَالَ أَرْسِلُوا إِلَيْهِ فَأَقْبَلَ وَعَلَيْهِ غَمَامَةٌ تُظِلُّهُ فَلَمَّا دَنَا مِنَ الْقَوْمِ وَجَدَهُمْ قَدْ سَبَقُوهُ إِلَى فَىْءِ الشَّجَرَةِ فَلَمَّا جَلَسَ مَالَ فَىْءُ الشَّجَرَةِ عَلَيْهِ فَقَالَ انْظُرُوا إِلَى فَىْءِ الشَّجَرَةِ مَالَ عَلَيْهِ ‏.‏ قَالَ فَبَيْنَمَا هُوَ قَائِمٌ عَلَيْهِمْ وَهُوَ يُنَاشِدُهُمْ أَنْ لاَ يَذْهَبُوا بِهِ إِلَى الرُّومِ فَإِنَّ الرُّومَ إِذَا رَأَوْهُ عَرَفُوهُ بِالصِّفَةِ فَيَقْتُلُونَهُ فَالْتَفَتَ فَإِذَا بِسَبْعَةٍ قَدْ أَقْبَلُوا مِنَ الرُّومِ فَاسْتَقْبَلَهُمْ فَقَالَ مَا جَاءَ بِكُمْ قَالُوا جِئْنَا أَنَّ هَذَا النَّبِيَّ خَارِجٌ فِي هَذَا الشَّهْرِ فَلَمْ يَبْقَ طَرِيقٌ إِلاَّ بُعِثَ إِلَيْهِ بِأُنَاسٍ وَإِنَّا قَدْ أُخْبِرْنَا خَبَرَهُ بُعِثْنَا إِلَى طَرِيقِكَ هَذَا فَقَالَ هَلْ خَلْفَكُمْ أَحَدٌ هُوَ خَيْرٌ مِنْكُمْ قَالُوا إِنَّمَا أُخْبِرْنَا خَبَرَهُ بِطَرِيقِكَ هَذَا ‏.‏ قَالَ أَفَرَأَيْتُمْ أَمْرًا أَرَادَ اللَّهُ أَنْ يَقْضِيَهُ هَلْ يَسْتَطِيعُ أَحَدٌ مِنَ النَّاسِ رَدَّهُ قَالُوا لاَ ‏.‏ قَالَ فَبَايَعُوهُ وَأَقَامُوا مَعَهُ قَالَ أَنْشُدُكُمُ اللَّهَ أَيُّكُمْ وَلِيُّهُ قَالُوا أَبُو طَالِبٍ فَلَمْ يَزَلْ يُنَاشِدُهُ حَتَّى رَدَّهُ أَبُو طَالِبٍ وَبَعَثَ مَعَهُ أَبُو بَكْرٍ بِلاَلاً وَزَوَّدَهُ الرَّاهِبُ مِنَ الْكَعْكِ وَالزَّيْتِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا الفضل بن سهل ابو العباس الاعرج البغدادي، حدثنا عبد الرحمن بن غزوان ابو نوح، اخبرنا يونس بن ابي اسحاق، عن ابي بكر بن ابي موسى، عن ابيه، قال خرج ابو طالب الى الشام وخرج معه النبي صلى الله عليه وسلم في اشياخ من قريش فلما اشرفوا على الراهب هبطوا فحلوا رحالهم فخرج اليهم الراهب وكانوا قبل ذلك يمرون به فلا يخرج اليهم ولا يلتفت ‏.‏ قال فهم يحلون رحالهم فجعل يتخللهم الراهب حتى جاء فاخذ بيد رسول الله صلى الله عليه وسلم قال هذا سيد العالمين هذا رسول رب العالمين يبعثه الله رحمة للعالمين ‏.‏ فقال له اشياخ من قريش ما علمك فقال انكم حين اشرفتم من العقبة لم يبق شجر ولا حجر الا خر ساجدا ولا يسجدان الا لنبي واني اعرفه بخاتم النبوة اسفل من غضروف كتفه مثل التفاحة ‏.‏ ثم رجع فصنع لهم طعاما فلما اتاهم به وكان هو في رعية الابل قال ارسلوا اليه فاقبل وعليه غمامة تظله فلما دنا من القوم وجدهم قد سبقوه الى فىء الشجرة فلما جلس مال فىء الشجرة عليه فقال انظروا الى فىء الشجرة مال عليه ‏.‏ قال فبينما هو قاىم عليهم وهو يناشدهم ان لا يذهبوا به الى الروم فان الروم اذا راوه عرفوه بالصفة فيقتلونه فالتفت فاذا بسبعة قد اقبلوا من الروم فاستقبلهم فقال ما جاء بكم قالوا جىنا ان هذا النبي خارج في هذا الشهر فلم يبق طريق الا بعث اليه باناس وانا قد اخبرنا خبره بعثنا الى طريقك هذا فقال هل خلفكم احد هو خير منكم قالوا انما اخبرنا خبره بطريقك هذا ‏.‏ قال افرايتم امرا اراد الله ان يقضيه هل يستطيع احد من الناس رده قالوا لا ‏.‏ قال فبايعوه واقاموا معه قال انشدكم الله ايكم وليه قالوا ابو طالب فلم يزل يناشده حتى رده ابو طالب وبعث معه ابو بكر بلالا وزوده الراهب من الكعك والزيت ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب لا نعرفه الا من هذا الوجه ‏.‏


