সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন) ৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء)
৩৩২৬

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

60/1. بَابُ خَلْقِ آدَمَ صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهِ وَذُرِّيَّتِهِ

৬০/১. অধ্যায় : আদম (আঃ) ও তাঁর সন্তানাদির সৃষ্টি।

صَلْصٰلٍ طِيْنٌ خُلِطَ بِرَمْلٍ فَصَلْصَلَ كَمَا يُصَلْصِلُ الْفَخَّارُ وَيُقَالُ مُنْتِنٌ يُرِيْدُوْنَ بِهِ صَلَّ كَمَا يُقَالُ صَرَّ الْبَابُ وَصَرْصَرَ عِنْدَ الإِغْلَاقِ مِثْلُ كَبْكَبْتُهُ يَعْنِيْ كَبَبْتُهُ  فَمَرَّتْ بِهِ اسْتَمَرَّ بِهَا الْحَمْلُ فَأَتَمَّتُ أَنْ لَّا تَسْجُدَ أَنْ تَسْجُدَ

صَلْصَالٍ বালি মিশ্রিত শুকনো মাটি যা শব্দ করে যেমন আগুনে পোড়া মাটি শব্দ করে। আরো বলা হয় তা হল দুর্গন্ধময় মাটি। আরবরা এ দিয়ে صَلْ অর্থ নিয়ে থাকে, যেমন তারা দরজা বন্ধ করার শব্দের ক্ষেত্রে صَرَّ الْبَابُ  এবং صَرْصَرَ শব্দদ্বয় ব্যবহার করে থাকে। অনুরূপ كَبْكَبْتُهُ  এর অর্থ كَبَبْتُهُ নিয়ে থাকে। فَمَرَّتْ بِهِ  তার গর্ভ স্থিতি লাভ করল এবং এর মেয়াদ পূর্ণ করল। أَنْ لَا تَسْجُدَ এর لَا শব্দটি অতিরিক্ত। أَنْ تَسْجُدَ অর্থ সিজদা করতে।

وَإِذْ قَالَ رَبُّكَ لِلْمَلَآئِكَةِ إِنِّيْ جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيْفَةً  (البقرة : 30)

স্মরণ করুন, যখন আপনার প্রতিপালক ফেরেশতামন্ডলীকে বললেন, আমি পৃথিবীতে খলীফা সৃষ্টি করছি- (আল-বাকারাহ ৩০)।

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لَمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ (الطارق : 4) إِلَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ فِيْ كَبَدٍ (البلد : 4)  فِيْ شِدَّةِ خَلْقٍ وَرِيَاشًا (الأعراف : 26) الْمَالُ وَقَالَ غَيْرُهُ الرِّيَاشُ وَالرِّيْشُ وَاحِدٌ وَهُوَ مَا ظَهَرَ مِنْ اللِّبَاسِ مَا تُمْنُوْنَ (الواقعة : 58)  النُّطْفَةُ فِيْ أَرْحَامِ النِّسَاءِ

ইবনু ’আব্বাস (রা.) বলেন, لَمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ এর অর্থ কিন্তু তার ওপর রয়েছে তত্ত্বাবধায়ক। فِيْ كَبَدٍ সৃষ্টিগত ক্লেশের মধ্যে وَرِيَاشًا এর অর্থ সম্পদ। ইবনু ’আব্বাস (রা.) ব্যতীত অন্যরা বলেন, الرِّيَاشُ এবং الرِّيشُ উভয়ের একই অর্থ। আর তা হল পরিচ্ছদের বাহ্যিক দিক। مَا تُمْنُوْنَ স্ত্রীলোকদের জরায়ুতে পতিত বীর্য।

وَقَالَ مُجَاهِدٌ إِنَّه” عَلٰى رَجْعِهِ لَقٰدِرٌ (الطارق : 4)   النُّطْفَةُ فِي الْإِحْلِيْلِ كُلُّ شَيْءٍ خَلَقَهُ فَهُوَ شَفْعٌ السَّمَاءُ شَفْعٌ وَالْوَتْرُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِيْٓ أَحْسَنِ تَقْوِيْمٍ (التين : 4)   فِيْ أَحْسَنِ خَلْقٍ أَسْفَلَ سَافِلِيْنَ (التين : 5) إِلَّا مَنْ آمَنَ خُسْرٍ (العصر : 2) ضَلَالٍ ثُمَّ اسْتَثْنَى إِلَّا مَنْ آمَنَ لَازِبٍ (الصفات : )  لَازِمٌ وَنُنْشِئُكُمْ (الواقعة : 61)  فِيْ أَيِّ خَلْقٍ نَشَاءُ نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ (البقرة : 30)  نُعَظِّمُكَ

আর মুজাহিদ (র.) (আল্লাহর বাণী) إِنَّهُ عَلَى رَجْعِهِ لَقَادِرٌ এর অর্থ বলেছেন, পুরুষের লিঙ্গে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে আল্লাহ সক্ষম। আল্লাহ সকল বস্তুকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছেন। আকাশেরও জোড়া আছে, কিন্তু আল্লাহ বেজোড়। فِيْ أَحْسَنِ تَقْوِيْمٍ উত্তম অবয়ববে। যারা ঈমান এনেছে তারা ব্যতীত সকলেই হীনতাগ্রস্তদের হীনতমে। خُسْرٍ পথভ্রষ্ট। অতঃপর اسْتَثْنَى করে আল্লাহ বলেন, কিন্তু যারা ঈমান এনেছে, তারা ব্যতীত। لَازِبٍ অর্থ আঠালো। نُنْشِئُكُمْ অর্থ যে কোন আকৃতিতে আমি ইচ্ছা করি তোমাদেরকে সৃষ্টি করব। نُسَبِّحُ بِحَمْدِكَ অর্থ আমরা প্রশংসার সঙ্গে আপনার মহিমা বর্ণনা করব।

وَقَالَ أَبُوْ الْعَالِيَةِ فَتَلَقّٰىٓ اٰدَمُ مِنْ رَبِّهٰ كَلِمٰتٍ (البقرة : 37) فَهُوَ قَوْلُهُ رَبَّنَا ظَلَمْنَآ أَنْفُسَنَا (الأعراف : 23)  فَأَزَلَّهُمَا (البقرة : 36)  فَاسْتَزَلَّهُمَا  يَتَسَنَّهْ (البقرة : 259)  يَتَغَيَّرْ اٰسِنٌ (الأعراف : 23)  مُتَغَيِّرٌ وَالْمَسْنُوْنُ الْمُتَغَيِّرُ حَمَإٍ (الحجرات : 26)  جَمْعُ حَمْأَةٍ وَهُوَ الطِّينُ الْمُتَغَيِّرُ يَخْصِفَانِ أَخْذُ الْخِصَافِ مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ يُؤَلِّفَانِ الْوَرَقَ وَيَخْصِفَانِ بَعْضَهُ إِلَى بَعْضٍ سَوْاٰتُهُمَا كِنَايَةٌ عَنْ فَرْجَيْهِمَا وَمَتَاعٌ إِلٰى حِيْنٍ (الأعراف :24) هَا هُنَا إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ الْحِيْنُ عِنْدَ الْعَرَبِ مِنْ سَاعَةٍ إِلَى مَا لَا يُحْصَى عَدَدُهُ وَقَبِيْلُهُ (الأعراف : 27) جِيْلُهُ الَّذِيْ هُوَ مِنْهُمْ

আর আবুল ’আলিয়াহ (রহ.) বলেন, অতঃপর আদম (আঃ) যা শিক্ষা করলেন, তা হলো তাঁর উক্তি; ’’হে আমাদের রব! আমরা আমাদের নফসের উপর যুলুম করেছি’’। তিনি আরো বলেন, فَأَزَلَّهُمَا শয়তান তাদের উভয়কে পদস্খলিত করল। يَتَسَنَّهْ পরিবর্তিত হবে। آسِنٌ পরিবর্তনশীল। الْمَسْنُوْنُ যা পরিবর্তিত। حَمَاءٌ শব্দটি حَمْأَةٌ  শব্দের বহুবচন। যার অর্থ গলিত কাদা মাটি। يَخْصِفَانِ তারা উভয়ে (আদম ও হাওয়া) জান্নাতের পাতাগুলো জোড়া দিতে লাগলেন। (জোড়া দিয়ে নিজেদের লজ্জাস্থান আবৃত করতে শুরু করলেন।) سَوْآتُهُمَا দ্বারা তাদের উভয়ের লজ্জাস্থানের প্রতি ইশারা করা হয়েছে। আর مَتَاعٌ إِلَى حِيْنٍ এর অর্থ এখানে কিয়ামতের দিন অবধি। আর আরববাসীগণ الْحِيْنُ শব্দ দ্বারা কিছু সময় হতে অগণিত সময়কে বুঝিয়ে থাকেন। قَبِيْلُهُ এর অর্থ তার ঐ প্রজন্ম ও সমাজ যার একজন সে।


৩৩২৬. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করলেন। তাঁর দেহের দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত। অতঃপর তিনি (আল্লাহ) তাঁকে (আদমকে) বললেন, যাও। ঐ ফেরেশতা দলের প্রতি সালাম কর এবং তাঁরা তোমার সালামের জওয়াব কিভাবে দেয় তা মনোযোগ দিয়ে শোন। কারণ সেটাই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের রীতি। অতঃপর আদম (আঃ) (ফেরেশতাদের) বললেন, ’’আস্সালামু ’আলাইকুম’’। ফেরেশতামন্ডলী তার উত্তরে ’’আস-সালামু ’আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ’’ বললেন। ফেরেশতারা সালামের জওয়াবে ’’ওয়া রহমাতুল্লাহ’’ শব্দটি বাড়িয়ে বললেন। যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন তারা আদম (আঃ)-এর আকৃতি বিশিষ্ট হবেন। তবে আদম সন্তানের দেহের দৈর্ঘ্য সর্বদা কমতে কমতে বর্তমান পরিমাপে এসেছে। (৬২২৭, মুসলিম ৫১/১১ হাঃ ২৮৪১, আহমাদ ৮১৭৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৮৮)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ هَمَّامٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَلَقَ اللهُ آدَمَ وَطُوْلُهُ سِتُّوْنَ ذِرَاعًا ثُمَّ قَالَ اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُوْلَئِكَ مِنْ الْمَلَائِكَةِ فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّوْنَكَ فَتِلْكَ تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ فَقَالَ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ فَقَالُوْا السَّلَامُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ فَزَادُوْهُ وَرَحْمَةُ اللهِ فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُوْرَةِ آدَمَ فَلَمْ يَزَلْ الْخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الآنَ

حدثني عبد الله بن محمد حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن همام عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال خلق الله ادم وطوله ستون ذراعا ثم قال اذهب فسلم على اولىك من الملاىكة فاستمع ما يحيونك فتلك تحيتك وتحية ذريتك فقال السلام عليكم فقالوا السلام عليك ورحمة الله فزادوه ورحمة الله فكل من يدخل الجنة على صورة ادم فلم يزل الخلق ينقص حتى الان


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah created Adam, making him 60 cubits tall. When He created him, He said to him, "Go and greet that group of angels, and listen to their reply, for it will be your greeting (salutation) and the greeting (salutations of your offspring." So, Adam said (to the angels), As-Salamu Alaikum (i.e. Peace be upon you). The angels said, "As-salamu Alaika wa Rahmatu-l-lahi" (i.e. Peace and Allah's Mercy be upon you). Thus the angels added to Adam's salutation the expression, 'Wa Rahmatu-l-lahi,' Any person who will enter Paradise will resemble Adam (in appearance and figure). People have been decreasing in stature since Adam's creation.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩২৭

