পরিচ্ছেদঃ ১. আল্লাহ তা’আলা যার কল্যাণ চান তাকে ধর্মের জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেন
২৬৪৫। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা যে ব্যক্তির কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেন।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২২০), বুখারী ও মুসলিম।
উমার, আবূ হুরাইরাহ ও মু’আবিয়াহ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে। হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ إِذَا أَرَادَ اللَّهُ بِعَبْدٍ خَيْرًا فَقَّهَهُ فِي الدِّينِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ خَيْرًا يُفَقِّهْهُ فِي الدِّينِ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَمُعَاوِيَةَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Ibn 'Abbas:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "For whomever Allah wants good, he gives him understanding in the religion.
পরিচ্ছেদঃ ২. জ্ঞান সন্ধানের ফযীলত
২৬৪৬। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক জ্ঞানের খোঁজে কোন পথে চলবে, তার জন্য আল্লাহ তা’আলা জান্নাতের পথ সহজ করে দিবেন।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২২৫), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ طَلَبِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهَّلَ اللَّهُ لَهُ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever takes a path upon which to obtain knowledge, Allah makes the path to Paradise easy for him."
পরিচ্ছেদঃ ২. জ্ঞান সন্ধানের ফযীলত
২৬৪৭ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি জ্ঞানের খোজে বের হলে সে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহ্ তা’আলার রাস্তায় আছে বলে গণ্য হবে।
যঈফ, মিশকাত (২২০)যঈফা (২০৩৭), আর-রাওয (১০৯)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। কোন কোন রাবী এ হাদীস বর্ণনা করেছেন তবে মারফুরূপে নয়।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ طَلَبِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ يَزِيدَ الْعَتَكِيُّ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ خَرَجَ فِي طَلَبِ الْعِلْمِ فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى يَرْجِعَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ فَلَمْ يَرْفَعْهُ .
Narrated Anas bin Malik:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever goes out seeking knowledge, then he is in Allah's cause until he returns."
পরিচ্ছেদঃ ২. জ্ঞান সন্ধানের ফযীলত
২৬৪৮। সাখবারা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি জ্ঞান খোঁজ করে, এটা তার জন্য তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহের কাফফারা হয়ে যায়।
মাওযু, মিশকাত (২২১), যঈফা (৫০১৭)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি সনদের দিক হতে যঈফ। আবদুল্লাহ ইবনু সাখবারা ও তার পিতা সাখবারা (রাঃ)-এর হাদীস রিওয়ায়াত প্রসঙ্গে আমাদের বেশী কিছু জানা নেই। রাবী আবূ দাউদের নাম নুফাই আল-আ’মা কাতাদা এবং অন্যান্যরা তার সমালোচনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ طَلَبِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُعَلَّى، حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ خَيْثَمَةَ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَخْبَرَةَ، عَنْ سَخْبَرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ كَانَ كَفَّارَةً لِمَا مَضَى " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ ضَعِيفُ الإِسْنَادِ . أَبُو دَاوُدَ يُضَعَّفُ وَلاَ نَعْرِفُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَخْبَرَةَ كَبِيِرَ شَيْءٍ وَلاَ لأَبِيهِ وَاسْمُ أَبِي دَاوُدَ نُفَيْعٌ الأَعْمَى تَكَلَّمَ فِيهِ قَتَادَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ .
Narrated 'Abdullah bin Sakhbarah:
narrated that the Prophet (ﷺ) said: "Whoever seeks knowledge, he is atoning for what has passed (of sins while doing so)."
পরিচ্ছেদঃ ৩. ইলম (জ্ঞান) গোপন করা
২৬৪৯। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক এমন ইলম (জ্ঞান) সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয় যা সে জানে, অতঃপর সে তা গোপন করে, তাকে কিয়ামতের দিবসে আগুনের লাগাম পরানো হবে।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২৬৪)
জাবির ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
باب مَا جَاءَ فِي كِتْمَانِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بُدَيْلِ بْنِ قُرَيْشٍ الْيَامِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ زَاذَانَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحَكَمِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سُئِلَ عَنْ عِلْمٍ عَلِمَهُ ثُمَّ كَتَمَهُ أُلْجِمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِلِجَامٍ مِنْ نَارٍ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever is asked about some knowledge that he knows, then he conceals it, he will be bridled with bridle of fire."