Narrated Abu Musa Al-Ash'ari:
"Abu Talib departed to Ash-Sham, and the Prophet (ﷺ) left with him, along with some older men from the Quraish. When they came across the monk they stopped there and began setting up their camp, and the monk came out to them. Before that they used to pass by him and he wouldn't come out nor pay attention to them." He said: "They were setting up their camp when the monk was walking amidst them, until he came and took the hand of the Messenger of Allah (ﷺ). Then he said: 'This is the master of the men and jinn, this is the Messenger of the Lord of the worlds. Allah will raise him as a mercy to the men and jinn.' So some of the older people from the Quraish said: 'What do you know?' He said: 'When you people came along from the road, not a rock nor a tree was left, except that it prostrated, and they do not prostrate except for a Prophet. And I can recognize him by the seal of the Prophethood which is below his shoulder blade, like an apple.' Then he went back, and made them some food, and when he brought it to them, he [the Prophet (ﷺ)] was tending to the camels. So he said: 'Send for him.' So he came, and there was a cloud over him that was shading him. When he came close to the people, he found that they had beaten him to the tree's shade. So when he sat down, the shade of the tree leaned towards him. He (the monk) said: 'Look at the shade of the tree leaning towards him.'" He said: "So while he was standing over them, telling them not to take him to Rome with him - because if the Romans were to see him, they would recognize him by his description, and they would kill him - he turned, and there were seven people who had come from Rome. So he faced them and said: 'Why have you come?' They said: 'We came because this Prophet is going to appear during this month, and there isn't a road left except that people have been sent to it, and we have been informed of him, and we have been send to this road of yours.' So he said: 'Is there anyone better than you behind you?' They said: 'We only have news of him from this road of yours.' He said: 'Do you think that if there is a matter which Allah wishes to bring about, there is anyone among the people who can turn it away?' They said: 'No.'" He said: "So they gave him their pledge, and they stayed with him. And he said: 'I ask you by Allah, which of you is his guardian?' They said: 'Abu Talib.' So he kept adjuring him until Abu Talib returned him (back to Makkah) and he sent Abu Bakr and Bilal with him. And the monk gave him provisions of Ka'k (a type of bread) and olive oil."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬২১

পরিচ্ছেদঃ ৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুওয়াত লাভ এবং নবুওয়াত লাভকালে তার বয়স কত ছিল?

৩৬২১। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর চল্লিশ বছর বয়সে ওয়াহী অবতীর্ণ হয়। অতঃপর তিনি মক্কায় তের বছর ও মদীনায় দশ বছর বসবাস করেন এবং যখন তিনি মৃত্যুবরণ করেন সে সময় তাঁর বয়স ছিল তেষট্টি বছর।

সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (৩১৭), বুখারী ও মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ أُنْزِلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ ابْنُ أَرْبَعِينَ فَأَقَامَ بِمَكَّةَ ثَلاَثَ عَشْرَةَ وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرًا وَتُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ وَسِتِّينَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن اسماعيل، حدثنا محمد بن بشار، حدثنا ابن ابي عدي، عن هشام بن حسان، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال انزل على رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو ابن اربعين فاقام بمكة ثلاث عشرة وبالمدينة عشرا وتوفي وهو ابن ثلاث وستين ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"The Messenger of Allah (ﷺ) received Revelation when he was forty years old. So he stayed in Makkah for thirteen years and in Al-Madinah for ten. And he died when he was sixty-three years old."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬২২

পরিচ্ছেদঃ ৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুওয়াত লাভ এবং নবুওয়াত লাভকালে তার বয়স কত ছিল?

৩৬২২। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স ছিল পয়ষট্টি বছর।

শাজ, প্রাগুক্ত

আবূ ঈসা বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার আমাদের নিকট এরূপই বর্ণনা করেছেন এবং মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (বুখারী)-ও তার হতে একই রকম বর্ণনা করেছেন।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قُبِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَسِتِّينَ وَهَكَذَا حَدَّثَنَا هُوَ يَعْنِي ابْنَ بَشَّارٍ وَرَوَى عَنْهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ مِثْلَ ذَلِكَ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا ابن ابي عدي، عن هشام، عن عكرمة، عن ابن عباس، قال قبض النبي صلى الله عليه وسلم وهو ابن خمس وستين وهكذا حدثنا هو يعني ابن بشار وروى عنه محمد بن اسماعيل مثل ذلك ‏.‏


Narrated Ibn 'Abbas:
"The Prophet (ﷺ) died when he was sixty-five years old."