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩২৭. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বপ্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের মুখমণ্ডল হবে পূর্ণিমার রাতের চন্দ্রের মত উজ্জ্বল। অতঃপর যে দল তাদের অনুগামী হবে তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের সর্বাধিক দীপ্তিমান উজ্জ্বল তারকার ন্যায়। তারা পেশাব করবে না, পায়খানা করবে না। তাদের থুথু ফেলার প্রয়োজন হবে না এবং তাদের নাক হতে শ্লেষ্মাও বের হবে না। তাদের চিরুণী হবে স্বর্ণের তৈরী। তাদের ঘাম হবে মিস্কের মত সুগন্ধযুক্ত। তাদের ধনুচি হবে সুগন্ধযুক্ত চন্দন কাষ্ঠের। বড় চক্ষু বিশিষ্টা হুরগণ হবেন তাদের স্ত্রী। তাদের সকলের দেহের গঠন হবে একই। তারা সবাই তাদের আদি পিতা আদম (আঃ)-এর আকৃতিতে হবেন। উচ্চতায় তাদের দেহের দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত। (৩২৪৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৮৯)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا جَرِيْرٌ عَنْ عُمَارَةَ عَنْ أَبِيْ زُرْعَةَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَوَّلَ زُمْرَةٍ يَدْخُلُوْنَ الْجَنَّةَ عَلَى صُوْرَةِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ عَلَى أَشَدِّ كَوْكَبٍ دُرِّيٍّ فِي السَّمَاءِ إِضَاءَةً لَا يَبُوْلُوْنَ وَلَا يَتَغَوَّطُوْنَ وَلَا يَتْفِلُوْنَ وَلَا يَمْتَخِطُوْنَ أَمْشَاطُهُمْ الذَّهَبُ وَرَشْحُهُمْ الْمِسْكُ وَمَجَامِرُهُمْ الأَلُوَّةُ الأَنْجُوْجُ عُوْدُ الطِّيبِ وَأَزْوَاجُهُمْ الْحُوْرُ الْعِيْنُ عَلَى خَلْقِ رَجُلٍ وَاحِدٍ عَلَى صُوْرَةِ أَبِيْهِمْ آدَمَ سِتُّوْنَ ذِرَاعًا فِي السَّمَاءِ

حدثنا قتيبة بن سعيد حدثنا جرير عن عمارة عن ابي زرعة عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان اول زمرة يدخلون الجنة على صورة القمر ليلة البدر ثم الذين يلونهم على اشد كوكب دري في السماء اضاءة لا يبولون ولا يتغوطون ولا يتفلون ولا يمتخطون امشاطهم الذهب ورشحهم المسك ومجامرهم الالوة الانجوج عود الطيب وازواجهم الحور العين على خلق رجل واحد على صورة ابيهم ادم ستون ذراعا في السماء


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "The first group of people who will enter Paradise, will be glittering like the full moon and those who will follow them, will glitter like the most brilliant star in the sky. They will not urinate, relieve nature, spit, or have any nasal secretions. Their combs will be of gold, and their sweat will smell like musk. The aloes-wood will be used in their centers. Their wives will be houris. All of them will look alike and will resemble their father Adam (in stature), sixty cubits tall."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩২৮

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩২৮. উম্মু সালামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, উম্মু সুলাইম (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ সত্য প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না। মেয়েদের স্বপ্নদোষ হলে কি তাদের উপর গোসল ফরজ হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। যখন সে বীর্য দেখতে পায়। এ কথা শুনে উম্মু সালামাহ (রাঃ) হাসলেন এবং বললেন, মেয়েদের কি স্বপ্নদোষ হয়? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা না হলে সন্তান তার মত কিভাবে হয়। (১৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯০)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِيْ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ أُمَّ سُلَيْمٍ قَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ اللهَ لَا يَسْتَحْيِيْ مِنْ الْحَقِّ فَهَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ الْغَسْلُ إِذَا احْتَلَمَتْ قَالَ نَعَمْ إِذَا رَأَتْ الْمَاءَ فَضَحِكَتْ أُمُّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ تَحْتَلِمُ الْمَرْأَةُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَبِمَ يُشْبِهُ الْوَلَدُ

حدثنا مسدد حدثنا يحيى عن هشام بن عروة عن ابيه عن زينب بنت ابي سلمة عن ام سلمة ان ام سليم قالت يا رسول الله ان الله لا يستحيي من الحق فهل على المراة الغسل اذا احتلمت قال نعم اذا رات الماء فضحكت ام سلمة فقالت تحتلم المراة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم فبم يشبه الولد


Narrated Zainab bint Abi Salama:

Um Salama said, "Um Sulaim said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Allah does not refrain from saying the truth! Is it obligatory for a woman to take a bath after she gets nocturnal discharge?' He said, 'Yes, if she notices the water (i.e. discharge).' Um Salama smiled and said, 'Does a woman get discharge?' Allah's Apostle said. 'Then why does a child resemble (its mother)?"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩২৯

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩২৯. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালামের নিকট রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর মদিনায় আগমনের খবর পৌঁছল, তখন তিনি তাঁর নিকট আসলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আমি আপনাকে এমন তিনটি বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে চাই যার উত্তর নবী ব্যতীত আর কেউ জানে না। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন কী? আর সর্বপ্রথম খাবার কী, যা জান্নাতবাসী খাবে? আর কী কারণে সন্তান তার পিতার মত হয়? আর কী কারণে (কোন কোন সময়) তার মামাদের মত হয়? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই মাত্র জিবরাঈল (আঃ) আমাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছেন। রাবী বলেন, তখন ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, সে তো ফেরেশতাগণের মধ্যে ইয়াহূদীদের শত্রু। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কিয়ামতের প্রথম নিদর্শন হলো আগুন যা মানুষকে পূর্ব হতে পশ্চিম দিকে তাড়িয়ে নিয়ে একত্রিত করবে। আর প্রথম খাবার যা জান্নাতবাসীরা খাবেন তা হলো মাছের কলিজার অতিরিক্ত অংশ। আর সন্তান সদৃশ হবার ব্যাপার এই যে পুরুষ যখন তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সঙ্গম করে তখন যদি পুরুষের বীর্য প্রথমে স্খলিত হয় তবে সন্তান তার সদৃশ হবে আর যখন স্ত্রীর বীর্য পুরুষের বীর্যের পূর্বে স্খলিত হয় তখন সন্তান তার সদৃশ হয়। তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি- নিঃসন্দেহে আপনি আল্লাহর রাসূল। অতঃপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইয়াহূদীরা অপবাদ ও কুৎসা রটনাকারী সম্প্রদায়। আপনি তাদেরকে আমার সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করার পূর্বে তারা যদি আমার ইসলাম গ্রহণের বিষয় জেনে ফেলে, তাহলে তারা আপনার কছে আমার কুৎসা রটনা করবে। অতঃপর ইয়াহূদীরা এলো এবং ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম কেমন লোক? তারা বলল, তিনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তি এবং সবচেয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তির পুত্র। তিনি আমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি এবং সর্বোত্তম ব্যক্তির পুত্র। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি ‘আবদুল্লাহ ইসলাম গ্রহণ করে, এতে তোমাদের অভিমত কী হবে? তারা বলল, এর থেকে আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করুক। এমন সময় ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) তাদের সামনে বের হয়ে আসলেন এবং তিনি বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। তখন তারা বলতে লাগল, সে আমাদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ লোক এবং সবচেয়ে খারাপ লোকের সন্তান এবং তারা তাঁর গীবত ও কুৎসা রটনায় লেগে গেল। (৩৯১১, ৩৯৩৮, ৪৪৮০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯১)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَامٍ أَخْبَرَنَا الْفَزَارِيُّ عَنْ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ بَلَغَ عَبْدَ اللهِ بْنَ سَلَامٍ مَقْدَمُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِيْنَةَ فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّيْ سَائِلُكَ عَنْ ثَلَاثٍ لَا يَعْلَمُهُنَّ إِلَّا نَبِيٌّ قَالَ مَا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَمَا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الْجَنَّةِ وَمِنْ أَيِّ شَيْءٍ يَنْزِعُ الْوَلَدُ إِلَى أَبِيْهِ وَمِنْ أَيِّ شَيْءٍ يَنْزِعُ إِلَى أَخْوَالِهِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَبَّرَنِيْ بِهِنَّ آنِفًا جِبْرِيْلُ قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللهِ ذَاكَ عَدُوُّ الْيَهُوْدِ مِنْ الْمَلَائِكَةِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَمَّا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ فَنَارٌ تَحْشُرُ النَّاسَ مِنْ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ وَأَمَّا أَوَّلُ طَعَامٍ يَأْكُلُهُ أَهْلُ الْجَنَّةِ فَزِيَادَةُ كَبِدِ حُوْتٍ وَأَمَّا الشَّبَهُ فِي الْوَلَدِ فَإِنَّ الرَّجُلَ إِذَا غَشِيَ الْمَرْأَةَ فَسَبَقَهَا مَاؤُهُ كَانَ الشَّبَهُ لَهُ وَإِذَا سَبَقَ مَاؤُهَا كَانَ الشَّبَهُ لَهَا قَالَ أَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُوْلُ اللهِ ثُمَّ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ الْيَهُوْدَ قَوْمٌ بُهُتٌ إِنْ عَلِمُوْا بِإِسْلَامِيْ قَبْلَ أَنْ تَسْأَلَهُمْ بَهَتُوْنِيْ عِنْدَكَ فَجَاءَتْ الْيَهُوْدُ وَدَخَلَ عَبْدُ اللهِ الْبَيْتَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَيُّ رَجُلٍ فِيكُمْ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَلَامٍ قَالُوْا أَعْلَمُنَا وَابْنُ أَعْلَمِنَا وَأَخْبَرُنَا وَابْنُ أَخْيَرِنَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفَرَأَيْتُمْ إِنْ أَسْلَمَ عَبْدُ اللهِ قَالُوْا أَعَاذَهُ اللهُ مِنْ ذَلِكَ فَخَرَجَ عَبْدُ اللهِ إِلَيْهِمْ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُوْلُ اللهِ فَقَالُوْا شَرُّنَا وَابْنُ شَرِّنَا وَوَقَعُوْا فِيْهِ

حدثنا محمد بن سلام اخبرنا الفزاري عن حميد عن انس قال بلغ عبد الله بن سلام مقدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة فاتاه فقال اني ساىلك عن ثلاث لا يعلمهن الا نبي قال ما اول اشراط الساعة وما اول طعام ياكله اهل الجنة ومن اي شيء ينزع الولد الى ابيه ومن اي شيء ينزع الى اخواله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم خبرني بهن انفا جبريل قال فقال عبد الله ذاك عدو اليهود من الملاىكة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اما اول اشراط الساعة فنار تحشر الناس من المشرق الى المغرب واما اول طعام ياكله اهل الجنة فزيادة كبد حوت واما الشبه في الولد فان الرجل اذا غشي المراة فسبقها ماوه كان الشبه له واذا سبق ماوها كان الشبه لها قال اشهد انك رسول الله ثم قال يا رسول الله ان اليهود قوم بهت ان علموا باسلامي قبل ان تسالهم بهتوني عندك فجاءت اليهود ودخل عبد الله البيت فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اي رجل فيكم عبد الله بن سلام قالوا اعلمنا وابن اعلمنا واخبرنا وابن اخيرنا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم افرايتم ان اسلم عبد الله قالوا اعاذه الله من ذلك فخرج عبد الله اليهم فقال اشهد ان لا اله الا الله واشهد ان محمدا رسول الله فقالوا شرنا وابن شرنا ووقعوا فيه


Narrated Anas:

When `Abdullah bin Salam heard the arrival of the Prophet (ﷺ) at Medina, he came to him and said, "I am going to ask you about three things which nobody knows except a prophet: What is the first portent of the Hour? What will be the first meal taken by the people of Paradise? Why does a child resemble its father, and why does it resemble its maternal uncle" Allah's Messenger (ﷺ) said, "Gabriel has just now told me of their answers." `Abdullah said, "He (i.e. Gabriel), from amongst all the angels, is the enemy of the Jews." Allah's Messenger (ﷺ) said, "The first portent of the Hour will be a fire that will bring together the people from the east to the west; the first meal of the people of Paradise will be Extra-lobe (caudate lobe) of fish-liver. As for the resemblance of the child to its parents: If a man has sexual intercourse with his wife and gets discharge first, the child will resemble the father, and if the woman gets discharge first, the child will resemble her." On that `Abdullah bin Salam said, "I testify that you are the Messenger of Allah." `Abdullah bin Salam further said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! The Jews are liars, and if they should come to know about my conversion to Islam before you ask them (about me), they would tell a lie about me." The Jews came to Allah's Messenger (ﷺ) and `Abdullah went inside the house. Allah's Apostle asked (the Jews), "What kind of man is `Abdullah bin Salam amongst you?" They replied, "He is the most learned person amongst us, and the best amongst us, and the son of the best amongst us." Allah's Messenger (ﷺ) said, "What do you think if he embraces Islam (will you do as he does)?" The Jews said, "May Allah save him from it." Then `Abdullah bin Salam came out in front of them saying, "I testify that None has the right to be worshipped but Allah and that Muhammad is the Apostle of Allah." Thereupon they said, "He is the evilest among us, and the son of the evilest amongst us," and continued talking badly of him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৩০