পরিচ্ছেদঃ ৪. জ্ঞান অন্বেষণকারীর সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং তাদের সদুপদেশ দেয়া
২৬৫০। আবূ হারূন আল-আবদী (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ)-এর নিকটে (জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে) আসলে তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপদেশকে “মারহাবা, স্বাগতম!” কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (আমার পরে) মানুষ তো তোমাদের অনুসারী হবে। দিগদিগন্ত হতে মানুষ ধর্মের জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে তোমাদের নিকটে আসবে। তারা তোমাদের নিকটে এলে তোমরা তাদের কল্যাণ সাধনের ব্যাপারে (আমার) উপদেশ গ্রহণ কর।
যঈফ, ইবনু মাজাহ (২৪৯)
আবূ ঈসা বলেনঃ আলী ইবনু আবদুল্লাহ বলেছেন যে, ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ বলেছেন, শুবা (রাহঃ) আবূ হারূন আবদীকে যঈফ বলতেন, কিন্তু ইবনু আওন আমৃত্যু তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবূ হারূনের নাম উমারা ইবনু জুয়াইন।
باب مَا جَاءَ فِي الاِسْتِيصَاءِ بِمَنْ يَطْلُبُ الْعِلْمَ
حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا نَأْتِي أَبَا سَعِيدٍ فَيَقُولُ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّ رِجَالاً يَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرَضِينَ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا أَتَوْكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى قَالَ عَلِيٌّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ كَانَ شُعْبَةُ يُضَعِّفُ أَبَا هَارُونَ الْعَبْدِيَّ . قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ مَا زَالَ ابْنُ عَوْنٍ يَرْوِي عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ حَتَّى مَاتَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَبُو هَارُونَ اسْمُهُ عُمَارَةُ بْنُ جُوَيْنٍ .
Narrated Abu Harun [Al-'Abdi]:
"We went to Abu Sa'eed and he said: 'Welcome with the exhortation of the Messenger of Allah (ﷺ). Indeed the Prophet (ﷺ) said: "Surely, the people are followers of you, and men will certainly come to you from the regions of the earth to gain understanding in the religion. So when they come to you exhort them with good."
পরিচ্ছেদঃ ৪. জ্ঞান অন্বেষণকারীর সাথে সদ্ব্যবহার করা এবং তাদের সদুপদেশ দেয়া
২৬৫১। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ প্রাচ্যের দিক হতে বহু লোক জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে তোমাদের নিকটে আসবে। তারা তোমাদের নিকটে এলে তোমরা তাদের কল্যাণ কামনায় (আমার) সদুপদেশ গ্রহণ কর। তিনি (হারূন) বলেন, আবূ সাঈদ (রাঃ) আমাদের দেখলে বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপদেশকে স্বাগতম।
যঈফ, দেখুন পূর্বের হাদীস
আবূ ঈসা বলেন, আবূ হারূন আবদী-আবূ সাঈদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীস ব্যতীত এই প্রসঙ্গে আমাদের কিছু জানা নাই।
باب مَا جَاءَ فِي الاِسْتِيصَاءِ بِمَنْ يَطْلُبُ الْعِلْمَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا نُوحُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَأْتِيكُمْ رِجَالٌ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ يَتَعَلَّمُونَ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا " . قَالَ فَكَانَ أَبُو سَعِيدٍ إِذَا رَآنَا قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هَارُونَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ .
Narrated Abu Harun [Al-'Abdi]:
from Abu Sa'eed Al-Khudri that the Prophet (ﷺ) said: "Men will come to you from the direction of the east to learn. So when they come to you then exhort them to good." He said: "When Abu Sa'eed saw us he would say: 'Welcome with the exhortation of the Messenger of Allah, may the peace and blessings of Allah be upon him and his family.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫. জ্ঞান উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে
২৬৫২। আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (শেষ যামানায়) আল্লাহ তা’আলা মানুষের নিকট হতে একটানে ইলম উঠিয়ে নিবেন না, বরং আলিমদেরকে উঠিয়ে নেয়ার মাধ্যমেই ইলম উঠিয়ে নিবেন। অবশেষে যখন তিনি কোন আলিমই অবশিষ্ট রাখবেন না, তখন মানুষেরা অজ্ঞ জাহিলদের নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে। তারপর বিভিন্ন বিষয়ে তাদের নিকট প্রশ্ন করা হবে, আর তারা ইলম ছাড়াই ফাতাওয়া দিবে। ফলে তারা নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অন্যকেও পথভ্রষ্ট করবে।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৫২), বুখারী ও মুসলিম।
আয়িশাহ ও যিয়াদ ইবনু লাবীদ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। যুহরী (রহঃ) এ হাদীস উরওয়াহ হতে, ’আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ)-এর বরাতে এবং উরওয়াহ হতে, ’আয়িশাহ (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে, উভয় সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ لاَ يَقْبِضُ الْعِلْمَ انْتِزَاعًا يَنْتَزِعُهُ مِنَ النَّاسِ وَلَكِنْ يَقْبِضُ الْعِلْمَ بِقَبْضِ الْعُلَمَاءِ حَتَّى إِذَا لَمْ يَتْرُكْ عَالِمًا اتَّخَذَ النَّاسُ رُءُوسًا جُهَّالاً فَسُئِلُوا فَأَفْتَوْا بِغَيْرِ عِلْمٍ فَضَلُّوا وَأَضَلُّوا " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَزِيَادِ بْنِ لَبِيدٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ هَذَا .