হাদিসের মানঃ শা'জ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬২৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুওয়াত লাভ এবং নবুওয়াত লাভকালে তার বয়স কত ছিল?

৩৬২৩। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিক লম্বাও ছিলেন না এবং অতি বেটেও ছিলেন না। তিনি অতিরিক্ত সাদাও ছিলেন না, আবার বেশী তামাটে বর্ণও ছিলেন না। তার মাথার চুল একেবারে ঘন কুকড়ানো ছিল না এবং একেবারে খাড়াও ছিল না। আল্লাহ তা’আলা চল্লিশ বছর বয়সে তাকে নবুওয়াত দান করেন। তারপর তিনি মক্কায় দশ বছর ও মদীনায় দশ বছর বসবাস করেন। আল্লাহ তা’আলা ষাট বছরের মাথায় তাকে মৃত্যু দান করেন। সে সময় তার মাথা ও দাঁড়ির বিশটি চুলও সাদা হয়নি।

সহীহঃ মুখতাসার শামায়িল (১) ১৭৫৪ নং হাদীসে এর প্রথমাংশ বর্ণিত হয়েছে।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، وَحَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ لَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالطَّوِيلِ الْبَائِنِ وَلاَ بِالْقَصِيرِ الْمُتَرَدِّدِ وَلاَ بِالأَبْيَضِ الأَمْهَقِ وَلاَ بِالآدَمِ وَلَيْسَ بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ وَلاَ بِالسَّبِطِ بَعَثَهُ اللَّهُ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً فَأَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ وَتَوَفَّاهُ اللَّهُ عَلَى رَأْسِ سِتِّينَ سَنَةً وَلَيْسَ فِي رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ عِشْرُونَ شَعْرَةً بَيْضَاءَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، عن مالك بن انس، وحدثنا الانصاري، حدثنا معن، حدثنا مالك بن انس، عن ربيعة بن ابي عبد الرحمن، انه سمع انس بن مالك، يقول لم يكن رسول الله صلى الله عليه وسلم بالطويل الباىن ولا بالقصير المتردد ولا بالابيض الامهق ولا بالادم وليس بالجعد القطط ولا بالسبط بعثه الله على راس اربعين سنة فاقام بمكة عشر سنين وبالمدينة عشر سنين وتوفاه الله على راس ستين سنة وليس في راسه ولحيته عشرون شعرة بيضاء ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Narrated Anas bin Malik:
"The Messenger of Allah (ﷺ) was not very tall nor was he [very] short, nor was he pale white, nor was he brown, nor was the wave of his hair completely curly nor straight. Allah sent him at the beginning of his forties and he stayed in Makkah for ten years, and in Al-Madinah for ten years. And Allah took him at the beginning of his sixties, and there were not more than twenty white hairs on his head or in his beard."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
৩৬২৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুওয়াতের নিদর্শনাবলী এবং যে বিশেষ গুণে আল্লাহ তা'আলা তাকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছেন

৩৬২৪। জাবির ইবনু সামুরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অবশ্যই মক্কায় একখানা পাথর আছে যা আমার নবুয়াত অর্জনের রাতগুলোতে আমাকে সালাম করত। আমি এখনও অবশ্যই পাথরখানাকে চিহ্নিত করতে পারি।

সহীহঃ মুসলিম (৭/৮৫)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالاَ أَنْبَأَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُعَاذٍ الضَّبِّيُّ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ بِمَكَّةَ حَجَرًا كَانَ يُسَلِّمُ عَلَىَّ لَيَالِيَ بُعِثْتُ إِنِّي لأَعْرِفُهُ الآنَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، ومحمود بن غيلان، قالا انبانا ابو داود الطيالسي، حدثنا سليمان بن معاذ الضبي، عن سماك بن حرب، عن جابر بن سمرة، قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان بمكة حجرا كان يسلم على ليالي بعثت اني لاعرفه الان ‏"‏ ‏.‏ قال هذا حديث حسن غريب ‏.‏


Narrated Simak bin Harb:
from Jabir bin Samurah, that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Indeed in Makkah there is a rock that used to give me Salam during the night of my advent, and I know it even now."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৪৬/ রাসূলুল্লাহ ﷺ ও তার সাহাবীগণের মর্যাদা (كتاب المناقب عن رسول الله ﷺ) 46. Chapters on Virtues
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৫৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 · · · 15 16 17 18 পরের পাতা »