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩৩০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে একইভাবে বর্ণিত আছে। অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাঈল যদি না হত তবে মাংস দুর্গন্ধময় হতো না। আর যদি হাওয়া (আঃ) না হতেন তাহলে কোন নারীই স্বামীর খিয়ানত করত না।* (৫১৮৪, ৫১৮৬) (মুসলিম ১৭/১৯ হাঃ ১৪৭০, আহমাদ ৮০৩৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯২)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ هَمَّامٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ يَعْنِيْ لَوْلَا بَنُوْ إِسْرَائِيْلَ لَمْ يَخْنَزْ اللَّحْمُ وَلَوْلَا حَوَّاءُ لَمْ تَخُنَّ أُنْثَى زَوْجَهَا

حدثنا بشر بن محمد اخبرنا عبد الله اخبرنا معمر عن همام عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه يعني لولا بنو اسراىيل لم يخنز اللحم ولولا حواء لم تخن انثى زوجها


Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "But for the Israelis, meat would not decay and but for Eve, wives would never betray their husbands."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৩১

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩৩১. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা নারীদেরকে উত্তম নাসীহাত প্রদান করবে। কেননা নারী জাতিকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে উপরের হাড়টি বেশী বাঁকা। তুমি যদি তা সোজা করতে যাও, তাহলে তা ভেঙ্গে যাবে আর যদি ছেড়ে দাও, তাহলে সব সময় তা বাঁকাই থাকবে। কাজেই নারীদেরকে নাসীহাত করতে থাক। (৫১৮৪, ৫১৮৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৩)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا أَبُوْ كُرَيْبٍ وَمُوْسَى بْنُ حِزَامٍ قَالَا حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ عَنْ زَائِدَةَ عَنْ مَيْسَرَةَ الأَشْجَعِيِّ عَنْ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَوْصُوْا بِالنِّسَاءِ فَإِنَّ الْمَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعٍ وَإِنَّ أَعْوَجَ شَيْءٍ فِي الضِّلَعِ أَعْلَاهُ فَإِنْ ذَهَبْتَ تُقِيْمُهُ كَسَرْتَهُ وَإِنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَزَلْ أَعْوَجَ فَاسْتَوْصُوْا بِالنِّسَاءِ

حدثنا ابو كريب وموسى بن حزام قالا حدثنا حسين بن علي عن زاىدة عن ميسرة الاشجعي عن ابي حازم عن ابي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم استوصوا بالنساء فان المراة خلقت من ضلع وان اعوج شيء في الضلع اعلاه فان ذهبت تقيمه كسرته وان تركته لم يزل اعوج فاستوصوا بالنساء


Narrated Abu Huraira:

Allah 's Apostle said, "Treat women nicely, for a women is created from a rib, and the most curved portion of the rib is its upper portion, so, if you should try to straighten it, it will break, but if you leave it as it is, it will remain crooked. So treat women nicely."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৩২

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩৩২. ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। সত্যবাদী-সত্যনিষ্ঠ হিসাবে স্বীকৃত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপাদান স্বীয় মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত জমা রাখা হয়। অতঃপর অনুরূপভাবে (চল্লিশ দিনে) তা আলাকারূপে পরিণত হয়। অতঃপর অনুরূপভাবে (চল্লিশ দিনে) তা গোশ্তের টুকরার রূপ লাভ করে। অতঃপর আল্লাহ তার নিকট চারটি বিষয়ের নির্দেশ দিয়ে লিখে দেন। অুঃপর  তার ‘ধামল, তার মৃত্যু, তার রুজী এবং সে সৎ কিংবা অসৎ তা লিখা হয়। অতঃপর তার মধ্যে রূহ ফুঁকে দেয়া হয়। এক ব্যক্তি একজন জাহান্নামীর ‘আমলের মত ‘আমল করতে থাকে এমনকি তার ও জাহান্নামের মধ্যে এক হাতের তফাৎ রয়ে যায়, এমন সময় তার ভাগ্যের লিখন এগিয়ে আসে। তখন সে জান্নাতবাসীদের ‘আমলের মত ‘আমল করে থাকে। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে। আর এক ব্যক্তি (প্রথম হতেই) জান্নাতবাসীদের ‘আমলের মত ‘আমল করতে থাকে। এমনকি শেষ পর্যন্ত তার ও জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাতের ব্যবধান রয়ে যায়। এমন সময় তার ভাগ্য লিখন অগ্রগামী হয়।। তখন সে জাহান্নামবাসীদের ‘আমলের অনুরূপ ‘আমল করে থাকে এবং ফলে সে জাহান্নামে প্রবিষ্ট হয়। (৩২০৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৪)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ وَهْبٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ حَدَّثَنَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ الصَّادِقُ الْمَصْدُوقُ إِنَّ أَحَدَكُمْ يُجْمَعُ فِيْ بَطْنِ أُمِّهِ أَرْبَعِيْنَ يَوْمًا ثُمَّ يَكُوْنُ عَلَقَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَكُوْنُ مُضْغَةً مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ يَبْعَثُ اللهُ إِلَيْهِ مَلَكًا بِأَرْبَعِ كَلِمَاتٍ فَيُكْتَبُ عَمَلُهُ وَأَجَلُهُ وَرِزْقُهُ وَشَقِيٌّ أَوْ سَعِيْدٌ ثُمَّ يُنْفَخُ فِيْهِ الرُّوْحُ فَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ حَتَّى مَا يَكُوْنُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلَّا ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَدْخُلُ الْجَنَّةَ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ الْجَنَّةِ حَتَّى مَا يَكُوْنُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا إِلَّا ذِرَاعٌ فَيَسْبِقُ عَلَيْهِ الْكِتَابُ فَيَعْمَلُ بِعَمَلِ أَهْلِ النَّارِ فَيَدْخُلُ النَّارَ

حدثنا عمر بن حفص حدثنا ابي حدثنا الاعمش حدثنا زيد بن وهب حدثنا عبد الله حدثنا رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو الصادق المصدوق ان احدكم يجمع في بطن امه اربعين يوما ثم يكون علقة مثل ذلك ثم يكون مضغة مثل ذلك ثم يبعث الله اليه ملكا باربع كلمات فيكتب عمله واجله ورزقه وشقي او سعيد ثم ينفخ فيه الروح فان الرجل ليعمل بعمل اهل النار حتى ما يكون بينه وبينها الا ذراع فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعمل اهل الجنة فيدخل الجنة وان الرجل ليعمل بعمل اهل الجنة حتى ما يكون بينه وبينها الا ذراع فيسبق عليه الكتاب فيعمل بعمل اهل النار فيدخل النار


Narrated `Abdullah:

Allah's Messenger (ﷺ), the true and truly inspired said, "(as regards your creation), every one of you is collected in the womb of his mother for the first forty days, and then he becomes a clot for another forty days, and then a piece of flesh for another forty days. Then Allah sends an angel to write four items: He writes his deeds, time of his death, means of his livelihood, and whether he will be wretched or blessed (in religion). Then the soul is breathed into his body. So a man may do deeds characteristic of the people of the (Hell) Fire, so much so that there is only the distance of a cubit between him and it, and then what has been written (by the angel) surpasses, and so he starts doing deeds characteristic of the people of Paradise and enters Paradise. Similarly, a person may do deeds characteristic of the people of Paradise, so much so that there is only the distance of a cubit between him and it, and then what has been written (by the angel) surpasses, and he starts doing deeds of the people of the (Hell) Fire and enters the (Hell) Fire."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩৩৩. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ মাতৃগর্ভে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। (সন্তান জন্মের সূচনায়) সে ফেরেশতা বলেন, হে রব! এ তো বীর্য। হে রব! এ তো আলাকা। হে রব! এ তো গোশ্তের খন্ড। অতঃপর আল্লাহ যদি তাকে সৃষ্টি করতে চান তাহলে ফেরেশতা বলেন, হে রব! সন্তানটি ছেলে হবে, না মেয়ে হবে? হে রব! সে কি পাপিষ্ঠ হবে, না নেককার হবে? তার রিয্ক কী পরিমাণ হবে, তার আয়ুষ্কাল কত হবে? এভাবে তার মাতৃগর্ভে সব কিছুই লিখে দেয়া হয়। (৩১৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৫)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا أَبُوْ النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِيْ بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ وَكَّلَ فِي الرَّحِمِ مَلَكًا فَيَقُوْلُ يَا رَبِّ نُطْفَةٌ يَا رَبِّ عَلَقَةٌ يَا رَبِّ مُضْغَةٌ فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَخْلُقَهَا قَالَ يَا رَبِّ أَذَكَرٌ يَا رَبِّ أُنْثَى يَا رَبِّ شَقِيٌّ أَمْ سَعِيْدٌ فَمَا الرِّزْقُ فَمَا الأَجَلُ فَيُكْتَبُ كَذَلِكَ فِيْ بَطْنِ أُمِّهِ

حدثنا ابو النعمان حدثنا حماد بن زيد عن عبيد الله بن ابي بكر بن انس عن انس بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ان الله وكل في الرحم ملكا فيقول يا رب نطفة يا رب علقة يا رب مضغة فاذا اراد ان يخلقها قال يا رب اذكر يا رب انثى يا رب شقي ام سعيد فما الرزق فما الاجل فيكتب كذلك في بطن امه


Narrated Anas bin Malik:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah has appointed an angel in the womb, and the angel says, 'O Lord! A drop of discharge (i.e. of semen), O Lord! a clot, O Lord! a piece of flesh.' And then, if Allah wishes to complete the child's creation, the angel will say. 'O Lord! A male or a female? O Lord! wretched or blessed (in religion)? What will his livelihood be? What will his age be?' The angel writes all this while the child is in the womb of its mother."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩৩৪. আনাস (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে সহজ আযাব ভোগকারীকে জিজ্ঞেস করবেন, যদি পৃথিবীর ধন-সম্পদ তোমার হয়ে যায়, তবে তুমি কি আযাবের বিনিময়ে তা দিয়ে দিবে? সে উত্তর দিবে, হাঁ। তখন আল্লাহ বলবেন, যখন তুমি আদম (আঃ)-এর পৃষ্ঠে ছিলে, তখন আমি তোমার নিকট এর থেকেও সহজ একটি জিনিস চেয়েছিলাম। সেটা হল, তুমি আমার সঙ্গে কাউকে শরীক করবে না। কিন্তু তুমি তা না মেনে শির্ক করতে লাগলে। (৬৫৩৮, ৬৫৫৭) (মুসলিম ৫০/১০ হাঃ ২৮০৫, আহমাদ ১২৩১৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৬)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِيْ عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ عَنْ أَنَسٍ يَرْفَعُهُ إِنَّ اللهَ يَقُوْلُ لِأَهْوَنِ أَهْلِ النَّارِ عَذَابًا لَوْ أَنَّ لَكَ مَا فِي الأَرْضِ مِنْ شَيْءٍ كُنْتَ تَفْتَدِيْ بِهِ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَقَدْ سَأَلْتُكَ مَا هُوَ أَهْوَنُ مِنْ هَذَا وَأَنْتَ فِيْ صُلْبِ آدَمَ أَنْ لَا تُشْرِكَ بِيْ فَأَبَيْتَ إِلَّا الشِّرْكَ

حدثنا قيس بن حفص حدثنا خالد بن الحارث حدثنا شعبة عن ابي عمران الجوني عن انس يرفعه ان الله يقول لاهون اهل النار عذابا لو ان لك ما في الارض من شيء كنت تفتدي به قال نعم قال فقد سالتك ما هو اهون من هذا وانت في صلب ادم ان لا تشرك بي فابيت الا الشرك


Narrated Anas:

The Prophet (ﷺ) said, "Allah will say to that person of the (Hell) Fire who will receive the least punishment, 'If you had everything on the earth, would you give it as a ransom to free yourself (i.e. save yourself from this Fire)?' He will say, 'Yes.' Then Allah will say, 'While you were in the backbone of Adam, I asked you much less than this, i.e. not to worship others besides Me, but you insisted on worshipping others besides me.' "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৩৫