Narrated 'Abdullah bin 'Amr bin Al-'As:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Indeed Allah does not take away knowledge by removing it from the people, but He takes away knowledge by taking the scholars, until there remains no scholar and the people begin to ask the ignorant leaders, so they give their verdict without knowledge. They will go astray and lead the people astray."
পরিচ্ছেদঃ ৫. জ্ঞান উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে
২৬৫৩। আবূদ দারদা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ "-এর সাথে ছিলাম। তিনি আকাশের দিকে তাকালেন, তারপর বললেনঃ এই সময়ে মানুষের কাছ থেকে ইলমকে ছিনিয়ে নেয়া হবে, এমনকি এ সম্পর্কে তাদের কোন সামর্থ্যই থাকবে না। যিয়াদ ইবনু লাবীদ আল-আনসার (রাযিঃ) জিজ্ঞেস করলেন, আমাদের নিকট হতে কিভাবে ইলম ছিনিয়ে নেয়া হবে, অথচ আমরা কুরআন তিলাওয়াত করি? আল্লাহর কসম! অবশ্যই আমরা তা তিলাওয়াত করবো এবং আমাদের স্ত্রীদের ও সন্তানদেরকেও তা শিখাবো।
তিনি বললেনঃ হে যিয়াদ! তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক, আমি তো তোমাকে মদীনার অন্যতম জ্ঞানী ব্যক্তি বলেই গণ্য করতাম! এই তো ইয়াহুদী-নাসারাদের নিকট তাওরাত ও ইনজীল রয়েছে, তা তাদের কি কাজে লেগেছে?
জুবাইর (রাযিঃ) বলেন, তারপর আমি উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ)-এর সাথে দেখা করে বললাম, আপনার ভাই আবূদ দারদা (রাযিঃ) কি বলছেন তা আপনি শুনতে পাননি? আবূদ দারদা (রাযিঃ) যা বলেছেন, তা আমি তার নিকট বললাম। তিনি বলেন, আবূদ দারদা (রাযিঃ) ঠিকই বলেছেন। তুমি চাইলে আমি তোমাকে একটি কথা বলতে পারি। ইলমের যে বস্তুটি সর্বপ্রথম মানুষের কাছ থেকে তুলে নেয়া হবে তা হল বিনয়। খুব শীঘ্রই তুমি কোন জামে মসজিদে গিয়ে হয়তো দেখবে যে, একজন লোকও সেখানে বিনয়াবনত নয়।
সহীহঃ তাখরীজু ইকতিযায়িল ইলমি আল-আমল (৮৯)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। হাদীসবিশারদগণের মতে মু’আবিয়াহ ইবনু সালিহ একজন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান ব্যতীত অন্য কেউ তার সমালোচনা করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। মুআবিয়াহ ইবনু সালিহ হতেও এরকম হাদীস বর্ণিত আছে। কোন কোন বর্ণনাকারী এই হাদীস আবদুর রাহমান ইবনু জুবাইর ইবনু নুফাইর হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি ’আওফ ইবনু মালিক (রাযিঃ)-এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي ذَهَابِ الْعِلْمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَشَخَصَ بِبَصَرِهِ إِلَى السَّمَاءِ ثُمَّ قَالَ " هَذَا أَوَانٌ يُخْتَلَسُ الْعِلْمُ مِنَ النَّاسِ حَتَّى لاَ يَقْدِرُوا مِنْهُ عَلَى شَيْءٍ " . فَقَالَ زِيَادُ بْنُ لَبِيدٍ الأَنْصَارِيُّ كَيْفَ يُخْتَلَسُ مِنَّا وَقَدْ قَرَأْنَا الْقُرْآنَ فَوَاللَّهِ لَنَقْرَأَنَّهُ وَلَنُقْرِئَنَّهُ نِسَاءَنَا وَأَبْنَاءَنَا . فَقَالَ " ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا زِيَادُ إِنْ كُنْتُ لأَعُدُّكَ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ هَذِهِ التَّوْرَاةُ وَالإِنْجِيلُ عِنْدَ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى فَمَاذَا تُغْنِي عَنْهُمْ " . قَالَ جُبَيْرٌ فَلَقِيتُ عُبَادَةَ بْنَ الصَّامِتِ قُلْتُ أَلاَ تَسْمَعُ إِلَى مَا يَقُولُ أَخُوكَ أَبُو الدَّرْدَاءِ فَأَخْبَرْتُهُ بِالَّذِي قَالَ أَبُو الدَّرْدَاءِ قَالَ صَدَقَ أَبُو الدَّرْدَاءِ إِنْ شِئْتَ لأُحَدِّثَنَّكَ بِأَوَّلِ عِلْمٍ يُرْفَعُ مِنَ النَّاسِ الْخُشُوعُ يُوشِكُ أَنْ تَدْخُلَ مَسْجِدَ جَمَاعَةٍ فَلاَ تَرَى فِيهِ رَجُلاً خَاشِعًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَمُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ ثِقَةٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ وَلاَ نَعْلَمُ أَحَدًا تَكَلَّمَ فِيهِ غَيْرَ يَحْيَى بْنِ سَعِيِدٍ الْقَطَّانِ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ نَحْوُ هَذَا . وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Jubair bin Nufair:
from Abu Ad-Darda who said: "We were with the Prophet (ﷺ) when he raised his sight to the sky, then he said: 'This is the time when knowledge is to be taken from the people, until what remains of it shall not amount to anything." So Ziyad bin Labid Al-Ansari said: 'How will it be taken from us while we recite the Qur'an. By Allah we recite it, and our women and children recite it?' He (ﷺ) said: 'May you be bereaved of your mother O Ziyad! I used to consider you among the Fuqaha of the people of Al-Madinah. The Tawrah and Injil are with the Jews and Christians, but what do they avail of them?'" Jubair said: "So I met 'Ubadah bin As-Samit and said to him: 'Have you not heard what your brother Abu Ad-Darda said?' Then I informed him of what Abu Ad-Darda said. He said: 'Abu Ad-Darda spoke the truth. If you wish, we shall narrated to you about the first knowledge to be removed from the people: It is Khushu', soon you will enter the congregational Masjid, but not see any man in it with Khushu'.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬. ইলমের বিনিময়ে যে লোক পার্থিব স্বাৰ্থ খোঁজ করে
২৬৫৪। কাব ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে লোক আলিমদের সাথে তর্ক বাহাস করা অথবা জাহিল-মূর্খদের সাথে বাকবিতণ্ডা করার জন্য এবং মানুষকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করার উদ্দেশে ইলম অধ্যয়ন করেছে, আল্লাহ তা’আলা তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
হাসানঃ মিশকাত (২২৩-২২৫), তা’লীকুর রাগীব (১/৬৮)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই জেনেছি। হাদীস বিশেষজ্ঞদের মতে ইসহাক ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু তালহা খুব একটা শক্তিশালী বর্ণনাকারী নন। তার স্মৃতিশক্তি সমালোচিত।
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ يَطْلُبُ بِعِلْمِهِ الدُّنْيَا
حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْعَثِ، أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ الْعِجْلِيُّ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ، حَدَّثَنِي ابْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ طَلَبَ الْعِلْمَ لِيُجَارِيَ بِهِ الْعُلَمَاءَ أَوْ لِيُمَارِيَ بِهِ السُّفَهَاءَ أَوْ يَصْرِفَ بِهِ وُجُوهَ النَّاسِ إِلَيْهِ أَدْخَلَهُ اللَّهُ النَّارَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَإِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى بْنِ طَلْحَةَ لَيْسَ بِذَاكَ الْقَوِيِّ عِنْدَهُمْ تُكُلِّمَ فِيهِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
Narrated Ibn Ka'b bin Malik:
from his father that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: "Whoever seeks knowledge to contend with the scholars, or to use it to argue with the fools, and to have people's faces turn towards him, then he shall be admitted to the Fire."
পরিচ্ছেদঃ ৬. ইলমের বিনিময়ে যে লোক পার্থিব স্বাৰ্থ খোঁজ করে
২৬৫৫। ইবনু উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত আছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করে অথবা এর দ্বারা আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কিছু অর্জনের ইচ্ছা করে সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে নির্দিষ্ট করে নেয়।
(য’ঈফ; ইবনু মাযাহ-হাঃ নং- ২৫৮)
এ অনুচ্ছেদে জাবির (রাযি.) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান গারীব। উপরিউক্ত সূত্র ব্যতীত আইয়ুবের কোন হাদীস আমাদের জানা নেই।
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ يَطْلُبُ بِعِلْمِهِ الدُّنْيَا
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ نَصْرِ بْنِ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ الْهُنَائِيُّ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ أَيُّوبَ السِّخْتِيَانِيِّ، عَنْ خَالِدِ بْنِ دُرَيْكٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ تَعَلَّمَ عِلْمًا لِغَيْرِ اللَّهِ أَوْ أَرَادَ بِهِ غَيْرَ اللَّهِ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ أَيُّوبَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Narrated Ibn 'Umar:
that the Prophet (ﷺ) said: "Whoever learns knowledge for other than (the sake of) Allah, or intends by it other than Allah, then let him take his seat in the Fire."