পরিচ্ছেদঃ ৬০/১ক. আল্লাহ তা‘আলার বাণী।

৩৩৩৫. ‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হলে, তার এ খুনের পাপের অংশ আদম (আঃ)-এর প্রথম ছেলের (কাবিলের) উপর বর্তায়। কারণ সেই সর্বপ্রথম হত্যার প্রচলন ঘটায়। (৬৮৬৭, ৬৩২১) (মুসলিম ২৮/৭ হাঃ ১৬৭৭, আহমাদ ৩৬৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৭)

بَابُ وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِيْ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مُرَّةَ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا تُقْتَلُ نَفْسٌ ظُلْمًا إِلَّا كَانَ عَلَى ابْنِ آدَمَ الأَوَّلِ كِفْلٌ مِنْ دَمِهَا لِأَنَّهُ أَوَّلُ مَنْ سَنَّ الْقَتْلَ

حدثنا عمر بن حفص بن غياث حدثنا ابي حدثنا الاعمش قال حدثني عبد الله بن مرة عن مسروق عن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا تقتل نفس ظلما الا كان على ابن ادم الاول كفل من دمها لانه اول من سن القتل


Narrated `Abdullah:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whenever a person is murdered unjustly, there is a share from the burden of the crime on the first son of Adam for he was the first to start the tradition of murdering."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৩৬

পরিচ্ছেদঃ ৬০/২. আত্মাসমূহ সেনাবাহিনীর ন্যায় একত্রিত।

৩৩৩৬. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, সমস্ত রূহ সেনাবাহিনীর মত একত্রিত ছিল। সেখানে তাদের যে সমস্ত রূহের পরস্পর পরিচয় ছিল, এখানেও তাদের মধ্যে পরস্পর পরিচিতি থাকবে। আর সেখানে যাদের মধ্যে পরস্পর পরিচয় হয়নি, এখানেও তাদের মধ্যে পরস্পর মতভেদ ও মতবিরোধ থাকবে। ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব (রহ.) বলেছেন, ইয়াহইয়া ইবনু সা‘ঈদ (রহ.) আমাকে এভাবে বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২০০১ পরিচ্ছেদ)

بَابُ الأَرْوَاحُ جُنُوْدٌ مُجَنَّدَةٌ

قَالَ وَ قَالَ اللَّيْثُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ الأَرْوَاحُ جُنُوْدٌ مُجَنَّدَةٌ فَمَا تَعَارَفَ مِنْهَا ائْتَلَفَ وَمَا تَنَاكَرَ مِنْهَا اخْتَلَفَ وَقَالَ يَحْيَى بْنُ أَيُّوْبَ حَدَّثَنِيْ يَحْيَى بْنُ سَعِيْدٍ بِهَذَا

قال و قال الليث عن يحيى بن سعيد عن عمرة عن عاىشة رضي الله عنها قالت سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول الارواح جنود مجندة فما تعارف منها اىتلف وما تناكر منها اختلف وقال يحيى بن ايوب حدثني يحيى بن سعيد بهذا


Narrated Aishah (ra):
I heard the Prophet (ﷺ), "Souls are like recruited troops: Those who are like qualities are inclined to each other, but those who have dissimilar qualities, differ."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৩৭

পরিচ্ছেদঃ ৬০/৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’- (হূদঃ ২৫)।

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ بَادِئَ الرَّأْيِ (هود : 27)  مَا ظَهَرَ لَنَا أَقْلِعِي (هود : 44) أَمْسِكِيْ وَفَارَ التَّنُّوْرُ (هود : 40)  نَبَعَ الْمَاءُ وَقَالَ عِكْرِمَةُ وَجْهُ الأَرْضِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْجُوْدِيُّ (هود : 44)  جَبَلٌ بِالْجَزِيْرَةِ دَأْبٌ (المؤمن : 31)  مِثْلُ حَالٌ

 ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, بَادِئَ الرَّأْيِ এর অর্থ যা আমাদের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। أَقْلِعِيْ তুমি থেমে যাও। وَفَارَ التَّنُّوْرُ পানি সবেগে উত্থিত হল। আর ‘ইকরিমাহ (রহ.) বলেন, التَّنُّوْرُ অর্থ ভূপৃষ্ঠ। আর মুজাহিদ (রহ.) বলেন, الْجُوْدِيُّ জর্জিয়ার একটি পাহাড়। دَأْبٌ অবস্থা।

قَوْلِ اللهِ تَعَالَى إِنَّآ أَرْسَلْنَا نُوْحًا إِلٰى قَوْمِهٰ أَنْ أَنْذِرْ قَوْمَكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَّأْتِيَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ  (نوح : 1) إِلَى آخِرِ السُّوْرَةِ وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ نُوْحٍ إِذْ قَالَ لِقَوْمِهٰ يٰقَوْمِ إِنْ كَانَ كَبُرَ عَلَيْكُمْ مَّقَامِيْ وَتَذْكِيْرِيْ بِاٰيٰتِ اللهِ إِلَى قَوْلِهِ مِنَ الْمُسْلِمِيْنَ (يونس : 71-72)

মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’’(নূহঃ ১) ........... সূরার শেষ পর্যন্ত। ‘‘আর তাদেরকে শুনিয়ে দাও নূহের অবস্থা-যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বলল, হে আমার সম্প্রদায়, যদি তোমাদের মাঝে আমার অবস্থিতি এবং আল্লাহর আয়াতসমূহের মাধ্যমে নসীহাত করা ভারী বলে মনে হয়ে থাকে . . . . . . . আমি আনুগত্য অবলম্বন করি।’’ (ইউনুসঃ ৭১-৭২)


৩৩৩৭. ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা জনসমাবেশে দাঁড়ালেন এবং আল্লাহর যথোপযুক্ত প্রশংসা করলেন, অতঃপর দাজ্জালের উল্লেখ করে বললেন, আমি তোমাদেরকে তার নিকট হতে সাবধান করছি আর প্রত্যেক নবীই নিজ নিজ সম্প্রদায়কে এ দাজ্জাল হতে সাবধান করে দিয়েছেন। নূহ (আঃ)-ও নিজ সম্প্রদায়কে দাজ্জাল হতে সাবধান করেছেন। কিন্তু আমি তোমাদেরকে তার সম্বন্ধে এমন একটা কথা বলছি, যা কোন নবী তাঁর সম্প্রদায়কে বলেননি। তা হলো তোমরা জেনে রেখ, নিশ্চয়ই দাজ্জাল এক চক্ষু বিশিষ্ট, আর আল্লাহ এক চক্ষু বিশিষ্ট নন। (৩০৫৭) (মুসলিম ২৮/৭ হাঃ ৩৯৩২, আহমাদ ৩৬৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৮)

 

بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوْحًا إِلٰى قَوْمِهِ

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ عَنْ يُونُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ سَالِمٌ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَامَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي النَّاسِ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ ذَكَرَ الدَّجَّالَ فَقَالَ إِنِّيْ لَانْذِرُكُمُوْهُ وَمَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا أَنْذَرَهُ قَوْمَهُ لَقَدْ أَنْذَرَ نُوْحٌ قَوْمَهُ وَلَكِنِّيْ أَقُوْلُ لَكُمْ فِيْهِ قَوْلًا لَمْ يَقُلْهُ نَبِيٌّ لِقَوْمِهِ تَعْلَمُوْنَ أَنَّهُ أَعْوَرُ وَأَنَّ اللهَ لَيْسَ بِأَعْوَرَ

حدثنا عبدان اخبرنا عبد الله عن يونس عن الزهري قال سالم وقال ابن عمر رضي الله عنهما قام رسول الله صلى الله عليه وسلم في الناس فاثنى على الله بما هو اهله ثم ذكر الدجال فقال اني لانذركموه وما من نبي الا انذره قومه لقد انذر نوح قومه ولكني اقول لكم فيه قولا لم يقله نبي لقومه تعلمون انه اعور وان الله ليس باعور


Narrated Ibn `Umar:

Once Allah's Messenger (ﷺ) stood amongst the people, glorified and praised Allah as He deserved and then mentioned the Dajjal saying, "l warn you against him (i.e. the Dajjal) and there was no prophet but warned his nation against him. No doubt, Noah warned his nation against him but I tell you about him something of which no prophet told his nation before me. You should know that he is one-eyed, and Allah is not one-eyed."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৩৮

পরিচ্ছেদঃ ৬০/৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’- (হূদঃ ২৫)।

৩৩৩৮. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে এমন একটি কথা বলে দেব না, যা কোন নবীই তাঁর সম্প্রদায়কে বলেননি? তা হলো, নিশ্চয়ই সে হবে এক চোখওয়ালা, সে সঙ্গে করে হুবহু জান্নাত এবং জাহান্নাম নিয়ে আসবে।[১] অতএব যাকে সে বলবে যে, এটি জান্নাত প্রকৃতপক্ষে সেটি হবে জাহান্নাম। আর আমি তার সম্পর্কে তোমাদের নিকট তেমনি সাবধান করছি, যেমনি নূহ (আঃ) তার সম্প্রদায়কে সে সম্পর্কে সাবধান করেছেন। (৩০৫৭) (মুসলিম ৫২/২০ হাঃ ২৯৩৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩০৯৯)

بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوْحًا إِلٰى قَوْمِهِ

حَدَّثَنَا أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَلَا أُحَدِّثُكُمْ حَدِيْثًا عَنْ الدَّجَّالِ مَا حَدَّثَ بِهِ نَبِيٌّ قَوْمَهُ إِنَّهُ أَعْوَرُ وَإِنَّهُ يَجِيءُ مَعَهُ بِمِثَالِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ فَالَّتِيْ يَقُوْلُ إِنَّهَا الْجَنَّةُ هِيَ النَّارُ وَإِنِّيْ أُنْذِرُكُمْ كَمَا أَنْذَرَ بِهِ نُوْحٌ قَوْمَهُ

حدثنا ابو نعيم حدثنا شيبان عن يحيى عن ابي سلمة سمعت ابا هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الا احدثكم حديثا عن الدجال ما حدث به نبي قومه انه اعور وانه يجيء معه بمثال الجنة والنار فالتي يقول انها الجنة هي النار واني انذركم كما انذر به نوح قومه


Narrated Abu Huraira:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Shall I not tell you about the Dajjal a story of which no prophet told his nation? The Dajjall is one-eyed and will bring with him what will resemble Hell and Paradise, and what he will call Paradise will be actually Hell; so I warn you (against him) as Noah warned his nation against him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৬০/৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’- (হূদঃ ২৫)।

৩৩৩৯. আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (কিয়ামতের দিন) নূহ এবং তাঁর উম্মাত (আল্লাহর নিকটে) হাযির হবেন। তখন আল্লাহ তাঁকে জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি (আমার বাণী) পৌঁছিয়েছ? তিনি বলবেন, হ্যাঁ, হে আমার রব! তখন আল্লাহ তাঁর উম্মাতকে জিজ্ঞেস করবেন, নূহ কি তোমাদের নিকট আমার বাণী পৌঁছিয়েছেন। তারা বলবে, না, আমাদের নিকট কোন নবীই আসেননি। তখন আল্লাহ নূহকে বলবেন, তোমার জন্য সাক্ষ্য দিবে কে? তিনি বলবেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর উম্মাত। [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন] তখন আমরা সাক্ষ্য দিব। নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহর বাণী পৌঁছিয়েছেন। আর এটিই হল মহান আল্লাহর বাণীঃ আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে মধ্যমপন্থী উম্মাত করেছি, যেন তোমরা মানব জাতির উপর সাক্ষী হও- (আল-বাকারাহঃ ১৪৩)। الوسط অর্থ ন্যায়পরায়ণ। (৪৪৮৭, ৭৩৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১০০)

بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوْحًا إِلٰى قَوْمِهِ

حَدَّثَنَا مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ عَنْ أَبِيْ صَالِحٍ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَجِيءُ نُوْحٌ وَأُمَّتُهُ فَيَقُوْلُ اللهُ تَعَالَى هَلْ بَلَّغْتَ فَيَقُوْلُ نَعَمْ أَيْ رَبِّ فَيَقُوْلُ لِأُمَّتِهِ هَلْ بَلَّغَكُمْ فَيَقُوْلُوْنَ لَا مَا جَاءَنَا مِنْ نَبِيٍّ فَيَقُوْلُ لِنُوْحٍ مَنْ يَشْهَدُ لَكَ فَيَقُوْلُ مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ فَنَشْهَدُ أَنَّهُ قَدْ بَلَّغَ وَهُوَ قَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ وَكَذٰلِكَ جَعَلْنٰكُمْ أُمَّةً وَّسَطًا لِّتَكُوْنُوْا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ (البقرة : 143) وَالْوَسَطُ الْعَدْلُ

حدثنا موسى بن اسماعيل حدثنا عبد الواحد بن زياد حدثنا الاعمش عن ابي صالح عن ابي سعيد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يجيء نوح وامته فيقول الله تعالى هل بلغت فيقول نعم اي رب فيقول لامته هل بلغكم فيقولون لا ما جاءنا من نبي فيقول لنوح من يشهد لك فيقول محمد وامته فنشهد انه قد بلغ وهو قوله جل ذكره وكذلك جعلنكم امة وسطا لتكونوا شهداء على الناس البقرة 143 والوسط العدل


Narrated Abu Sa`id:

Allah's Messenger (ﷺ) said, "Noah and his nation will come (on the Day of Resurrection and Allah will ask (Noah), "Did you convey (the Message)?' He will reply, 'Yes, O my Lord!' Then Allah will ask Noah's nation, 'Did Noah convey My Message to you?' They will reply, 'No, no prophet came to us.' Then Allah will ask Noah, 'Who will stand a witness for you?' He will reply, 'Muhammad and his followers (will stand witness for me).' So, I and my followers will stand as witnesses for him (that he conveyed Allah's Message)." That is, (the interpretation) of the Statement of Allah: "Thus we have made you a just and the best nation that you might be witnesses Over mankind .." (2.143)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৪০

পরিচ্ছেদঃ ৬০/৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’- (হূদঃ ২৫)।

৩৩৪০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক খানার দা’ওয়াতে উপস্থিত ছিলাম। তাঁর সামনে (রান্না করা) ছাগলের বাহু আনা হল, এটা তাঁর নিকট পছন্দনীয় ছিল। তিনি সেখান হতে এক খন্ড খেলেন এবং বললেন, আমি কিয়ামতের দিন সমগ্র মানব জাতির সরদার হব। তোমরা কি জান? আল্লাহ কিভাবে (কিয়ামতের দিন) একই সমতলে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল মানুষকে একত্র করবেন? যেন একজন দর্শক তাদের সবাইকে দেখতে পায় এবং একজন আহবানকারীর আহবান সবার নিকট পৌঁছায়। সূর্য তাদের অতি নিকটে এসে যাবে। তখন কোন কোন মানুষ বলবে, তোমরা কি লক্ষ্য করনি, তোমরা কী অবস্থায় আছ এবং কী পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছ। তোমরা কি এমন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করবে না, যিনি তোমাদের জন্য তোমাদের রবের নিকট সুপারিশ করবেন? তখন কিছু লোক বলবে, তোমাদের আদি পিতা আদম (আঃ) আছেন। তখন সকলে তাঁর নিকট যাবে এবং বলবে, হে আদম! আপনি সমস্ত মানব জাতির পিতা। আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং তার পক্ষ হতে রূহ আপনার মধ্যে ফুঁকেছেন। তিনি ফেরেশতাদেরকে (আপনার সম্মানের) নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী সকলে আপনাকে সিজদাও করেছেন এবং তিনি আপনাকে জান্নাতে বসবাস করতে দিয়েছেন। আপনি কি আমাদের জন্য আপনার রবের নিকট সুপারিশ করবেন না? আপনি দেখেন না, আমরা কী অবস্থায় আছি এবং কী কষ্টের সম্মুখীন হয়েছি। তখন তিনি বলবেন, আমার রব আজ এমন রাগান্বিত হয়েছেন এর পূর্বে এমন রাগান্বিত হননি আর পরেও এমন রাগান্বিত হবেন না। আর তিনি আমাকে বৃক্ষটি হতে নিষেধ করেছিলেন। তখন আমি ভুল করেছি। এখন আমি নিজের চিন্তায়ই ব্যস্ত। তোমরা আমাকে ছাড়া অন্যের নিকট যাও। তোমরা নূহের নিকট চলে যাও। তখন তারা নূহ (আঃ)-এর নিকট আসবে এবং বলবে, হে নূহ! পৃথিবীবাসীদের নিকট আপনিই প্রথম রাসূল এবং আল্লাহ আপনার নাম রেখেছেন কৃতজ্ঞ বান্দা। আপনি কি লক্ষ্য করছেন না, আমরা কী ভয়াবহ অবস্থায় পড়ে আছি? আপনি দেখছেন না আমরা কতই না দুঃখ কষ্টের সম্মুখীন হয়ে আছি? আপনি কি আমাদের জন্য আপনার রবের নিকট সুপারিশ করবেন না? তখন তিনি বলবেন, আমার রব আজ এমন রাগান্বিত হয়ে আছেন, যা ইতোপূর্বে হন নাই এবং এমন রাগান্বিত পরেও হবেন না। এখন আমি নিজের চিন্তায়ই ব্যস্ত। তোমরা নবী [মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর নিকট চলে যাও। তখন তারা আমার নিকট আসবে আর আমি আরশের নীচে সিজদায় পড়ে যাব। তখন বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! আপনার মাথা উঠান এবং সুপারিশ করুন। আপনার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে আর আপনি যা চান, আপনাকে তাই দেয়া হবে। মুহাম্মাদ ইবনু ‘উবাইদ (রহ.) বলেন, হাদীসের সকল অংশ মুখস্থ করতে পারিনি। (৩৩৬১, ৪৭১২) (মুসলিম ১/৮৪ হাঃ ১৯৪ আহমাদ ৯২২৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১০১)

بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوْحًا إِلٰى قَوْمِهِ

حَدَّثَنِيْ إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ حَدَّثَنَا أَبُوْ حَيَّانَ عَنْ أَبِيْ زُرْعَةَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيْ دَعْوَةٍ فَرُفِعَ إِلَيْهِ الذِّرَاعُ وَكَانَتْ تُعْجِبُهُ فَنَهَسَ مِنْهَا نَهْسَةً وَقَالَ أَنَا سَيِّدُ الْقَوْمِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ هَلْ تَدْرُوْنَ بِمَ يَجْمَعُ اللهُ الأَوَّلِيْنَ وَالْآخِرِيْنَ فِيْ صَعِيْدٍ وَاحِدٍ فَيُبْصِرُهُمْ النَّاظِرُ وَيُسْمِعُهُمْ الدَّاعِيْ وَتَدْنُوْ مِنْهُمْ الشَّمْسُ فَيَقُوْلُ بَعْضُ النَّاسِ أَلَا تَرَوْنَ إِلَى مَا أَنْتُمْ فِيْهِ إِلَى مَا بَلَغَكُمْ أَلَا تَنْظُرُوْنَ إِلَى مَنْ يَشْفَعُ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ فَيَقُوْلُ بَعْضُ النَّاسِ أَبُوكُمْ آدَمُ فَيَأْتُوْنَهُ فَيَقُوْلُوْنَ يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُوْ الْبَشَرِ خَلَقَكَ اللهُ بِيَدِهِ وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوْحِهِ وَأَمَرَ الْمَلَائِكَةَ فَسَجَدُوْا لَكَ وَأَسْكَنَكَ الْجَنَّةَ أَلَا تَشْفَعُ لَنَا إِلَى رَبِّكَ أَلَا تَرَى مَا نَحْنُ فِيْهِ وَمَا بَلَغَنَا فَيَقُوْلُ رَبِّيْ غَضِبَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَا يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ وَنَهَانِيْ عَنْ الشَّجَرَةِ فَعَصَيْتُهُ نَفْسِيْ نَفْسِيْ اذْهَبُوْا إِلَى غَيْرِيْ اذْهَبُوْا إِلَى نُوْحٍ فَيَأْتُوْنَ نُوْحًا فَيَقُوْلُوْنَ يَا نُوْحُ أَنْتَ أَوَّلُ الرُّسُلِ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ وَسَمَّاكَ اللهُ عَبْدًا شَكُوْرًا أَمَا تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيْهِ أَلَا تَرَى إِلَى مَا بَلَغَنَا أَلَا تَشْفَعُ لَنَا إِلَى رَبِّكَ فَيَقُوْلُ رَبِّيْ غَضِبَ الْيَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ وَلَا يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ نَفْسِيْ نَفْسِيْ ائْتُوْا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَيَأْتُوْنِيْ فَأَسْجُدُ تَحْتَ الْعَرْشِ فَيُقَالُ يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ وَسَلْ تُعْطَهْ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ لَا أَحْفَظُ سَائِرَهُ

حدثني اسحاق بن نصر حدثنا محمد بن عبيد حدثنا ابو حيان عن ابي زرعة عن ابي هريرة قال كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم في دعوة فرفع اليه الذراع وكانت تعجبه فنهس منها نهسة وقال انا سيد القوم يوم القيامة هل تدرون بم يجمع الله الاولين والاخرين في صعيد واحد فيبصرهم الناظر ويسمعهم الداعي وتدنو منهم الشمس فيقول بعض الناس الا ترون الى ما انتم فيه الى ما بلغكم الا تنظرون الى من يشفع لكم الى ربكم فيقول بعض الناس ابوكم ادم فياتونه فيقولون يا ادم انت ابو البشر خلقك الله بيده ونفخ فيك من روحه وامر الملاىكة فسجدوا لك واسكنك الجنة الا تشفع لنا الى ربك الا ترى ما نحن فيه وما بلغنا فيقول ربي غضب غضبا لم يغضب قبله مثله ولا يغضب بعده مثله ونهاني عن الشجرة فعصيته نفسي نفسي اذهبوا الى غيري اذهبوا الى نوح فياتون نوحا فيقولون يا نوح انت اول الرسل الى اهل الارض وسماك الله عبدا شكورا اما ترى الى ما نحن فيه الا ترى الى ما بلغنا الا تشفع لنا الى ربك فيقول ربي غضب اليوم غضبا لم يغضب قبله مثله ولا يغضب بعده مثله نفسي نفسي اىتوا النبي صلى الله عليه وسلم فياتوني فاسجد تحت العرش فيقال يا محمد ارفع راسك واشفع تشفع وسل تعطه قال محمد بن عبيد لا احفظ ساىره


Narrated Abu Huraira:

We were in the company of the Prophet (ﷺ) at a banquet and a cooked (mutton) forearm was set before him, and he used to like it. He ate a morsel of it and said, "I will be the chief of all the people on the Day of Resurrection. Do you know how Allah will gather all the first and the last (people) in one level place where an observer will be able to see (all) of them and they will be able to hear the announcer, and the sun will come near to them. Some People will say: Don't you see, in what condition you are and the state to which you have reached? Why don't you look for a person who can intercede for you with your Lord? Some people will say: Appeal to your father, Adam.' They will go to him and say: 'O Adam! You are the father of all mankind, and Allah created you with His Own Hands, and ordered the angels to prostrate for you, and made you live in Paradise. Will you not intercede for us with your Lord? Don't you see in what (miserable) state we are, and to what condition we have reached?' On that Adam will reply, 'My Lord is so angry as He has never been before and will never be in the future; (besides), He forbade me (to eat from) the tree, but I disobeyed (Him), (I am worried about) myself! Myself! Go to somebody else; go to Noah.' They will go to Noah and say; 'O Noah! You are the first amongst the messengers of Allah to the people of the earth, and Allah named you a thankful slave. Don't you see in what a (miserable) state we are and to what condition we have reached? Will you not intercede for us with your Lord? Noah will reply: 'Today my Lord has become so angry as he had never been before and will never be in the future Myself! Myself! Go to the Prophet (Muhammad). The people will come to me, and I will prostrate myself underneath Allah's Throne. Then I will be addressed: 'O Muhammad! Raise your head; intercede, for your intercession will be accepted, and ask (for anything). for you will be given. "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৪১

পরিচ্ছেদঃ ৬০/৩. মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’- (হূদঃ ২৫)।

৩৩৪১. ‘আবদুল্লাহ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল ক্বারীদের ক্বিরাআতের মত فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ তিলাওয়াত করেছেন। (৩৩৪৫, ৩৩৭৬, ৪৮৬৯, ৪৮৭০, ৪৮৭১, ৪৮৭২, ৪৮৭৩, ৪৮৭৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১০২)

بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوْحًا إِلٰى قَوْمِهِ

حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ نَصْرٍ أَخْبَرَنَا أَبُوْ أَحْمَدَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنْ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيْدَ عَنْ عَبْدِ اللهِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ فَهَلْ مِنْ مُّدَّكِرٍ (القمر) مِثْلَ قِرَاءَةِ الْعَامَّةِ

حدثنا نصر بن علي بن نصر اخبرنا ابو احمد عن سفيان عن ابي اسحاق عن الاسود بن يزيد عن عبد الله ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قرا فهل من مدكر القمر مثل قراءة العامة


Narrated `Abdullah:

Allah's Messenger (ﷺ) recited the following Verse) in the usual tone: 'Fahal-Min-Muddalkir.' (54.15)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৪২

পরিচ্ছেদঃ ৬০/৫. ইদ্রীস (আঃ)-এর বিবরণ।

60/4. بَاب

৬০/৪. অধ্যায় :

وَإِنَّ إِلْيَاسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِيْنَ إِذْ قَالَ لِقَوْمِهٰٓ أَلَا تَتَّقُوْنَ أَتَدْعُوْنَ بَعْلًا وَّتَذَرُوْنَ أَحْسَنَ الْخٰلِقِيْنَ اللهُ رَبُّكُمْ وَرَبُّ اٰبَآئِكُمْ الْأَوَّلِيْنَ فَكَذَّبُوْهُ فَإِنَّهُمْ لَمُحْضَرُوْنَ إِلَّا عِبَادَ اللهِ الْمُخْلَصِيْنَ وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْاٰخِرِيْنَ (الصفات : 123-129)

(মহান আল্লাহর বাণীঃ) আর নিশ্চয়ই ইলিয়াসও রাসূলগণের মধ্যে একজন ছিলেন। স্মরণ কর, তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বলেছিলেন, তোমরা কি সাবধান হবে না? ............ আমি তা পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। (আস্সাফফাতঃ ১২৩-১২৯)

قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ يُذْكَرُ بِخَيْرٍ سَلَامٌ عَلٰى اٰلِ يَاسِيْنَ إِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِيْنَ إِنَّه” مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِيْنَ (الصفات : 130)  يُذْكَرُ عَنْ ابْنِ مَسْعُوْدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ إِلْيَاسَ هُوَ إِدْرِيْسُ

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, (ইলয়াস আঃ-এর কথাকে) মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে। ইলয়াসের প্রতি সালাম। আমি সৎ-কর্মশীলদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত করে থাকি। নিঃসন্দেহে তিনি ছিলেন আমার মু’মিন বান্দাদের অন্যতম- (আস্সাফফাত ১৩০-১৩২)

وَهُوَ جَدُّ أَبِى نُوْحِ عَلَيْهِمَا السَّلَامِ  وَ قَوْلُ اللهِ تَعَالى وَرَفَعْنَهُ مَكَانًا عَلِيًّا


এবং তিনি নূহ (আঃ)-এর পিতার দাদা ছিলেন। মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আমি তাঁকে (ইদরীস) উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছি। (মারইয়াম ৫৭)

৩৩৪২. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ যার (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করতেন যে, রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, (লাইলাতুল মি’রাজে) আমার ঘরের ছাদ উন্মুক্ত করা হয়েছিল। তখন আমি মক্কায় ছিলাম। অতঃপর জিব্রাঈল (আঃ) অবতরণ করলেন এবং আমার বক্ষ বিদীর্ণ করলেন। অতঃপর তিনি যমযমের পানি দ্বারা তা ধুলেন। এরপর হিকমত ও ঈমান (জ্ঞান ও বিশ্বাস) দ্বারা পূর্ণ একখানা সোনার তশ্তরি নিয়ে আসেন এবং তা আমার বক্ষে ঢেলে দিলেন। অতঃপর আমার বক্ষকে আগের মত মিলিয়ে দিলেন। এবার তিনি আমার হাত ধরলেন এবং আমাকে আকাশের দিকে উঠিয়ে নিলেন। অতঃপর যখন দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে পৌঁছলেন, তখন জিবরাঈল (আঃ) আকাশের দ্বাররক্ষীকে বললেন, দরজা খুলুন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কে? জবাব দিলেন, আমি জিবরাঈল। দ্বাররক্ষী বললেন, আপনার সঙ্গে কি আর কেউ আছেন? তিনি বললেন, আমার সঙ্গে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আছেন। দ্বাররক্ষী জিজ্ঞেস করলেন, তাঁকে কি ডাকা হয়েছে? বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর দরজা খোলা হল। যখন আমরা আকাশের উপরে আরোহণ করলাম, হঠাৎ দেখলাম এক ব্যক্তি যার ডানে একদল লোক আর তাঁর বামেও একদল লোক। যখন তিনি তাঁর ডান দিকে তাকান তখন হাসতে থাকেন আর যখন তাঁর বাম দিকে তাকান তখন কাঁদতে থাকেন। (তিনি আমাকে দেখে) বললেন, মারাহাবা! নেক নবী ও নেক সন্তান। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাঈল! ইনি কে? তিনি জবাব দিলেন, ইনি আদম (আঃ) আর তাঁর ডানের ও বামের এ লোকগুলো হলো তাঁর সন্তান। এদের মধ্যে ডানদিকের লোকগুলো জান্নাতী আর বামদিকের লোকগুলো জাহান্নামী। অতএব যখন তিনি ডানদিকে তাকান তখন হাসেন আর যখন বামদিকে তাকান তখন কাঁদেন। অতঃপর আমাকে নিয়ে জিবরাঈল (আঃ) আরো উপরে উঠলেন। এমনকি দ্বিতীয় আকাশের দ্বারে এসে গেলেন। তখন তিনি এ আকাশের দ্বাররক্ষীকে বললেন, দরজা খুলুন! দ্বাররক্ষী তাঁকে প্রথম আকাশের দ্বাররক্ষী যেরূপ বলেছিল, তেমনি বলল। অতঃপর তিনি দরজা খুলে দিলেন।


আনাস (রাঃ) বলেন, অতঃপর আবূ যার (রাঃ) উল্লেখ করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আকাশসমূহে ইদ্রীস, মূসা, ’ঈসা এবং ইবরাহীম (আঃ)-এর সাক্ষাৎ পেয়েছেন। তাঁদের কার অবস্থান কোন্ আকাশে তিনি আমার নিকট তা বর্ণনা করেননি। তবে তিনি এটা উল্লেখ করেছেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে আদম (আঃ)-কে এবং ষষ্ঠ আকাশে ইবরাহীম (আঃ)-কে দেখতে পেয়েছেন।

আনাস (রাঃ) বলেন, জিবরাঈল (আঃ) যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহ] ইদ্রীস (আঃ)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন, তখন তিনি [ইদ্রীস (আঃ)] বলেছিলেন, হে নেক নবী এবং নেক ভাই! আপনাকে মারহাবা। [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন] আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কে? তিনি (জিবরাঈল) জবাব দিলেন, ইনি ইদ্রীস (আঃ)! অতঃপর মুসা (আঃ)-এর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি বললেন, মারহাবা! হে নেক নবী এবং নেক ভাই। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কে? তিনি [জিবরাঈল (আঃ)] বললেন, ইনি মূসা (আঃ)। অতঃপর ’ঈসা (আঃ)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি বললেন, মারহাবা! হে নেক নবী এবং নেক ভাই। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কে? তিনি [জিবরাঈল (আঃ)] বললেন, ইনি ’ঈসা (আঃ)। অতঃপর ইবরাহীম (আঃ)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলাম। তিনি বললেন, মারহাবা। হে নেক নবী এবং নেক সন্তান! আমি জানতে চাইলাম, ইনি কে? তিনি [জিবরাঈল (আঃ)] বললেন, ইনি ইবরাহীম (আঃ)।

ইবনু শিহাব (রহ.) বলেন, আমাকে ইবনু হাযম (রহ.) জানিয়েছেন যে, ইবনু ’আব্বাস ও আবূ ইয়াহয়্যা আনসারী (রাঃ) বলতেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অতঃপর জিবরাঈল আমাকে ঊর্ধ্বে নিয়ে গেলেন। শেষ পর্যন্ত আমি একটি সমতল স্থানে গিয়ে পৌঁছলাম। সেখান হতে কলমসমূহের খসখস শব্দ শুনছিলাম।

ইবনু হাযম (রহ.) এবং আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তখন আল্লাহ আমার উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করেছেন। অতঃপর আমি এ নির্দেশ নিয়ে ফিরে আসলাম। যখন মূসা (আঃ)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম, তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনার রব আপনার উম্মাত উপর কী ফরজ করেছেন? আমি বললাম, তাদের উপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করা হয়েছে। তিনি বললেন, পুনরায় আপনার রবের নিকট ফিরে যান। কেননা আপনার উম্মাতের তা পালন করার সামর্থ্য রাখে না। তখন ফিরে গেলাম এবং আমার রবের নিকট তা কমাবার জন্য আবেদন করলাম। তিনি তার অর্ধেক কমিয়ে দিলেন। আমি মূসা (আঃ)-এর নিকট ফিরে আসলাম। তিনি বললেন, আপনার রবের নিকট গিয়ে পুনরায় কমাবার আবেদন করুন এবং তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] পূর্বের অনুরূপ কথা আবার উল্লেখ করলেন। এবার তিনি (আল্লাহ) তার অর্ধেক কমিয়ে দিলেন। আবার আমি মূসা (আঃ)-এর নিকট আসলাম এবং তিনি পূর্বের মত বললেন। আমি তা করলাম। তখন আল্লাহ তার এক অংশ মাফ করে দিলেন। আমি পুনরায় মূসা (আঃ)-এর নিকট আসলাম এবং তাঁকে জানালাম। তখন তিনি বললেন, আপনার রবের নিকট গিয়ে আরো কমাবার আরয করুন। কেননা আপনার উম্মাতের তা পালন করার সামর্থ্য থাকবে না। আমি আবার ফিরে গেলাম এবং আমার রবের নিকট তা কমাবার আবেদন করলাম। তিনি বললেন, এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত বাকী রইল। আর তা সাওয়াবের ক্ষেত্রে পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাতের সমান হবে। আমার কথার পরিবর্তন হয় না। অতঃপর আমি মূসা (আঃ)-এর নিকট ফিরে আসলাম। তিনি এবারও বললেন, আপনার রবের নিকট গিয়ে আবেদন করুন। আমি বললাম, এবার আমার রবের সম্মুখীন হতে আমি লজ্জাবোধ করছি। এবার জিবরাঈল (আঃ) চললেন এবং অবশেষে আমাকে সাথে নিয়ে সিদ্রাতুল মুন্তাহা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। দেখলাম তা এমন চমৎকার রঙে পরিপূর্ণ যা বর্ণনা করার ক্ষমতা আমার নেই। অতঃপর আমাকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করানো হল। দেখলাম এর ইট মোতির তৈরী আর এর মাটি মিসক বা কস্তুরীর মত সুগন্ধময়। (৩৪৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১০৩)