পরিচ্ছেদঃ ৭. শ্রুত জ্ঞান প্রচারে অনুপ্রেরণা দেয়া
২৬৫৬। আবান ইবনু উসমান (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোন একদিন যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ) ঠিক দুপুরের সময় মারওয়ানের নিকট হতে বেরিয়ে আসলেন। আমরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করলাম, সম্ভবতঃ কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করার জন্যই এ সময়ে মারওয়ান তাকে ডেকে পাঠিয়েছেন। সুতরাং আমরা উঠে গিয়ে তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, হ্যাঁ, তিনি আমার কাছে কয়েকটি কথা জিজ্ঞেস করেছেন, যা আমি রাসূলুল্লাহ -এর নিকট শুনেছি। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা’আলা সেই ব্যক্তির চেহারা আনন্দ-উজ্জ্বল করুন, যে আমার কোন কথা শুনেছে, তারপর তা সঠিকভাবে মনে রেখেছে এবং সেভাবেই অন্যের নিকট পৌছে দিয়েছে। এমন অনেক লোক আছে, যারা নিজেদের তুলনায় উচ্চতর জ্ঞানের অধিকারীর নিকট জ্ঞান পৌছে দিতে পারে। আর অনেক জ্ঞানের বাহক এমন রয়েছে যারা নিজেরাই জ্ঞানী নয়।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২৩০)
’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ, মুআয ইবনু জাবাল, জুবাইর ইবনু মুতাইম, আবূদ দারদা ও আনাস (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান।
باب مَا جَاءَ فِي الْحَثِّ عَلَى تَبْلِيغِ السَّمَاعِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، مِنْ وَلَدِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبَانَ بْنِ عُثْمَانَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ مِنْ عِنْدِ مَرْوَانَ نِصْفَ النَّهَارِ قُلْنَا مَا بَعَثَ إِلَيْهِ فِي هَذِهِ السَّاعَةِ إِلاَّ لِشَيْءٍ سَأَلَهُ عَنْهُ فَقُمْنَا فَسَأَلْنَاهُ فَقَالَ نَعَمْ سَأَلَنَا عَنْ أَشْيَاءَ سَمِعْنَاهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا فَحَفِظَهُ حَتَّى يُبَلِّغَهُ غَيْرَهُ فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ وَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ لَيْسَ بِفَقِيهٍ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ وَجُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ وَأَبِي الدَّرْدَاءِ وَأَنَسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ .
Narrated 'Abdur-Rahman bin Aban bin 'Uthman:
from his father who said: "Zaid bin Thabit left to go to Marwan during the middle of the day. We said: 'He did not send for him [during] this hour except to ask him about something.' So we got up to ask him, and he said: 'Yes, he asked us about something we heard from the Messenger of Allah (ﷺ). I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: "May Allah gladden a man who hears a Hadith from us, so he memorizes it until he conveys it to someone else. Perhaps he carries Fiqh to one who is more understanding than him, and perhaps the one who carries the Fiqh is not a Faqih."
পরিচ্ছেদঃ ৭. শ্রুত জ্ঞান প্রচারে অনুপ্রেরণা দেয়া
২৬৫৭। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ "-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা’আলা সেই ব্যক্তিকে আলোকোজ্জ্বল করুন, যে আমার কোন কথা শুনেছে এবং যেভাবে শুনেছে সেভাবেই অন্যের নিকট তা (জ্ঞান) পৌছে দিয়েছে। এমন অনেক ব্যক্তি আছে যার নিকট ইলম পৌছানো হয় তিনি শ্রোতার চেয়ে বেশি হৃদয়ঙ্গমকারী হয়ে থাকেন।
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (২৩২)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবদুল মালিক ইবনু উমাইর ও এই হাদীসটি ’আবদুর রাহমান ইবনু আবদিল্লাহ (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْحَثِّ عَلَى تَبْلِيغِ السَّمَاعِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا شَيْئًا فَبَلَّغَهُ كَمَا سَمِعَ فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَوْعَى مِنْ سَامِعٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ .
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির ভাবার্থ হলো এই যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসূলের নির্ভরযোগ্য হাদীসের যত্নসহকারে প্রচার করবে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও পরকালে উচ্চ মর্যাদা প্রদান করবেন এবং তাকে জান্নাতের সুখ বা নেয়ামত প্রদানের সাথে সাথে বিশেষ সৌন্দর্যে সুশোভিত করবেন।
২। যারা আল্লাহর রাসূলের হাদীসের প্রতি আন্তরিকভাবে ও সততার সহিত নির্ভেজাল পন্থায় যত্নবান হতে পারবে। তাদের জন্য এই হাদীসটির মধ্যে আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর এই দোয়া রয়েছে যে, তারা জান্নাতের সুখ বা নেয়ামত লাভ করার সাথে সাথে বিশেষ সৌন্দর্য লাভ করবে।
৩। বৈধ ও চিত্তাকর্ষক বিভিন্ন প্রকারের মাধ্যম এবং পদ্ধতির দ্বারা আল্লাহর রাসূলের নির্ভরযোগ্য হাদীসের যত্নসহকারে প্রচার করার প্রতি এই হাদীসটি উৎসাহ প্রদান করে।
Narrated Simak bin Hard:
"I heard 'Abdur-Rahman bin 'Abdullah bin Mas'ud narrating from his father who said: 'I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: 'May Allah gladden a man who hears something from us, so he conveys it as he heard it. Perhaps the one it is conveyed to is more understanding than the one who heard it.'"