بَابُ ذِكْرِ إِدْرِيْسْ عَلَيْهِ السَّلَامِ

حَدَّثَنَا عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ ح حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ كَانَ أَبُوْ ذَرٍّ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فُرِجَ سَقْفُ بَيْتِيْ وَأَنَا بِمَكَّةَ فَنَزَلَ جِبْرِيْلُ فَفَرَجَ صَدْرِيْ ثُمَّ غَسَلَهُ بِمَاءِ زَمْزَمَ ثُمَّ جَاءَ بِطَسْتٍ مِنْ ذَهَبٍ مُمْتَلِئٍ حِكْمَةً وَإِيْمَانًا فَأَفْرَغَهَا فِيْ صَدْرِيْ ثُمَّ أَطْبَقَهُ ثُمَّ أَخَذَ بِيَدِيْ فَعَرَجَ بِيْ إِلَى السَّمَاءِ فَلَمَّا جَاءَ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا قَالَ جِبْرِيْلُ لِخَازِنِ السَّمَاءِ افْتَحْ قَالَ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا جِبْرِيْلُ قَالَ مَعَكَ أَحَدٌ قَالَ مَعِيْ مُحَمَّدٌ قَالَ أُرْسِلَ إِلَيْهِ قَالَ نَعَمْ فَافْتَحْ فَلَمَّا عَلَوْنَا السَّمَاءَ الدُّنْيَا إِذَا رَجُلٌ عَنْ يَمِيْنِهِ أَسْوِدَةٌ وَعَنْ يَسَارِهِ أَسْوِدَةٌ فَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَمِيْنِهِ ضَحِكَ وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ شِمَالِهِ بَكَى فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالِابْنِ الصَّالِحِ قُلْتُ مَنْ هَذَا يَا جِبْرِيْلُ قَالَ هَذَا آدَمُ وَهَذِهِ الأَسْوِدَةُ عَنْ يَمِيْنِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ نَسَمُ بَنِيْهِ فَأَهْلُ الْيَمِيْنِ مِنْهُمْ أَهْلُ الْجَنَّةِ وَالأَسْوِدَةُ الَّتِيْ عَنْ شِمَالِهِ أَهْلُ النَّارِ فَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ يَمِيْنِهِ ضَحِكَ وَإِذَا نَظَرَ قِبَلَ شِمَالِهِ بَكَى ثُمَّ عَرَجَ بِيْ جِبْرِيْلُ حَتَّى أَتَى السَّمَاءَ الثَّانِيَةَ فَقَالَ لِخَازِنِهَا افْتَحْ فَقَالَ لَهُ خَازِنُهَا مِثْلَ مَا قَالَ الأَوَّلُ فَفَتَحَ
قَالَ أَنَسٌ فَذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ فِي السَّمَوَاتِ إِدْرِيسَ وَمُوْسَى وَعِيْسَى وَإِبْرَاهِيْمَ وَلَمْ يُثْبِتْ لِيْ كَيْفَ مَنَازِلُهُمْ غَيْرَ أَنَّهُ قَدْ ذَكَرَ أَنَّهُ وَجَدَ آدَمَ فِي السَّمَاءِ الدُّنْيَا وَإِبْرَاهِيْمَ فِي السَّادِسَةِ
وَقَالَ أَنَسٌ فَلَمَّا مَرَّ جِبْرِيْلُ بِإِدْرِيسَ قَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالأَخِ الصَّالِحِ فَقُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا إِدْرِيسُ ثُمَّ مَرَرْتُ بِمُوْسَى فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالأَخِ الصَّالِحِ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا مُوْسَى ثُمَّ مَرَرْتُ بِعِيْسَى فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالأَخِ الصَّالِحِ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ عِيْسَى ثُمَّ مَرَرْتُ بِإِبْرَاهِيْمَ فَقَالَ مَرْحَبًا بِالنَّبِيِّ الصَّالِحِ وَالِابْنِ الصَّالِحِ قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالَ هَذَا إِبْرَاهِيْمُ
قَالَ وَأَخْبَرَنِيْ ابْنُ حَزْمٍ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ وَأَبَا حَيَّةَ الأَنْصَارِيَّ كَانَا يَقُوْلَانِ قَالَ النَّبِيُّصلى الله عليه وسلم ثُمَّ عُرِجَ بِيْ حَتَّى ظَهَرْتُ لِمُسْتَوًى أَسْمَعُ صَرِيْفَ الأَقْلَامِ
قَالَ ابْنُ حَزْمٍ وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَفَرَضَ اللهُ عَلَيَّ خَمْسِيْنَ صَلَاةً فَرَجَعْتُ بِذَلِكَ حَتَّى أَمُرَّ بِمُوْسَى فَقَالَ مُوْسَى مَا الَّذِيْ فَرَضَ عَلَى أُمَّتِكَ قُلْتُ فَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسِيْنَ صَلَاةً قَالَ فَرَاجِعْ رَبَّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيْقُ ذَلِكَ فَرَجَعْتُ فَرَاجَعْتُ رَبِّيْ فَوَضَعَ شَطْرَهَا فَرَجَعْتُ إِلَى مُوْسَى فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ فَذَكَرَ مِثْلَهُ فَوَضَعَ شَطْرَهَا فَرَجَعْتُ إِلَى مُوْسَى فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا تُطِيْقُ ذَلِكَ فَرَجَعْتُ فَرَاجَعْتُ رَبِّيْ فَقَالَ هِيَ خَمْسٌ وَهِيَ خَمْسُوْنَ لَا يُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَيَّ فَرَجَعْتُ إِلَى مُوْسَى فَقَالَ رَاجِعْ رَبَّكَ فَقُلْتُ قَدْ اسْتَحْيَيْتُ مِنْ رَبِّيْ ثُمَّ انْطَلَقَ حَتَّى أَتَى بِي السِّدْرَةَ الْمُنْتَهَى فَغَشِيَهَا أَلْوَانٌ لَا أَدْرِيْ مَا هِيَ ثُمَّ أُدْخِلْتُ الْجَنَّةَ فَإِذَا فِيْهَا جَنَابِذُ اللُّؤْلُؤِ وَإِذَا تُرَابُهَا الْمِسْكُ

حدثنا عبدان اخبرنا عبد الله اخبرنا يونس عن الزهري ح حدثنا احمد بن صالح حدثنا عنبسة حدثنا يونس عن ابن شهاب قال قال انس بن مالك كان ابو ذر يحدث ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال فرج سقف بيتي وانا بمكة فنزل جبريل ففرج صدري ثم غسله بماء زمزم ثم جاء بطست من ذهب ممتلى حكمة وايمانا فافرغها في صدري ثم اطبقه ثم اخذ بيدي فعرج بي الى السماء فلما جاء الى السماء الدنيا قال جبريل لخازن السماء افتح قال من هذا قال هذا جبريل قال معك احد قال معي محمد قال ارسل اليه قال نعم فافتح فلما علونا السماء الدنيا اذا رجل عن يمينه اسودة وعن يساره اسودة فاذا نظر قبل يمينه ضحك واذا نظر قبل شماله بكى فقال مرحبا بالنبي الصالح والابن الصالح قلت من هذا يا جبريل قال هذا ادم وهذه الاسودة عن يمينه وعن شماله نسم بنيه فاهل اليمين منهم اهل الجنة والاسودة التي عن شماله اهل النار فاذا نظر قبل يمينه ضحك واذا نظر قبل شماله بكى ثم عرج بي جبريل حتى اتى السماء الثانية فقال لخازنها افتح فقال له خازنها مثل ما قال الاول ففتحقال انس فذكر انه وجد في السموات ادريس وموسى وعيسى وابراهيم ولم يثبت لي كيف منازلهم غير انه قد ذكر انه وجد ادم في السماء الدنيا وابراهيم في السادسةوقال انس فلما مر جبريل بادريس قال مرحبا بالنبي الصالح والاخ الصالح فقلت من هذا قال هذا ادريس ثم مررت بموسى فقال مرحبا بالنبي الصالح والاخ الصالح قلت من هذا قال هذا موسى ثم مررت بعيسى فقال مرحبا بالنبي الصالح والاخ الصالح قلت من هذا قال عيسى ثم مررت بابراهيم فقال مرحبا بالنبي الصالح والابن الصالح قلت من هذا قال هذا ابراهيمقال واخبرني ابن حزم ان ابن عباس وابا حية الانصاري كانا يقولان قال النبيصلى الله عليه وسلم ثم عرج بي حتى ظهرت لمستوى اسمع صريف الاقلامقال ابن حزم وانس بن مالك رضي الله عنهما قال النبي صلى الله عليه وسلم ففرض الله علي خمسين صلاة فرجعت بذلك حتى امر بموسى فقال موسى ما الذي فرض على امتك قلت فرض عليهم خمسين صلاة قال فراجع ربك فان امتك لا تطيق ذلك فرجعت فراجعت ربي فوضع شطرها فرجعت الى موسى فقال راجع ربك فذكر مثله فوضع شطرها فرجعت الى موسى فاخبرته فقال راجع ربك فان امتك لا تطيق ذلك فرجعت فراجعت ربي فقال هي خمس وهي خمسون لا يبدل القول لدي فرجعت الى موسى فقال راجع ربك فقلت قد استحييت من ربي ثم انطلق حتى اتى بي السدرة المنتهى فغشيها الوان لا ادري ما هي ثم ادخلت الجنة فاذا فيها جنابذ اللولو واذا ترابها المسك


Narrated Anas (ra):
Abu Dhar (ra) used to say that Allah's Messenger (ﷺ) said, "While I was at Makkah, the roof of my house was opened and Jibril descended, opened my chest, and washed it with Zamzam water. Then he brought a golden tray full of wisdom and faith, and having poured its contents into my chest, he closed it. Then he took my hand and ascended with me to the heaven. When Jibril reached the nearest heaven, he said to the gatekeeper of the heaven, 'Open (the gate).' The gatekeeper asked, 'who is it?' Jibril answered, 'Jibril'. He asked, 'Is there anyone with you?' Jibril replied, 'Muhammad (ﷺ) is with me.' He asked, 'Has he been called?', Jibril said, 'Yes'. So, the gate was opened and we went over the nearest heaven, and there we saw a man sitting with Aswida (a large number of people) of his right and Aswida on his left. When he looked towards his right, he laughed and when he looked towards his left he wept. He said (to me), 'Welcome, O pious Prophet and pious son'. I said, 'Who is this man O Jibril?' Jibril replied, 'He is Adam, and the people on his right and left are the souls of his offspring. Those on the right are the people of Paradise, and those on the left are the people of the (Hell) Fire. So, when he looks to the right, he laughs, and when he looks to the left he weeps.' Then Jibril ascended with me till he reached the second heaven and said to the gatekeeper, 'Open (the gate).' The gatekeeper said to him the same as the gatekeeper of the first heaven has said, and he opened the gate." Anas added: Abu Dhar mentioned that Prophet (ﷺ) met Idris, Musa (Moses), 'Isa (Jesus) and Ibrahim (Abraham) over the heavens, but he did not specify their places (i.e., on which heavens each of them was), but he mentioned that he (the Prophet (ﷺ)) had met Adam on the nearest heaven, and Ibrahim on the sixth. Anas said, "When Jibril and the Prophet (ﷺ) passed by Idris, the latter said, 'Welcome, O pious Prophet and pious brother!' the Prophet (ﷺ) asked, 'Who is he?' Jibril said, 'He is Idris.' " The Prophet (ﷺ) added, "Then I passed by Musa who said, 'Welcome, O pious Prophet and pious brother!' I said, 'Who is he?' Jibril said, 'He is Musa.' Then I passed by 'Isa who said, 'Welcome, O pious Prophet and pious brother!' I said, 'Who is he?' He replied, 'He is 'Isa.' Then I passed by the Prophet (ﷺ) Ibrahim who said, 'Welcome, O pious Prophet and pious son!' I said, 'Who is he?' Jibril replied, 'He is Ibrahim'." Narrated Ibn 'Abbas and Abu Haiyya Al-Ansari: The Prophet (ﷺ) said, "Then Jibril ascended with me to a place where I heard the creaking of pens." Ibn Hazm and Anas bin Malik state the Prophet (ﷺ) said, "Allah enjoined fifty Salat (prayers) on me. When I returned with this order of Allah, I passed by Musa who asked me, 'What has Allah enjoined on your followers?' I replied, 'He has enjoined fifty Salat (prayers) on them.' On the Musa said to me, 'Go back to your Lord (and appeal for reduction), for your followers will not be able to bear it.' So, I returned to my Lord and asked for some reduction, and He reduced it to half. When I passed by Musa again and informed him about it, he once more said to me, 'Go back to your Lord, for your followers will not be able to bear it.' So, I returned to my Lord similarly as before, and half of it was reduced. I again passed by Musa and he said to me, 'Go back to your Lord, for your followers will not be able to bear it.' I again returned to my Lord and He said, 'These are five (Salat-prayers) and they are all (equal to) fifty (in reward), for My Word does not change.' I returned to Musa, he again told me to return to my Lord (for further reduction) but I said to him 'I feel shy of asking my Lord now.' Then Jibril took me till we reached Sidrat-ul-Muntaha (i.e., lote tree of utmost boundary) which was shrouded in colors indescribable. Then I was admitted into Paradise where I found small tents (made) of pearls and its earth was musk (a kind of perfume)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৪৩

পরিচ্ছেদঃ ৬০/০০. মহান আল্লাহর বাণীঃ

60/6. بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى

৬০/৬ অধ্যায় : (মহান আল্লাহর বাণীঃ)

وَإِلٰى عَادٍ أَخٰهُمْ هُوْدًا قَالَ يٰقَوْمِ اعْبُدُوْا اللهَ  (هود : 50) وَقَوْلِهِ إِذْ أَنْذَرَ قَوْمَه” بِالْأَحْقٰفِ إِلَى قَوْلِهِ كَذٰلِكَ نَجْزِي الْقَوْمَ الْمُجْرِمِيْنَ (الأحقاف : 21)

فِيْهِ عَنْ عَطَاءٍ وَسُلَيْمَانَ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

আর আমি আদ জাতির নিকট তাদেরই ভাই হূদকে পাঠিয়েছিলাম ....... (হূদ ৫০) এবং আল্লাহর বাণীঃ আর স্মরণ কর (হূদের কথা) যখন তিনি আহ্কাফ অঞ্চলে নিজ জাতিকে সতর্ক করেছিলেন ...... এভাবে আমি অপরাধী সম্প্রদায়কে প্রতিফল দিয়ে থাকি- (আহকাফ ২১-২৫)।

এ প্রসঙ্গে ’আত্বা ও সুলাইমান (রহ.) ’আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হতে হাদীস বর্ণিত আছে।


وَأَمَّا عَادٌ فَأُهْلِكُوْا بِرِيْحٍ صَرْصَرٍ شَدِيْدَةٍ عَاتِيَةٍ (الحاقة : 6)

قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ عَتَتْ عَلَى الْخُزَّانِ سَخَّرَهَا عَلَيْهِمْ سَبْعَ لَيَالٍ وَّثَمَانِيَةَ أَيَّامٍ حُسُومًا (الحاقة : 7) مُتَتَابِعَةً فَتَرَى الْقَوْمَ فِيْهَا صَرْعٰى كَأَنَّهُمْ أَعْجَازُ نَخْلٍ خَاوِيَةٍ  أُصُوْلُهَا فَهَلْ تَرٰى لَهُمْ مِنْم بَاقِيَةٍ (الحاقة : 8) بَقِيَّةٍ

আর আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছে একটি প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ার দ্বারা।  صرصرঅর্থ شديدة শক্ত।

ইবনু ’উওয়াইনাহ বলেন, প্রবাহিত করেছিলেন তিনি যা নিয়ন্ত্রণশারীর নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল বিধায় হীনভাবে সাত ও আট দিন পর্যন্ত তাদের ওপর চাপিয়ে রেখেছিলেন। حُسُومًا অর্থ ধারাবাহিক ভাবে। (সেখানে তুমি থাকলে) দেখতে পেতে যে, তারা সেখানে লুটিয়ে পড়ে আছে সারশূন্য বিক্ষিপ্ত খেজুর গাছের কান্ডের মত। অতঃপর তাদের কাউকে তুমি বিদ্যমান দেখতে পাও কি? (হাক্কাহ্ ৬-৮) أَعْجَازُ অর্থ শিকড়।


৩৩৪৩. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমাকে ভোরের বায়ু দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে আর আদ জাতিকে দাবুর বা পশ্চিমের বায়ু দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছে। (১০৩৫) (ই.ফা ৩১০৪ প্রথমাংশ)

بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ

حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ نُصِرْتُ بِالصَّبَا وَأُهْلِكَتْ عَادٌ بِالدَّبُوْرِ.

حدثني محمد بن عرعرة حدثنا شعبة عن الحكم عن مجاهد عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال نصرت بالصبا واهلكت عاد بالدبور


Narrated Ibn `Abbas:

The Prophet (ﷺ) said, "I have been made victorious with As-Saba (i.e. an easterly wind) and the people of 'Ad were destroyed by Ad-Dabur (i.e. a westerly wind)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৪৪

পরিচ্ছেদঃ ৬০/০০. মহান আল্লাহর বাণীঃ

৩৩৪৪. আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘আলী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কিছু স্বর্ণের টুকরো পাঠালেন। তিনি তা চার ব্যক্তির মাঝে বণ্টন করে দিলেন। (১) আল-আকরা ইবনু হান্যালী যিনি মাজাশেয়ী গোত্রের ছিলেন। (২) উআইনা ইবনু বাদার ফাযারী। (৩) যায়দ ত্বায়ী, যিনি পওে বনী নাবহান গোত্রের ছিলেন। (৪) ‘আলকামাহ ইবনু উলাসা আমেরী, যিনি বনী কিলাব গোত্রের ছিলেন। এতে কুরাইশ ও আনসারগণ অসন্তুষ্ট হলেন এবং বলতে লাগলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজদবাসী নেতৃবৃন্দকে দিচ্ছেন আর আমাদেরকে দিচ্ছেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি তো তাদেরকে আকৃষ্ট করার জন্য এমন মনোরঞ্জন করছি। তখন এক ব্যক্তি সামনে এগিয়ে আসল, যার চোখ দু’টি কোটরাগত, গন্ডদ্বয় ঝুলে পড়া; কপাল উঁটু, ঘন দাড়ি এবং মাথা মোড়ানো ছিল। সে বলল, হে মুহাম্মাদ! আল্লাহকে ভয় করুন। তখন তিনি বললেন, আমিই যদি নাফরমানী করি তাহলে আল্লাহর আনুগত্য করবে কে? আল্লাহ আমাকে পৃথিবীবাসীর উপর আমানতদার বানিয়েছেন আর তোমরা আমাকে আমানতদার মনে করছ না। তখন এক ব্যক্তি তাঁর নিকট তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইল। [আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) বলেন] আমি তাকে খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) বলে ধারণা করছি। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নিষেধ করলেন। অতঃপর অভিযোগকারী লোকটি যখন ফিরে গেল, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ ব্যক্তির বংশ হতে বা এ ব্যক্তির পরে এমন কিছু সংখ্যক লোক হবে তারা কুরআন পড়বে কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবে না। দ্বীন হতে তারা এমনভাবে বেরিয়ে পড়বে যেমনি ধনুক হতে তীর বেরিয়ে যায়। তারা ইসলামের অনুসারীদেরকে (মুসলিমদেরকে) হত্যা করবে আর মূর্তি পূজারীদেরকে হত্যা করা হতে বাদ দেবে। আমি যদি তাদের পেতাম তাহলে তাদেরকে আদ জাতির মত অবশ্যই হত্যা করতাম। (৩৬১০, ৪৩৫১, ৪৬৬৭, ৫০৫৮, ৬১৬৩, ৬৯৩১, ৬৯৩৪, ৭৪৩২) (মুসলিম ১২/৪৭ হাঃ ১০৬৪, আহমাদ ১১৬৯৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১০৪)

بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ

وَقَالَ ابْنُ كَثِيْرٍ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ ابْنِ أَبِيْ نُعْمٍ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ قَالَ بَعَثَ عَلِيٌّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذُهَيْبَةٍ فَقَسَمَهَا بَيْنَ الأَرْبَعَةِ الأَقْرَعِ بْنِ حَابِسٍ الْحَنْظَلِيِّ ثُمَّ الْمُجَاشِعِيِّ وَعُيَيْنَةَ بْنِ بَدْرٍ الْفَزَارِيِّ وَزَيْدٍ الطَّائِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِيْ نَبْهَانَ وَعَلْقَمَةَ بْنِ عُلَاثَةَ الْعَامِرِيِّ ثُمَّ أَحَدِ بَنِيْ كِلَابٍ فَغَضِبَتْ قُرَيْشٌ وَالأَنْصَارُ قَالُوْا يُعْطِيْ صَنَادِيْدَ أَهْلِ نَجْدٍ وَيَدَعُنَا قَالَ إِنَّمَا أَتَأَلَّفُهُمْ فَأَقْبَلَ رَجُلٌ غَائِرُ الْعَيْنَيْنِ مُشْرِفُ الْوَجْنَتَيْنِ نَاتِئُ الْجَبِيْنِ كَثُّ اللِّحْيَةِ مَحْلُوقٌ فَقَالَ اتَّقِ اللهَ يَا مُحَمَّدُ فَقَالَ مَنْ يُطِعْ اللهَ إِذَا عَصَيْتُ أَيَأْمَنُنِي اللهُ عَلَى أَهْلِ الأَرْضِ فَلَا تَأْمَنُوْنِيْ فَسَأَلَهُ رَجُلٌ قَتْلَهُ أَحْسِبُهُ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيْدِ فَمَنَعَهُ فَلَمَّا وَلَّى قَالَ إِنَّ مِنْ ضِئْضِئِ هَذَا أَوْ فِيْ عَقِبِ هَذَا قَوْمًا يَقْرَءُوْنَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ حَنَاجِرَهُمْ يَمْرُقُوْنَ مِنْ الدِّينِ مُرُوقَ السَّهْمِ مِنْ الرَّمِيَّةِ يَقْتُلُوْنَ أَهْلَ الإِسْلَامِ وَيَدَعُوْنَ أَهْلَ الأَوْثَانِ لَئِنْ أَنَا أَدْرَكْتُهُمْ لَاقْتُلَنَّهُمْ قَتْلَ عَادٍ

وقال ابن كثير عن سفيان عن ابيه عن ابن ابي نعم عن ابي سعيد قال بعث علي الى النبي صلى الله عليه وسلم بذهيبة فقسمها بين الاربعة الاقرع بن حابس الحنظلي ثم المجاشعي وعيينة بن بدر الفزاري وزيد الطاىي ثم احد بني نبهان وعلقمة بن علاثة العامري ثم احد بني كلاب فغضبت قريش والانصار قالوا يعطي صناديد اهل نجد ويدعنا قال انما اتالفهم فاقبل رجل غاىر العينين مشرف الوجنتين ناتى الجبين كث اللحية محلوق فقال اتق الله يا محمد فقال من يطع الله اذا عصيت ايامنني الله على اهل الارض فلا تامنوني فساله رجل قتله احسبه خالد بن الوليد فمنعه فلما ولى قال ان من ضىضى هذا او في عقب هذا قوما يقرءون القران لا يجاوز حناجرهم يمرقون من الدين مروق السهم من الرمية يقتلون اهل الاسلام ويدعون اهل الاوثان لىن انا ادركتهم لاقتلنهم قتل عاد


Narrated Abu Sa`id:
`Ali sent a piece of gold to the Prophet (ﷺ) who distributed it among four persons: Al-Aqra' bin H`Abis Al-Hanzali from the tribe of Mujashi, 'Uyaina bin Badr Al-Fazari, Zaid at-Ta'i who belonged to (the tribe of) Bani Nahban, and 'Alqama bin Ulatha Al-`Amir who belonged to (the tribe of) Bani Kilab. So the Quraish and the Ansar became angry and said, "He (i.e. the Prophet, ) gives the chief of Najd and does not give us." The Prophet (ﷺ) said, "I give them) so as to attract their hearts (to Islam)." Then a man with sunken eyes, prominent checks, a raised forehead, a thick beard and a shaven head, came (in front of the Prophet (ﷺ) ) and said, "Be afraid of Allah, O Muhammad!" The Prophet (ﷺ) ' said "Who would obey Allah if I disobeyed Him? (Is it fair that) Allah has trusted all the people of the earth to me while, you do not trust me?" Somebody who, I think was Khalid bin Al-Walid, requested the Prophet (ﷺ) to let him chop that man's head off, but he prevented him. When the man left, the Prophet (ﷺ) said, "Among the off-spring of this man will be some who will recite the Qur'an but the Qur'an will not reach beyond their throats (i.e. they will recite like parrots and will not understand it nor act on it), and they will renegade from the religion as an arrow goes through the game's body. They will kill the Muslims but will not disturb the idolaters. If I should live up to their time' I will kill them as the people of 'Ad were killed (i.e. I will kill all of them)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
৩৩৪৫

পরিচ্ছেদঃ ৬০/০০. মহান আল্লাহর বাণীঃ

৩৩৪৫. ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (আদ জাতির ঘটনা বর্ণনায়) -فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ এ আয়াতটি পড়তে শুনেছি। (৩৩৪১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩০৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১০৫)

بَابُ قَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ يَزِيْدَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيْلُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنْ الأَسْوَدِ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فَهَلْ مِنْ مُّدَّكِرٍ (القمر : 15)

حدثنا خالد بن يزيد حدثنا اسراىيل عن ابي اسحاق عن الاسود قال سمعت عبد الله قال سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقرا فهل من مدكر القمر 15


Narrated `Abdullah:

I heard the Prophet (ﷺ) reciting: "Fahal Min Muddakir."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৬০/ আম্বিয়া কিরাম ('আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء) 60/ Prophets
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৬৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 7 8 9 পরের পাতা »