পরিচ্ছেদঃ ৭. শ্রুত জ্ঞান প্রচারে অনুপ্রেরণা দেয়া
২৬৫৮। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা সেই ব্যক্তিকে আলোকোজ্জ্বল করুন যে আমার কথা শুনেছে, তা কণ্ঠস্থ করেছে, সংরক্ষণ করেছে এবং অন্যের নিকট পৌছে দিয়েছে। অনেক জ্ঞানের বাহক যার নিকট জ্ঞান বহন করে নিয়ে যান তিনি তার (বাহকের) চাইতে বেশি বুদ্ধিমান হতে পারেন। মু’মিনের অন্তর তিনটি বিষয়ে খিয়ানাত (অবহেলা) করতে পারে নাঃ আল্লাহ তা’আলার জন্য নিষ্ঠাপূৰ্ণ আমল, মুসলিমদের নেতৃবর্গকে সদুপদেশ দান এবং মুসলিম জামাআত অবলম্বন। কেননা দাওয়াত (আহবান) তাদের পশ্চাৎকেও পরিবেষ্টন করে।
সহীহঃ সহীহাহ (৪০৪)
باب مَا جَاءَ فِي الْحَثِّ عَلَى تَبْلِيغِ السَّمَاعِ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مَقَالَتِي فَوَعَاهَا وَحَفِظَهَا وَبَلَّغَهَا فَرُبَّ حَامِلِ فِقْهٍ إِلَى مَنْ هُوَ أَفْقَهُ مِنْهُ . ثَلاَثٌ لاَ يُغَلُّ عَلَيْهِنَّ قَلْبُ مُسْلِمٍ إِخْلاَصُ الْعَمَلِ لِلَّهِ وَمُنَاصَحَةُ أَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَلُزُومِ جَمَاعَتِهِمْ فَإِنَّ الدَّعْوَةَ تُحِيطُ مِنْ وَرَائِهِمْ " .
Narrated 'Abdul-Malik bin 'Umair:
from 'Abdur-Rahman bin 'Abdullah bin Mas'ud that he narrated from his father, from the Prophet (ﷺ) who said: "May Allah beautify a man who hears a saying of mine, so he understands it, remembers it, and conveys it. Perhaps he carries the Fiqh to one who has more understanding than him. There are three with which the heart of a Muslim shall not be deceived. Sincerity in deeds for Allah, giving Nasihah to the A'immah of Muslims, and sticking to the Jama'ah. For indeed the call is protected from behind them."
পরিচ্ছেদঃ ৮. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর প্রতি মিথ্যারোপ করা গুরুতর অপরাধ
২৬৫৯। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক নিজ ইচ্ছায় আমার উপর মিথ্যারোপ করে, সে জাহান্নামকে তার বাসস্থান বানিয়ে নিক।
সহীহঃ মুতাওয়াতির, ইবনু মা-জাহ (৩০), বুখারী ও মুসলিম।
باب مَا جَاءَ فِي تَعْظِيمِ الْكَذِبِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ، عَنْ زِرٍّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ " .
Narrated 'Abdullah [bin Mas'ud]:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever lies upon me, then let him take his seat in the Fire."
পরিচ্ছেদঃ ৮. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর প্রতি মিথ্যারোপ করা গুরুতর অপরাধ
২৬৬০। আলী ইবনু আবী তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার প্রতি মিথ্যারোপ করো না। কেননা যে লোক আমার উপর মিথ্যারোপ করবে সে জাহান্নামে যাবে।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
আবূ বকর, উমার, উসমান, যুবাইর, সাঈদ ইবনু যাইদ, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, আনাস, জাবির, ইবনু আব্বাস, আবূ সাঈদ, আমর ইবনু আবাসাহ, উকবাহ ইবনু আমির, মু’আবিয়াহ, বুরাইদাহ, আবূ মূসা, আবূ উমামাহ, ’আবদুল্লাহ ইবনু উমার, আল-মুনকা" ও আওস আস-সাকাফী (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
আবূ ঈসা বলেন, ’আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ। ’আবদুর রাহমান ইবনু মাহদী বলেন, মানসূর ইবনুল মু’তামির হলেন কূফাবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী। ওয়াকী’ বলেন, রিবঈ ইবনু হিরাশ মুসলিম অবস্থায় একটি মিথ্যাও বলেননি।
باب مَا جَاءَ فِي تَعْظِيمِ الْكَذِبِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى الْفَزَارِيُّ ابْنُ بِنْتِ السُّدِّيِّ، حَدَّثَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَكْذِبُوا عَلَىَّ فَإِنَّهُ مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ يَلِجُ فِي النَّارِ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ وَالزُّبَيْرِ وَسَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَنَسٍ وَجَابِرٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي سَعِيدٍ وَعَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ وَعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ وَمُعَاوِيَةَ وَبُرَيْدَةَ وَأَبِي مُوسَى الْغَافِقِيِّ وَأَبِي أُمَامَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَالْمُنْقَعِ وَأَوْسٍ الثَّقَفِيِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ مَنْصُورُ بْنُ الْمُعْتَمِرِ أَثْبَتُ أَهْلِ الْكُوفَةِ . وَقَالَ وَكِيعٌ لَمْ يَكْذِبْ رِبْعِيُّ بْنُ حِرَاشٍ فِي الإِسْلاَمِ كِذْبَةً
Narrated 'Ali bin Abi Talib:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Do not lie upon me, for indeed whoever lies upon me, he will be admitted into the Fire."
পরিচ্ছেদঃ ৮. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর প্রতি মিথ্যারোপ করা গুরুতর অপরাধ
২৬৬১। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক আমার উপর মিথ্যারোপ করবে, (বর্ণনাকারী বলেন) আমার মনে হয় তিনি “ইচ্ছাকৃতভাবে” কথাটুকুও বলেছেন, সে যেন তার বাসস্থান জাহান্নামে বানিয়ে নেয়।
সহীহঃ মুতাওয়াতির, বুখারী ও মুসলিম। দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ এবং যুহরী-আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ)-এর সূত্রে গারীব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ হাদীস আনাস (রাযিঃ) হতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي تَعْظِيمِ الْكَذِبِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ - حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ بَيْتَهُ مِنَ النَّارِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ عَنْ أَنَسٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ عَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Narrated Anas bin Malik:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever lies upon me" - I think he said - "purposely, then let him take his seat in the Fire."
পরিচ্ছেদঃ ৯. যে ব্যক্তি মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করে
২৬৬২। মুগীরাহ ইবনু শুবাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার পক্ষ হতে যে লোক কোন হাদীস বর্ণনা করে অথচ সে জানে যে, তা মিথ্যা, সে মিথ্যাবাদীদের একজন।
সহীহঃ আয-যঈফার ভূমিকা (১/১২), মুসলিম।
আলী ইবনু আবী তালিব ও সামুরাহ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি আল-হাকাম-আবদুর রাহমান ইবনু আবূ লাইলা হতে, তিনি সামুরা (রাযিঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে শুবাহ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন। আমাশ ও ইবনু আবী লাইলা (রহঃ) আল-হাকাম হতে, তিনি ’আবদুর রাহমান ইবনু আবী লাইলা হতে, তিনি আলী (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন। সামুরাহ (রাযিঃ)-এর সূত্রে ’আবদুর রাহমান ইবনু আবী লাইলা বর্ণিত হাদীসটি মুহাদীসগণের মতে অনেক বেশি সহীহ।
আবু ঈসা বলেন, আমি আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ইবনু আব্দুর রহমান (রহঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস “যে ব্যক্তি আমার পক্ষ হতে কোন হাদীস বর্ণনা করে অথচ সে জানে যে, তা মিথ্যা, সে মিথ্যাবাদীদের একজন” সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। আমি বললাম, যদি কোন ব্যক্তি হাদীস বর্ণনা করে এবং জানে যে, এর সনদ ক্রটিপূর্ণ তবে সে কি এ হাদীস মুতাবিক মিথ্যুক বলে পরিগণিত হবে? অথবা যদি কোন ব্যক্তি মুরসাল হাদীসকে মুসনাদ হিসেবে বর্ণনা করে কিংবা সনদে উল্টাপাল্টা করে তাহলে সেও কি উক্ত হাদীসের আওতাভুক্ত বলে পরিগণিত হবে?
আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রাহমান বলেন, না, বরং এ হাদীসের তাৎপর্য হলঃ যে এমন হাদীস বর্ণনা করে, যে সম্পর্কে সে জানে না যে, এটা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস কি-না। আমি আশংকা করি যে, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উক্ত হাদীসের আওতাভুক্ত হবে।
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ رَوَى حَدِيثًا، وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ حَدَّثَ عَنِّي حَدِيثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَسَمُرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرَوَى شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ سَمُرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْحَدِيثَ وَرَوَى الأَعْمَشُ وَابْنُ أَبِي لَيْلَى عَنِ الْحَكَمِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَأَنَّ حَدِيثَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ سَمُرَةَ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ أَصَحُّ . قَالَ سَأَلْتُ أَبَا مُحَمَّدٍ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَدَّثَ عَنِّي حَدِيثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ " . قُلْتُ لَهُ مَنْ رَوَى حَدِيثًا وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّ إِسْنَادَهُ خَطَأٌ أَيَخَافُ أَنْ يَكُونَ قَدْ دَخَلَ فِي حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَوْ إِذَا رَوَى النَّاسُ حَدِيثًا مُرْسَلاً فَأَسْنَدَهُ بَعْضُهُمْ أَوْ قَلَبَ إِسْنَادَهُ يَكُونُ قَدْ دَخَلَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ . فَقَالَ لاَ إِنَّمَا مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ إِذَا رَوَى الرَّجُلُ حَدِيثًا وَلاَ يُعْرَفُ لِذَلِكَ الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَصْلٌ فَحَدَّثَ بِهِ فَأَخَافُ أَنْ يَكُونَ قَدْ دَخَلَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ .
Narrated Al-Mughirah bin Shu'bah:
that the Prophet (ﷺ) said: "Whoever narrates a Hadith from me which he knows is a lie, then he is one of the liars."
পরিচ্ছেদঃ ১০. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীসের ব্যাপারে যা বলা নিষেধ
২৬৬৩। আবূ রাফি’ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি যেন তোমাদের মধ্যে কাউকে এমন অবস্থায় না পাই যে, সে তার সুসজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে বসে থাকবে এবং তার নিকট যখন আমার আদিষ্ট কোন বিষয় অথবা আমার নিষেধ সম্বলিত কোন হাদীস উত্থাপিত হবে তখন সে (তাচ্ছিল্যভরে) বলবে, আমি তা জানি না, আল্লাহ তা’আলার কিতাবে আমরা যা পাই, তারই অনুসরণ করবো।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৩)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি কোন কোন বর্ণনাকারী সুফইয়ান-ইবনুল মুনকাদির (রাহঃ)-এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে মুরসালভাবে বর্ণনা করেছেন। আবার কোন কোন বর্ণনাকারী সালিম আবূন নাযর হতে, তিনি উবাইদুল্লাহ ইবনু আবী রাফি হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে, এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
ইবনু উয়াইনাহ যখন পৃথকভাবে উভয় সনদের উল্লেখ করতেন তখন মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদিরের বর্ণনাকে সালিম আবূন নাযরের বর্ণনা হতে পৃথক করে বর্ণনা করতেন এবং যখন উভয় সনদ একত্র করে বর্ণনা করতেন তখন প্রথমোক্তভাবে সনদটির উল্লেখ করতেন। আবূ রাফি’ (রাযিঃ) ছিলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুক্তদাস, তার নাম আসলাম।
باب مَا نُهِيَ عَنْهُ أَنْ يُقَالَ عِنْدَ حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، وَسَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، وَغَيْرُهُ، رَفَعَهُ قَالَ " لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيكَتِهِ يَأْتِيهِ أَمْرٌ مِمَّا أَمَرْتُ بِهِ أَوْ نَهَيْتُ عَنْهُ فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي مَا وَجَدْنَا فِي كِتَابِ اللَّهِ اتَّبَعْنَاهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْ سُفْيَانَ عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً وَسَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَكَانَ ابْنُ عُيَيْنَةَ إِذَا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَلَى الاِنْفِرَادِ بَيَّنَ حَدِيثَ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ مِنْ حَدِيثِ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ وَإِذَا جَمَعَهُمَا رَوَى هَكَذَا . وَأَبُو رَافِعٍ مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اسْمُهُ أَسْلَمُ .
Narrated 'Ubaidullah bin Abu Rafi:
from Abu Rafi' and others, from the Prophet (ﷺ) who said: "Let me not find one of you reclining on his couch when a command I ordered, or a prohibition from me comes to him, and he says: 'I do not know. What we find in the Book of Allah, we follow it.'"
পরিচ্ছেদঃ ১০. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীসের ব্যাপারে যা বলা নিষেধ
২৬৬৪। মিকদাম ইবনু মাদীকারিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! খুব শীঘ্রই এমন ব্যক্তির আগমন ঘটবে যে, সে তার সুসজ্জিত গদিতে হেলান দিয়ে বসে থাকবে, তখন তার নিকট আমার কোন হাদীস পৌছলে সে বলবে, আমাদের ও তোমাদের সামনে তো আল্লাহ তা’আলার কিতাবই আছে। আমরা তাতে যা হালাল পাব সেগুলো হালাল বলে মেনে নিব এবং যেগুলো হারাম পাব সেগুলো হারাম বলে মনে নিব। সাবধান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা হারাম ঘোষণা করেছেন তা আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক হারামকৃত বস্তুর মতোই হারাম।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১২)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান, তবে উপরোক্ত সূত্রে গারীব।
باب مَا نُهِيَ عَنْهُ أَنْ يُقَالَ عِنْدَ حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ جَابِرٍ اللَّخْمِيِّ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ مَعْدِيكَرِبَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ هَلْ عَسَى رَجُلٌ يَبْلُغُهُ الْحَدِيثُ عَنِّي وَهُوَ مُتَّكِئٌ عَلَى أَرِيكَتِهِ فَيَقُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ كِتَابُ اللَّهِ فَمَا وَجَدْنَا فِيهِ حَلاَلاً اسْتَحْلَلْنَاهُ وَمَا وَجَدْنَا فِيهِ حَرَامًا حَرَّمْنَاهُ وَإِنَّ مَا حَرَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا حَرَّمَ اللَّهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Narrated Al-Miqdam bin Ma'dikarib:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Lo! Soon a Hadith from me will be conveyed to a man, while he is reclining on his couch, and he says: 'Between us and you is Allah's Book. So whatever we find in it that is lawful, we consider lawful, and whatever we find in it that is unlawful, we consider it unlawful.' Indeed whatever the Messenger of Allah (ﷺ) made unlawful, it is the same as what Allah made unlawful."